ষড়যন্ত্র
বাঙালির ঐতিহ্য-সংস্কৃতি নষ্ট করার ষড়যন্ত্র সহ্য করা হবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, একটা সময় ছিল দেশে ধর্ম নিয়ে কেউ বাড়াবাড়ি করত না। হিন্দু মুসলমান সবাই দলবেঁধে একে অপরের ধর্মীয় উৎসবে অংশ নিত। হঠাৎ করে সেই সুন্দর সম্প্রীতির সংস্কৃতিতে একটি বিশেষ গোষ্ঠী বিভেদ আনার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি কথা বারবার বলেন, আমিও বলছি, ধর্ম যার যার উৎসব হবে সবার। আবহমানকালের আমাদের বাঙালি ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে নষ্ট করার ষড়যন্ত্র আর সহ্য করা হবে না।
আরও পড়ুন: এমবিবিএস-বিডিএস ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ সতর্কতা নেওয়া হয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা ৩টায় রাজধানীর সবুজবাগ বাসাবোর রাজারবাগ এলাকায় বরদেশ্বরী কালীমাতা মন্দিরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজে অধ্যায়নরত উপস্থিত মেডিকেল শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, তোমরা দলে দলে ডাক্তার হও, এটা যতটা জরুরি তার থেকেও অনেক বেশি জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে তোমাদেরকে সৎ, আদর্শিক মানুষ হওয়া এবং ভালো ডাক্তার হওয়া।
আরও পড়ুন: দেশে ওষুধের চাহিদার ৯৮ শতাংশই স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, দেশের লাখ লাখ অসহায় মানুষ তোমাদের মুখের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। একজন রোগী যখন চিকিৎসা নিতে আসে সেই রোগীই জানে তার জন্য ডাক্তার কত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। এজন্য ডাক্তারদের সংখ্যা বৃদ্ধির থেকে ভালো মানুষ ও ভালো মানের ডাক্তার হওয়ার দিকে আমি বিশেষ জোর দিয়েছি।
তোমাদের প্রত্যেককে সৎ মানুষ ও ভালো ডাক্তার হতে হবে।
আরও পড়ুন: বিদেশি রোগীও মেডিকেল ভিসায় বাংলাদেশে চিকিৎসা নিতে আসতে শুরু করেছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
নির্বাচন নিয়ে অপতৎপরতা-ষড়যন্ত্র বিষয়ে সর্তক থাকতে হবে: তোফায়েল
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য, ভোলা-১ আসনের সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে নানা ধরনের অপতৎপরতা ও ষড়যন্ত্র চলবে, সেগুলো সম্পর্কে সর্তক থাকতে হবে।
আরও পড়ুন: আর কখনও নির্দলীয় সরকার হবে না: তোফায়েল আহমেদ
রবিবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে ভোলা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে জেলা আইনশৃংখলা কমিটির সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তোফায়েল আহমেদ এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসন কাজ করছে। ভোক্তারা যাতে কোনোভাবে প্রতারিত না হয়, সে ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ভোলায় পর্যাপ্ত প্রাকৃতিক সম্পদ আছে। গ্যাসভিত্তিক শিল্প গড়ে উঠবে। আর ভোলা বরিশাল ব্রিজ হলে ভোলা হবে শিল্প নগরী।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার হওয়ার আর কোনো সুযোগ নেই: তোফায়েল আহমেদ
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মধ্য দিয়েই বাংলাদেশের জন্ম: তোফায়েল আহমেদ
১৫ আগস্টের ধারাবাহিকতায় বিএনপি ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের প্রধান সুবিধাভোগী হলেন বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ১৫ আগস্টের ধারাবাহিকতায় বিএনপি এখনও ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি বাংলাদেশকে বিদেশিদের ক্রীড়াক্ষেত্রে পরিণত করতে চায়।
আরও পড়ুন: আ. লীগ ঐক্যবদ্ধ থাকলে অসাধ্য সাধন করতে পারে: তথ্যমন্ত্রী
রবিবার (১৩ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু ও আগামীর বাংলাদেশ’-শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রধান সুবিধাভোগী হিসেবে জিয়াউর রহমান পরবর্তীতে সংসদে ইনডেমনিটি বিল এনে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিচার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার সকল উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তাছাড়া হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি যারা জড়িত ছিলেন তারাসহ ষড়যন্ত্রকারীদের বিদেশে পালিয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে দেশে-বিদেশে গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানোর কাজটিও করেন জিয়াউর রহমান।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করা হবে।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন এবং সূচনা বক্তব্য প্রদান করেন সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কাপ্টেন এ বি তাজুল ইসলাম।
সভাপতির বক্তব্যে ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, সোনার বাংলা গড়ার যে প্রক্রিয়া বঙ্গবন্ধু শুরু করেছিলেন তারই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, তার হাত ধরেই আগামীর বাংলাদেশ হবে উন্নত বাংলাদেশ।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ অবজারভার সম্পাদক ও বিএফইউজে’র সাবেক সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)-এর সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, বিএফইউজে সাবেক মহাসচিব আবদুল জলিল ভূঁইয়া, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুভাষ চন্দ বাদল। অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সেমিনার, মিট দ্য প্রেস ও আন্তর্জাতিক লিয়াঁজো উপ-কমিটির আহ্বায়ক জুলহাস আলম।
আরও পড়ুন: খাদের কিনারে বিএনপি, নির্বাচন বর্জন করলেই পতন: তথ্যমন্ত্রী
পান্না কায়সারের প্রয়াণ বাঙালির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি: তথ্যমন্ত্রী
অ্যামনেস্টি'র বিবৃতি বাংলাদেশবিরোধী ষড়যন্ত্রমূলক: তথ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশ বিষয়ে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সাম্প্রতিক বিবৃতিকে এ দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
শনিবার (২৪ জুন) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত 'গৌরব, ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও সাফল্যের ৭৪ বছর'- শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম।
মন্ত্রী বলেন, 'আজকে পত্রিকায় দেখলাম অ্যামনেস্টি ইান্টারন্যাশনাল বিবৃতি দিয়েছে- আমাদের দেশে যারা র্যাবে কাজ করবে কিংবা যদি কেউ মানবাধিকার লংঘনের সাথে যুক্ত থাকে তাদেরকে যেন স্ক্রিনিং করা হয় এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীতে না নেওয়া হয়।'
তিনি বলেন, 'আমরা অ্যামনেস্টিকে চিনি, তারেক রহমানের বেয়াইন আইরিন খান অ্যামনেস্টির জেনারেল সেক্রেটারি ছিলেন। এখনো অ্যামনেস্টির সাথে যুক্ত আছেন। তিনি তারেক রহমানের বউয়ের চাচাতো বোন। এই অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল যুদ্ধাপরাধীদের যখন বিচার শুরু হলো, তখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করার জন্য বিবৃতি দিয়েছিল। ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে যখন বিএনপি-জামাত মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করছিল তখন সেটার বিরুদ্ধে কোনো বিবৃতি দেয়নি।'
হাছান মাহমুদ বলেন, 'অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচ-এগুলোর বিবৃতি কিভাবে হয়, কোথায় ড্রাফট হয়, আর কিসের বিনিময়ে এদের বিবৃতি আসে সেটা আমরা জানি। যারা যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করার জন্য বিবৃতি দেয়, ফিলিস্তিনে পাখি শিকারের মতো যেভাবে মানুষ শিকার করা হয় তখন ইসরাইলের বিপক্ষে কোনো বিবৃতি দেয় না, আমাদের এ সব বিষয় নিয়ে বিবৃতি দেওয়ার নৈতিক কোনো অধিকার তাদের নাই।'
এই দুটি সংগঠন আমাদের দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের সাথে হাত মিলিয়েছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। এই বিবৃতির কোনো মূল্য নাই, সুতরাং এগুলোতে বিভ্রান্ত হবার কোনো দরকার নাই। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যখন বঙ্গবন্ধু ও আমাদের পূর্বসূরি মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্ন পূরণের পথে অদম্য গতিতে এগিয়ে চলছে তখন আজকে আবার দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক অপশক্তি এক হবার চেষ্ঠা করছে। দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।'
তিনি বলেন, 'সেই কারণে আজকে বিএনপি-জামাতের পক্ষ থেকে দেশের বিরুদ্ধে লবিস্ট নিয়োগ করা হয়েছে। সেই লবিষ্টের পেছনে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার খরচ করে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে কয়েকটা বিবৃতি আর কিছু কিছু কংগ্রেসম্যান কিংবা ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট মেম্বারের চিঠি ক্রয় করা হয়।'
আরও পড়ুন: বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মাঠে মারা গেছে: তথ্যমন্ত্রী
আগামী নির্বাচন ভূমি ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান আওয়ামী লীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ আয়োজনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে কথা বলেন।
তিনি বলেন, 'আগামী নির্বাচন হচ্ছে দেশের ভুমি ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার নির্বাচন। দেশ কি পাকিস্তান হবে না কি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন অগ্রযাত্রার অভিযাত্রায় আরো দ্রুত বেগে এগিয়ে চলবে, সেটির ফয়সালা হবার নির্বাচন। দেশে কোনো তাঁবেদারি সরকার, যারা দেশের সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দিবে তারা বসবে, না কি স্বাধীনচেতা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার থাকবে সেটি ফয়সালা হবার নির্বাচন।'
তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'সমাগত এই নির্বাচন আমাদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এই নির্বাচন হচ্ছে দেশের সার্বভৌমত্ব ও ভুমি রক্ষার নির্বাচন। এই নির্বাচনের মাধ্যমে ফয়সালা হবে দেশের সার্বভৌমত্ব থাকবে নাকি সমুদ্রের একটা অংশ কেউ নিয়ে যাবে, আমাদের কোনো দ্বীপ অন্য কোনো দেশের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এই নির্বাচনে ফয়সালা হবে দেশে কি 'হামিদ কারজাই' মার্কা তাঁবেদারি সরকার হবে নাকি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন অগ্রগতি অব্যাহত থাকবে।'
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের আত্মতুষ্ঠিতে না ভোগার অনুরোধ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'বিএনপি-জামাত দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। সুতরাং আগামী নির্বাচন সম্পর্কে আমাদেরকে সজাগ থাকতে হবে। দল আজকে সাড়ে ১৪ বছর ধরে ক্ষমতায়। সাড়ে ১৪ বছর আগের চিত্র আর আজকের চিত্র মানুষের সামনে তুলে ধরুন, সেই উন্নয়নের চিত্রগুলোই ফেসবুকসহ সাধারন মানুষের সামনে তুলে ধরতে হবে। শুধু নিজের ছবি ফেসবুকে দেওয়া কর্মী, উদ্ধত আচরণের কর্মী আমাদের প্রয়োজন নাই, তারা দলের জন্য বোঝা, তাদের দায়-দায়িত্ব দল নেবে না।’
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মঈনুদ্দীন, এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম, আবুল কালাম আজাদ, আফতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাংগঠনিক সসম্পাদক খাদিজাতুল আনোয়ার সনি প্রমুখ সভায় বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: আমরা চাই বিএনপি পূর্ণশক্তিতে নির্বাচনে অংশ নিক: তথ্যমন্ত্রী
জামায়াতকে দিয়ে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন প্রতিহত করার বিষয়ে বলিয়েছে বিএনপি: হাছান মাহমুদ
ক্ষমতায় যাওয়ার একমাত্র পথ নির্বাচন, ষড়যন্ত্র নয়: এনামুল হক শামীম
পানি সম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম এমপি বলেছেন, আওয়ামী লীগ কোনো দিন নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতায় আসেনি। আগামী নির্বাচন যথাসময়ে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের অধীনেই হবে।
তিনি বলেন, বিএনপি সবসময়ই চোরাগলি পথে ক্ষমতায় এসেছে। নির্বাচনে অংশ না নিয়ে, না জিতে চোরাগলি পথে বিএনপিকে আর কখনো ক্ষমতায় আসতে দেওয়া হবে না।
আরও পড়ুন: রাজপথে থেকে আ.লীগ সব ষড়যন্ত্রের জবাব দেবে: এনামুল হক শামীম
কারণ, ক্ষমতায় যাওয়ার একমাত্র পথ নির্বাচন, ষড়যন্ত্র নয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) দিনব্যাপী শরীয়তপুরের নড়িয়ার চামটা ইউনিয়নে ও সখিপুর থানার চরভাগা ইউনিয়নে ২৮শ’ পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী, বস্ত্র, ঢেউটিন ও নগদ অর্থ বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াতের দুঃশাসন ও আগুন সন্ত্রাসের কথা মানুষ ভুলে নাই। তারা ক্ষমতায় থাকলে দেশের সম্পদ লুটেপুটে খায়, দুর্নীতি ও সন্ত্রাস করে, বিদেশে অর্থ পাচার করে। আর ক্ষমতায় না থাকলে দেশ অস্থিতিশীল করতে আগুন সন্ত্রাস চালিয়ে মানুষ হত্যা করে।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ বিএনপিকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। বিএনপি এখন জনবিচ্ছিন্ন হয়ে নামসর্বস্ব দলে পরিণত হয়েছে। আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থ হয়ে তারা এখন দেশ-বিদেশে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।
এছাড়া ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতা যাওয়ায় যায় না। জনগণের রায় নিয়ে নির্বাচনের মাধ্যমেই ক্ষমতায় যেতে হয়। অন্য কোনো পথ নাই।
এনামুল হক শামীম বলেন, আওয়ামী লীগ হচ্ছে গণ মানুষের স্বপ্ন পূরণের দল, মানবতার দল। আওয়ামী লীগ সবসময় অসহায়ের পাশে থাকে, দুর্গতদের পাশে থাকে। কোটি মানুষের হৃদয়ের আবেগ ও ভালবাসার এ দল বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীনতা এনেছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে। আগামী নিবার্চনেও জনগণের রায় নিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা পঞ্চমবারের মতো ক্ষমতায় আসবে।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের বিশ্বমানের শিক্ষায় গড়ে তুলতে হবে: এনামুল হক শামীম
রাজপথে থেকে আ.লীগ সব ষড়যন্ত্রের জবাব দেবে: এনামুল হক শামীম
দেশে এখন সরকার হটানোর চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে: ওবায়দুল কাদের
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশে এখন সরকার হটানোর চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। এ ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আমাদের প্রস্তুত হতে হবে, প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আওয়ামীলীগ ঐক্যবদ্ধ থাকলে, কোন শক্তি নেই পরাজিত করার।
বুধবার (২৩ নভেম্বর) বিকাল ৪টায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি জেলার কবিরহাট উপজেলার কবিরহাট সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কবিরহাট উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বিএনপির মসহাসচিব মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের দায় মুক্তি দিতে সংবিধানে কুখ্যাত আইন প্রণয়ন করেছে, ভুলিনি মির্জা ফখরুল। ৩ নভেম্বর জেল হত্যাকাণ্ড। জাতীয় নেতাদের খুনিদের বিদেশি দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছেন। আমরা ভুলিনি। বঙ্গবন্ধুর কন্যাকে হত্যা করার জন্য গ্রেনেড হামলা করেছেন। বিএনপি আমাদের মারতে চায়, হত্যা করতে চায়। কথায় কথায় বলে, ৭৫ এর হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার।
আরও পড়ুন: দেশে এখন সরকার হটানোর চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে: ওবায়দুল কাদের
তিনি আরও বলেন, লন্ডনে থাকা দণ্ডিত নেতা তারেক রহমান নাকি তাদের নেতা। বিএনপি তাকে নেতা মানতে পারে। বাংলাদেশের মানুষ তাকে নেতা মানতে পারে না। তার নেতৃত্ব বাংলাদেশের মানুষ কোনদিনও পছন্দ করবে না, ঘৃণা করবে। ১৫ আগস্টের মাস্টারমাইন্ড জেনারেল জিয়াউর রহমান, ২১ আগস্টের মাস্টারমাইন্ড তারেক রহমান। এই খুনিরা আওয়ামীলীগকে সহ্য করে না। এ দল আওয়ামীলীগকে সহ্য করতে পারে না, শেখ হাসিনাকে সইতে পারে না। লন্ডন থেকে বলে হাসিনা, তুইও বলে, তুমিও বলে। বেয়াদপির একটা সীমা আছে।
সেতুমন্ত্রী বিএনপির নেতাদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আজকে খুনের মামলার আসামি গ্রেপ্তার করতে গেলে, তাদের দলের নেতা ফখরুল সাহেব, আপনিসহ আপনার নেতারা যে সব কথা উচ্চারণ করেন, যে সব ভাষায় কথা বলেন, পতন ঘটাবেন। আল্লাহ যাকে ক্ষমতায় রাখবে, কেউ কি তার পতন ঘটাতে পারবে। পতন আপনাদের হবে। আপনাদের পতন নেতিবাচক রাজনীতির জন্য অনিবার্য। আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা বিজয়ের বন্দরে পৌঁছাবো।
কবিরহাট উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নুরুল আমিন রুমির সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক রায়হানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, নোয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী এমপি, জেলা আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ এএইচএম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম, যুগ্ম-আহ্বায়ক এডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন এবং যুগ্ম আহ্বায়ক ও নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র সহিদ উল্লাহ খাঁন সোহেল।
আরও পড়ুন: বিএনপির বিরুদ্ধে লাল কার্ড দেখাবে জনগণ: ওবায়দুল কাদের
খেলা হবে ডিসেম্বরে, আওয়ামী লীগ প্রস্তুত: ওবায়দুল কাদের
বিএনপির ষড়যন্ত্র রুখতে পাড়ায় পাড়ায় পাহারা বসান: কৃষিমন্ত্রী
বিএনপির অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র রুখতে ঐক্যবদ্ধ থেকে পাড়ায় পাড়ায় পাহারা বসানোর জন্য তৃণমূলের নেতাকর্মীকে আহ্বান জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, দেশের বিরুদ্ধে বিএনপি নানা কুৎসা ও অপপ্রচার চালাচ্ছে। তাদের ভাবটা এই, দেশ শ্রীলঙ্কা হয়ে যাচ্ছে, দুর্ভিক্ষ লেগে যাচ্ছে। তাদের এ অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র রুখতে তৃণমূলের নেতাকর্মীদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
বুধবার বিকালে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের পুরাতন স্টেডিয়ামে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, তৃণমূলের নেতাকর্মীরাই দলের খুঁটি ও শক্তি। তারা ঐক্যবদ্ধ থাকলে ২০২৩ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়কে ঠেকিয়ে রাখার কোন শক্তি নেই।
আরও পড়ুন: ভোজ্যতেলের ওপর আমদানি নির্ভরতা কমাতে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের নির্দেশ কৃষিমন্ত্রীর
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বিএনপি আন্দোলনের হুমকি দিচ্ছে। তাদেরকে কোনভাবেই অহেতুক আন্দোলন করতে দেয়া হবে না। আন্দোলন করে অতীতে তারা সফল হয় নি, ভবিষ্যতেও কখনও সফল হবেন না।
সম্মেলনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সংসদ সদস্য মির্জা আজম, স্থানীয় সংসদ সদস্য সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি, আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক শামসুন নাহার চাঁপা, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, সদস্য রিয়াজুল কবীর কাওছার, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু, সদস্য মসিউর রহমান হুমায়ুন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. জিল্লুর রহমান উদ্বোধক ও সাধারণ সম্পাদক এম এ আফজল প্রধান বক্তা ছিলেন। সভাপতিত্ব করেন সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. আতাউর রহমান।
আরও পড়ুন: পতিত জমি চাষে সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হবে: কৃষিমন্ত্রী
পতিত জমিকে চাষের আওতায় আনা হচ্ছে: কৃষিমন্ত্রী
ঐক্যজোটের নামে যত ষড়যন্ত্রই হোক দেশের মানুষ তা নস্যাৎ করবে: শিক্ষামন্ত্রী
ঐক্যজোটের নামে যত ষড়যন্ত্রই হোক দেশের মানুষ তা নস্যাৎ করবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি
তিনি বলেন, ‘দেশের চলমান অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করার জন্য ষড়যন্ত্র চলছে। ঐক্যজোটের নামে যত ষড়যন্ত্রই করুন না কেনো, এ দেশের মানুষ এসব ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে সঠিক স্থানে ভোট দিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।’
শুক্রবার চাঁদপুরে জেলা প্রেসক্লাবের নব নির্বাচিত সভাপতি, সম্পাদক ও নির্বাহী সদস্যদের অভিষেক, ইফতার পাটি ও বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন।
দীপু মনি বলেন, শেখ হাসিনা গত ১৩ বছরে চাঁদপুরের উন্নয়নে অনেক দিয়েছেন। আমরা তার কাছে কৃতজ্ঞ। আগামীতে চাঁদপুরের উন্নয়নের জন্য আরও দেবেন।
পড়ুন: বেসরকারি শিক্ষকদের শতভাগ উৎসব ভাতা নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি: শিক্ষামন্ত্রী
তিনি বলেন, দেশে আজ দুই ধারার রাজনীতি চলছে। এক ধর্মীয় মূল্যবোধের ধারা আরেকটি হলো উদার গণতান্ত্রিক মানবিক মূল্যবোধের ধারা।
মন্ত্রী বলেন, যখনই উদার গণতান্ত্রিক মানবিক মূল্যবোধ ধারার সরকার দ্বারা এ দেশ পরিচালিত হয়েছে তখনই দেশ এগিয়েছিল এবং এদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আবার উল্টো ধারায় দেশ পরিচালিত হলো তখন দেশ ও দেশের ইতিহাস ও অগ্রগতি পিছিয়ে গেছে। বতর্মানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের ধারায়।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক বলেন, সঠিক তথ্য তুলে ধরার জন্য ও সমাজের অগ্রগতির জন্য বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা অপরিহার্য। চাঁদপুরের সাংবাদিকদেরও সাংবাদিকতার সুনাম রয়েছে। তারা সবাই বস্তুনিষ্ঠতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন, ভবিষ্যতেও করবেন এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
তিনি সবাইকে নিজ নিজ স্থান থেকে সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব পালনে এবং সত্য ও ন্যায়ের পথে থাকার আহ্বান জানান।
সুচিকিৎসার অভাবে শাহরাস্তির একজন সাংবাদিক মারা গেছেন এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সুচিকিৎসার অভাবে কোন সাংবাদিক যেনো আর মারা না যায়।
এজন্য তিনি ও তার ভাই সাংবাদিক কল্যাণ তহবিল গঠনে ওয়াদুদ স্মৃতি ট্রাস্ট থেকে দুই লাখ টাকা অনুদানের ঘোষণা দেন।
দীপু মনি বলেন, যখনই কোনো সাংবাদিক অসুস্থ হবেন তিনি তার সঙ্গে যোগাযোগ করলে অবশ্যই সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন।
পড়ুন: শিক্ষার মানের উন্নয়ন না হলে কোনো উন্নয়নই টেকসই হয় না: শিক্ষামন্ত্রী
কোন ষড়যন্ত্রই দেশের উন্নয়নের গতি থামাতে পারবে না: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, উন্নয়ন একটি চলমান প্রক্রিয়া হলেও এই প্রক্রিয়া এমনিতেই চলে না, একে চালাতে হয়। এটিকে ভালভাবে চালাতে হলে অবশ্যই দক্ষ চালকের প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষ চালকের আসনে থাকার কারণেই দেশের সকল ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। তিনি ক্ষমতায় থাকলে এই উন্নয়ন চলমান থাকবে। কোন ষড়যন্ত্রই এই উন্নয়নের গতি থামাতে পারবে না।
বৃহস্পতিবার বরিশালে ৪৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নবনির্মিত দশ তলা বিশিষ্ট মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালত ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ঢাকা থেকে ভিডিও কনফারেন্সিং যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন আইনমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদূর প্রসারী পরিকল্পনা ও গতিশীল নেতৃত্বের কারণেই পদ্মা সেতু, কর্নফুলী টানেল, মেট্রোরেল, ফ্লাইওভার, এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ে, রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পসহ বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে। বিশ্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হয়েছে। তাই দেশের সকল মানুষকে প্রধানমন্ত্রীর কাজে সহযোগিতা করে তার হাতকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানান আনিসুল হক।
আইনমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখেছিলেন এমন একটি স্বাধীন ও শক্তিশালী বিচার বিভাগের, যেখানে বিচারপ্রার্থী জনগণ ভোগান্তিহীনভাবে দ্রুত ন্যায়বিচার পাবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বঙ্গবন্ধুর এই স্বপ্ন পূরণে ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে এবং উক্ত পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে বিচার বিভাগের জন্য অত্যাধুনিক অবকাঠামো নির্মাণ করছে। এজন্য দুই হাজার ৪৬৫ কোটি ৭৭ লাখ টাকা ব্যয়ে দেশের জেলা শহরগুলোতে আট বা ১০ তলা বিশিষ্ট সিজেএম আদালত ভবন নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পটির আওতায় বরিশালে ৪৯ কোটি ১৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ১০ তলা বিশিষ্ট সিজেএম আদালত ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এ ভবনের নির্মাণ ব্যয়, নির্মাণ শৈলী, আয়তন এবং সুযোগ-সুবিধা বিবেচনা করলে নিশ্চয়ই বলা যায় এটি বরিশালের মাটিতে বিচার বিভাগের এক অনন্য স্থাপনা এবং মুজিববর্ষে বরিশালবাসীকে দেয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের একটি বড় উপহার। এ উপহার দিতে পেরে সরকার অত্যন্ত আনন্দিত, গর্বিত ও তৃপ্ত। কারণ ২০০৭ সালের ১লা নভেম্বর নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা হওয়ার পর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসিতে অবকাঠামোগত যে শূন্যতা তৈরি হয়েছিল বরিশালে আজ থেকে তার সম্পূর্ণ সমাধান হলো।
আরও পড়ুন: মানব পাচার প্রতিরোধে সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন: আইনমন্ত্রী
উক্ত প্রকল্পের কাজের ৮৫ শতাংশ অগ্রগতির তথ্য তুলে ধরে তিনি জানান, সরকার ১৬৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৭টি জেলায় পুরাতন জেলা জজ আদালত ভবনগুলোর উর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ করাসহ বহুমুখী পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করেছে। ফলে বিচার বিভাগের এজলাস সঙ্কট তথা অবকাঠামোগত সমস্যা এখন অনেকটাই দূর হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, একটি আধুনিক ও দক্ষ বিচার বিভাগ গড়ে তোলার জন্য প্রশিক্ষণ অত্যাবশ্যকীয় হলেও অন্যান্য সরকারের আমলে বিদেশি প্রশিক্ষণ গ্রহণ ছিলো বিচারকদের কাছে স্বপ্নের মতো। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের আমলে বিদেশি প্রশিক্ষণ গ্রহণ তাদের স্বপ্ন নয় বাস্তবে পরিণত হয়েছে। দেশে করোনার অতিমারির পূবর্বর্তী মাত্র সাড়ে তিন বছরে ৮৫৫ জন বিচারককে অস্ট্রেলিয়া, ভারত, চীন ও জাপানে উন্নতমানের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। দেশীয় প্রশিক্ষণের ওপরও গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। দেশেই বিশ্বমানের প্রশিক্ষণ দেয়ার লক্ষ্যে মাদারীপুরের শিবচরে বাংলাদেশ জুডিসিয়াল একাডেমি গড়ে তোলার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি জানান, ২০০৯ থেকে এখন পর্যন্ত অধস্তন আদালতে এক হাজার ২২৪ জন বিচারক নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
অধস্তন আদালতে অনেকগুলো নতুন পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। বিভাগীয় শহরগুলোতে একটি করে সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল, একটি করে সাইবার ট্রাইবুনাল এবং একটি করে মানব পাচার অপরাধ ট্রাইব্যুনাল স্থাপন করা হয়েছে।
আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার সুরক্ষা এবং বিচার ব্যবস্থাকে জনগণের নিকট গ্রহণযোগ্য করে তোলার ক্ষেত্রে আইনজীবীগণ অগ্রণী ভূমিকা পালন করে থাকেন বলে তিনি বিশ্বাস করেন। সেজন্যই সরকার দেশের আইনজীবীগণের পেশাগত মান উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। দেশের বিভিন্ন আইনজীবী সমিতি ভবন নির্মাণ ও বইপুস্তক ক্রয় বাবদ অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আইনজীবীদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। সরকারি আইন কর্মকর্তাদের মাসিক রিটেইনার ফি চার-পাঁচ গুণ বাড়িয়েছে সরকার। এছাড়া মামলার শুনানীর জন্য দৈনিক ফি এবং ভ্যালুয়েশন ফিও বাড়ানো হয়েছে।
আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বরিশাল ৪ আসনের সংসদ সদস্য পঙ্কজ নাথ, বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুচ, বরিশালের জেলা ও দায়রা জজ মো. রফিকুল ইসলাম, বরিশাল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মইদুল ইসলাম প্রমুখ বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আইন ও বিচার বিভাগের যুগ্ম সচিব বিকাশ কুমার সাহা।
আরও পড়ুন: অপব্যবহার রোধে প্রয়োজনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন করা হবে: আইনমন্ত্রী
সরকার বিশ্বাস করে গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি নির্বাচন: আইনমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার ষড়যন্ত্র হচ্ছে: পরিকল্পনামন্ত্রী
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। তাঁকে হত্যা করতে পারলে দেশ শোষকদের হাতে চলে যাবে। আমাদের প্রয়োজন শেখ হাসিনার শক্তি যেন সুসংহত থাকে।
রবিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল প্রাঙ্গণে আয়োজিত আশুতোষ চক্রবর্তী স্মারক শিক্ষাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষায় আমরা এখনও পিছিয়ে। আমাদের স্বাক্ষরতার হার ৭৫ ভাগ। শিক্ষা ছাড়া কোন জাতি উন্নতি করতে পারে না। তাই শিক্ষা ব্যবস্থার উপর সর্বোচ্চ জোর দিতে হবে। ছাত্র-ছাত্রীদেরকে উৎসাহমূলক বৃত্তি প্রদানের জন্য স্বর্গীয় আশুতোষ চক্রবর্তীর পরিবারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন: আ. লীগ একটি রাজনৈতিক দল নয়, রাজনৈতিক আন্দোলন: পরিকল্পনামন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সাধারণ দেশ নয়। কম দেশই আছে দেশের জন্য জীবন দিয়েছে। গত ১২ বছরে বাংলাদেশের বিশাল পরিবর্তন হয়েছে। আগে আমাদের উপোস সময় কাটতো। এখন তিন বেলা ভাত খেতে পারি।
অনুষ্ঠানে জেলার সরাইল ও আশুগঞ্জ উপজেলার ৬ষ্ঠ থেকে ১০ শ্রেণির প্রথম স্থান অধিকারী মেধাবী ৭৫ শিক্ষার্থীর হাতে এ শিক্ষা বৃত্তি তুলে দেয়া হয়।
ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চেয়ারম্যান প্রীতি চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া- ৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী,ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া, সংরক্ষিত আসন ৩১২ এর সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম (শিউলী আজাদ), ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন প্রমুখ।
আরও পড়ুন: নেতিবাচক রাজনীতি থেকে বিএনপিকে বেরিয়ে আসার আহ্বান পরিকল্পনামন্ত্রীর