ষড়যন্ত্র
ফেব্রুয়ারিতে যেন নির্বাচন না হয় তার ষড়যন্ত্র চলছে: মির্জা ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল আলমগীর বলেছেন, গোলমাল তখনই শুরু হলো যখন ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের কথা ঠিক হলো। অর্থাৎ তাদের কথা হলো নির্বাচন হতে দেওয়া যাবে না। কিন্তু এদেশের মানুষ বারবারই সংগ্রাম করেছে। তাদের যেটা দাবি, সে দাবি আদায় করে নিয়েছেন এবং এই নির্বাচনও অবশ্যই দেখবেন ঘোষিত সময়ের মধ্যেই অনুষ্ঠিত হবে।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ছাত্রদল আয়োজিত ‘জুলাই আন্দোলনে শহীদ ছাত্রদের স্মরণে স্মরণসভা’ শীর্ষক আয়োজনে তিনি এসব কথা বলেন।
শহীদরা ফ্যাসিস্টবিরোধী আন্দোলনে ভ্যানগার্ডের ভূমিকা পালন করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট মুক্ত হয়েছি, সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু ষড়যন্ত্র থামেনি। পরিকল্পিতভাবে গণতন্ত্রের যেন উত্তরণ না ঘটে, তার জন্য কাজ শুরু হয়েছে।
‘সোশ্যাল মিডিয়াতে বিভিন্নভাবে কাজ করা হচ্ছে। নেতাদের বিরুদ্ধে কথা বলা হচ্ছে। এমনকি আমার নেতা তারেক রহমান সম্পর্কে অশ্লীল অশ্রাব্য ভাষায় কথা বলা হচ্ছে। এটা কেন করা হচ্ছে? তারা ভয় পেয়েছে। তারেক রহমান তো জাতীয় নেতা হিসেবে অলরেডি প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছেন। সুতরাং তিনি যদি ফিরে আসেন, তাহলে তারা যাবে কোথায়,’ প্রশ্ন করেন তিনি।
‘আমাদের সংগ্রাম শেষ হয়ে যায়নি। আমাদের শত্রু চারদিকে। মনে রাখবেন, বিএনপি ডেমোক্রেসি, বিএনপি ফ্রিডম। বিএনপি হচ্ছে ডেভেলপমেন্ট। ভবিষ্যতে আমরাই বাংলাদেশকে একেবারে উন্নয়নের চরমে নিয়ে যাব।’
পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক চ্যালেঞ্জে সরকারের পাশে থাকার ঘোষণা বিএনপির
তিনি বলেন, কোনো পাতা ফাঁদে আমরা পা দেব না। এরা ফাঁদ পাতছে। আমাদেরকে প্রভোক করছে। যাতে আমরা ঝাঁপিয়ে পড়ি, প্রতিবাদ করি, কনফ্রন্টেশন করি—এমন একটা অবস্থা তৈরি করি যেন গণতন্ত্রে উত্তরণটা ব্যাহত হয়।
ফখরুল বলেন, ‘জনগণকে ক্ষমতায়নের জন্যে, তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আমরা দীর্ঘকাল লড়াই করেছি। আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া ২০০৯ সালের পর থেকে এই সংগ্রাম শুরু করেছিলেন। বিশেষ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিধান বাতিল হওয়ার পরে তিনি সেই সংগ্রাম আরো জোরদার করেছিলেন।’
‘এরপর তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং ছয় বছর জেল খাটেন। তারপর বিএনপির মূল নেতৃত্ব নেন আমাদের বর্তমান নেতা তারেক রহমান, যাকে লক্ষ্য করে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ এখন গণতন্ত্রের স্বপ্ন দেখছে। তার নেতৃত্বে আমরা সেই গণতন্ত্রের আন্দোলন করেছি এবং সফল হয়েছি।’
তিনি অভিযোগ করেন, ‘৬০ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা হয়েছে, প্রায় এক হাজার ৭০০ নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে। আমাদের প্রায় ২০ হাজার নেতাকর্মীকে এক্সট্রা জুডিশিয়াল কিলিং ও বিভিন্নভাবে হত্যা করা হয়েছে।’
‘আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়াকে সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে ছয় বছর কারাগারে আটক করে রাখা হয়েছে। আমাদের নেতা তারেক রহমানকে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে শারীরিক নির্যাতন করে তাকে বিদেশে নির্বাসিত করা হয়েছে। অসংখ্য মিথ্যা মামলা, হত্যা, খুন, জখম নিয়েও বিএনপি মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার চেষ্টা করেছে এবং একবারের জন্য ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে থামেনি।’
পড়ুন: মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহারের অভিযোগ ফখরুলের
তিনি একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করে বলেন, ছাত্রদলের অসংখ্য ছেলে আছে যারা এই নির্যাতন সহ্য করেছে। শুধু ঢাকায় নয়, সারাদেশে। ছাত্রদলের ছেলেরা দেশে থাকতে না পেরে, গ্রামে থাকতে না পেরে ঢাকায় চলে এসেছে। রিকশা চালিয়েছে, অটো চালিয়েছে, বাইক চালিয়ে, এমনকি গার্ডের চাকরি করেছে। এই ত্যাগ করেই কিন্তু আজকে এই একটা সুযোগ তৈরি হয়েছে।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের কথা উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, এই কৃতিত্বের দাবি অনেকেই করছেন। আসলে কৃতিত্ব জনগণের। গ্রামের কৃষক থেকে শুরু করে বোরকা-হিজাব পরা নারীরা এবং সকল পেশার মানুষ এক হয়ে গিয়েছিল। লক্ষ্য ছিল যে আমরা একটা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ চাই। মুক্তিযুদ্ধেও প্রায় ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হয়েছিলেন। সেটাই ছিল আমাদের ভিত্তি। সেই ভিত্তিটার ওপরেই এগিয়ে আজ পর্যন্ত এইখানে এসেছি।
তিনি বলেন, জিয়া বহুদলীয় গণতন্ত্র চালু করেন এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সংসদীয় গণতন্ত্র নিয়ে এসেছেন। আমরাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান চালু করেছিলাম। কারণ বিএনপি হচ্ছে সেই দল, সত্যিকার অর্থেই বাংলাদেশের পরিবর্তন চায়।
তিনি বলেন, খুব দুঃখ হয় যখন দেখি যে আমাদের আহত ভাইয়েরা বলছে যে আমরা কোনো সহযোগিতা পাচ্ছি না। এই সরকার কেন এখন পর্যন্ত তাদের সেই ব্যবস্থা করেনি!
১৪০ দিন আগে
আ.লীগের পুনর্বাসনে ভারতীয় নীতিনির্ধারকরা ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে: রিজভী
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘ফ্যাসিবাদী দল পলাতক আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করতে ভারতীয় নীতিনির্ধারকরা নানাভাবে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। শেখ হাসিনার পতনকে তারা সহ্য করতে পারছে না। লন্ডনে ড. ইউনুস-তারেক রহমানের বৈঠকের পর টার্গেট করে পার্শ্ববর্তী দেশে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।’
শুক্রবার (২০ জুন) দুপুরে তারেক রহমানের নির্দেশনায় ‘আমরা বিএনপি পরিবারের’ উদ্যোগে পাবনার চাটমোহরের প্রবীণ বিএনপি নেতা আবু তাহের ওরফে তাহের ঠাকুরকে দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তার চিকিৎসার জন্য তাহের ঠাকুরের হাতে আর্থিক অনুদান ও তারেক রহমানের শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন তিনি।
রিজভী বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের ১৬ বছরে তৃণমূল থেকে জাতীয় পর্যায়ে অনেকে এখনো গুম আছে। নেতা-কর্মীরা মামলা ও গ্রেপ্তার থেকে রক্ষা পায়নি। ফ্যাসিবাদের দিনগুলো ছিল ভয়ঙ্কর। তবে এখন আমরা গণতন্ত্রের পথে হাঁটছি। আজকে নির্ভয়ে কথা বলতে পারছি। যখন ড. ইউনুস ও তারেক রহমানের বৈঠক হয়েছে তখন থেকেই পার্শ্ববর্তী দেশ ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।’
তিনি বলেন, ‘১৬ বছর ধরে নিপীড়ন করেছে; লুট করে দুবাই, কানাডা ও মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে বেহেশতের মতো সুখে আছে। গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করে অপপ্রচার চালিয়ে গেছে শেখ হাসিনা।… নির্যাতনের শিকার হয়েছি, তবুও শেখ হাসিনার কাছে আত্মসমর্পণ করিনি।’
আগামী জাতীয় নির্বাচনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচন অবাধ-সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হবে; যৌক্তিক সময়েই হবে। আরও অনেক দল যে দাবি করেছে, সেই আলোকেই নির্বাচন হবে। আমরা যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নির্বাচন চেয়েছি। এবারের নির্বাচনে জনগণের দাবির প্রতিফলন হবে।’
আরও পড়ুন: সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচনে আপত্তি বিএনপির
তাহের ঠাকুরকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘লোহা পুড়িয়ে সংসার চালিয়েও তিনি দলের জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন। জেলা বিএনপিকে সর্বক্ষণ তার খোঁজখবর রাখতে বলেছি।’
‘আপনার পাশে সবাই দাঁড়াবে। আজ আমরা তারেক রহমানের উপহার নিয়ে এসেছি।’
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন পাবনা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাসুদ খন্দকার, যুগ্ম আহ্বায়ক আনিছুল হক বাবু, তাহের ঠাকুরের ছেলে চাটমোহর ডিগ্রি কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি বরিউল করিম গোলাম, এডওয়ার্ড কলেজ ছাত্রদল নেতা আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ।
তিন যুগেরও বেশি বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ক্যারিয়ার রয়েছে আবু তাহের প্রামাণিক ওরফে তাহের ঠাকুরের। তিনি চাটমোহর উপজেলা শ্রমিদলের সাবেক সভাপতি। ত্যাগী এই বিএনপি নেতার অসুস্থতা নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন সম্পর্কে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নজরে আসে বিষয়টি। এরপর তিনি আর্থিক সহযোগিতা ও খোঁজখবর নিতে দলের নেতা-কর্মীদের নির্দেশনা দেন।
১৬৭ দিন আগে
জনগণের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীকে দাঁড় করানোর ষড়যন্ত্রের বিষয়ে সতর্ক করলেন তারেক
সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার চেষ্টার মাধ্যমে জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড় করানোর ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে সতর্ক করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন। দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করেন তিনি।
সোমবার (২৪ মার্চ) রাজধানীর লেডিস ক্লাবে বিএনপির মিডিয়া সেলের এক ইফতার মাহফিলে তিনি এই অভিযোগ করেন।
বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক এবং অনলাইন সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিকদের সম্মানে বিএনপি মিডিয়া সেল এই ইফতারের আয়োজন করে।
ভার্চুয়ালি ইফতার মাহফিলে দেওয়া বক্তব্যে তারেক বলেন, ‘কোথাও কেউ হয়তো উসকানি দেওয়ার চেষ্টা করছে। সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার মাধ্যমে জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড় করানোর চেষ্টা করা হচ্ছে.. আমরা বুঝতে পারছি— এর পিছনে একটি ষড়যন্ত্র আছে।’
আরও পড়ুন: ‘পলাতক স্বৈরাচারের’ পুনর্বাসন নিয়ে সরকারকে তারেক রহমানের হুঁশিয়ারি
তিনি বলেন, ‘একটি মহল ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। আমরা দেশের সকল দেশপ্রেমিক নাগরিক একসঙ্গে যদি কাজ করি, অবশ্যই এই ষড়যন্ত্রকে আমরা মোকাবিলা করতে সক্ষম হবো। আমাদের সর্বপ্রথম ও একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিৎ এই দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত করা। অর্থনৈতিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করা।’
এই সংকট কাটিয়ে উঠতে সাংবাদিকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, ‘আপনারা (সাংবাদিকরা) আপনাদের নিজের অবস্থান থেকে বিভ্রান্তি তৈরির জন্য বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে সঠিক তথ্য জনগণের সামনে তুলে ধরেন তাহলে— আমরা অবশ্যই এই চক্রান্ত নস্যাৎ করতে সক্ষম হবো।’
২৫৫ দিন আগে
সংস্কার সংস্কার করা ষড়যন্ত্র কিনা, প্রশ্ন তারেকের
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, আমরা খেয়াল করছি কিছু কিছু মানুষ সংস্কার সংস্কারের কথা বলে সব রকমের প্রক্রিয়াকে দীর্ঘায়িত করছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদেরকে দেখতে হবে- সংস্কার সংস্কার করা কোনো ষড়যন্ত্র কিনা। যদি সংস্কার সংস্কার করে এ বিষয়টিকে দীর্ঘায়িত করা হয়, তাহলে দেশের সমস্যা বাড়বে।’
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার সাবের পাইলট স্কুল মাঠে এক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
সোনাগাজীর যুবদল নেতা মোহাম্মদ মাসুদের পরিবারকে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে উপহার হিসেবে একটি নতুন বাড়ি প্রদান উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
তারেক বলেন, ‘যে হারে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বেকার সমস্যা, শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ছে, আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ছে, যদি এসব কিছুকে আবার জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী গড়ে তুলতে হয়— তাহলে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির লাগাম টেনে ধরতে হবে। সেক্ষেত্রে অবশ্য জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।’
আরও পড়ুন: সংস্কারের নামে বেশি সময়ক্ষেপণ না করার আহ্বান তারেক রহমানের
তিনি বলেন, ‘যত দ্রুত আমরা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে পারব, তত দ্রুত বাংলাদেশকে আমরা সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যেতে সক্ষম হব।
আসুন আমরা প্রতিজ্ঞা করি -- যতক্ষণ পর্যন্ত মাসুদের আত্মার সে মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত করতে না পারব, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম বন্ধ হবে না। আমাদের আন্দোলন চলমান থাকবে যতক্ষণ পর্যন্ত জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠিত না হয়।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, স্বৈরাচারমুক্ত আন্দোনের শহীদদের আত্মার যদি যথাযোগ্য মর্যাদা দিতে হয়ে, তাহলে আমাদেরকে বাংলাদেশের মানুষের গণতন্ত্রের শাসনকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। যতদিন পর্যন্ত সেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত না হবে, ততদিন পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
তারেক সতর্ক করে বলেন, আমাদেরকে খেয়াল রাখতে হবে— আমাদের ভিতরে কিছু কিছু মানুষ এবং নতুন করে কিছু কিছু মানুষ আমাদের ভিতরে ঢুকে বিভ্রান্তি তৈরি করছে। তারা সমাজে এমন কিছু কাজ করার চেষ্টা করছে, যেখান থেকে সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত হতে পারে। আপনাদের সকলকে এই সকল অনুচরদের বিরুদ্ধে স্বজাগ, সতর্ক থাকতে হবে—- যাতে তারা আমাদের এই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে কোনোভাবে ব্যাঘাত ঘটাতে না পারে।
তিনি বলেন, স্বৈরাচার বাংলাদেশের মাটি থেকে পালিয়ে গিয়েছে। কিন্তু পালিয়ে যাওয়ার আগে সে হত্যাগুলো সংঘটিত হয়েছে। হাজারো মানুষকে হত্যা করেছে, লাখো মানুষকে আহত করেছে, হাজারো মানুষ পঙ্গুত্ব বরণ করেছে।
তারেক বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের, আহত করার জন্য যারা দায়ী— সেই মানুষগুলোর অবশ্যই দেশের আইনে বিচার করতে হবে। এই হত্যার জন্য যারা দায়ী তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
আরও পড়ুন: সরকারে জবাবদিহি নেই বলেই গ্যাসের দাম বাড়ছে: রিজভী
তিনি বলেন, এই খুন,গুম, আহতের জন্য দায়ী, তাদের নেত্রী(শেখ হাসিনা) যে ৫ আগস্ট পালিয়ে গেছে, যদি তার বিচার না হয়— তাহলে যারা এই মানুষগুলোকে গুম ও খুন, লাখো মানুষকে পঙ্গু করেছে, তারা ভবিষ্যতে আবারও এসব করতে উৎসাহী হবে।
তারেক রহমান বলেন, ‘আমাদের দল মত নির্বিশেষে প্রতিটি গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক কর্মীকে, গণতন্ত্রকামী প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আজকে আমাদেরকে একটি জায়গায় ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
তিনি বলেন, ভারতে পালিয়ে যাওয়া স্বৈরাচারকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। এই খুন গুম এবং লক্ষ লক্ষ মানুষকে আহত করার জন্য তার বিচার করতে হবে। তাকে কোনোভাবে ছেড়ে দেওয়া যাবে না। এই হত্যার দায় তার। এই পালিয়ে যাওয়া স্বৈরাচারের বিচার করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জয়নুল আবেদীন ফারুক প্রমুখ বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে নবনির্মিত বাড়ির চাবি মাসুদের স্ত্রীর হাতে হস্তান্তর করা হয়।
২০১৬ সালের ২৫ জুন মাসুদ বিচারবহির্ভুত হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। মাসুদের মৃত্যুর পর থেকে কষ্টে থাকা তার স্ত্রী ও দশম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত মেয়ের সহযোগিতায় এগিয়ে আসেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
আরও পড়ুন: আ. লীগ বর্তমান নামে রাজনীতি করতে পারবে না: সালাহউদ্দিন
৩০২ দিন আগে
মানুষ ঐক্যবদ্ধ থাকলে স্বৈরাচারের কোনো ষড়যন্ত্র সফল হবে না: তারেক রহমান
পালিয়ে যাওয়া স্বৈরাচারের প্রেতাত্মারা দেশের আনাচে-কানাচে লুকিয়ে থেকে নানা ষড়যন্ত্র করলেও মানুষ ঐক্যবদ্ধ থাকলে তা সফল হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
তিনি বলেন, ‘স্বৈরাচার এ দেশ থেকে পালিয়ে গেলেও তাদের প্রেতাত্মারা দেশের আনাচে-কানাচে লুকিয়ে আছে। তারা বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের চেষ্টা করছে। মানুষ ঐক্যবদ্ধ থাকলে তাদের কোনো ষড়যন্ত্র সফল হবে না।’
২০১৩ সালে র্যাবের ক্রসফায়ারে নিহত নীলফামারী সদর উপজেলার লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়ন বিএনপি নেতা গোলাম রব্বানীর পরিবারকে নর্ব-নির্মিত ঘরের চাবি হস্তান্তর উপলক্ষে সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) আমরা বিএনপি পরিবার আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভাচুর্য়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, হাসিনা সরকার পালিয়ে যাওয়ার এক সপ্তাহ আগেও প্রায় ২ হাজার মানুষকে হত্যা ও ৩০ হাজারের মতো মানুষকে জখম করেছে। তারা বিভিন্নভাবে বহু মানুষকে নির্যাতনও করেছে বলে জানান তিনি।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, নীলফামারীর এই গোলাম রব্বানী মানুষের অধিকারের কথা বলেছিল বলেই স্বৈরাচারেরা তাকে হত্যা করছে।
তিনি আরও বলেন, গোলাম রব্বানীর মতো বহু মানুষকে তাদের মতের বিরুদ্ধে কথা বলার কারণে স্বৈরাচার হাসিনা সরকার হত্যা করেছে।
এছাড়া যারা ক্ষতিগ্রস্ত ও নির্যাতিত হয়েছে এবং যারা পঙ্গুত্ব বরণ করেছে তাদের পাশে আমাদের দাঁড়াতে হবে বলেও জানান তিনি।
তারেক রহমান বলেন, স্বৈরাচারেরা দেশকে ধ্বংস করে গিয়েছে। তাই তাদের পতন হয়েছে। তাদের জন্য বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের এখনও নানা ধরণের সমস্যা রয়েছে। এই সব সমস্যাগুলো দূর করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সমস্যার সমাধান করতে হলে কাউকে থাকতে হবে। যারা আপনাদের সমস্যার কথাগুলো তুলে ধরতে পারবেন। এছাড়া সমস্যার কথাগুলো যেখানে পৌঁছার দরকার ঠিক সে পযর্ন্ত পৌঁছাতে পারে এই ব্যবস্থাটাই নিশ্চিত করতে চাওয়ায় স্বৈরাচারীরা তাদের হত্যা করেছে।
তিনি বলেন, আমরা এমন একটা বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই- যেখানে কৃষক, মজুর থেকে শুরু করে সব শ্রেণির মানুষ কথা বলতে পারে। যাদের হত্যা করা হয়েছে তারা সেটাই করতে চেয়েছিল। তাদের কথা বলতে দেওয়া হয়নি। তাদের কথা শুনতে চায়নি। এই কারণে তারা হাজার হাজার মানুষ হত্যা করেছে। আজ সময় এসেছে। পরিবর্তিত হয়েছে অবস্থা।
তারেক বলেন, বিভিন্ন মানুষের বিভিন্ন মতামত রয়েছে। আমরা সেই মতামতগুলো আলোচনা করব। দিন শেষে যে মতামতের ওপর সবচেয়ে বেশি সমর্থন থাকবে সেই মতামতের ভিক্তিতে আমরা দেশকে গড়ে তুলব।
তিনি আরও বলেন, আমরা সকলে এসঙ্গে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব। আমাদের বিভিন্ন দলের মধ্যে মতপার্থক্য থাকতে পারে। কিন্ত আমাদের সজাগ থাকতে হবে, সেই মতপার্থক্য যাতে এমন পর্যায় না পৌঁছায় যেখানে দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে, দেশের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
দেশ সামনে এগিয়ে যাওয়া বাধাগ্রস্ত হবে এমন কোনো পরিস্থিতির উদ্ভব যাতে না হয় এ ব্যাপারে আমাদের সর্তক থাকতে হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার সুযোগ পেলে ৩১ দফা বাস্তবায়ন করবে বিএনপি: তারেক
তিনি বলেন বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর সরকার একটি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে। সেই প্রক্রিয়াটি হলো গণতান্তিক উপায় নির্বাচন প্রক্রিয়া। বাংলাদেশকে যদি এগিয়ে নিয়ে যেতে হয় তাহলে অবশ্যই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার মধ্যে ফিরিয়ে আনতে হবে। এতে করে যোগ্য নেতৃত্ব তৈরি হবে। প্রকৃত অর্থে জনগণের ভোটে যারা বেরিয়ে আসবে, সেই মানুষগুলো কাজ করবে।
বিএনপি নেতা বলেন, এখন সময় হচ্ছে দেশ গড়ার। দেশকে যদি গড়তে হয়, দলমত নির্বিশেষে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারি তাহলে দেশকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব।
এ সময় বক্তব্য দেন বিএনপির রংপুর বিভাগীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দীন বকুল, জেলা বিএনপির সভাপতি আলমগীর সরকার, সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম প্রমুখ।
৩৩৯ দিন আগে
আ. লীগের চরিত্র বদলায়নি, দফায় দফায় ষড়যন্ত্র করছে: জামায়াত আমির
দেশের মানুষ সজাগ থাকায় ষড়যন্ত্র কাজে আসবে না উল্লেখ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, একটি শক্তি দেশের মর্যাদা ক্ষুন্ন করতে মিথ্যাচার করে বিদেশি বন্ধুদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ এখন শান্তিতে আছে। এই শান্তি বিঘ্নিত করতে দফায় দফায় চেষ্টা চলছে। জাতি সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে শান্তি প্রতিষ্ঠা করবে।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসা মাঠে জেলা জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে ডা. শফিকুর রহমান একথা বলেন।
জামায়াত আমির বলেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে জানান দেয় যে, তারা ক্ষমতার থাকতে খুন-গুমের পথ বেছে নেবে। সেদিন থেকে বাংলাদেশ তার নিজের পথ হারিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ সাড়ে ১৪ বছর পর বাংলাদেশ মুক্তি পেয়েছে। আওয়ামী লীগ জামায়াতের অনেক শীর্ষ নেতাকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে বিচারের নামে প্রহসন করে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছে। তারা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নির্বিচারে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালিয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশের এক ইঞ্চি জমিও কাউকে ছাড় দেব না: জামায়াত আমির
তিনি বলেন, তারা যেসব নিরীহ জনগণকে খুন করেছে তাদের পরিবারের কাছে জানতে চান তারা আর এ ধরনের রাজনীতি চায় কিনা? যারা পঙ্গুত্ববরণ করে হাসপাতালের বেডে আছে তাদের মতামত নিন।
জামায়াতের আমির বলেন, আমরা একটি বৈষম্যহীন ন্যায়বিচারের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই। আল্লাহর হুকুম ও জনগণের ভালোবাসায় জামায়াতে ইসলামী সে সুযোগ পেলে আমাদের হাত দিয়ে কোনো চাঁদাবাজি হবে না, কোনো চাঁদাবাজি বরদাশতও করা হবে না।
বাংলাদেশের এক ইঞ্চি মাটির ওপর কোনো দখল বাণিজ্য হতে দেওয়া হবে না। অফিসে বসে কেউ ঘুষ খাওয়ার দুঃসাহস দেখাতে পারবে না। যুব সমাজের হাতকে কারিগরের হাতে রূপান্তরিত করা হবে। উন্নত দেশের মতো পড়ালেখা শেষ করার আগেই তাদের হাতে কাজ আসবে। আমরা তাদরেকে এমন যোগ্য কারিগর হিসেবেই তৈরি করব। আমরা যুব সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে চাই।
ধর্মীয় সম্প্রতির প্রসঙ্গ টেনে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমরা এমন দেশ গড়তে চাই, যেখানে মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা কোথাও নিরাপত্তার জন্য পাহারা বসাতে হবে না। একজন নাগরিক তার ঘরে-বাইরে, কর্মস্থলে ও সমাজে সবখানে নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা ভোগ করবেন।
তিনি আরও বলেন, এদেশে নারী-পুরুষরা সমান নিরাপত্তা ও মর্যাদা পাবেন। জামায়াতে ইসলামী কোরআনের আলোকে রাষ্ট্রগঠনের সুযোগ পেলে দেশের নারীরা মর্যাদা ও ইজ্জতের সহিত তাদের দায়িত্ব পালনের সুযোগ পাবেন। তারা যোগ্যতা ও দক্ষতা অনুযায়ী রাষ্ট্রীয় কাজে অবদান রাখবেন।
বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে দলের প্রতিটি কর্মীকে প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীর পক্ষে এককভাবে ছাত্র-জনতার স্বপ্নের দেশ গঠন করা সম্ভব নয়। এজন্য প্রয়োজন গোটা জাতির ঐক্যবদ্ধ চেষ্টা ও সহযোগিতা। আমরা শান্তি, অগ্রগতি, ন্যায়বিচার ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে চাই।
সিলেট জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি জয়নাল আবেদীন ও সহকারী সেক্রেটারি নজরুল ইসলাম ও মাওলানা মাশুক আহমদের যৌথ পরিচালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জোবায়ের, ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক ফজলুর রহমান ও সিলেট মহানগর আমির মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম প্রমুখ।
আরও পড়ুন: বৈষম্যহীন বিচারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার আহ্বান জামায়াত আমিরের
৩৫৬ দিন আগে
আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে: মান্না
তিনি বলেন, পালানোর পর থেকে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক ষড়যন্ত্র করছে। তাই আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে। কোনোভাবেই স্বাধীনতা নস্যাৎ করতে দেওয়া হবে না।
আরও পড়ুন: হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মান্না
শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে বগুড়া শহরের সাতমাথায় নাগরিক ঐক্য আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার অনেক ভালো কাজ করছে। কিন্তু বেশিদিন ক্ষমতা ধরে রাখা যাবে না। অবিলম্বে নির্বাচন দিয়ে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।
মান্না আরও বলেন, আওয়ামী লীগ এ দেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষিত নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার ব্যবস্থা, প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। ক্ষমতায় থেকে তারা লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছে। গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে।
তিনি বলেন, মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। তারা আয়নাঘর বানিয়ে মানুষের ওপর অমানবিক নির্যাতন করেছে। আমরা শেখ হাসিনার মতো আর কোনো স্বৈরাচার সরকার চাই না। সেজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
স্থানীয় নেতা মতিয়ার রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন- কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ার, সদস্য আব্দুর রাজ্জাক শাফি, পিয়ার হোসেন, সাইদুর রহমান, মোহাম্মাদ আলী, আবুল কালাম আজাদ, মামুন, সাত্তার, পপি, শামীম, রফিকুল প্রমুখ।
আরও পড়ুন: রোজিনা ইসলাম ও মান্নার বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করা হবে: আইন উপদেষ্টা
৩৯৭ দিন আগে
আওয়ামী লীগের প্রতিশোধের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সজাগ থাকুন: ফখরুল
ছাত্র-নেতৃত্বাধীন আন্দোলনের মুখে ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ এখন প্রতিশোধের নীলনকশা নিয়ে সক্রিয় হওয়ায় সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) এক বিবৃতিতে তিনি এই আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, 'ক্ষমতাচ্যুত শাসকগোষ্ঠী ও তার মিত্ররা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও বিজয়ী ছাত্রদের ওপর প্রতিশোধ নেওয়ার নীলনকশা নিয়ে মাঠে সক্রিয় রয়েছে বলে বিভিন্ন বিশ্বস্ত সূত্র থেকে আমরা জানতে পেরেছি।’
ফখরুল আরও বলেন, সকল জঘন্য অপরাধের জন্য অন্যায়ভাবে বিএনপিসহ সকল গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক শক্তিকে দোষারোপ করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
ফখরুল বলেন, একটি চিহ্নিত মহল এই উদ্দেশ্য হাসিল করতে প্রতিবেশী দেশের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ও নিউজ চ্যানেলকে ব্যবহার করছে।
আরও পড়ুন: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্বে সফল হবেন অধ্যাপক ইউনূস: ফখরুল
তিনি বলেন, 'হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের উপাসনালয় ও সম্পদকে ইচ্ছাকৃতভাবে টার্গেট করা হয়েছে। তাদের বর্তমান পরিকল্পনা হলো বিভেদের বীজ বপন করা এবং সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা উসকে দেওয়া। তারা সকল বিজয়ী শক্তি ও জনগণের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতেও বদ্ধপরিকর।’
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, প্রশাসন এবং সকল নাগরিক এসব বিষয়ে সজাগ থাকবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, 'আমাদের দল বিএনপি ইতোমধ্যে পরিস্থিতি মোকাবিলায় সম্ভাব্য সব ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে।’
বিএনপির নামে কেউ এ ধরনের অপকর্মে লিপ্ত হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, 'বর্তমান পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুধাবন করে ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসক ও তার দোসরদের ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনা সম্পর্কে আমি দেশি-বিদেশি সহায়ক শক্তির পাশাপাশি দেশবাসীকে সতর্ক করতে চাই।’
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যদের সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি এবং নিজ নিজ অবস্থান থেকে এই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার আহ্বান জানান তিনি।
গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পাশে দাঁড়াতে দেশের জনগণ, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, দেশপ্রেমিক সশস্ত্র বাহিনীর পাশাপাশি প্রশাসন, পুলিশ, বিজিবি ও আনসার বাহিনীকে সহযোগিতা করারও আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।
আরও পড়ুন: অনুপ্রবেশকারীদের ব্যাপারে বিএনপিতে সতর্কতা
৪৮২ দিন আগে
বাঙালির ঐতিহ্য-সংস্কৃতি নষ্ট করার ষড়যন্ত্র সহ্য করা হবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, একটা সময় ছিল দেশে ধর্ম নিয়ে কেউ বাড়াবাড়ি করত না। হিন্দু মুসলমান সবাই দলবেঁধে একে অপরের ধর্মীয় উৎসবে অংশ নিত। হঠাৎ করে সেই সুন্দর সম্প্রীতির সংস্কৃতিতে একটি বিশেষ গোষ্ঠী বিভেদ আনার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি কথা বারবার বলেন, আমিও বলছি, ধর্ম যার যার উৎসব হবে সবার। আবহমানকালের আমাদের বাঙালি ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে নষ্ট করার ষড়যন্ত্র আর সহ্য করা হবে না।
আরও পড়ুন: এমবিবিএস-বিডিএস ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ সতর্কতা নেওয়া হয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা ৩টায় রাজধানীর সবুজবাগ বাসাবোর রাজারবাগ এলাকায় বরদেশ্বরী কালীমাতা মন্দিরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজে অধ্যায়নরত উপস্থিত মেডিকেল শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, তোমরা দলে দলে ডাক্তার হও, এটা যতটা জরুরি তার থেকেও অনেক বেশি জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে তোমাদেরকে সৎ, আদর্শিক মানুষ হওয়া এবং ভালো ডাক্তার হওয়া।
আরও পড়ুন: দেশে ওষুধের চাহিদার ৯৮ শতাংশই স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, দেশের লাখ লাখ অসহায় মানুষ তোমাদের মুখের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। একজন রোগী যখন চিকিৎসা নিতে আসে সেই রোগীই জানে তার জন্য ডাক্তার কত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। এজন্য ডাক্তারদের সংখ্যা বৃদ্ধির থেকে ভালো মানুষ ও ভালো মানের ডাক্তার হওয়ার দিকে আমি বিশেষ জোর দিয়েছি।
তোমাদের প্রত্যেককে সৎ মানুষ ও ভালো ডাক্তার হতে হবে।
আরও পড়ুন: বিদেশি রোগীও মেডিকেল ভিসায় বাংলাদেশে চিকিৎসা নিতে আসতে শুরু করেছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
৬৫৯ দিন আগে
নির্বাচন নিয়ে অপতৎপরতা-ষড়যন্ত্র বিষয়ে সর্তক থাকতে হবে: তোফায়েল
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য, ভোলা-১ আসনের সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে নানা ধরনের অপতৎপরতা ও ষড়যন্ত্র চলবে, সেগুলো সম্পর্কে সর্তক থাকতে হবে।
আরও পড়ুন: আর কখনও নির্দলীয় সরকার হবে না: তোফায়েল আহমেদ
রবিবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে ভোলা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে জেলা আইনশৃংখলা কমিটির সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তোফায়েল আহমেদ এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসন কাজ করছে। ভোক্তারা যাতে কোনোভাবে প্রতারিত না হয়, সে ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ভোলায় পর্যাপ্ত প্রাকৃতিক সম্পদ আছে। গ্যাসভিত্তিক শিল্প গড়ে উঠবে। আর ভোলা বরিশাল ব্রিজ হলে ভোলা হবে শিল্প নগরী।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার হওয়ার আর কোনো সুযোগ নেই: তোফায়েল আহমেদ
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মধ্য দিয়েই বাংলাদেশের জন্ম: তোফায়েল আহমেদ
৭৮৮ দিন আগে