ডলার
ইকোনোমিক জোনে ২১.৮৫ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে চীনের কোম্পানির চুক্তি সই
বেপজার অর্থনৈতিক অঞ্চলে ক্যারি ব্যাগ ও লাগেজ উৎপাদন শিল্প স্থাপনে ২ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে চীনের কোম্পানি ইউনিকর্ন হ্যান্ডব্যাগ লিমিটেড।
বুধবার (৩ জুলাই) ঢাকায় বেপজা কমপ্লেক্সে বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষের (বেপজা) সঙ্গে এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি সই হয়।
বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আবুল কালাম মোহাম্মদ জিয়াউর রহমানের উপস্থিতিতে বেপজার সদস্য (বিনিয়োগ উন্নয়ন) মো. আশরাফুল কবির এবং ইউনিকর্ন হ্যান্ডব্যাগ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ঝেং শুয়ং নিজ নিজ পক্ষে চুক্তিতে সই করেন।
আরও পড়ুন: মিরসরাইয়ে বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চল: ৫০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে ৪ কোম্পানি
চীনের এই কোম্পানি বছরে ১৭ লাখ ব্যাকপ্যাক, হ্যান্ডব্যাগ, মানিব্যাগ, ব্যাগ, ক্যাপ, বেল্ট ও লাগেজ উৎপাদন করবে। এতে ২ হাজার বাংলাদেশি নাগরিকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
ইউনিকর্ন হ্যান্ডব্যাগ লিমিটেডকে স্বাগত জানিয়ে বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশা প্রকাশ করেন, তাদের বিনিয়োগ বাংলাদেশের সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ (এফডিআই) খাতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব রাখবে।আরও পড়ুন: সর্বোচ্চ রপ্তানি, বিনিয়োগ ও চাকরি দেখলো ইপিজেড: বেপজা
তরুণ সাংবাদিকদের সেরা চার প্রকল্পকে ১৮,০০০ ডলার দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস
সাংবাদিকতার শিক্ষার্থী এবং তরুণ সাংবাদিকদের সেরা চার প্রকল্পকে ১৮ হাজার ৪৩০ ডলার দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস।
রবিবার (২৩ জুন) বাংলাদেশে আয়োজিত প্রথম টেকক্যাম্পে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে থেকে এই সেরা প্রকল্প নির্বাচন করা হয়।
অনুদানপ্রাপ্ত প্রকল্পগুলো হচ্ছে- ‘কোস্টাল ভয়েস’, ‘এম্পাওয়ারিং মিডিয়া স্টুডেন্টস টু আইডেন্টিফাই নিউজ সোর্সেস অ্যান্ড এলিমিনেটিং মিসইনফরমেশন অ্যান্ড ডিসইনফরমেশন’, ‘মিডিয়া লিটারেসি বেয়ন্ড দ্য স্ক্রিন: ব্রিজিং গ্যাপস, বিল্ডিং মাইন্ডস’ এবং ‘ভয়েস ফর ভয়েসলেস’।
বিজয়ীদের অভিনন্দন জানিয়ে দূতাবাসের পাবলিক অ্যাফেয়ার্স কাউন্সেলর স্টিভেন ইবেলি বলেন, ‘গণমাধ্যম সাক্ষরতার অগ্রগতি এবং ভুল তথ্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আপনাদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। এখান থেকে অর্জন করা নতুন দক্ষতাগুলোকে আপনারা সমাজে ইতিবাচক কাজে ব্যবহার করতে পারেন।’
তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকদের ক্ষমতায়ন, সত্য নিশ্চিত করতে আয়োজিত এ বছরের ৬ থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিন দিনের টেকক্যাম্পের পর অনুদানের এই আয়োজনটি এক উল্লেখযোগ্য মাইলফলক। যুগান্তকারী এই উদ্যোগে অংশগ্রহণের জন্য সারা দেশ থেকে ৫০ জন সাংবাদিকতার শিক্ষার্থী এবং তরুণ সাংবাদিককে নির্বাচিন করা হয়।
ডলারের দাম বাড়ার অজুহাতে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে মসলাও
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে মাছ, মুরগি, মাংস, আলু, কাঁচা মরিচের দামের পাশাপাশি বেড়েছে সব ধরনের মসলার দাম।
মসলার দাম বাড়ার জন্য মার্কিন ডলারের বিনিময় হারের ওঠানামাকে দায়ী করেছেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, মূল্যস্ফীতি ও স্থানীয় মুদ্রার অবমূল্যায়ন দেশে উৎপাদিত পণ্যের দাম বৃদ্ধিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে।
বর্তমানে জিরা খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ থেকে ১ হাজার টাকায়, যা চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে ছিল ৫৭০ থেকে ৬৫০ টাকা। আর এলাচের সর্বনিম্ন খুচরা মূল্য ২ হাজার ৮০০ টাকা থেকে বেড়ে ৩ হাজার ৮০০ টাকা হয়েছে। প্রিমিয়াম মানের এলাচ যা আগে ৩ হাজার ২০০ টাকা দামে বিক্রি হতো, তা এখন প্রতি কেজি ৪ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ঈদ: চট্টগ্রামে মসলার বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান
শুক্রবার (৩১ মে) রাজধানীর বাজারে প্রতি কেজি রসুন ২২০ থেকে ২৭০ টাকা, আদা ২৪০ থেকে ৩০০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৮০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১৮০ থেকে ২৩০ টাকা, শুকনো লাল মরিচ ৫৫০ থেকে ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কারওয়ান বাজারের মসলার খুচরা বিক্রেতা সৌরভ সাহা শুক্রবার ইউএনবিকে বলেন, ঈদ উৎসবকে সামনে রেখে সাধারণত মসলা পণ্যের দাম বাড়ানো হয়, তবে এবার দাম বেড়েছে ডলারের দাম সর্বকালের সবচেয়ে বেশি বেড়ে যাওয়ায়।
তিনি বলেন, মার্কিন ডলারের দাম বেশি হওয়ায় আমদানি ব্যয় বেশি দাবি করে পাইকাররা প্রতি সপ্তাহে মসলার দাম বাড়াচ্ছেন। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের জন্য বাংলাদেশে সাধারণত মার্কিন ডলার ব্যবহৃত হয়, তাই এই বৈদেশিক মুদ্রার যেকোনো উত্থান-পতন ভোগ্যপণ্যের দামকে প্রভাবিত করে।
এছাড়া পাইকারি বাজারে গোল মরিচের দাম ১ হাজার টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৩০০ টাকা। কাজু বাদাম বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৪০০ টাকায়, যা আগে ছিল ১ হাজার ২০০ টাকা, আর ছোলা ১০২ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কারওয়ান বাজারের চাঁদপুর ট্রেডার্সের রমজান আলী পুরান ঢাকার পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ীরা মৌলভীবাজার থেকে সপ্তাহে দুবার মসলা সংগ্রহ করেন। তিনিও সম্প্রতি দাম বাড়ায় হতাশা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, 'মাত্র ২ সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি জিরা ৫৭০ থেকে ৫৮০ টাকায় কিনেছিলাম, কিন্তু এখন ৭০০ টাকা দিতে হচ্ছে। যদিও ডলারের নতুন হার কার্যকর হওয়ার আগেই এসব মসলা আমদানি করা হয়েছিল।’ এটি একটি সিন্ডিকেটের কাজ বলে মনে হচ্ছে- এমন দাবিও করেন এই ব্যবসায়ী।
অপর এক দোকানের এক কর্মচারী বলেন, মাত্র ৬ মাস আগেও প্রতি কেজি এলাচের দাম ছিল ১ হাজার ৭০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা, এখন তা ৩ হাজার ৮০০ থেকে ৪ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। স্পষ্টতই, একটি সিন্ডিকেট মসলার ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছে।
পুরনা ঢাকার মৌলভীবাজার পাইকারি বাজারের এক পাইকারি বিক্রেতা মুঠোফোনে ইউএনবিকে বলেন, ডলারের বর্ধিত দরের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আমদানিকারকরা দাম বাড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছেন।
চলতি মাসের শুরু থেকেই ডিমের দাম ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। শুক্রবার রাজধানীতে প্রতি ডজন ডিম ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চলতি মাসে প্রতি ডজনে ৩০ টাকা দাম বেড়েছে।
আরও পড়ুন: বাজারে মসলার দামের ঊর্ধ্বগতি, ঈদুল আজহার আগে বিপাকে ক্রেতারা
বিশেষ মানের ফার্মের ডিমের দাম প্রতি ডজন ২২০ থেকে ২৫০ টাকা। দেশি মুরগির ডিম প্রতি হালি (৪ পিস) ৮৫ থেকে ৯০ টাকা এবং হাঁসের ডিম ৭৫ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হয়।
গত দুই সপ্তাহের তুলনায় ব্রয়লার মুরগি ও পাকিস্তানি সোনালি মুরগির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। আকার ও মান ভেদে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৪০ টাকায়। এ ছাড়া সোনালি মুরগির দামও বেড়েছে এবং আকার ও মান ভেদে প্রতি কেজি ৩৬০ থেকে ৩৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
একইভাবে প্রতি কেজি কক মুরগি ৩৭০ থেকে ৩৯০ টাকা, লেয়ার মুরগি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, দেশি (দেশি) মুরগি প্রতি কেজি ৬৭০ থেকে ৭৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট খাতের ব্যবসায়ীরা জানান, মুরগির খাবার ও বাচ্চার দাম বাড়ায় বেড়েছে মুরগির দাম। এছাড়া চলমান তাপপ্রবাহে মুরগির খামারেও প্রভাব পড়েছে, যার প্রভাব পড়েছে দামেও।
মান ভেদে শুক্রবার প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকায়, সপ্তাহের অন্যান্য দিনের তুলনায় ৩০ টাকা বেড়েছে। মান ভেদে খাসির মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১৮০ টাকায়, যা কেজিতে ৫০ টাকা বেড়েছে।
শুক্রবার কারওয়ান বাজার মাছের বাজারে প্রতি কেজি ৪৫০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৬৫০ টাকা এবং ১ কেজি ওজনের ইলিশ ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকায়।
রুই ও কার্প জাতীয় মাছ কেজি আকার ও মান অনুযায়ী ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। শুক্রবার নদীর ছোট মাছসহ অন্যান্য মাছ বিক্রি হয়েছে ৪০০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি দরে।
বিগত বছরগুলোর তুলনায় এবার সবজির দাম ঊর্ধ্বমুখীতায় স্থিতিশীল রয়েছে। দাম বাড়ার জন্য মূল্যস্ফীতিকে দায়ী করেছেন ব্যবসায়ীরা। শুক্রবার প্রতি কেজি বেগুন, ঢেঁড়স, সজিনা ডাটা, বরবটি শিম, করলাসহ সবজি ৫০ থেকে ৬০ টাকায় স্থিতিশীল ছিল। মৌসুম শেষ হওয়ায় বেড়েছে টমেটোর দাম। ভালো মানের টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে।
বেগুনসহ অন্যান্য সবজি প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, লাউ, চাল কুমড়া, ও ফুলকপি প্রতি পিস ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চাল, গম, আটা, দুধ, সয়াবিন, সুগন্ধি চাল, চিনিসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
আরও পড়ুন: পর্যাপ্ত মজুদ, তবুও ঈদের আগে মসলার বাজারে উত্তাপ
এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ঝুঁকিপূর্ণ মানুষের জন্য ৫০০ কোটি ডলারের এডিএফ গঠনে সম্মতি
দাতা সংস্থা ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এশীয় উন্নয়ন তহবিলের (এডিএফ) ১৪ এবং কারিগরি সহায়তা বিশেষ তহবিল (টিএএসএফ) ৮ এর জন্য ৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিতে সম্মত হয়েছে।
এডিবির ৫৭তম বার্ষিক সভায় এই প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।
নিম্নলিখিত উন্নয়নশীল সদস্য দেশগুলো এডিএফ-১৪ থেকে অনুদানের প্রাথমিক প্রাপক- মাইক্রোনেশিয়ার ফেডারেটেড স্টেটস, কিরিবাটি, কিরগিজ প্রজাতন্ত্র, মালদ্বীপ, মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ, নাউরু, সামোয়া, সলোমন দ্বীপপুঞ্জ, তাজিকিস্তান, টোঙ্গা, টুভালু ও ভানুয়াতু।
আফগানিস্তান ও মিয়ানমারের জনগণকে সহায়তা করার জন্য এবং বাংলাদেশে রূপান্তরমূলক প্রকল্পগুলোর জন্যও অনুদান পাওয়া যাবে। এছাড়াও অনুদান পাবে ভুটান, কম্বোডিয়া, কুক দ্বীপপুঞ্জ, ফিজি, লাও পিপলস ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক, মঙ্গোলিয়া, নেপাল, নিউই, পাকিস্তান, পালাউ, পাপুয়া নিউ গিনি, শ্রীলঙ্কা, পূর্ব তিমুর এবং উজবেকিস্তান।
দরিদ্রতম ও সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ উন্নয়নশীল সদস্য দেশগুলোতে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এডিএফ হচ্ছে এডিবির সবচেয়ে বড় অনুদানের উৎস এবং প্রতি চার বছর পর পর তা পুনরায় পূরণ করা হয়।
২০২৫-২০২৮ সালের অনুদান কার্যক্রমকে সমর্থন করবে এডিএফ-১৪ তহবিল ১৩তম পুনঃপূরণ।
এডিএফ-১৪ পুনঃপূরণকৃত এডিএফ-১৩-তে প্রাপ্ত ৪ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারের চেয়ে প্রায় ২২ শতাংশ বেশি এবং যোগ্য এডিবি সদস্যদের এডিএফ অনুদানের সবচেয়ে বেশি পরিমাণ সরবরাহ করবে।
আরও পড়ুন: এডিবির বার্ষিক সভা: এডিবি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে অর্থমন্ত্রীর বৈঠক
টিএএসএফ-৮ অনুদান সরবরাহ করবে- যা প্রকল্পগুলো প্রস্তুত, সক্ষমতা তৈরি ও প্রযুক্তিগত বা নীতি পরামর্শ সরবরাহ করতে সহায়তা করে।
শুক্রবার (৩ মে) এডিবির প্রেসিডেন্ট মাসাতসুগু আসাকাওয়া বলেন, 'আমাদের দরিদ্রতম ও সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ সদস্যরা সাম্প্রতিক উন্নয়নের ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে এবং জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় জরুরি পদক্ষেপ নিতে চাইছে। ফলে তাদের জন্য অনুদান আগের চেয়ে অনেক বেশি গুরত্বপূর্ণ।’
তিনি বলেন, 'এই অসাধারণ পুনঃপূরণ যাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তাদের জরুরি উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এডিবির সঙ্গে এডিএফ দাতাদের অব্যাহত অংশীদারিত্বকে তুলে ধরে।’
এডিএফ-১৪ ক্ষুদ্র দ্বীপ উন্নয়নশীল রাষ্ট্রগুলোকে বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ এবং ভঙ্গুর ও সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতিতে থাকা দেশগুলোকে নিবেদিত সহায়তা করতে অগ্রাধিকার দেয়।
এডিএফ-১৪ জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন ও দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন অব্যাহত রাখবে। এটি আঞ্চলিক সহযোগিতা এবং আঞ্চলিক জনসাধারণের পণ্য এবং রূপান্তরমূলক লিঙ্গভিত্তিক কাজের ক্ষেত্রে বিস্তৃত সহায়তা কার্যক্রমে সক্ষম করবে।
এটি তার সংকট প্রতিক্রিয়া শাখার মাধ্যমে জরুরি পরিস্থিতিতে দ্রুত সহায়তাও সরবরাহ করবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে প্রবীণদের জন্য আরও বেশি বরাদ্দ দিতে জোর দিয়েছে এডিবি
আড়াই বিলিয়ন ডলারেরও বেশি বা ৫১ শতাংশ পুনঃপূরণ দুটি নতুন দেশ- আর্মেনিয়া ও জর্জিয়াসহ দাতাদের অনুদানের মাধ্যমে অর্থায়ন করা হবে। এডিবি এডিএফে তার নেট আয় স্থানান্তরকে উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়াবে। এডিএফ-১৩ তে মাত্র ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার থেকে এডিএফ-১৪ তে প্রায় ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করবে, যা ৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি।
অবশিষ্ট শূন্য দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে আগের এডিএফ চক্র থেকে স্থানান্তর এবং তারল্য বিনিয়োগ থেকে আয় অন্তর্ভুক্ত থাকবে। একইভাবে, এডিএফ-১৪ মেয়াদে এডিবি ১৬ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার রেয়াতি ঋণ প্রদান করতে চায়, যা দীর্ঘ ঋণ পরিশোধের সময়কালে খুব কম সুদের হার রয়েছে।
সব মিলিয়ে এডিবি প্রতি ১ ডলার দাতাদের অনুদানের বিপরীতে ৮ ডলারের বেশি অনুদান ও রেয়াতি ঋণ দিতে পারবে।
যেসব রাষ্ট্র এডিএফ-১৪ তে অনুদান দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সেগুলো হলো- আর্মেনিয়া, অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রিয়া, কানাডা, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জর্জিয়া, জার্মানি হংকং, চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, আয়ারল্যান্ড, ইতালি, জাপান, লুক্সেমবুর্গ, মালয়েশিয়া, নেদারল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, নরওয়ে, গণপ্রজাতন্ত্রী চীন, ফিলিপাইন, পর্তুগাল, কোরিয়া প্রজাতন্ত্র, স্পেন, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, তাইপেই, চীন, তুৰ্কীয়ে, যুক্তরাজ্য ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
আরও পড়ুন: কার্যকরী-গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজে আগ্রহী এডিবি: ভাইস প্রেসিডেন্ট ভার্গব দাশগুপ্ত
৪ মাসে ৮৩১ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে বাংলাদেশ
চলতি ২০২৪ সালের প্রথম চার মাসে ৮৩১ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে বাংলাদেশ। গত এপ্রিলে রেমিট্যান্স আহরণ বেড়েছে ২ দশমিক ০৪ বিলিয়ন ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২১ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, রেমিট্যান্স প্রবাহকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন ব্যাংকের উদ্যোগের ফলে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত দেশে প্রবাসীদের কাছ থেকে মোট ৮৩১ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।
আরও পড়ুন: অগ্রণী ব্যাংক থেকে রেমিট্যান্সের টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রের ৩ সদস্য আটক
জানুয়ারিতে ২ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলার, ফেব্রুয়ারিতে ২ দশমিক ১৬ বিলিয়ন ডলার, মার্চে ১ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন ডলার এবং এপ্রিলে ২ দশমিক ০৪ বিলিয়ন ডলার আসার ধারাবাহিকতায় ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যায়। বিশেষ করে চলমান বৈদেশিক মুদ্রা সংকটের সময় এই প্রবাহ অর্থনীতির জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছে।
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর ইউএনবিকে বলেন, বাংলাদেশ প্রবাসীদের আরও আর্থিক ও আর্থিক বহির্ভুত প্রণোদনা দেওয়ার মাধ্যমে বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স আহরণ আরও বাড়াতে পারে। তিনি অবৈধ অর্থ স্থানান্তর পদ্ধতি হুন্ডি পদ্ধতি ব্যবহারের ক্ষেত্রে রেমিট্যান্স প্রেরণকারীদের অগ্রাধিকারের কথা তুলে ধরেন। কারণ এর বিনিময় হার বেশি, যা সরকারি হারের তুলনায় মার্কিন ডলার প্রতি ৫ থেকে ৭ টাকা বেশি।
এটি নিয়ন্ত্রণে ড. মনসুর প্রস্তাব করেন যে সরকার আনুষ্ঠানিক চ্যানেলগুলোকে আরও আকর্ষণীয় করতে এবং হুন্ডির মতো অবৈধ পদ্ধতির ব্যবহার বন্ধ করতে স্বাস্থ্য কার্ড, বীমা কভারেজ এবং পেনশন স্কিমসহ বৈধ রেমিট্যান্স প্রেরণকারীদের জন্য বিভিন্ন সুবিধা চালু করতে পারে।
আরও পড়ুন: চলতি অর্থবছরে রেমিট্যান্সের সিংহভাগ এসেছে ঢাকা জেলায়: বাংলাদেশ ব্যাংক
মার্চে ৫১০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ: ইপিবি
চলতি বছরের মার্চে ৫১০ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ বেশি।
মঙ্গলবার(২ এপ্রিল) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রকাশিত রপ্তানি আয়ের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
এতে দেখা যায় যায়, গত চার মাসে বাংলাদেশের রপ্তানি বেড়েছে ৫ বিলিয়ন ডলার।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৯ মাসে ৪ হাজার ৩৫৫ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এই রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে তৈরি পোশাক, কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য ও প্লাস্টিক পণ্যের রপ্তানি এখন পর্যন্ত বেড়েছে। অন্যদিকে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল এবং প্রকৌশল পণ্যের রপ্তানি কমেছে।
ফলে সার্বিক পণ্য রপ্তানির প্রবৃদ্ধির হার কিছুটা কম।
আরও পড়ুন: পর্তুগালের এআইসিইপি’র সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সমঝোতা স্মারক সই করল ইপিবি
২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত ৩ হাজার ৭২০ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৫ দশমিক ৫৩ শতাংশ বেশি। এ ছাড়া ৭৯ কোটি ডলারের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ কম।
গত অর্থবছরে (২০২২-২৩) মোট ৫ হাজার ৫৫৬ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। চলতি অর্থবছরে ৬ হাজার কোটি ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
তবে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হলেও মার্চ মাসের শেষে পণ্য রপ্তানিতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ পিছিয়ে ছিল।
আরও পড়ুন: ১১ মাসে রপ্তানি থেকে বাংলাদেশ ৫০.৫২ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে: ইপিবি
২ জেলার বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও পানি ব্যবস্থাপনায় ৭১ মিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন এডিবির
বাংলাদেশের গোপালগঞ্জ ও মাদারীপুর জেলার গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ, সেচ ও পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে ৭১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ অনুমোদন করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
এডিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রকল্পটির মাধ্যমে ওই অঞ্চলের ছয় লাখেরও বেশি মানুষ উপকৃত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে জলবায়ু-সহনশীল বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নিষ্কাশন ও সেচ (এফসিডিআই) ব্যবস্থা চালু করবে এবং লবণাক্ততার অনুপ্রবেশ হ্রাস করবে।
এটি এফসিডিআই অবকাঠামো শক্তিশালী করতে এবং চারটি উপ-অববাহিকায় নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নতির জন্য প্রাকৃতিকভাবে সমাধান করবে।
প্রকল্পটি সমন্বিত পানি ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা, পানি ব্যবস্থাপনা সংস্থার জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং অন্যান্য কমিউনিটি অবকাঠামো নির্মাণ করবে।
প্রকল্পটি স্থানীয় মালিকানা বৃদ্ধি এবং স্থায়িত্ব নিশ্চিত করতে অংশগ্রহণমূলক পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনাকে উৎসাহিত করবে।
আরও পড়ুন: স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর সঙ্গে এডিবির উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলের বৈঠক
এটি সুবিধাগুলোর নকশা, নির্মাণ এবং পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণে পানি ব্যবস্থাপনা গোষ্ঠীগুলোর ক্ষমতাকে শক্তিশালী করবে এবং যৌথ ব্যবস্থাপনা কমিটি প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করবে।
নারী সদস্যপদকে লক্ষ্য করে চারটি উপপ্রকল্প এলাকায় পানি ব্যবস্থাপনা সংগঠন গঠনে সহায়তা বাড়ানো হবে।
প্রকল্পটি পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় উন্নয়ন, পানি ব্যবস্থাপনা সংস্থাগুলোর কার্যক্রম তত্ত্বাবধান এবং এর কার্যক্রমে জলবায়ু অভিযোজন সমন্বিত করতে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।
বৈশ্বিক জলবায়ু ঝুঁকি সূচকের ভিত্তিতে জলবায়ু ঝুঁকির দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম। বাংলাদেশ চরম আবহাওয়া এবং ধীরগতির জলবায়ু ঘটনাগুলোর ক্রমবর্ধমান পুনরাবৃত্তি এবং তীব্রতার মুখোমুখি হচ্ছে।
কার্যকর অভিযোজন ব্যবস্থা ছাড়া, জলবায়ু পরিবর্তনশীলতা এবং গ্রামীণ সম্প্রদায়গুলো, বিশেষত নারীরা, যারা তাদের জীবিকার জন্য জলবায়ু সংবেদনশীল কৃষি অনুশীলন এবং প্রাকৃতিক সম্পদের উপর নির্ভর করে তাদের প্রভাবিত করে এমন চরম ঘটনাগুলোর কারণে ২০৫০ সালের মধ্যে দেশটি কৃষি মোট দেশজ উৎপাদনের প্রায় ৩০ শতাংশ হারাতে পারে।
এডিবির সিনিয়র প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট স্পেশালিস্ট পুষ্কর শ্রীভাস্তভা বলেন, প্রকল্পটি এডিবির অর্থায়নে সাউথওয়েস্ট এরিয়া ইন্টিগ্রেটেড ওয়াটার রিসোর্সেস প্ল্যানিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট প্রজেক্টের আওতায় অর্জিত অর্জনকে টেকসই করবে, যা কৃষি উৎপাদন ও কমিউনিটি অবকাঠামোর উন্নতি এবং গ্রামীণ পরিবারের আয় বৃদ্ধি করেছে।
এডিবির এই অতিরিক্ত সহায়তা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উৎপাদনশীলতা আরও জোরদার এবং আয় বৃদ্ধি ও টেকসই জীবিকার ব্যবস্থা করবে। বিশেষ করে নারী ও অরক্ষিত জনগোষ্ঠীর জন্য এবং দক্ষিণ-পশ্চিম বাংলাদেশের গ্রামীণ এলাকায় দারিদ্র্য হ্রাস করবে এই সহায়তাটি।
আরও পড়ুন: শিক্ষার মান উন্নয়নে সহযোগিতার আশ্বাস এডিবির
প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি ১৫.৪৮ বিলিয়ন ডলার: সংসদে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটো বলেছেন, বর্তমানে ভারত, চীন ও পাকিস্তানসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে।
তিনি বলেন, গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে চীনের সঙ্গে সর্বোচ্চ বাণিজ্য ঘাটতি ছিল এবং এর পরিমাণ ছিল ১৫ হাজার ৪৮৮ দশমিক ৮৪ মিলিয়ন ডলার (১৫.৪৮ বিলিয়ন ডলার)।
ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি ৭ হাজার ১৬০ দশমিক ৮১ মিলিয়ন ডলার, পাকিস্তানের সঙ্গে ৪৬৬ দশমিক ৩৩ মিলিয়ন ডলার, মিয়ানমারের সঙ্গে ১১৬ দশমিক ২১ মিলিয়ন ডলার, ভুটানের সঙ্গে ১৪ দশমিক ২৯ মিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য ঘাটতি এবং আফগানিস্তানের সঙ্গে ১ দশমিক ৪৯ মিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সংসদে ঢাকা-১৯ আসন থেকে নির্বাচিত স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান।আরও পড়ুন: রমজানের আগে বেড়েই চলেছে দ্রব্যমূল্য, সংকটে ভোক্তারা
তিনি বলেন, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপের সঙ্গে বাংলাদেশের কোনো বাণিজ্য ঘাটতি নেই।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ১৫ দশমিক ৪৯ বিলিয়ন ডলার।
সিলেট থেকে নির্বাচিত স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হুছামুদ্দিন চৌধুরীর আরেক লিখিত প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, এক সময় দেশে চা উৎপাদনের তুলনায় অভ্যন্তরীণ চাহিদা কম ছিল। সেসময় উদ্বৃত্ত চা রপ্তানি করা হতো। বর্তমানে দেশে চায়ের অভ্যন্তরীণ চাহিদা প্রায় ১০০ মিলিয়ন কেজি। উৎপাদন ও চাহিদা প্রায় সমান।
আরও পড়ুন: ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা বহুমুখী করা হবে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
তিনি বলেন, ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধির কারণে দেশে উৎপাদিত প্রায় সব চা অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে ব্যবহৃত হয়।
তাই রপ্তানির জন্য খুব বেশি উদ্বৃত্ত চা অবশিষ্ট নেই।
প্রতিমন্ত্রী জানান, ২০২৩ সালে দেশে ১০ কোটি ২৯ লাখ ২০ হাজার কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে।
এর মধ্যে সাড়ে ১০ লাখ কেজি চা রপ্তানি হয়েছে। অন্যদিকে চা পুনঃরপ্তানি ও উৎপাদন মূল্য সংযোজনের জন্য মাত্র ৬ লাখ কেজি চা আমদানি করা হয়েছে।
বরিশাল থেকে নির্বাচিত স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পঙ্কজ নাথের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে রাখতে বাজারে নিত্যপণ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ বজায় রাখার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বৈদেশিক বাণিজ্যের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে: রাষ্ট্রপতি
ডলার এনডোর্সমেন্ট কী, কীভাবে করবেন
উচ্চশিক্ষা, বিদেশ ভ্রমণসহ নানাবিধ আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ের আর্থিক কর্মকাণ্ডগুলো পরিচালনার জন্য প্রয়োজন পড়ে বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবহারের। আর এখানেই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো ডলার এনডোর্সমেন্ট।
বিশ্ব অর্থনীতি ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের একটি পাওয়ার হাউস হওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রা ডলারকে বিশ্বব্যাপী সাধারণ বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে ধরা হয়ে থাকে।
কোনো একটি দেশের পণ্য বা সেবা ক্রয় করার সময় এই মুদ্রার এনডোর্সমেন্ট সংশ্লিষ্ট দেশটির মুদ্রা ব্যবহারে বৈধতা প্রদান করে। চলুন, এই ডলার এনডোর্সমেন্ট কী এবং কীভাবে করবেন সে বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
ডলার এনডোর্সমেন্ট কী
এই আর্থিক কার্যক্রমটির মানে হলো দেশের অভ্যন্তরে বা বাইরে যে কোনো লেনদেনে ডলার ব্যবহারের অনুমোদন। এর মাধ্যমে বিদেশি পণ্য বা সেবা নেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ ডলার ব্যবহারের বৈধতা পাওয়া যায়। এই ডলারগুলো পরবর্তীতে সরাসরি কিংবা প্রয়োজনের স্বাপেক্ষে বিশেষত বিদেশ ভ্রমণের সময় সেই দেশের মুদ্রায় পরিবর্তন করে নেওয়া যায়।
এটি শুধু বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত একটি প্রক্রিয়াই নয়, ডলার এনডোর্সমেন্ট ছাড়া ডলার সংক্রান্ত কোনো রূপ লেনদেনে জড়িত হওয়া বেআইনি।
আরও পড়ুন: অক্টোবরে রেমিট্যান্স এসেছে ১.৯৭ বিলিয়ন ডলার
ডলার এনডোর্সমেন্টের সুবিধা
যে কাজগুলোর সঙ্গে আন্তর্জাতিক লেনদেন সম্পৃক্ত, এমন প্রতিটি কাজেই প্রয়োজন হয় ডলার খরচ করার। আর এই প্রয়োজনীয় খরচ সামাল দিতেই এনডোর্স করে নিতে হয় সেই পরিমাণ ডলারটি।
যেমন বিদেশে ভ্রমণ, উচ্চশিক্ষা, ও চিকিৎসার জন্য সেই দেশে যাওয়ার সময় উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ডলার সঙ্গে নিতে হয়। চাকরি ও ব্যবসার কাজে যে দেশেই যাওয়া হোক না কেন, প্রাথমিক ব্যয়ের খাতগুলো নিরবচ্ছিন্ন রাখতে দরকার হয় ডলারের। ফলে অবধারিত হয়ে পড়ে সেই সংখ্যক ডলার সঙ্গে রাখার অনুমতি নেওয়া।
এছাড়া দেশের ভেতরে থেকেও বৈদেশিক কাজগুলো আঞ্জাম দিতে হলে ডলারের কোনো বিকল্প নেই। বিদেশি স্টক মার্কেটে বিনিয়োগ, বিদেশি মার্কেট থেকে কেনাকাটা, এমনকি অনেক ক্ষেত্রে দেশে ফিরে ডলারের বাংলাদেশি টাকায় রূপান্তরের জন্যও ডলার অনুমোদনের গুরুত্ব অপরিসীম।
দেশের ভেতরে যারা ইউটিউব ও ফেসবুকের মতো সামাজিক মাধ্যমগুলোসহ ইন্টারনেটের অন্যত্রে বিজ্ঞাপন দেন, তাদের প্রায় ক্ষেত্রে ডলারের বৈধতা নিশ্চিত করে নিতে হয়।
এছাড়া আমদানি বা রপ্তানি ব্যবসার কাজগুলো বৈধভাবে কার্যকার করার জন্যও দরকার হয় ডলার আদান-প্রদানের অনুমতি।
আরও পড়ুন: খোলা বাজারে ১৫ টাকা বেশি দামে ডলার বিক্রি
ডলার এনডোর্সমেন্ট করার উপায়
আইনগতভাবে ডলার ব্যবহারের ক্ষমতা অর্জন করতে হলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে এর অনুমোদন নিতে হয় পাসপোর্টে সীলের মাধ্যমে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ইস্যু করা হয়ে থাকে সনদপত্র, যেখানে উল্লেখ থাকে নির্দিষ্ট সংখ্যক ডলারের অংক।
শুধু তাই নয়, এখানে একটি বড় বিষয় হচ্ছে অনুমোদনটি কে দিচ্ছে সেটা। অর্থাৎ ডলারগুলো কোত্থেকে ক্রয় করা হচ্ছে ও ডলার বিক্রয়ের জন্য তাদের যথাযথ অনুমোদন আছে কি না সেটি গুরুত্বপূর্ণ।
দেশের ভেতরে শুধুমাত্র বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদিত ব্যাংক, মানি এক্সচেঞ্জার ও ডিলাররা আইনগতভাবে ডলার কেনা-বেঁচা করতে পারে। এছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ডলারের লেনদেনে জড়ানো বেআইনি।
চলুন, এবার এই এনডোর্সমেন্ট পদ্ধতিটির আরও খুঁটিনাটি জেনে নেওয়া যাক।
ব্যাংক থেকে ডলার এনডোর্স করার প্রক্রিয়া
দেশের যে কোনো সরকারি বা বেসরকারি ব্যাংক পাসপোর্ট বইয়ের শেষের দিকে এনডোর্সমেন্ট পাতায় সীল দিয়ে নির্দিষ্ট পরিমাণ ডলারের পরিমাণ লিখে দেয়। এটিই হলো অনুমোদনকৃত ডলারের পরিমাণ, যেটি এনডোর্সকারি কাগুজে ডলার উঠিয়ে কিংবা অনলাইনে ব্যবহার করতে পারেন।
এই ডলারপ্রাপ্তির জন্য এনডোর্সকারী সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে সমপরিমাণ বাংলাদেশি টাকা প্রদান করেন। এই পরিমাণটি ঠিক হয় বর্তমানে ডলার থেকে বাংলাদেশি টাকায় বিনিময় হার যত চলছে সে অনুসারে। এই হারটি অবশ্য একটি নির্দিষ্ট রেঞ্জের মধ্যে বিভিন্ন ব্যাংকে কমবেশি হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: ব্যাংকে ডলারের সরবরাহ প্রয়োজনের চেয়ে বেশি: বাংলাদেশ ব্যাংক
সোনালী ব্যাংক ও অন্যান্য ব্যাংকে ডলার এনডোর্সমেন্টের ভিন্নতা
বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর মধ্যে শুধু সোনালী ব্যাংকে ডলার এনডোর্সের জন্য সেখানে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকার বা নতুন করে করার প্রয়োজন পড়ে না। শুধুমাত্র পাসপোর্ট নিয়ে গেলেই কাজ হয়ে যায়। ব্যাংক কর্মকর্তা ঐ দিনের ডলার রেট অনুসারে টাকা হিসাব করে সার্ভিস চার্জের বিনিময়ে নির্দিষ্ট পরিমাণ ডলারের অংক উল্লেখ করে পাসপোর্টে সীল মেরে দেন।
অন্যদিকে, বাকি সকল ব্যাংকে এই কার্যকলাপের জন্য অ্যাকাউন্ট থাকতে হয়। এছাড়া বেসরকারি ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে সাধারণত লোকাল শাখাগুলোতে এনডোর্স করা হয় না। এই সুবিধা দিয়ে থাকে শুধুমাত্র এডি বা অনুমোদিত ডিলার, শাখা বা ফরেইন এক্সচেঞ্জগুলো। বিভাগীয় শহর ও কিছু বাণিজ্যিক এলাকা ছাড়া কোথাও বেসরকারি ব্যাংকগুলোর এডি শাখা নেই।
লোকাল শাখাতে এনডোর্স করতেই হলে সেখানে একটা ফরওয়ার্ডিং লেটার দিয়ে ডলার পরিবর্তনের চেষ্টা করা যেতে পারে।
এছাড়াও বেসরকারি ব্যাংকগুলোর প্রত্যেকটিতে ডলার এনডোসিং-এর শর্তগুলোতে কিছু ভিন্নতা থাকে। তাই চূড়ান্তভাবে এনডোর্সমেন্টের পূর্বে অবশ্যই সেগুলোর সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নেওয়া জরুরি।
ডুয়েল কারেন্সি কার্ডের বিপরীতে ডলার এনডোর্স
গত কয়েক বছর ধরেই বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে বিভিন্ন ব্যাংকের ডুয়েল কারেন্সি কার্ড সেবাগুলো। অনেকেই সরাসরি ডলার না তুলে এই আন্তর্জাতিক ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের বিপরীতে বৈধভাবে ডলার জমা করে নিচ্ছেন।
এই সেবার মাধ্যমে দেশ থেকে কার্ডে ডলার জমা করে বিদেশে নিয়ে গিয়ে সেখানে খরচ করা যায়। এমনকি প্রয়োজনে অন্যান্য বৈদেশিক মুদ্রাতেও পরিবর্তন করে নেওয়া যায়। তাছাড়া অনলাইন কেনাকাটার সুবিধা তো থাকছেই। এমনকি দেশের ভেতরে থেকেও বিশ্বের বিখ্যাত সব ই-কমার্স মার্কেটগুলো থেকে কোনো ঝামেলা ছাড়াই নানা সেবা ও পণ্য কেনা যায়।
বিদেশে চিকিৎসা ক্ষেত্রে খরচ করার জন্যও দেশি ব্যাংকের এই কার্ডগুলো বেশ উপকারি।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরে রিজার্ভ ২১ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে: বাংলাদেশ ব্যাংক
এলসির মাধ্যমে ডলার এনডোর্সমেন্ট
এলসি বা লেটার অফ ক্রেডিট মুলত যারা আমদানি বা রপ্তানি ব্যবসার সঙ্গে জড়িতে তাদের জন্য দরকারি। এই ক্ষেত্রে ডলার এনডোর্সের জন্য এলসি করা হয় ব্যাংকের মাধ্যমে। এটি মূলত সেই আমদানি বা রপ্তানি কাজের জন্য ডলার বিনিময়ে বৈধতা দানকারী সনদপত্র।
মানি এক্সচেঞ্জ থেকে ডলার ক্রয় করার নিয়ম
ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানগুলো অপেক্ষা মানি এক্সচেঞ্জারগুলোর ডলার এনডোর্সিং-এর প্রক্রিয়া তুলনামূলক ভাবে সহজ। যে কোনো বৈধ পাসপোর্টধারি ঐ দিনের রেট অনুযায়ী সমপরিমাণ টাকা দিয়ে ডলার তুলে নিতে পারবেন এই এক্সচেঞ্জারগুলো থেকে। এক্সচেঞ্জ ফি দেয়া ছাড়া এখানে ব্যাংকের মতো ডকুমেন্টেশনের বাড়তি বিড়ম্বনা নেই।
তবে এই এনডোর্সমেন্ট ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে ব্যবহারযোগ্য নয়। ভিসার জন্য শুধুমাত্র ব্যাংকের ডলার এনডোর্সমেন্ট গ্রহণযোগ্য।
অনেকেই অল্প কিছু টাকা বাঁচাতে যেয়ে এনডোর্স ছাড়া ডলার নিয়ে ইমিগ্রেশনে যেয়ে বিপদে পড়েন। কেননা প্রায়ই ক্ষেত্রে সেখানে ডলারের পাসপোর্ট এনডোর্সমেন্টটা চেক করা হয়। তাই সার্বিক দিক থেকে ঝক্কি-ঝামেলা মুক্ত থাকার জন্য ডলার পাসপোর্টে এনডোর্স করে নেওয়া উচিৎ।
আরও পড়ুন: আপনি কি মার্কিন ডলার না কিনে বিদেশে ভ্রমণ করতে পারবেন?
কত ডলার এনডোর্স করা যায়
ডলার এনডোর্সের পরিমাণ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সুষ্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তি বিদেশ গমনকালে এক বছরে সর্বোচ্চ ১২ হাজার ডলার বা সমমানের বৈদেশিক মূদ্রা এনডোর্স করতে পারবেন। যারা ১২ বছরের নিচে রয়েছেন তারা এর অর্ধেক অর্থাৎ ৬ হাজার ডলার ব্যবহারের অনুমোদন নিতে পারবেন।
চিকিৎসার জন্য সর্বোচ্চ ১০ হাজার ডলারের অনুমোদন নেওয়া যাবে, তবে এর জন্য অবশ্যই উপযুক্ত কাগজপত্র দেখাতে হবে। এর চেয়ে বেশি প্রয়োজন হলে যথাযথ কারণ ও প্রমাণ সহ যোগাযোগ করতে হবে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের সঙ্গে।
ডলার এনডোর্সের মেয়াদ কত দিন
বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়মানুসারে, ডুয়েল কারেন্সি আন্তর্জাতিক ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ডের বিপরীতে পাসপোর্টের মেয়াদ যতদিন ততদিন থাকবে এনডোর্সমেন্টের মেয়াদ। তবে এক্ষেত্রে কিছু শর্ত রয়েছে:
- খরচের পরিমাণ এনডোর্সকৃত ডলারের সর্বোচ্চ লিমিট অর্থাৎ ১২ হাজার অতিক্রম করতে পারবে না।
- সম্পূরক কার্ডধারিরা বিদেশ ভ্রমণকালে তাদের ভ্রমণ কোঠার আওতাতেই এই সুবিধা পাবেন।
- তবে ভ্রমণ কোটার যে অংশটুকু বাকি থাকবে, তা ব্যবহারের জন্য পরের বছরে স্থানান্তর করা যাবে না।
- এই সুবিধা প্রবাসী বাংলাদেশি বা শিক্ষার্থীদের জন্য প্রযোজ্য নয়।
শেষাংশ
সর্বসাকুল্যে, বাংলাদেশিদের জন্য যাবতীয় আন্তর্জাতিক লেনদেন সহজতর করার জন্যই এই ডলার এনডোর্সমেন্ট প্রক্রিয়া। অপেক্ষাকৃত সীমিত ডকুমেন্টেশনের আনুষ্ঠানিকতা থাকায় সোনালী ব্যাংক ও মানি এক্সচেঞ্জারগুলো এক্ষেত্রে সুবিধা প্রদানে এগিয়ে রয়েছে। এরপরেও প্রযোজ্য শর্তগুলো সতর্কতার সঙ্গে মেনে অগ্রসর হলে বেসরকারি ব্যাংকগুলো থেকেও পাওয়া যাবে কাঙ্ক্ষিত সেবা।
পরিশেষে, ডলার কী উদ্দেশ্যে কাজে লাগানো হবে তা নিয়ে সঠিক পরিকল্পনা থাকলে এনডোর্সমেন্টের নিয়মগুলোর সদ্ব্যবহার সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি পাসপোর্ট থাকলে ভিসা ছাড়াই যেতে পারবেন যেসব দেশে
রোহিঙ্গাদের সহায়তায় আরও ৮৭ মিলিয়ন ডলার দেবে যুক্তরাষ্ট্র
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং আশ্রয়দাতা জনগোষ্ঠীর সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্রের এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএইড) আরও ৮৭ মিলিয়ন ডলার মানবিক সহায়তা প্রদান করছে।
নতুন এই অর্থায়নের মাধ্যমে ইউএসএইড জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) সঙ্গে জরুরি খাদ্য ও পুষ্টি সহায়তা; সেইসঙ্গে অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ, দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস, এবং স্বনির্ভরতা ও জীবিকা সহায়তা প্রদানের জন্য কাজ করবে।
বুধবার ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস বলেছে, এই অতিরিক্ত তহবিল অন্যান্য দাতাদের অবদানের সঙ্গে ডব্লিউএফপিকে বাংলাদেশে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর জন্য খাদ্য রেশন সংগ্রহ করতে সক্ষম করবে।
আরও পড়ুন: মানবিক সহায়তায় শরণার্থীদের স্বস্তির ব্যবস্থা করতে বিদেশি সরকারগুলোর সমর্থন বাড়াতে হবে: আন্তর্জাতিক ক্রাইসিস গ্রুপ
খাদ্য ও পুষ্টি সহায়তার মধ্যে রয়েছে নির্ধারিত বিতরণের জায়গায় খাবারের জন্য ইলেকট্রনিক ভাউচার, ৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়সী অপুষ্টির শিকার শিশুদের এবং গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী নারীদের খাদ্যপ্রদান কর্মসূচিতে সহায়তা।
এছাড়াও অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ এবং দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস প্রোগ্রামিংয়ের মাধ্যমে, ডব্লিউএফপি ক্যাম্পের অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ এবং উন্নয়নে জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কাজ করবে।
এখন পর্যন্ত রোহিঙ্গা সংকটে সবচেয়ে বেশি মানবিক সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৭ সালের আগস্টে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র প্রায় ২ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার প্রদান করেছে। যার মধ্যে প্রায় ১ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার দিয়েছে রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং বাংলাদেশে আশ্রয়দাতা জনগোষ্ঠীকে সহায়তা করার জন্য।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে ৩০ বিলিয়ন ইয়েন সহায়তার আশ্বাস জাপানের: মোমেন
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে মোখায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য মানবিক সহায়তা পাঠিয়েছে বাংলাদেশ