সংস্কৃতি
সমাজে চাঁদাবাজির সংস্কৃতি বন্ধ করুন: আনিসুল ইসলাম মাহমুদ
বিরোধীদলীয় উপনেতা ও জাতীয় পার্টির সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেছেন, চাঁদাবাজি সমাজে একটি সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে।
সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, 'আমার সহকর্মী সংসদ সদস্যদের কাছে আমার আবেদন। আসুন আমরা এই একটি কারণে ঐক্যবদ্ধ হই, যেখানে কোনো পয়সা খরচ হবে না। কিছুই লাগবে না। আমরা তাদের সমর্থন করব না, শুধু তাদের প্রতিহত করব। আমার মনে হয়, এটা করলেই বাংলাদেশ টিকে থাকবে।’
একটি পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ উল্লেখ করে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, পণ্য পরিবহনে চাঁদা দিতে হয়। এতে মোট দাম বাড়ে। বাড়ি নির্মাণ করতে হলে চাঁদা দিতে হয়।’
আরও পড়ুন: চলচ্চিত্র প্রযোজকের বিরুদ্ধে 'হত্যাচেষ্টা ও চাঁদাবাজির' অভিযোগ এনে শাকিব খানের মামলা
কেউ যদি চাঁদার টাকা দিতে না চায় তাহলে তাকে রড, ইট, সিমেন্ট বা বালু সরবরাহের কাজ দিতে হয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘গরিব হকারদের কাছেও চাঁদাবাজি করা হয়, রিকশা স্ট্যান্ডে চাঁদাবাজরাও থাকে। চাঁদাবাজি একটি ভয়াবহ ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে।’
এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে সামনে ভয়ংকর সমস্যা হবে বলে জানান তিনি।
তিনি সব সংসদ সদস্যকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে চাঁদাবাজদের সমর্থন না করতে এবং তাদের প্রতিহত করার শপথ গ্রহণের আহ্বান জানান।
অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টির আরেক সদস্য ও বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখিয়ে বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ফরম বিক্রির টাকা উপাচার্য, উপউপাচার্য ও অন্যান্য শিক্ষকদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হচ্ছে।
‘চবি ছাত্রলীগ এই অর্থ ভাগাভাগির অংশীদার হতে চায়, যা তারা আগেও করেছে।’
শিক্ষামন্ত্রীর উদ্দেশে মুজিবুল হক বলেন, এটা যদি সঠিক হয়, তাহলে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জনগণকে জানাতে হবে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে চাঁদাবাজি ও অপহরণ মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
রাণীশংকৈলে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে ২ যুবক গ্রেপ্তার
বাঙালির ঐতিহ্য-সংস্কৃতি নষ্ট করার ষড়যন্ত্র সহ্য করা হবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, একটা সময় ছিল দেশে ধর্ম নিয়ে কেউ বাড়াবাড়ি করত না। হিন্দু মুসলমান সবাই দলবেঁধে একে অপরের ধর্মীয় উৎসবে অংশ নিত। হঠাৎ করে সেই সুন্দর সম্প্রীতির সংস্কৃতিতে একটি বিশেষ গোষ্ঠী বিভেদ আনার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি কথা বারবার বলেন, আমিও বলছি, ধর্ম যার যার উৎসব হবে সবার। আবহমানকালের আমাদের বাঙালি ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে নষ্ট করার ষড়যন্ত্র আর সহ্য করা হবে না।
আরও পড়ুন: এমবিবিএস-বিডিএস ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ সতর্কতা নেওয়া হয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা ৩টায় রাজধানীর সবুজবাগ বাসাবোর রাজারবাগ এলাকায় বরদেশ্বরী কালীমাতা মন্দিরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজে অধ্যায়নরত উপস্থিত মেডিকেল শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, তোমরা দলে দলে ডাক্তার হও, এটা যতটা জরুরি তার থেকেও অনেক বেশি জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে তোমাদেরকে সৎ, আদর্শিক মানুষ হওয়া এবং ভালো ডাক্তার হওয়া।
আরও পড়ুন: দেশে ওষুধের চাহিদার ৯৮ শতাংশই স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, দেশের লাখ লাখ অসহায় মানুষ তোমাদের মুখের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। একজন রোগী যখন চিকিৎসা নিতে আসে সেই রোগীই জানে তার জন্য ডাক্তার কত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। এজন্য ডাক্তারদের সংখ্যা বৃদ্ধির থেকে ভালো মানুষ ও ভালো মানের ডাক্তার হওয়ার দিকে আমি বিশেষ জোর দিয়েছি।
তোমাদের প্রত্যেককে সৎ মানুষ ও ভালো ডাক্তার হতে হবে।
আরও পড়ুন: বিদেশি রোগীও মেডিকেল ভিসায় বাংলাদেশে চিকিৎসা নিতে আসতে শুরু করেছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
খেলাধুলা ও সংস্কৃতিকে পৃষ্ঠপোষকতা দিতে বেসরকারি খাতের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খেলাধুলা ও সংস্কৃতির উন্নয়নে সরকারি প্রচেষ্টার পাশাপাশি বেসরকারি খাতের পৃষ্ঠপোষকতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি সংস্কৃতি চর্চা ও খেলাধুলার উন্নয়নে সরকারি প্রচেষ্টার পাশাপাশি বেসরকারি খাতের পৃষ্ঠপোষকতা প্রয়োজন।’
শনিবার (৫ আগস্ট) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় ছেলে শহীদ শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া সংস্কৃতি ও খেলাধুলাকে সমৃদ্ধ করা সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, দেশের ছেলে-মেয়েরা যাতে খেলাধুলায় আরও আগ্রহী হতে পারে তাই প্রতি উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে শেখ কামালের অবদান জাতি চিরকাল মনে রাখবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কামাল ফুটবল, ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টন ও হকির মতো বিভিন্ন খেলার সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ১০ ব্যক্তি ও ২ সংগঠনকে শেখ কামাল ক্রীড়া পুরস্কার দিলেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, দেশের ফুটবল খেলার উৎকর্ষ সাধনে শেখ কামাল বিশেষভাবে অবদান রেখেছেন।
শেখ হাসিনা জানান, তার ভাই কামাল বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গেও সম্পৃক্ত ছিলেন।
কামাল স্পন্দন ব্যান্ড দল গঠন করেছিলেন উল্লেখ করে তিনি জানান, তার ভাই ইলেকট্রিক অর্গানের মতো আধুনিক যন্ত্র ব্যবহার করে দেশের বিভিন্ন লোকগানকে জনপ্রিয় করেছেন।
কামালের অভিনয় দক্ষতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তিনি নাটকেও ভালো অভিনয় করতেন।
কামালের সাংগঠনিক দক্ষতা অত্যন্ত শক্তিশালী বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘তবে তার নেতা হওয়ার কোনো ইচ্ছা ছিল না।’
ছোটবেলা থেকেই শেখ কামাল দায়িত্ববোধসম্পন্ন মানুষ ছিলেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী জানান, তার ভাই বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী আবেগাপ্লুত কণ্ঠে বলেন, আজ শেখ কামাল বেঁচে থাকলে হয়তো আমাকে এত বড় দায়িত্ব নিতে হতো না!
তিনি বলেন, স্থানীয় খেলোয়াড়রা সীমিত সুযোগ-সুবিধার মধ্যেও এগিয়ে যাচ্ছে এবং বাংলাদেশের জন্য গৌরব ও সুনাম বয়ে আনছে।
আরও পড়ুন: শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকীতে বিশেষ ডাকটিকিট প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী
দেশের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে বেসরকারি খাত পাশে থাকবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন, তার সরকার অন্যান্য ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পাশাপাশি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন করে স্থানীয় ক্রীড়াকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বেসরকারি খাতকে স্থানীয় প্রতিভার সন্ধান করতে এবং তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করতে বলেন।
তিনি বলেন, ‘আপনারা দেখবেন এরাই বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং দেশের গৌরব ও সুনাম বৃদ্ধি করবে।’
এসময় ‘শেখ কামাল: ক্ষণজন্মা এক নক্ষত্র’ শিরোনামের একটি বইয়ের মোড়কও উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে তিনি ‘বঙ্গবন্ধু ক্রীড়া বৃত্তি’ বিতরণ করেন।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য বঙ্গবন্ধু ক্রীড়াসেবী কল্যাণ ফাউন্ডেশন এই বৃত্তি দিচ্ছে।
মোট ৫০০ জন শিক্ষার্থী এই বৃত্তি পেয়েছে। পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বার্ষিক ১২ হাজার টাকা, অর্থাৎ প্রতি মাসে ১ হাজার টাকা এবং একাদশ শ্রেণি থেকে অনার্স স্তরের শিক্ষার্থীরা বার্ষিক ২৪ হাজার টাকা, অর্থাৎ প্রতি মাসে ২ হাজার টাকা পাচ্ছে।
আরও পড়ুন: দক্ষ প্রযুক্তি-সচেতন জনশক্তি গড়ে তুলুন: স্মার্ট বাংলাদেশ টাস্কফোর্সকে প্রধানমন্ত্রী
একই অনুষ্ঠানে তিনি ক্রীড়াঙ্গনে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১০ জন ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব এবং দুটি প্রতিষ্ঠানকে মর্যাদাপূর্ণ শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) পুরস্কার-২০২৩ তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং যুব ও ক্রীড়া সচিব মহিউদ্দিন আহমেদ।
পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্য থেকে বক্তব্য রাখেন কিংবদন্তি হকি খেলোয়াড় ও বাংলাদেশ জাতীয় হকি দলের প্রথম অধিনায়ক আবদুস সাদেক এবং নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন।
মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব।
অনুষ্ঠানে শহীদ শেখ কামালের জীবনের উপর নির্মিত একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়।
দেশের শিল্প-সংস্কৃতিকে আরও সমৃদ্ধ করতে হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘আমাদের শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতির হাজার বছরের যে ঐতিহ্য রয়েছে, সেগুলোকে আরও সমৃদ্ধ করতে হবে। এজন্য আমাদের দেশের শিল্পী, সাহিত্যিক ও সংস্কৃতিকর্মীদের আরও বেশি মনযোগী হতে হবে।
শুক্রবার (২১ জুলাই) সিলেটে ‘জেলা শিল্পকলা একাডেমি সম্মাননা ২০২২’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সাংস্কৃতিক ইতিহাস অত্যন্ত সমৃদ্ধ। সিলেট অঞ্চলের অনেক মনীষী আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে বিশিষ্টতা দিয়েছেন। বিশেষ করে হাসন রাজার গান, শাহ আব্দুল করিমের গান — ওনাদের সৃষ্টিশীল কর্ম মানুষের মনে চিরস্থায়ী জায়গা করে নিয়েছে। এর কারণ সম্ভবত এসব গুণীজন একাধারে গান রচনা, সুরারোপ, সংগীত চর্চায় আত্মনিবেদিত ছিলেন। সে কারণে তাদের সৃষ্টি অনন্য ও অমর হয়ে আছে।’
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ৬ দিনের সফরে যাচ্ছেন ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ড
তিনি বলেন, ‘শুধু সিলেট অঞ্চলের নয়, আমাদের বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম, সাহিত্যিক মীর মোশাররফ হোসেন — এরকম অনেক গুণীজন তাদের অনন্য সৃষ্টি রেখে গেছেন। এদের মতো করে শিল্প-সংস্কৃতির চর্চায় মনোনিবেশ করলে আমাদের সংস্কৃতি আরও সমৃদ্ধ হবে, আরও বৈচিত্র্যময় হবে। আর সেজন্য আজ যারা শিল্পকলার বিভিন্ন শাখায় অবদানের জন্য সম্মাননা পেলেন এবং আগামীতে যারা পাবেন তারা এসব সৃষ্টিশীল কাজে আরও বেশি মনোনিবেশ করবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সরকার আমাদের সংস্কৃতি চর্চায় সবধরনের সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে যাচ্ছে। জেলা, উপজেলা পর্যায়ে শিল্পকলার নিয়মিত কর্মকাণ্ড আয়োজনে সরকারি ব্যবস্থাপনা আগের চেয়ে এখন অনেক বাড়ানো হয়েছে।’
গুণীজনদের কাজের সরকারি স্বীকৃতি হিসেবে শিল্পকলা একাডেমির সম্মাননা সংস্কৃতি কর্মীদের উৎসাহিত করতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে ৫ গুণীজনের হাতে ‘জেলা শিল্পকলা একাডেমি সম্মাননা ২০২২’ তুলে দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন।
সম্মাননাপ্রাপ্তরা হলেন- লোকসংস্কৃতিতে মিহিরকান্তি চৌধুরী, কণ্ঠসংগীতে পূর্ণিমা দত্ত রায়, নাট্যকলায় চম্পক সরকার, আবৃত্তিতে জ্যোতি ভট্টাচার্য, যন্ত্রসংগীতে (বাঁশি) মো. মিনু মিয়া।
সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমানের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ, সিলেটের চেয়ারম্যান মো. নাসির উদ্দিন খান এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, সিলেট জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে সিলেটের গুণীজন, শিল্প-সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গন এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সিলেটের জেলা সংস্কৃতিবিষয়ক কর্মকর্তা অসিত বরণ দাশ গুপ্ত।
আরও পড়ুন: সাবেক সংসদ সদস্য মঞ্জুর রহমানের মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
রোহিঙ্গা নির্যাতনের কথা শুনলেন মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি ও সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রযুক্তিনির্ভর বিশ্বে নিজেদের স্বতন্ত্রতা বজায় রেখে বাঙালি সংস্কৃতির বিকাশ ঘটান: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার প্রযুক্তির যুগে বাঙালি সংস্কৃতির স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখে বিকাশের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তির যুগে আমাদের শিশুদের মানসিকতা পরিবর্তন হচ্ছে। সুতরাং, তাদের চিন্তাভাবনা ও চেতনার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আমাদের সংস্কৃতিকে বিকাশ করতে হবে; যাতে তারা আমাদের বাঙালি সংস্কৃতিকে ভুলে না যায়।’
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর শাহবাগে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, ‘আমাদের অনন্যতা আছে। আমাদের এর স্বতন্ত্রতা রক্ষা করতে হবে এবং সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে হবে।’
অনুষ্ঠানে তিনি পাবলিক লাইব্রেরি অধিদপ্তরের বহুতল ভবনসহ সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ছয়টি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর উন্মোচন করেন।
এছাড়াও, তিনি বাংলাদেশের কপিরাইট অফিসের জন্য শহরে নবনির্মিত ১২ তলা কপিরাইট ভবনের উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ৬টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর উন্মোচন করলেন প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার বাঙালি জাতির ঐতিহ্য, স্থানীয় সংস্কৃতি ও ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং শিল্প-সাহিত্য সংরক্ষণ, গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে সংস্কৃতিমনা, সৃজনশীল ও মেধাবী জাতি গঠনে কাজ করে যাবে।
তিনি আরও বলেন যে ‘এখন প্রযুক্তির বিশ্ব। তাই আমরা আমাদের প্রজন্মকে প্রযুক্তিগত জ্ঞান ও দক্ষতা প্রদানের পাশাপাশি আধুনিক জ্ঞানসমৃদ্ধ একটি আধুনিক জাতি গঠনের লক্ষ্যে আমাদের সাংস্কৃতিক অনুশীলনে প্রযুক্তি ব্যবহার করতে চাই।’ এ বিষয়ে কিছু প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাহিত্য, সঙ্গীত, চলচ্চিত্র, শিল্পকলা, সৃজনশীলতা ও প্রকাশনাসহ বাংলা ভাষার প্রতিটি শাখাকে সমৃদ্ধ ও সম্প্রসারণের মাধ্যমে সরকার বাংলা ভাষার প্রসারের উদ্যোগ নিয়েছে।
তিনি বলেন, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতিটি জেলায় সাংস্কৃতিক মেলার আয়োজন করে, যা তৃণমূলের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের পথ প্রশস্ত করে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ এখন আর পিছিয়ে নেই। সারা বাংলাদেশে ওয়াইফাই সংযোগ রয়েছে। তার সরকার প্রতিটি বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছে। এখন ইউনিয়ন পর্যায়েও মানুষের অবস্থা আমূল পরিবর্তন হয়েছে।
তৃণমূলের মানুষের কাছে সাংস্কৃতিক চর্চা পৌঁছে দেওয়ার ওপর জোর দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের তৃণমূলে অনেক প্রতিভা লুকিয়ে আছে। আমাদের তাদের প্রচার করতে হবে এবং জাতীয় মঞ্চে তাদের মূল্যায়ন করতে হবে। তাই আমাদের সাংস্কৃতিক চর্চাকে শুধু জেলা পর্যায়ে না রেখে তৃণমূল পর্যায়েও নিয়ে যেতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষ উদার মনের এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনার। সুতরাং, এই মানসিকতা ও চেতনাকে আরও বিকাশের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
আরও পড়ুন: আ. লীগ সরকার অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রমাণ দিয়েছে: ৫ সিটি মেয়রের শপথ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, তার সরকার ইতোমধ্যে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক চর্চাকে সমৃদ্ধ ও ঋদ্ধ করতে অনেক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে এবং এ বিষয়ে আরও পদক্ষেপ গ্রহণ অব্যাহত রাখবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতি করছি। সুতরাং, আমরা একইভাবে সাংস্কৃতিক চর্চা এবং বুদ্ধিবৃত্তিকতা রক্ষার ক্ষেত্রে এগিয়ে যাব।’
অন্য পাঁচটি প্রকল্প হলো-পুরান ঢাকার রোজ গার্ডেন, ঢাকায় কবি নজরুল ইনস্টিটিউট ভবন, কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ শিল্পকলা একাডেমি ও আঞ্চলিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এবং জাতীয় জাদুঘরে শিশু গ্রন্থাগার।
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক খলিল আহমেদ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করাই আমার লক্ষ্য: টুঙ্গিপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে জাপানের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
সাক্ষাতে বাংলাদেশ-জাপান কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
একইসঙ্গে বাংলাদেশে জাপানি স্থপতি কর্তৃক শিশু গ্রন্থাগার স্থাপন, বাংলাদেশ-জাপান যৌথ চিত্র প্রদর্শনী আয়োজন ও বঙ্গবন্ধু অপেরা হাউজ নির্মাণে জাপানের সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়।
সোমবার (১৭ এপ্রিল) সচিবালয়ে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর কার্যালয়ে জাপানের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ হয়।
সাক্ষাতে জাপানের রাষ্ট্রদূত জানান, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জাদুঘর ও সংগ্রহশালা এবং একটি জনপ্রিয় সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র। প্রতিদিন অসংখ্য ছাত্রছাত্রী, গবেষক, পর্যটক ও স্থানীয় জনগণ এটি পরিদর্শন করে।
এসব বিষয় বিবেচনা করে জাপান দূতাবাস জাপানের প্রখ্যাত স্থপতি তাদাও আন্দো এর মনোরম স্থাপত্য নকশায় বাংলাদেশের শিশুদের জন্য জাতীয় জাদুঘর প্রাঙ্গণে একটি নান্দনিক শিশু গ্রন্থাগার স্থাপনে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন: ডয়চে ভেলেকে সাক্ষাৎকার দেওয়া নাফিজকে মাদক মামলায় গ্রেপ্তার
সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে জাপান দূতাবাস ও বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের যৌথ সমীক্ষায় জাদুঘর প্রাঙ্গণকে শিশু গ্রন্থাগার স্থাপনের সর্বাপেক্ষা উপযুক্ত স্থান হিসাবে নির্ধারণ করে।
পরবর্তীতে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর পর্ষদ স্থানটির বিষয়ে সম্মতি দেয় এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এটিকে চূড়ান্ত অনুমোদন প্রদান করে।
ইওয়ামা কিমিনোরি আরও জানান, প্রস্তাবিত শিশু গ্রন্থাগার স্থাপন এবং এর ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর ও জাপানের মধ্যে সমঝোতা স্মারকের খসড়া পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে জাতীয় জাদুঘরে পাঠানো হয়েছে। রাষ্ট্রদূত এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রীর সহযোগিতা ও পরামর্শ কামনা করেন।
শিশু গ্রন্থাগার নির্মাণের বিষয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত। প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন জাপান সফরের সময়ে সমঝোতা স্মারকটি সই হতে পারে।’
কে এম খালিদ বলেন, ‘শিশু গ্রন্থাগারটি নির্মিত হলে একদিকে যেমন আমাদের শিশুদের পাঠাভ্যাস গড়ে ওঠবে, অন্যদিকে এটি তাদের জাপানের ঐতিহ্যবাহী কৃষ্টি ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে সহায়তা করবে।’
রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি বলেন, ‘বাংলাদেশের সংস্কৃতি হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী ও সমৃদ্ধ।’
এ সমৃদ্ধ সংস্কৃতিকে বিশ্বদরবারে ছড়িয়ে দিতে তিনি সাংস্কৃতিক বিনিময়ের পাশাপাশি বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
রাষ্ট্রদূত এসময় বাংলাদেশ-জাপান কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে দুদেশের চিত্রশিল্পীদের অংশগ্রহণে যৌথ চিত্রপ্রদর্শনী আয়োজনে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার জন্য প্রতিমন্ত্রীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী পদ্মা সেতুর নিকট সিডনি অপেরা হাউজের আদলে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প ‘বঙ্গবন্ধু অপেরা হাউজ’ নির্মাণে জাপানের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা কামনা করেন।
রাষ্ট্রদূত জানান, জাপান বাংলাদেশের বৃহত্তম উন্নয়ন সহযোগি। জাইকার মাধ্যমে বিগত কয়েক দশক ধরে জাপান বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে অপেরা হাউজ নির্মাণে বিনিয়োগ একটু কঠিন।
তবে, এটি বাংলাদেশের অগ্রাধিকার প্রকল্প হলে বাংলাদেশকে অফিসিয়াল প্রস্তাব প্রেরণ করতে হবে। যেহেতু, এটি বড় অংকের অর্থ বিনিয়োগের সঙ্গে সম্পৃক্ত, সেজন্য এ বিষয়ে জাপান সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেওয়া একান্ত আবশ্যক। রাষ্ট্রদূত পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) মাধ্যমেও এটি বাস্তবায়িত হতে পারে বলে মতপ্রকাশ করেন।
তিনি এসময় প্রতিমন্ত্রীকে জাপান সফরের আমন্ত্রণ জানান।
সাক্ষাৎকালে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (সাংস্কৃতিক বিনিময়) কাজী নুরুল ইসলাম, উপসচিব (সাংস্কৃতিক চুক্তি) আয়েশা সিদ্দিকা, প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সচিব (উপসচিব) মোহাম্মদ আলতাফ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি হামিদের সঙ্গে শেষবারের মতো বঙ্গভবনে সাক্ষাৎ করেছেন প্রধানমন্ত্রী
মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বিএনপির প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ
সংস্কৃতির বিভিন্ন উপাদান ছড়িয়ে দিন: রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ কবি, লেখক, নাট্যকার, নির্মাতা, সংগ্রাহক, গবেষক এবং অন্যান্য ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের প্রতি সংস্কৃতির বিভিন্ন উপাদান ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সব সংস্কৃতিকে অনুমতি দেয়া উচিত নয়। তথ্যপ্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক উপাদানগুলোকে সংগ্রহ করে দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে। তবেই বহির্বিশ্বে আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ফুটে উঠবে।’
শনিবার জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি এখন গ্রাম-শহর নির্বিশেষে সবার জীবনকে প্রভাবিত করেছে। তথ্যের অবাধ প্রবাহের কারণে পৃথিবী এখন গ্রামে পরিণত হয়েছে। ফলে আকাশ সংস্কৃতি এখন বাস্তবতা।
আরও পড়ুন: মেডিকেল কলেজকে টাকা বানানোর যন্ত্রে পরিণত করা উচিত নয়: রাষ্ট্রপতি
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন দেশ ও জাতির সংস্কৃতিতেও এর প্রভাব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। সাংস্কৃতিক চিন্তাধারা এবং মানসিকতাও একই গতিতে পরিবর্তিত হচ্ছে।
'নতুন প্রজন্মকে ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কে সচেতন করা আমাদের দায়িত্ব' উল্লেখ করে হামিদ বলেন, আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতিসহ ভারসাম্যপূর্ণ বিকাশের জন্য সৃজনশীল ও মেধাবী জনশক্তি অপরিহার্য। আলোকিতরাই পারে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যদি আমাদের সন্তানদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, বেদনা এবং গর্বের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে না দিই, তাহলে তারা আত্মসম্মানে সচেতন নাগরিক হিসাবে বেড়ে উঠবে না।’
তিনি প্রচলিত শিক্ষার পাশাপাশি তাদের শিকড় খুঁজে বের করার এবং গৌরবময় অতীতের কথাও বলার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: টেকসই উন্নয়নের জন্য দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিন: রাষ্ট্রপতি
ক্যানবেরায় বহু ভাষা ও সংস্কৃতির ব্যক্তিদের অংশগ্রহণে অমর একুশে উদযাপন
অস্ট্রেলিয়ায় বহু ভাষা ও সংস্কৃতির ব্যক্তিদের অংশগ্রহণে পালিত হলো শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। দেশটির রাজধানী ক্যানবেরায় প্রভাত ফেরীসহ বাংলাদেশ হাইকমিশনের এসব আয়োজনে অস্ট্রেলিয়ান ক্যাপিটাল টেরিটরি (এসিটি) সরকারের মন্ত্রী, রাষ্ট্রদূত-কূটনৈতিকসহ প্রবাসী বাংলাদেশিরা স্বতস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।
ক্যানবেরার তেলোপিয়া পার্কে মানুকা সার্কিট ও নিউ সাউথ ওয়েলস স্ট্রিটের ক্রসরোডে স্থাপিত অস্থায়ী শহিদ মিনারে বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
প্রভাত ফেরী সকাল ৬.৩০ মিনিটে শুরু হয়ে মানুকা ওভাল ঘুরে অস্থায়ীভাবে স্থাপিত শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে শেষ হয়।
এতে অংশগ্রহণ করেন অস্ট্রেলিয়ান ক্যাপিটাল টেরিটরি (এসিটি) সরকারের মন্ত্রী, রাষ্ট্রদূত-কূটনৈতিক,অষ্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের প্রতিনিধি, বিভিন্ন ভাষা-ভাষীদের প্রতিনিধি, অষ্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত প্রবাসী ও অভিবাসীগণ এবং বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তা/কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা।
অংশগ্রহণকারীরা অস্থায়ী শহিদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময় ভাষা শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
আরও পড়ুন: প্রতিটি ভাষাকে সম্মান করে ‘আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক, ন্যায়সঙ্গত’ বিশ্ব চায় বাংলাদেশ
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সংক্ষিপ্ত আলোচনা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম আল্লামা সিদ্দিকী, এসিটি সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাসেল স্টিফেন স্মিথ, পরিবেশ মন্ত্রী রেবেকা ভাসারত, বহুসংস্কৃতি বিষয়ক ছায়ামন্ত্রী পিটার কেইন, অস্ট্রেলিয়ায় ভারতের রাষ্ট্রদূত মনপ্রিত ভোরা সংক্ষিপ্ত বক্তব্য প্রদান করেন।
এম আল্লামা সিদ্দিকী এ সময় ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে বাংলাদশের স্বাধীনতা অর্জন পর্যন্ত দীর্ঘ সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসাধারণ নেতৃত্বের কথা স্মরণ করেন।
তিনি বলেন, বিশ্বের প্রায় ৭ হাজার ভাষার প্রতিটি জীবন্ত যাদুঘর এবং অনন্য জ্ঞানের আধার। প্রতিবছর এ ৭ হাজার ভাষার মধ্যে কমপক্ষে ১টি ভাষা বিলুপ্ত হচ্ছে উল্লেখ করে বাংলাদেশের হাইকমিশনার বিশ্বের প্রতিটি ভাষা সংরক্ষণের বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এসময় বক্তাগণ মহান শহিদ দিবস ও আন্তজার্তিক মাতৃভাষা দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরেন।
ভারতের রাষ্ট্রদূতসহ বক্তারা ভাষার সম্মান রক্ষায় বাংলাদেশের নেতৃত্বের প্রশংসা করেন এবং বহু সংস্কৃতিবাদ ও ভাষার অন্তর্ভুক্তির ওপর জোর দেন।
একুশের ব্যাপারে সম্যক অবহিত করা এবং নৃ-তাত্ত্বিক ভাষাসহ সকল মাতৃভাষার সম্মানার্থে এই অস্থায়ী শহিদ মিনার তিনদিনব্যাপী খোলা রাখা হয়েছে।
সকাল ৮ টায় হাইকমিশন প্রাঙ্গণে হাইকমিশনার এম আল্লামা সিদ্দিকী জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা করতে বিপুল অর্থের প্রয়োজন: শাহরিয়ার আলম
এসময় দিবসটি উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। এছাড়া নিজ নিজ ধর্মমত ও প্রথা মোতাবেক ভাষা শহিদদের উদ্দেশ্যে মৌন প্রার্থনা এবং তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাতের মধ্য দিয়ে দিবসটির প্রথম প্রহরের অনুষ্ঠান শেষ হয়।
সন্ধ্যায় দেড় শতাধিক অষ্ট্রেলিয়া প্রবাসী ও অভিবাসী বাংলাদেশির অংশগ্রহণে বাংলাদেশ হাইকমিশনে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ওপর এক আলোচনা সভা আয়োজন করা হয় যাতে হাইকমিশনারসহ অষ্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিরা অংশগ্রহণ করেন। আলোচনা শেষে ভাষা শহিদদের স্মরণে ও বাংলাদেশকে উপজীব্য করে স্থানীয় বাংলাদেশি শিল্পীদের পরিবেশনায় এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এদিকে, একুশের চেতনা, তাৎপর্য, ইতিহাস বিষয়ে এবিসি রেডিও ক্যানবেরা আজ সকালে হাইকমিশনার এম আল্লামা সিদ্দিকীর লাইভ সাক্ষাৎকার গ্রহণ করে। এসময় তিনি একুশের চেতনা বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী ও সংস্কৃতির মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে প্রতি বছর বাংলাদেশ হাইকমিশন ক্যানবেরা গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন ।
উৎসবে দেশেও নিত্যপণ্যের দাম কমানোর সংস্কৃতি চালু করুন: তথ্যমন্ত্রী
উৎসবের সময় দেশেও নিত্যপণ্যের দাম কমানোর সংস্কৃতি চালু করার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরের পলোগ্রাউন্ডে ৩০তম চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ব্যবসায়ীদের প্রতি এ আহ্বান জানান হাছান মাহমুদ।
আরও পড়ুন: দুর্যোগে বিএনপিকে খুঁজে পাওয়া যায় না, তারা শীতের পাখি: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘পৃথিবীর সব দেশে দেখা যায়, উৎসব-পূজা-পার্বণের সময় পণ্যের দাম কমে। আমাদের দেশে যখন ঈদ-রোজা-পূজা যেটিই হয়, তখন পণ্যের দাম বাড়ে। উৎসবের সময় যেন পণ্যের দাম কমানোর মানসিকতা ব্যবসায়ীরা রাখেন, সে জন্য আমি এফবিসিসিআই, চট্টগ্রাম শিল্প বণিক সমিতিসহ সব ব্যবসায়ী সমিতিকে আহ্বান জানাই।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘যাঁরা মজুতদারি করবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে যেন ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো ব্যবস্থা গ্রহণ করে। যাঁরা পণ্যের দাম কমাবেন, তাঁদের যেন ব্যবসায়ী সংগঠনের পক্ষ থেকে উৎসাহ দেওয়া হয়, প্রয়োজনে পুরস্কৃত করা হয়। তাহলে দেশে সেই সংস্কৃতি চালু হবে।’
এ সময় ব্যবসায়ীদের সমৃদ্ধি তথা সমগ্র দেশের সমৃদ্ধির জন্য শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য ব্যবসায়ীদের প্রতি অনুরোধ জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা অব্যাহতভাবে যদি দেশ পরিচালনা করতে পারেন তাহলে আমাদের দেশকে আমরা স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছাতে পারব, অন্যথায় তা পারব না।’
১৪ বছর ধরে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা নির্বিঘ্নে ব্যবসা করেছেন এবং প্রত্যেক ব্যবসায়ীর সমৃদ্ধি হয়েছে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি ও তাদের দোসরেরা যদি আবার সুযোগ পায়, ২০১৩-১৪ ও ১৫ সালের মতো দেশটাকে জ্বালিয়ে–পুড়িয়ে ছারখার করে দেবে। আজকে দেশ সমৃদ্ধ হচ্ছে, এগিয়ে যাচ্ছে। মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে, ব্যবসা-বাণিজ্যে সমৃদ্ধি আসছে, বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা এখন বিদেশে বিনিয়োগ করছেন। এটি জননেত্রী শেখ হাসিনা না হলে হতো না। এখানে যদি আবার অন্য সরকার আসে, এগুলো সব বন্ধ হয়ে যাবে।’
চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এম এ লতিফ ও এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন। এ ছাড়া বক্তব্য দেন বাণিজ্য মেলা কমিটির চেয়ারম্যান এ কে এম আক্তার হোসেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি রাজনীতি করে খালেদা ও তারেকের জন্য, জনগণের জন্য নয়: তথ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের ভিত অনেক গভীরে প্রোথিত: তথ্যমন্ত্রী
শান্তির সংস্কৃতি প্রচারে বাংলাদেশের নেতৃত্বের প্রশংসা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনের সভাপতি আবদুল্লাহ শহীদ ‘শান্তির সংস্কৃতি’ বিষয়ে বাংলাদেশের ফ্ল্যাগশিপ রেজুলেশনের ওপর সাধারণ পরিষদের বার্ষিক উচ্চ-পর্যায়ের ফোরাম আহ্বান করেছেন।
ফোরামটি বিপুল সংখ্যক সদস্য রাষ্ট্র, জাতিসংঘ এবং অন্যান্য আন্তঃসরকারি সংস্থা ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের একত্রিত করে।
মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত এ বছরের ইভেন্টটির থিম হচ্ছে ‘শান্তি সংস্কৃতি: শান্তি বিনির্মাণে অগ্রসর হওয়ার জন্য ন্যায়বিচার, সমতা এবং অন্তর্ভুক্তির গুরুত্ব।’
উদ্বোধনী অধিবেশনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন জাতিসংঘ পিসবিল্ডিং সাপোর্ট অফিসের সহকারি মহাসচিব, যুব বিষয়ের জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ দূত এবং ইউনিভার্সিটি অব পিসের রেক্টর।
ফোরামটিতে সদস্য রাষ্ট্রসমূহের অংশগ্রহণে একটি প্লেনারি পর্ব রাখা হয়। এছাড়া জাতিসংঘের সাবেক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল রাষ্ট্রদূত আনোয়ারুল করিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। একটি প্যানেল আলোচনা যেখানে জাতিসংঘ এবং সুশীল সমাজের বিশেষজ্ঞগণ অংশগ্রহণ করেন।
জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবদুল মুহিত ‘শান্তির সংস্কৃতি’ বিষয়ক জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে রেজুলেশন প্রবর্তন, সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহণ এবং তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন:গুমের ঘটনা জাতিসংঘের অধীনে তদন্ত করুন: সরকারকে ফখরুল
তিনি বলেন, ‘জাতি হিসাবে আমাদের জন্মের মুহূর্ত থেকেই আমরা এমন একটি বিশ্বব্যবস্থা গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যেখানে শান্তি ও ন্যায়বিচারের জন্য সমস্ত মানুষের আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন ঘটবে। এই প্রতিশ্রুতিই আমাদেরকে ১৯৯৯ সালে শান্তির সংস্কৃতির ঘোষণা ও কর্মসূচি বিষয়ক সাধারণ পরিষদ রেজুলেশন প্রবর্তন করতে উৎসাহিত করেছিল, যার মাধ্যমে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় আমাদের স্থায়ী প্রতিশ্রুতির একটি রূপ আমরা দিতে পেরেছি।’
রাষ্ট্রদূত মুহিত বলেন, ‘শান্তি বিনির্মাণকে এগিয়ে নিতে শান্তির সংস্কৃতির অব্যাহত প্রাসঙ্গিকতার কথাও তুলে ধরেন। জাতিসংঘের বর্তমান শান্তিবিনির্মাণ কাঠামো ইতিবাচক শান্তিকে এগিয়ে নিতে একটি কার্যকর উপায় তুলে ধরতে পেরেছে। এটি সংঘাতের প্রাদুর্ভাব, ভয়াবহতা, ধারাবাহিকতা ও পুনরাবৃত্তি প্রতিরোধ করার প্রতিশ্রুতি দেয় এবং এর মূল কারণগুলোকে সমাধান করে শত্রুতার অবসান ঘটানোর পথ দেখায়। এজন্য মনোভাবের পরিবর্তন, প্রয়োজনীয় প্রতিষ্ঠান বিনির্মাণ এবং বিদ্যমান কাঠামো পরিবর্তনের প্রচেষ্টা গ্রহণ করা দরকার যা আমাদেরকে শান্তিপূর্ণ সমাজের দিকে ধাবিত করে।’
প্লেনারি এবং প্যানেল আলোচনায় বক্তাগণ দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে শান্তির সংস্কৃতির ধারণার প্রচারে বাংলাদেশের নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তারা কোভিড-১৯ অতিমারি এবং চলমান সংঘর্ষের কারণে বর্তমান বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের প্রেক্ষাপটে শান্তির সংস্কৃতিকে নতুনভাবে গুরুত্ব দেয়ার কথা তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন:পাকিস্তানে বন্যা: ১৬ কোটি ডলারের জরুরি সহায়তার আবেদন জাতিসংঘের
সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় ও চরমপন্থা প্রতিরোধে বাংলাদেশের ইতিবাচক ভূমিকা প্রশংসা জাতিসংঘের