বন্ধু
আয়ারল্যান্ডকে ইউরোপীয় ইউনিয়নে বন্ধু হিসেবে দেখা উচিত বাংলাদেশের: আইরিশ মন্ত্রী
আয়ারল্যান্ডের এন্টারপ্রাইজ, ট্রেড অ্যান্ড ইমপ্লয়মেন্ট বিষয়ক মন্ত্রী সাইমন কোভনি বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) বন্ধু হিসেবে আয়ারল্যান্ডকে পাবে বাংলাদেশ এবং দুই দেশ বৃহত্তর ক্ষেত্রে 'ঘনিষ্ঠ ও আরও কাঠামোগত সহযোগিতা' গড়ে তুলতে ইচ্ছুক।
চলতি সপ্তাহে ঢাকায় দুই দিনের সরকারি সফর শেষ করার আগে ইউএনবিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
কোভনি বলেন, 'আমি যেটি বলতে চাই তা হলো বাংলাদেশের উচিত আয়ারল্যান্ডকে ইউরোপীয় ইউনিয়নে বন্ধু হিসেবে দেখা। যদি তারা ইউরোপীয় কমিশনের সঙ্গে কিছু কঠিন বিষয় নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করে, তাহলে আয়ারল্যান্ড তাদের জন্য সমস্যাগুলো উত্থাপন করতে পারে এবং সম্ভাব্যভাবে তাদের সঙ্গে কাজ করতে পারে।’
আয়ারল্যান্ডের মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ২০২৬ থেকে ২০২৯ সাল পর্যন্ত উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে অন্তর্বর্তীকালীন সময় এবং এরপর বাংলাদেশ জিএসপি প্লাস সুবিধা চাইবে, যা শুল্ক ও বাণিজ্যের সুযোগের ক্ষেত্রে কার্যকরভাবে অগ্রাধিকারমূলক অবস্থান।
কোভনি বলেন, ‘আমি মনে করি ইইউ এ ব্যাপারে উন্মুক্ত। অবশ্যই, কিছু শর্ত থাকবে যা ইইউ বাংলাদেশের কাছ থেকেও চাইবে, শ্রম আইন, শ্রমিক অধিকার, পরিবেশগত বিষয়গুলোর সামগ্রিক আধুনিকীকরণ। ইইউর জন্য এটাই স্বাভাবিক। এটি প্রতিটি দেশের জন্য।’
তিনি বলেন, তারা সবসময় পরিবেশগত উন্নতি, কাজের পরিবেশ ও শ্রম উন্নয়নে জোর দেওয়ার চেষ্টা করেন। ‘আমি মনে করি যে এসব পুরণ করা সম্ভবপর।’
কোভেনির সঙ্গে এক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এলডিসিতে উন্নীত হওয়ার সময়ে ২০২৯ সাল পর্যন্ত ইইউর বাজারে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য সুবিধা উপভোগে বাংলাদেশের প্রচেষ্টায় আয়ারল্যান্ডের সমর্থন কামনা করেন।
এক প্রশ্নের জবাবে আয়ারল্যান্ডের মন্ত্রী বলেন, আয়ারল্যান্ড ও বাংলাদেশের অংশীদার হতে পারে এমন ক্ষেত্রগুলো নিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একটু কথা বলেছেন।
বাণিজ্যিক দৃষ্টিকোণ থেকে, তিনি বলেছিলেন, প্রযুক্তি, বিমানচালনা, খাদ্য ও পুষ্টি এবং ফার্মাসিউটিক্যালের মতো ক্ষেত্রে আইরিশ সংস্থাগুলোর জন্য এখানে অবশ্যই সুযোগ রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে কোভনি বলেন, এই সম্পর্ককে ঘিরে কীভাবে পরিকল্পনা তৈরি করা যায় তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, 'তিনি (সালমান) পরিষ্কার করেছেন যে, তিনি কয়েকজন মন্ত্রী ও ব্যবসায়ীকে নিয়ে আয়ারল্যান্ড সফর করতে চান, যাতে আমরা আয়ারল্যান্ড ও বাংলাদেশের মধ্যে অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার চেষ্টা করতে পারি।’
মন্ত্রী কোভনি বলেন, তারা অন্যান্য উপায়গুলোও দেখেছেন যাতে তারা এখানে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে সম্ভাব্য ইতিবাচক অবদান রাখতে পারে।
এখানে তৈরি করা অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে অন্য দেশগুলোর কোম্পানিগুলোকে আসতে এবং মানসম্পন্ন কর্মসংস্থান ও আয়ের ব্যবস্থা করতে উৎসাহিত করার বিষয়ে কথা বলেছেন তারা।
দুই দিনের সফরে কোভেনি নিম্ন আয়ের দেশ থেকে উচ্চতর আয়ের দেশে পরিণত হওয়া বাংলাদেশের অবস্থা এবং ইইউতে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকারের ক্ষেত্রে এটি কীভাবে সম্পর্কের পরিবর্তন করতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করেন।
তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন যে আয়ারল্যান্ড এমন একটি দেশ যারা ইইউতে বাংলাদেশের বন্ধু হতে চায়। ইইউ যাতে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি বোঝে তা নিশ্চিত করতে তারা ভবিষ্যতে তাদের সঙ্গে কাজ করতে পারে।
মন্ত্রী বলেন, 'আমি এখানে ইইউ দূতাবাসের উপপ্রধানের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি বলেছেন, ইইউ ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক কখনোই এখনকার চেয়ে ভালো ছিল না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি বলতে চাচ্ছি কোনো সম্পর্কই নিখুঁত নয়, তবে বর্তমানের সম্পর্কটি একটি ইতিবাচক, দৃঢ় সম্পর্ক।’
পাবনায় ১ হাজার টাকার জন্য বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন!
পাবনায় মাত্র এক হাজার টাকার জন্য বন্ধুকে খুনের অভিযোগে আব্দুস সামাদ ওরফে সম্রাট নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রবিবার (১৭ মার্চ) সকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মাসুদ আলম।
এর আগে শনিবার (১৬ মার্চ) তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ আটক ৬
নিহত আজাদ পাবনা সদর উপজেলার দাপুনিয়া ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়া গ্রামের আব্দুল হাকিমের ছেলে এবং গ্রেপ্তার আব্দুস সামাদ ওরফে সম্রাট একইগ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম জানান, গত ১১ মার্চ সাড়ে ৭টায় আজাদ তার মোটরসাইকেল নিয়ে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি। ১৩ মার্চ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আজাদের লাশ দাপুনিয়া ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়া গ্রামের মোশাররফ চেয়ারম্যানের খামারের পাশে লিচু বাগানে পাওয়া যায়। পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা আব্দুল হাকিম বাদি হয়ে ১২ মার্চ বিকালে পাবনা সদর থানায় নিখোঁজ জিডি করেন।
তদন্তের পর অভিযুক্ত আব্দুস সামাদ ওরফে সম্রাটকে শনিবার দুপুরে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আজাদ হত্যার কথা স্বীকার করেন সম্রাট।
সম্রাট জানান, সম্রাটের কাছ থেকে এক হাজার টাকা পেতেন আজাদ। টাকা চাওয়ার পর থেকেই তাদের দন্দ্ব। তারই জের ধরে আজাদকে হত্যা করেন সম্রাট।
এ ঘটনায় হত্যার দায় স্বীকার করে শনিবার বিকেলে বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন সম্রাট। পরে তাকে সদর থানার মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
মোবাইল চুরির অপবাদে অটোরিকশাচালককে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ৩
বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু মালয়েশিয়া: পলক
বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া ভ্রাতৃপ্রতীম দুইটি দেশের মধ্যকার বিদ্যমান সম্পর্ক তুলে ধরে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, মালয়েশিয়া বাংলাদেশের এক অকৃত্রিম বন্ধু।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় ডাকভবনের দপ্তরে বাংলাদেশে মালয়েশিয়ার হাই কমিশনার হাজনা মো. হাসিম প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতকালে এ কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: চবি সাংবাদিকতা বিভাগ অ্যালামনাইয়ের বার্ষিক পুনর্মিলনী উপলক্ষ্যে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত
সাক্ষাৎকালে তারা দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিশেষ করে টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাত সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে মতবিনিময় করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার কৃষ্টি, সংস্কৃতি প্রায় অভিন্ন হওয়ায় বাংলাদেশের মানুষ বৈদেশিক কর্মক্ষেত্র হিসেবে মালয়েশিয়ায় অত্যন্ত স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে।
প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব আহমেদ ওয়াজেদের দিকনির্দেশনা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য অত্যন্ত লাভজনক জায়গা হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে বলে উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন ও প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বের কথাও তুলে ধরেন পলক।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে ইরানের ইসলামি বিপ্লবের ৪৫তম বিজয় বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
সরকারের বিনিয়োগবান্ধব নীতির এই সুযোগ কাজে লাগাতে মালয়েশিয়া ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
হাইকমিশনার বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতের অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্কের জন্য মালয়েশিয়া অত্যন্ত গর্বিত।
এর আগে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ডাকভবনে ডাক অধিদপ্তরে ডাকঘরের স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্ট স্থাপন বিষয়ক আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্মার্ট ডাকঘর নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দেন।
পরে প্রতিমন্ত্রীর উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানে ডাক অধিদপ্তর ও মধুমতি ব্যাংকের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
আরও পড়ুন: প্রতিবন্ধীরা ‘কর্মক্ষেত্রে বেশি মনোযোগী ও দায়িত্বশীল’: পলক
পথচারীকে বাঁচাতে গিয়ে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ২ বন্ধু নিহত
যশোরের শার্শায় পথচারীকে বাঁচাতে গিয়ে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই বন্ধু নিহত হয়েছেন। এ সময় গুরুতর আহত হয়েছেন আরেক বন্ধু।
শুক্রবার (৬ অক্টোবর) রাত ১১টার দিকে যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের শার্শা বাজার ভূমি অফিসের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ৪
নিহত দুই বন্ধু হলেন- গোলাম ফারুক ও সোহেল রানা এবং আহত হয়েছেন রাজ কুমার রায় রাজন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মোটরসাইকেল আরোহী তিন বন্ধু বেনাপোল থেকে যশোরের অভিমুখী আসছিলেন। পথে শার্শা বাজার ভূমি অফিসের সামনে পৌঁছালে রাস্তা পার হতে থাকা এক পথচারীকে বাঁচাতে গিয়ে মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। এ সময় গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ঘটনাস্থলেই সোহেল রানা নিহত হন।
খবর পেয়ে বেনাপোল ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আহত অবস্থায় গোলাম ফারুক ও রাজ কুমারকে উদ্ধার করে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক গোলাম ফারুককে মৃত ঘোষণা করেন। আহত রাজ কুমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
নাভারণ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন: যশোরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ১
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালক নিহত
সাতক্ষীরায় ছেলের বন্ধুদের হাতে বাবা নিহত
সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটায় কলেজ পড়ুয়া ছেলের বন্ধুদের হাতে নিহত হয়েছে ফারুক হোসেন (৪৫) নামের এক ব্যক্তি।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পাটকেলঘাটা থানার ধানদিয়া কাটাখালি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পরিবারের দাবি, কলেজ পড়ুয়া ছেলের মারধরের প্রতিবাদ করতে গিয়ে ফারুক মারপিটের শিকার হয়ে মারা যান।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পাটকেলঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব হোসেন জানান, ফারুক হোসেনের ছেলে সাগর হোসেন বাদশা ধানদিয়ার বেগম খালেদা জিয়া কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী। মঙ্গলবার ব্যবহারিক পরীক্ষা দিয়ে বাদশা তার অপর দুই বন্ধু নয়ন হোসেন ও লাকী হোসেনের সঙ্গে বাইসাইকেলে বাড়ি ফিরছিল।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় ট্রাকচাপায় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নিহত
পথিমধ্যে কাটাখালি এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাদশার সঙ্গে তার অপর দুইবন্ধুর কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে হাতা-হাতিতে রূপ নেয়। বিষয়টি বাদশার বাবা ফারুক হোসেনের কানে পৌঁছালে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে নয়ন ও লাকীকে বকাঝকা করে।
তিনি বলেন, অপমানের প্রতিশোধ নিতে নয়ন তার মামা কৃষ্ণনগর গ্রামের রুবেল হোসেনকে ফোন দেয়। রুবেল কয়েকজন সন্ত্রাসীকে সঙ্গে নিয়ে লাটি দিয়ে ফারুক হোসেনকে বেধড়ক পেটায়। এতে ফারুক হোসেন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে ফারুক হোসেন মারা যায়।
ওসি আরও বলেন, ফারুক হোসেনের মৃত্যুর খবর শুনে আমি ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে রয়েছি। পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত
সাতক্ষীরায় ট্রাক উল্টে ২ শ্রমিক নিহত, আহত ১২
পাকিস্তানের বন্ধুদের হাতে এই দেশ ছেড়ে দিব না: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি সহিংসতার মাধ্যমে নির্বাচন বানচালের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আর ছাড় নয়, পাকিস্তানের বন্ধুদের হাতে এই দেশ ছেড়ে দিব না। তাদের হাতে দেশ, গণতন্ত্র, মুক্তিযুদ্ধ,উন্নয়ন কিছুই নিরাপদ নয়।’
মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি দেশের জন্য শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের লড়াই করে যাওয়ারও আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: বিএনপির ২৭ তারিখের সমাবেশ ঘিরে সংঘাতের আশঙ্কা নেই: কাদের
বিএনপির স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাবে: কাদের
বিদেশি বন্ধুদের সমর্থন চেয়ে ব্যর্থ হয়েছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি বিদেশি বন্ধুদের কাছে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে যে পক্ষপাতমূলক সমর্থন চেয়েছিল সেটা ব্যর্থ হয়েছে।
তিনি শুক্রবার (১৪ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডিতে দলীয় সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিদেশিরা কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নয়, তারা বৈঠক করেছেন স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র, বিশেষত প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে।
বিদেশি বন্ধুরা আসার আগে বিএনপি তাদের অপপ্রচারের মাধ্যমে এমন আশঙ্কা তৈরির চেষ্টা করেছিল যে- এবার বুঝি সরকারের রেহাই নেই। নিষেধাজ্ঞা আসছে। আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ভিসানীতি সরকারকে বিপদে ফেলবে। সরকারকে হয়ত ফাইনালি বলে দেবে এভাবে নির্বাচন করতে, তত্ত্বাবধায়ক হয়ে যাবে, প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে - এ রকম চেয়েছিল বিএনপি। শেষ পর্যন্ত কী হলো?
আরও পড়ুন: নির্বাচন হবে দেশের সংবিধান অনুযায়ী: ওবায়দুল কাদের
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিদেশি বন্ধুরা মূলত অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চায়। কাউকে ধমক, নিষেধাজ্ঞা, ভিসানীতি প্রয়োগ হবে এমন কোনো উক্তি তারা করেননি। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা তারা বলেননি।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য শান্তিপূর্ণ পরিবেশ দরকার। সে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ আমরা রক্ষা করব। কারো কোনো উস্কানিতে, খারাপ ব্যবহারে সে পরিবেশ ক্ষুণ্ন হয়েছে - এই দুর্নামটা নিতে চাই না।
বিএনপিকে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, জনগণের প্রতি আস্থা থাকলে পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার ষড়যন্ত্র পরিহার করে নির্বাচন করুন। কিন্তু বিএনপির নেতা-কর্মীরা যে মনোভাব প্রদর্শন করছে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করতে সন্ত্রাস, অগ্নিসংযোগ, নির্বাচনকে ভণ্ডুল করার যে অপচেষ্টা আছে তার দায় বিএনপিকে নিতে হবে।
ওবায়দুল কাদের প্রশ্ন রেখে বলেন, বিএনপির দফা কয়টা? দল কয়টা? রাষ্ট্র মেরামতের জন্য এখন ৩২ দফা, আগে ছিল ২৭ দফা। এই আন্দোলন, এক দফার জগাখিচুড়ি ঐক্যের পরিণতি গতবারও দেখেছি, এবারও সেদিকেই যাচ্ছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি আসলে চিত্রটা বুঝে গেছে। ডিসেম্বর থেকে যে তোড়জোড় করছে গণঅভ্যুত্থান নিয়ে। আর বাস্তবতা হলো গণঅভ্যুত্থানের ডাক দিয়ে সেখান থেকে পদযাত্রা। কতটা অবনতি হলে তারা এটা করে। তাদের কর্মীরা এখন হতাশ, নেতাদের দোষারোপ করছে। সরকার পতনের এক দফার ডাক দিয়ে পদযাত্রায় গেল। এর কারণ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। যার জনপ্রিয়তাকে ভয় পায় বিএনপি।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এখন থেকে দলীয় যে সমাবেশ হবে তার শিরোনাম হবে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ।
আরও পড়ুন: বিএনপির অনেক নেতা তলে তলে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে: ওবায়দুল কাদের
মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হোন: ওবায়দুল কাদের
কিশোরগঞ্জে বন্ধুর বিয়েতে গিয়ে হাওরে ডুবে ২ যুবকের মৃত্যু, বর হাসপাতালে
কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে বন্ধুর বিয়েতে বেড়াতে গিয়ে হাওরের পানিতে ডুবে দুই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ জুলাই) দুপুরে উপজেলার গুনধর ইউনিয়নের গুন্দর হাওরে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
এছাড়া তাদের সঙ্গে থাকা আরেক বন্ধু (বর) আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে হাওরে ডুবে ৩ ভাইবোনের মৃত্যু
নিহতেরা হলেন- ঢাকার তেজগাঁও নাখালপাড়া মহল্লার কামাল উদ্দিনের ছেলে শরফুদ্দিন রাফু (২৪) এবং একই এলাকার লাল মিয়ার ছেলে লিমন ইসলাম (২৩)।
স্থানীয়রা জানায়, গতকাল সোমবার তৌকিরের বিয়ে ছিল। মঙ্গলবার পাশের গ্রামে তৌকিরের মামাবাড়িতে বৌভাত আয়োজন করা হয়। এদিন দুপুরে ফুটবল খেলেন তারা, এরপর বেলা ১২টার দিকে গুন্দর হাওরে গোসল করতে নেমে পানিতে তলিয়ে যান তিন বন্ধু। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে রাফু ও লিমনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। আহত তৌকির কিশোরগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে এখনও চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গুনধর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য দীন ইসলাম বলেন, পাশের গ্রামে তৌকিরের বাড়ি, সে তার মামা মানিক মিয়ার বাড়িতে বৌভাত আয়োজন করে। দুপুরে বাড়ির নামায় ফুটবল খেলে গোসল করতে গিয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
করিমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামছুল আলম সিদ্দিকী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে পুকুরে ডুবে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
চট্টগ্রামে পুকুরে ডুবে শিশুসহ ২ জনের মৃত্যু
ঝিকরগাছায় ২৪০০ টাকার জন্য বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন!
যশোরের ঝিকরগাছায় ২৪০০ টাকা পাওনা আদায়ের জেরে এক যুবকের বিরুদ্ধে তার বন্ধুকে খুনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার শিওরদাহ গ্রামে একটি নির্মাণাধীন ভবনে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে।
অভিযুক্ত ইমরান সর্দার (২৩) শিওরদাহ গ্রামের মোহাম্মদ আজিজুর সরদারের ছেলে।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে ধারের ১০০ টাকার জন্য বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন!
নিহত আল আমিন (২৫) বাউশা গ্রামের আবুল কালাম আজাদের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত আল আমিনের সঙ্গে অভিযুক্ত ইমরানের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। শনিবার রাত দেড়টার দিকে আল আমিন তার বাড়ির পাশে একটি নির্মাণাধীন বাড়ির দুই তলার ছাদে অবস্থান করছিল।
খবর পেয়ে ইমরান তার পাওনা ২৪০০ টাকা আদায়ের জন্য সেখানে যায়। একপর্যায়ে বাকবিতণ্ডার জেরে রড দিয়ে আল আমিনের মাথায় বাড়ি দিলে সে ছাদের ওপর লুটিয়ে পড়ে। পরে সে দোতলার ছাদ থেকে নিচে পড়ে যায়।
রবিবার সকালে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে যশোর সদর হাসপাতালে পাঠালে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত ইমরানকে গ্রেপ্তার করেছে।
ঝিকরগাছা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন ভক্ত জানান, এ ঘটনায় নিহতের নানা মোসলেম আলী বিশ্বাস বাদী হয়ে মামলা করেছেন। পুলিশ আসামিকে আদালতে সোপর্দ করেছে। ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
নাভারণ সার্কেলের সিনিয়র এএসপি নিশাত আল নাহিয়ান জানান, অভিযুক্ত ইমরান সর্দার ও নিহত আল আমিন একে অপরের বন্ধু ছিল। শনিবার গভীর রাতে পাওনা টাকা আদায়ে কথা কাটাকাটির জেরে ইমরান রড দিয়ে আল আমিনের মাথায় আঘাত করে পালিয়ে যায়।
পরদিন সকালে তাকে হাসপাতালে পাঠালে সেখানে সে মারা যায়। এ ঘটনায় ঘাতক ইমরানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। হত্যায় ব্যবহৃত রড ও একটি রক্তমাখা জামা জব্দ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে মদ নিয়ে দ্বন্দ্ব, বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন
সুনামগঞ্জে লেনদেনের অর্থ নিয়ে কথা কাটাকাটি, বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন
কক্সবাজারে ২৫ দিন পর নিখোঁজ ৩ বন্ধুর লাশ উদ্ধার
কক্সবাজারের টেকনাফে পাত্রী দেখতে গিয়ে নিখোঁজ তিন বন্ধুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (২৪ মে) দুপুর ১ টার দিকে তাদের লাশের সন্ধান পেয়ে সেখানে যান র্যাব ও পুলিশের দুটি দল।
নিহতরা হলেন- ঈদগাঁও উপজেলার জালালাবাদ সওদাগর পাড়া এলাকার মোহাম্মদ ইউছুপ, চৌফলদন্ডী ইউনিয়নের রুবেল এবং কক্সবাজার শহরের নুনিয়াছড়া এলাকার ইমরান।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি সূত্র জানিয়েছে, টেকনাফ দমদমিয়া পাহাড়ি এলাকা থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, অপহৃত তিন বন্ধু গত মাসের ২৮ এপ্রিল টেকনাফে পাত্রী দেখতে আসে। পথিমধ্যে সড়ক থেকে তাদের বহনকারী সিএনজি থামিয়ে একদল অপহরণকারীরা পাহাড়ের গহীন জঙ্গলে নিয়ে যায়। পরে তাদের ছেড়ে দিতে ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে নির্যাতনের ভিডিও পাঠায়।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলার ডুবিতে নিহত ১, উদ্ধার ১৩
ঘটনার পর থেকে পরিবারের সদস্যরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কয়েকটি সংস্থায় যোগাযোগ রক্ষা করে। কিন্তু গহীন জঙ্গল এবং অপহরণকারীরা বার বার স্থান পরিবর্তন করায় উদ্ধার এবং কাউকে আটক করা যায়নি।
তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনায় জড়িত একজনকে আটক করে র্যাব। পরে তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল হালিম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ এবং র্যাবের কয়েকটি টিম গভীর পাহাড়ে অভিযান শুরু করেছে। আটককৃত অপহরণকারীর দেখানো মতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে সমুদ্রে নেমে আরও এক পর্যটক নিখোঁজ
কক্সবাজারে সমুদ্রে গোসলে নেমে পর্যটকের মৃত্যু