ক্ষতি
জুয়ায় হারের ক্ষতি পোষাতে বিকাশ এজেন্টকে হত্যা: আসামিকে গ্রেপ্তার
রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার রূপসা বাজারের বিকাশ ব্যবসায়ী শরীফ খানকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে মো. তরিকুল শেখ নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে জেলা পুলিশ।
এর আগে, বুধবার শরীফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ছুরিকাঘাতে কিশোর খুন, গ্রেপ্তার ২
নিহত শরীফ কালুখালী উপজেলার রতনদিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম ধামবাড়িয়া গ্রামের মৃত হাকিম খানের ছেলে।
আসামি মো. তরিকুল শেখ কালুখালী উপজেলার রুপসা বাজারের চাঁদ আলী শেখের ছেলে।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার রাতে কালুখালি উপজেলার রূপসা সুইচ গেট বাজার এলাকায় জদুর সেলুনের দোকানের সামনে শরীফ খানের লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) শরীফের স্ত্রী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে কালুখালী থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের পর কালুখালী থানা পুলিশ নিবিড়ভাবে তদন্ত শুরু করে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তরিকুল শেখকে গ্রেপ্তার করে।
জিজ্ঞাসাবাদে তরিকুল জানান, তিনি ও শরীফ একই বাজারে ব্যবসা করতেন। তরিকুল অনলাইন জুয়ায় আসক্ত ছিলেন এবং এভাবে অনেক টাকা হেরেছেন।
আরও পড়ুন: খতনার সময় চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় দুই চিকিৎসক গ্রেপ্তার
তিনি পরিকল্পনা করেন, বিকাশের এজেন্ট শরীফকে হত্যা করে টাকা হাতিয়ে নেবেন। শরীফকে হত্যা করার জন্য তরিকুল তার চাচাতো ভাইয়ের ঘর থেকে দা সংগ্রহ করেন।
শরীফ রাতে বাড়িতে খাবার খেয়ে রূপসা বাজারের পাশে গাঁয়েবি মসজিদে ছেলেকে নিয়ে ওয়াজ মাহফিলে আসেন। বাবা-ছেলে দুইজন বসে ওয়াজ শোনার সময় তরিকুল তাকে ডেকে নিয়ে যান।
পুলিশ জানায়, পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী রুপসা সুইচ গেট এলাকায় জদুর দোকানের সামনে আসামি তরিকুল তাকে দা দিয়ে মাথায় কুপিয়ে হত্যা করেন।
রাজবাড়ী পুলিশ সুপার জি এম আবুল কালাম আজাদ বলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তরিকুল শেখ নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
আরও পড়ুন: ১৬ বছর আত্মগোপনে থেকে অবশেষে গ্রেপ্তার!
চট্টগ্রামে ফোম কারখানায় আগুনে ৬০ লাখ টাকার ক্ষতি
চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে ফোম তৈরির একটি কারখানা আগুনে পুড়ে গেছে।
শনিবার (১৮ ফেব্রয়ারি) দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার চরপাথরঘাটার নুরানী ফোম কারখানায় আগুন লাগে। এতে প্রায় ৬০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন কারখানার মালিক।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন কর্ণফুলী মডেল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল এভিয়েশন স্টেশন অফিসার শোয়াইব হোসেন।
কারখানার ম্যানেজার মো. হুমায়ুন কবির বলেন, আগুন লাগার খবর পেয়ে দৌঁড়ে এসে ফোম তৈরিতে ব্যবহৃত রাসায়নিক পদার্থগুলো সরিয়ে ফেলি। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ছুরিকাঘাতে কিশোর খুন, গ্রেপ্তার ২
চরপাথরঘাটার সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এম মঈন উদ্দীন বলেন, আশেপাশে অনেক বাড়িঘর ছিল। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। সময় মতো ফায়ার সার্ভিস আসায় অনেকটা রক্ষা পেয়েছে। বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। তবে কারখানার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
শোয়াইব হোসেন বলেন, আগুন লাগার খবর পেয়ে দ্রুত আমরা ঘটনাস্থলে আসি। কিন্তু রাস্তা সরু হওয়ায় পানির রিজার্ভ ট্যাংক প্রবেশ করাতে পারিনি। পরে পাশের পুকুরের পানি ব্যবহার করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে যে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। এই ঘটনা কেউ হতাহত হয়নি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত করে জানা যাবে।
তবে কারখানার মালিক মো. জাহাঙ্গীর মিয়া দাবি করেন আগুনে তার ৬০ লাখ টাকার উপরে ক্ষতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের সিলিকন সিটি হচ্ছে চট্টগ্রাম: পলক
লক্ষ্মীপুরে আগুনে পুড়ল ৮ দোকান, কোটি টাকার বেশি ক্ষতি
লক্ষ্মীপুরে অগ্নিকাণ্ডে আটটি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে কমলনগরের হাজিরহাট বাজারে ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হলো- সফিক স্টোর, হোসেন স্টোর ও শিমুল স্টুডিওসহ আটটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বাজারে হঠাৎ আগুন দেখতে পায়। মুহূর্তের মধ্যেই পাশের থাকা অন্য দোকানগুলোতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে বিআইডব্লিউটিএ'র গুদামের আগুন নিয়ন্ত্রণে
পরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে কমলনগর ও লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক মোহাম্মদ আবদুল মন্নান বলেন, ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। তবে আগুনের ভয়াবহতা ছিল বেশি। তারপরও সময় মতো আসাতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কম হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বৈদ্যুতিক শটসার্কিট থেকে আগুন লেগে আটটি দোকান পুড়ে গেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। আগুনে ক্ষয়ক্ষতির নিরুপণের কাজ চলছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আগুনে পুড়ে গেছে ১৮ বসতঘর, ৫ জন দগ্ধ
পুরান ঢাকার জুতা কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে
সাজেকে অগ্নিকাণ্ডে ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি
রাঙামাটির সাজেক পর্যটন কেন্দ্রের কংলাক পাহাড়ে অগ্নিকাণ্ডে তিনটি রির্সোট, একটি বাড়ি ও একটি দোকান পুড়ে গেছে। এতে প্রায় ৫০ লাখ ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাজেক থানার সার্কেল এএসপি আবদুল আওয়াল।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে অগ্নিকাণ্ডে একই পরিবারের ৬ জন দগ্ধ
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে আগুনের সূত্রপাত হয়। এতে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। আনুমানিক ৫০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে রিসোর্ট মালিকরা।
আগুনে পুড়ে যাওয়া রিসোর্টগুলো হচ্ছে– মেঘছোঁয়া রিসোর্ট, ফুরেংগি রিসোর্ট ও দুমদে রিসোর্ট।
স্থানীয়রা জানায়, সাজেকের কংলাক পাড়ার একটি টিনের ঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। সেখান থেকে দুমদে রিসোর্টে ছড়িয়ে পড়ে। এরপরে আরও দুইটি রিসোর্টে ছড়িয়ে যায়।
আরও পড়ুন: কেনিয়ার রাজধানীতে গ্যাস বিস্ফোরণে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৩, আহত ২৭১ জন
বেলকুচিতে তাঁত কারখানায় আগুন, ক্ষতি প্রায় অর্ধ কোটি
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি পৌর এলাকার চন্দনগাঁতী সাহা পাড়া মহল্লায় তাঁত কারখানা অগ্নিকাণ্ডে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে বেলকুচি পৌর এলাকার চন্দনগাঁতি (বসুন্ধরা) সাহা পাড়া গ্রামের উত্তম সাহার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ৩ ভোট কেন্দ্রে আগুন
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, দিবাগত রাতের দিকে হঠাৎ তাঁত ফ্যাক্টরিতে আগুনের লেলিহান শিখা দেখতে পেয়ে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে এগিয়ে যান। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আগুন নেভাতে চেষ্টা করলেও তা সম্ভব হয়নি।
পরে বেলকুচি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সকে ফোন করা হয়। ফায়ার সার্ভিসের বেলকুচি ইউনিটের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চেষ্টার করার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে বাসে আগুন, দগ্ধ হেলপার
এতে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে বলে তারা জানান।
এ বিষয়ে বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিছুর রহমান বলেন, রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। এ অগ্নিকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে ২ ভোট কেন্দ্রে আগুন
টানা বৃষ্টিতে ফরিদপুরে পেঁয়াজের ব্যাপক ক্ষতি
ফরিদপুরের সালথা ও নগরকান্দায় ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে তিন দিনের টানা বর্ষণে মৌসুমি পেঁয়াজের বীজতলাসহ খেত পানিতে ডুবে গেছে। ফলে পেঁয়াজের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পানিতে তলিয়ে যাওয়া ৭০ শতাংশ পেয়াজ নষ্ট হয়ে যাওয়ার শঙ্কায় রয়েছেন কৃষকরা। এতে করে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ার আশঙ্কা তাদের।
নগরকান্দা গ্রামের কৃষক মো. আহাদ হোসেন জানান, তিন দিনের টানা বৃষ্টিতে আমাদের খেতের পেঁয়াজের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পেঁয়াজ পচে যাওয়ার ভয়ে কাদার মধ্যেই চারা রোপণ করছি। এতে করে আমরা অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে পড়ব।
আরও পড়ুন: পেঁয়াজের আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করেছে সরকার
একই এলাকার কৃষক ফরহাদ শেখ জানান, এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে পেঁয়াজের চারা রোপণ করেছি, তিন দিনের বৃষ্টিতে আমার রোপণ করা্ সব চারা ডুবে গেছে, আমি এখন কী করব। কীভাবে এনজিওর টাকা শোধ করব ভেবে পাচ্ছি না।
নগরকান্দা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তিলক কুমার ঘোষ বলেন, টানা বৃষ্টিতে উপজেলার প্রায় ৩৫০ হেক্টর জমির মুড়িকাটা পেঁয়াজ ও ৪০ হেক্টর জমির হালি পেঁয়াজ বৃষ্টির পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে কৃষকদের জমি থেকে পানি নামিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, জেলার নগরকান্দা উপজেলায় এ বছর প্রায় ৮ হাজার হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের আবাদের সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে একই চিত্র সালথা উপজেলায়।
বৃষ্টিপাতের ক্ষয়ক্ষতি প্রসঙ্গে সালথা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সুদর্শন শিকদার বলেন, সালথায় এবার ১২০ হেক্টর জমিতে মুড়িকাটা পেঁয়াজের আবাদ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পেঁয়াজের বীজতলা আবাদ করা হয়েছে ৭৬০ হেক্টর জমিতে। এসব মুড়িকাটা পেঁয়াজ ও বীজতলার বেশিরভাগ খেত তলিয়ে গেছে।
তিনি বলেন, খেতের পানি দ্রুত নামিয়ে ফেলতে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যদি আর বৃষ্টি না হয়, তাহলে তেমন ক্ষতি হবে না। আর বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে ফসলের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আরও পড়ুন: গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়াতে আরও ১৬.২০ কোটি টাকার প্রণোদনা দেবে সরকার
ঢাকায় পেঁয়াজের কেজি ১০০ টাকার বেশি
আগুনে পুড়ে মরল ৮ হাজার কোয়েল পাখি, ৬ লাখ টাকার ক্ষতি
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলায় কোয়েল পাখির খামারে বৈদ্যুতিক লাইন মেরামতের ত্রুটি থেকে আগুন ধরে ৮ হাজার কোয়েল পাখি পুড়ে গেছে। এতে প্রায় ৬ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) রাতে উপজেলা বাবুখালী ইউনিয়নের ডুমুরশিয়া গ্রামে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। বৈদ্যুতিক মিস্ত্রির ভুলে এমন ঘটনা ঘটেছে দাবি, ক্ষতিগ্রস্ত খামার মালিক অরিন আক্তার লিনার।
আরও পড়ুন: শখের পোষা পাখি এখন তামিমের আয়ের উৎস
তাই শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) এ ঘটনায় বিকালে স্থানীয় বৈদ্যুতিক মিস্ত্রি মো. শিমুলের নামে মহম্মদপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিনি।
খামার মালিক অরিন আক্তার লিনা উপজেলার ডুমুরশিয়া গ্রামের একজন নারী উদ্যোক্তা।
অভিযোগ ও খামার মালিক সূত্রে জানা যায়, খামারে কোয়েল পাখি বাচ্চা ব্রুডিং করাতে বৈদ্যুতিক লাইন মেরামতের দরকার হয়। পরে স্থানীয় ডুমুরশিয়া গ্রামের বৈদ্যুতিক মিস্ত্রি শিমুলকে ডেকে আনা হয়।
কাজের একপর্যায়ে সে খামারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা না রেখে লাইন সরাসরি করে দেয়। বাকি কাজ পরের দিন শেষ করবে বলে অন্যত্র কাজে চলে যায়। সরাসরি লাইন দেওয়ায় রাতে অতিরিক্ত লোড হয়ে বৈদ্যুতিক তার গলে আগুন লাগে কোয়েল পাখির খামারে।
এ সময় খামারে তিন হাজার ডিম, কোয়েল পাখি ও বিভিন্ন আকারের প্রায় ৫ হাজার বাচ্চা পাখি আগুনে পুড়ে মারা যায়। ২৫-৩০ মিনিটের মধ্যে সম্পূর্ণ খামার ভস্মীভূত হয়ে যায়।
অরিন আক্তার লিনা বলেন, ঋণের টাকায় শুরু করি স্বপ্নের কোয়েল পাখির খামার। যে রাতে আগুন ধরে ওই দিনও খুলনা থেকে প্রায় ৩ হাজার বাচ্চা কিনি। কিন্তু আজ আমার সব স্বপ্ন শেষ। এখন ঋণের টাকা কীভাবে দেব।
এ বিষয়ে জানতে বৈদ্যুতিক মিস্ত্রি শিমুলের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি কল ধরেননি।
মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বোরহান উল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: নড়াইলের অরুণিমায় অতিথি পাখি দেখতে পর্যটকদের ভিড়
খোকসায় পাখিভ্যান চালককে গলাকেটে হত্যা
ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: পটুয়াখালীতে ঘরবাড়ি ও আমনের ক্ষতি
পটুয়াখালীতে ঘুর্নিঝড় মিধিলির প্রভাবে টানা দুই দিন বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় নিম্নাঞ্চলে পানি জমে রোপা আমন ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া মাঠে থাকা সবজিরও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, উপকুলীয় ৫টি উপজেলার আমন ধান খেত হাটু সমান পানিতে তলিয়ে গেছে। তবে এ মুহূর্তে ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণ কাজ চলমান। তাই প্রকৃত তথ্য জানানো সম্ভব হয়নি। এদিকে ৩৩টি মাছের ঘের তলিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: বৃষ্টিতে নষ্ট হয়েছে কোটি টাকার মাছ
বাউফল উপজেলার আদাবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মনজুর আলম জানান, কয়েকটি গ্রামে বৈদ্যুতিক তারের উপর গাছ উপড়ে পড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। হাতেগোনা কয়েকটি কাচা ঘর ধ্বসে পড়েছে।
এছাড়া মোটা চালের ধান খেতের আংশিক ক্ষয়ক্ষতির কথাও জানান তিনি।
ঘূর্ণিঝড় মিধিলি কেটে গেলেও ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছেন পটুয়াখালীর উপকূলের আমন চাষিরা। মিধিলির তাণ্ডবে নিম্নাঞ্চলের ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে পাকা ধান ঘরে তোলার আগেই খেতের মধ্যে তছনছ হয়ে গেছে। এ অবস্থায় দিশেহারা চাষিরা।
কৃষকরা জানান, একের পর ধাক্কায় দিশেহারা আমন চাষিরা। মৌসুমে শুরুতে বৈরী আবহাওয়া আর টানা বৃষ্টির কারণে বীজতলা নষ্ট হওয়ার পর এবার আবার পাকা ধানে ঘূর্ণিঝড়ের হানা। অবস্থায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন প্রান্তিক চাষিরা।
এদিকে বারবার প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এবার আমন উৎপাদনের লক্ষমাত্রা অর্জন নিয়ে শঙ্কা করা হচ্ছে।
রাঙ্গাবালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ২৮ হাজার জমির পাকা ধান আক্রান্ত হয়েছে। পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে আমন খেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
শুক্রবার বিকালে ঘূর্ণিঝড়টি উপকূল অতিক্রমের সময় এর তাণ্ডবে কিছু ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ার পাশাপাশি উপরে পড়েছে অসংখ্য গাছপালা।
উপজেলা প্রশাসনের তথ্য মতে, ২ বসতবাড়ি পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে। আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অন্তত ৬টি বসত ঘর। এছাড়া ৩ হাজার ৭০০ হাজার হেক্টর রোপা আমন খেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ঝড়ে তরমুজ ও সবজি খেতের ৯৯৭ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়ে গেছে।
পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মো. নুর কুতুবুল আলম জানান, সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরই ক্ষয়ক্ষতি নির্ণয়ে মাঠে কাজ করছে। মৎস্য বিভাগের তেমন কোনো ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
তবে প্রাথমিকভাবে জেলা কৃষি বিভাগ ক্ষয়ক্ষতির একটি চিত্র জেলা প্রশাসনকে দেওয়া তথ্য থেকে জানা গেছে, ৪৪ হাজার ৯০০ জন কৃষক এবং ৩ হাজার ৯০০ হেক্টর জমির ধান, বিভিন্ন জাতের সবজি খেতের ক্ষতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: বঙ্গোপসাগরে ২টি ট্রলারসহ নিখোঁজ ২৫ জেলে, উদ্ধার ১৪
ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: বরিশালে লঞ্চ চলাচল ফের শুরু
উন্নয়ন প্রকল্পের কারণে নদী-খালের ক্ষতি করা যাবে না: প্রধানমন্ত্রী
উন্নয়ন প্রকল্পগুলো যাতে নদী ও খালসহ জলাশয়ের অবাধ প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করতে না পারে তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, নদীগুলোর নিরবচ্ছিন্ন পানি প্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে। সে কথা মাথায় রেখেই আমাদের প্রকল্প ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে হবে।
পানিসম্পদ ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই কর্মসূচিতে যোগ দেন।
তিনি বলেন, উন্নয়নের নামে প্রায়ই দেখা যায় সব জলাশয় ভরাট হয়ে যায়।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘আমি মনে করি এটা খুবই বোকামি। যখনই কোনো প্রকল্প গ্রহণ বা বাস্তবায়িত হয়, তখনই পানি সম্পদ সংরক্ষণে সবাইকে পদক্ষেপ নিতে হবে।’
শেখ হাসিনা বর্ষা মৌসুমে পানি সংরক্ষণের ওপরগুরুত্বারোপ করেন।
জলাশয়ের জন্য প্রয়োজনীয় নিয়মিত মৌলিক ড্রেজিং এবং রক্ষণাবেক্ষণ ড্রেজিংয়ের উপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, কোনো উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় নদী, খাল, বিল (হ্রদের মতো জলাভূমি) এবং অন্যান্য জলাশয়ের প্রাকৃতিক প্রবাহ যেন ব্যাহত না হয়।
তিনি প্রতিটি উন্নয়ন প্রকল্পে কমপক্ষে একটি জলাধার নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।
পানিকে দেশের সবচেয়ে বড় সম্পদ উল্লেখ করে তিনি বলেন, সকল জলাশয়কে অবশ্যই রক্ষা করতে হবে।
আরও পড়ুন: যেকোনো মূল্যে আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘প্রকৃতি তার নিজস্ব গতিতে প্রবাহিত হবে এবং সেই প্রবাহের সঙ্গে চলতে থাকা আমাদের সম্পদ সংরক্ষণে পদক্ষেপ নিতে হবে।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমের ওপর দুটি পৃথক ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দেশের প্রতিটি উপজেলায় এই চক্ষু কেন্দ্র স্থাপনের অংশ হিসেবে চতুর্থ ধাপে ২৮টি জেলার ৬৫টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে '৬৫টি কমিউনিটি চক্ষু কেন্দ্র' ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
একই কর্মসূচি থেকে তিনি ৮০টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন, ৪৩০টি ছোট নদী, খাল ও জলাশয় পুনঃখনন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০টি নতুন উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
যশোরের শার্শা উপজেলা, পাবনার সাথিয়া উপজেলা এবং মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলা ভার্চুয়ালি এই কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত হয়।
গত ১৫ বছরে বাস্তবায়িত উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে 'জয়যাত্রা' বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী।
পরে তিনি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিভিন্ন সুবিধাভোগীদের সঙ্গে কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি নিপীড়ন বন্ধের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
ঝিনাইদহে গোডাউনসহ ২ দোকান আগুনে পুড়ে ৪০ লাখ টাকার ক্ষতি
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে দুটি দোকানে আগুন লেগে ৪০ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে গেছে। সোমবার (৯ অক্টোবর) সকালে কালীগঞ্জ শহরের পুরাতন ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে আগুনে পুড়ে গেছে গুদাম ও বাসা-বাড়ি
স্থানীয়রা জানায়, সকাল ৬টার দিকে রাজধানী ক্রোকারিজ নামে একটি দোকানে আগুন জ্বলতে দেখে স্থানীয় লোকজন ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন। পরে কালীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নেভে।
কিন্তু ততক্ষণে পুড়ে যায় রাজধানী ক্রোকারিজ ও পাশের মিজানুর অ্যালুমিনিয়ামের দোকান ও গোডাউনে থাকা সব মালামাল। এতে তাদের প্রায় ৪০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা।