বৈরী আবহাওয়া
তিন দিন বন্ধ থাকার পর ভোলার নৌপথে লঞ্চ চলাচল শুরু
বৈরী আবহাওয়ার কারণে টানা তিন দিন বন্ধ থাকার পর ভোলার ১০টি অভ্যন্তরীণ নৌপথে যাত্রীবাহী লঞ্চ ও সি-ট্রাক চলাচল শুরু হয়েছে।
শুক্রবার (১ আগস্ট) সকাল থেকে এসব নৌপথে লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক হয় বলে জানায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
বিআইডব্লিউটিএর ভোলা নদী বন্দরের পরিবহন পরিদর্শক কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন জানান, শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে এসব রুটে নৌযান চলাচল শুরু হয়েছে। এতে করে যাত্রীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। দূরদূরান্ত থেকে আসা যাত্রীরা ইলিশা লঞ্চ ঘাট দিয়ে নৌপথে যাতায়াত শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: ভোলার মেঘনায় ঝড়ে ট্রলারডুবি, পাঁচ জেলে উদ্ধার
১২৬ দিন আগে
বৈরী আবহাওয়া: ভোলা-লক্ষ্মীপুর নৌ-রুটে যাত্রীবাহী লঞ্চ-সি-ট্রাক বন্ধ
মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উপকূলীয় দ্বীপজেলা ভোলায় বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। সকাল থেকে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ও থেমে থেমে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। নিম্নচাপের কারণে সমুদ্রে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত জারি থাকায় গত তিন দিন ধরে ভোলা-লক্ষ্মীপুর নৌ-রুটে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ।
শুক্রবার (২০ জুন) ভোর থেকে এই রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় কয়েক হাজার যাত্রী পড়েছেন চরম বিপাকে।
এদিন সকাল থেকেই ভোলার ইলিশা লঞ্চঘাটে দেখা গেছে, নারী-শিশু, বৃদ্ধসহ কয়েক হাজার যাত্রী অপেক্ষা করছেন গন্তব্যে পৌঁছানোর আশায়, কিন্তু লঞ্চ ও সি-ট্রাক চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীদের ভোগান্তির শেষ নেই। অনেক যাত্রী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নিরুপায় হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই রুটে ছোট ছোট ট্রলার এবং স্পিডবোটে পারাপার হচ্ছেন। এতে করে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার ভোর থেকে ইলিশা ফেরি ও লঞ্চঘাটে ছিল যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। এ সময় লঞ্চ ও সি-ট্রাক ঘাটে বাঁধা থাকলেও যাত্রী পার করেনি, কিন্তু অবৈধ ট্রলারে করে যাত্রীরা পারাপার হচ্ছেন। পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে এসব ট্রলারে নেওয়া হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া।।
এসব ট্রলারের উপরে কোনো ছাউনি নেই। বৃষ্টিতে ভিজে, রোদে পুড়ে এতে করেই দেড়-দুই ঘণ্টার উত্তাল নৌপথ পাড়ি দিচ্ছেন যাত্রীরা।
আরও পড়ুন: শরণার্থীদের বোঝা সবচেয়ে বেশি বহন করতে হচ্ছে উন্নয়নশীল দেশগুলোর: গুতেরেস
তবে অবৈধ এসব ট্রলারের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি জানিয়ে যাত্রীদের অভিযোগ, আমরা ভোলার মানুষ এমনিতেই অবহেলিত। আমাদের কাজকর্ম আছে। আমরা অনেকেই চট্টগ্রামে কোম্পানিতে কাজ করি। আমাদের সময়মতো কাজে যোগদান করতে হয়। এ কারণে আমরা ভোলার ইলিশা লঞ্চঘাটে এসেছি। সকাল বেলা আকাশ পরিচ্ছন্ন ছিল। কোনো ঝড়-বাতাস ছিল না। লঞ্চ-সি-ট্রাক বন্ধ; অথচ অবৈধ ট্রলার, স্পিডবোট ঠিকই চলছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বৈধ বড় লঞ্চ আটকে রেখেছে, কিন্তু অবৈধ ছোট ট্রলারগুলোকে চলতে দিচ্ছে। চাকরিতে সময়মতো যোগ না দিলে চাকরি থাকবে না। চাকরি না থাকলে আমাদের সংসার চলবে না। এর দায়ভার কে নেবে?
ভোলা আবহাওয়া কার্যালয় সূত্র জানায়, গত বুধবার সকাল ৯টা থেকে শুক্রবার ৯টা পর্যন্ত ভোলায় ৬৭ দশমিক ৪১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এই সময়ে ঘণ্টায় ৩ নটিক্যাল মাইল বেগে দমকা হাওয়া বইছে। সমুদ্রবন্দরগুলোতে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএর ট্রাফিক কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘নিম্নচাপের কারণে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত জারি থাকায় ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটে লঞ্চ চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। কেউ নিয়ম ভাঙলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
অবৈধ ট্রলার চলাচল বন্ধে তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জানিয়েছেন বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
১৬৭ দিন আগে
বৃষ্টিতে ডুবল ঢাকার সড়ক, ভোগান্তি চরমে
বৈরী আবহাওয়ার কারণে সকাল থেকে হওয়া বৃষ্টি গড়িয়েছে সন্ধ্যা অবধি। বৃষ্টির জোর কিছুটা কমলেও এরইমধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার মূল সড়ক পানিতে ডুবে গেছে, বড় ভোগান্তিতে পড়েছেন ঘরে ফেরা মানুষ।
সরেজমিনে রাজধানীর মগবাজার, মৌচাক, মালিবাগ, শান্তিনগর, রাজারবাগ, শাহজাহানপুর, বাসাবো, মাদারটেক এলাকা ঘুরে দেখা যায়, এসব এলাকার মূল সড়কে টানা বৃষ্টিতে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। মাথায় ছাতা চাপিয়ে জুতা হাতে নিয়ে রীতিমতো কসরত করে ঘরে ফিরতে হচ্ছে পথচারীদের।
অনেক এলাকায় শুধু রাস্তা না দোকানপাটেও পানি ঢুকেছে, ব্যবসায়ীরা পড়েছেন বিপাকে। মৌচাক এলাকার বিরিয়ানির দোকানি হাসমত বিকাল থেকে দোকানের পানি সেচছেন। বলেন, দোকানের চেয়ার-টেবিল পানিতে ডুবে গেছে। নিজেরই দোকানে দাঁড়িয়ে থাকতে কষ্ট হচ্ছে, মানুষ বসা তো দূরের কথা।
স্কুল ফেরত শিক্ষার্থী নুসাইবা রহমান বলেন, ‘জুতা খুলে হাতে নিয়ে এই ময়লা পানি পেরিয়ে বাসায় যেতে হচ্ছে। রাস্তার এখানে সেখানে খানাখন্দ। কখন কোন বিপদ ঘটে সেই ভয়ে আছি।’
বৃষ্টির কারণে রাজধানীতে যানবাহনের চাপ কম। গণপরিবহন, রিকশা, সিএনজি এবং রাইড শেয়ারিং এর বাইক না থাকায় যাদের বাসা দূরে তাদের ঘরে ফেরা নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।
এমনই একজন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী মোত্তাসিন হোসেন বলেন, ‘রাইড শেয়ারিং অ্যাপ খুঁজে দেখলাম আশপাশে কোনো বাইক নেই। বের হয়ে দেখছি রাস্তায় নেই রিকশা-সিএনজি। বিশেষ করে যে-সব এলাকায় পানি জমেছে সেখানে পরিবহন পাওয়া দুষ্কর।’
আরও পড়ুন: নিম্নচাপের প্রভাবে ১৪ জেলায় জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা
এদিকে রাস্তায় পরিমিত বাস না থাকায় এবং অনেকক্ষণ পর পর এক একটি বাস আসায় হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন ঘরে ফেরা মানুষ। নারী এবং শিশুদের জন্য বাসে করে ঘরে ফেরা এক রকমের অসম্ভব হয়ে উঠেছে।
করপোরেট প্রতিষ্ঠানে চাকরিজীবী হুমায়রা আক্তার বলেন, ‘এই নিয়ে চারটা বাস মিস করেছি। বাস যে কয়টা এসেছে একেবারে মানুষে ঠাসা। বাসার দরজার সামনেই তিন-চারজন করে ঝুলছেন। মহিলা মানুষ হয়ে বাসে ঝুলে ঘরে ফেরার সাধ্য নেই।’
১৮৯ দিন আগে
বৈরী আবহাওয়ায় মানিকগঞ্জের দুই নৌরুটে ফেরি ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ
বৈরি আবহাওয়ার কারণে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া এবং আরিচা-কাজিরহাটে ফেরি ও লঞ্চ চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বিকালে বাংলাদেশ বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম নাসির হোসেন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘বৈরী আবহাওয়ার কারণে দুপুর সাড়ে ৩টা থেকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া এবং আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে ফেরি চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাওয়ায়, যাত্রী ও যানবাহনের নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় রেখে সাময়িকভাবে চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে পুনরায় ফেরি চলাচল শুরু হবে।’
আরও পড়ুন: বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসে বরিশালে লঞ্চ চলাচল বন্ধ, জনদুর্ভোগ
এছাড়া, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে লঞ্চ চলাচলও বন্ধ রাখা হয়েছে। পাটুরিয়া লঞ্চঘাটের ম্যানেজার পান্নালাল নন্দী জানান, ‘সকাল সোয়া ৯টা থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। বাতাসের গতি বাড়ার পাশাপাশি বৃষ্টিপাত শুরু হওয়ায় নদীতে ঢেউয়ের তীব্রতা বেড়ে গেছে। ফলে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা এই পদক্ষেপ নিয়েছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পুনরায় লঞ্চ চলাচল শুরু হবে।’
১৮৯ দিন আগে
বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসে বরিশালে লঞ্চ চলাচল বন্ধ, জনদুর্ভোগ
বৈরী আবহাওয়ার কারণে অভ্যন্তরীণ সব রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বিআইডব্লিউটিএ। একই সঙ্গে নদীবন্দরগুলোতে ২ নম্বর সতর্কসংকেত জারি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) ভোর থেকে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে বরিশালে টানা বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ো হাওয়া অব্যহত রয়েছে।
এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। রাস্তাঘাটে মানুষের চলাচল সীমিত হয়ে গেছে। চাকরিজীবীরা কর্মস্থলে যেতে ব্যাপক দুর্ভোগে পড়েছেন। এছাড়ও নগরীর নিম্নাঞ্চল পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বাসিন্দাদের চরম দুর্ভোগে পোহাতে হচ্ছে।
এদিকে, লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় দ্বীপজেলা ভোলা ও আশপাশের নদীবেষ্টিত এলাকাগুলোর সঙ্গে বরিশালের নৌ-যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এতে যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন এবং দৈনিক পত্রিকা সরবরাহও বন্ধ হয়ে গেছে।
পত্রিকাটির বরিশাল অঞ্চলের বিক্রয় প্রতিনিধি আল আমিন জানান, অভ্যন্তরীণ রুটের সব লঞ্চ বন্দরে নোঙর করে রাখা হয়েছে। ফলে ভোলার বিভিন্ন উপজেলায় পত্রিকা সরবরাহ করা সম্ভব হয়নি।
ভোলার লঞ্চ যাত্রী আবদুর রহমান বলেন, ‘বাড়ি যেতে টার্মিনালে পৌঁছে জানতে পারি লঞ্চ চলবে না। এখন চরম দুর্ভোগে পড়েছি।’
নগরীর শ্রীনাথ চ্যাটার্জী লেনের বাসিন্দা ইফতি বলেন, ‘বৃষ্টিতে এলাকার রাস্তাঘাটসহ নিচুঅংশের ঘরবাড়ি তলিয়ে গেছে। এ কারণে ঘরবন্দি হয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দাদের।’
আরও পড়ুন: অতি ভারী বর্ষণে পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের শঙ্কা: বিএমডি
বরিশাল বিআইডব্লিউটিএর বন্দর কর্মকর্তা শেখ সেলিম রেজা জানান, বৈরী আবহাওয়ার কারণে আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল থেকেই অভ্যন্তরীণ রুটে চলাচলকার ছোট লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে ভোলা, মেহেন্দীগঞ্জ, হিজলাসহ বিভিন্ন রুটে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন বন্ধ হয়ে গেছে। ঢাকা বরিশাল রুটের লঞ্চের বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের জলানুসন্ধান বিভাগের উপ-সহকারি প্রকৌশলীর তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, গেল বুধবার সকাল থেকে বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ নদীর ১২টি পয়েন্টের মধ্যে ৬টি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে বিভাগের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা তৈরী হয়েছে।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক মাসুদ রানা রুবেল জানান, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর ও নদীবন্দরে ২ নম্বর সতর্কসংকেত জারি করা হয়েছে। আজ সকাল ৬টা থেকে ১০টা পর্যন্ত বরিশালে ২৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। দিনভর বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে, তবে ধীরে ধীরে আবহাওয়া স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে জানান তিনি।
১৮৯ দিন আগে
বৈরী আবহাওয়ায় ফরিদপুরে পাট উৎপাদনে বেড়েছে ব্যয়, শঙ্কায় চাষিরা
বেড়েই চলেছে দেশের সোনালী আশ পাটের উৎপাদন ব্যয়। চাষাবাদের খরচের তুলনায় কাঙ্ক্ষিত বাজার দরও পাওয়া যাচ্ছে না। পাট চাষাবাদের ব্যয়ের সঙ্গে বিক্রিমূল্যের ব্যবধান বাড়ায় ক্রমেই শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন চাষিরা।
প্রতিমণ পাট গত বছরের চাষি পর্যায়ে বিক্রি হয়েছে প্রকারভেদে আড়াই হাজার থেকে ২ হাজার ৮০০ টাকায়। যেখানে এর উৎপাদন ব্যয় আর বিক্রয়মূল্য হয়েছিল সমান সমান। ফলে বিনালাভের পাট চাষিদের মুখে ফোটেনি হাসি।
দেশের পাট উৎপাদনে শীর্ষ অবস্থানে থাকা জেলা ফরিদপুর। কিন্তু চলতি মৌসুমে পাটের আবাদে সবক্ষেত্রে ব্যয় বাড়ছে বলে জানিয়েছেন এই জেলার চাষিরা। তারা মনে করছেন, এবার পাটের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে কমপক্ষে ৩০ শতাংশ। তাই পাট উৎপাদন খরচের ঊর্ধ্বগতির লাগাম ট্রেনে ধরতে কৃষি বিভাগের সহযোগিতা চায় তারা।
কৃষিপ্রধান জেলা ফরিদপুরের সালথা, নগরকান্দা, বোয়ালামারী, ভাঙ্গা উপজেলার মাঠ থেকে চলতি মৌসুমে পেঁয়াজসহ অন্যান্য ফসল তুলে নেওয়ার পরই কৃষকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন পাটের বীজ বপনে।
এ মৌসুমে জেলাজুড়ে ৮৬ হাজার ৫২৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। কিন্তু শুকনো মৌসুমে বৈরী আবহাওয়ার কারণে পানির দুষ্প্রাপ্যতাসহ পাট চাষাবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রায় সকল ধরনের উপকরণ ও শ্রমিকের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় উৎপাদিত পাটের ন্যায্যমূল্য পাওয়া না পাওয়ার দ্বিধায় পড়েছেন কৃষকরা।
জেলার পাট উৎপাদনের শীর্ষে থাকা সালথা, নগরকান্দা, বোয়ালমারী, ভাঙ্গা উপজেলা বিভিন্ন ফসলি মাঠে গিয়ে দেখা যায়, পাটচাষিদের কেউ পাটখেতে সেচ দিয়ে ভিজাচ্ছে, কেউ বীজ বপন করছেন, কেউ বা খেত থেকে আগাছা পরিস্কারের কাজ করছেন। তবে তাদের সকলের চোখে মুখেই হতাশার ছাপ দৃশ্যমান ছিল।
এসকল মাঠের পাটচাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আবহাওয়ার পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে গত কয়েক বছর ধরে ক্রমশ ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নামছে। সংকট এমন পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে যে, অনেক মেশিনে পানিই উঠছে না। এসব কারণে জমিতে সেচ খরচ বেড়েছে প্রায় তিন গুণ। একই সঙ্গে সার ও ওষুধসহ বিভিন্ন উপকরণের মূল্য বৃদ্ধির পাশাপাশি দৈনন্দিন শ্রমিকের অতিরিক্ত মূল্য ভাবিয়ে তুলছেন কৃষকদের।
বোয়লামারীর দাদুড়ে বিলের পাটচাষিরা জানান, ব্যয়ের সঙ্গে আয় মেলাতে না পেরে হাঁপিয়ে উঠতে হচ্ছে তাদের।
আরও পড়ুন: সুপেয় পানির সংকটে হুমকিতে ফেনীর জনস্বাস্থ্য
২৩৪ দিন আগে
বৈরী আবহাওয়ায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন মাদারীপুরের অধিকাংশ এলাকা
বৈরী আবহাওয়ার কারণে মাদারীপুরের বেশির ভাগ এলাকা শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকেই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক সুবিধা পাচ্ছে না অনেক এলাকা।
টানা প্রায় ৪২ ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকায় সড়কে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ও ভ্যান নেই বললেই চলে। এছাড়া জেলার সদর, শিবচর, কালকিনি, রাজৈর ও ডাসার উপজেলায় ভিন্ন ভিন্ন সময়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শনিবার সকাল থেকে বাতাস ও বৃষ্টি হলেও শুক্রবার রাত থেকে বিদ্যুতের মূল লাইনে বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। কোথাও কোথাও শনিবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকলেও এর পর থেকে পুরো সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এদিকে সকাল থেকে বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় জেলার স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থী উপস্থিতি ছিল খুবই কম। হাট-বাজারে নেই ক্রেতার উপস্থিতি। সড়কে ছোট যানবাহনও প্রায় নেই বললেই চলে।
আরও পড়ুন: কুমারগাঁও বিদ্যুৎকেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ডের পর বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন সিলেট
শিবচরের এক স্কুল শিক্ষক মো. আব্বাস আলী বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীর উপস্থিতি খুবই কম। আর বিদ্যুৎ না থাকায় শনিবার থেকেই দুর্ভোগে আছি সবাই। মোবাইলে চার্জ প্রায় শূন্য হয়ে পড়েছে।’
পল্লি বিদ্যুতের শিবচর উপজেলা অফিস সূত্রে জানা গেছে, শনিবার থেকেই বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। ঝড়-বৃষ্টির জন্য মূল লাইনে সমস্যা। শনিবার থেকেই বিদ্যুৎ সংযোগ নিরবচ্ছিন্ন করতে কাজ করে যাচ্ছে কর্মীরা।
পল্লি বিদ্যুতের জোনাল ম্যানেজার মো. জনাব আলী বলেন, ‘জেলা সদরে আংশিক বিদ্যুৎ রয়েছে। তবে অন্যান্য স্থানে বিদ্যুৎ নেই।’
মাদারীপুর পল্লি বিদ্যুতের কর্মকর্তা জনাব আলী বলেন, ‘বৈরী আবহাওয়ার কারণে বিদ্যুৎ লাইনে ত্রুটি দেখা দিয়েছে। আমাদের কর্মীরা কাজ করে যাচ্ছে। আশা করি দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।’
আরও পড়ুন: ফেনীতে বন্যা: বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন সাড়ে ৩ লাখ মানুষ
তাপপ্রবাহের মধ্যে ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় বেড়েছে মানুষের দুর্ভোগ
৪৪৫ দিন আগে
বৈরী আবহাওয়ায় সেন্টমার্টিনে আটকা তিন শতাধিক পর্যটক
প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনে আটকা পড়েছেন তিন শতাধিক পর্যটক। বৈরী আবহাওয়ার কারণে বঙ্গোপসাগর উত্তাল হয়ে পড়ায় কর্তৃপক্ষ টেকনাফের সঙ্গে সেন্টমার্টিন সমুদ্র পথে যাত্রীবাহী ট্রলার চলাচল বন্ধ করে দেয়। এ কারণে গত রবিবার বিকাল থেকে ট্রলারসহ কোন নৌযান প্রবালদ্বীপ থেকে ছাড়তে পারেনি। এর ফলে গত কয়েক দিন আগে যারা সেন্টমার্টিন দ্বীপে বেড়াতে গিয়েছিল তারা সোমবার টেকনাফে ফিরতে পারেনি।
সেন্টমার্টিন দ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নূর আহমেদ বলেন, ‘আটকে পড়া পর্যটকরা নিরাপদে রয়েছে। মূলত বৈরী আবহাওয়া শুরু হলে রবিবার বিকাল থেকে দ্বীপ থেকে কোন ট্রলার ছাড়তে পারেনি। ফলে দ্বীপে বেড়াতে আসা প্রায় তিনশ’ পর্যটক আটকা পড়েছে। তাদের প্রতিনিয়ত খোঁজ খবর রাখছি এবং বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে।'
আরও পড়ুন: সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত
ইউপি সদস্য মো. হাবিব জানান, 'দ্বীপে তিন শতাধিক পর্যটক আটকা পড়েছে। তবে পর্যটকরা নিরাপদে আছেন। আবহাওয়া পরিস্থিতি ভালোর দিকে রয়েছে। আগামীকাল যাত্রীবাহী ট্রলার চলাচল শুরু হলে তারা ফিরে যেতে পারবে।’
স্হানীয় পর্যটনকর্মী জসিম উদ্দিন শুভ জানান, ‘আটকা পড়া পর্যটকদের কোন সমস্যা হচ্ছে না। তাদের হোটেল, মোটেল ও রেস্তোরাঁয় সহনীয় মূল্যে থাকার ব্যবস্হা করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ পারভেজ চৌধুরী জানান, 'বৈরী আবহাওয়ার কারণে সেন্টমার্টিনে ভ্রমণে এসে কয়েকশ’ পর্যটক ফিরতে পারেনি। অবস্থা স্বাভাবিক হলে তারা ফিরে যাবেন। তাদের যাতে অসুবিধা না হয় সেজন্য সেখানকার জনপ্রতিনিধিসহ সবাই খোঁজ রাখছেন।'
আরও পড়ুন: যশোর থেকে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে ইউএস-বাংলার ফ্লাইট শুরু
১৫০৮ দিন আগে
বৈরী আবহাওয়ায় শিমুলিয়া-বাংলাবাজারে ফেরি চলাচল বন্ধ
সমুদ্র বন্দরগুলোতে ৩ নম্বর ও পদ্মা নদীতে এক নম্বর বিপদ সংকেত থাকায় শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে ফেরি চলাচল সাময়িক বন্ধ রেখেছে কৃর্তপক্ষ।
এদিকে, প্রচণ্ড বাতাসে শিমুলিয়া বন্দরের চারটি ঘাটের দুটি পন্টুন সরে গেছে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুর পিলারে ফেরির ধাক্কা, আহত ২০
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনে (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের এজিএম মো. শফিকুল ইসলাম জানান, নদীতে প্রবল ঢেউ আর স্রোত থাকায় ফেরিগুলো হেলেদুলে ঝুঁকিতে নদী পাড়ি দিচ্ছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে এ নৌপথের দুপাড়ে ৬ শতাধিক যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে।
অপরদিকে, কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেই বৃহস্পতিবার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ ঝড়বৃষ্টি মাথায় নিয়ে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে। ঢাকা ও এর আশেপাশের কর্মস্থলে যেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
যাত্রীরা জানায়, কাজ না করলে খাব কী। লকডাউন কতদিন থাকবে তার ঠিক নেই। ঈদে গ্রামে গিয়ে পকেট ফাঁকা হয়ে গেছে। তাই কাজে ফিরে যাচ্ছি।
আরও পড়ুন: শনিবার থেকে দিনে ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণা
এছাড়া ঘাটে জরুরি ও পণ্যবাহী যানবাহন ছাড়াও শতশত মানুষ ফেরি পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে।
১৫৮৯ দিন আগে
সেন্টমার্টিন দ্বীপে আটকা চার শতাধিক পর্যটক
বৈরী আবহাওয়ার কারণে কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন দ্বীপে বেড়াতে গিয়ে আটকা পড়েছেন চার শতাধিক পর্যটক।
১৮৬৯ দিন আগে