ড্যাপ
ড্যাপের অনুসরণে নতুন ১৮ ওয়ার্ডের সড়ক অন্তর্জাল সৃষ্টি করা হবে: ডিএসসিসি মেয়র
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস জানিয়েছেন, বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) অনুসরণ করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অধিভুক্ত নতুন ১৮ ওয়ার্ডের সড়ক অন্তর্জাল সৃষ্টি করা হবে।
তিনি জানান, আমরা পরিকল্পিত নগরায়নের দিকে নজর দিয়েছি। এজন্য আমরা মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করছি। এরই মধ্যে বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনায় তা (ড্যাপে) অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: মেয়র হানিফ উড়ালসেতুর নিচে সৌন্দর্যবর্ধন নিশ্চিত করা হবে: ডিএসসিসি মেয়র
রবিবার (২৫ জুন) সকালে ডেমরার কয়েতপাড়া এলাকায় ৭০ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রের উদ্বোধন শেষে মেয়র তাপস গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ তথ্য জানান।
মেয়র বলেন, সেটা অবলম্বন করে আমাদের নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের পুরো সড়ক ব্যবস্থাপনা বা সড়ক অন্তর্জাল (নেটওয়ার্ক) সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কার্যক্রমের প্রস্তুতি আমরা প্রায় সম্পন্ন করে ফেলেছি।
তিনি বলেন, আগামী অর্থবছরে আমরা এ নতুন ১৮টি এলাকায় বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনায় যে সড়কগুলো চিহ্নিত করা আছে, যেভাবে প্রশস্ততা চিহ্নিত আছে এবং আরএসটিপির মাধ্যমে যেভাবে চিহ্নিত আছে এগুলো আমরা আমাদের পরিকল্পনার আওতায় নিয়ে এসেছি।
রাজস্ব আয় বাড়ার কারণে নতুন ১৮ ওয়ার্ডের জন্যও নিজস্ব অর্থায়নে অনেক কাজ সম্পাদন করা সম্ভব হবে জানিয়ে মেয়র তাপস বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এরই মধ্যে আজ পর্যন্ত এক হাজার কোটি টাকার ঊর্ধ্বে (রাজস্ব) আয় করেছে।
সুতরাং এ কার্যক্রমগুলো (সড়ক প্রশস্তকরণ, নতুন সড়ক নির্মাণ) করতে এখন আমরা স্বাবলম্বী। নিজস্ব অর্থায়নে আমরা এখন অনেক কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব। সে প্রেক্ষিতে আমাদের আসন্ন অর্থবছরের বাজেটে ১৮টি ওয়ার্ডে সড়ক অন্তর্জাল (নেটওয়ার্ক) সৃষ্টি করতে আমরা আলাদা বাজেট বরাদ্দ রাখব।
ধাপে ধাপে সব ওয়ার্ডের জন্যই বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র নির্মাণের কার্যক্রম পুরোদমে এগিয়ে চলেছে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, আজ আমরা ৭০ নম্বর ওয়ার্ডের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র উদ্বোধন করলাম।
এর ফলে আর মাত্র ১২টি ওয়ার্ডে আমাদের অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র নির্মাণ কার্যক্রম বাকি রয়েছে। ধাপে ধাপে আমরা সেটিও সম্পন্ন করতে পারব।
দীর্ঘ ৫০ বছরে মাত্র ২৪টি বর্জ্য স্থানান্তরকেন্দ্র নির্মাণ হয়েছিল। এ যাবৎ আমরা সব মিলিয়ে ৬৩টি ওয়ার্ডের জন্য বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র নির্মাণ সম্পন্ন করতে পেরেছি।
আরও পড়ুন: অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ঘুরে দাঁড়াতে পর্যাপ্ত অনুদান দেবেন প্রধানমন্ত্রী: ডিএসসিসি মেয়র
আগামী বর্ষায় ১৫ মিনিটে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশিত হবে: ডিএসসিসি মেয়র
ডিসেম্বর-জানুয়ারির মধ্যেই ড্যাপ চূড়ান্ত হবে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, আগামী ডিসেম্বর বা জানুয়ারির মধ্যে ডিটেইল্ড এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) চুড়ান্ত করে গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে।বুধবার স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ডিটেইল্ড এরিয়া প্ল্যান-ড্যাপ এর উল্লেখিত ভূমি ব্যবহারের শ্রেণি পরিবর্তন সংক্রান্ত আবেদনগুলো যাচাই বাছাইয়ের আগে মন্ত্রিসভা কমিটির কাছে সুপারিশ প্রণয়নের লক্ষ্যে গঠিত কারিগরি কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন।স্থানীয় সরকারমন্ত্রী ও ড্যাপ বাস্তবায়ন রিভিউ কমিটির আহ্বায়ক জানান, ‘ড্যাপ চুড়ান্ত করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে সকল পক্ষ যেমন নগর পরিকল্পনাবিদ, স্থাপত্যবিদ, রিহ্যাব, বিএলডিএসহ বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার এবং ড্যাপের সাথে সভা করে তাদের মতামত ও পরামর্শ নেয়া হয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ডিসেম্বর অথবা জানুয়ারির মধ্যেই ড্যাপ চুড়ান্ত করে গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে।’
আরও পড়ুন: জোনভিত্তিক লকডাউন: মন্ত্রণালয় গঠিত কমিটিগুলোকে সক্রিয় করার নির্দেশ স্থানীয় সরকার মন্ত্রীরড্যাপের আহ্বায়ক হওয়ার পর একটি মন্ত্রীসভা কমিটির সভা আয়োজন করা হয়েছিল এবং অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে উল্লেখ করের মো. তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, করোনার মহাসংকটের কারণে ইচ্ছা থাকা সত্বেও আর মন্ত্রী সভার আয়োজন করা যায় নি। তবে বিভিন্ন সময় ছোট করে অনেক সভা করেছি। এখন করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় আমরা আবার কাজ শুরু করেছি। ড্যাপকে চূড়ান্ত করে গেজেট প্রকাশ করার জন্য প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। আমরা চাই দ্রুত কাজ শেষ করতে। ডিসেম্বর অথবা জানুয়ারির মধ্যেই শেষ করার জন্য কাজ করছি। দ্রুত শেষ করার জন্য সকলে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।মন্ত্রী বলেন, ঢাকা শহরে কোটিরও বেশি মানুষ বসবাস করে। এই শহরের সঠিক পরিকল্পনা ছাড়া এবং বিধি বহির্ভূতভাবে অনেক অবকাঠামো নির্মাণ হয়েছে যা রাজধানীর সোন্দর্য মলিন করে দিয়েছে। এপ্রসঙ্গে মন্ত্রী আরও বলেন, এই শহরে নকশা অনুযায়ী ভবন নির্মাণ হয় না। আবার সরকারি খাল-বিল দখল করে বড় বড় বিল্ডিং নির্মাণ করা হয়। কোনো অবস্থাতেই এসব আর করতে দেয়া যাবে না। নকশা এবং বিল্ডিং কোড মেনে ভবন নির্মাণ করতে হবে। ভবন নির্মাণে প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্টদের সবচেয়ে বেশি সচেতন হয়ে ভূমিকা রাখার আহ্বানও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: করোনা প্রতিরোধে সমন্বিত প্রচেষ্টার বিকল্প নেই: স্থানীয় সরকার মন্ত্রীতিনি বলেন, ঢাকাকে আধুনিক, দৃষ্টিনন্দন ও বসবাসের উপযোগী করে গড়ে তোলার জন্য যে সমস্ত বিষয়গুলো আমলে নেয়া দরকার তা পর্যালোচনা করে ড্যাপে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এটি চুড়ান্ত করার পর বাস্তবায়িত হলে ঢাকার অনেক পরিবর্তন আসবে।
সভায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান এবং ড্যাপের প্রকল্প পরিচালক আশরাফুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর, সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকাকে বাসযোগ্য করতে জনঘনত্ব নির্ধারণে পরিকল্পনা প্রণয়ন করছে সরকার
বর্তমান বিশ্বে জনসংখ্যার ঘনত্ব জানা শহরের পরিকল্পনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক উল্লেখ করে ঢাকাকে বাসযোগ্য করে তোলার জন্য জনসংখ্যার ঘনত্ব নির্ধারণে একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
ঢাকাকে আধুনিক, বাসযোগ্য করতে বিশেষ পরিকল্পনা: মন্ত্রী
ঢাকা নগরীকে আধুনিক ও বাসযোগ্য নগরীতে রুপান্তরিত করতে একটি বিশেষ পরিকল্পনা ও ন্যাশনাল ডাটা ব্যাংক তৈরি করা হবে বলে রবিবার জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী ও ড্যাপের আহ্বায়ক মো. তাজুল ইসলাম।