ডিম
৩৫টি জেলায় দুধ-ডিম-মাংস বিক্রি: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে ঢাকাসহ ৩৫টি জেলায় সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম, মাংস বিক্রি করা হচ্ছে।
এ কার্যক্রমের আওতায় উদ্বোধনের দিন থেকে ২৭ রমজান পর্যন্ত ৫ লাখ ৯১ হাজার ৯৭১ জন জন সুলভ মুল্যে দুধ, ডিম, মাংস কিনেছেন।
সোমবার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মচারীদের চিকিৎসা ও শিক্ষা অনুদান ফোসার
এতে কলা হয়, প্রথমে রাজধানীতে এ কার্যক্রম শুরু হলেও বর্তমানে ঢাকাসহ ৩৫ টি জেলায় সুলভ মুল্যে দুধ, ডিম, মাংস বিক্রয় করা হচ্ছে।
জেলাগুলো হলো- ঢাকা, চট্রগ্রাম, কুমিল্লা, নোয়াখালী (সেনবাগ), ফেনী, লক্ষ্মীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর, বান্দরবান, রাঙামাটি, রাজশাহী, নরসিংদী, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, জয়পুরহাট, নাটোর, বগুড়া, চাপাইনবাবগঞ্জ, বাগেরহাট, মাগুরা, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, নীলফামারী, পঞ্চগড়, পটুয়াখালী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, জামালপুর, ময়মনসিংহ, কুষ্টিয়া, যশোর, সাতক্ষীরা, রংপুর, মৌলভীবাজার, নওগাঁ (বদলগাছী)।
তবে উৎপাদন খরচ ও আনুষঙ্গিক ব্যয় বিবেচনায় ঢাকা জেলা ছাড়া বাকি জেলাগুলোতে পণ্যের দামের তারতম্য রয়েছে এবং বিভিন্ন তারিখে এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
২৭ রমজান পর্যন্ত মোট ১ লাখ ৯৯ হাজার ১৮৮ কেজি গরুর মাংস, ৫ হাজার ১৩১ কেজি খাসির মাংস, ২ লাখ ১৬ হাজার ৪২৭ কেজি ড্রেসড ব্রয়লার, ২ লাখ ৩৮ হাজার ৮৬১ লিটার তরল দুধ ও ৪২ লাখ ৯ হাজার ৩৫৬ ডিম বিক্রয় করা হয়েছে।
২৭ রমজান পর্যন্ত সর্বমোট ২২ কোটি ৩৩ লাখ ৬৮ হাজার টাকার এসব পণ্য বিক্রয় করা হয়েছে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর বাস্তবায়নাধীন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প, বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল এবং দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাত প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য অংশীজনের সহযোগিতায় এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
পবিত্র রমজাম মাস উপলক্ষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে গত ১০ মার্চ থেকে রাজধানীর ৩০টি স্থানে সুলভ মুল্যে দুধ, ডিম ও মাংস এবং ৮টি স্থানে মাছ বিপণন করা হচ্ছে।
রাজধানীতে তরল দুধ প্রতি লিটার টাকা এবং ডিম প্রথমদিকে ৯ দশমিক ১৭ টাকা হিসেবে এক ডজন ১১০ টাকা দরে বিক্রয় করা হলেও বর্তমানে প্রতি ডজন ১০০ টাকা দরে বিক্রয় করা হচ্ছে।
মাছ বিক্রয় কার্যক্রম ১৫ রমজানে শেষ হলেও দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রয় কার্যক্রম ২৮ রমজান পর্যন্ত চলবে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান এ মাসের ১০ তারিখে সুলভ মুল্যে দুধ, ডিম, মাংস ও মাছ বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: পুনরাবৃত্তি-মূলধনী ব্যয়ের ভারসাম্য বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ অর্থ মন্ত্রণালয়ের
কক্সবাজারে বন কর্মকর্তার হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতে কাজ করছে মন্ত্রণালয়: পরিবেশমন্ত্রী
ডিমের দাম বাড়ানোয় ডায়মন্ড এগ ও সিপিকে জরিমানা
অস্বাভাবিকভাবে দাম বাড়ানোয় ডিম সরবরাহকারী দুই প্রতিষ্ঠানকে সাড়ে তিন কোটি টাকা জরিমানা করেছে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন (বিসিসি)।
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগসাজশ করে ডিমের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ডায়মন্ড এগ লিমিটেডকে আড়াই কোটি টাকা এবং সিপি বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেডকে এক কোটি টাকা জরিমানা করেছে কমিশন।
এর আগে প্রতিষ্ঠান দুটির বিরুদ্ধে মামলা করেছিল বিসিসি। মামলার শুনানি শেষে গত ২২ জানুয়ারি কমিশন এ জরিমানার আদেশ দেয়।
আরও পড়ুন: ঢাকা-লন্ডন সম্পর্ক আধুনিক অংশীদারিত্বের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে: ক্যামেরন
রায় ঘোষণার ৩০ দিনের মধ্যে জরিমানার টাকা বিসিসির সংশ্লিষ্ট বিভাগে জমা দিতে হবে। তা না হলে জরিমানার সাথে প্রতিযোগিতা আইনের আলোকে প্রতিদিন এক লাখ টাকা করে যোগ করা হবে।
বাংলাদেশ ডাক কমিশনের নবম সভায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিবেদন এবং '১৫ দিনে ডিম ও মুরগির বাজার থেকে ৫১৮ কোটি টাকা লুট' শিরোনামে অনলাইন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন এবং বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এ বিষয়টি তদন্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
অভিযোগের সংক্ষিপ্ত বিবরণে বলা হয়, তদন্ত প্রতিবেদনে প্রাথমিকভাবে বাজারে ডিমের বিক্রয়মূল্য অস্বাভাবিকভাবে নির্ধারণ এবং বাজারে ডিমের সরবরাহ সীমিত বা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সিপি বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড, ডায়মন্ড এগ লিমিটেডসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতা আইন লঙ্ঘনে অভিযোগ উঠেছে।
রায়ের সারসংক্ষেপে বলা হয়, তদন্ত প্রতিবেদন এবং আইনজীবীদের লিখিত ও মৌখিক যুক্তিতর্কের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠান দুটিকে জরিমানার আদেশ দেয় বিসিসি।
আরও পড়ুন: গণহত্যার নায়ককে পুরস্কৃত করেছিল এরশাদ-খালেদা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বিদেশি সাহায্যপ্রাপ্ত প্রকল্পগুলো নিয়মিত পর্যালোচনা করবে সরকার
এতদিন ব্যবসায়ীরা ডিমে বেশি মুনাফা করেছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
এতদিন ব্যবসায়ীরা ডিমে বেশি মুনাফা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা এতদিন ডিমে বেশি মুনাফা করেছে। দেশে প্রতিদিন ৪ কোটি ডিমের চাহিদা আছে। মাত্র ৬১ হাজার ডিম আমদানির সঙ্গে সঙ্গে বাজারে ডিমের মূল্য কমে আসে।
শনিবার (২৫ নভেম্বর) ঢাকায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি) ভোক্তা অধিকার সচেতনতাবিষয়ক বিতর্ক প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফাইনাল ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: টিসিবির স্মার্ট কার্ড স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
অবশেষে আমদানি করা ডিম আসছে, প্রতি পিস ডিমের দাম মাত্র ৭ টাকা
ভারত থেকে ডিমের প্রথম চালান দেশে এসে পৌঁছেছে। শুল্কসহ একটি ডিমের দাম ৭ টাকা ২৩ পয়সা। ভারত থেকে আমদানি করা এই ডিম সোমবার যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে একটি ট্রাকে করে বাংলাদেশে প্রবেশ করে।
সরকার ১ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে। প্রথম চালানে ব্যক্তিগতভাবে একজন ব্যবসায়ী আমদানি করেন ৬১ হাজার ৯৫০টি। রবিবার রাত ১০টার দিকে ট্রাকটি বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে ছেড়ে যায়।
আরও পড়ুন: আরও ৬ কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন: বাণিজ্য মন্ত্রণালয়
বেনাপোল স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ও ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং (সিএন্ডএফ) এজেন্ট সূত্রে জানা গেছে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়ার পর প্রথম চালান হিসেবে একটি ভারতীয় কার্গো ট্রাকে ৬১ হাজার ৯৫০টি ডিম আমদানি করে ঢাকার বিডিএস করপোরেশন।
একটি ডিমের আমদানি মূল্য ধরা হয়েছে ৫ টাকা ৪৩ পয়সা, যার ওপর প্রতি ডিমের ওপর শুল্ক আরোপ করা হয় ১ টাকা ৮ পয়সা।
বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) রেজাউল করিম জানান, রবিবার সন্ধ্যায় ভারত থেকে একটি ট্রাকে করে ডিমের প্রথম চালানটি আসে। ভারতীয় ট্রাক থেকে স্থানান্তরের পর রাত ১০টার দিকে ডিমগুলো নিয়ে বন্দর ত্যাগ করে বাংলাদেশি ট্রাক।
ডিম আমদানিকারকের সিএন্ডএফ এজেন্ট এমই এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি সৈয়দ মাহিদুল হক বলেন, এর সঙ্গে পরিবহন খরচ যোগ হবে।
আরও পড়ুন: আমদানি করা ডিম বাজারে আসবে এ সপ্তাহেই: বাণিজ্যমন্ত্রী
আরও ৫ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার
সরকার নির্ধারিত দামে এখনো বিক্রি হয় না পেঁয়াজ-আলু ও ডিম
আলু, ডিম ও দেশি পেঁয়াজের জন্য সরকার নির্ধারিত দাম কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার দেড় মাস পরেও তা বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। বরং এই সময়ের মধ্যে পেঁয়াজ ও ডিমের দাম বেড়েছে।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয় ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সভায় আলু, ডিম ও দেশি পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ করা হয়।
বাজার সূত্রে জানা গেছে, যখন দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল, তখন বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ছিল ৭০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে, যা এখন ৯০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ৪ কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার: বাণিজ্য সচিব
এছাড়া প্রতি ডজন ডিমের দাম ছিল ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা, যা এখন বাজারভেদে বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকায়।
তবে ওই সময়ের তুলনায় আলুর দাম বাড়েনি, স্থিতিশীল রয়েছে। গত ১৪ সেপ্টেম্বর যখন আলুর দাম নির্ধারণ করা হয়, তখন আলুর দাম ছিল ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, যা এখনো একই রয়েছে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এই মূল্য কার্যকর করতে বাজার অভিযান পরিচালনা করছে। তবে সরবরাহে ঘাটতি থাকায় তা কাজ করছে না।
প্রায় দেড় কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হলেও সেই ডিম এখনো দেশে আসেনি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত সপ্তাহের মধ্যে ডিম আসার কথা বললেও এখন আমদানিকারকরা বলছেন, পূজার আগে তা সম্ভব নয়। পূজার ছুটিতে ভারত-বাংলাদেশ স্থলবন্দর বন্ধ ছিল।
আরও পড়ুন: আমদানি করা ডিম বাজারে আসবে এ সপ্তাহেই: বাণিজ্যমন্ত্রী
আলু কিনতে প্রতি কেজি ৪৫ থেকে ৫০ টাকা দিতে হয়। যদিও নির্ধারিত হার ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা। দেশি জাতের পেঁয়াজের নির্ধারিত দাম ৬৪ থেকে ৬৫ টাকা। তবে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে।
রাজধানীর কোথাও কোথাও প্রতি হালি (৪ পিস) ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫৩ থেকে ৫৫ টাকা দরে, যেখানে সরকার নির্ধারিত প্রতি হালি ডিমের দাম ৪৮ টাকা।
এ বিষয়ে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসেন ইউএনবিকে বলেন, মন্ত্রণালয়গুলো পেঁয়াজ, আলু ও ডিমের দাম নির্ধারণের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে। তবে সরকার ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো দাম বাস্তবায়নে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি, যা অসাধু ব্যবসায়ীদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়াতে উৎসাহিত করেছে।
আরও পড়ুন: চিংড়ি-মাছ রপ্তানিতে নগদ সহায়তা দিতে বিবি’র নতুন নীতিমালা জারি
আমদানি করা ডিম বাজারে আসবে এ সপ্তাহেই: বাণিজ্যমন্ত্রী
তিন-চার দিনের মধ্যে আমদানি করা ডিম দেশে আসবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান ডিমের বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় বাজারে ডিমের সরবরাহ বাড়ানো এবং বাজারদর স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে ১৫ কোটি ডিম আমদানির জন্য ১৫টি প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
এর মধ্যে সাতটি প্রতিষ্ঠান এলসি খুলেছে। আশা করা হচ্ছে চলতি সপ্তাহে ডিম আমদানির প্রথম চালান দেশে প্রবেশ করবে।
রবিবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারীদের মধ্যে সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য বিপণনের অক্টোবর মাসের কার্যক্রম উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
আরও পড়ুন: আগামী জানুয়ারির মধ্যে টিসিবির স্মার্টকার্ড বিতরণ করা হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, আমদানি করা ডিমের প্রতিটি চালানের জন্য বেশ কিছু শর্ত আরোপ করা হয়েছে। যার মধ্যে একটি হলো এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লু ভাইরাস ও ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া মুক্ত বলে রপ্তানিকারক দেশের সরকারের দেওয়া সনদ দাখিল করতে হবে।
তিনি বলেন, দেশে এর আগে ডিম আমদানি হয়নি এবং এই সনদ পেতে আমদানিকারদের কিছুটা সময় লাগায় ডিম আসতে দেরি হচ্ছে।
আলু আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে কি না- এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে টিপু মুনশি বলেন, আমরা দেশে এখনো আলু আমদানির অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিইনি। দেশে আলুর পর্যাপ্ত মজুদ আছে বলে আমাদের কাছে তথ্য আছে।
মন্ত্রী বলেন, বাজার মনিটরিং চলছে। যদি দাম আরও ঊর্ধ্বগতির দিকে যায় তাহলে কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনে আলু আমদানির উদ্যোগ নেবে সরকার।
এর আগে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, জুলাই মাস থেকে টিসিবির তেল, চিনি, ডালের পাশাপাশি চাল দেওয়া শুরু হয়। এ মাস থেকে পেঁয়াজ দেওয়া শুরু হলো। যা রাজধানীর মধ্যে আপাতত সীমাবদ্ধ থাকবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা জানি বৈশ্বিক কারণে বেশ কয়েকটি নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে। সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে রাখতে। কিন্তু আমদানি করা পণ্যের দাম আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করতে হয়। যার জন্য চাইলেও কমানো সম্ভব হয় না। তবে আমরা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত বাজার নিয়ন্ত্রণে মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করছি।
টিপু মুনশি বলেন, টিসিবির কার্ড বিতরণে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে ১ কোটি কার্ডকে স্মার্ট কার্ডে রূপান্তরের কাজ শেষ পর্যায়ে। এ মাসের শেষ নাগাদ বিতরণ কার্যক্রম শুরু করতে পারব বলে আশা করছি।
আরও পড়ুন: ৩০০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে চায় বাংলাদেশ: বাণিজ্যমন্ত্রী
ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিদেশি ব্যবসায়ীদের দেশে বিনিয়োগের আহ্বান বাণিজ্যমন্ত্রীর
আরও ৫ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার
বাজারে দাম স্থিতিশীল রাখতে রবিবার ৫টি কোম্পানিকে আরও ৫ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. হায়দার আলীর সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রতিটি কোম্পানি এক কোটি ডিম আমদানি করতে পারবে।
কোম্পানিগুলো হলো- ইউনিয়ন ভেঞ্চার লিমিটেড, জেএফজে প্যারাডাইস কানেকশন, লায়েক এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স লাকি এন্টারপ্রাইজ ও মেসার্স পিংকি ট্রেডার্স।
আরও পড়ুন: আরও ৬ কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন: বাণিজ্য মন্ত্রণালয়
তবে যেসব দেশ থেকে ডিম আমদানি করা হবে সেসব দেশের নাম উল্লেখ করা হয়নি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।
এর আগে ২৩ আগস্ট বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ঘোষণা দেন, প্রয়োজনে ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ডিমের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সদস্যরা নগরীর বিভিন্ন পাইকারি বাজারে অভিযান চালিয়ে জরিমানা আদায় করছেন।
আরও পড়ুন: ৪ কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার: বাণিজ্য সচিব
আলু, পেঁয়াজ, চিনি, সয়াবিন ও ডিমের দাম নির্ধারণ করেছে সরকার
ইলিশের ডিম ছাড়তে সুযোগ করে দিতে হবে: পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেছেন, ইলিশ মাছের দাম বেশি হলে বুঝতে হবে তার চাহিদা প্রচুর পরিমাণ। আর এ চাহিদা পূরণ করতে হলে মা ইলিশকে ডিম ছাড়তে সুযোগ করে দিতে হবে এবং মাছকে বড় হওয়ার সময় দিতে হবে। তাহলে আমরা মাছ খেতে পারব।
আরও পড়ুন: মূল্যস্ফীতি নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই: পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে চাঁদপুর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে চতুরঙ্গ সাংস্কৃতিক সংগঠন আয়োজিত ১৫তম জাতীয় ইলিশ উৎসবের সমাপনী দিনে গোল টেবিল আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, কৃষি মৌলিক পণ্যসহ ইলিশের ক্ষেত্রে সিন্ডিকেশন সম্ভব নয়। এর সিন্ডিকেট হলে ব্যবসায়ীর সংখ্যা বেড়ে যাবে। আমরা কিছু হলেই সিন্ডিকেট বলি। ৩০ থেকে ৩৫ হাজার বাজারে সিন্ডিকেট কীভাবে সম্ভব হবে!
ড. শামসুল আলম বলেন, কৃষকদের সহায়তা করা আওয়ামী লীগের অন্যতম নীতি। ইলিশের দাম ওভাবে বাড়েনি। আসলে সরবরাহ চাহিদার সঙ্গে মিলছে না। আর এজন্যে উৎপাদন বাড়াতে হবে। আসুন ইলিশ মাছকে সংরক্ষণ করে দেশকে আরও উন্নত করি।
আরও পড়ুন: উচ্চশিক্ষার মান এখনো কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি: পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী হচ্ছেন শামসুল আলম, রবিবার শপথ
আরও ৬ কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন: বাণিজ্য মন্ত্রণালয়
ডিমের দাম স্থিতিশীল রাখতে আরও ৬ কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়, সরকার ৬টি কোম্পানিকে ১ কোটি করে ডিম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে।
এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর চারটি কোম্পানি ৪ কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন পায় এবং প্রতিটি কোম্পানি ১ কোটি ডিম আমদানি করতে পারে।
আরও পড়ুন: আলু, পেঁয়াজ, চিনি, সয়াবিন ও ডিমের দাম নির্ধারণ করেছে সরকার
ডিমের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সদস্যরা নগরীর বিভিন্ন পাইকারি বাজারে অভিযান পরিচালনা করে জরিমানা আদায় করছে।
বাংলাদেশ ডিম উৎপাদনকারী সমিতির মতে, চাহিদা মেটাতে দেশে প্রতিদিন ৩৫ থেকে ৪০ মিলিয়ন ডিমের প্রয়োজন হয়। আর বেশিরভাগ ডিমই দেশীয় উৎপাদকদের কাছ থেকে পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: ৪ কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার: বাণিজ্য সচিব
আলু, পেঁয়াজ, চিনি, সয়াবিন ও ডিমের দাম নির্ধারণ করেছে সরকার
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) খুচরা পর্যায়ে প্রতি পিস ডিমের দাম ১২ টাকা নির্ধারণ করেছে।
এ ছাড়া মন্ত্রণালয় প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ৬৪-৬৫ টাকা, আলু ৩৫-৩৬ টাকা কেজি, বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৬৯ টাকা লিটার, প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৪৯ টাকা, প্রতি লিটার পাম অয়েল ১২৪ টাকা, চিনির (খোলা) দাম প্রতি কেজি ১২০ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনির দাম ১৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
কৃষি মন্ত্রণালয় এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সুপারিশের ভিত্তিতে দাম নির্ধারণ করেছে মন্ত্রণালয়।
এর আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এসব পণ্যের উৎপাদন ও বিপণন ব্যয়ের ভিত্তিতে মন্ত্রণালয়গুলোর কাছে সুপারিশ চেয়েছিল।
বাণিজ্য সচিব ইউএনবিকে বলেন, সরকার নির্ধারিত মূল্যে এসব পণ্য বিক্রি নিশ্চিত করতে সারাদেশে অভিযান পরিচালনা এবং মনিটরিং বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরও পড়ুন: বিক্রেতাদের সঙ্গে দর কষাকষিতে হতাশ ক্রেতারা
প্রয়োজনে ডিম আমদানি করা হবে: মন্ত্রী