টাস্কফোর্স
পুঁজিবাজারে আইপিও ও মিউচুয়াল ফান্ড নীতিতে বড় সংস্কারের সুপারিশ
পুঁজিবাজারে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) ও মিউচুয়াল ফান্ড ব্যবস্থায় বড় পরিবর্তনের প্রস্তাব দিয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে চূড়ান্ত সুপারিশপত্র জমা দিয়েছে বাজার সংস্কারে গঠিত টাস্কফোর্স।
মঙ্গলবার (২০ মে) বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের কাছে এই সুপারিশপত্র হস্তান্তর করেছেন টাস্কফোর্স সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল আরবিট্রেশন সেন্টারের (বিয়াক) প্রধান নির্বাহী কে এ এম মাজেদুর রহমান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আল-আমিন।
কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রস্তাবিত সংস্কারে আইপিওর প্রাথমিক অনুমোদনের দায়িত্ব স্টক এক্সচেঞ্জের হাতে ন্যস্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে। এরপর স্টক এক্সচেঞ্জের মূল্যায়নের ভিত্তিতে চূড়ান্ত অনুমোদন দেবে বিএসইসি।
এছাড়া পাবলিক ইস্যু নিরীক্ষার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের জন্য নির্ধারিত যোগ্যতা মানদণ্ড নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে টাস্কফোর্স। এতে করে আইপিও অনুমোদন প্রক্রিয়া স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক ও দায়বদ্ধতাসম্পন্ন হবে। ফলে বিনিয়োগকারীরা নতুন কোম্পানিতে অর্থলগ্নি করতে ভরসা পাবেন বলে মনে করছে টাস্কফোর্স।
সুপারিশে আরও বলা হয়, আইপিওর শেয়ারের দাম নির্ধারণে নতুন প্রাইসিং মডেল তৈরি করা হবে, যাতে করে নতুন কোম্পানিগুলো ন্যায্য মূল্য পায়। এর মাধ্যমে বড় ও গুণগত মানসম্পন্ন কোম্পানির বাজারে আসার আগ্রহ বাড়বে।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজার দ্রুত সংস্কারে ড. ইউনূসের পাঁচ নির্দেশনা
আইপিও অনুমোদনে ইস্যু ম্যানেজারদের সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব নির্ধারণেরও সুপারিশ এসেছে, যার ফলে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর জবাবদিহি ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে।
এছাড়া নতুন তালিকাভুক্ত হতে চাওয়া কোম্পানিগুলোর প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসনের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে টাস্কফোর্স। তাদের মতে, কোম্পানিতে সুশাসন জোরদার হলে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থও সুরক্ষিত থাকবে।
বড় পরিবর্তনের সুপারিশ মিউচুয়াল ফান্ডে
আইপিওর পাশাপাশি মিউচুয়াল ফান্ড পুনর্গঠনেও বিএসইসির কাছে চূড়ান্ত সুপারিশ জমা দিয়েছে টাস্কফোর্স।
প্রতিবেদনে সকল মেয়াদি (ক্লোজ-এন্ড) ফান্ডকে অবশ্যই ট্রাস্ট ডিডে নির্ধারিত প্রাথমিক মেয়াদ শেষে অবসায়ন (রিডিম) করার সুপারিশ করা হয়েছে। তবে কোনো বিশেষ সাধারণ সভায় (ইজিএম) উপস্থিত ইউনিট-হোল্ডারদের তিন-চতুর্থাংশ ভোটে কোনো ফান্ড ওপেন-এন্ডে রূপান্তরিত হতে পারবে।
যেসব ফান্ডের মেয়াদ ইতোমধ্যে বাড়ানো হয়েছে, সেগুলোর জন্য সংশোধিত বিধিমালা কার্যকর হওয়ার তারিখ থেকে ছয় মাসের মধ্যে একটি ইজিএম ডাকার সুপারিশ করা হয়েছে। সেখানে ৭৫ শতাংশ ইউনিট-হোল্ডার রূপান্তরের পক্ষে ভোট দিলে তা রূপান্তর হবে; অন্যথায় তিন মাসের মধ্যে ফান্ডের মেয়াদ শেষ বিবেচনা করতে সুপারিশ করা হয়েছে।
এছাড়া গ্রোথ, ব্যালান্সড, শরিয়াহ-অনুবর্তী, ফিক্সড ইনকাম ও মানি মার্কেট ফান্ডের জন্য আলাদা আলাদা বাধ্যতামূলক সম্পদ বরাদ্দ নীতিমালা প্রণয়নের প্রস্তাব এসেছে চূড়ান্ত প্রতিবেদনে।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে বিশেষ তহবিলের মেয়াদ বৃদ্ধি
মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ সীমা বাড়ানোর প্রস্তাবও দিয়েছে টাস্কফোর্স। এ ক্ষেত্রে একক শেয়ারে বিনিয়োগের সীমা ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ এবং একক শিল্প খাতে বিনিয়োগের সীমা ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশে উন্নীতের সুপারিশ করা হয়েছে।
এ ছাড়াও বাজারে তালিকাভুক্ত নয়—এমন ইক্যুইটি সিকিউরিটিতে বিনিয়োগ নিষিদ্ধ করতে নীতিমালা প্রণয়নের পরামর্শ দিয়েছে টাস্কফোর্স। শুধু মেইন বোর্ডে তালিকাভুক্ত ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানির ইস্যুকৃত বন্ড বা প্রেফারেন্স শেয়ারেই বিনিয়োগের অনুমতি থাকবে।
মিউচুয়াল ফান্ডে বার্ষিক ব্যয় অনুপাতের সীমা সর্বোচ্চ ৩ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে ফিক্সড ইনকাম ও মানি মার্কেট ফান্ডের জন্য এই হার হবে ২ শতাংশ।
পাশাপাশি মেয়াদি ফান্ডের ক্ষেত্রে বছরে অর্জিত লাভের কমপক্ষে ৭০ শতাংশ ইউনিট-হোল্ডারদের লভ্যাংশ হিসেবে বিতরণের প্রস্তাব এসেছে। ওপেন-এন্ড ফান্ডের ক্ষেত্রে প্রতি ইউনিটে ন্যূনতম লভ্যাংশ হবে ঐ বছরের অর্জিত লাভ এবং ভার আরোপিত গড় আয় (ওয়েট এভারেজ আর্নিং পার ইউনিট)—এই দুটির মধ্যে যেটি কম, তার অন্তত ৩০ শতাংশ।
সুপারিশের বিষয়ে বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালাম বলেন, ‘টাস্কফোর্সের সুপারিশ বাস্তবায়নে কমিশন দ্রুত আইনি সংস্কার প্রক্রিয়া শুরু করবে। এসব সুপারিশ কার্যকর হলে পুঁজিবাজারে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।’
১৯৮ দিন আগে
সাগর-রুনির হত্যা: তদন্ত শেষ করতে আরও ছয় মাস সময় পেল টাস্কফোর্স
সাংবাদিক দম্পত্তি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত শেষ করতে বিভিন্ন এজেন্সির অভিজ্ঞদের সমন্বয়ে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্সকে আরও ছয় মাস সময় দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন দিতে সময় চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আরশাদুর রউফ। বাদীপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট সাগর-রুনি হত্যা মামলা তদন্তে বিভিন্ন এজেন্সির অভিজ্ঞদের সমন্বয়ে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠন করতে নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে তদন্ত শেষে ছয় মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। আদালতের আদেশের পর উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি কমিটি গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার।
আরও পড়ুন: সাগর-রুনি হত্যা মামলার নথি পুড়ে যাওয়ার খবর সঠিক নয়
এদিকে তদন্ত শেষ করে ছয় মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে হাইকোর্টের দেওয়া ছয় মাস সময় শেষ হয় ৬ এপ্রিল। পরে তদন্ত চলমান ও অগ্রগতি আছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপক্ষ নয় মাস সময় চেয়ে আবেদন করে। শুনানি নিয়ে আদালত ছয় মাস সময় মঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে আগামী ২২ অক্টোবর আদেশের জন্য পরবর্তী দিন রেখেছেন।
এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল হাইকোর্টের দেওয়া এক আদেশে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পায় র্যাব। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে র্যাবের কাছে মামলাটির তদন্তে আদেশ পাঠানোর সংশোধন চেয়ে স্বরাষ্ট্রসচিবের পক্ষে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। এর শুনানি নিয়ে গত ৩০ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট ওই আদেশ দেন। এর ধারাবাহিকতায় আজ (মঙ্গলবার) বিষয়টি আদেশের জন্য ওঠে।
এর আগে ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া করা বাসায় খুন হন সাংবাদিক দম্পতি সাগর ও রুনি। সাগর বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মাছরাঙা টিভিতে আর রুনি এটিএন বাংলায় কর্মরত ছিলেন। সাগর-রুনি হত্যার ঘটনায় রুনির ভাই নওশের আলম বাদী হয়ে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেছিলেন।
প্রথমে এই মামলা তদন্ত করছিল শেরেবাংলা নগর থানার পুলিশ। চার দিন পর মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার ৬২ দিনের মাথায় ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল হাইকোর্টে ব্যর্থতা স্বীকার করে ডিবি। এরপর আদালত র্যাবকে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেন। তখন থেকে মামলাটির তদন্ত করছিল র্যাব।
২২৬ দিন আগে
পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক বাড়লেও ব্যাংক খাতে সুখবর নেই
সাপ্তাহিক লেনদেন শেষে ঢাকার পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক বাড়লেও বেহাল দশা ব্যাংক খাতে। এ খাতে শেয়ারের দাম এবং লেনদেনের পরিমাণ—দুটোই কমেছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সাপ্তাহিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৮ পয়েন্ট। ৫২০১ পয়েন্ট নিয়ে সপ্তাহ শুরু করে তা শেষ হয়েছে ৫২১৯ পয়েন্টে।
সবচেয়ে বেশি সূচক বেড়েছে বাছাইকৃত ভালো কোম্পানির শেয়ারে। এক সপ্তাহের লেনদেনে ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২৬ পয়েন্ট। অন্যান্য সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ১০ পয়েন্ট ও এসএমই সূচক বেড়েছে ১.৬৩ পয়েন্ট।
তবে সপ্তাহজুড়ে সূচক বাড়লেও লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। আগের সপ্তাহে যেখানে গড় লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৪৭৬ কোটি টাকা, সেটি এ সপ্তাহে কমে হয়েছে ৪০৬ কোটি টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ঢাকার বাজারে মোট লেনদেন কমেছে ১৪ শতাংশের বেশি।
সপ্তাহজুড়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানিরই দাম ছিল ঊর্ধ্বমুখী। ১৯৩ কোম্পানির শেয়ারদর বৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১৬১টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৪২টি কোম্পানির শেয়ারের দর।
এদের মধ্যে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৬ ব্যাংকের দর বৃদ্ধির বিপরীতে ১২ ব্যাংকের শেয়ারের দাম কমেছে, আর অপরিবর্তিত আছে ৮ ব্যাংকের।
প্রতিদিনের গড় দর বিশ্লেষণে দেখা যায়, সপ্তাহ শেষে ব্যাংক খাতে শেয়ারের দাম কমেছে ২০ শতাংশের বেশি। দর পতনের পাশাপাশি এই খাতে মোট লেনদেনের পরিমাণ কমেছে ৩৩ শতাংশেরও বেশি।
ব্যাংক খাত সুবিধা করতে না পারলেও সপ্তাহান্তে ঘুরে দাঁড়িয়েছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাত। ২৩ কোম্পানির সমন্বয়ে এই খাতে এক সপ্তাহে গড় দরবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ১৪০ শতাংশ। অন্যদিকে, এই খাতের শেয়ারের মোট লেনদেন বেড়েছে ১৩৩ শতাংশ।
ইনস্যুরেন্স খাতে সাধারণ বীমা হোঁচট খেলেও উত্থানের ধারা বজায় আছে জীবন বীমায়। তালিকাভুক্ত ৪৩ সাধারণ বীমা কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম বাড়লেও গত সপ্তাহের তুলনায় কমেছে গড় মূল্যবৃদ্ধির পরিমাণ।
সাধারণ বীমা খাতে শেয়ারের দাম কমেছে ৬৪ শতাংশ এবং লেনদেন কমেছে ৬৩ শতাংশ। অন্যদিকে, জীবন বীমা খাতে ১৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৯টির, কমেছে ৫টির এবং অপরিবর্তিত আছে একটি কোম্পানির শেয়ারের দাম। খাত হিসাবে এই খাতে এক সপ্তাহে দর বেড়েছে ৫৪ শতাংশ এবং লেনদেন বেড়েছে ২৭ শতাংশ।
লেনদেন হওয়া অন্যান্য খাতের মধ্যে দাম কমেছে সিরামিক, প্রকৌশল, খাদ্য, জ্বালানি, আইটি, পাট, মিউচুয়াল ফান্ড, কাগজ, রিয়েল স্টেট, চামড়া, টেলিকম ও টেক্সটাইলের। অন্যদিকে, দাম বেড়েছে সিমেন্ট, করপোরেট বন্ড, ঔষধ ও পর্যটন খাতে।
সারা সপ্তাহের লেনদেনে সবচেয়ে বেশি রিটার্ন এসেছে মিউচুয়াল ফান্ড থেকে এবং সবচেয়ে কম রিটার্ন দিয়েছে কাগজ শিল্পের কোম্পানিগুলো।
পুরো সপ্তাহজুড়ে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানি ওরিয়ন ইনফিউশন লিমিটেডের। কোম্পানিটির গড় লেনদেন ছিল ২৭ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। সবশেষ ৩৯১ টাকায় কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজারে অস্থির সপ্তাহ: সূচকের পতন, কমিশনে বিশৃঙ্খলা
সাধারণ লেনদেন ছাড়াও ব্লক মার্কেটে সবচেয়ে বেশি শেয়ার বিক্রি করেছে ওরিয়ন ইনফিউশন লিমিটেড। কোম্পানিটি এক সপ্তাহে ব্লক মার্কেটে ৩৪ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ওরিয়নের পর ব্লক মার্কেটে সবচেয়ে বেশি শেয়ার বিক্রি করেছে মারিকো, ব্যাংক এশিয়া, ব্র্যাক ব্যাংক, রেনেটা ও লাভেলো।
সারা সপ্তাহের লেনদেনে শীর্ষ দশে আছে ‘এ’ ক্যাটাগরির ৬টি, ‘বি’ ক্যাটাগরির একটি ও ‘জেড’ ক্যাটাগরির ৩টি কোম্পানি। ১৮ দশমিক ৪২ শতাংশ রিটার্ন দিয়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ারে জায়গা করে নিয়েছে এবি ব্যাংক মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে তলানিতে থাকা শীর্ষ দশ কোম্পানির মধ্যে সর্বাগ্রে উঠে এসেছে ইবিএল ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডের নাম। সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির রিটার্ন কমেছে ১২ শতাংশের বেশি।
পিছিয়ে আছে চট্টগ্রাম
ঢাকায় সূচক বাড়লেও সুবিধা করে উঠতে পারেনি চট্টগ্রাম। এক সপ্তাহের লেনদেনে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট। সেখানে লেনদেন হওয়া ২৮২ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। সিএসইর ১০০টি কোম্পানির দর বৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৫৯টি কোম্পানির এবং দাম অপরিবর্তিত ছিল ২৩টি কোম্পানির।
সিএসইতে লেনদেনে শীর্ষ দশে থাকা পাঁচ কোম্পানিই ‘জেড’ ক্যাটাগরির। বাকি একটি ‘বি’ ও চারটি ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানি। সপ্তাহজুড়ে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ‘বি’ ক্যাটাগরির কোম্পানি মিডাস ফাইন্যান্সিং লিমিটেডে।
অন্যদিকে সিএসইতে তলানিতে নেমে এসেছে এস আলম কোল্ড রোলড স্টিলস লিমিটেড। সপ্তাহখানেক আগেও কোম্পানিটির শেয়ারের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়তি থাকলেও, অবশেষে মুখ থুবড়ে পড়েছে ‘বি’ ক্যাটাগরির এই কোম্পানিটি।
সারা সপ্তাহে সিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে উত্তরা ব্যাংকের শেয়ার। সপ্তাহজুড়ে ব্যাংকটির ৭ কোটি ৮৮ লাখ টাকার শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
ছুটির আগে টাস্কফোর্সের বার্তা
ঈদের ছুটির আগে শেষ কর্মদিবসে বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সংবাদ সম্মেলন করেছেন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) গঠিত টাস্কফোর্সের সদস্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে ইনিশিয়াল পাবলিক অফারিং (আইপিও) সংক্রান্ত বেশকিছু সুপারিশ তুলে ধরেন তারা।
সুপারিশে বাজারে নতুন কোম্পানি আসার ক্ষেত্রে আইপিও অনুমোদনের প্রাথমিক ক্ষমতা স্টক এক্সচেঞ্জের হাতে ন্যস্ত করার সুপারিশ করা হয়। পাশাপাশি যেসব কোম্পানি ব্যাংক থেকে এক হাজার কোটি টাকার বেশি ঋণ নেবে, তাদের বাধ্যতামূলক আইপিও অন্তর্ভুক্তির বিষয়টিও উঠে আসে।
স্থির মূল্য পদ্ধতিতে ৩০ কোটি টাকার কম মূলধনের কোনো কোম্পানিকে মূল বাজারে তালিকাভুক্ত না করা এবং বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে ৫০ কোটি টাকার কম মূলধনের কোনো কোম্পানিকে মূল বাজারে তালিকাভুক্ত না করার পরামর্শ দেন টাস্কফোর্স সদস্যরা।
এর বাইরে আইপিওতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য ৫০ শতাংশ এবং প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য বাকি ৫০ শতাংশ শেয়ার সংরক্ষিত রাখার প্রস্তাব দিয়েছে টাস্কফোর্স।
আরও পড়ুন: সামষ্টিক অর্থনীতি স্থিতিশীল রয়েছে: গভর্নর
সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য ৫০ শতাংশের মধ্যে পাঁচ শতাংশ প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য এবং বাকি ৪৫ শতাংশ দেশে বসবাসকারী বিনিয়োগকারীদের জন্য বরাদ্দ রাখার সুপারিশ করা হয়েছে।
পুঁজিবাজারে আইপিওর মাধ্যমে কোন কোম্পানি বাজারে আসবে এবং কোন কোম্পানি অনুমোদন পাবে না—এর প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেবে স্টক এক্সচেঞ্জগুলো। স্টক এক্সচেঞ্জ যদি কোনো কোম্পানির আইপিও প্রস্তাব বাতিল করে দেয়, তাহলে বিএসইসি সেই কোম্পানির আইপিও অনুমোদন দিতে পারবে না। আইন সংশোধনের মাধ্যমে এই বিধান পরিবর্তনের সুপারিশ করেছে টাস্কফোর্স।
টাস্কফোর্সের এসব সুপারিশকে সাধুবাদ জানিয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ডিএসইর পরিচালক পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা বলেন, ‘টাস্কফোর্স আইপিও গ্রহণ ও বাতিলের যে ক্ষমতা এক্সচেঞ্জ হাউজের কাছে ন্যস্ত করার সুপারিশ করেছে, এটি পুরো বাজারকে বদলে দিতে সক্ষম।’
তিনি বলেন, ‘গত দেড় দশকে বিএসইসির হাত ধরে বাজারে যেসব আইপিও এসেছে, তাদের বেশিরভাগই এখন বাজে কোম্পানির শেয়ারে পরিণত হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে, আইপিও বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরও নিয়ন্ত্রক সংস্থার চাপে পিছু হটতে হয়েছে এক্সচেঞ্জ হাউজগুলোকে।’
তবে টাস্কফোর্সের সুপারিশ অনুযায়ী এসব ক্ষমতা এক্সচেঞ্জকে দিলে বাজারে স্থিতিশীলতা আসবে বলে মনে করেন ডিএসইর ওই কর্মকর্তা।
২৫১ দিন আগে
সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার ঘটনায় করা মামলার তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তদন্তের দায়িত্বে থাকা র্যাবকে সরিয়ে টাস্কফোর্স গঠনের এই আদেশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষে করা এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
এই বেঞ্চের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার রেদোয়ান আহমদ আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে রবিবার সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার ঘটনায় করা মামলায় নতুন আইনজীবী হিসেবে মোহাম্মদ শিশির মনিরকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাগর-রুনি হত্যার বিচার হারিয়ে যাবে না: আইনমন্ত্রী
রবিবার সাগর-রুনি হত্যা মামলার বাদী নওশের রোমান বলেন, এখন থেকে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির সাগর-রুনি হত্যা মামলার রহস্য উন্মোচনে আইনি লড়াই করবেন।
আইনজীবী শিশির মনির বলেন, আমরা সাগর-রুনি হত্যার রহস্য উন্মোচনে কাজ শুরু করব। এর অংশ হিসেবে তদন্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে খুবই দ্রুত মিটিং করব। একইসঙ্গে হত্যার রহস্য উন্মোচনে নিম্ন আদালত ও উচ্চ আদালতে আইনি লড়াই করব।
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার ঘটনায় করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এ পর্যন্ত ১১৩ বার সময় বাড়ানো হয়েছে। পরবর্তী শুনানির জন্য ১৫ অক্টোবর দিন ধার্য রয়েছে।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি তাদের ভাড়া বাসায় খুন হন।
আরও পড়ুন: ১০৩ বার পেছালো সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন
৪৩১ দিন আগে
সিলেটে টাস্কফোর্সের অভিযানে ২৫৪ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ
সিলেটের গোয়াইনঘাটে পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের তামাবিল সোনা টিলা এলাকায় যৌথ বাহিনীর টাস্কফোর্সের অভিযানে ২৫৪ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ করা হয়েছে।
শনিবার (২৯ জুন) দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত গোয়াইনঘাটের সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইদুল ইসলামের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে তামাবিল সোনাটিলা এলাকার বিভিন্ন বসতবাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ২৫৪ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ করা হয়। পরে তামাবিল কাস্টমস কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে জব্দ হওয়া ভারতীয় চিনি ১১ লাখ ৮১ হাজার ১০০ টাকায় নিলামে বিক্রি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে ৩৯২ বস্তা চিনি জব্দ, গ্রেপ্তার ১
এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, ভারত থেকে চোরাই পথে চিনি আমাদানি করে মজুদ করা হয়েছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে বিভিন্ন বসতঘর থেকে মজুদ করা ২৫৪ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ করা হয়।
সীমান্তে চোরাচালান বন্ধে উপজেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সিলেটে পাথরবাহী ট্রাক থেকে ২৪৫ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ, গ্রেপ্তার ১
৫২৩ দিন আগে
সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন হবে ১১১ দফা সুপারিশ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
দেশের সড়ক পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা জোরদার ও দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে পর্যায়ক্রমে ১১১ দফা সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
১৮০৭ দিন আগে
ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিল নিরসনে টাস্কফোর্স পুনর্গঠনের দাবি ক্যাবের
ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিল ও গ্রাহক ভোগান্তি নিরসনে টাস্কফোর্স পুনর্গঠন করে ক্যাব ও গণমাধ্যম প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত এবং বকেয়া বিলের জরিমানা আগামী আগস্ট পর্যন্ত স্থগিত রাখার দাবি জানিয়েছে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম।
১৯৮২ দিন আগে
বিদেশে পলাতক আসামিদের ফেরাতে টাস্কফোর্স গঠন
ঢাকা, ২২ অক্টোবর (ইউএনবি)- বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশের পলাতক আসামিদের দেশে ফিরিয়ে এনে তাদের বিচার ও শাস্তি নিশ্চিত করতে মঙ্গলবার একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছে সরকার।
২২৩৫ দিন আগে