মিশর
বাংলাদেশে বাণিজ্য সম্প্রসারণে আগ্রহী মিশর: পাটমন্ত্রী
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক জানিয়েছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করছে মিশর।
তিনি জানান, এ বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে দ্রুত একটি যৌথ প্রটোকল সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে পাটমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত মিশরের রাষ্ট্রদূত ওমর মহিম এলদিন আহমেদ ফাহমি সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
মন্ত্রী বলেন, মিশরের রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের বর্তমান সরকারকে সমর্থন জানিয়েছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পঞ্চমবারের মতো সরকার গঠন করায় তাকে অভিন্দন জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: পাটখাতের উন্নয়ন,আধুনিকায়ন ও রপ্তানি বাণিজ্য সম্প্রসারণে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে: পাটমন্ত্রী
এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশে যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে তার প্রশংসা করেছেন। গত বছর মিশর ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন করা হয়েছে। এ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ভবিষ্যতেও অটুট থাকবে বলে রাষ্ট্রদূত আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত মিশরের রাষ্ট্রদূত ওমর ফাহমি জানান, মিশর আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করে বাংলাদেশ তাদের বন্ধুপ্রতীম দেশ। মিশর ও বাংলাদেশের রয়েছে ঐতিহাসিক সম্পর্ক। সেজন্য মিশর বাংলাদেশের পাট-বস্ত্র, তুলাসহ বিভিন্ন কৃষিপণ্য ছাড়াও সাংস্কৃতিক শিক্ষা ও ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন ঘটাতে আগ্রহী।
আলোচনায় জাহাঙ্গীর কবির নানক মিশরের রাষ্ট্রদূতকে জানান, বাংলাদেশও আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করে মিশর বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতীম দেশ। বন্ধুপ্রতীম দুই দেশের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরাদার হবে। বিশ্বে বাংলাদেশ দ্বিতীয় পাট উৎপাদনকারী দেশ।
তিনি আরও জানান, বাংলাদেশের উদ্যোক্তরা পাট দিয়ে ২৮২ ধরনের বহুমুখী পাটজাত পণ্য উৎপাদন করছে যা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হয়। পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশ ও মিশর পাট ও বস্ত্রখাত একসঙ্গে এগিয়ে যাবে। দুই দেশের বাণিজ্য ঘাটতি পূরণ ও ব্যবসা-বাণিজ্যে যেসব প্রতিবন্ধকতা রয়েছে তা দূর করতে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
সাক্ষাৎকালে বন্ধুপ্রতীম দুই দেশের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক ছাড়াও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রাসহ দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় আলোচনা করা হয়।
সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ব্যবহার হবে না এবং দলীয়ভাবে মনোনয়ন দেওয়া হবে না। স্থানীয় সরকার নির্বাচন সর্বজনীন করার জন্যই আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: পাট উৎপাদনে উৎসাহিত করা হবে: পাটমন্ত্রী
প্রত্যেক মাসেই বহুমুখী পাটপণ্যে মেলা আয়োজন করা হবে: পাটমন্ত্রী
মিশরে বাংলাদেশ দূতাবাসে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত
মিশরের কায়রোতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস ভবনে বৃহস্পতিবার যথাযোগ্য মর্যাদা ও গাম্ভীর্যের সঙ্গে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে।
দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু কর্নার সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কর্মকর্তারা অংশ নেন।
পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পাঠানো বাণী পাঠ করা হয়।
আরও পড়ুন: বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে জাতিকে পঙ্গু করা যায়নি: হাছান মাহমুদ
দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত বিশেষ আলোচনা সভায় রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ প্রথমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এছাড়া তিনি শহীদ বুদ্ধিজীবীসহ সকল শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, এই দিনে (১৪ ডিসেম্বর) দেশের প্রখ্যাত বুদ্ধিজীবীদের নৃশংসভাবে হত্যা জাতির জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।
তিনি বলেন, ‘এই দিনটি পালনের মাধ্যমে আমরা তাদের গভীরভাবে স্মরণ করি এবং আমাদের জাতীয় জীবনে তাদের অবদানকে তুলে ধরেছি, তাদের আত্মত্যাগ এবং স্বাধীনতার জন্য ত্যাগের ইতিহাস স্মরণ করি।’
অনুষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার পরিবারের শহীদ সদস্য, মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবী ও অন্যান্য শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
আরও পড়ুন: শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতি স্মরণ করছে সূর্যসন্তানদের
একাত্তরের শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
রাষ্ট্রপতির কাছে পরিচয়পত্র পেশ করলেন পাকিস্তান, মিশর, ভ্যাটিকান সিটি ও শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রদূত
পাকিস্তান, মিশর, ভ্যাটিকান সিটি ও শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রদূতেরা বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে তাদের পরিচয়পত্র পেশ করেন।
রাষ্ট্রদূতেরা হলেন- পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ, মিশরের রাষ্ট্রদূত ওমর মোহি এলদিন আহমেদ ফাহমি, ভ্যাটিকান সিটির অ্যাপোস্টলিক নুনসিও কেভিন রান্ডাল এবং শ্রীলঙ্কার হাইকমিশনার ধর্মপাল ওয়েরাক্কোদি।
সকালে বঙ্গভবনে পৌঁছালে প্রেসিডেন্সিয়াল গার্ড রেজিমেন্টের একটি চৌকস দল তাদের গার্ড অব অনার দেন।
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন নতুন রাষ্ট্রদূতদের স্বাগত জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশ ‘সবার সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়’- নীতিতে বিশ্বাসী এবং বিশ্বের সব দেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নকে গুরুত্ব দেয়।
রাষ্ট্রপতি বলেন, গত দেড় দশকে দেশে যোগাযোগ, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন ও আইসিটিসহ বিভিন্ন খাতে ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে।
তিনি বাংলাদেশকে নারীর ক্ষমতায়ন ও উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবেও অভিহিত করেন।
আরও পড়ুন: ডেনমার্কের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান রাষ্ট্রপতির
মিশরে বাস দুর্ঘটনায় ৩২ জনের মৃত্যু
মিশরের রাজধানী কায়রো এবং ভূমধ্যসাগরীয় শহর আলেকজান্দ্রিয়ার সংযোগকারী মহাসড়কে বাস দুর্ঘটনায় অন্তত ৩২ জন নিহত হয়েছেন।
স্থানীয় সময় শনিবার(২৮ অক্টোবর) সকালে সড়কে একটি যাত্রীবাহী বাস পার্ক করা একটি গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা দিলে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন লেগে অন্তত ৬৩ জন আহত হয়েছেন।
কায়রো-আলেকজান্দ্রিয়া মরুভূমি সড়কে দুর্ঘটনাস্থলথেকে আহতদের নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, বাসটি কায়রো যাওয়ার পথে পার্ক করা একটি গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে অন্য গাড়িগুলোও বাসটির সঙ্গে ধাক্কা লাগলে কয়েকটিতে আগুন ধরে যায়।
আরও পড়ুন: মিশরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৭
অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ফুটেজে দেখা গেছে, রাস্তার পাশে অনেক পুড়তে থাক গাড়ির আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন দমকল কর্মীরা। একটি ফুটেজে অনেক যানবাহনে আগুন লেগেছে এবং সেখান থেকে ঘন ধোঁয়া বের হতে দেখা গেছে।
দেশটির রাষ্ট্রীয় দৈনিক আল-আহরাম জানিয়েছে, কায়রো থেকে প্রায় ১৬০ কিলোমিটার উত্তরে নুবারিয়া শহরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মিশরের আবহাওয়া কর্তৃপক্ষ একদিন আগেই মহাসড়কে ঘন কুয়াশার বিষয়ে সতর্ক করেছিল বলে স্থানীয় প্রতিবেদনে বলা হয়।
মিশরের পরিবহন নিরাপত্তা রেকর্ড দুর্বলতার কারণে মারাত্মক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। বেশিরভাগ দুর্ঘটনা এবং সংঘর্ষের কারণ হলো দ্রুত গতি, খারাপ রাস্তা বা ট্র্যাফিক আইনের দুর্বল প্রয়োগ অন্যতম।
আরও পড়ুন: মিশরের নীল ডেল্টায় খালে বাস পড়ে ২১ জনের মৃত্যু
মিশরকে গাজায় সীমিত মানবিক সহায়তা সরবরাহের অনুমতি ইসরায়েলের
বুধবার ইসরায়েল বলেছে, তারা মিশরকে গাজা উপত্যকায় সীমিত মানবিক সহায়তা সরবরাহের অনুমতি দেবে। গাজার একটি হাসপাতালে বিস্ফোরণে শত শত মানুষ নিহত এবং গাজার সংগ্রাম করা চিকিৎসা ব্যবস্থার ওপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টির একদিন পর ওই অঞ্চলে ১০ দিনের অবরোধের প্রথম ফাটল দেখা দেয়।
গাজা শহরের আল-আহলি হাসপাতালে বিস্ফোরণের ঘটনায় ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ার পর এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই অঞ্চলে বৃহত্তর সংঘাত রোধের আশায় ইসরায়েল সফর করার সময় পানি, খাদ্য এবং অন্যান্য সরবরাহের অনুমতি দেওয়ার ঘোষণাটি ঘটে।
মঙ্গলবার রাতে বিস্ফোরণের পেছনে কারা ছিল তা নিয়ে পরস্পরবিরোধী দাবি করা হলেও অনেক আরব নেতা ইসরায়েলকে দায়ী বলে মন্তব্য করায় বিক্ষোভ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। গাজায় হামাসের কর্মকর্তারা ইসরায়েলি বিমান হামলাকে দায়ী করে বলেছেন, এতে শত শত মানুষ নিহত হয়েছে। ইসরায়েল তাদের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে এবং ভিডিও, অডিও ও অন্যান্য তথ্য প্রকাশ করেছে যা দেখায়- গাজায় সক্রিয় আরেকটি সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসলামিক জিহাদের রকেট মিসফায়ারের কারণে বিস্ফোরণটি হয়েছিল। ইসলামিক জিহাদ এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৫০ ফিলিস্তিনি নিহত
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) স্বাধীনভাবে কোনও দাবি বা প্রমাণ যাচাই করেনি।
৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামাস গাজায় হামলা চালানোর পর পরই ইসরায়েল গাজায় সব ধরনের সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। সরবরাহ শেষ হয়ে যাওয়ায় গাজার অনেক পরিবার দিনে এক বেলা খাবার কমিয়ে দিয়েছে এবং নোংরা পানি পান করতে বাধ্য হয়েছে।
বাইডেন বলেন, মিশরের প্রেসিডেন্ট ক্রসিংটি খুলে দিতে এবং মানবিক সহায়তাসহ ২০টি ট্রাকের একটি প্রাথমিক দলকে প্রবেশের অনুমতি দিতে সম্মত হয়েছেন। তিনি বলেন, হামাস যদি সহায়তা বাজেয়াপ্ত করে, তাহলে তা ‘শেষ হয়ে যাবে’। হোয়াইট হাউজের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শুক্রবার থেকে এই সহায়তা কার্যক্রম শুরু হবে।
উত্তর সিনাইয়ের রেড ক্রিসেন্টের প্রধান খালিদ জায়েদ জানান, ইসরায়েলি বিমান হামলায় বিধ্বস্ত হওয়া সীমান্তের ওপারের রাস্তাটি মিশরকে অবশ্যই মেরামত করতে হবে। ২০০টিরও বেশি ট্রাক এবং প্রায় ৩ হাজার টন পরিমাণ সহায়তা রাফাহ ক্রসিংয়ে বা তার কাছাকাছি অবস্থান করছে। স্থানটি মিশরের সঙ্গে গাজার একমাত্র সংযোগ।
আরও পড়ুন: অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ও মানবিক সহায়তার আহ্বান জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞের
মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামেহ শৌকরি আল-আরাবিয়া টিভিকে বলেছেন, জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে সহায়তা সরবরাহ করা হবে। বিদেশি ও দ্বৈত নাগরিকদের দেশ ছাড়তে দেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত ক্রসিংটি স্বাভাবিকভাবে চলছে এবং (ক্রসিং) সুবিধাটি মেরামত করা হয়েছে।’
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানিয়েছে, বাইডেনের অনুরোধে এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করা হয়েছে। এতে বলা হয়, ইসরায়েল মিশর থেকে খাদ্য, পানি বা ওষুধ সরবরাহ ‘বাধা দেবে না’, যতক্ষণ না তারা গাজা উপত্যকার দক্ষিণে বেসামরিক নাগরিকদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে এবং হামাসের কাছে না যায়। বিবৃতিতে জ্বালানির কোনো উল্লেখ করা হয়নি, যা হাসপাতালের জেনারেটরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
আরও পড়ুন: গাজার দক্ষিণাঞ্চলে শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ৪০ ফিলিস্তিনি
মিশরের নীল ডেল্টায় খালে বাস পড়ে ২১ জনের মৃত্যু
মিশরের নীল নদের ডেল্টা অঞ্চলে খালে বাস পড়ে কমপক্ষে ২১ জন নিহত হয়েছে।
শনিবার দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা ড. শেরিফ মাকেন বলেছেন, নিহতদের মধ্যে তিন শিশুও রয়েছে।
এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাজধানী কায়রো থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার (৬২ মাইল) উত্তর-পূর্বে দাকাহলিয়া প্রদেশে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। অন্যান্য আহত যাত্রীদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: মিশরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৭
প্রদেশটির পুলিশের তদন্ত বিভাগের প্রধান ব্রিগেডিয়ার মো. মোহাম্মদ আবদেল হাদি বলেন, চালক হয়তো গাড়ির স্টিয়ারিং-এর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিল।
দেশটির পরিবহন নিরাপত্তার রেকর্ড খারাপ হওয়ায় মারাত্মক ট্রাফিক দুর্ঘটনায় প্রতি বছর মিশরে হাজার হাজার প্রাণ ঝরে যায়। বেশিরভাগ সংঘর্ষ এবং দুর্ঘটনা ঘটে খারাপ রাস্তা বা ট্রাফিক আইনের দুর্বল প্রয়োগ এবং দ্রুতগতির কারণে।
জুলাই মাসে, দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ মিনিয়ায় একটি হাইওয়েতে একটি যাত্রীবাহী বাস একটি পার্ক করা ট্রেলার ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে ২৩ জন নিহত এবং ৩০ জন আহত হয়।
কর্তৃপক্ষ জানায়, অক্টোবরে ডাকাহলিয়ায় একটি ট্রাক একটি মিনিবাসকে ধাক্কা দেয়। এতে অন্তত ১০ জন নিহত হয়।
আরও পড়ুন: মিশরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৭
রোহিঙ্গা নির্যাতন: আন্তর্জাতিক আদালতে মিশরের সহযোগিতা চায় বাংলাদেশ
কপ-২৭ সম্মেলনে লস এন্ড ড্যামেজ স্বীকৃতি পেয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, চলমান কপ-২৭ সম্মেলনে লস এন্ড ড্যামেজ স্বীকৃতি পেয়েছে। বেশ কয়েকটি উন্নত দেশ বাংলাদেশসহ ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে লস এন্ড ড্যামেজে অর্থায়ন করবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
তিনি বলেন, লস এন্ড ড্যামেজের ক্ষতি পোষাতে আমরা গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড এর মতো পৃথক ফান্ড চাই।
মিশরের শারম আল শেখ শহরে ৬ থেকে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত চলমান কপ-২৭ বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ যোগ দেন।
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ কপ-২৭ সম্মেলনের গত এক সপ্তাহের অগ্রগতি নিয়ে শনিবার ইউএনবিকে দেয়া এক বিশেষ সাক্ষৎকারে এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে অভিযোজন এবারের কপ-২৭ আলোচনার মূল ফোকাস: তথ্যমন্ত্রী
লস এন্ড ড্যামেজ প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ঘনঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে আমাদের লস এন্ড ড্যামেজ বেশি হচ্ছে। উপকূলীয় অঞ্চলে লবণাক্ততা বৃদ্ধির বড় উদাহরণ। আবার বন্যায় শুধু আমাদের অবকাঠামো ধ্বংস হচ্ছে না, বানভাসি মানুষও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তারা তাদের জীবিকা ও ফসল হারাচ্ছে। তবে এবার আশার বিষয় হলো এবারের জলবায়ু সম্মেলনে লস এন্ড ড্যামেজ স্বীকৃতি পেয়েছে।
তিনি বলেন, এবারের সম্মেলনে লস এন্ড ড্যামেজ নিয়ে বেশ অগ্রগতি হয়েছে। বিশেষ করে ডেনমার্ক ও বেলজিয়ামসহ আরও কয়েকটি দেশ লস এন্ড ড্যামেজে অর্থায়ন করবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এই বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে এই সম্মেলনে।
পরিবেশবিদ ও তথ্যমন্ত্রী বলেন, আরও একটি ভালো দিক হচ্ছে প্রায় ১০০টি দেশের সরকার/রাষ্ট্রপ্রধান এতে অংশ নিয়েছেন। কপ-২৭ এ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ বিশ্বনেতাদের অংশগ্রহণ অত্যন্ত আশাপ্রদ। এটাই প্রতীয়মান হয় এই সম্মেলনে বিশ্ব নেতারা অংশ নেয়া মানে জলবায়ু পরিববর্তনকে গুরুত্ব সহকারে দেখা। এই গুরুত্বটা আমি মনে করি তাপমাত্রা কমাতে ইতিবাচক হবে। কার্বন নিঃসরণ কমানোর কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে।
মন্ত্রী বলেন, লস এন্ড ড্যামেজ পোষাতে আমরা গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড এর মত পৃথক ফান্ড চাই। এজন্য আমরা দাবি করছি বাংলাদেশ ছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো এটিকে আরও জোরালো করতে হবে।
ক্লাইমেট ফিনান্স বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কপ সম্মেলনে একটা বার্নিং কিছু থাকে ক্লাইমেট ফিনান্স নিয়ে। এই কপে এটি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, বিতর্ক হচ্ছে। এই বিতর্কটাকে উস্কে দিচ্ছে উন্নত দেশগুলো। গত বছর ৮২ বিলিয়ন ডলার দিয়েছে; কিভাবে তারা (উন্নত দেশগুলো) ফান্ড দিয়েছে বা কাকে দিয়েছে সে বিষয়ে একটা শুভঙ্করের ফাঁকি রয়েছে। যে সমস্ত বাইলেটারাল সহায়তা আছে, সেগুলোও এখানে ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে। অথচ কথা ছিল টু এডিশনাল সাহায্য দিবে। সেটা তারা করেনি।
তিনি আরও বলেন, এই ফান্ডিং এর ক্ষেত্রে ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আনা খুবই জরুরি। যতক্ষণ পর্যন্ত স্বচ্ছতা আসবে না, ততক্ষণ ক্লাইমেট ফান্ড এর গতি আসবে না।
আরও পড়ুন: কপ-২৭ আলোচনায় সবুজ জলবায়ু তহবিল আদায়কে অগ্রাধিকার দেয় বাংলাদেশ: ইউএবনবিকে জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী
এবারে কপ সম্মেলনকে কিভাবে দেখছেন জানতে চাইলে তিনি ইউএনবিকে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের হাত থেকে বিশ্বকে বাঁচাতে বাধা হয়ে দাড়িয়েছে যুদ্ধ। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পৃথিবীতে যে স্যাংশন-পাল্টা স্যাংশন চলছে, তা জলবায়ু পরিবর্তনের চেয়েও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করছে মানুষকে। তাই পৃথিবীর মানুষকে বাঁচাতে হলে আগে যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, যুদ্ধের কারণে জলবায়ু অর্থায়ন হুমকির মুখে পড়েছে। যুদ্ধ বন্ধ না হলে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অর্থ পাবে কি-না সেটি এখন আমাদের সামনে বড় প্রশ্ন।
জলবায়ু সম্মেলনে বেশ কয়েকটি সাইড ইভেন্টে তথ্যমন্ত্রীর যোগদান বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে দেশের পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন অবকাঠামোর বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ক্ষয়ক্ষতি মেটাতে বিশ্ব জলবায়ু তহবিল থেকে পৃথকভাবে অর্থ বরাদ্দের দাবি জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে পানি ও পয়ঃনিষ্কাশনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির এ বিষয়টি প্রথমে অনেকে স্বীকারই করতে চায়নি। অথচ বাংলাদেশসহ জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা অনেক দেশের জনজীবনে এই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ব্যাপক। পরিবেশ পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়ানো বা অভিযোজনের জন্য বরাদ্দ থেকে অর্থায়ন নয়, এই ক্ষয়ক্ষতি পূরণ ও নিরসনের জন্য আলাদা খাত তৈরি করে পৃথকভাবে অর্থ বরাদ্দ দিতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশনের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতিকর প্রভাবের মধ্যে সাগরপৃষ্ঠের উচ্চতা ও পরিবেশের তাপমাত্রা বৃদ্ধি, অসময়ে বৃষ্টিপাত, খরা ও উপকূলীয় অঞ্চলে লবণাক্ত জল বেড়ে যাওয়া, নদীতীর ক্ষয়, ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের প্রকোপ, শহরাঞ্চল ও জলাধার সন্নিকট এলাকায় বন্যায় সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতির কথা তুলে ধরেছি। বাংলাদেশের ৯৮ শতাংশ মানুষ নিরাপদ পানি পাচ্ছে। স্যানিটেশনেও রয়েছে প্রায় শতভাগ সাফল্য। এক্ষেত্রে ভারত- পাকিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে। কিন্তু, জলবায়ু পরিবর্তন আমাদের এই সাফল্যকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে। উপকূলীয় অঞ্চলে লবণাক্ততা নিরাপদ পানি পাওয়ার ক্ষেত্রে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদেরকে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এগুতে হচ্ছে।
জলবায়ু সম্মেলনে কৃষি নিয়ে তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী কৃষিখাতে কার্বন নিঃসরণ কমানোর চাপের মুখেও দেশ। কিন্ত যখন কৃষিখাত থেকে মিথেন ও কার্বন নিঃসরণ কমাতে বলা হয়, তখন সেটি আমাদের জন্য বাড়তি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের কৃষিখাতে কার্বন নিঃসরণ কমাতে বলা হলেও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত রেখেই আমাদের কৃষিকে জলবায়ু সহিষ্ণু করতে হবে। খাদ্য নিরাপত্তা বিঘ্নিত করে আমরা কিছু করতে পারবো না।
আরও পড়ুন: কপ ২৭: উন্নত দেশগুলোর প্রতিশ্রুত ১০০ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা চায় বাংলাদেশ
কায়রোতে গির্জায় আগুন: নিহত ৪১, আহত ১৪
মিশরের রাজধানী কায়রোতে একটি গির্জায় আগুন লেগে অন্তত ৪১ জন নিহত এবং ১৪ জন আহত হয়েছেন।
রবিবার ইমবাবার আবু সেফিন গির্জায় আগুন লাগে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে এর কারণ জানা যায়নি। গির্জাটি কায়রোর সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার একটি সরু রাস্তায় অবস্থিত।
পুলিশের বিবৃতি অনুযায়ী, প্রাথমিক তদন্তে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় আগুনের খবর পায়। ভবনের দ্বিতীয় তলায় একটি এয়ার কন্ডিশনার থেকে আগুন লেগেছে বলে তারা দেখতে পায়।
আগুন লাগার পর মানুষ পালানোর চেষ্টা করলে ধোঁয়া ও পদদলিত হয়ে এত প্রাণহানি হয়েছে বলে জানান দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী। সাম্প্রতিক বছরে এটি মিশরে সবচেয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ফিলিং স্টেশনে আগুন, নিহত ২
মিশরের কপটিক চার্চ ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় হতাহতের সংখ্যা জানিয়েছে।
চার্চটি জানায়, একটি সার্ভিস চলাকালীন আগুনের সূত্রপাত হয়।
কর্মকর্তারা জানান, আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের ১৫টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে এবং অ্যাম্বুলেন্সে করে হতাহতদের নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ এল-সিসি সমবেদনা জানাতে কপটিক খ্রিস্টান পোপ দ্বিতীয় তাওয়াড্রোসের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন বলে জানিয়েছে প্রেসিডেন্টের কার্যালয়।
এছাড়া আল-আজহারের গ্র্যান্ড ইমাম শেখ আহমেদ আল-তায়েবও কপটিক গির্জার প্রধানের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
আল-সিসি ফেসবুকে লেখেন, ‘আমি মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। সংশ্লিষ্ট সব রাষ্ট্রীয় সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানকে সব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, অবিলম্বে দুর্ঘটনা ও এর প্রভাব মোকাবিলায় নির্দেশ দিয়েছি।’
মিশরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৭
মিশরের দক্ষিণাঞ্চলের সোহাগ প্রদেশের মরুভূমি এলাকায় মঙ্গলবার গভীর রাতে মাইক্রোবাস ও ট্রাকের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৭ জন নিহত এবং চারজন আহত হয়েছেন।
সোহাগ প্রদেশের গভর্নর তারেক আল-ফিকি সিনহুয়াকে বলেন, ‘আহতদের সোহাগ পাবলিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য ১৫টি অ্যাম্বুলেন্স দুর্ঘটনাস্থলে ছুটে গেছে।’
তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে মাইক্রোবাস বেপোরোয়া গতিকে দুর্ঘটনার জন্য দায়ী করা হয়েছে।
মিশরে প্রায়ই সড়ক দুর্ঘটনা হয়। খারাপভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা রাস্তা ও ট্র্যাফিক আইনের দুর্বল প্রয়োগের কারণেই এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
গত কয়েক বছর ধরে সড়কে দুর্ঘটনা কমাতে মিশর পুরনো রাস্তা সংস্কার, নতুন রাস্তা এবং সেতু নির্মাণ করছে।
পড়ুন: মার্কিন বন্দুক সহিংসতার জন্য পুঁজিবাদ দায়ী: আল জাজিরা
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে গোলাগুলিতে নিহত ১, আহত ৫
মিশরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৭
মিশরের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ইসমাইলিয়া-সুয়েজ মরুভূমির সড়কে শুক্রবার একটি মিনিবাস ও প্রাইভেট কারের সংঘর্ষে সাতজন নিহত হয়েছেন।
দেশটির আহরাম পত্রিকা জানিয়েছে, সংঘর্ষের ফলে প্রাইভেট কারের ভেতরে থাকা অক্সিজেন সিলিন্ডার ও মিনিবাসের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটে।
আরও পড়ুন: চীনে প্রবল বর্ষণে নিহত ১৫, নিখোঁজ ৩
যানবাহনে আটকে পড়ায় সাত জনের লাশ পুড়ে গেছে। লাশগুলো উদ্ধারের পর অ্যাম্বুলেন্সে করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, প্রাইভেটকারের চালক রাস্তার অপর পাশে ঘুরতে গেলে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
মিশরে সড়ক রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এবং প্রায় ক্ষেত্রে ট্রাফিক আইন মেনে না চলায় দেশটিতে সড়ক দুর্ঘটনা স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়ে।
আরও পড়ুন: আর্জেন্টিনায় প্রথম মাঙ্কিপক্স শনাক্ত
গত কয়েক বছর ধরে, মিশর দুর্ঘটনা এড়াতে পুরানো সড়কগুলো মেরামত, নতুন রাস্তা ও সেতু নির্মাণ করছে।