ভাবমূর্তি
বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করুন: লন্ডনে প্রধানমন্ত্রী
বিদেশে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাজ করার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার জন্য আমি আপনাদের সকলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফর শেষ হচ্ছে আজ
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, বিদেশে বসবাসরত একদল লোক ইচ্ছাকৃতভাবে দেশের বিরুদ্ধে অপবাদ দিচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, কিছু লোক; যারা বিভিন্ন অপরাধ বা অপকর্ম বা দুর্নীতি করে দেশ ত্যাগ করেছে এবং অবৈধ কর্মকাণ্ডের কারণে চাকরি হারিয়েছে, তারা ইচ্ছাকৃতভাবে দেশের বিরুদ্ধে অপবাদ ছড়াচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, তারা (সরকারের) কোনো ভালো ও উন্নয়নমূলক কাজ দেখতে পায় না, বরং সবসময় ত্রুটি খুঁজে বের করে।
এই ঘৃণ্য অপপ্রচার মোকাবিলায় ডিজিটাল ও সামাজিক প্লাটফর্মে সম্পৃক্ত হওয়ার জন্য দলীয় সদস্যদের নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোকে সঙ্গে নিয়ে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড জনগণের সামনে তুলে ধরার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সমালোচকদের (সরকার ও এর উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের) সারা বাংলাদেশে ভ্রমণের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্রামীণ বাংলাদেশে কোনো অভিযোগ শোনা যায় না। আমি দাবি করতে পারি, বাংলাদেশের গ্রামীণ জনগণের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন হয়েছে। এছাড়া আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে তাদের উন্নত জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় সব কাজ আমরা করব।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের ফলে বাংলাদেশে দারিদ্র্য ৪১ শতাংশ থেকে ১৮ শতাংশে নেমে এসেছে। চরম দারিদ্র্য মাত্র ৫ শতাংশে নেমে এসেছে এবং বেকারত্বের হার এখন মাত্র ৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর জিয়াউর রহমান ও অন্যান্য সামরিক স্বৈরশাসকরা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করায় তারা ১৯৮০ সালে লন্ডন থেকে বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন শুরু করে।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচনের আগে আন্দোলনের নামে অগ্নিসংযোগ ঘটলে সহ্য করা হবে না: প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করায় ২০২৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ একটি স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা প্রত্যক্ষ করছে।
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ফলে দেশে এই অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা দেশের অভ্যন্তরে অগ্নিসন্ত্রাসের মতো স্থানীয় ও বৈশ্বিক বিভিন্ন প্রতিকূলতা অতিক্রম করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।
বঙ্গবন্ধুর বড় মেয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমার বাবা দেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন, এই স্বাধীনতাকে ব্যর্থ করা যাবে না। এই স্বাধীনতার সুফল দেশের সব মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে, আর এ জন্যই আমার সংগ্রাম।
প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের কথা শোনেন।
তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে এগিয়ে যাবে।
আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, মহিলা লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সর্বসম্মতিক্রমে সম্মেলন ও নতুন কমিটি গঠনের মাধ্যমে সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানান।
এসময় বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
মঞ্চে ছিলেন লন্ডনে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম। এছাড়াও ইউরোপের বিভিন্ন দেশের আ.লীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আ.লীগ নেতা আল মামুনের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার অপচেষ্টা চলছে: এলজিআরডি মন্ত্রী
ধর্মীয় উগ্রবাদ ছড়ানোর মাধ্যমে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার অপচেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
রবিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন প্রাঙ্গনে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর আয়োজিত 'বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস-২০২১ উদযাপন' অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, পদ্মাসেতু, কর্ণফুলী ট্যানেল, রুপপুর পারমাণবিক কেন্দ্র, মেট্রোরেলসহ অনেক মেগা প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে যা বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের সুনাম ও চমক সৃষ্টি করছে। এসব উন্নয়ন তাদের সহ্য হয় না বলে নানা কৌশল অবলম্বন করছে। ধর্মীয় উগ্রবাদ সৃষ্টি করে দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত এবং বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার অপচেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্রে বিশ্বাসী হলে বিএনপি অবশ্যই নির্বাচনে অংশ নেবে: এলজিআরডি মন্ত্রী
হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান, মন্ত্রী, আমলা কৃষক-শ্রমিকসহ সকল শ্রেণি পেশার মানুষ সবাই এদেশের সন্তান। সবাই মিলে সৌহার্দ্য সম্প্রীতি নিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নপূরণ করতে হবে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশে সকল ধর্মের মানুষ স্বাধীনভাবে কোনো বাধাবিঘ্ন ছাড়াই নিজের ধর্ম পালন করছে উল্লেখ করে মো. তাজুল ইসলাম আরও বলেন, অন্য ধর্মের প্রতি সম্মান ও মর্যাদা করার শিক্ষা ইসলামসহ সকল ধর্মেই রয়েছে। কিন্তু একটি গোষ্ঠী ধর্মকে ব্যবহার করে দেশে অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পরই দেশের উন্নয়ন শুরু হয়। কিন্তু পরবর্তী নির্বাচনে ক্ষমতায় না আসায় দেশে উন্নয়নের ধারা স্থবির হয়ে পড়ে। এরপর পুনরায় শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে দেশকে নতুন এক উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। এখন লক্ষ্যমাত্রা একটাই ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বির্নিমান করা।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার স্বপ্ন অনুযায়ী ঢাকা শহর গড়ে উঠবে: এলজিআরডি মন্ত্রী
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী আরও বলেন, নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে দরকার সঠিক নেতৃত্ব। আর সে নেতৃত্ব দেয়ার সক্ষমতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আছে। যার নজির তিনি ইতোমধ্যে রেখেছেন এবং রেখে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশ বিশ্বে আজ উন্নয়নের রোল মডেল। দেশের উন্নয়ন দেখে সারাবিশ্ব আজ হতবাক।
সুস্বাস্থ্যের জন্য হাত ধোয়া শুধু বাংলাদেশেই নয় সারা বিশ্বে গুরুত্বসহকারে অনুসরণ করা হয় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন শহর-নগর, গ্রাম-গঞ্জের সকল মানুষকে এ বিষয়ে সচেতন করার কাজ চলছে। নিয়মিত হাত ধোয়া, সম্ভাব্য সংক্রমিত ব্যক্তির সাথে মেলামিশা না করা এবং বার বার সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাস করতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: পানির জন্য দেশে এখন মিছিল-মিটিং হয় না: এলজিআরডি মন্ত্রী
স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড ও ইউনিসেফের বাংলাদেশ প্রতিনিধি ভিরা মেন্ডোনকা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জনকূটনীতি অনুবিভাগ চালু
সাংগঠনিক কাঠামোতে বিদ্যমান বহিঃপ্রচার অনুবিভাগের কার্যক্রম ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ হিসেবে এর নাম পরিবর্তন করে 'জনকূটনীতি অনুবিভাগ' হিসেবে নামকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।