ডলার
যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকগুলোতে ৩০০ বিলিয়ন ডলার জরুরি তহবিল ধার দিল ফেডারেল রিজার্ভ
যুক্তরাষ্ট্রের তারল্য সংকটে থাকা ব্যাংকগুলো গত সপ্তাহে ফেডারেল রিজার্ভ থেকে প্রায় ৩০০ বিলিয়ন ধার নিয়েছে। বৃহস্পতিবার দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ তথ্য জানায়।
ধারের প্রায় অর্ধেক অর্থ ১৪৩ বিলিয়ন ডলার গত সপ্তাহে ব্যর্থ হওয়া দুটি প্রধান ব্যাংক সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক এবং সিগনেচার ব্যাংকের হোল্ডিং কোম্পানির কাছে গিয়েছে, যা আর্থিক বাজারে ব্যাপক শঙ্কা সৃষ্টি করেছে৷ ফেডারেল ব্যাংক সেই ব্যাংকগুলোর নাম প্রকাশ করেনি যেগুলো তহবিলের বাকি অর্ধেক পেয়েছে বা তাদের কতজন পেয়েছে।
ফেডারেল ব্যাংক জানিয়েছে, দুটি ব্যর্থ ব্যাংকের হোল্ডিং কোম্পানিগুলো ফেডারেল ডিপোজিট ইন্স্যুরেন্স কর্পোরেশন স্থাপন করেছিল, যা উভয় ব্যাংকের দখল নিয়েছে৷ তারা যে অর্থ ধার করেছিল তা তাদের বীমাবিহীন আমানতকারীদের অর্থ প্রদানের জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল। উভয় ব্যাংকের মালিকানাধীন বন্ডগুলো জামানত হিসাবে পোস্ট করা হয়েছিল। এফডিআইসি ঋণ পরিশোধের নিশ্চয়তা দিয়েছে।
এই পরিসংখ্যান গত সপ্তাহান্তে দুটি ব্যাংক পতনের পরে আর্থিক খাতে ফেডারেলের সহায়তার স্কেলের প্রথম আভাস দেয়।
বাকি টাকা নগদ সংগ্রহের জন্য ব্যাংকগুলো ধার করেছিল- সম্ভবত, অন্তত আংশিকভাবে আমানতকারীদের পরিশোধ করার জন্য। যারা তাদের টাকা তোলার চেষ্টা করেছিল। অনেক মেগা ব্যাংক, যেমন ব্যাংক অব আমেরিকা গত সপ্তাহান্তে ব্যাংকের ব্যর্থতার পর থেকে ছোট ব্যাংকগুলো থেকে তহবিল প্রাপ্তির প্রতিবেদন করেছে৷
গত সপ্তাহে ফেডারেল রিজার্ভ থেকে অতিরিক্ত ১৫৩ বিলিয়ন ডলার ধার এসেছে ‘ডিসকাউন্ট উইন্ডো’ নামে একটি দীর্ঘস্থায়ী প্রোগ্রামের মাধ্যমে। এটি সেই প্রোগ্রামের জন্য একটি রেকর্ড স্তরের পরিমাণ। ব্যাংকগুলো ডিসকাউন্ট উইন্ডো থেকে ৯০ দিন পর্যন্ত ধার নিতে পারে। সাধারণত একটি নির্দিষ্ট সপ্তাহে এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে মাত্র চার বিলিয়ন থেকে পাঁচ বিলিয়ন ধার করা হয়।
ফেডারেল রিজার্ভের রবিবার ঘোষণা করা একটি নতুন ঋণ সুবিধা থেকে অতিরিক্ত ১১ দশমিক ৯ বিলিয়ন ধার দিয়েছে। নতুন প্রোগ্রামটি ব্যাংকগুলোকে নগদ সংগ্রহ করতে এবং অর্থ উত্তোলনকারী যে কোনও আমানতকারীর অর্থ প্রদান করতে সক্ষম করে৷
জেপি মরগানের একজন অর্থনীতিবিদ মাইকেল ফেরোলি তার গবেষণা নোটে বলেছেন যে ফেডের সহায়তা এখন পর্যন্ত ১৫ বছর আগে আর্থিক সংকটের সময় যা ছিল তার প্রায় অর্ধেক।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২২০টি টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র কিনবে অস্ট্রেলিয়া
তবে তিনি বলেছিলেন ‘এটি এখনও একটি বড় সংখ্যা,’ ‘গ্লাস অর্ধ-খালির দৃষ্টিভঙ্গি হলো যে ব্যাংকগুলোর প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। গ্লাস অর্ধ-পূর্ণ করে নেয়া হলো যে প্রক্রিয়াটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে হিসাবে কাজ করছে।’
ফেডারেল ব্যাংকের কাছ থেকে নেয়া গত সপ্তাহের জরুরি ঋণ দুটি ব্যাংকের পতনের একটি প্রধান কারণকে মোকাবিলা করতে চায়: সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক এবং সিগনেচার ব্যাংক বিলিয়ন ডলারের আপাতদৃষ্টিতে নিরাপদ ট্রেজারি এবং অন্যান্য বন্ডের মালিকানা যা কম সুদের হার প্রদান করে।
গত বছর ধরে ফেড ক্রমাগতভাবে তার বেঞ্চমার্ক সুদের হার বাড়ায়, দীর্ঘমেয়াদী ট্রেজারি এবং অন্যান্য বন্ডের সমর্পণ বেড়েছে। এর ফলে, ব্যাংকগুলোর ধারণকৃত নিম্ন-উৎপাদন ট্রেজারিগুলোর মূল্য হ্রাস পেয়েছে।
ফলে ব্যাংকগুলো তাদের ট্রেজারি বিক্রি থেকে পর্যাপ্ত নগদ সংগ্রহ করতে পারেনি যে অনেক আমানতকারীরা ব্যাংক থেকে তাদের অর্থ উত্তোলনের চেষ্টা করছিল। এটি একটি ক্লাসিক ব্যাংক চালানোর পরিমাণ।
ফেডের বিশেষ নতুন ঋণদান কর্মসূচির সুবিধা রবিবার উদ্বোধন করেছে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে জামানত হিসাবে বন্ড পোস্ট করতে এবং সেগুলো বিক্রি করার পরিবর্তে তাদের বিপরীতে ঋণ নিতে সক্ষম করে।
নতুন ঋণ সুবিধার জন্য ফেড বলেছে যে এটি জামানত হিসাবে ১৫ দশমিক ৯ বিলিয়ন পেয়েছে। এটি ধার দেয়া ১১ দশমিক ৯ বিলিয়নের চেয়ে বেশি। ব্যাংক কখনও কখনও ঋণ নেয়ার আগে ফেড জামানত প্রদান করে। এটি পরামর্শ দেয় যে অতিরিক্ত ঋণ দেয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ও স্বাগতিকদের জন্য আরও ২৬ মিলিয়ন ডলার সহায়তা ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের
নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে ৪০% বিদ্যুৎ উৎপাদনে বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৬.৫ বিলিয়ন ডলার
নতুন একটি সমীক্ষা বলছে ২০৪১ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে ৪০ ভাগ বিদ্যুৎ উৎপাদনে বাংলাদেশের প্রয়োজন হবে ২৬ দশমিক পাঁচ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরের বহুমুখী হলরুমে ‘রিনিউয়েবল এনার্জি ফাইন্যান্সিং, প্রসপেক্টস অ্যান্ড চ্যালেঞ্জস ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ওপর পরিচালিত এক গবেষণায় এ তথ্য তুলে ধরেন গবেষণা সংস্থা চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভ।
চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভের প্রধান নির্বাহী ও প্রধান গবেষক জাকির হোসেন খান মূল উপস্থাপনায় বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে প্রায় ৩৮ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন ডলারের অর্থায়ন পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
এছাড়া ২০১৬ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উৎস থেকে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে ছয় দশমিক ৭১ বিলিয়ন ডলার অর্থায়ন পেয়েছে।
তিনি বলেন, বৈশ্বিক পরিবেশ সুবিধা, গ্লোবাল ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যালায়েন্স, জিসিএফ-পিপিএফ, গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড, গ্লোবাল এনার্জি এফিসিয়েন্সি অ্যান্ড রিনিউয়েবল এনার্জি, আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর মধ্যে ক্লিন টেকনোলজি ফান্ডসহ বিভিন্ন উৎস থেকে অর্থায়ন এসেছে।
তিনি বলেন, ভূমি মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশে ১৬ লাখ ৮৬ হাজার একর অকৃষি বিশেষ জমি রয়েছে।
এসব অকৃষি জমির পাঁচ শতাংশ ব্যবহার করা গেলে সৌরবিদ্যুৎ বা নবায়নযোগ্য খাত থেকে ২৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া সম্ভব।
এমনকি শুধুমাত্র চট্টগ্রাম অঞ্চলের খাস জমিতেই ২২ হাজার ৩১৯ মেগাওয়াট নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান ওয়াসেকা আয়শো খান।
আরও পড়ুন: সিলেটে জ্বালানি সংকট, অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ঘোষণা
এছাড়াও সেমিনারে বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য আহসান আদেলুর রহমান, ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের সাবেক সচিব ও সাবেক রাষ্ট্রদূত আবুল কালাম আজাদ,পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন, পলিসি রিসার্চার্স ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর প্রমুখ।
আবুল কালাম আজাদ বলেন, সোলার যন্ত্রাংশের আমদানি শুল্ক কমানো এখন সময়ের দাবি।
তিনি আরও বলেন, আগামী ১৫ বছরের জন্য এই শুল্ক কমানো উচিত। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে লক্ষ্য নির্ধারণ করা উচিত। ভবিষ্যতে কোনো ছাদ খালি রাখা যাবে না।
মোহাম্মদ হোসেন বলেন, ২০০৯ সালের শেষ দিকে নতুন বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য প্রায় ৩ শতাংশ সৌরবিদ্যুৎ বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, ‘এখন আমরা নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতি পরিবর্তন করছি। প্রধানমন্ত্রী চান মোট বিদ্যুতের ৪০ শতাংশ আসবে ক্লিন এনার্জি থেকে। টাকা কোনো সমস্যা নয়।’
আরও পড়ুন: জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতে দিনাজপুরে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী পাইপলাইন: নসরুল হামিদ
তিনি বলেন, উন্নয়ন সহযোগীরা এখন নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ করতে চাইছে। সৌরবিদ্যুৎ প্রযুক্তির দামও কমেছে। ‘সুতরাং সৌর আমাদের পরবর্তী অগ্রাধিকার।’
অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুর বলেন, বাংলাদেশে গত এক দশকের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও ক্লিন এনার্জি এখন তিন শতাংশ।
তিনি বলেন, ‘এটা মোটেও সুখকর নয়। ইউক্রেন যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে পুরো ইউরোপ এখন বায়ু বিদ্যুতে ঝুঁকেছে।’ বাংলাদেশে তা সম্ভব নয়, তাই আমাদেরকে দ্রুত নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে অগ্রসর হতে হবে।
বর্তমানে চার ধরনের সৌরবিদ্যুৎ যন্ত্রাংশ আমদানিতে ১১ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক রয়েছে এবং এসব শুল্ক কমানো বা সম্পূর্ণ বাতিলের দাবি উঠেছে সেমিনারের একাধিক বক্তার কাছ থেকে।
সুপারিশের মধ্যে রয়েছে আগামী ১০ বছরের জন্য নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগকারীদের কর ছাড়সহ বিভিন্ন প্রণোদনা প্রদান।
প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি, দ্রুত জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ (বিশেষ) আইন বাতিল করা এবং বিনিয়োগকারীদের একটি নির্দিষ্ট হারে অকৃষি খাস জমি পাওয়ার অনুমতি দেয়াও সুপারিশের অন্তর্ভুক্ত।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের জ্বালানি ও বন্দর খাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী সৌদি আরব: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আইএমএফের ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের প্রথম কিস্তি পেল বাংলাদেশ
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের প্রথম কিস্তি ৪৭ কোটি ৬০ লাখ ডলার বৃহস্পতিবার পেয়েছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, আইএমএফের ঋণ অনুমোদনের তিন দিন পর বাংলাদেশ ব্যাংক এই অর্থ পেয়েছে।
তিনি ইউএনবিকে নিশ্চিত করেছেন যে আইএমএফ থেকে প্রথম কিস্তি দেয়ার ফলে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ শক্তিশালী হয়েছে এবং বৃহস্পতিবার যা তিন হাজার ৩৬৯ কোটি ডলারে পৌঁছেছে।
এক্সটেন্ডেড ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি (ইসিএফ) ও এক্সটেন্ডেড ফান্ড ফ্যাসিলিটি (ইএফএফ) এর আওতায় বাংলাদেশ প্রায় ৩৩০ কোটি ডলার এবং রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটির (আরএসএফ) আওতায় প্রায় ১৪০ কোটি ডলার পাবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের জন্য ৪.৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন দিল আইএমএফ
রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটির (আরএসএফ) আওতায় ১৪০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ অনুমোদনের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঝুঁকিতে থাকা নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর জন্য তৈরি তহবিল থেকে ঋণ গ্রহণকারী বাংলাদেশ এশিয়ায় প্রথম।
বাংলাদেশ সাতটি কিস্তির মাধ্যমে ঋণ পাবে এবং দুই শতাংশ সুদে ঋণ পরিশোধ করতে হবে।
বাংলাদেশ ২০২২ সালের জুলাই মাসে আইএমএফের কাছে ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ করেছিল। তখন আইএমএফ আশ্বস্ত করে যে বৈশ্বিক ঋণদাতা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে গত বছরের জুলাইয়ে বোর্ড সভার সময় এক ফাঁকে আইএমএফ আলোচনা করে।
আলোচনা অনুযায়ী, রাহুল আনন্দের নেতৃত্বে আইএমএফের একটি প্রতিনিধি দল ২০২২ সালের ২৬ অক্টোবর থেকে ৯ নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে আইএমএফের সহায়তা নিয়ে আলোচনা করতে ঢাকা সফর করেন।
পরে উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) আন্তোয়নেট মনসিও সায়েহ চলতি বছরের ১৪ থেকে ১৮ জানুয়ারি বাংলাদেশ সফর করেন এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সামাজিক অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন।
আরও পড়ুন: ৪.৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ: আইএমএফ অনুমোদন করতে পারে সোমবার
বাংলাদেশকে ঋণ দিতে আইএমএফ’র কোনো শর্ত নেই: সংসদে প্রধানমন্ত্রী
এলসি খোলার সংকট শিগগিরই স্বাভাবিক হবে: বিবি গভর্নর
আসন্ন রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিতে এলসি নিষ্পত্তিতে পর্যাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রা সরবরাহের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের (বিবি) প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্সের(ডিসিসিআই)নেতারা।
বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে ডিসিসিআই সভাপতি মো. সমীর সাত্তারের নেতৃত্বে ডিসিসিআই-এর নবনির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদ তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ দাবি জানান।
ডিসিসিআই নেতারা গভর্নরকে বলেন, অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: আইএমএফের ‘রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফান্ড’ থেকে ঋণ নেয়ায় এশিয়ায় প্রথম বাংলাদেশ
এর পাশাপাশি রমজানে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ বজায় রাখতে এলসি নিষ্পত্তির জন্য পর্যাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রা সরবরাহে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে সহায়তা করার লক্ষ্যও বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রয়োজন।
ডিসিসিআই দল ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের কাছ থেকে ঋণ পুনরুদ্ধারের কঠোর পদক্ষেপ নিতে ব্যাংকিং আইনে প্রয়োজনীয় সংস্কার করে অলস লোন নিয়ন্ত্রণে সুশাসন নিশ্চিত করার পরামর্শ দেন।
গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার বলেন, অর্থনীতি বর্তমানে তিনটি বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে- রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, যুক্তরাষ্ট্রে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের সুদের হার বৃদ্ধি এবং চীনে কোভিড-১৯ পরিস্থিতির অবনতি।
আরও পড়ুন:বিএসইসি স্টক মার্কেটের শরিয়াহ উপদেষ্টা পরিষদ গঠন
তিনি বলেন, এসব চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বাংলাদেশের অর্থনীতি বেশ স্থিতিশীল রয়েছে।
আগামী এক-দুই মাসের মধ্যে এলসি খোলার বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলেও ইঙ্গিত দেন তিনি।
গভর্নর বলেন, আসন্ন রমজানে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করতে এলসি মার্জিন কমিয়ে আনাসহ বেশ কিছু নীতিগত পদক্ষেপ নিতে অক্লান্ত পরিশ্রম করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বৈঠকে ডিসিসিআই সিনিয়র সহ-সভাপতি এসএম গোলাম ফারুক আলমগীর আরমান, সহ-সভাপতি মো. জুনায়েদ ইবনা আলী এবং পরিচালনা পর্ষদের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ডিমের ডজনে বাড়ল ৩০-৩৫ টাকা
ডলার দেয়ার কথা বলে ৪ লাখ টাকা ছিনতাই, যুবককে গণধোলাই
সিলেটে এক মুক্তিযোদ্ধাকে কম দামে ডলার কিনে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে চার লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় যুবককে গণপিটুনি দিয়েছে জনতা।
রবিবার নগরীর জিন্দাবাজারে এ ঘটনা ঘটে। তবে তাৎক্ষণিক ওই যুবকের কাছ থেকে টাকা উদ্ধার করা যায়নি।
পরে ওই যুবককে পুলিশে সোপর্দ করলে আহত অবস্থায় তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুন: ফতুল্লায় গণধোলাইয়ে ‘ছিনতাইকারী’ নিহত
প্রতারণার শিকার মুক্তিযোদ্ধার নাম গৌরাঙ্গ দেব গোপাল। তিনি সিলেট নগরীর শিববাড়ি এলাকার বাসিন্দা। তার মূল বাড়ি মৌলভীবাজারের কুলাউরা উপজেলার পৃথ্বিমপাশা এলাকায়।
আটক যুবকের নাম আসাদ মিয়া মল্লিক। সে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের আবদিয়া গ্রামের আসমত মল্লিকের ছেলে।
মুক্তিযোদ্ধা গৌরাঙ্গ জানিয়েছেন, স্ত্রীকে নিয়ে তার ভারতে তীর্থে যাওয়ার কথা ছিল। বৃহস্পতিবার ডলার কেনার জন্য তিনি নগরীর আম্বরখানাস্থ সোনালী ব্যাংকের নিচে মানি এক্সচেঞ্জগুলোতে যান। কিন্তু ডলারের দাম বেশি দেখে তিনি ডলার কেনেননি। ওই সময় আসাদ মিয়া নামে এক যুবক তাকে অপেক্ষাকৃত কম দামে ডলার দেয়ার আশ্বাস দেয়। কথা আনুযায়ী রবিবার সকালে তিনি চার লাখ টাকা নিয়ে সিলেট নগরীর লালবাজার এলাকায় আসেন।
তিনি আরও জানান, একপর্যায়ে অপর এক যুবককে সঙ্গে নিয়ে আসাদ গৌরাঙ্গের কাছে আসে। ডলার নেয়ার জন্য গৌরাঙ্গ টাকা বের করলে আসাদ ও তার সঙ্গে থাকা অপর যুবক টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে।
গৌরাঙ্গ প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে জিন্দাবাজার এলাকায় ধাওয়া করা আসাদকে আটক করলে জনতা গণধোলাই দেয়।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ জানান, আসাদ প্রতারণা করে মুক্তিযোদ্ধার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তার কাছ থেকে জাল ডলার উদ্ধার করা হয়েছে।
এছাড়া তার সঙ্গে থাকা ব্যক্তিকে আটক করলে টাকা উদ্ধার করা যাবে। তাকে আটকের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: চৌদ্দগ্রামে ডাকাত সন্দেহে তিনজনকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্কুলছাত্রীকে ‘ধর্ষণ’, অভিযুক্তকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ
২০৩৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত হবে: মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন শক্তিশালী অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতার ওপর জোর দিয়েছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ২০৩৫ সালের মধ্যে ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত হওয়ার জন্য সঠিক পথে এগোচ্ছে।
বৃহস্পতিবার এক মধ্যাহ্নভোজ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের একটি আন্তর্জাতিক ব্যবসা ও উৎপাদন কেন্দ্রে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সময় এসেছে আমরা এমন ন্যারেটিভ তৈরি শুরু করার, যা বাংলাদেশের প্ল্যাটফর্মগুলোকে উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তার জন্য বৈশ্বিক ইনকিউবেটর হিসেবে কাজ করবে।’
মোমেন বলেন, বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে এবং এর জন্য শক্তিশালী অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ।
ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই) ঢাকার একটি হোটেলে নেটওয়ার্কিং লাঞ্চের আয়োজন করে।
এই শীর্ষ বাণিজ্য সংস্থার প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর উদযাপন করতে আগামী ১১-১৩ মার্চ পর্যন্ত ‘বাংলাদেশ বিজনেস সামিট ২০২৩’- আয়োজন করবে এফবিসিসিআই।
আরও পড়ুন: মার্কিন কর্মকর্তাদের 'ঘন ঘন সফর' ইতিবাচক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে বাংলাদেশকে আজ একটি ‘প্রাণবন্ত অর্থনীতি’ ও ‘সম্ভাবনাময় দেশ’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজকের বিশ্বের জন্য একটি নতুন ভিশন চালু করেছেন- সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রেখে খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, জনগণের কল্যাণ এবং ভোটের অধিকার নিশ্চিত করা।
মোমেন বলেন, “আমি এই দর্শনকে ‘হাসিনানোমিক্স’ বলি।”
তিনি আরও বলেন, তিনি হাসিনানোমিক্স অর্জনের জন্য চারটি চালিকাশক্তির পরিচয় দিয়েছেন– ডিজিটাল বাংলাদেশ, উদ্ভাবন ও সৃজনশীলতার বিকাশ; উদ্যোক্তা ও ব্যক্তিগত উদ্যোগ এবং উদার মুক্ত বাজার উদ্যোগ। ফলে আমাদের অর্থনীতি শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে আছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, উৎপাদন বাস্তুতন্ত্রকে স্থিতিশীল করতে এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগ এর ধারা অব্যাহত রাখতে তারা তাদের সম্ভাব্য সর্বোত্তম উপায়ে কাজ করছে।
মোমেন বলেন, “বাংলাদেশ সেই কাজটিই করছে প্রধানমন্ত্রী যা যথার্থভাবে বলেছেন 'জীবন ও জীবিকার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা' এবং বাংলাদেশকে সংযোগের কেন্দ্রে পরিণত করা, কারণ সংযোগই উৎপাদনশীলতা।”
তিনি আশাবাদী যে এই ইভেন্ট তাদের আন্তর্জাতিক ব্যবসায়িক সম্প্রদায়ের কাছে পৌঁছাতে সাহায্য করবে এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনার জন্য উইন-উইন দৃষ্টান্ত তৈরিতে তাদের বৈশ্বিক সংযোগ জোরদার করার প্রচেষ্টাকে সমর্থন করবে।
মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার জন্য ‘জোরালো অগ্রগতি’ করছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ সম্পর্কে বিদেশিদের জ্ঞান খুবই সীমিত: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আগামী নির্বাচন নিয়ে চিন্তিত নই; যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
২০৪০ সালের মধ্যে ১ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে বাংলাদেশের অর্থনীতি: পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের একটি অফিসিয়াল নথিতে বলা হয়েছে, ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার হবে ১ ট্রিলিয়ন ডলার। যদি বর্তমান ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি ছয় শতাংশের বেশি অব্যাহত থাকে এবং প্রবৃদ্ধি আট শতাংশের বেশি হলে ২০৩০ সাল নাগাদ তা অর্জিত হবে।
মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উপস্থাপিত বাংলাদেশের অর্থনীতির হালনাগাদ চিত্রে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মুদ্রাস্ফীতি ও বিনিময় হার নিয়ন্ত্রণে সতর্কতামূলক মুদ্রানীতি বাংলাদেশ ব্যাংকের
নথিতে বলা হয়েছে, গত ছয় বছরে বাংলাদেশের গড় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ছয় দশমিক চার শতাংশ। এই প্রবৃদ্ধি পাঁচ শতাংশের নিচে নেমে গেলেও ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনীতি ট্রিলিয়ন ডলারের মাইলফলক স্পর্শ করবে।
কিন্তু অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আট থেকে ৯ শতাংশে বাড়লে এবং অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা বজায় থাকলে তা ২০৩০ সালের মধ্যে ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে।
কানাডিয়ান অনলাইন প্রকাশনা ভিজ্যুয়াল ক্যাপিটালিস্ট ২৯ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পরিসংখ্যান প্রকাশ করে বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার ৪৬৫ বিলিয়ন ডলার।
গত বছর প্রধান অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৩৫তম।
আরও পড়ুন: ক্যান্সার চিকিৎসার উন্নয়নে কাজ করছে সরকার: পরিকল্পনা মন্ত্রী
রপ্তানি আয় ফিরিয়ে আনতে ডলার প্রতি ১ টাকা বেশি পাবেন ব্যবসায়ীরা
রপ্তানিকারকরা তাদের রপ্তানি আয় ফিরিয়ে আনতে এক মার্কিন ডলারের বিপরীতে ১০২ টাকা পাবেন।
সোমবার থেকে কার্যকর রপ্তানিকারকদের জন্য নতুন ডলারের হার ঘোষণা করেছে অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) এবং বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাফেডা)।
এটি আগের দর থেকে এক টাকা বেশি যা ডলার প্রতি ১০১ টাকা ছিল।
ডলারের দাম নির্ধারণে রবিবার রাতে এবিবি ও বাফেডার নেতারা বৈঠক করেন।
এতে রপ্তানি আয়ের জন্য হার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হলেও প্রবাসী আয় ও আমদানি শুল্ক পরিশোধের ক্ষেত্রে ডলারের দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রপ্তানিকারকরা প্রতি ডলারের বিপরীতে ১ টাকা বেশি পাবেন। আর প্রবাসী আয়ের ক্ষেত্রে ডলারের দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে যা ১০৭ টাকা।
এ ছাড়া আমদানি শুল্ক পরিশোধের ক্ষেত্রে প্রবাসী ও রপ্তানি আয়ের গড় থেকে ডলারের মূল্য শূন্য দশমিক ৫০ টাকা বেশি হবে।
বর্তমানে প্রবাসী আয়ে ডলারের দাম ১০৭ টাকা এবং রপ্তানি আয়ে ১০২ টাকা।
আরও পড়ুন: ঋণ কেলেঙ্কারি সত্ত্বেও ২০২২ সালে পরিচালন মুনাফার শীর্ষে ইসলামী ব্যাংক
ফলে প্রবাসী ও রপ্তানি আয়ের গড় ১০৪ দশমিক পাঁচ টাকা। এর সঙ্গে শূন্য দশমিক ৫০ টাকা যোগ করলে প্রতি ডলার আমদানি বিল হবে ১০৫ টাকা।
গত বছরের মার্চ থেকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর মার্কিন ডলারের স্বল্প সরবরাহ রয়েছে যা বিশ্ব অর্থনীতিকে ধাক্কা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে জুলাই-ডিসেম্বরে রপ্তানি আয় ২৭.২২ বিলিয়ন ডলার
নভেম্বরে ১৫৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে বাংলাদেশ
বাংলাদেশ নভেম্বর মাসে এক দশমিক ৫৯ বিলিয়ন (১৫৯ কোটি) মার্কিন ডলার অভ্যন্তরীণ রেমিট্যান্স পেয়েছে। এতে দেখা যায়, প্রবাসী আয় প্রবাহ সামান্য বৃদ্ধি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক নগদ প্রণোদনা এবং বিনা খরচে রেমিটেন্স পাঠানোর সুযোগসহ অর্ধডজন সুবিধা ঘোষণার পর অভ্যন্তরীণ রেমিট্যান্স প্রবাহে তীক্ষ্ণ বৃদ্ধির আশা করলেও এখন পর্যন্ত সন্তোষজনক সাড়া পায়নি।
বৈদেশিক মুদ্রা সংকটের মধ্যে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স ক্রমাগত কমছে।
অক্টোবরে প্রবাসীরা এক দশমিক ৫২ বিলিয়ন(১৫২কোটি) ডলার পাঠিয়েছেন। জুলাই ও আগস্ট মাসে বাংলাদেশ পেয়েছে যথাক্রমে দুই দশমিক ০৯ বিলিয়ন এবং দুই দশমিক ০৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
সেপ্টেম্বর থেকে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমছে। প্রবাসীদের মধ্যে একটি গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে বাংলাদেশে অর্থ পাঠানো নিরাপদ নয়, যা স্পষ্টতই রেমিট্যান্স প্রবাহকে প্রভাবিত করেছে।
আরও পড়ুন: আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য ২ মাস চেয়ে আইনজীবীদের আবেদন
বাংলাদেশ ব্যাংকের (বিবি) তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশ ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর মাসে আট দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলারের অভ্যন্তরীণ রেমিট্যান্স পেয়েছে। যেখানে ২০২২ অর্থবছরের একই সময়ে এই সংখ্যাটি ছিল আট দশমিক ৬০ বিলিয়ন ডলার। এতে দেখা যায় যে প্রবাসীরা আগের অর্থবছরের তুলনায় ২০২৩ অর্থবছরে দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে।
বিবির মুখপাত্র মো. আবুল কালাম আজাদ ইউএনবিকে বলেন, রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক রেমিট্যান্সের জন্য মার্কিন ডলারের বিনিময় হার বাড়িয়েছে।
তিনি বলেন, রেমিট্যান্সের জন্য দুই দশমিক পাঁচ শতাংশ ঝামেলামুক্ত প্রণোদনা ছাড়াও, বেশ কয়েকটি ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা আহরণে অতিরিক্ত প্রণোদনাও প্রদান করে।
তিনি বলেন, আইনি কাঠামোতে রেমিট্যান্স পাঠানোর জন্য ব্যাংকগুলো কোনো ফি নেবে না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গবেষণায় দেখা গেছে, ৪০ শতাংশের বেশি রেমিট্যান্স পাঠানো হয় অবৈধ হুন্ডির মাধ্যমে।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার বাজারে আসছে ২ ও ৫ টাকার নতুন নোট
বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ২৮২৪ ডলার
বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৮২৪ ডলার।
সোমবার অনুমোদিত মন্ত্রণালয় ও বিভাগসমূহের ২০২১-২২ অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদনে এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশে মাথাপিছু আয় বছরে ৯ শতাংশ বেড়ে ২০২১-২২ অর্থবছরে দুই হাজার ৮২৪ ডলারে দাঁড়িয়েছে।
মাথাপিছু আয় ২০২১ অর্থবছরে ছিল দুই হাজার ৫৯১ ডলার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্ব তার কার্যালয়ে বৈঠকে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে ২০২২ সালের মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর কার্যকারিতা-সম্পর্কিত বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।
আরও পড়ুন: দেশের মাথাপিছু আয় বেড়ে ২৮২৪ মার্কিন ডলার
পরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
ল্যাটিন ভাষায় মাথাপিছু শব্দের অর্থ মাথা। মাথাপিছু আয় একটি সূচক যা প্রতিটি ব্যক্তি একটি দেশ বা অঞ্চলে কত টাকা আয় করে।
এই পরিমাপ জনপ্রতি গড় আয় নির্ণয় করতে সাহায্য করে, একটি নির্দিষ্ট এলাকায় জনসংখ্যার জীবনযাত্রার মান নির্ধারণে সহায়তা করে।
যদিও মাথাপিছু আয় মোট অভ্যন্তরীণ পণ্য এবং মাথাপিছু মোট জাতীয় আয় গণনা করে। এটি মুদ্রাস্ফীতি, দারিদ্র্য, সঞ্চয় এবং অর্থনৈতিক কল্যাণের মতো কারণগুলো বিবেচনা করতে পারে না।
আরও পড়ুন: দেশে মাথাপিছু বৈদেশিক ঋণ ২৪,৮৯০ টাকা
মাথাপিছু আয় বেশি দেখানোর জন্য সরকার কম জনসংখ্যা দেখাচ্ছে: ফখরুল