নিরাপদ
অগ্নি নিরাপত্তা: ঢাকার অভিজাত এলাকার রেস্টুরেন্টগুলো কতটা নিরাপদ?
রাজধানীর অভিজাত এলাকা হিসেবে পরিচিত ধানমন্ডি, গুলশান ও বনানী এলাকায় গড়ে উঠেছে অসংখ্য রেস্টুরেন্ট। যেগুলোর বেশিরভাগই করা হয়েছে বহুতল ভবনের বিভিন্ন ফ্লোরে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব এলাকার বেশির ভাগ রেস্টুরেন্টে নেই অগ্নি নিরাপত্তা। লিফট ও একটি সিঁড়ি ছাড়া জরুরি বহির্গমনে আর কোনো সিঁড়িও নেই অধিকাংশের।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। বেইলি রোডের ঘটনায় মানুষের মধ্যে এখন একটি আতঙ্ক কাজ করছে।
আরও পড়ুন: রেস্টুরেন্টে খেতে লাগবে ভ্যাকসিন কার্ড: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ধানমন্ডি-গুলশান-বনানীর বিভিন্ন এলাকায়ও যত্রতত্র গড়ে উঠেছে এমন বহু রেস্টুরেন্ট। অগ্নি নিরাপত্তা লাইসেন্স ছাড়া বছরের পর বছর চলছে এসব রেস্টুরেন্ট। আবাসিক ভবনগুলো বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এলাকার বাসিন্দা ও রেস্টুরেন্টগুলোতে খেতে আসা অনেকেই বলছেন, বেইলি রোডের আগুনের ঘটনার মতো অগ্নিকাণ্ডের আতঙ্ক আছে ধানমন্ডি-গুলশান-বনানী এলাকাতেও। আগে থেকে ব্যবস্থা না নিলে দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, এসব এলাকার প্রায় প্রতিটি অলিগলিতে রয়েছে ক্যাফে ও রেস্টুরেন্ট। কিছু ভবনের প্রতিটি ফ্লোরে রয়েছে রেস্তোরাঁ। এসব ভবনের প্রায় পুরোটাই কাচে ঘেরা। ফলে, বাইরে থেকে ভেতরে আলো-বাতাস ঢোকার কোনো ব্যবস্থা নেই। কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে বা আগুন লাগলে কাচ ভাঙা ছাড়া ভেতরে পানি দেওয়ারও কোনো উপায় নেই।
এসব ভবনে ছোট পরিসরে সিঁড়ি রয়েছে। ওই সিঁড়ি দিয়ে জরুরি বহির্গমনের সুযোগ খুব কম। কারণ সিঁড়িগুলোতে হয় বিভিন্ন মালামাল রাখা, নয়তো রেস্টুরেন্টগুলোর ভেতর থেকে সিঁড়িতে যাওয়ার গেট বন্ধ থাকে। সেক্ষেত্রে রেস্টুরেন্টগুলোতে কখনো আগুনের ঘটনা ঘটলে রেস্টুরেন্টে খেতে আসা মানুষ বুঝতেই পারবে না সিঁড়ি কোনদিকে আছে।
গুলশানে বসবাসকারী ব্যবসায়ী মনিরুজ্জামান ইউএনবিকে বলেন, ‘বেইলি রোডের ঘটনার পর গুলশান-বনানী এলাকায় রেস্টুরেন্টেগুলোতে পরিবার নিয়ে যেতে চাইলে আতঙ্ক কাজ করছে। কোন রেস্টুরেন্টে ফায়ার সেফটি আছে বা নেই আমাদের জানা নেই।’
একই ভাবে বনানীতে বসবাসকারী আরেক ব্যবসায়ী দিদারুল হক সানি ইউএনবিকে বলেন, ‘বেইলি রোডের ঘটনার পর আপাতত রেস্টুরেন্টে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছি। কারণ অগ্নি নিরাপত্তা এখন বড় একটি ইস্যু। গুলশান-বানানী এলাকায় রেস্টুরেন্টে নেই ফায়ার সেফটি।এ বিষয়ে রাজউক দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। সঠিকভাবে তদারকি করলে সব রেস্টুরেন্টে ফায়ার সেফটি মানতে বাধ্য হবে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি সভাপতি পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান ইউএনবিকে বলেন, ‘ধানমন্ডি-গুলশান-বনানীর বিভিন্ন এলাকায় প্রায় প্রতিটি অলিগলিতে রয়েছে ক্যাফে ও রেস্টুরেন্ট। কিছু কিছু ভবনের প্রতিটি ফ্লোরে রয়েছে রেস্টুরেন্ট। এসব ভবনের প্রায় পুরোটাই কাচে ঘেরা। ফলে, বাইরে থেকে ভেতরে আলো-বাতাস ঢোকার কোনো ব্যবস্থা নেই। কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে বা আগুন লাগলে কাচ ভাঙা ছাড়া ভেতরে পানি দেওয়ারও কোনো উপায় নেই।’
আদিল বলেন, বেইলি রোডের ঘটনার পর মানুষের মধ্যে একটি আতঙ্ক কাজ করছে। বেইলি রোডের মতো আর পুনরাবৃত্তি না হয়, সেজন্য রাজউকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এখনি ব্যবস্হা নিতে হবে। না হলে আবার আরেক জায়গায় আগুনের ঘটনা ঘটবে।
তিনি আরও বলেন, বেইলি রোডের মতো ধানমন্ডি, গুলশান ও বনানী এলাকায় গড়ে উঠেছে অসংখ্য রেস্টুরেন্ট। এসব রেস্টুরেন্টে ফায়ার সেফটি আছে কি না রাজউকসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে রেস্টুরেন্টের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ৩
ড. আদিল বলেন, ‘বহুতল ও বিশেষ ব্যবহারের ভবনে অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ফায়ার এক্সটিংগুইশার, ফায়ার এলার্ম এগুলো ছিল কি না তা তদারকি করা প্রয়োজন। ভবনের সেফটি অডিট করানোর উদ্যোগ নিতে হবে।’
‘অনেক ভবন নিয়ম অনুযায়ী ২টি সিঁড়ি রাখলেও ফায়ার বহির্গমনের সিঁড়িটা অনেকে গুদামঘর হিসেবে ব্যবহার করে। এক্ষেত্রে জরুরি বহির্গমনের সিঁড়ি অন্য কোনো কাজে বা উদ্দেশ্যে ব্যবহার করার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিরৎসাহিত করতে হবে।’
অনেকেই ভবনের ব্যবহার পরিবর্তন করে অ-আবাসিক ক্যাটাগরিতে ফেলে। এই “অ-আবাসিক” নাম ব্যবহার করে আবাসিক ভবন বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কঠোর হতে হবে বলে জানান অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান।
এ বিষয়ে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিঞা ইউএনবিকে বলেছেন, বেইলি রোডের মতো যেন আর ঘটনা না ঘটে সে বিষয়ে আমরা অভিযান পরিচালনা করছি। সেসব রেস্টুরেন্টে ফায়ার সেফটি নেই সেগুলো আমরা ব্যবস্হা নেব। ফায়ার সেফটি নিশ্চিত করতে কাজ করছি।
চেয়ারম্যান বলেন, যেসব আবাসিক ভবনে বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ বেআইনি। আবাসিক ভবনের নামে অনুমোদন নিয়ে সেখানে রেস্টুরেন্ট গড়ে তোলা হয়েছে, অথচ তাদের বাণিজ্যিক অনুমোদন নেই। এ বিষয়ে আমরা কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করার উদ্যোগ নিয়েছি। আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, রাজউক থেকে নকশা অনুমোদন নেয় একভাবে আর বিল্ডিং করে নকশা বহির্ভূতভাবে। আবাসিক ভবন বাণিজ্যিক ব্যবহার করছে অনুমোদনের বাইরে। এসব বিষয়ে যখনই নজরে আসছে তখনই ব্যবস্হা নিচ্ছি। এ বিষয়ে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) থেকে জানা যায়, রাজধানীতে রাজউকের আওতায় ৫ লাখ ১৭ হাজার ভবন রয়েছে। এর মধ্যে অনুমোদন রয়েছে ২ লাখের। অনুমোদিত ভবনের মধ্যে ৯০ শতাংশ নকশার বিচ্যুতি ঘটিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: এক টাকার রেস্টুরেন্ট!
বাংলাদেশে বিনিয়োগ নিরাপদ মনে করে ডেনমার্ক-সৌদি আরব: নৌ প্রতিমন্ত্রী
নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগ করা নিরাপদ মনে করে পায়রা বন্দরে বিনিয়োগ করতে চায় ডেনমার্ক ও সৌদি আরব।
তিনি বলেন, দেশ বিক্রি করার চুক্তি আমরা কারও সঙ্গে করিনি, করবও না। ডিজিটাল সিস্টেমে মানুষের বিশ্বাস প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ব আমরা।
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম বন্দরের সিপিএআর এবং ৪ নম্বর গেটে বসানো স্ক্যানার উদ্বোধন ও হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: আগামী দিনে নৌবাণিজ্যে মোংলা বন্দর নেতৃত্ব দিবে:নৌ প্রতিমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী সব বন্দরে স্ক্যানার বসাতে এনবিআর চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। তার আন্তরিকতায় অনেক স্ক্যানার বসানো হয়েছে।
তিনি বলেন, বন্দরের সঙ্গে কাস্টমসের বোঝাপড়ার অভাব ছিল। কয়েক বছরের অনেক সমস্যা তিন চার বছরেই সমাধান হয়েছে-এটা বড় প্রাপ্তি। দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরে দুইটি ফিক্সড কনটেইনার স্ক্যানার এটি।
তিনি বলেন, দেশের ব্যবসায়ীরা সীমিত সময়ে মুনাফা লাভের চিন্তা থেকে বেরিয়ে আসছে। মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর হয়ে গেলে মেরিটাইম সেক্টরে আমরা অন্যরকম উচ্চতায় চলে যাব। বে-টার্মিনালে ১২ মিটার ড্রাফটের জাহজ আসবে। ব্যস্ততা বেড়ে যাবে। এর জন্য অবকাঠামো দরকার। প্রধানমন্ত্রী পায়রা বন্দর করেছেন, গভীর সমুদ্রবন্দর করেছেন। মেরিটাইম সেক্টরে আমরা সি ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: রূপান্তরিত বাংলাদেশের মহানায়কের নাম শেখ হাসিনা: নৌ প্রতিমন্ত্রী
গোবরাকুড়া-কড়ইতলী স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন চালুর চেষ্টা থাকবে: নৌ প্রতিমন্ত্রী
সেন্টমার্টিনে নিরাপদ খাদ্যবিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
জাইকার অর্থায়নে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের (বিএফএসএ) একটি প্রকল্পের আয়োজনে কক্সবাজারের সেন্টমার্টিনে নিরাপদ খাদ্য প্রস্তুত, প্রক্রিয়াকরণ, পরিবেশন ও সংরক্ষণবিষয়ক একটি প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় ‘স্ট্রেন্দেনিং দ্য ইনস্পেকশন, রেগুলেটরি অ্যান্ড কোঅরডিনেটিং ফাংশন অব বিএফএসএ প্রোজেক্ট’- শীর্ষক প্রশিক্ষণটি অনুষ্ঠিত হয়।
প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে সংযুক্ত ছিলেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) আব্দুল কাইউম সরকার।
কর্মশালায় উপস্থিত খাদ্য ব্যবসায়ীদের তিনি বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের আইন ও বিধি-বিধান সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা দেন।
তিনি বলেন, ‘যেকোনো পর্যটন নগরীর মূল আকর্ষণ হলো খাবার-দাবার। তাই খাদ্য প্রস্তুতকালে পোড়া তেলের ব্যবহার পরিহার করে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে খাবার প্রস্তুতের উপর জোর দিতে হবে। এতে করে সেন্টমার্টিনে পর্যটকের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাবে।’
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সচিব এবং এসটিআইআরসি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আব্দুন নাসের খান।
আরও পড়ুন: বিনামূল্যে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ দিবে কমিউনিটি ক্লিনিক: সাংবাদিক কর্মশালায় বক্তারা
তিনি পর্যটকদের নিরাপদ খাবার পরিবেশনের জন্য খাদ্য ব্যবসায়ীদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনের উপর গুরুত্বারোপ করেন এবং উন্নত বিশ্বের মতো পর্যটকবান্ধব নিরাপদ খাবার পরিবেশনের নির্দেশনা দেন।
প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএফএসএ'র অতিরিক্ত পরিচালক (উপসচিব) মো. কাওছারুল ইসলাম সিকদার।
তিনি উপস্থিত খাদ্য ব্যবসায়ীদের সঙ্গে নিরাপদ খাদ্যসম্পর্কিত বিষয়ে মুক্ত আলোচনা পরিচালনা এবং ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে করণীয় শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন কক্সবাজারের নিরাপদ খাদ্য অফিসার মো. নাজমুল ইসলাম, মনিটরিং অফিসার মো. আবদুল হান্নান এবং বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের গবেষণা কর্মকর্তা মো. তাইফ আলী।
কর্মসূচিতে উপস্থিত খাদ্য ব্যবসায়ীদের সচেতনতামূলক লিফলেট, নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক পারিবারিক খাদ্য নির্দেশিকা, অ্যাপ্রোন, ক্যাপ ও হ্যান্ড গ্লাভস দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রায় অর্ধ-শতাধিক খাদ্য ব্যবসায়ী উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু সমস্যা, নিরসনের পদক্ষেপ নিয়ে জাতিসংঘের কর্মশালায় সাংবাদিকরা
শেষ হলো ওয়াইল্ডটিমের বাঘ সংরক্ষণ কর্মশালা
সড়ককে নিরাপদ করতে সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রয়োজন
সড়কে প্রাণহানির সংখ্যা কমাতে হলে সড়ককে নিরাপদ করতে হবে। এজন্য জাতিসংঘ নির্ধারিত নিরাপত্তা কৌশল অনুসরণ করে নতুন করে সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করা প্রয়োজন।
রবিবার (১৯ নভেম্বর) ‘ওয়ার্ল্ড ডে অব রিমেমবারেন্স ফর রোড ট্রাফিক ভিক্টিমস’- উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
রোড সেফটি কোয়ালিশন বাংলাদেশের উদ্যোগে বাংলাদেশ অর্থোপেডিক সোসাইটি ও ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ এই সেমিনার ও র্যালির আয়োজন করে।
রোডক্র্যাশে হতাহতদের স্বরণে প্রতিবছর নভেম্বর মাসের তৃতীয় রবিবার বিশ্বব্যাপী ‘ওয়ার্ল্ড ডে অব রিমেমব্রেন্স ফর রোড ট্রাফিক ভিক্টিমস’ পালন করা হয়।
এবছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হলো— ‘রিমেম্বার. সাপোর্ট. অ্যাক্ট’ অর্থাৎ ‘আমরা স্মরণ করি যারা রোডক্র্যাশে মারা গেছেন তাদের, সহায়তা নিয়ে থাকতে চাই আহতদের পাশে এবং জীবন বাঁচাতে নিতে চাই কার্যকর উদ্যোগ’।
দিবসটি উপলক্ষে রবিবার সকালে রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পনুর্বাসন প্রতিষ্ঠান—নিটোরের সামনে থেকে নিরাপদ সড়কের দাবিতে একটি শোভাযাত্রা বের হয়।
শোভাযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের সদস্যরাসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।
শোভাযাত্রা শেষে নিটোরের মিলনায়তনে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সভাপতি সিমিন হোসেন রিমি।
আরও পড়ুন: দেশে পালন করা হচ্ছে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস
তিনি বলেন, আমাদের সড়কগুলোতে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল করে। যে যেভাবে পারছে সড়ক ব্যবহার করছে। ফলে দেশে দুর্ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করতে আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে আমাদের সচেতন হতে হবে এবং আইন মানার সদিচ্ছা থাকতে হবে।
নিটোরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. কাজী শামীম উজ্জামানের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের মহাসচিব এবং নিটোরের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক খন্দকার আব্দুল আউয়াল (রিজভী)।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে সড়কে মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে মতভেদ রয়েছে। যাইহোক না কেন সড়কে প্রাণহানি ঘটছে এটা সত্য। অথচ এটা প্রতিরোধযোগ্য। তাই উন্নত দেশের মতো জাতিসংঘ স্বীকৃত নিরাপত্তা কৌশল অনুসরণ করে সড়ক নিরাপত্তা আইন করা প্রয়োজন।
গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটরের ইন-কান্ট্রি কোঅর্ডিনেটর ড. শরিফুল আলম বলেন, কোনো সমস্যার প্রকৃত সমাধান করতে হলে বাস্তবতাকে মেনে নিতে হবে। সড়কে মৃত্যুর মিছিল বন্ধ করতে হলে প্রথমেই সড়কে প্রাণহানির প্রকৃত সংখ্যা উদঘাটন করে এর সমাধান করা উচিত। এ ছাড়া বিদ্যমান সড়ক পরিবহন আইন ও বিধিমালায় সড়ককে নিরাপদ করার বিষয়কে তেমনভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। তাই সড়ককে নিরাপদ করতে আলাদা করে সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করা জরুরি।
সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ অর্থোপেডিক সোসাইটির প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. মোনায়েম হোসেন ও সেক্রেটারি অধ্যাপক ডা. জাহাঙ্গীর আলম। সেমিনারে বাংলাদেশ অর্থোপেডিক সোসাইটি, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ রোড সেফটি কোয়ালিশনের সদস্যবৃন্দ ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নিরাপদ সড়কের দাবিতে শাহবাগে শিক্ষার্থীদের কফিন মিছিল
নিরাপদ সড়ক ও হাফ ভাড়ার দাবিতে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ
বিএনপির হাতে বাংলাদেশ নিরাপদ নয়: কাদের
বিএনপির হাতে বাংলাদেশ নিরাপদ নয় বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘বিএনপির হাতে গণতন্ত্র, ভোট, নিরাপত্তা, মুক্তিযুদ্ধ, কিছুই নিরাপদ নয়। তারা একাত্তরের বাংলাদেশ চায় না। তারা হত্যা ও সন্ত্রাস চায়। তারা দুর্নীতি ও স্বৈরাচার চায়।’
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর গুলিস্তানে বাংলাদেশ শ্রমিক লীগ আয়োজিত মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি অনুমতি ছাড়া কোনো সমাবেশ করলে পালাবার পথ পাবে না। বিএনপির দেওয়া ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটামের সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিএনপি বলেছে আওয়ামী লীগকে কবরস্থানে পাঠাবে। বিএনপির রাজনীতিরই এখন কবরস্থানে যাওয়ার পালা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের সমালোচনা করে তিনি বলেন, সরকার যদি অবৈধ হয়, তাহলে খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য অবৈধ সরকারের কাছে আবেদন করলেন কেন?আরও পড়ুন: বাংলাদেশের মানুষের বঞ্চনার ইতিহাস দূর হয়ে গেছে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
সরকারের অনুমতি নিতে হবে; অন্যথায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
বিএনপিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে আওয়ামী লীগের সিনিয়র এই নেতা বলেন, যারা ভাঙচুর করতে আসবে তাদের শায়েস্তা করা হবে।
তিনি দলের নেতাকর্মীদের প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানান। শেখ হাসিনা ছাড়া বাংলাদেশে গণতন্ত্র নিরাপদ নয়। শেখ হাসিনার কারণেই বাংলাদেশ অনেক শান্তিপূর্ণ। তার মতো সৎ নেতা রাজনীতিতে বিরল বলেও উল্লেখ করেন কাদের।
আরও পড়ুন: সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচন হবে: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক দলের নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে নেত্রী ডাকলে সাড়া দিতে বলেন। বিএনপির হাতে ক্ষমতা গেলে বাংলাদেশ আবার অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে।
মহাসমাবেশে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ প্রমুখ বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি এক দফার দাবিতে থাকলে নির্বাচনী বাস মিস করবে: সালমান এফ রহমান
এনআইডি সার্ভার নিরাপদ: ডিজি
এনআইডি মহাপরিচালক (ডিজি) একেএম হুমায়ুন কবির বলেছেন, জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) সার্ভার নিরাপদ।
রবিবার (৯ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসের বিষয়ে তিনি বলেন যে তারা তাদের সার্ভারের সঙ্গে জড়িত কোনো হুমকি দেখেননি।
তবে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কাজ করা ১৭১টি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কোনো তথ্য ফাঁস হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: এনআইডি নিবন্ধন ইসি থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে স্থানান্তরের খসড়া বিল মন্ত্রিসভায় অনুমোদন
মহাপরিচালক বলেন, ১৭১টি প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশনের সার্ভার থেকে সেবা নেয়, আমাদের কাছ থেকে যারা সেবা নেয় তাদের কেউ হতে পারে।
তিনি বলেন, ‘আমরা তদন্ত করব এবং যে ওয়েবসাইটগুলো থেকে তথ্য ফাঁস হয়েছে তাদের চিহ্নিত করব।’
তিনি আরও বলেন, দোষী প্রমাণিত হলে দায়ীরা চুক্তি হারাবেন।
সংবাদ সম্মেলনে সিস্টেম ম্যানেজার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন জানান, এনআইডির সার্ভার হ্যাক হয়নি। সার্ভিস প্রোভাইডারদের সার্ভার হ্যাক হয়ে থাকতে পারে।
এনআইডি সার্ভারের বিরুদ্ধে কোনো হুমকি নেই বলেও দাবি করেন তিনি।
আরও পড়ুন: প্রযুক্তিগত ত্রুটি ও সিইআরটি নির্দেশা না মানায় সরকারি ওয়েবসাইটের তথ্য ফাঁস: পলক
কুষ্টিয়ায় গাছে গাছে ঝুলছে পাখিদের নিরাপদ কৃত্রিম আবাসস্থল
জীববৈচিত্র্য ও প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে দেশীয় পাখি। আগে গ্রামে গ্রামে হরহামেশাই দেখা মিলত নানা প্রজাতির দেশীয় পাখির। কালের আবর্তে এসব পাখি এখন হারিয়ে যেতে বসেছে। তেমন একটা শোনা যায় না এই সব পাখির কলরব।
দেশীয় পাখির বংশ বিস্তার এবং আগের মতো পাখির কলরব ফিরিয়ে আনতে প্রতি বছরের মতো এ বছরও ‘পাখির জন্য ভালোবাসা’স্লোগান নিয়ে কুষ্টিয়ায় মাসব্যাপী দেশীয় পাখির নিরাপদ কৃত্রিম আবাসস্থল স্থাপন কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় অভিনব পন্থায় অতিথি পাখি শিকার
সোমবার (২৯ মে) শুরু হওয়া এ কর্মসূচি চলবে মাসব্যাপী।
ওইদিন জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বর ও লালন শাহ’র মাজার এলাকার গাছে গাছে এই কৃত্রিম বাঁশের হাড়ি স্থাপন করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মানুষ মানুষের জন্য এর কুষ্টিয়ার সভাপতি শাহাবউদ্দিন মিলন, বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফেডারেশন বিবিসিএফের সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া বার্ড ক্লাবের সভাপতি এস আই সোহেল, মানুষ মানুষের জন্য এর কুষ্টিয়ার সাংগঠনিক সম্পাদক নাব্বির আল নাফিজ, মীর কুশল, তানজিম আহমেদ আলীফ, তালহা জুবায়ের, মুবিন, সাবিত ইবনে মামুন, রাফি ইসলামসহ আরও অনেকে।
শাহাবউদ্দিন মিলন বলেন, পাখিদের মুক্তভাবে বাঁচার জন্য পুকুর ভরাট, গাছ নিধন, শিকার- বন্ধ করার ওপর জোর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে বড় বড় গাছের সংখ্যা কমে যাওয়ায় পাখিরা বাসা বাঁধার স্থান পাচ্ছে না। বড় বড় গাছ না থাকায় বাচ্চা দেওয়ার সময় পাখিরা দিশেহারা হয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, তাই দেশীয় পাখির বংশ বিস্তার এবং আগের মতো পাখির কলরব ফিরিয়ে আনতে গাছে গাছে পাখিদের কৃত্রিম আবাসস্থল গড়ে দেওয়ার এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
এ বছর প্রথম পর্যায়ে ১৪৫টি বাঁশের হাঁড়ি গাছে লাগানো হয়েছে। আরও ৫০০টি হাঁড়ি গাছে গাছে স্থাপন করা হবে।
আরও পড়ুন: শখের পোষা পাখি এখন তামিমের আয়ের উৎস
দোয়া করবেন যেন বাংলাদেশ মানবসৃষ্ট বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে নিরাপদ থাকে: হজযাত্রীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ ও এর জনগণ যেন মানবসৃষ্ট বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে সুরক্ষিত থাকে সে জন্য প্রার্থনা করতে হজযাত্রীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার হজ কার্যক্রম-২০২৩ (১৪৪৪ হিজরি) উদ্বোধনকালে তিনি এই আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: হজ কার্যক্রম-২০২৩ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘মানবসৃষ্ট বা প্রাকৃতিক যে কোনো দুর্যোগ বা সংকট যেন বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের জনগণের ক্ষতি করতে না পারে, সেজন্য আপনাদেরকে দোয়া করার অনুরোধ করছি।’
প্রধানমন্ত্রী রাজধানীর আশকোনায় হজ ক্যাম্পে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন এবং পরে হজযাত্রীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগের পাশাপাশি মানবসৃষ্ট দুর্যোগও ঘটে, যেহেতু এখানে অগ্নি সহিংসতা ও যানবাহনে আগুন দেওয়ার মাধ্যমে মানুষ মারা যায়।
ভবিষ্যতে যাতে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও বর্তমান অগ্রগতি অব্যাহত থাকে সেজন্য তিনি হজযাত্রীদের দোয়া করতে বলেন।
প্রথম হজ ফ্লাইটটি শুক্রবার দিবাগত রাত (২০ মে) ২টা ৪৫ মিনিটে সৌদি আরবের উদ্দেশে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করবে।
এ বছর বাংলাদেশ থেকে মোট এক লাখ ২২ হাজার ২২১ জন হজযাত্রী পবিত্র হজ পালন করতে যাচ্ছেন। তবে কোভিড-১৯ বিধিনিষেধের কারণে গত বছর বাংলাদেশ থেকে হজযাত্রীর সংখ্যা ছিল ৫৭ হাজার ৫৮৫ জন।
এদিকে কোভিড-১৯ মহামারির আগে ২০১৯ সালে বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ পালন করেছিলেন।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ২৭ জুন হজ অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
এছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী এম মাহবুব আলী, বাংলাদেশে সৌদি রাষ্ট্রদূত এসা ইউসেফ এসা আল দুলাইহান, স্থানীয় সংসদ সদস্য হাবিব হাসান (ঢাকা-১৮), ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী এনামুল হাসান এবং হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি শাহাদাত হোসেন তসলিম।
আরও পড়ুন: হজ প্যাকেজ ফি অস্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য মুদ্রার বিনিময় হারকে দায়ী করছে সরকার
হজযাত্রীরা সঙ্গে নিতে পারবেন ১২০০ ডলার
‘ভাল এবং নিরাপদ থাকুন’: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঈদ-উল-ফিতরের আনন্দ তাদের প্রিয়জন এবং সমাজের দরিদ্র ও দুস্থ মানুষের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
শুক্রবার (২১ এপ্রিল) তিনি সকলের প্রতি এই আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের স্বাগত জানাবে ঢাকা: ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতকে প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘ঈদ মানেই আনন্দ। আসুন আমরা পরিবার, আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশী এবং সমাজের সকল গরিব, দুস্থ ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াই এবং সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।’
মুসলমানদের সবচেয়ে বড় উৎসব ঈদ-উল-ফিতরের প্রাক্কালে এক ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘আপনারা সবাই ভালো থাকুন, নিরাপদে থাকুন, ঈদ মোবারক।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঈদ-উল-ফিতর অনাবিল আনন্দ, সুখ ও শান্তি বয়ে আনুক।’
আরও পড়ুন: তিন বছর পর গণভবনে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি
নৌপথ নিরাপদ রাখতে আরও ডিজিপিএস স্টেশন স্থাপন করা হবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, নওয়াপাড়া নদী বন্দরের উন্নয়নে সাড়ে তিনশ’ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, অভ্যন্তরীণ ও উপকূলীয় নৌপথসমূহ নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন রাখার লক্ষ্যে হাইড্রোগ্রাফিক চার্ট প্রণয়ন, নৌসহায়ক যন্ত্রপাতি স্থাপন ও ড্রেজিং কাজ সম্পন্ন করার জন্য নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এর স্যাটেলাইট ভিত্তিক অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ডিফারেন্সিয়াল গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম (ডিজিপিএস) স্টেশন আরও স্থাপন করা হবে।
আরও পড়ুন: নদীর জায়গা নদীকে ফিরিয়ে দিব: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
এছাড়া বর্তমানে তিনটি ডিজিপিএস স্টেশন রয়েছে।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বুধবার যশোরের মনিরামপুরে ডিজিপিএস বিকন স্টেশন পরিদর্শন এসে এসব কথা বলেন।
এসময় অন্যদের মধ্যে বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান গোলাম সাদেক, মনিরামপুর পৌরসভার মেয়র কাজী মাহমুদুল হাসান, বিআইডব্লিউটিএ'র হাইড্রোগ্রাফিক বিভাগের পরিচালক সামসুন নাহার বেগম উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দশ হাজার কিলোমিটার নৌপথ খননের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ শুরু করেছিলাম। করোনায় কিছুটা সমস্যা হলেও সাড়ে তিন হাজার কিলোভমটার নৌপথ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি। বিআইডব্লিউটিএর ৪১টি নদীবন্দর আপগ্রেড করা হচ্ছে।
শুধু বিআইডব্লিউটিএ'র আপগ্রেড নয়; প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়ে সমগ্র বাংলাদেশ আপগ্রেড হয়ে গেছে। আজ মেট্রোরেল উদ্বোধনের মাধ্যমে বাংলাদেশ আরেক উচ্চতায় চলে গেল। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু হয়েছে।
২০১৪ সালে দারিদ্রতাকে জয় করেছি। ২০২৬ সালে মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ উন্নত দেশে পরিণত হবো।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, নদীর প্রবাহ ও নৌপথ সচল রাখতে চাই। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আমরা কাজ করছি। কেউ যাতে নদীর ক্ষতি, দখল ও দূষণ করতে না পারে সেজন্য পদক্ষেপ নিয়েছি। নদী রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী জাগরণ তৈরি করেছেন। নদী নালা খাল বিল রক্ষায় সমগ্র বাংলাদেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ।
নওয়াপাড়া নদী বন্দরের উন্নয়নে সাড়ে তিনশ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ:
প্রতিমন্ত্রী এর আগে নওয়াপাড়া নদী বন্দর টার্মিনাল ভবনে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, নওয়াপাড়া নদী বন্দরের উন্নয়নে সাড়ে তিনশ’ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। নওয়াপাড়া নদী বন্দর সচল রাখতে বিআইডব্লিউটিএ নিয়মিত ড্রেজিং করছে। অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। সমীক্ষা করে ব্যবস্থা নিব। নওয়াপাড়া শিল্প এলাকাকে বাঁচাতে চাই। ভৈরব নদীকে রক্ষা করতে চাই। ব্রিজ তৈরি করে নদীকে হত্যা করতে দেয়া হবে না। নদীতে ব্রিজ তৈরিতে বিআইডব্লিউটিএ'র হাইড্রোগ্রাফিক বিভাগের ক্লিয়ারেন্স নিতে হবে।
উল্লেখ্য, সঠিকভাবে জরিপ কাজের লক্ষ্যে ভৌগোলিক অবস্থান নির্ণয়ের জন্য ১৯৬৫ সালে ডেকা চেইন সিস্টেম স্থাপন করা হয়। উক্ত সিস্টেমে চাঁদপুরের সেনগাঁওয়ে একটি মাস্টার স্টেশন, তিনটি স্লেভ স্টেশন যথা-যশোরের মনিরামপুর, ময়মনসিংহের রূপচন্দ্রপুর, চট্টগ্রামের দোহাজারী এবং একটি মনিটরিং স্টেশন-নারায়ণগঞ্জ এর সমন্বয়ে গঠিত। উক্ত স্টেশনগুলির মাধ্যমে সারা বাংলাদেশের নদী জরিপ কাজ সম্পন্ন করা হতো। ডেকা চেইন সিস্টেমের একুরিসি ছিল ০২(দুই) মিটার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের সময়ে ২০০০ সালে স্যাটেলাইট ভিত্তিক অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ডিজিপিএস স্থাপন করা হয়। উক্ত সিস্টেমের আওতায় তিনটি স্লেভ স্টেশনকে তিনটি ডিজিপিএস বিকন স্টেশন যথাক্রমে-যশোরের মনিরামপুর, ময়মনসিংহের রূপচন্দ্রপুর, চট্টগ্রামের দোহাজারীতে ও ঢাকা সদরঘাটে একটি মনিটরিং স্টেশন এবং একটি কন্ট্রোল স্টেশন স্থাপন করা হয়। বর্তমানে উল্লিখিত স্টেশনগুলোতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ডিফারেন্সিয়াল গ্লোবাল নেভিগেশনাল স্যাটেলাইট সিস্টেম (ডিজিএনএসএস) স্থাপন করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ র্নিমাণের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিআইডব্লিউটিএ। বর্তমান সরকারের নৌপথ পুনরুদ্ধার, পুনরুজ্জীবিতকরণ, ও সম্প্রসারণের মহা কর্মকাণ্ডের সঙ্গে বিআইডব্লিউটিএ বরাবরই অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে আসছে। বর্তমান সরকারের এ উদ্যোগের ফলে বাংলাদেশে শুষ্ক মৌসুমে চার হাজার ৮০০ কিলোমিটার এবং বর্ষা মৌসুমে পাঁচ হাজার ৬০০ কিলোমিটার শ্রেণিবিন্যাসকৃত নৌপথ দাঁড়িয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ-ভারত নৌ-প্রোটোকল চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ায় প্রোটোকল রুটগুলো হাইড্রোগ্রাফিক জরিপ ও ড্রেজিং কার্যক্রম বৃদ্ধি পেয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় সমগ্র বাংলাদেশের সম্পূর্ণ নৌপথের নিরাপদ যাত্রা এবং নৌপথের সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ নিশ্চিত করতে আরও কয়েকটি বিকন স্টেশন স্থাপন করা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: দেশে আরও ৩টি মেরিন একাডেমি স্থাপন করা হবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী