লঞ্চ
জাল বাঁচাতে গিয়ে লঞ্চে প্রোপেলারে কাটা পড়ে প্রাণ গেল জেলের
বরিশালে জাল বাঁচাতে গিয়ে লঞ্চের ইঞ্জিনের প্রোপেলারে কাটা পড়ে আবেদ আলী নামে এক জেলের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কীর্তনখোলা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আবেদ আলী নগরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সোবাহান ফকিরের ছেলে।
আরও পড়ুন: সিলেট-তামাবিল সড়কে পিকআপ-লেগুনার সংঘর্ষ, নিহত ৫
নিহত আবেদ আলীর স্ত্রী রুমা জানান, সোমবার কীর্তনখোলা নদীতে মাছ ধরতে জাল ফেলেন আবেদ। এসময় স্রোতের টানে জাল গিয়ে ডবল ডেকার লঞ্চের (পারাবাত-১১) ইঞ্জিনের প্রোপেলারে জড়িয়ে যায়।
স্ত্রী রুমা আরও জানান, জাল খুলতে আবেদ যখন লঞ্চের কাছে যায় ঠিক সেই সময়ে ইঞ্জিন চালু হলে ইঞ্জিনের প্রোপেলারের ভেতরে ডুকে যায় আবেদ এবং লঞ্চের ইঞ্জিন বন্ধ না করায় নিখোঁজ হন তিনি।
ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান, নিখোঁজের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ও বরিশাল নৌ পুলিশ উদ্ধার অভিযানে নামলে আবেদ আলীর বিচ্ছিন্ন একটি পা উদ্ধার হয়।
তবে শরীরের বাকি অংশ খুঁজে পেতে অভিযান চলমান রয়েছে বলেও জানান ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম।
বরিশাল নৌ পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল জলিল জানান, আবেদ আলী মাছ ধরতে নেমে নিখোঁজ হন। আমরা তাকে খুঁজে পেতে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি। তবে এখন পর্যন্ত তার একটি বিচ্ছিন্ন পায়ের অংশ পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় ট্রাকচাপায় স্কুলছাত্র নিহত
সোনারগাঁওয়ে ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনি, ৪ যুবক নিহত
বোগদাদিয়া লঞ্চের কেবিনে মিলল দর্জির লাশ
চাঁদপুর লঞ্চঘাটে এমভি বোগদাদিয়া-৭ নামে যাত্রীবাহী লঞ্চের কেবিন থেকে জয়নাল নামে এক দোকান কর্মচারীর লাশ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ।
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে সকালে সদরঘাট থেকে ছেড়ে চাঁদপুর ঘাটে আসার পর মৃত্যুর বিষয় জানতে পেরে পুলিশ ওই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে।
পুলিশ জানায় জয়নাল নামে দর্জি দোকানের কর্মচারীর বাড়ি শরীয়তপুর জেলায়। তিনি ঢাকা একটি দর্জির দোকানে কাজ করতেন। লঞ্চের নীচতলার ১০৩ নম্বর কেবিনে তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: ফরিদগঞ্জে নারীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার
বোগদাদিয়া লঞ্চ-৭ এর মাস্টার কলিমুল্লাহ জানান, সকাল ৮টা ৩৫ মিনিটে ঢাকা থেকে রওনা করে লঞ্চটি পৌনে ১২টায় চাঁদপুর ঘাটে আসে। ঘাটে আসার পর সব যাত্রী লঞ্চ থেকে নেমে পড়েন। কিন্তু নিচতলার ১০৩ কেবিনের যাত্রী বের হননি। পরে দরজায় অনেকবার নক করা হলেও সাড়া শব্দ না পেয়ে জানালা খুলে দেখা যায় তিনি নিচে পড়ে আছেন। পরে পুলিশের সহায়তার তাকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
লঞ্চের টালী খাতায় তিনি জয়নাল নাম অন্তর্ভুক্ত করেছেন।
চাঁদপুর নৌ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জহির ইউএনবিকে জানান, ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। সে ঢাকায় একটি পোশাক তৈরির দোকানে কাজ করে বলে দোকান মালিকের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। কেবিনে তিনি একা থাকায় পূর্ণাঙ্গ পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: নবীনগরে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিল থেকে অটোচালকের লাশ উদ্ধার
ঢাকার লঞ্চের যাত্রীসংখ্যা এক বছরে ৩৪ শতাংশ কমেছে: এসসিআরএফ
পদ্মা সেতু চালু হওয়ার আগে প্রতিদিন প্রায় ৫০ হাজার মানুষ ঢাকা থেকে লঞ্চে করে বরিশালসহ উপকূলীয় বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত করত।
এক বছরের মধ্যে, এই সংখ্যা ৩৩ হাজার থেকে কমে ১২ হাজারে পৌঁছেছে।
শিপিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন রিপোর্টার্স ফোরামের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) সংগঠনটির পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ তুলে ধরে।
এ ছাড়া প্রতিদিন অন্তত ৮০টি লঞ্চ ঢাকা থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে যেত। এই সংখ্যা কমে ২০ এ পৌঁছেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক বছরে লঞ্চ চলাচল ২৫ শতাংশ কমেছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত বছরের জুলাই থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত জরিপ ও মনিটরিং করে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।
জরিপকালে নৌপরিবহন বিশেষজ্ঞ, নৌযান মালিক ও শ্রমিক নেতাদের পাশাপাশি লঞ্চের কর্মী, যাত্রী ও সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থার কর্মকর্তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
এসসিআরএফ রিপোর্ট অনুসারে, অভ্যন্তরীণ শিপিং ব্যবসায় মন্দার কারণে মালিকরা এক বছরে কমপক্ষে ২০টি লঞ্চ বন্ধ করেছে। এর বাইরে আরও অন্তত ছয়টি লঞ্চ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ আধুনিক ও আরামদায়ক হয়েছে। মানুষ স্বল্প সময়ে সড়কপথে যাতায়াত ও পণ্য পরিবহন করতে পারছে।
আরও পড়ুন: ঈদে লঞ্চে মোটরসাইকেল পারাপারে থাকছে না নিষেধাজ্ঞা
এ কারণে ঢাকা ও বৃহত্তর বরিশালের মধ্যে অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন ব্যবস্থায় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে এবং লঞ্চ যাত্রীর সংখ্যা কমে গেছে।
এতে বলা হয়, যথাযথভাবে নদী খনন ও পলি অপসারণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতার কারণে নাব্যতা সংকটের কারণে অনেক নৌপথ পরিত্যক্ত হয়েছে।
এ ছাড়া লঞ্চের যাত্রীদের অনীহার কারণে কমছে যাত্রী সংখ্যা
এসসিআরএফ-এর তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা থেকে নৌপথে বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়া ৫০ হাজার মানুষের মধ্যে ৭০ শতাংশই বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, বরগুনা, পিরোজপুর ও ঝালকাঠিগামী লঞ্চের যাত্রী।
যদিও লঞ্চ মালিকদের দাবি, যাত্রী কমে যাওয়ায় তাদের ব্যবসা খুবই সংকটে পড়েছে। তবে তারা এই দাবির জন্য গ্রহণযোগ্য তথ্য দিতে পারেনি বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
বরং সরকারি তথ্য অনুযায়ী লঞ্চ ব্যবসা এখনও লাভজনক। তবে আগের তুলনায় মুনাফার হার কমেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
মালিকদের দাবি, প্রতিদিন ৩০-৩৫টি লঞ্চে মাত্র ৫ থেকে ৬ হাজার যাত্রী ঢাকা ছেড়ে যায়।
অন্যদিকে, সরকারি তথ্য অনুযায়ী প্রতিদিন অন্তত ৬০টি লঞ্চ ঢাকা ছেড়ে যায় বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।
বিআইডব্লিউটিএ‘র বন্দর ও পরিবহন বিভাগের উদ্ধৃতি দিয়ে এসসিআরএফ জানিয়েছে, এই বছরের ১৯ আগস্ট মোট ৬২টি যাত্রীবাহী লঞ্চ ঢাকা নদীবন্দর সদরঘাট টার্মিনাল এবং পার্শ্ববর্তী ঘাট থেকে বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চাঁদপুর অঞ্চলে ২২টি, বরিশাল অঞ্চলে ১০টি, ভোলা অঞ্চলে ১৪টি, পটুয়াখালী অঞ্চলে ৬টি এবং অন্যান্য অঞ্চলে ১০টি লঞ্চ ছিল।
আরও পড়ুন: ঈদে নৌপথের ২৭ লাখ যাত্রীর চাপ পড়বে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে: জাতীয় কমিটি
বরিশালের ৪০ লঞ্চঘাটে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার
ঈদে লঞ্চে মোটরসাইকেল পারাপারে থাকছে না নিষেধাজ্ঞা
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী জানিয়েছেন, এবার ঈদে লঞ্চে মোটরসাইকেল পারাপারে কোনো নিষেধাজ্ঞা থাকছে না।
তিনি বলেন, অনেকেই লঞ্চে মোটরসাইকেল নিয়ে পরিবারসহ বাড়ি যায়। আমরা বিআইডব্লিউটিএকে বলেছি, বিষয়টি যতটুকু পারা যায়, সামঞ্জস্য করতে।
এছাড়া লঞ্চে মোটরসাইকেল পারাপারের বিষয়টি আমরা লঞ্চ মালিকদেরও বলেছি।
আরও পড়ুন: মোটরসাইকেল পারাপারে শিমুলিয়ায় ফেরি সার্ভিস চালু হবে ১৮ এপ্রিল থেকে: বিআইডব্লিউটিসি
বুধবার (৩১ মে) সচিবালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে সুষ্ঠুভাবে নৌযান চলাচল এবং যাত্রী নিরাপত্তা সংক্রান্ত ঈদ ব্যবস্থাপনা কমিটির বৈঠক শেষে তিনি এ তথ্য জানান।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আপনি যদি একা বরিশাল, মাদারীপুর বা দক্ষিণাঞ্চলে যান, নিশ্চিত মোটরসাইকেল চালিয়ে যাবেন। আপনার সঙ্গে যদি পাঁচজন থাকে, সবাইকে তো মোটরসাইকেলে তুলতে পারবেন না।
তিনি বলেন, সেখানে যদি মোটরসাইকেল নিতে চান, তাহলে বিকল্প ব্যবস্থায় নিতে হবে। হয়তো বাসের ছাদে অথবা লঞ্চে করে নিতে হবে। সে বিষয়টি আমরা এডজাস্ট করব।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, লঞ্চে মোটরসাইকেল পারাপারের নিষেধাজ্ঞা উঠে যাচ্ছে। তবে নৌপথে ভাড়া আগের মতোই থাকবে। ভাড়ার বিষয়ে কোনো উঠানামা নেই।
আরও পড়ুন: শিমুলিয়ায় পিপিই ছাড়াই কাজ করছেন বিআইডব্লিউটিসি’র কর্মচারীরা
জাহাজ ও ফেরি ভাড়া ২০ শতাংশ বাড়াল বিআইডব্লিউটিসি
ঘূর্ণিঝড় মোখা: দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া, আরিচা-কাজিরহাট রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানীর যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র প্রভাব না থাকলেও শনিবার ভোর থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
প্রতিদিনের মতো শুক্রবার দিবাগত রাত ৯টার পর থেকে লঞ্চ বন্ধ রাখা হয়। সকালে চলার কথা থাকলেও ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কবার্তার অংশ হিসেবে সারা দেশের ন্যায় এই নৌপথও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত জানায় কর্তৃপক্ষ।
একই সঙ্গে কর্তৃপক্ষের নির্দেশে দৌলতদিয়া-মানিকগঞ্জের আরিচা এবং আরিচা ও পাবনার কাজিরহাট নৌরুটেও লঞ্চ বন্ধ রাখা হয়েছে। এই তিন রুটের লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় সাময়িকভাবে যাত্রীরা দুর্ভোগের শিকার হন।
আরও পড়ুন: খুলনায় বাস-লঞ্চ চলাচল বন্ধের ২য় দিনে ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ
আরিচা লঞ্চ মালিক সমিতির দৌলতদিয়া ঘাট শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক নুরুল আনোয়ার মিলন জানান, দুর্ঘটনার ঝুঁকি এড়াতে স্বাভাবিকভাবে প্রতিদিন রাত ৯টার পর থেকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়। রাত শেষে পরদিন ভোর ৬টার পর থেকে লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক থাকে।
আজও নদী শান্ত রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের কোনো প্রভাব নেই। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় মোখার সতর্কবার্তা হিসেবে সারা দেশের ন্যায় এই নৌপথেও সকল প্রকার লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সকাল থেকে বহু যাত্রী নদী পাড়ি দিতে দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাটে আসেন। তাদেরকে ফেরিতে নদী পাড়ি দিতে অনুরোধ জানানো হয়। এছাড়া দৌলতদিয়া ঘাট পন্টুনে দুই-তিনটি ছাড়া বাকি সবকটি লঞ্চ পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় নিরাপদ স্থানে সরিয়ে রাখা হয়েছে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে নদী খুবই শান্ত থাকায় লঞ্চ চলাচলে তেমন সমস্যা নেই বলে তিনি মনে করেন।
শনিবার সকালে দৌলতদিয়া ঘাটে দেখা যায়, লঞ্চ ঘাটের পন্টুনে দুইটি লঞ্চ বাধা রয়েছে। বাকি কোনো লঞ্চ ঘাটে না থাকায় পন্টুন এক প্রকার ফাঁকা অবস্থায় রয়েছে।
যাত্রীদের অনেকে পন্টুনে এসে লঞ্চ বন্ধ পাওয়ায় ফিরে যাচ্ছে। একই সঙ্গে ঘাটে দায়িত্বরত লোকজন তাদেরকে ফেরিতে নদী পাড়ি দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন।
এ সময় লঞ্চের স্টাফ বা কর্মচারীদের বিভিন্ন স্থানে জটলা হয়ে বসে আড্ডা দিয়ে অলস সময় পার করতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা: চাঁদপুর রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ
এদিকে লঞ্চ বন্ধ থাকায় ফেরিতে যানবাহনের পাশাপাশি যাত্রীর চাপ দেখা যায়। ঢাকামুখী ও দক্ষিণাঞ্চলমুখী উভয় দিকের ফেরিতে যাত্রীদের চাপ দেখা যায়।
অনেকে ঘূর্ণিঝড়ের হাত থেকে নিরাপদ স্থানে ছুটে চলছেন বলে আলাপকালে কয়েকজন ফেরি যাত্রী জানান।
হজরত আলী শেখ নামের এক লঞ্চের কর্মচারী বলেন, এমনিতে প্রতিদিন রাত ৯টার পর থেকে আমাদের এই রুটে লঞ্চ বন্ধ থাকে। পরদিন সকাল থেকে পুনরায় লঞ্চ চলাচল শুরু হয়। লঞ্চ চললে আমরা বেতন ঠিকমতো পাই। এখন নদী পথ খুবই শান্ত থাকলেও কর্তৃপক্ষের নির্দেশে বন্ধ থাকায় আমরা ঘুরে বোড়াচ্ছি।
কুষ্টিয়া থেকে আসা ঢাকাগামী একটি দূরপাল্লার পরিবহনের ঘাট তত্বাবধায়ক ফিরোজ শেখ বলেন, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে আসা ঢাকাগামী অনেক দূরপাল্লার পরিবহনের যাত্রীরা আজ লঞ্চে নদী পাড়ি দিতে পারছে না। তাদেরকে লঞ্চ ঘাট থেকেই ফেরি ঘাটের দিকে ঘুরে যেতে বলা হচ্ছে।
আবার কেউ কেউ মুঠোফোনেই পরিবহনের তত্বাবধায়ককে লঞ্চ বন্ধের খবর জানিয়ে দেয়া হচ্ছে। আমরা সকালে ঘাটে এসে লঞ্চ বন্ধ দেখতে পাচ্ছি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) দৌলতদিয়া ঘাটের দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্রাফিক পরিদর্শক আফতাব হোসেন বলেন, শনিবার সকাল থেকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া, দৌলতদিয়া-আরিচা ও আরিচা-কাজিরহাট রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বরিশাল-ঢাকা রুটের লঞ্চ চলাচল বন্ধ
ঘূর্ণিঝড় মোখার সতর্কবার্তা হিসেবে কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সারা দেশের ন্যায় এই নৌপথেও লঞ্চ বন্ধ রাখা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত এসব রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকবে।
লঞ্চ না চললেও আমরা সতর্কবার্তা হিসেবে ঘাটে অবস্থান করছি বলে জানান এই কর্মকর্তা।
অজু করতে গিয়ে লঞ্চ থেকে নদীতে পড়ে যাত্রী নিখোঁজ
ফজরের নামাজের জন্য লঞ্চের পেছনের দিকে ওজু করতে গিয়ে নদীতে পড়ে গিয়ে এক যাত্রী নিখোঁজ হয়েছেন।
শুক্রবার (১০ মার্চ) ভোর ৫টার দিকে ঢাকা থেকে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীর কোড়ালীয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া যাত্রীবাহী লঞ্চ পূবালী-৫ দশমিনা উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের বীজ ভান্ডার-সংলগ্ন তেঁতুলিয়া নদী অতিক্রমকালে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে ব্রিজের সঙ্গে লঞ্চের ধাক্কায় নিহত ৩
নিখোঁজ সাইফুল বিশ্বাস (২৬) রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের উত্তর চরমোন্তাজ গ্রামের হানিফ বিশ্বাসের ছেলে।
এদিকে নিখোঁজের ৬ ঘন্টায়ও সন্ধান না মেলায় স্বজনদের মধ্যে উদ্বেগ উৎকন্ঠা বাড়ছে।
নিখোঁজ সাইফুলের বড় ভাই বাদশা বিশ্বাস জানান, আমরা তরমুজ বিক্রি করে ঢাকা থেকে লঞ্চে বাড়ি ফিরছিলাম। পথিমধ্যে অজু করতে গিয়ে লঞ্চের পেছন দিয়ে পা পিছলে পড়ে যায়। ঘটনার ৬ ঘন্টা পার হলেও এখনও তার কোন খোঁজ মেলেনি। বাড়ির সবাই খুব কান্নাকাটি করছে। প্রশাসনের কাছে উদ্ধার অভিযান জোরদার করার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।
রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম মজুমদার জানান, রাঙ্গাবালীর নিখোঁজ যাত্রীকে উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দল কাজ করছে। এছাড়া এ বিষয়ে দশমিনা থানা পুলিশের সঙ্গে তাদের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ হচ্ছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ফতুল্লা লঞ্চঘাটে লঞ্চের ধাক্কায় ট্রলারের চালক নিহত
চাঁদপুরে লঞ্চে ছুরিকাঘাতে যাত্রী নিহত, আটক ৮
বরিশাল-ঢাকাগামী ৪ লঞ্চের যাত্রা বাতিল
যাত্রী সংকটে বরিশাল-ঢাকা রুটে চার লঞ্চের যাত্রা বাতিল করা হয়েছে।
শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিদর্শক মো. কবির।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে ব্রিজের সঙ্গে লঞ্চের ধাক্কায় নিহত ৩
তিনি বলেন, যাত্রী সংকটের কারণে প্রিন্স আওলাদ, পারাবত ১৮, সুরভী ৭ ও সুন্দরবন ১১ লঞ্চ বরিশাল থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা বাতিল করেছে।
শুধুমাত্র পারাবত ১১ লঞ্চ ঢাকায় যাত্রী পরিবহন করবে।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা থেকেও শুধু শুভরাজ লঞ্চ বরিশালে যাত্রী পরিবহন করবে। এছাড়া ফারহান ৭ ঢাকা থেকে ঝালকাঠি যাবে বরিশাল ভায়া হয়ে।
এদিকে পারাবত ১১ লঞ্চে গিয়ে যাত্রী সংকট দেখা গেছে। ডেক শ্রেণিতেও যাত্রী তেমন ছিল না।
লঞ্চের স্টাফ মো. সুমন জানান, ঢাকায় বিএনপির সমাবেশের কারণে ভয়ে অনেকেই এখন ঢাকা যাচ্ছেন না।
যে কারণে যাত্রীর সংখ্যা খুবই কম।
অপরদিকে শুক্রবার ঝালকাঠি থেকেও কোনো লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে যায়নি।
বরিশাল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুখ বলেন, সরকার বিএনপির সমাবেশ বাধাগ্রস্থ করতে নানা পন্থা নিচ্ছে। লঞ্চ বন্ধ করে দিয়েছে। তবে আমরা আগেই ঢাকা এসেছি।
আরও পড়ুন: বিএনপি’র সমাবেশ শেষ, বরিশাল-ঢাকা রুটে লঞ্চ চলাচল শুরু
বরিশাল-ঢাকা রুটের লঞ্চ চলাচল বন্ধ
বরিশাল-ঢাকা রুটের লঞ্চ চলাচল বন্ধ
যাত্রী সংকটের অভিযোগ জানিয়ে লঞ্চ মালিক সমিতি বরিশাল ও ঢাকা রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করেছে। শুক্রবার বরিশাল ও ঢাকা প্রান্ত থেকে কোনো লঞ্চ ছাড়বে না বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন কীর্তনখোলা লঞ্চের মালিক মঞ্জুরুল আহসান ফেরদৌস।
তিনি জানান, শুক্রবার হওয়ায় যাত্রী নেই। তাই লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। যে যাত্রী পাওয়া যাবে তাতে লঞ্চের ব্যয় উঠবে না। আর্থিক ক্ষতি করে তো চালাবো না। একইভাবে ঢাকা থেকেও কোনো লঞ্চ ছেড়ে আসবে না।
আরও পড়ুন: শিমুলিয়ায় লঞ্চ চলাচল বন্ধ, ফেরি সচল
বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের পরিদর্শক কবির হোসেন জানান, বিকাল পর্যন্ত কোনো লঞ্চের কাউন্টার খুলেনি। ঢাকা যাত্রার জন্য যে প্রস্তুতি নেয়ার প্রয়োজন তাও এখন পর্যন্ত নেয়া হয়নি। লঞ্চ কেন যাবে না, কোনো মালিক তাদের জানায়নি। তাই তারাও জানেন না কেন লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে না।
বরিশাল নৌ-বন্দর কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কোনো মালিক আমাদের জানায়নি লঞ্চ চলবে না। কিন্তু শুনতে পেয়েছি শুক্রবার বরিশাল ঘাট থেকে ঢাকার উদ্দেশে কোনো লঞ্চ ছেড়ে যাবে না। ঢাকায় খবর নিয়েছি। সেখান থেকেও বরিশালের উদ্দেশে কোনো লঞ্চ ছেড়ে আসবে না।
আরও পড়ুন: খুলনায় বাস-লঞ্চ চলাচল বন্ধের ২য় দিনে ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ
সুবলং চ্যানেলে তীব্র স্রোত: কাপ্তাই হ্রদে লঞ্চ চলাচল বন্ধ
খুলনায় বাস-লঞ্চ চলাচল বন্ধের ২য় দিনে ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ
বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশকে কেন্দ্র করে খুলনায় সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধ রেখেছে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা। এছাড়া বন্ধ রয়েছে লঞ্চ। দ্বিতীয় দিনের মতো সকল পরিবহন ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় সাধারণ যাত্রীদের ভোগান্তির শেষ নেই।
শনিবার খুলনার সোনাডাঙা বাস টার্মিনাল ও রয়্যাল মোড় এলাকায় সকাল দশটায় গিয়ে দেখা গেছে, খুলনা থেকে বিভিন্ন জেলায় যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন শত শত যাত্রী।
মনিরা সুলতানা জানান, তিনি ঢাকায় চাকরি করেন। ঢাকাগামী এক পরিবহনে তার টিকিট কাটা ছিল। এখন তারা বলছে বাস চলবে না।
আরও পড়ুন: আকস্মিক বাস ধর্মঘটে কুষ্টিয়া-মেহেরপুর রুটের যাত্রীদের দুর্ভোগ মাহমুদ কামাল বলেন, রেলেরও টিকিট নেই। এখন কি করবো ভেবে পাচ্ছি না। এভাবেই হাজারও মানুষ পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে।
এদিকে, শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয়েছে সমাজসেবা অধিদপ্তরের সমাজকর্মী (ইউনিয়ন) নিয়োগ পরীক্ষা। বাস ও মিনিবাস বন্ধ থাকায় সে পরীক্ষায় অনুপস্থিতির হার ছিল দুই-তৃতীয়াংশ। সকাল ১০টা হতে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত এমসিকিউ পদ্ধতিতে ৭০ মার্কের ওই লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
সমাজসেবা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ১৬তম গ্রেডভুক্ত তৃতীয় শ্রেণির সমাজকর্মী পদে জনবল নিয়োগের জন্য ২০১৮ সালের ৯ জুলাই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সমাজসেবা অধিদপ্তর। তাতে খুলনা থেকে আবেদন করেন ১৩ হাজার ৩৭৬ প্রার্থী। আর শুক্রবার পরীক্ষায় উপস্থিত ছিল চার হাজার ৭৭৩ জন। বাস ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় এই নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ না নিতে পেরে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেক পরীক্ষার্থী।
রিয়াদ নামের এক পরীক্ষার্থী বলেন, ‘আমি চার বছর আগে আবেদন করেছিলাম। আমার বাড়ি ডুমুরিয়ার আঠারো মাইল এলাকায়। বাস বন্ধ থাকায় আমি সঠিক সময়ে কেন্দ্রে পৌঁছাতে পারিনি। আমার বয়সও শেষ, নতুন করে কোনো চাকরির পরীক্ষায় আবেদনও করতে পারব না। শেষ সুযোগটাও হারালাম।’
খুলনার পাইকগাছার পরীক্ষার্থী শাহানা পারভীন বলেন, ‘আমি পরীক্ষার জন্য বেশ প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। খুলনাতে বাস বন্ধ থাকায় আর পরীক্ষা দিতে যাওয়া হয়নি।
অন্যদিকে যারা আগে থেকে শহরে এসে চাকরির পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন, তাদেরও বাড়িতে ফিরতে নানা রকমের ভোগান্তি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠি-বরিশালসহ পাঁচ রুটে অনির্দিষ্টকালের বাস ধর্মঘট
অনির্দিষ্টকালের বাস ধর্মঘট, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
খুলনায় বাসের পর এবার লঞ্চ চলাচলও বন্ধ
বাসের পর এবার খুলনার নৌরুটে শুরু হয়েছে লঞ্চ ধর্মঘট। শুক্রবার সকাল থেকে খুলনা লঞ্চ টার্মিনাল থেকে কোন লঞ্চ ছেড়ে যায়নি ও আসেনি। দক্ষিণাঞ্চলের একটি রুটে প্রতিদিন ১৫ টি লঞ্চ চলাচল করে।
বাংলাদেশ লঞ্চ লেবার এসোসিয়েশনের খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন জানান, বেতন বৃদ্ধিসহ ১০ দফা দাবিতে তারা ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট আহ্বান করেছেন। এর সঙ্গে বিএনপির সমাবেশের কোন সম্পর্ক নেই।
আরও পড়ুন: খুলনায় ২ দিনের পরিবহন ধর্মঘট শুরু, বিপাকে যাত্রীরা
ধর্মঘটে থাকা শ্রমিকরা জানান, লঞ্চ শ্রমিকদের বেতন বাড়ানো, ভৈরব থেকে নওয়াপাড়া পর্যন্ত নদীর খনন, ভারতগামী জাহাজের ল্যান্ডিং পাস দেয়ার দাবিসহ ১০ দফা দাবিতে ধর্মঘট পালন করছেন যাত্রীবাহী লঞ্চের শ্রমিকরা। শ্রমিকদের ধর্মঘটের কারণে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে খুলনা থেকে কোনো লঞ্চ ছেড়ে যাচ্ছে না। তবে মালবাহীসহ অন্যান্য লঞ্চ ও নৌযান চলাচল করছে।
খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা বলেন, শনিবার (২২ অক্টোবর) খুলনার সোনালী ব্যাংক চত্বরে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ। এই গণসমাবেশে নেতাকর্মীদের আসা ঠেকাতে সরকারের নির্দেশে বাস মালিক সমিতি এই ধর্মঘট ডেকেছে। এখন নৌ-পথও বন্ধ করে দিয়েছে। কোনোভাবেই গণসমাবেশ ঠেকানো যাবে না। যেকোনো মূল্যে সমাবেশ সফল করা হবে।
আরও পড়ুন:আকস্মিক বাস ধর্মঘটে কুষ্টিয়া-মেহেরপুর রুটের যাত্রীদের দুর্ভোগ