রক্তদাতা
বিএসআরএফ’র জন্য রক্তদাতার ব্যবস্থা করবে ‘ব্লাডম্যান’
দেশের প্রথম ডিজিটাল ব্লাড ডোনার ম্যাচ-মেকিং প্ল্যাটফর্ম ‘ব্লাডম্যান’ সচিবালয় বিটের সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) সদস্য ও তাদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জন্য ঢাকাসহ সারাদেশে রক্তদাতার ব্যবস্থা করবে।
মঙ্গলবার (০১ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে এ লক্ষ্যে বিএসআরএফ এবং ব্লাডম্যানের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়।
সমঝোতা স্মারকের অধীনে প্রয়োজনীয় সময়ে বিএসআরএফ সদস্য ও তাদের পরিবারের অন্যান্যদের জন্য সারাদেশে রক্তদাতার ব্যবস্থা করবে ব্লাডম্যান।
আরও পড়ুন: রক্তদানে উদ্বুদ্ধ করতে ফেসবুক ও ব্লাডম্যান বিডির সাথে আইসিটি মন্ত্রণালয়ের চুক্তি
পাশাপাশি রক্তদান এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা উদ্যোগের তাৎপর্য সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করার মাধ্যমে ব্লাডম্যানের পরিষেবাগুলোর প্রভাবকে প্রসারিত করা এবং জীবন বাঁচাতে বৃহত্তর জনসাধারণের অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করার কাজ করবে বিএসআরএফ।
উভয় সংগঠনই স্বাস্থ্য শিবির এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য-সম্পর্কিত প্রকল্পগুলো আয়োজন করতে একযোগে কাজ করবে।
এই যৌথ প্রচেষ্টা একটি স্বাস্থ্যকর সমাজ গঠনে কাজ করবে, যার মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবাগুলো সবার কাছে সহজলভ্য করা সম্ভব হবে।
অনুষ্ঠানে বিএসআরএফের সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব, সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী আজাদ মাসুম, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সম্পাদক ফারুক আলম এবং কার্যনির্বাহী সদস্য আসাদ আল মাহমুদ ও আয়নাল হোসেন, ব্লাডম্যানের পক্ষে প্ল্যাটফর্মটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মো. শাহরিয়ার হাসান জিসান ও সহ-প্রতিষ্ঠাতা আবু সালমান মো. আব্দুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বিএসআরএফ সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব বলেন, বাংলাদেশে ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা উন্নত করার জন্য ব্লাডম্যান ধারাবাহিকভাবে গত প্রায় এক দশক ধরে সুনামের সঙ্গে কাজ করছে। এই পার্টনারশিপের ফলে সংগঠনটির সহায়তায় আমরা আমাদের সব সদস্য ও তাদের পরিবারের জন্য প্রয়োজনের সময়ে রক্তদাতার সংস্থান করতে পারব।
১৪ জুন পালিত হবে বিশ্ব রক্তদাতা দিবস
১৪ জুন বিশ্ব রক্তদাতা দিবস। ২০০৪ সালে দিবসটি প্রথম পালিত হয়েছিল। নিরাপদ রক্ত নিশ্চিত করা ও স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের উৎসাহ দিতেই বিশ্বব্যাপী পালিত হয়ে আসছে দিবসটি।
সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশেও নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হবে দিবসটি।
দেশে রক্তের চাহিদা পূরণে স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে থাকছে নানা কর্মসূচি।
এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারিত হয়েছে ‘গিভ ব্লাড গিভ প্লাজমা শেয়ার লাইফ শেয়ার অফেন’। সহজ বাংলা করলে দাঁড়ায়- ‘রক্ত দান করুন, দান করুন প্লাজমা, যতবার সম্ভব গ্রহণ করুন জীবন বাঁচানোর এ অনন্য সুযোগ’।
আন্তর্জাতিকভাবে এ বছর বিশ্ব রক্তদাতা দিবসের বিশ্বব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজক দেশ আলজেরিয়া।
আরও পড়ুন: উচ্চ রক্তচাপ (হাই প্রেশার) হলে যা এড়িয়ে চলা উচিত: ক্ষতিকর খাবার, পানীয়, অভ্যাস
আমাদের দেশে বুধবার (১৪ জুন) দিবস পালনে সরকারি নানা উদ্যোগের পাশাপাশি এবারও এগিয়ে আসছে সাড়ে চার লক্ষাধিক সুসংগঠিত ডোনার পুল নিয়ে গঠিত কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন।
বিকেলে রাজধানীর কাকরাইল আইডিইবি ভবনে দেশে প্রথমবারের মতো দুই শতাধিক স্বেচ্ছা রক্তদাতা ও দুই শতাধিক থ্যালাসেমিক রক্তগ্রহীতার মিলনমেলা এবং বিশেষ সেমিনারের আয়োজন করছে কোয়ান্টাম।
স্বেচ্ছা রক্তদাতারা নীরবে তাদের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অংশ রক্ত দান করে যান। রক্তদানের সময় তারা অধিকাংশ ক্ষেত্রে জানেনও না, এ রক্ত কোন মানুষটির শরীরে বইবে। একইভাবে রোগীদের কাছেও অচেনা থেকে যান রক্তদাতারা।
দাতা-গ্রহীতার আনন্দ আর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের এমন মেলবন্ধনে উদ্বুদ্ধ হবেন নতুন রক্তদাতারা এমনই আশাবাদ সংশ্লিষ্টদের।
আমাদের দেশে রক্ত চাহিদার একটা বড় অংশ প্রয়োজন হয় থ্যালাসেমিয়া রোগীদের জন্যে।
হেমাটোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশ সূত্রে জানা যায়, দেশে থ্যালাসেমিয়া রোগীর সংখ্যা প্রায় ৮০ হাজার। থ্যালাসেমিয়ার বাহক রয়েছে এক কোটি সত্তর লাখেরও অধিক মানুষ।
দিন দিন এ সংখ্যা বাড়ছে। একজন থ্যালাসেমিয়া রোগীর প্রতি মাসে ১ থেকে ৩ ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন হয়। থ্যালাসেমিয়া ছাড়াও রক্তস্বল্পতা, প্রসূতির রক্তক্ষরণ, অগ্নিদগ্ধ রোগী, বড় অপারেশন, দুর্ঘটনা ইত্যাদি নানা কারণে রক্তের প্রয়োজন হয়।
রক্তের এ চাহিদা পূরণে নতুন স্বেচ্ছা রক্তদাতার কোনো বিকল্প নেই। সাধারণত ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী যেকোনো শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ সক্ষম ব্যক্তি প্রতি চার মাস পরপর রক্ত দিতে পারেন।
প্রসঙ্গত, প্রতিবছর প্রায় ৮-১০ লাখ ব্যাগ রক্ত চাহিদার একটা বড় অংশ পূরণ করে কোয়ান্টাম। ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে দুই দশকের যাত্রায় কোয়ান্টাম গড়েছে ৪ লক্ষ ৭৪ হাজার স্বেচ্ছা রক্তদাতার সুসংগঠিত ডোনার পুল। আর জীবন বাঁচানোর জন্যে এ পর্যন্ত সরবরাহ করেছে ১৫ লক্ষাধিক ইউনিট রক্ত ও রক্ত উপাদান।
আরও পড়ুন: সরকার কমিউনিটি ক্লিনিকের ওষুধ তালিকায় উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের ওষুধ অন্তর্ভুক্ত করবে
ভারতের সঙ্গে মৈত্রী রক্তের বন্ধন: তথ্যমন্ত্রী
স্ত্রীর রক্তদাতাকে বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে ফেরার পথে ট্রাকচাপায় স্বামীর মৃত্যু
ভোলায় নবজাতক সন্তান ও স্ত্রীকে হাসপাতালে রেখে স্ত্রীর সিজার অপারেশনে রক্তদাতাকে বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে ফেরার পথে ট্রাকচাপায় স্বামীর মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার ভোরে ভোলা-চরফ্যাশন আঞ্চলিক মহাসড়কের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে ট্রাকচাপায় অটোরিকশার ৫ যাত্রী নিহত
নিহত মো. সামসুর রহমান শুভ (২৮) তজুমদ্দিন উপজেলা সোনাপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ চাপড়ি গ্রামের মো. মোসলেহ উদ্দিনের ছেলে।
তিনি ঢাকা থেকে প্রকাশিত মাতৃজগৎ পত্রিকার তজুমদ্দিন উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
নিহতের স্বজনরা জানান, মঙ্গলবার রাতে ভোলা সদর হাসপাতালে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন শুভ’র স্ত্রী। তখন তার স্ত্রীর রক্তশূণ্যতা দেখা দেয়ায় রক্তের প্রয়োজন হওয়ায় একজন রক্তদাতাকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। রক্ত দেয়া শেষে ওই রক্তদাতাকে বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে হাসপাতালে ফেরার পথে ভোলা বাসস্ট্যান্ড আসলে পিছন দিক থেকে একটি ট্রাক এসে তাকে চাপা দেয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতাল নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিন ফকির জানান, নিহতের পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাদন্ত ছাড়া লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে ট্রাকচাপায় পথচারী নিহত
দিনাজপুরে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেল চালক নিহত
৩০০ স্বেচ্ছায় রক্তদাতাকে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের সম্মাননা
একটি স্বেচ্ছাসেবী রক্তদাতা সংগঠনের ৩০০ জন স্বেচ্ছায় রক্তদাতাকে সম্মানিত করেছে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন । বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স (আইডিইবি) আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে তাদের হাতে ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেন শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর রফিক উল্লাহ খান।
এসময় অধ্যাপক রফিক উল্লাহ খান বলেন, স্বেচ্ছায় রক্তদাতারা মূলত তাদের রক্তপ্রবাহকে চেতনার ধারায় পরিণত করে। যারা স্বেচ্ছায় রক্তদান করে, তারা শুধুমাত্র একজন ব্যক্তির উপকার করছে না, তারা জাতির উপকার করছে না, তারা বিশ্বকে উপকৃত করছে।
অনুষ্ঠানে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন নিয়মিত রক্তদাতাদের কমপক্ষে তিন ব্যাগ রক্ত, কমপক্ষে ২৫ ব্যাগ এবং স্বেচ্ছায় ৫০ ব্যাগ রক্তদাতা এই তিন বিভাগে সম্মাননা দেন।
আরও পড়ুন: শোক দিবসে কোয়ান্টামের দাফন করসেবা
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের প্রধান সমন্বয়কারী নাহার আল বোখারি।
বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় আট লাখ ব্যাগ নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর রক্তের প্রয়োজন হয়। কোয়ান্টাম দেশের মোট রক্তের চাহিদার এক-অষ্টমাংশ সরবরাহ করেছে। রক্তের এই বিশাল চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে কোয়ান্টাম ১৯৯৬ সাল থেকে জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং স্বেচ্ছায় রক্তদান কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
এভাবে গত দুই দশকে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন ১৩ লাখেরও বেশি মানুষের জীবন বাঁচাতে ভূমিকা রেখেছে।
আরও পড়ুন: করোনায় দাফন: কঠোর লকডাউনেও সক্রিয় কোয়ান্টামের স্বেচ্ছাসেবীরা
বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’, সমুদ্র বন্দরে ২ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত
রক্তদানে উদ্বুদ্ধ করতে ফেসবুক ও ব্লাডম্যান বিডির সাথে আইসিটি মন্ত্রণালয়ের চুক্তি
মানুষকে রক্তদানে উদ্বুদ্ধ করতে ফেসবুক ও ব্লাডম্যান বিডির সাথে চুক্তি করেছে আইসিটি মন্ত্রণালয়।
রক্ত দিতে যাওয়ার পথে নাটোরে ট্রলির ধাক্কায় ব্র্যাক ম্যানেজার নিহত
রক্ত দিয়ে আরেকজনের জীবন বাঁচানোর জন্য নওগাঁর বদলগাছী থেকে স্ত্রীকে নিয়ে পাবনা যাচ্ছিলেন ব্র্যাকের এক ম্যানেজার। পথে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে র্মমান্তিকভাবে নিহত হয়েছেন তিনি।
অনুসন্ধানী রক্তদান সংস্থার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন
‘রক্ত ঋণ, রক্ত দিন’ স্লোগানকে সামনে রেখে পথচলা অনুসন্ধানী রক্তদান সংস্থার দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও তৃতীয় বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে দিনব্যাপী স্বেচ্ছাসেবী মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।