শিশু ধর্ষণ
মহেশপুরে চার বছরের শিশুকে ধর্ষণ, ধর্ষক আটক
ঝিনাইদহের মহেশপুরে চার বছরের এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ধর্ষক রাকিবকে (১৫) ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছেন স্থানীয়রা।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার আদমপুর আবাসন প্রকল্পে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, বিকেলে বন্ধুদের সঙ্গে খেলা করছিল ওই শিশুটি। এ সময় একই এলাকার রাকিব তাকে চকলেট খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে বাড়ির পাশের একটি ভুট্টাখেতে নিয়ে যায়। পরে সেখানে সে শিশুটিকে ধর্ষণ করে।
আরও পড়ুন: রাজধানীর বনানীতে পথশিশু ধর্ষণের শিকার
এরপর শিশুটি কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি ফিরে আসলে পরিবারের সদস্যরা ঘটনাটি জানতে পারেন। সে সময় শিশুটির পরনের পোশাক রক্তে ভিজে ছিল। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার পর স্থানীয়রা রাকিবকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।
মহেশপুর কোটচাঁদপুর থানার সার্কেল মুন্না বিশ্বাস জানান, এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। শিশুটির মেডিকেল পরীক্ষা শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১০৭ দিন আগে
কক্সবাজারে শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলায় ছয় বছর বয়সী এক শিশুকন্যাকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় মো. সোলেমান নামের এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক মোহাম্মদ ওসমান গনি এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামি মো. সোলেমান টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের চাকমারকুল এলাকার বাসিন্দা।রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় শেষে আদালত থেকে হাজতে নেওয়ার পথে সোলেমান নিজেকে নির্দোষ দাবি করে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
আরও পড়ুন: ডা. নিতাই হত্যা মামলায় পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড, চারজনের আমৃত্যু কারাদণ্ড
নিহত শিশুটি মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী ইউনিয়নের বাসিন্দা। সে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
মামলার বাদী ও মেয়েটির বাবা জানান, ২০২২ সালের ৩০ নভেম্বর দুপুরে স্কুল থেকে ফেরার পর বাড়ির পাশে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় তার মেয়ে। পরে পেকুয়া উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের করিয়ারদিয়া বাঁধ এলাকা তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে ৩ ডিসেম্বর মহেশখালী থানায় মামলা করেন তিনি।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন টিটু রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, এ রায়ের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। নৃশংস খুনিকে দণ্ডিত করার ফলে অপরাধীরা আর এ ধরনের অপরাধ করার সাহস পাবে না।
১১৬ দিন আগে
চৌগাছায় ৭ বছরের শিশু ধর্ষণের অভিযোগে বৃদ্ধ আটক
যশোরের চৌগাছায় দ্বিতীয় শ্রেণি পড়ুয়া এক শিশুকে (৭) ধর্ষণের অভিযোগে এক প্রতিবেশী বৃদ্ধকে আটক হয়েছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার (১০ জুন) বিকালে চৌগাছা উপজেলার ৭ নম্বর পাতিবিলা ইউনিয়নের মুক্তদাহ গ্রামে।
পুলিশ জানিয়েছে, বাড়ির পাশেই খেলা করছিল শিশুটি। সেদিন বিকাল ৩টার দিকে ওই প্রতিবেশী বৃদ্ধ জোর করে শিশুটিকে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। এরপর তার লালসার শিকার হয় শিশুটি।
ভুক্তভোগী শিশুটির ফুফু জানান, সেদিন বিকাল ৪টার দিকে বাড়ির উঠানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কাঁদতে দেখেন শিশুটিকে। এরপর কিছু জিজ্ঞাসা করার আগেই তার পায়ে রক্ত দেখে ঘরে নিয়ে যান তারা। ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
শিশুটি যে ধর্ষণের শিকার হয়েছে তা নিশ্চিত করে চৌগাছা উপজেলা কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. সুরাইয়া পারভীন বলেন, হাসপাতালে নিয়ে আসার পর প্রাথমিকভাবে পরীক্ষার জন্য তাকে ইওসিতে পাঠানো হয়। তবে অনেক বেশি পরিমাণে রক্তপাত হওয়ায় তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস (ওসিসি) সেন্টারে স্থানান্তর করা হয়েছে।
চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, এ ঘটনায় অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে প্রতিবন্ধী তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, আটক ২
১৯২ দিন আগে
শিশু ধর্ষণ ও হত্যার পর মুখে অ্যাসিড: অপরাধীদের সবাই কিশোর
নাটোরের বড়াইগ্রামে ৭ বছরের শিশু ধর্ষণের পর হত্যা করে অ্যাসিডে মুখ ঝলসে দেওয়ার ঘটনায় ৫ কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের বয়স ১৪ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) তাদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন নাটোরের পুলিশ সুপার আমজাদ হোসেন।
তিনি জানান, অপরাধীদের ধরতে নাটোর জেলা পুলিশের একাধিক গোয়েন্দা দল মাঠে ছিল। তারা অভিযান চালিয়ে প্রথমে দুই কিশোরকে গ্রেপ্তার করে। এরপর তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আরও তিন কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার পাঁচ কিশোরের মধ্যে চারজনের বাড়ি বড়াইগ্রাম উপজেলার গারফা ও আশপাশের গ্রামে। আরেকজনের বাড়ি চাটমোহরের রামপুর।
পুলিশ সুপার আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা শিশুটিকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের পর হত্যা করে বলে পুলিশের কাছে শিকার করেছে। নাটোর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে নিয়ে তাদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
গ্রেপ্তারদের কেউই প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়ায় তাদের পরিচয় ও ছবি প্রকাশ করেনি পুলিশ। তবে তাদের মধ্যে স্কুল ও মাদরাসার ছাত্র রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে গত সোমবার (১৪ এপ্রিল) শিশুটি বেড়াতে বের হয়। পাশেই দাদিবাড়ি গিয়ে তার সেমাই খাওয়ার কথা ছিল বলে জানান পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু বিকাল হয়ে গেলেও দুই বাড়ির কোথাও সে না গেলে স্বজনরা খোঁজাখুজি শুরু করেন। তবে কাল তাকে খুঁজে পায়নি কেউ। এরপর আজ (মঙ্গলবার) সকাল ১০টার দিকে বাড়ি থেকে কয়েক শ’ গজ দূরে চাটমোহর উপজেলার কাটাখালী ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের একটি ভুট্টাখেতে তার লাশ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। প্রথমে তারা শিশুটির পরিবারে খবর দেন, এরপর পুলিশকে অবহিত করেন।
খবর পেয়ে নাটোর ও পাবনা জেলা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় শিশুটির মুখমণ্ডল অ্যাসিডে ঝলসানো এবং শরীর বিবস্ত্র ছিল। পরে পুলিশ আলামত সংগ্রহ করে লাশটি পাবনা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
সেদিন প্রতক্ষ্যদর্শী ও শিশুটির প্রতিবেশী এমদাদুল হক বলেন, এলাকার কৃষকরা খেতে কাজ করতে গিয়ে প্রথম তার লাশ দেখতে পায়। পরে পরিবারে খবর দিলে আমরা সেখানে যাই। কিছুক্ষণ পর পুলিশ এসে লাশ নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: ভুট্টাখেতে শিশুর ঝলসানো বিবস্ত্র লাশ, ধর্ষণ সন্দেহ পুলিশের
তিনি বলেন, তার মুখের পুরোটাই পোড়া ছিল। গায়ে কোনো কাপড় ছিল না। আমাদেরও ধারণা, তাকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে পাষণ্ড দুর্বৃত্তরা। লাশের মুখ যাতে চেনা না যায়, তার জন্য অ্যাসিড দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
শিশুটিকে ধর্ষণের পর নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে নিজের ধারণার কথা জানান বড়াইগ্রাম উপজেলার চান্দাই ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান শাহনাজ পারভীনও।
লাশ উদ্ধারের পর থেকেই অপরাধীদের শনাক্ত ও ধরতে পুলিশের গোয়েন্দা দল মাঠে নেমেছে বলে জানিয়েছিলেন বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান।
সেদিন তিনি জানান, শিশুটির বাড়ি বড়াইগ্রাম উপজেলায় (নাটোর) হলেও লাশটি উপজেলার সীমান্তবর্তী পাবনার চাটমোহর এলাকায় পাওয়া গেছে। ফলে সংঘটিত অপরাধটির মামলা চাটমোহর থানায় লিপিবদ্ধ হবে। তবে দুর্বৃত্তদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে বড়াইগ্রাম থানা পুলিশ যথাযথ দায়িত্ব পালন করবে।
২৪৬ দিন আগে
ভুট্টাখেতে শিশুর ঝলসানো বিবস্ত্র লাশ, ধর্ষণ সন্দেহ পুলিশের
পাবনার চাটমোহর থেকে নাটোরের বড়াইগ্রামের এক প্রবাসীর ৭ বছরের শিশুকন্যার বিবস্ত্র লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় লাশের মুখমণ্ডল অ্যাসিডে ঝলসানো ছিল। শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করে অ্যাসিডে মুখ ঝলসে লাশ ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে সন্দেহ প্রকাশ করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চাটমোহর উপজেলার কাটাখালী ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের একটি ভুট্টাখেত থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত শিশুটি বড়াইগ্রাম উপজেলার গারফা উত্তরপাড়া গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী জাহেরুল ইসলামের মেয়ে। স্থানীয় মাদরাসার হেফজ বিভাগের শিক্ষার্থী ছিল সে।
আরও পড়ুন: কিশোরীকে ‘ধর্ষণের পর হত্যা, নানা-নানীকে কুপিয়ে জখম
পুলিশ জানায়, পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে গতকাল (সোমবার) শিশুটি বেড়াতে বের হয়। পাশেই দাদিবাড়ি গিয়ে তার সেমাই খাওয়ার কথা ছিল বলে জানান পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু বিকাল হয়ে গেলেও দুই বাড়ির কোথাও সে না গেলে স্বজনরা খোঁজাখুজি শুরু করেন। তবে কাল তাকে খুঁজে পায়নি কেউ। এরপর আজ (মঙ্গলবার) সকাল ১০টার দিকে বাড়ি থেকে কয়েক শ’ গজ দূরে চাটমোহর উপজেলার কাটাখালী ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের একটি ভুট্টাখেতে তার লাশ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। প্রথমে তারা শিশুটির পরিবারে খবর দেন, এরপর পুলিশকে অবহিত করেন।
খবর পেয়ে নাটোর ও পাবনা জেলা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় শিশুটির মুখমণ্ডল অ্যাসিডে ঝলসানো এবং শরীর বিবস্ত্র ছিল। পরে পুলিশ আলামত সংগ্রহ করে লাশটি পাবনা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
প্রতক্ষ্যদর্শী ও শিশুটির প্রতিবেশী এমদাদুল হক বলেন, এলাকার কৃষকরা খেতে কাজ করতে গিয়ে প্রথম তার লাশ দেখতে পায়। পরে পরিবারে খবর দিলে আমরা সেখানে যাই। কিছুক্ষণ পর পুলিশ এসে লাশ নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, তার মুখের পুরোটাই পোড়া ছিল। গায়ে কোনো কাপড় ছিল না। আমাদেরও ধারণা, তাকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে পাষণ্ড দুর্বৃত্তরা। লাশের মুখ যাতে চেনা না যায়, তার জন্য অ্যাসিড দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে শিশু ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে যুবকের মৃত্যুদণ্ড
বড়াইগ্রাম উপজেলার চান্দাই ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান শাহনাজ পারভীন বলেন, ‘শিশুটিকে ধর্ষণের পর নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।’
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘শিশুটির বাড়ি বড়াইগ্রাম উপজেলায় (নাটোর) হলেও লাশটি উপজেলার সীমান্তবর্তী পাবনার চাটমোহর এলাকায় পাওয়া গেছে। ফলে সংঘটিত অপরাধটির মামলা চাটমোহর থানায় লিপিবদ্ধ হবে। তবে দুর্বৃত্তদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে বড়াইগ্রাম থানা পুলিশ যথাযথ দায়িত্ব পালন করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইতোমধ্যে দুর্বৃত্তদের অনুসন্ধানে পুলিশের তদন্ত দল মাঠে নেমেছে। প্রাথমিকভাবে শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তবে প্রকৃত কারণ লাশের ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে।’
২৫০ দিন আগে
নবাবগঞ্জে ৭ বছরের শিশু ধর্ষণ, ধর্ষক গ্রেপ্তার
ঢাকার নবাবগঞ্জে ৭ বছরের এক মাদরাসা ছাত্রীকে বাসায় একা পেয়ে ধর্ষণ করেছে নাজিম নামের এক সিএনজিচালক। ভুক্তভোগীর চিৎকারে স্থানীয় জনতা নাজিমকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দিয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) বিকাল ৫টার দিকে নবাবগঞ্জের কৈলাইল ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
ধর্ষণের শিকার শিশুটির প্রথমে মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থা গুরুতর হলে আজ তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে নবাবগঞ্জের কৈলাইল ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শিশুটি ওই এলাকার এক প্রবাসীর মেয়ে। প্রতিবেশী ধর্ষক নাজিম শিশুটিকে বাড়ির গোসলখানায় নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
তিনি বলেন, ধর্ষণের শিকার শিশুর চিৎকারে প্রতিবেশীরা মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় প্রথমে তাকে নবাবগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাকে রাতে মিটফোর্ড হাসপাতাল পাঠায়। সেখানে তার অবস্থা অবনতি হলে আজ দুপুরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: শিশু ধর্ষণ মামলায় গৃহশিক্ষক জাহিদুলের মৃত্যুদণ্ড
মঙ্গলবার রাত ৮টায় ধর্ষণের খবর স্থানীয় জনতা ধর্ষক সিএনজিচালক নাজিমকে গণপিটুনি দিয়ে নবাবগঞ্জ থানা পুলিশে দেয় বলে জানান তিনি।
শিশুটি বাড়ির পাশের একটি মাদরাসার দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
ওসি মমিনুল ইসলাম বলেন, এ ব্যপারে আজ বুধবার দুপুরে ধর্ষকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটা মামলা হয়েছে।
২৭৭ দিন আগে
শিশু ধর্ষণ মামলায় গৃহশিক্ষক জাহিদুলের মৃত্যুদণ্ড
খিলগাঁও থানাধীন বনশ্রীতে সাত বছরের একটি শিশু ধর্ষণ মামলায় ধর্ম বিষয়ের গৃহশিক্ষক জাহিদুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ডসহ ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।
বুধবার (১৯ মার্চ) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক মোসাম্মৎ রোকশানা বেগম হেপী এ রায় দেন। রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বাদী বলেন, ‘সব ধর্ষকের কঠিন সাজা হওয়া উচিত, যাতে কেউ এমন ঘৃণ্য কাজের সাহস না পায়।’
এদিকে রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে উচ্চাদলতে যাবেন বলে জানিয়েছেন আসামিপক্ষ। রায় ঘোষণার সময় দন্ডিত জাহিদুলকে কারাগার থেকে আদালতে নিয়ে আসা হয়।
বরগুনা জেলা সদরের পরীখাল গ্রামের মো. ফজলুল হকের ছেলে জাহিদুল। মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০২১ সালের ২৩ মার্চ ভুক্তভোগী শিশুটিকে বাসায় পড়াতে আসেন গৃহশিক্ষক জাহিদুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: আবরার হত্যা: ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচজনের যাবজ্জীবন বহাল
ওইদিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে ভুক্তভোগী শিশুর বাবা ও মা বাসা সংলগ্ন গ্যারেজে কাজ করছিলেন। এ সময় হঠাৎ গৃহশিক্ষক জাহিদুলকে তড়িঘড়ি করে বের হয়ে যেতে দেখেন তারা। শিশুটির কান্নার আওয়াজ শুনে তারা ঘরে যান। শিশুটি তাদের জানায়, শিক্ষক তাকে ধর্ষণ করেছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিশুর বাবা খিলগাঁও থানায় এ মামলাটি করেন।
২০২১ সালের ২৪ জুলাই মামলাটি তদন্ত করে উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের পুলিশ পরিদর্শক মোসা. রাশিদা জাহান রুনা তালুকদার জাহিদুল ইসলামকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
বিচার চলাকালে আদালত ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
২৭৭ দিন আগে
আইন সংশোধনসহ শিশু ধর্ষণের বিচারে ট্রাইব্যুনাল গঠন করবে সরকার
শিশু ধর্ষণের মামলা নিষ্পত্তির জন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনের আইন প্রণয়নসহ বিদ্যমান নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
আগামী বৃহস্পতিবার সংশোধিত আইনটির চূড়ান্ত অনুমোদন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সোমবার (১৭ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: আইনশৃঙ্খলা উন্নয়নে পুলিশকে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা
উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, প্রস্তাবিত পরিবর্তনের সঙ্গে মাগুরার মেয়েটির মামলার কোনো সম্পর্ক নেই, তার মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করা হবে।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
২৭৯ দিন আগে
জামালপুরে ৫ বছরের শিশু ধর্ষণ, মীমাংসা করতে ধর্ষকের চাচার ‘চাপ’
জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলায় মোবাইলে উচ্চ শব্দে গান বাজিয়ে পাঁচ বছরের একটি শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক কিশোরের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা হলেও তা তুলে নিয়ে বিষয়টি পারিবারিকভাবে মীমাংসা করে নিতে ধর্ষকের চাচা ওই পরিবারটিকে চাপ দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (১০ মার্চ) উপজেলার চর পরতাবাজু গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় গতকাল রাতেই শিশুটির মা বাদী হয়ে মাদারগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ অভিযুক্তকে এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
ভুক্তভোগীর বাবা শাহীন ও চাচা সামিউল এই প্রতিবেদককের কাছে অভিযোগ করে বলেন, ‘ধর্ষকের চাচা আব্দুর রহিম ড্রাইভার ঘটনাটি নিজেদের মধ্যে আপস-মীমাংসা করে নিতে চাপ দিচ্ছেন।’
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ১৫ বছর বয়সী ওই কিশোর ভুক্তোভোগীর প্রতিবেশী। তার বাবার নাম রবিউল ইসলাম। ভুক্তভোগী শিশুটিকে ছেলেটি ভাতিজি হিসেবে সম্বোধন করত এবং তাদের বাড়িতে তার যাতায়াত ছিল।
আরও পড়ুন: সিএমএইচে লাইফ সাপোর্টে মাগুরায় ধর্ষণের শিকার সেই শিশুটি
সোমবার দুপুরে শিশুটির মা সাংসারিক কাজে বাড়ির বাইরে যাওয়ার সুযোগে অভিযুক্ত ওই বাড়িতে গিয়ে ফুসলিয়ে শিশুটিকে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। কাজ সেরে দুপুর ২টার দিকে বাড়ি ফিরে শিশুটির মা মেয়েকে না পেয়ে তার খেলার সঙ্গী অভিযুক্তের ছোট বোনের সঙ্গে খেলতে গিয়ে থাকতে পারে ভেবে তাদের বাড়িতে যায়। একপর্যায়ে তিনি অভিযুক্তের ঘরে মোবাইলে গানের শব্দ শুনে তার ঘরে প্রবেশ করে তার মেয়েটির সঙ্গে কিশোরকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পান। এ সময় মেয়েকে উদ্ধারের জন্য তার মা চিৎকার করে উঠলে ছেলেটি পালিয়ে যায়।
১০-১২ দিন আগেও ওই কিশোর শিশুটিকে তাদের গোয়াল ঘরে দুপুর বেলায় ধর্ষণের চেষ্টা করে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
মাদারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল-মামুন বলেন, ‘আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। শিশুটিকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
২৮৫ দিন আগে
ধর্ষকের বিচারসহ ৬ দফা দাবিতে উত্তাল শাহবাগ
মাগুরায় ৮ বছরের শিশুকে ধর্ষণের বিচারের দাবিসহ চলমান একের পর এক ধর্ষণ ও নারীর প্রতি সহিংসতার সকাল-সন্ধ্যা ব্লকেড কর্মসূচি পালন করছেন ঢাকার ২০ কলেজের শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সকাল ১১টা থেকে শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে ‘কণ্ঠে আবার লাগা জোড়, ধর্ষকদের কবর খোড়’ প্রতিপাদ্যে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা।
তবে রমজানে জনভোগান্তির কথা মাথায় রেখে আপাতত ব্লকেডের বদলে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন তারা।
কর্মসূচিতে ইতোমধ্যে নটরডেম কলেজ, ঢাকা কলেজ, সরকারি বিজ্ঞান কলেজ, ভিকারুন্নেসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজ, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ, ঢাকা সিটি কলেজ, হলিক্রস কলেজ, উইলস্ লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ এবং আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজসহ অন্যান্য কলেজের শিক্ষার্থীরা যোগ দিয়েছেন। সময় যত এগোচ্ছে বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা এসে যোগ দিচ্ছেন বিক্ষোভে।
আরও পড়ুন: ধর্ষকদের শাস্তির দাবিতে বাকৃবিতে নারী শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
এ সময় ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখার পাশাপাশি জনসমক্ষে ধর্ষকের শাস্তি নিশ্চিত করে দৃষ্টান্ত গড়াসহ ধর্ষণ প্রতিরোধে ৬ দফা দাবি জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।
এছাড়া ধর্ষণের বিচার দ্রুত করতে আলাদা ট্রাইবুন্যাল গঠনের দাবিও তুলেছেন তারা।
২৮৫ দিন আগে