গণপিটুনি
গাজীপুরে গরুচোর সন্দেহে গণপিটুনিতে যুবক নিহত
গাজীপুরের কালীগঞ্জে গরু চুরির সন্দেহে গণপিটুনিতে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এসময় গুরুতর আহত হন আরও তিনজন। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) ভোরে কালীগঞ্জ উপজেলার মোক্তারপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শান্ত (২০) নরসিংদীর মাধবদী উপজেলার বালুচর এলাকার মৃত জাকির হোসেনের ছেলে।
আহতরা হলেন, কালীগঞ্জের মোক্তারপুর ইউনিয়নের বড়হরা (বড্ডা) এলাকার মৃত হাফিজুল্লাহর ছেলে রিফাত (১৯), বক্তারপুর ইউনিয়নের ভাটিরা এলাকার মৃত ইসমাইলের ছেলে রুবেল (২৮) এবং তুমুলিয়া ইউনিয়নের বান্দাখোলা এলাকার আবদুল্লাহ (২৭)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মঙ্গলবার ভোরে উপজেলার মোক্তারপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের শামসুদ্দিন মোল্লার গোয়ালঘরে একদল চোর হানা দেয়। ওই সময় গরুর মালিক শামসুদ্দিন মোল্লা পাশের ঘরে ঘুমাচ্ছিলেন। চোরদের উপস্থিতি টের পেয়ে তিনি চিৎকার, চেঁচামেচি শুরু করেন। এক পর্যায়ে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় চোরদের ধাওয়া করা হয়। এসময় স্থানীয়রা চোর চক্রের চারজনকে ধরে ফেলেন।
এরপর উত্তেজিত জনতা তাদের গণপিটুনি দিলে শান্ত নামে একজন ঘটনাস্থলেই মারা যান। খবর পেয়ে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং আটক অপর তিনজনকে উদ্ধার করে প্রথমে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
নিহত শান্তর লাশ উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক শহিদুল ইসলাম জানান, গণপিটুনিতে একজন হাসপাতালে আনার আগেই মারা যান। বাকি তিনজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দ্রুত ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলাউদ্দিন বলেন, গরু চুরির অভিযোগে চারজনকে ধরে গণপিটুনি দেয় স্থানীয়রা। এতে একজন মারা গেছে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
১৩৫ দিন আগে
সাবেক সিইসি হুদার গণপিটুনিকে সমর্থন করে না বিএনপি: সালাহউদ্দিন
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, তাদের দল গণপিটুনির সংস্কৃতিকে সমর্থন করে না। সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদার গণপিটুটির ঘটনায় তাদের কোনো কর্মী জড়িত থাকলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সোমবার (২৩ জুন) তিনি ইউএনবিকে বলেন, ‘আমরা গণপিটুনির সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করি না, আমরা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য নিরলসভাবে সংগ্রাম করে আসছি। আমরা চাই দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হোক।’
সালাহউদ্দিন বলেন, বিএনপি চায় স্বচ্ছতার সঙ্গে আদালতের রায় বাস্তবায়ন হোক। নূরুল হুদার গ্রেপ্তার ও বিচারের ক্ষেত্রে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া আশাও করে তার দল।
তিনি বলে, ‘কিন্তু আমরা তার উপর যে অমানবিক আচরণ করা হয়েছে—তা সমর্থন করি না। এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। যদি বিএনপির কোনো নেতা বা কর্মী এতে জড়িত থাকে—তাহলে আমরা তদন্তের পর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেব...এটি আমাদের স্পষ্ট অবস্থান।’
সালাহউদ্দিন বলেন, বিএনপি চায় প্রতিটি ব্যক্তি, সে যত গুরুতর অপরাধীই হোক না কেন, তিনি তার আইনি ও সাংবিধানিক অধিকার ভোগ করুক। ‘সে যত বড় অপরাধীই হোক না কেন, তার আইনি ও সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন করা উচিত নয়।’
রবিবার(২৩ জুন) রাতে সাবেক সিইসি নুরুল হুদাকে রাজধানীর উত্তরার বাসভবনে একদল জনতা তাকে আক্রমণ করার পর গ্রেপ্তার করা হয়। নুরুল হুদার কমিশনের অধীনে ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, হুদা সাদা টি-শার্ট এবং লুঙ্গি পরে ছিলেন এবং তার গলায় জুতার মালা ছিল। এক পর্যায়ে একজন ব্যক্তি জুতা দিয়ে হুদার মুখে আঘাত করেন। ভিডিওটি ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়।
আরও পড়ুন: মেধাপাচার রোধ ও শিক্ষা পুনর্গঠনের অঙ্গীকার বিএনপির
গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে দুর্বল করার জন্য হুদার ভূমিকার সমালোচনা করে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘নুরুল হুদা বাংলাদেশের গণতন্ত্র ধ্বংস এবং নির্বাচন ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করার জন্য দায়ী কয়েকজন ব্যক্তির মধ্যে তিনি একজন।’
সালাহউদ্দীন বলেন, শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনকে দীর্ঘায়িত করার জন্য তিনিসহ আরও বেশ কয়েকজন ব্যক্তি রাষ্ট্রীয় সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে সম্পূর্ণরূপে দুর্নীতিগ্রস্ত এবং ধ্বংসের জন্য দায়ী।
তিনি বলেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের মতো আরও কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দুর্নীতিগ্রস্ত এবং ভেঙে ফেলার জন্যও দায়ী। ‘কিন্তু আমরা এই ধরনের বিষাক্ত সংস্কৃতি বা জনতার বিচারে বিশ্বাস করি না,’ বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য।
১৬৪ দিন আগে
নওগাঁয় স্ত্রীর হাত কেটে ফেলার পর গণপিটুনিতে স্বামী নিহত
নওগাঁ শহরের আনন্দনগর এলাকায় মাদকাসক্ত হয়ে স্ত্রীর হাত কেটে দেওয়ার পর গণপিটুনিতে এক যুবক নিহত হয়েছেন।
বুধবার (২৮ মে) রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম সুমন আলী (৩২)। নওগাঁ সদর উপজেলার দুবলহাটি ইউনিয়নের দুবলহাটি গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন তিনি। সুমন পেশায় গৃহনির্মাণ শ্রমিক ছিলেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, তিন-চার বছর আগে শহরের আনন্দনগর এলাকার আব্দুস সামাদের মেয়ে ময়ূরী আক্তারের (২৪) সঙ্গে সুমনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন সুমন। তার বিরুদ্ধে নিয়মিত মাদক গ্রহণের অভিযোগ আছে এবং সে কারণে প্রায়ই স্ত্রীর সঙ্গে তার ঝগড়া হতো। এমনকি তিনি সংসারের খরচও দিতেন না।
আরও পড়ুন: বরগুনায় গুলিবিদ্ধ ডাকাত গণপিটুনিতে নিহত
গতকাল (বুধবার) রাত সাড়ে ৯টার দিকে মাদকাসক্ত অবস্থায় সুমন আবারও স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে তিনি হাসুয়া দিয়ে ময়ূরীর গলা ও হাতে কোপ মারেন, এতে তার বাঁ হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
পরে স্থানীয় ও পুলিশের সদস্যরা উদ্ধার করে তাকে ২৫০ শয্যা নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠান।
এদিকে ঘটনার পর উত্তেজিত এলাকাবাসী সুমনকে ধরে গণপিটুনি দেয়। পিটুনি খেয়ে গুরুতর আহত হয়ে গেলে তাকেও নওগাঁ সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ১০টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
নওগাঁ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং আহত দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়। নিহত সুমনের মাথা ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। তার মৃত্যু গণপিটুনির কারণেই হয়েছে।
তিনি আরও জানান, সুমনের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কেউ পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। লাশ হাসপাতালেই রয়েছে। পরিবারের লোকজন এলে প্রয়োজনীয় আইনগত প্রক্রিয়া শেষে তা হস্তান্তর করা হবে।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ থানায় লিখিত অভিযোগও দেয়নি বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
১৮৯ দিন আগে
সিলেটে আ.লীগ নেতাকে গণপিটুনি, পুলিশে সোপর্দ
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও করগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান নির্মলেন্দু দাশ রানাকে সিলেট নগরীতে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে জনতা।
মঙ্গলবার (১৩ মে) রাত সাড়ে ৯টার দিকে নগরীর রিকাবীবাজার এলাকা থেকে তাকে আটক করে ছাত্র-জনতা। এরপর গনপিটুনি দিয়ে মদন মোহন কলেজ এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম রেঞ্জ ও সিএমপিতে চালু হচ্ছে অনলাইন জিডি সেবা
পরে কতোয়ালি মডেল থানা পুলিশকে খবর দেওয়া হলে লামাবাজার পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) আলী হোসেন ঘটনাস্থলে এসে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল হক বলেন, ‘জনতার হাতে আটক ওই আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে জুলাই আগস্ট আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে। হবিগঞ্জের বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে কি না খতিয়ে দেখা হবে।’
২০৪ দিন আগে
যশোরে ফের শিশু ‘ধর্ষণের চেষ্টা’, পুলিশি হেফাজতেও অভিযুক্তের ওপর চড়াও স্থানীয়রা
যশোরে তিন দিনের ব্যবধানে আবারও এক চার বছরের শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্তকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হলেও পুলিশের কাছ থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে তাকে ধোলাই দেওয়ার চেষ্টা করে বিক্ষুব্ধ জনতা।
ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার (২২ মার্চ) রাত সাড়ে ১০টার দিকে যশোর সদর উপজেলার ভেকুটিয়া গ্রামে।
অভিযুক্ত যুবকের নাম তরিকুল ইসলাম। স্থানীয়রা তাকে আটকের পর পুলিশ তাকে কোতোয়ালি থানায় নিয়ে যায়। এ সময় এলাকাবাসী তাকে ছিনিয়ে নিয়ে ক্ষোভ মেটানোর চেষ্টা করে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আটক তরিকুল (২৭) চৌগাছা উপজেলার বাতিবিলা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ভেকুটিয়া গ্রামে ভাড়া থাকেন এবং এয়ারপোর্ট এলাকার একটি রেস্তোরাঁয় বাবুর্চির কাজ করেন।
ভুক্তভোগীর পরিবারও একই বাড়িতে ভাড়া থাকে।
আরও পড়ুন: শিশুকে ধর্ষণচেষ্টা, গণপিটুনি দিয়ে অভিযুক্তকে পুলিশে সোপর্দ
স্থানীয়রা জানান, রাতে তরিকুল ওই চার বছরের শিশুকে অশ্লীল ছবি দেখায় এবং ধর্ষণের চেষ্টা করে। শিশুটি চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন ছুটে গিয়ে তরিকুলকে ধরে পিটুনি দেয়।
খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তরিকুলকে হেফাজতে নেয় এবং যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে থানায় নিয়ে যায়।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী বাবুল হোসেন জানান, এর আগেও তরিকুল ওই শিশুকে অশ্লীল ছবি দেখিয়েছে, যা শিশুর পরিবার জানত না। পরিবারের সঙ্গে কথা বলে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
উল্লেখ্য, গত বুধবার বিকেলে যশোরে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক কিশোরের বিরুদ্ধে চার বছরের এক কন্যাশিশুকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ নিয়ে তুলকালাম ঘটে। অভিযুক্ত নিজেও কিশোর।
এর আগে, তিনদিন আগে পাঁচ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে এক কিশোরকে আটক করা হয়।
ভুক্তভোগী ও অভিযুক্ত শহরের সার্কিট হাউজপাড়া এলাকার বাসিন্দা। ওই ঘটনায় অভিযুক্ত কিশোরের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে।
২৫৬ দিন আগে
কেরানীগঞ্জে গণপিটুনিতে ছিনতাইকারীর মৃত্যু, আহত ২
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে গণপিটুনিতে এক ছিনতাইকারী নিহত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় আরও দুইজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২১ মার্চ) সকাল ৮টার দিকে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার নাদুব্যাপারি নৌকাঘাট এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাব আল হাসান বলেন, ‘ঢাকার ইমামগঞ্জের ব্যাবসায়ী জিনজিরা থেকে নাদুব্যাপারি নৌকা ঘাটে বুড়িগঙ্গা নদী পাড় হওয়ার সময় তিনজন ছিনতাইকারী দেশীয় অস্ত্র ঠেকিয়ে মোবাইল ও টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ সময় ওই ব্যাবসায়ীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছিনতাইকারীদের আটক করে গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলে এক ছিনতাইকারী নিহত হন। আহত হন আরও দুইজন।
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে ছিনতাইকারী সন্দেহে ৩ জনকে গণপিটুনি
তিনি বলেন, ‘নিহতের লাশ মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আহত দুই জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার একটি মামলা পক্রিয়াধিন আছে।’
২৫৮ দিন আগে
শিশুকে ধর্ষণচেষ্টা, গণপিটুনি দিয়ে অভিযুক্তকে পুলিশে সোপর্দ
ফতুল্লার দাপা এলাকায় পাঁচ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টাকালে আমানউল্লাহ নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে গণপিটুনি দিয়েছে এলাকাবাসী। পরে ওই ব্যক্তিকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
বুধবার (১৯ মার্চ) রাত ১১টার দিকে এই ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, আমানউল্লাহ একই বাড়ির ভাড়াটিয়া পাঁচ বছর বয়সী শিশুকে কৌশলে নিজ ঘরে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালান। এ সময় শিশুটি চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন আমানউল্লাহকে আটক করে গণপিটুনি দেয়। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: নবাবগঞ্জে ৭ বছরের শিশু ধর্ষণ, ধর্ষক গ্রেপ্তার
ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার শিশুটির বাবা বাদী হয়ে মামলা করলে, তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।’
২৫৯ দিন আগে
গোলাপগঞ্জে ডাকাত সন্দেহে তিনজনকে গণপিটুনি, মোটরসাইকেলে আগুন
সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার নিমাদল মোকামবাজারে ডাকাত সন্দেহে তিনজন গরু চোরকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছেন স্থানীয় জনতা।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) দিবাগত রাত ২টার দিকে তাদের আটক করা হয়। এ সময় তাদের সঙ্গে থাকা একটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেন স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা।
আটকরা হলেন— জৈন্তাপুরের হরিপুর এলাকার জমির উদ্দিন, গোলাপগঞ্জ উপজেলার বইটিকর এলাকার ফখরুল ইসলাম ও দক্ষিণ সুরমার মোগলাবাজারের জয়নাল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্দেহভাজন তিনজন মোটরসাইকেলে করে ঘোরাফেরা করছিলেন। তাদের আচরণ সন্দেহজনক মনে হওয়ায় স্থানীয়রা ধাওয়া দিয়ে তাদের আটক করেন। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা তাদের সঙ্গে থাকা মোটরসাইকেলটিতে আগুন ধরিয়ে দেন। পরে আটক তিনজনকে একটি দোকানের ভেতরে আটকে রাখা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার নিমাদল মোকামবাজারে ডাকাত সন্দেহে তিনজনকে গণপিটুনি দিয়ে মোটরসাইকেলটিতে পুরিয়ে দেয়। খবর পেয়ে গোলাপগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যেতে চাইলে তাদের গাড়ি লক্ষ্য করে ঢিল ছুঁড়ে উত্তেজিত জনতা। পরি ভোর পৌনে ৪টার দিকে সেনাবাহিনীর একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিবেশ শান্ত করে এবং পুলিশ তিনজনকে আটক করে।
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে ছিনতাইকারী সন্দেহে ৩ জনকে গণপিটুনি
গোলাপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান মোল্যা বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যেতে চাইলে হাজারো উত্তেজিত জনতা গাড়ি লক্ষ্য করে টিল ছুঁড়ে মারেন। পরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছালে আমরা তিনজনকে আটক করে নিয়ে আসি। গণপিটুনিতে তিনজন আহত হয়েছেন। ‘
তিনি বলেন, ‘তাদের গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা শেষে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। আটকদের বিরুদ্ধে স্থানীয় এক ব্যক্তি বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। বুধবার তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’
২৭৪ দিন আগে
মুন্সীগঞ্জে ছিনতাইকারী সন্দেহে ৩ জনকে গণপিটুনি
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে অটোরিকশা ছিনতাইকারী সন্দেহে একটি মাইক্রো আটক করে তিনজনকে গণপিটুনি দিয়েছে স্থানীয়রা। মঙ্গলবার(৪ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার ষোলঘর বাসস্ট্যান্ডে এই ঘটনা ঘটে।
শ্রীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাকিল আহমেদ এ তথ্য জানান। আহতদের উদ্ধার করে শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে। পুলিশ পাহাড়ায় তাদের চিকিৎসা চলছে বলে জানান তিনি।
পুলিশ সূত্রে জানা যায় মাইক্রো চালক জুয়েল হোসেন (৪৪), আরোহী বাচ্চু মিয়া (৪৫) ও হাফিজ মিয়া (৫৫) স্থানীয় বীরতারা থেকে ষোলঘরে দিকে দ্রুতগতিতে মাইক্রোটি চালিয়ে যাচ্ছিলেন। এতে স্থানীয়দের সন্দেহ হলে তারা মাইক্রোটি থামানোর চেষ্টা করেন। তবে মাইক্রোতে থাকা ওই ব্যক্তিরা পালানোর চেষ্টা করে।
আরও পড়ুন: সাভারে আবারও দিনে দুপুরে চলন্ত বাসে ছিনতাই
পরে ষোলঘর বাসস্ট্যান্ডে অটোরিকশা ও বেঞ্চ দিয়ে মাইক্রোটির গতিরোধ করা হয়। পরে ওই তিনজনকে গণপিটুনি দেওয়া হয়। এ সময় মাইক্রোটি ভাঙচুর করেন বিক্ষুব্ধ জনতা।
ওসি সাকিল আহমেদ জানান, আটক হওয়া ওই তিনজন স্বীকার করেছেন যে একটি অটোরিকশার সঙ্গে তাদের মাইক্রোর ধাক্কা লাগে। এ কারণে তারা দ্রুত পালানোর চেষ্টা করেছিল।
তবে স্থানীয় অটোরিকশা চালকদের দাবি, এই মাইক্রো দিয়ে এর আগেও অটোরিকশা ছিনতাই করা হয়েছে। সুযোগ বুঝে চালককে জোর করে মাইক্রোতে তুলে ফেলে তারা। এরপর তাদের একজন অটোরিকশা চালিয়ে নিয়ে যায়।
মাইক্রোটি জব্দ করে পুলিশ বিষয়টি যাচাই বাছাই করছে বলে জানান ওসি।
২৭৫ দিন আগে
সাতকানিয়ায় ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে ২ জনের মৃত্যু
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার ছনখোলা এলাকায় ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। ডাকাত সন্দেহে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে তাদের পিটুনি দেওয়া হয়।
এ সময় ডাকাত দলের গুলিতে ৫ গ্রামবাসী আহত হয়েছে। তাদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেলে নেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৩ মার্চ) দিবাগত রাত ১২টার দিকে উপজেলার কাঞ্চনা ছনখোলা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, সম্প্রতি সময়ে স্থানীয় চাঁদাবাজ নেজাম গ্রুপের অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠে।
সোমবার নেজাম আরও কয়েকজনকে নিয়ে ছনখোলা এলাকায় গেলে তারাবি নামাজ পরে বের হওয়া মুসল্লিরা নেজাম গ্রুপকে ঘিরে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দেয় এলাকায় ডাকাত পড়েছে।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে গণপিটুনিতে সন্দেহভাজন ২ ডাকাত নিহত
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নেজাম বাহিনীর সদস্যরা একালাবাসীর ওপর গুলি চালায়। এতে কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়। এসময় এলাকাবাসী নেজাম ও সহযোগী ছালেককে ধরে গণপিটুনি দিলে তারা ঘটনাস্থলে মারা যায়।
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল ইসলাম জানান, এলাকাবাসীর গণপিটুনিতে দুজন মারা গেছে। কয়েকজন গুলিবিদ্ধ আছে। তবে কী কারণে এই ঘটনা ঘটেছে সেটা তদন্ত করা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, নিহত দুজনের লাশ থানায় নেওয়া হয়েছে। সকালে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হবে। গুলিবিদ্ধ আহতদের মধ্যে ৪ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।
২৭৬ দিন আগে