ট্রলার
ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: বঙ্গোপসাগরে ২টি ট্রলারসহ নিখোঁজ ২৫ জেলে, উদ্ধার ১৪
বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় মিধিলি’র কবলে পড়ে দুবলার চরের দু’টি ট্রলারসহ ২৫ জেলে নিখোঁজ রয়েছে। শনিবার(১৮ নভেম্বর) দুপুর পর্যন্ত নিখোঁজ ওই জেলেদের সন্ধান মেলেনি।
এদিকে বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবির আরেকটি ঘটনায় নিখোঁজ হওয়া ১৪ জেলেকে ভাসতে থাকা অবস্থায় উদ্ধার করেছে দুবলার চরের জেলেরা।
আজ সকালে উদ্ধার করা ওই জেলেদের বাগেরহাটের সুন্দরবনের আলোরকোলে আনা হয়েছে।
উদ্ধার হওয়া ১৪ জেলের বাড়ি বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলায় বলে জানা গেছে। নিখোঁজ দু’টি ট্রলারসহ ২৫ জেলের বাড়ি চট্টগ্রামে।
দুবলা ফিসারম্যান গ্রুপের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দীন আহম্মেদ জানান, ঝড়ের কবলে পড়ে শুক্রবার বঙ্গোপসাগরে ১৪ জন জেলেসহ একটি ট্রলার ডুবে যায়।
দুবলার চরের জেলে বহরদ্দারদের একটি ট্রলার শুক্রবার বিকালে ফেরার পথে ভাসমান অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে।
শনিবার সকালে ওই জেলেদের সুন্দরবনের আলোরকোলে আনা হয়। সেখানে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা এবং খাবার দেওয়া হয়। জেলেদেরকে তাদের বাড়িতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: বৃষ্টিতে নষ্ট হয়েছে কোটি টাকার মাছ
কামাল উদ্দীন আহম্মেদ আরও জানান, দুবলার চরে জেলে বহরদ্দারদের দু’টি ট্রলারসহ ২৫ জেলে শুক্রবার থেকে নিখোঁজ রয়েছে। শনিবার দুপুর পর্যন্ত ওই জেলেদের সন্ধান মেলেনি। তারা বিভিন্ন এলাকায় নিখোঁজ ট্রলারসহ জেলেদের সন্ধান করছেন।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের দুবলা টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরেস্টার খলিলুর রহমান জানান, বঙ্গোপসাগারে ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলারডুবিতে নিখোঁজ হওয়া ১৪ জেলেকে উদ্ধার করা হয়েছে। ওই জেলেদেরকে তাদের বাড়িতে পাঠানোর জন্য জেলে সমিতির কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
এছাড়া জেলে বহরদ্দারদের দু‘টি ট্রলারসহ নিখোঁজ জেলেদের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: বরিশালে লঞ্চ চলাচল ফের শুরু
বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি, ২০ ট্রলারসহ ২৫০ জেলে নিখোঁজ
বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় থাকা গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তাল বঙ্গোপসাগরে এফবি নিশাত নামে একটি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে গেছে। এ ছাড়া ২০টি ট্রলারসহ ২৫০ জেলে নিখোঁজ রয়েছে।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী।
গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বঙ্গোপসাগরের মোহনায় বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার ছালাম মিয়ার মালিকানাধীন এফবি নিশাত নামে একটি মাছ ধরার ট্রলার দমকা হাওয়ায় উল্টে যায়। এসময় পাশে থাকা অন্যান্য ট্রলারের জেলেরা তাদের উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, পাথরঘাটা উপজেলার ২০টি মাছ ধরার ট্রলারসহ আড়াইশোর মতো জেলের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
তিনি আরও জানান, সুন্দরবন এলাকার বিভিন্ন খালে শতাধিক ট্রলার নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। নিখোঁজ জেলে ও ট্রলারের খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: পান্ডব নদীতে সিমেন্ট বোঝাই ট্রলারডুবি
দক্ষিণ স্টেশনে কোস্টগার্ড সূত্রে জানা যায়, নিখোঁজ ট্রলার ও জেলেদের খোঁজ নিতে অন্যান্য স্টেশনে জানানো হয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় মিধিলি সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪১৫ কিলোমিটার পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৯৫ কিলোমিটার পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে বলে জানায় আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এ ছাড়াও ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা লক্ষ্মীপুর, ফেনী, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩-৫ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি: ১১ জেলে নিখোঁজ, উদ্ধার ৮
বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি: ৩৪ জেলে নিখোঁজ
কক্সবাজারে ট্রলারে বিস্ফোরণ: আরও ৩ জেলের মৃত্যু
কক্সবাজারে মাছ ধরার ট্রলারের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ আরও তিন জেলের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে দুপুরের মধ্যে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ট্রলারে বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত ১ জনের মৃত্যু
এই দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত দগ্ধ ১২ জনের মধ্যে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
মৃত তিনজন হলেন- রহিম উল্লাহ (৩০), আরমান (২২) ও শাহিন (৩৫)।
এর আগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওসমান গণি ও আয়ুব আলী নামে আরও দুই জেলের মৃত্যু হয়।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান বলেন, কক্সবাজারে ট্রলারে সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ আরও তিন জেলে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
তিনি বলেন, এদের মধ্যে রহিম উল্লাহ আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন। তার ৯০ শতাংশ বার্ন ছিল। এছাড়া ২২ বছর বয়সী আরমানের শরীরে ৭০ শতাংশ ও শাহীনের ৬০ শতাংশ বার্ন ছিল। আগুনে সবার শ্বাসনালী ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে কক্সবাজার বিমানবন্দর সড়কের বাঁকখালী নদীর নুনিয়ারছড়া ঘাটে নোঙর করা একটি মাছ ধরার ট্রলারে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ট্রলারটিতে থাকা ১৮ জন জেলের মধ্যে ১২ জেলে দগ্ধ হয়।
আরও পড়ুন: শৈলকুপায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে ১ জনের মৃত্যু
অবশেষে মারা গেলেন নবীনগরে পেট্রোলে অগ্নিদগ্ধ লতিফা
মেঘনায় মাছ ধরার ট্রলারে ‘জলদস্যুদের’ হামলা, ২ জেলে গুলিবিদ্ধ
ভোলার তজুমদ্দিন ও নোয়াখালীর মধ্যবর্তী হুজুরের চর এলাকায় মেঘনা নদীতে জেলেদের দুইটি মাছ ধরার ট্রলারে ‘জলদস্যুরা’ হামলা করেছে। এ সময় দস্যুদের হামলায় দুই জেলে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
সোমবার (১৭ জুলাই) সকালে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুই জেলেকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ভোলা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি গুলিবিদ্ধ
গুলিবিদ্ধ জেলেরা হলেন- ভোলার বোরহানউদ্দিনের কাচিয়া ইউনিয়নের মো. মফিজলের ছেলে মো. হোসেন মাঝি এবং নোয়াখালীর রামগতি থানার চর আব্দুল্লাহ গ্রামের মো. আব্দুল রশিদের ছেলে মো. সোহেল।
তবে অন্য জেলেরা কোথায় কি অবস্থায় রয়েছে তা এখনো জানা সম্ভব হয়নি।
গুলিবিদ্ধ জেলেরা জানান, তজুমদ্দিনের সোহেল মাঝির ট্রলারের ১০ জন জেলে এবং নোয়াখালীর হোসেন মাঝির ট্রলারের ৬ জেলে রবিবার রাত আনুমানিক ১২টার দিকে হুজুরের চর এলাকার মেঘনা নদীতে মাছ শিকার করছিলেন।
ওই সময় হঠাৎ ১০ জনের একটি জলদস্যু বাহিনী তাদের মাছ ধরার ট্রলার দুইটিতে হামলা চালায়। ডাকাতরা এসময় জেলেদের ট্রলারে থাকা মাছ, জাল, তেল ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়।
এতে বাধা দিতে চাইলে ডাকাতরা তাদের মারধরসহ গুলি করে। এক পর্যায়ে ডাকাতদের গুলিতে ওই দুই জেলে নদীতে পরে যায়।
র্দীঘসময় নদীতে ভাসতে থাকার পর সোমবার ভোরের দিকে স্থানীয় জেলেরা তাদের উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
ভোলা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডা. তায়েবুর রহমান জানান, গুলিবিদ্ধ দুইজন এখন আশঙ্কামুক্ত। তাদের শরীরে ৭০/১০০টি ছররা গুলি রয়েছে।
ভোলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রিপন সরকার জানান, বিষয়টি তদন্ত চলছে। তবে এখন পর্যন্ত আহতদের পক্ষ থেকে থানায় কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।
তিনি আরও বলেন, যাচাই-বাছাই শেষে আইনি প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: ভোলায় আ. লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, একজন গুলিবিদ্ধসহ আহত ২০
রাজধানীতে গুলিবিদ্ধ হয়ে পুলিশ কনস্টেবলের মৃত্যু: সহকর্মী
সুন্দরবনে অবৈধ ৫টি ট্রলার ও ৪টি নৌকাসহ ১০ জেলে আটক
সুন্দরবনে অবৈধভাবে প্রবেশ করে মাছ ধরার সময় ১০ জন জেলেকে আটক করেছে বন বিভাগ।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ৫টি ট্রলার, ৪টি নৌকা, বেশকিছু জাল এবং মাছধরার সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে মেঘনা নদীতে জাটকা ধরায় ২৫ জেলে আটক
মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের শেলার চর ও নারিকেল বাড়িয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিয়ান চালিয়ে ওই জেলেদের হাতেনাতে আটক করা হয়।
আটকদের বিরুদ্ধে বুধবার মামলা দায়ের করেছে বন বিভাগ।
আটক জেলেদের বাড়ি বাগেরহাট ও বরগুনা জেলার বিভিন্ন এলাকায় বলে জানায় বন বিভাগ।
বুধবার সন্ধ্যায় সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, ওই জেলেরা অবৈধভাবে সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জ এলাকায় প্রবেশ করে অনুমতি ছাড়া (পাশ) বিভিন্ন নদী-খালে মাছ ধরছিল।
খবর পেয়ে বন বিভাগের সদস্যরা অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে মেঘনায় জাটকা ধরায় ২৫ জেলে আটক, ১৯ জনকে কারাদণ্ড
মেঘনায় মাছ শিকারে দায়ে ১৩ জেলে আটক
ট্রলার থেকে ১০ জেলের লাশ উদ্ধার: পুলিশ বলছে পূর্ব পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড
কক্সবাজারে একটি ট্রলার থেকে উদ্ধার হওয়া ১০ জেলের লাশ শনাক্ত করা হয়েছে।
রবিবার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সূত্রে জানা গেছে, মৃত ১০ জেলে শামসুল আলম (২৩) সাইফুল ইসলাম (১৮) সওকত উল্লাহ (১৮) ওসমান গণি (১৭) সাইফুল্লাহ (২৩) পারভেজ মোশাররফ (১৪) নুরুল কবির, (২৮) সাইফুল ইসলাম (৩৪) মোহাম্মদ শাহজাহান (৩৫) এবং তারেক জিয়া (২৫) সবাই চকরিয়া ও মহেশখালীর বাসিন্দা।
ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত দাবি করে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ট্রলারের বরফ রাখার কক্ষ থেকে ১০ জেলের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনজনের হাত-পা রশি দিয়ে বাধা ছিল। কয়েকজনের শরীরে জাল প্যাঁচানো ছিল। একটি লাশের গলা থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন ছিল। আরেকটি লাশের হাত বিচ্ছিন্ন পাওয়া গেছে। লাশগুলো ট্রলারের যে কক্ষ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে, সেই কক্ষের ঢাকনাও পেরেক দিয়ে আটকে দেওয়া হয়েছিল। তাছাড়া ট্রলারের জাল ও ইঞ্জিনও ছিল। এ কারণে সন্দেহ হচ্ছে, হত্যাকাণ্ডটি ছিল পূর্বপরিকল্পিত।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে মাছ ধরার ট্রলার থেকে ১০ লাশ উদ্ধার
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গভীর সাগরে ডুবিয়ে দেওয়া ট্রলারটি আরেকটি মাছ ধরার ট্রলারের জালে আটকা পড়েছিল। ওই ট্রলারের জেলেরা রশি দিয়ে ডুবন্ত ট্রলারটি টেনে মহেশখালীর সোনাদিয়া চ্যানেলে নিয়ে আসেন।
রবিবার বেলা দেড়টার দিকে ডুবন্ত ট্রলারটি কক্সবাজার শহরের নাজিরারটেক (বিমানবন্দরের পশ্চিমে) চ্যানেলে পৌঁছালে মৃত ব্যক্তিদের হাত-পা ভেসে উঠতে দেখা যায়। তাতে ভয় পেয়ে যান টেনে আনা ট্রলারের জেলেরা। ডুবন্ত ট্রলারটি রেখে পালিয়ে যান তারা।
স্থানীয় লোকজন লাশবোঝাই ডুবন্ত ট্রলার ভেসে আসার খবর জানালে বেলা ২টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস।
স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা বেলা ৩টা পর্যন্ত ট্রলার থেকে ১০ জনের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেন।
এরপর ময়নাতদন্তের জন্য লাশগুলো কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয় বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জের সীমান্তে এলাকায় যুবকের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার
ফতুল্লা লঞ্চঘাটে লঞ্চের ধাক্কায় ট্রলারের চালক নিহত
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার লঞ্চঘাটে বুড়িগঙ্গা নদীতে পটুয়াখালীগামী এমভি প্রিন্স কামাল-১ নামক একটি লঞ্চের ধাক্কায় ট্রলার ডুবে যায়। এ সময় ট্রলারে থাকা চালক নিহত হয় বলে জানা যায়।
শুক্রবার রাত আটটার দিকে বুড়িগঙ্গা নদীর ফতুল্লা লঞ্চঘাট এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
নিহত ট্রলারচালক মনির কেরানীগঞ্জ থানার কান্দাপাড়ার আলী আকবর ফকিরের পুত্র বলে জানা গেছে। নিহত মনির নিজেই ট্রলারের চালক ও মালিক।
সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ, নৌ-ফাঁড়ি পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট।
আরও পড়ুন: ভোর থেকেই নারায়ণগঞ্জের লঞ্চ বন্ধ, দুর্ভোগে যাত্রীরা
ফতুল্লা লঞ্চঘাটের ইজারাদার কতৃপক্ষের একজন প্রিতম জানায়, দ্রুত গতিতে লঞ্চটি ফতুল্লা খেয়া ঘাটে থাকা যাত্রীদের জন্য অপেক্ষামান বেশ কয়েকটি ট্রলারকে ধাক্কা দেয়। তারা তা দেখতে পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ডুবে যাওয়া ট্রলারের নীচ থেকে মনির নামক একজনকে উদ্ধার করে শহরের খানপুর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা মনিরকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ফতুল্লা বিসিকস্থ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের স্টেশন অফিসার সুমন জানান, তিনি এসে জানতে পারেন যে এমভি প্রিন্স কামাল-১ নামক পটুয়াখালীগামী একটি যাত্রীবাহী লঞ্চ ফতুল্লা খেয়াঘাটে থাকা ট্রলারের উপর সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে ট্রলারে থাকা মনির নামক এক ব্যক্তি লঞ্চ ও ট্রলারের নীচে তলিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পাগলা নৌ-ফাঁড়ির উপপরিদর্শক ইয়ার আলী জানান, ট্রলার দুর্ঘটনায় মনির নামক একজন মারা গেছে। লঞ্চটিকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পুলিশ লঞ্চের সারেংকে (কর্ণধার) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি’র সমাবেশ শেষ, বরিশাল-ঢাকা রুটে লঞ্চ চলাচল শুরু
বরিশাল-ঢাকা রুটের লঞ্চ চলাচল বন্ধ
মোংলা বন্দরে ট্রলার ডুবে জেলে নিখোঁজ, উদ্ধার ২১
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং-এর প্রভাবে সোমবার মোংলা বন্দরে একটি ট্রলার ডুবে এক জেলে নিখোঁজ ও ২১ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন শাহীন মজিদ জানান, নিখোঁজ জেলে ভোলার মো. নয়ন (২৮)।
তিনি বলেন, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঝড়ের সময় প্রবল ঢেউয়ের মধ্যে বন্দরের ফেয়ারওয়ে বয় এলাকায় ‘এফবি আমরাফুল ইসলাম সাদ’ নামের ট্রলারটি ডুবে যায়।
মার্শাল আইল্যান্ড পতাকাবাহী ‘ভেগা ষ্টেন্ডান্ট’ বিদেশি জাহাজের স্থানীয় শিপিং এজেন্ট টগি শিপিংয়ের মো. রিয়াজ বলেন, ঝড়ের কবলে পড়া উত্তাল ঢেউয়ের তোড়ে ফেয়ারওয়েতে ফিশিং বোট ডুবে যায়। এ দৃশ্য দেখে ওই বিদেশি জাহাজের নাবিকরা তাৎক্ষণিক ২১ জেলেকে উদ্ধার করে।
হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন শাহিন বলেন, উদ্ধার হওয়া জেলেদের সবাই ভোলার মনপুরা এলাকার এবং জাহাজ থেকে পাইলট বোটের মাধ্যমে তাদের মোংলা বন্দরে আনা হবে।
পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: ঢাকা-খুলনা ও ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে যান চলাচল সচল
ইউএনওর নির্দেশে ইলিশ রক্ষা অভিযানের ট্রলার পোড়ানোর অভিযোগ
বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত ফাতিমার নির্দেশে ইলিশ রক্ষা অভিযানের ট্রলার আগুনে পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার সুগন্ধা নদী তীরবর্তী লঞ্চঘাটে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন বাবুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুবুর রহমান।
তিনি জানান, মাঝি আনোয়ার হোসেনের ট্রলারে অভিযানে যান ইউএনও। অভিযান শেষে ঘাটে ভেরার পরে জব্দ জাল পোড়ানো হয়। শেষে ট্রলারের মাঝি জব্দকৃত মাছ সরিয়ে রেখেছে বলে অভিযোগের কথা বলেন ইউএনও। ট্রলারে তল্লাশি চালিয়ে অবশ্য কোন মাছ পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানে পুলিশের ওপর হামলা: ৩১২ জনকে আসামি করে মামলা
তিনি আরও জানান, এ সময়ে ইউএনও আনোয়ারকে লুকিয়ে রাখা মাছ বের করে দেয়ার জন্য চাপ দেন। এতে ভয় পেয়ে মাঝি আনোয়ার পিছন থেকে পালিয়ে যায়। মাঝি পালিয়ে যাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে সঙ্গে থাকা আনসার সদস্যদের ট্রলারে আগুন দেয়ার নির্দেশ দেন ইউএনও। নির্দেশ অনুযায়ী ডিজেল ঢেলে ট্রলারে আগুন ধরিয়ে দেয় আনসার সদস্যরা।
অগ্নিসংযোগের পর ট্রলারটি জ্বলন্ত অবস্থায় নদীর মাঝে চলে যায়। আগুন নেভানোর পর সেটিকে বাহেরচর নামক স্থানে এনে রাখা হয় বলেও জানান তিনি।
উপজেলা ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের ইনচার্জ আব্দুল মালেক বলেন, খবর পেয়ে আমরা নৌকা নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই এবং আগুন নেভাই। তবে তার আগেই ট্রলারটি প্রায় পুরোটাই পুড়ে গেছে।
তবে ইউএনও নুসরাত ফাতিমার মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বরিশালের জেলা প্রশাসক জসিমউদ্দিন হায়দার জানান, ট্রলারে আগুন লাগার খবর পেয়েছি। তবে এর সঙ্গে ইউএনও’র কোন যোগসূত্র আছে কিনা তা বলতে পারছিনা। পুরো বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ খবর নিয়ে তারপর বলতে পারবো।
আরও পড়ুন: ইলিশ উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে প্রথম: শিক্ষামন্ত্রী
মেঘনায় মা ইলিশ ধরায় ৮ জেলের কারাদণ্ড
করতোয়ায় ট্রলার দুর্ঘটনায় প্রাণহানিতে ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্রের সমবেদনা
পঞ্চগড়ে করতোয়া নদীতে ট্রলার দুর্ঘটনায় নিহত বা আহতদের পরিবার ও স্বজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস।
সোমবার দূতাবাস এক শোকবার্তায় মার্কিন দূতাবাস বলেছে,‘পঞ্চগড়ে মহালয়া উদযাপন শেষে ফেরার সময় করতোয়া নদীতে ট্রলার দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রতি আমরা গভীর সমবেদনা জানাই।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ইস্যু আন্তর্জাতিক অগ্রাধিকারে থাকবে: ইইউ
এতে আরও বলা হয়েছে,‘আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের এবং তাদের পরিবারের জন্য আমাদের আন্তরিক সহানুভূতি ও প্রার্থনা জানাই।’
রবিবার দুপুর আড়াইটার দিকে মহালয়া উপলক্ষে বধেশ্বর মন্দির থেকে ফেরার সময় নারী ও শিশুসহ ৬০ থেকে ৭০ জন যাত্রী নিয়ে ট্রলারটি মাঝ নদীতে ডুবে যায়।
সোমবার সকালে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় করতোয়া নদীতে ট্রলার ডুবির ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৬ জনে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে বাংলাদেশে বিক্ষোভ-সম্পর্কিত সহিংসতা নিয়ে উদ্বেগ ইইউ’র
বাংলাদেশে ইরাসমাস প্লাস রোডশো শিক্ষাবৃত্তির উদ্বোধন ইইউ রাষ্ট্রদূতের