ছুটি
ঈদের ছুটিতে হিলি স্থলবন্দরে ৬ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ২৭ জুন থেকে ২ জুলাই পর্যন্ত দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে একটানা ছয় দিন বন্ধ থাকবে।
এসময় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সব ধরনের পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ছুটি শেষে আগামী ৩ জুলাই থেকে পুনরায় আমদানি-রপ্তানি শুরু হবে।
আরও পড়ুন: ডলারের ঊর্ধ্বগতিতে শেওলা স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে মন্দাভাব
হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানি গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, ২৯ জুন পবিত্র ঈদুল আযহা। ঈদ পালনে আগামী ২৭ জুন থেকে ২ জুলাই পর্যন্ত ৬ দিন দিনাজপুরের হিলি বন্দর দিয়ে সব ধরনের পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রাখা হবে।
এরপর ৩ জুলাই থেকে পুনরায় আমদানি-রপ্তানি শুরু করা হবে।
হিলি ইমিগ্রেশন ওসি শেখ আশরাফুল আলম জানান, হিলি বন্দরের আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও চেকপোস্ট দিয়ে পাসপোর্টধারিদের ইমিগ্রেশন দিয়ে পারাপার স্বাভাবিক থাকবে।
আরও পড়ুন: ঈদুল আজহা উপলক্ষে সোনামসজিদ স্থলবন্দরে ৬ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
হিলি স্থলবন্দরে ভারতীয় ট্রাক চালকদের মধ্যে সংঘর্ষ, আধাবেলা পর আমদানি-রপ্তানি শুরু
ঈদের ছুটি একদিন বাড়িয়ে মোট ৪ দিন
ঈদুল আজহার ছুটি ২৭ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত চার দিন বাড়িয়েছে সরকার। সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
বাংলাদেশ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানান।
আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২৮ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত তিনদিনের ঈদের ছুটি ছিল।
কিন্তু এখন ২৭ জুনকে ঈদের ছুটিতে অন্তর্ভুক্ত করে চারদিনের ছুটি করা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘ঈদের আগে ছুটি কাটাতে গ্রামে যাওয়া মানুষদের নির্বিঘ্নে যাতায়াত নিশ্চিত করতে সরকারের একটি নির্বাহী আদেশে ২৭ জুনকেও ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।’
গত ঈদুল ফিতরের ছুটির মতোই ঈদুল আযহার আগের দিন ছুটির দিনে যাত্রীদের ভিড় কমাতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে: বাংলাদেশে ২৯ জুন ঈদুল আজহা
ঈদের আগেই পোশাক শ্রমিকদের বেতন ও ঈদ বোনাস পরিশোধ করুন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ঈদের ছুটিতে ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে ৩০ লাখ মানুষ নৌপথে বাড়ি যাবে: জাতীয় কমিটি
ঈদের ছুটিতে ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে ৩০ লাখ মানুষ নৌপথে বাড়ি যাবে: জাতীয় কমিটি
বৃহত্তর বরিশালগামী যাত্রীর সংখ্যা কমলেও ঢাকা ও আশপাশের জেলা থেকে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ আসন্ন ঈদে নৌপথে উপকূলীয় জেলায় রওনা হবেন।
এর মধ্যে তিন লাখ যাত্রী নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দর দিয়ে এবং বাকি ২৭ লাখ যাত্রী ঢাকা নদীবন্দরের সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল দিয়ে যাবেন।
নৌ-পরিবহন, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির একটি প্রাক-ঈদ পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সদরঘাট গৃহমুখী মানুষের অস্বাভাবিক চাপের সম্মুখীন হবে।
রবিবার সংগঠনটির সভাপতি মোহাম্মদ শহীদ মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আশিস কুমার দে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ প্রকাশ করেন।
অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ সামাল দিতে এবং ঝামেলামুক্ত ও নিরাপদ ঈদযাত্রা নিশ্চিত করতে সরকারকে বিকল্প উপায়ে জাহাজের সংখ্যা বাড়ানোর সুপারিশ করেছে জাতীয় কমিটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোরবানির ঈদে ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ ছেড়ে যাবেন প্রায় দেড় কোটি মানুষ।
এরমধ্যে এই ঈদে লঞ্চে যাবে ৩০ লাখ (মোট যাত্রীর ২০ শতাংশ)। এসব যাত্রীর বেশির ভাগই উপকূলীয় জেলা-বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, চাঁদপুর, শরীয়তপুর ও মাদারীপুরের।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঈদুল আযহার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস ২২ জুন থেকে ঘরমুখো মানুষের ভিড় শুরু হবে। বৃহত্তর ঢাকা অঞ্চলের নৌপথের সব যাত্রী ২২ থেকে ২৬ জুন (ঈদের আগের দিন) এই ৭ দিনের মধ্যে বাড়ি যাবেন।
তবে শিক্ষার্থী ও গৃহিণীসহ প্রায় ১৫ শতাংশ (৪ লাখ ৫০ হাজার) মানুষ ঈদযাত্রা শুরুর আগেই ঢাকা ত্যাগ করবেন।
আরও পড়ুন: ঈদে নৌপথের ২৭ লাখ যাত্রীর চাপ পড়বে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে: জাতীয় কমিটি
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২২ জুন থেকে ২৮ জুন পর্যন্ত কমপক্ষে ২৫ লাখ ৫০ হাজার যাত্রী নৌপথে তাদের গন্তব্যে যাবে। এর মধ্যে ২২ লাখ ৮৫ হাজার মানুষ সদরঘাট টার্মিনাল থেকে যাত্রা শুরু করবে।
নাব্যতা সংকটের কথা উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকা থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে সরকারিভাবে ৪১টি নৌপথ রয়েছে।
তবে নাব্যতা সংকট ও যাত্রী সংকটের কারণে অন্তত ১৫টি নৌপথ দৃশ্যত ইতোমধ্যে পরিত্যক্ত হয়েছে।
নৌযানের স্বল্পতার কথা উল্লেখ করে জাতীয় কমিটি বলেছে, বাকি ২৬টি নৌপথে সর্বোচ্চ ৭০টি লঞ্চ নিয়মিত চলাচল করে। ঈদের আগে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ১৮০-এর কাছাকাছি।
এর মধ্যে সদরঘাট থেকে ৯০টি নৌযান বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে এবং ৯০টি বিভিন্ন স্থান থেকে আসবে।
নাগরিক সংস্থাটি আরও বলেছে, যদি প্রতিদিন ৯০টি লঞ্চে ৩ লাখ ২৭ হাজার যাত্রী বহন করা হয়, তবে একটি লঞ্চ গড়ে ৩ হাজার ৬৪২ জন যাত্রী বহন করবে। কিন্তু কোনো লঞ্চেরই দুই হাজারের বেশি লোক বহন করার ক্ষমতা নেই। এমনকি অনেক লঞ্চের ধারণক্ষমতা এক হাজারেরও কম। এ ছাড়া ঈদের আগের তিন দিনে ভিড় বাড়বে দেড় গুণ।
অনেক লঞ্চ চাপ সামলানোর ক্ষমতার বাইরে দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ যাত্রী বহন করে। এর ফলে ছাদে ও ডেকে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা হবে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
সংগঠনটি নৌপথে দুর্ঘটনা ও জনদুর্ভোগের ঝুঁকি কমাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের ওপর জোর দিয়েছে।
এতে নৌপথ ও টার্মিনালগুলোতে সর্বোচ্চ নজরদারি ও কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: লঞ্চ ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে কমল ১৫ পয়সা
লঞ্চ ভাড়া ৩০ শতাংশ বাড়ল
ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে আজ অফিস খুলেছে
ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে আজ অফিস খুলেছে। কিন্তু কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উপস্থিতি কম। কর্মস্থলগুলোতে এখনও ফেরেনি পুরো কর্মচাঞ্চল্য।
সোমবার (২৪ এপ্রিল) ঈদের পর প্রথম কর্মদিবসে সচিবালয় কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উপস্থিতি অনেক কম। বেশিরভাগ কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐচ্ছিক ছুটিতে রয়েছেন।
আজ সচিবালয়ে সকালে সরেজমিনে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ঘুরে এই চিত্র দেখা যায়।
আরও পড়ুন: ঈদের ছুটি আরও ১ দিন বাড়ল
গত ১৯ এপ্রিল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়। তাদের সেই ছুটি শেষ হয় রবিবার (২৩ এপ্রিল)।
জানা যায়, যারা দূর-দূরান্তে ঈদ করতে গেছেন, তারা সবাই ঐচ্ছিক ছুটি নিয়েছেন। তাই উপস্থিতি কম।
ঈদের পর প্রথম কর্মদিবসে সচিবালয়ের বারান্দা, সিড়ি, লিফট, সর্বত্রই ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় চলছে। একে অপরকে দেখা মাত্রই বুকে জড়িয়ে নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালে ব্যাংকগুলো সরকারি ছুটি পাবে ২৪ দিন
ঈদের ছুটিতে বিভিন্ন এলাকায় ৭২ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে গ্যাস সরবরাহ
দেশে বিদ্যমান গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইনে জরুরি রক্ষণাবেক্ষণের কারণে ঈদের ছুটি পালনের সময় নারায়ণগঞ্জ ও রূপগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় ২৩ এপ্রিল (রবিবার)দিবাগত রাত ১২টা থেকে ২৬ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত ৭২ ঘন্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন: ঢাকার কিছু এলাকায় ৮ ঘণ্টা ও নারায়ণগঞ্জে ৯ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের তথ্য অনুযায়ী, এর মধ্যে রয়েছে জাপানিজ ইকোনমিক জোন, আড়াইহাজার, রূপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ এলাকা, রূপসী, রূপগঞ্জ, ভুলতা, কাঞ্চন, ভাটপাড়া, মুরাপাড়া, বরপা, তারাবো এবং পেরাবো, সিটি ইকোনমিক জোন, মেঘনা এনার্জি। সামিট পাওয়ার আরইবি (মাধবদী) এবং সিটি সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ।
এসময় আড়াইহাজার, মাধবদী, পাঁচদোনা, নারায়ণগঞ্জসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকার ভোক্তারা। ফতুল্লা, শ্যামপুর, কদমতলী, কেরানীগঞ্জ, জিনজিরা এবং ঢাকা শহরের দক্ষিণাঞ্চলে গ্যাস সরবরাহে নিম্নচাপ থাকবে বলে তিতাস গ্যাস সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন: পদক্ষেপ সত্ত্বেও দেশে দৈনিক গ্যাস সরবরাহে ঘাটতি দেখা দেবে ১০০০ এমএমসিএফডি: পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যান
ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় বৃহস্পতিবার ৮ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে
ঈদের ছুটি আরও ১ দিন বাড়ল
ঈদে ঘরমুখী মানুষদের স্বার্থে সরকার ২০ এপ্রিল ছুটি ঘোষণা করে সরকারি কর্মচারীদের জন্য আসন্ন ঈদুল ফিতরের ছুটি এক দিন বাড়িয়েছে।
সোমবার সংসদ ভবনের মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে ঈদের ছুটির অনুমোদন দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালে নির্বাহী আদেশে ২২ দিন সরকারি ছুটি
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বাংলাদেশ সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, সুখবর হল ২০ এপ্রিল ছুটি থাকবে যাতে মানুষের ঈদযাত্রা সহজ হয়।
এছাড়া ১৯ এপ্রিল শবে কদরের ছুটি পড়ার কারণে এখন সরকারি কর্মচারীরা ঈদুল ফিতরের সময় কমপক্ষে পাঁচ দিনের ছুটি পাবে।
এদিকে ঈদুল ফিতর ২২ এপ্রিল হলে (২৯ দিনের রমজানের ক্ষেত্রে) পাঁচ দিনের ছুটি হবে। আর ২৩ এপ্রিল ঈদুল ফিতর হলে ছুটি আরও একদিন বাড়ানো হবে।
আরও পড়ুন: টানা তিনদিনের ছুটিতে কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল
খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে বানরের ছুটাছুটি
২০২৩ সালে ব্যাংকগুলো সরকারি ছুটি পাবে ২৪ দিন
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত ছুটির তালিকার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রবিবার দেশের তফসিলি ব্যাংকগুলোর জন্য ২০২৩ সালের ছুটির তালিকা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি)।
রবিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক মো. আব্দুল মান্নান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনটি অফ-সাইট সুপারভিশন ডিপার্টমেন্ট থেকে জারি করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিটি তফসিলি ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
নির্দেশনা অনুসারে, ব্যাংকগুলো ২০২৩ সালে ১ জুলাই ও ৩১ ডিসেম্বরের ব্যাংক ছুটিসহ মোট ২৪ দিন ছুটি পাবে।
আরও পড়ুন: ব্যাংকের নতুন সময়সূচি নির্ধারণ, লেনদেন সকাল ১০টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা
এসব ছুটির মধ্যে চারটি শুক্রবার এবং তিনটি শনিবার পড়ে গেছে, যা দেশের সাপ্তাহিক ছুটির অন্তর্ভুক্ত।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্কুলার অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ছুটির তালিকায় রয়েছে- ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস, ৮ মার্চ শব-ই-বরাত, ১৭ মার্চ জাতির পিতার জন্মদিন ও শিশু দিবস, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস, ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষ, ১৯ এপ্রিল শব-ই-কদর, ২১ এপ্রিল জুমআতুল বিদা, ২১-২৩ এপ্রিল ঈদ-উল-ফিতর, ১লা মে মে দিবস, ৪মে বুদ্ধ পূর্ণিমা, ২৮-৩০ জুন ঈদ-উল-আযহা, ১ জুলাই ব্যাংক ছুটি, ২৯ জুলাই পবিত্র আশুরা, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস, ৬ সেপ্টেম্বর জন্মাষ্টমী, ২৮ সেপ্টেম্বর ঈদে মিলাদুন্নবী, ২৪ অক্টোবর দুর্গাপূজা (বিজয় দশমী), ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস, ২৫ ডিসেম্বর যীশু খ্রিস্টের জন্মদিন এবং ৩১ ডিসেম্বর ব্যাংক ছুটি।
আরও পড়ুন: ব্যাংকগুলোকে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে এসিইউ লেনদেন বন্ধের নির্দেশ বিবি’র
ঋণ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে আইএমএফ দল
২০২৩ সালে নির্বাহী আদেশে ২২ দিন সরকারি ছুটি
আগামী বছর ২২ দিনের সরকারি ছুটির অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ।
সোমবার বাংলাদেশের মন্ত্রিসভা ২০২৩ ক্যালেন্ডার বছরের জন্য ২২টি ছুটির প্রস্তাবিত তালিকা অনুমোদন করেছে। তবে আটটি ছুটি সাপ্তাহিক ছুটির (শুক্রবার ও শনিবার) সঙ্গে মিলে যাবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।
বাংলাদেশ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, সরকারের নির্বাহী আদেশে ১৪টি সাধারণ ছুটি এবং বাকি আট দিন ছুটি থাকবে।
আরও পড়ুন: ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল সরকারি ছুটি, মঙ্গলবার নামছে সশস্ত্র বাহিনী
মুজিবনগর দিবস: ১৭ এপ্রিল সরকারি ছুটি ঘোষণা মুজিবনগরে
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংকে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে কৃষি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। এর সঙ্গে তাদের সার্বক্ষণিক কর্মস্থলে অবস্থানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সোমবার বিকালে সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে কৃষিতে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় জরুরি প্রস্তুতিমূলক সভায় এ নির্দেশ দেয়া হয়। এসময় ৮০ শতাংশ পরিপক্ব হলেই ধান কাটার নির্দেশও দেয়া হয়।
কৃষিসচিব মো. সায়েদুল ইসলাম সভাপতিত্বে সভায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, (সম্প্রসারণ) রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া, অতিরিক্ত সচিব (গবেষণা), অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা), মহাপরিচালক (বীজ)সহ মন্ত্রণালয়ের উর্ধতন কর্মকর্তা, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, সংস্থা প্রধান, ঘূর্ণিঝড়প্রবণ জেলাগুলোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত ও নির্দেশনা হলো-
১. জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন সকল দপ্তর/সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল এবং সার্বক্ষণিক কর্মস্থলে অবস্থানের নির্দেশ।
২. সকল জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কৃষি বিভাগের অফিসে সার্বক্ষণিক যোগাযোগের জন্য নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা।
৩. ঘূর্ণিঝড় পূর্ব প্রস্তুতি ও পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য কৃষকদেরকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান।
৪. উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষি কর্মকর্তাদের সার্বক্ষণিক মাঠে অবস্থান করে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করা।
৫. ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণ করে জরুরি ভিত্তিতে মন্ত্রণালয়ে রিপোর্ট প্রদান।
৬. ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী পুনর্বাসন পরিকল্পনা অগ্রিম প্রস্তুত করে রাখা যাতে করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কৃষকদের পুনর্বাসন সহায়তা প্রদান করা যায়।
৭. যেসব এলাকায় আমন ধান ৮০% পেকেছে সেগুলো কর্তনের জন্য পরামর্শ প্রদান।
৫. উপকূলীয় এলাকায় ফসল খেতে পানি প্রবেশ করলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে পানি নিস্কাশনের জন্য ব্যবস্থা করা।
৯. জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে কৃষি কর্মকর্তাগণ সার্বক্ষণিক সমন্বয় সাধন করা।
১০. স্লুইচ গেট অপারেশনের মাধ্যমে লবণাক্ত পানি শস্য খেতে প্রবেশ রোধ করতে হবে। অধিক উচ্চতায় জোয়ারের কারণে লবণাক্ত পানি প্রবেশ করলে তা নিষ্কাশনের দ্রুত ব্যবস্থা করতে হবে। এ বিষয়ে কৃষি বিভাগ নিয়মিতভাবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করবে।
আরও পড়ুন: করতোয়ায় ট্রলারডুবি: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৬, এখনও নিখোঁজ ৪০
করতোয়ায় ট্রলারডুবি: নিহত বেড়ে ৩৬
দৌলতদিয়ায় ৩ কিমি. দীর্ঘ যানজট
কয়েক দিনের টানা ছুটি, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবীর কারণে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটে নদী পাড়ের অপেক্ষায় রয়েছে কয়েকশ’ গাড়ি। দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দৌলতদিয়া ক্যানাল ঘাট ছাড়িয়ে প্রায় তিন কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এসব গাড়ির যাত্রীরা দুই-তিন ঘন্টার বেশি ধরে আটকে রয়েছেন।
রবিবার বিকালে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দুপুর থেকে দৌলতদিয়া প্রান্তে ঢাকামুখী যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে ছেড়ে আসা ঢাকামুখী যাত্রীবাহী পরিবহনের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের গাড়ির চাপ বাড়ে। সেই সঙ্গে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে দূর-দূরান্ত থেকে আসা ফরিদপুরের আটরশিগামী গাড়ি ফিরতে থাকায় বাড়তি চাপ তৈরি হয়। এসব গাড়ি মিলে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দৌলতদিয়া ক্যানাল ঘাট ছাড়িয়ে প্রায় তিন কিলোমিটার লম্বা গাড়ির লাইন তৈরি হয়।
এছাড়া শারদীয় দূর্গাপূজা সহ সাপ্তাহিক ছুটিতে থাকা অনেকে কর্মস্থলের দিকে ছুটছে। ওই সব মানুষবাহী গাড়ির চাপও রয়েছে। পদ্মা সেতু চালুর পর এই প্রথম যানবাহনের এতবড় লম্বা লাইন তৈরী হয়েছে।
কয়েক দিনের টানা ছুটি, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবীর কারণে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটে নদী পাড়ের অপেক্ষায় রয়েছে কয়েকশ’ গাড়ি। দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দৌলতদিয়া ক্যানাল ঘাট ছাড়িয়ে প্রায় তিন কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এসব গাড়ির যাত্রীরা দুই-তিন ঘন্টার বেশি ধরে আটকে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: রাজধানীর উত্তরা থেকে মহাখালী পর্যন্ত যানজট, যাত্রী দুর্ভোগ চরমে
দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ১৬টি ফেরির মধ্যে বর্তমানে চলাচল করছে মাত্র ১০টি ফেরি। এরমধ্যে ৫টি রো রো (বড়), ৪টি ইউটিলিটি (ছোট) এবং ১টি কেটাইপ ফেরি চালু রয়েছে। অবশিষ্ট ফেরি পাটুরিয়ার ভাসমান কারখানা মধুমতিতে রাখা হয়েছে। এছাড়া দৌলতদিয়া প্রান্তে ৭টি ঘাটের মধ্যে বর্তমানে সচল রয়েছে ৪টি ঘাট। এরমধ্যে পানির নাব্যত কমতে থাকায় ৭নম্বর ঘাটের একটি পকেট বন্ধ রয়েছে। পন্টুনের সংস্কার কাজ চলায় রবিবার সকাল থেকে পকেটটি বন্ধ রাখা হয়েছে। ৬ নম্বর ঘাটটি ইউটিলিটি (ছোট) ফেরির জন্য। সবচেয়ে ব্যস্ততম এবং বড় ৫ নম্বর ঘাট নদী ভাঙনের কবলে পড়ায় ৬ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ রয়েছে। ৪নম্বর ঘাট শুধুমাত্র ভিআইপি ফেরির জন্য সচল থাকে। ৩নম্বর ঘাটটি গতকাল শনিবার সারাদিন একটি পকেট যান্ত্রিক সমস্যায় বন্ধ ছিল, বর্তমানে সচল রয়েছে। বাকি ১ এবং ২ নম্বর ফেরি ঘাট ২০১৯ সালে ভাঙনে বিলীন হয়। পরে সংস্কার করলেও ঘাট দুটি চালু হয়নি।
দৌলতদিয়া ঘাট পরিবহন শ্রমিক মো. রানা শেখ বলেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি সংখ্যা বেশি থাকলেও গাড়ির স্বল্পতায় সবকটি ফেরি চালু করা হয়না। শনিবার সাপ্তাহিক ও ঈদে মিলাদুন্নবীর ছুটিতে অধিকাংশ কর্মজীবী মানুষ গ্রামের বাড়ির দিকে ছুটছে। আবার পূজাসহ সাপ্তাহিক ছুটি কাটিয়ে কেউ কর্মস্থলের দিকে ছুটতে থাকায় শনিবার রাত থেকে দৌলতদিয়া এবং পাটুরিয়া ঘাটে গাড়ির চাপ পড়ে। এরপর সবকটি ফেরি চালু না করায় দৌলতদিয়া প্রান্তে গাড়ির লম্বা লাইন তৈরি হয়েছে।
ফরিদপুরের আটরশি ফেরত আলামিন শেখ নামের এক বাসযাত্রী বলেন, গতকাল শনিবার রাতে তারা গাজীপুর থেকে তিনটি বাস বোঝাই করে আটরশিতে যান ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করতে। রাত শেষে সকালে মিছিল ও দোয়া অনুষ্ঠান শেষে দুপুরের পর রওনা করেন। তাদের মতো এরকম শতাধিক আটরশি ফেরত গাড়ি দুই ঘন্টার বেশি লম্বা লাইনে আটকা রয়েছে।
আরও পড়ুন: নতুন অফিস সময়: সকালেই রাজধানীতে তীব্র যানজট
কুষ্টিয়া থেকে আসা লালন পরিবহনের ঘাট তত্বাবধায়ক ফিরোজ আহম্মেদ বলেন, রবিবার দুপুর থেকে দৌলতদিয়া প্রান্তে গাড়ির চাপ বাড়তে থাকে। অনেকে রয়েছেন যারা সাপ্তাহিক ছুটি শেষে নিজ গন্তব্যে ফিরছেন। অনেকে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবীর ছুটি কাটাতে ছুটছেন। এছাড়া ফরিদপুরের আটরশি ফেরত অনেক গাড়ি আসায় বাড়তি চাপ দেখা দিয়েছে। পদ্মা সেতু চালুর পর প্রথম ঘাট থেকে প্রায় দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত তিন কিলোমিটার যানবাহনের লাইন তৈরি হয়।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সালাহ উদ্দিন বলেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ছোট-বড় মিলে ১৬টি ফেরি রয়েছে। যানবাহনের চাপ না থাকায় মাত্র ১০টি ফেরি চালু রেখে বাকিগুলো পাটুরিয়ার ভাসমান কারখানায় বসিয়ে রাখা হয়। রবিবার দুপুর থেকে ছুটি ও ঈদে মিলাদুন্নবীর কারণে চাপ বাড়তে থাকায় গাড়ির লম্বা তৈরি হয়েছে। প্রয়োজনে আমরা বসিয়ে রাখা ফেরিগুলো নামাতে পারি।
আরও পড়ুন: সড়ক দুর্ঘটনার জেরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৩৫ কিমি দীর্ঘ যানজট