বিমসটেক
শ্রীলঙ্কা সফরে ষষ্ঠ সামিটের প্রত্যাশা তুলে ধরলেন বিমসটেক মহাসচিব
সম্প্রতি শ্রীলঙ্কা সফর করেছেন বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টোরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশনের (বিমসটেক) মহাসচিব ইন্দ্র মণি পান্ডে।
চলতি বছরের ৪ জানুয়ারি মহাসচিবের দায়িত্ব নেওয়ার পর এটাই তার প্রথম শ্রীলঙ্কা সফর।
সফরকালে মহাসচিব শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম ইউ এম আলী সাবরি এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী রমেশ পাথিরানার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিমসটেক মহাসচিব।
এছাড়াও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব অরুনি বিজয়বর্ধন, প্রধানমন্ত্রীর সচিব অনুরা দিসানায়েকে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ডা. পলিথা মাহিপালা ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব থিলাকা জয়সুন্দরার সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ১২-১৩ মে ঢাকায় বিমসটেকের বৈঠক
প্রেসিডেন্ট বিক্রমাসিংহের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে ২০২২ সালের মার্চে কলম্বোতে অনুষ্ঠিত পঞ্চম শীর্ষ সম্মেলনের পর থেকে বিমসটেকের অগ্রগতি এবং ব্যাংককে অনুষ্ঠিতব্য ষষ্ঠ শীর্ষ সম্মেলন থেকে প্রত্যাশা তুলে ধরেন মহাসচিব।
এ সময় প্রেসিডেন্ট বিক্রমাসিংহে বিমসটেকের প্রতি শ্রীলঙ্কার অঙ্গীকারের কথা পুনর্ব্যক্ত করে আঞ্চলিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে শ্রীলঙ্কার অগ্রাধিকারের বিষয়গুলো তুলে ধরেন।
বিমসটেক মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠকে শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলী সাবরি ২০২৩ সালের জুলাই মাসে ব্যাংককে পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের নিয়ে বিমসটেকের আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের কথা স্মরণ করেন।
বঙ্গোপসাগর অঞ্চলের জনগণ যাতে আঞ্চলিক সহযোগিতার সুফল পায় এজন্য বিমসটেকের গতিশীলতা বাড়াতে ও সাফল্য নিশ্চিত করতে সব স্তরে ঘন ঘন ও নিয়মিত বৈঠকের গুরুত্বের ওপর জোর দেন তিনি।
মানবসম্পদ উন্নয়নে শ্রীলঙ্কার বিমসটেকের শীর্ষস্থানীয় সদস্য রাষ্ট্র হওয়ার বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সচিব অনুরা দিসানায়েকের সঙ্গে মহাসচিবের বৈঠক হয়।
তারা বিমসটেকের মানবসম্পদ উন্নয়ন এজেন্ডাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ে বিমসটেকের কর্ম পরিকল্পনার খসড়া তৈরি করতে বিমসটেক বিশেষজ্ঞ গ্রুপের (এইচআরডি) প্রথম বৈঠকের সময়সূচি নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন: সহযোগিতা জোরদারে পরিকল্পনা বাস্তবে রূপান্তরিত করার অঙ্গীকার বিমসটেক প্রধানের
বিমসটেকের স্বাস্থ্যবিষয়ক পরিকল্পনায় শীর্ষস্থানীয় সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে বিমসটেক স্বাস্থ্য এজেন্ডা নিয়ে শ্রীলঙ্কার স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের সঙ্গে বৈঠকে আলোচনা করেন ইন্দ্র মণি। এ সময় বিমসটেকের স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের প্রথম বৈঠক আহ্বান নিয়েও আলোচনা করেন তারা।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবের সঙ্গে বৈঠকে শ্রীলঙ্কায় বিমসটেক প্রযুক্তি স্থানান্তর সুবিধা স্থাপনের বিষয়ে আলোচনা করেন বিমসটেক মহাসচিব। ২০২২ সালে কলম্বোতে পঞ্চম বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের সময় এ নিয়ে অ্যাসোসিয়েশনের স্মারক সই হয়েছিল। এর পরিচালনা পর্ষদের প্রথম সভা আহ্বানের বিষয়েও আলোচনা হয়।
আনুষ্ঠানিক বৈঠক ছাড়াও বিমসটেক মহাসচিব লক্ষ্মণ কাদিরগামার ইনস্টিটিউট (এলকেআই) আয়োজিত 'বিমসটেকের মাধ্যমে আঞ্চলিক সহযোগিতা' শীর্ষক একটি উন্মুক্ত আলোচনা কর্মসূচি এবং অ্যাডভোকাটা ইনস্টিটিউট ও বন্দরনায়েকে সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ (বিসিআইএস) আয়োজিত দুটি গোলটেবিল অধিবেশনে অংশ নেন।
এই কর্মসূচিগুলোর মাধ্যমে আঞ্চলিক সহযোগিতার বিষয়ে বিভিন্ন কর্মকর্তা, বিশেষজ্ঞ, শিক্ষাবিদ, চিন্তাবিদ, গবেষক এবং শিক্ষার্থীদের মতামত ও ধারণা জানার সুযোগ পান মহাসচিব। বঙ্গোপসাগর অঞ্চলে বিমসটেকের মাধ্যমে আঞ্চলিক সহযোগিতার বিষয়ে অনেকের কাছে নিজের বার্তা পৌঁছে দেওয়ার সুযোগ পান তিনি।
এছাড়াও শ্রীলঙ্কার সানডে মর্নিং সংবাদপত্রে সাক্ষাৎকার এবং টেলিভিশন মাধ্যমে আদা ডেরানার 'অ্যাট হাইড পার্ক' অনুষ্ঠানে একটি সাক্ষাৎকার দেন বিমসটেক মহাসচিব।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও বিমসটেক একসঙ্গে কাজ করবে: প্রধানমন্ত্রী
১২-১৩ মে ঢাকায় বিমসটেকের বৈঠক
বিমসটেকের ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা নিয়ে এমিনেন্ট পারসনস গ্রুপের (ইপিজি) তৃতীয় বৈঠক আগামী ১২-১৩ মে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে।
বিমসটেক নেতাদের কাছে তাদের প্রতিবেদন জমা দেবে ইপিজি।
এর আগে গত ১১-১২ মার্চ ঢাকার বিমসটেক সচিবালয়ে ইপিজির দ্বিতীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বিমসটেকের বর্তমান চেয়ারম্যান থাইল্যান্ডের ইপিজি সদস্য ডক্টর সুনথর্ন চাইনদিপম।
বৈঠকে ৬টি বিমসটেক সদস্য রাষ্ট্রের ইপিজি সদস্যরা অংশ নেন।
বিমসটেকের মহাসচিব ইন্দ্র মণি পান্ডের নেতৃত্বে ইপিজির আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও বিমসটেক একসঙ্গে কাজ করবে: প্রধানমন্ত্রী
বিমসটেক-২০৩০ এজেন্ডা অনুযায়ী একটি সমৃদ্ধ ও উন্নত বঙ্গোপসাগর অঞ্চল গড়তে বিমসটেকের সংস্কার ও পুনর্গঠনের সুপারিশ করার লক্ষ্যে সংস্থাটির প্রাতিষ্ঠানিক প্রক্রিয়াসহ কাঠামো নিয়ে কাজ করছে ইপিজি।
দুই দিনের বৈঠকে বিমসটেকের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিক নিয়ে আলোচনার সময় প্রতিষ্ঠানটির অভ্যন্তরীণ কাঠামোর পাশাপাশি বিমসটেকের বাহ্যিক সম্পর্ক এবং সহযোগিতার বিভিন্ন ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা করে ইপিজি।
এর আগে চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি ঢাকায় প্রথম বৈঠক হয়।
আরও পড়ুন: সহযোগিতা জোরদারে পরিকল্পনা বাস্তবে রূপান্তরিত করার অঙ্গীকার বিমসটেক প্রধানের
বাংলাদেশ ও বিমসটেক একসঙ্গে কাজ করবে: প্রধানমন্ত্রী
আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় আসায় বাংলাদেশের মানুষ এখন গণতন্ত্র উপভোগ করছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টোরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশনের (বিমসটেক) মহাসচিব ইন্দ্র মণি পান্ডে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এই মন্তব্য করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'দেশের মানুষ এখন গণতন্ত্র উপভোগ করছে।’
আরও পড়ুন: জননিরাপত্তা নিশ্চিতে অপচেষ্টা প্রতিহত করুন: প্রধানমন্ত্রী
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব কে এম সাখাওয়াত মুন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা সময় ছিল যখন দেশ সামরিক শাসনের অধীনে নিমজ্জিত ছিল।
দেশের মানুষকে তার অন্যতম শক্তি হিসেবে অভিহিত করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার সব সময় গ্রামীণ উন্নয়নকে গুরুত্ব দিয়েছে।
তিনি বলেন, তিনি অসংখ্য গ্রাম পরিদর্শন করেছেন এবং জনগণকে খাদ্য উৎপাদন ছাড়া এক ইঞ্চি আবাদি জমিও ফেলে না রাখতে উৎসাহিত করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমি সবাইকে অনুরোধ করেছি যেভাবেই হোক খাদ্য উৎপাদনে সম্পৃক্ত হতে।’
তিনি আরও বলেন, অভিন্ন লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশ ও বিমসটেক একসঙ্গে কাজ করবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত সবসময়ই বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতিম দেশ।
তিনি কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন যে, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশকে অনেক সাহায্য করেছে ভারত। সেসময় প্রায় এক কোটি মানুষকে আশ্রয়ও দিয়েছে দেশটি।
তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর তিনি এবং তার বোন শেখ রেহানা ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
বিমসটেক মহাসচিব প্রধানমন্ত্রীকে পুনঃনির্বাচিত হওয়ায় অভিনন্দন জানান।
তিনি বিমসটেকের সঙ্গে বাংলাদেশের কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে বিমসটেকের চমৎকার সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: অবকাঠামো নির্মাণের পাশাপাশি গ্রামীণ উন্নয়নে গুরুত্ব দিন: একনেক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী
তিনি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও প্রধানমন্ত্রীর ভিশন এবং স্বল্পোন্নত দেশের স্ট্যাটাস থেকে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের প্রশংসা করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঢাকায় অনুষ্ঠেয় সপ্তম শীর্ষ সম্মেলনের সময় বিমসটেক নেতাদের উদ্বোধনের লক্ষ্যে আগামী তিন বছরের মধ্যে প্রস্তাবিত বিমসটেক সচিবালয় ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ করার পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ।
প্রতিটি সেক্টরের জন্য একটি শীর্ষস্থানীয় দেশ সহ সাতটি খাতে নামিয়ে আনাসহ বিমসটেকের অধীনে সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো পুনর্গঠন করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও উন্নয়ন বিমসটেক সহযোগিতার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খাত এবং বাংলাদেশ এ খাতে নেতৃত্ব দিচ্ছে।
পরবর্তী শীর্ষ সম্মেলনের পর বাংলাদেশ যখন সভাপতিত্ব গ্রহণ করবে তখন পরবর্তী বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলন ফোরামের কার্যক্রম আরও জোরদার করবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বিমসটেক প্রক্রিয়াকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন, যেহেতু নতুন মহাসচিব ও সভাপতিত্বে থাকবে দুটি অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ- ভারত ও বাংলাদেশ এবং সচিবালয়ের আনুষ্ঠানিকতা ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে।
৬ষ্ঠ শীর্ষ সম্মেলনের পর এই গ্রুপের সভাপতিত্ব গ্রহণের পর বাংলাদেশ বিমসটেক প্রক্রিয়ায় আরও দায়িত্ব গ্রহণে প্রস্তুত রয়েছে বলে জানান শেখ হাসিনা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট প্রমাণ করে প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকবান্ধব: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সুইডেনের রাষ্ট্রদূত এবং বিমসটেক মহাসচিবের সাক্ষাৎ
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ভন লিন্ডে ও বিমসটেক মহাসচিব ইন্দ্র মনি পান্ডে।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তারা।
আরও পড়ুন: ইউনূসকে নিয়ে ওয়াশিংটন পোস্টে বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়েছে, বিবৃতি নয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
রাষ্ট্রদূত লিন্ডের সঙ্গে বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান সবুজ জ্বালানি ও বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সহযোগিতা এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগে সুইডেনের সহায়তা নিয়ে আলোচনা করেন।
রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে আলোচনায় মন্ত্রী রাষ্ট্রদূতকে জানান, রোহিঙ্গাদের পূর্ণ অধিকারসহ নিজ দেশ মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনই একমাত্র সমাধান।
সুইডেন এ বিষয়ে সহায়তা অব্যাহত রাখবে বলে জানায় রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ভন লিন্ডে।
এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিযুক্ত হওয়ায় ড. হাছান মাহমুদকে দেওয়া সুইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিনন্দনপত্রটি মন্ত্রীকে হস্তান্তর করেন আলেকজান্দ্রা বার্গ ভন লিন্ডে।
আরও পড়ুন: দুর্নীতি ও আর্থিক খাতের সংস্কারে কঠোর পদক্ষেপ নিন: রাষ্ট্রপতি
১৯৯৭ সালে গঠিত বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মিয়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ড এই সাত দেশের আঞ্চলিক সহযোগিতা সংগঠন বে অফ বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল টেকনিক্যাল এন্ড ইকনোমিক কো-অপারেশনের (বিমসটেক) নতুন সেক্রেটারি জেনারেল ইন্দ্র মনি পান্ডের সঙ্গে বৈঠকে বহুপক্ষীয় আঞ্চলিক সহযোগিতার প্রসার নিয়ে আলোচনা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান।
ঢাকায় বিমসটেক সচিবালয়ের নতুন ভবন নির্মাণের উদ্যোগ, আঞ্চলিক পর্যায়ে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলা, যোগাযোগ অবকাঠামোসহ নানা বিষয়ের পাশাপাশি চলতি বছর থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য বিমসটেক দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকও আলোচনায় স্থান পায়।
আরও পড়ুন: কর্মকর্তাদের কাজের গতি বাড়ানোর তাগিদ আইনমন্ত্রীর
বিমসটেকের পরবর্তী মহাসচিব হিসেবে শিগগিরই যোগ দেবেন ভারতের ইন্দ্র মণি পান্ডে
বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশনের (বিমসটেক) পরবর্তী মহাসচিব হচ্ছেন ইন্দ্র মণি পান্ডে।
তিনি ১৯৯০ ব্যাচের একজন ভারতীয় ফরেন সার্ভিস অফিসার এবং বর্তমানে জেনেভায় জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থায় ভারতের রাষ্ট্রদূত/স্থায়ী প্রতিনিধি।
শনিবার পান্ডে বলেন, ‘বঙ্গোপসাগর অঞ্চলের প্রধান আঞ্চলিক সংস্থা বিমসটেকের মহাসচিবের মর্যাদাপূর্ণ ও চ্যালেঞ্জিং দায়িত্ব আমাকে অর্পণ করায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্করের প্রতি আমার অশেষ কৃতজ্ঞতা।’
আরও পড়ুন: বিমসটেক সম্মেলন: নভেম্বরে থাইল্যান্ড সফরে যাবে বাংলাদেশের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এবারই প্রথম কোনো ভারতীয় বিমসটেকের মহাসচিবের পদে অধিষ্ঠিত হবেন।
ইন্দ্র মণি পান্ডে শিগগিরই দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।
বিদায়ী বিমসটেক মহাসচিব তেনজিন লেকফেল ২০২০ সালের ৬ নভেম্বর বিমসটেকের মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
তিনি বিমসটেকের তৃতীয় মহাসচিব।
আরও পড়ুন: সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কলম্বোতে বিমসটেক সনদ স্বাক্ষরিত
প্রধানমন্ত্রী বছরের শেষ দিকে থাইল্যান্ডে বিমসটেক সম্মেলনে যোগ দেবেন
প্রধানমন্ত্রী বছরের শেষ দিকে থাইল্যান্ডে বিমসটেক সম্মেলনে যোগ দেবেন
চলতি বছরের শেষের দিকে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে অনুষ্ঠেয় বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২০২৩ সালের নভেম্বরে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে ষষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে বাংলাদেশ আঞ্চলিক সংস্থাটির সভাপতিত্ব গ্রহণ করবে।
বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের আগে, আঞ্চলিক ইস্যুগুলোর পাশাপাশি ২৫ বছরের পুরনো সংস্থাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার উপায়গুলো নিয়ে মতামত বিনিময় করতে ১৭ জুলাই ব্যাংককে পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের পশ্চাদপসরণ অনুষ্ঠিত হবে।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) সৌরভ কুমারের সঙ্গে বৈঠকের পর এটি নিশ্চিত করেছেন।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, বাংলাদেশ হবে বিমসটেকের পরবর্তী চেয়ারম্যান এবং বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশনের (বিমসটেক) পরবর্তী মহাসচিব হবে ভারত।
আরও পড়ুন: 'আপনি আর্জেন্টিনার জন্য গৌরব বয়ে এনেছেন': এমিলিয়ানো মার্টিনেজকে প্রধানমন্ত্রী
মাসুদ বলেন, ভারতের পরবর্তী চেয়ারের দাবির অগ্রাধিকার রয়েছে।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) সৌরভ কুমারের সঙ্গে বিমসটেক ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেন।
বৈঠকে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মাও উপস্থিত ছিলেন।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ উল্লেখ করেন যে বিমসটেকের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ বিমসটেকের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে সব দিক দিয়ে সম্পর্ক গভীর করতে এবং এই আঞ্চলিক সংস্থার উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে এগিয়ে যেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিমসটেক প্রক্রিয়ার একজন প্রবল সমর্থক, যা ঢাকায় বিমসটেক সচিবালয় স্থাপনেরও আগ্রহ প্রকাশ পায়।
মাসুদ বিমসটেক সচিবালয়কে সম্ভাব্য সব উপায়ে শক্তিশালী করার জন্য বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
এমইএ-এর সচিব (পূর্ব) বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিবকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য এবং বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ভারতীয় প্রতিনিধিদলকে উদার আতিথেয়তার জন্য ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন :কুয়েত ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ফোনালাপে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ
তিনি বিমসটেককে সবচেয়ে কার্যকর ও গতিশীল সংগঠন হিসেবে গড়ে তুলতে বাংলাদেশের সঙ্গে একত্রে কাজ করার জন্য ভারতের ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
উভয় পক্ষই বঙ্গোপসাগর অঞ্চলে যৌথ শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করার জন্য বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, সংযোগ, জ্বালানি নিরাপত্তা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে বাস্তব অগ্রগতি অর্জনে তাদের প্রচেষ্টা জোরদার করতে সম্মত হয়েছে।
উভয় পক্ষই বিমসটেক প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার এবং এটিকে একটি প্রাণবন্ত ও সফল সংগঠন করার উপায় ও পন্থা নিয়ে আলোচনা করেছে।
বৈঠকের পর, পররাষ্ট্র সচিব ভারতীয় এমইএ-এর সচিব (পূর্ব) এর সম্মানে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করেন। শুক্রবার সকালে তিনি ঢাকা ত্যাগ করবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনের সঙ্গে বিমসটেক বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে বৃহস্পতিবার ঢাকায় আসেন কুমার।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (দক্ষিণ এশিয়া) এ.টি.এম. ঢাকায় এস কুমারকে স্বাগত জানান রকিবুল হক।
আরও পড়ুন: ইউএন ফুড সিস্টেম সামিটে যোগ দিতে রোম সফরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী, জ্বালানি ও অভিবাসন চুক্তির সম্ভাবনা
বঙ্গোপসাগরকে সংযোগ সেতুতে রূপান্তরের আহ্বান মোদির
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিমসটেকের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বঙ্গোপসাগরকে সংযোগ, সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তার সেতুতে রূপান্তরিত করতে সচেষ্ট হওয়ার জন্য সংগঠনটির নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
মোদি তার দেয়া বক্তব্যে বিমসটেক অঞ্চলের মধ্যে বর্ধিত যোগাযোগ সহযোগিতা ও আঞ্চলিক নিরাপত্তার গুরুত্বের ওপর জোর দেন এবং এ বিষয়ে বেশ কিছু পরামর্শ দেন।
বুধবার প্রধানমন্ত্রী মোদি শ্রীলঙ্কায় আয়োজিত পঞ্চম বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে দেয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কলম্বোতে বিমসটেক সনদ স্বাক্ষরিত
এবারের শীর্ষ সম্মেলনের থিম ‘টুয়ার্ডস এ রেজিলিয়েন্ট রিজিওন, প্রসপারাস ইকোনোমিস, হেলদি পিপল’-এর মাধ্যমে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর বর্তমান প্রধান অগ্রাধিকারগুলো বাস্তবায়ন এবং কোভিড-১৯ এর অর্থনৈতিক ও অন্যান্য প্রতিবন্ধকতাগুলো মোকাবিলা করার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং অন্যান্য নেতার উপস্থিতিতে তিনটি বিমসটেক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
এগুলো হল অপরাধ সংক্রান্ত বিষয়ে পারস্পরিক আইনি সহায়তা সংক্রান্ত বিমসটেক কনভেনশন; কূটনৈতিক প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে বিমসটেক সমঝোতা স্মারক এবং বিমসটেক প্রযুক্তি স্থানান্তর সুবিধা প্রতিষ্ঠার বিষয়ে অ্যাসোসিয়েশনের স্মারক।
আরও পড়ুন: বিমসটেক নেতাদের একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
কলম্বোতে ৫ম বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলন শুরু
বিমসটেক নেতাদের একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চলের সাতটি দেশের জনগণের সুবিধার্থে এই অঞ্চলের পূর্ণ সম্ভাবনা কাজে লাগাতে বিমসটেক নেতাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোতে পঞ্চম বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে ভার্চুয়ালি ভাষণ দেয়ার সময় তিনি বলেন, ‘এই অঞ্চলের সম্পূর্ণ সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে টেকসই ও স্থিতিস্থাপক বঙ্গোপসাগর অঞ্চল পুনর্গঠনের জন্য আমাদের সর্বজনীন কৌশল খুঁজে বের করতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই সম্মেলন সম্মিলিত প্রচেষ্টাকে ত্বরান্বিত করার এবং একাধিক চ্যালেঞ্জের অভিন্ন সমাধান খুঁজে বের করার সুযোগ সৃষ্টি করেছে।
আরও পড়ুন: উপজেলায় দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মিয়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ড নিয়ে গঠিত বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন (বিমসটেক)।
পণ্ঞ্চম বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনটি আয়োজন করছে শ্রীলঙ্কা। এবারের সম্মেলনে একটি স্থিতিস্থাপক অঞ্চল, সমৃদ্ধ অর্থনীতি ও জনগণের সুস্বাস্থের ওপর জোর দেয়া হচ্ছে। আনুষ্ঠানিকভাবে এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই অঞ্চলের বিশাল জনসংখ্যা ‘শুধু চ্যালেঞ্জই নয়, একটি সুযোগও।’
আরও পড়ুন: শত্রুর আক্রমণ থেকে দেশ রক্ষায় সর্বদা প্রস্তুত থাকুন: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, এই শীর্ষ সম্মেলন এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে যখন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং তার পরবর্তী পরিস্থিতির কারণে বিশ্ব অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধির কারণে বিশেষ করে বিমসটেকের মতো দেশগুলোর জনগনের জীবন-জীবিকা কঠিন হয়ে উঠতে শুরু করেছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর থেকেই আঞ্চলিক সহযোগিতার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম দক্ষিণ এশিয়ায় প্রতিবেশিদের সঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে আঞ্চলিক সহযোগিতার স্বপ্ন দেখেছিলেন।
কলম্বোতে ৫ম বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলন শুরু
শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোতে বুধবার সকালে বঙ্গোপসাগরীয় বহুমাত্রিক কারিগরি ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোট বিমসটেকের ৫ম শীর্ষ সম্মেলন শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যথাক্রমে ঢাকা এবং নয়াদিল্লি থেকে ভার্চুয়ালি শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন।
বিমসটেক কনভেনশনে ফৌজদারি বিষয়গুলোর পারস্পরিক আইনি সহায়তা সম্পর্কিত সদস্য রাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, বিচারমন্ত্রী বা তাদের মনোনীতরা স্বাক্ষর করবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সম্মেলনে বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টোরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন (বিমসটেক) হলো বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মিয়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা এবং থাইল্যান্ড মিলিয়ে একটি সাত-জাতীয় আঞ্চলিক সংস্থা।
পড়ুন: শ্রীলঙ্কার ঋণের অনুরোধ বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি: মোমেন
গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলোতে সহযোগিতা জোরদারে নজর ঢাকা-কাঠমান্ডুর
গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলোতে সহযোগিতা জোরদারে নজর ঢাকা-কাঠমান্ডুর
বাংলাদেশ ও নেপাল উচ্চ পর্যায়ের সফর বিনিময়সহ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছে।
মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার রাজধানীতে ১৮তম বিমসটেক মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের পাশাপাশি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. নারায়ণ খাদকার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। বৈঠকে দু’দেশ সহযোগিতার ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা করেন।
দুই দেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন করছে।
বৈঠকের পর সচিব (পূর্ব) মাশফি বিনতে শামস ইউএনবিকে বলেন, দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলডিসি থেকে উত্তরনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে অভিন্ন পদ্ধতির সাহায্যে একসঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে বৃহত্তর সহযোগিতা দেখছেন চীনা নেতারা
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সহযোগিতা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি, সংযোগ, জনগণের মধ্যে যোগাযোগ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বৈঠকে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় নেপালের জনগণ ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের কাছ থেকে পাওয়া অটুট সমর্থনের প্রশংসা করেন।
নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিভিন্ন স্নাতক ও স্নাতকোত্তর কোর্সের জন্য বিপুল সংখ্যক নেপালি শিক্ষার্থীকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের তাদের নিজ দেশে দ্রুত প্রত্যাবাসনে নেপালের সহায়তা চেয়েছেন।
দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিভিন্ন আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক ফোরামে একে অপরকে সহযোগিতা করার অঙ্গীকার করেছেন।
বুধবারের বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বর্তমানে কলম্বোতে রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা থেকে র্ভাচুয়ালি অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক সম্প্রসারণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যুক্তরাষ্ট্র: ব্লিঙ্কেন