সালমান এফ রহমান
সালমান এফ রহমান ও তার ছেলেকে পুঁজিবাজারে আজীবন অবাঞ্ছিত ঘোষণা
শেখ হাসিনা সরকারের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং তার ছেলে আইএফআইসি ব্যাংকের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ শায়ান এফ রহমানকে পুঁজিবাজারে আজীবন অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
বুধবার (৩০ জুলাই) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি জানায়, বিএসইসির ৯৬৫তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কমিশন চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে এ সভায় সালমান ও তার পুত্র শায়ানকে নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি সালমানকে ১০০ কোটি টাকা এবং শায়ানকে ৫০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
কমিশন গঠিত পুঁজিবাজার অনুসন্ধান ও তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, আইএফআইসি ব্যাংকের তৎকালীন চেয়ারম্যান সালমান ও ভাইস চেয়ারম্যান শায়ান 'আইএফআইসি আমার বন্ড' নামে বাজারে আইএফআইসি ব্যাংকের ইস্যু করা— এমন ধারণা দিয়ে যে বন্ড ছেড়েছিল তা আদৌ ব্যাংকটির ইস্যুকৃত না। আইএফআইসি ব্যাংক বন্ডটির জামিনদার ছিল কিন্তু ইস্যু করা বন্ড থেকে টাকা তুলেছে শ্রীপুর টাউনশিপ লিমিটেড নামের একটি রিয়েল স্টেট কোম্পানি।
এতে করে ব্যাংকের বন্ডের কথা বলে রীতিমতো বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। ২০২৩ সালে ৪ জুন ১০০০ কোটি টাকা ইস্যু মূল্যের অনুমোদিত এ বন্ডের পুরো প্রক্রিয়াই কমিশনের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হিসেবে তদন্তে উঠে এসেছে।
পড়ুন: ৭ দিনের রিমান্ডে সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল
সালমান এবং শায়ান ছাড়াও বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে বন্ড প্রতারণার দায়ে ইস্যু করা বন্ডের অ্যাডভাইজর অ্যান্ড অ্যারেঞ্জার আইএফআইসি ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেডের সাবেক প্রধান নির্বাহী (সিইও) ইমরান আহমেদকে পাঁচ বছরের জন্য পুঁজিবাজারের সব ধরণের কার্যক্রম থেকে নিষিদ্ধ করেছে কমিশন।
প্রশ্নবিদ্ধ এ বন্ড অনুমোদন দেওয়ায় বিএসইসির তৎকালীন চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামকে আজীবন নিষিদ্ধ এবং তৎকালীন কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদকে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এছাড়া আইএফআইসি ব্যাংকের তৎকালীন পরিচালক শাহ আলম সারওয়ারের বিরুদ্ধে এনফোর্সমেন্ট কার্যক্রম নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আইএফআইসি ব্যাংককে সতর্ক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
এর পাশাপাশি ব্যাংকটির সে সময়কার পরিচালক এআরএম নাজমুস সাকিব, গোলাম মোস্তফা, জাফর ইকবাল, কামরুন নাহার আহমেদ এবং সুধাংশু শেখর বিশ্বাসকে সতর্ক করবে কমিশন।
ইস্যু করা বন্ডের ক্রেডিট রেটিং প্রতিষ্ঠান হিসেবে এমার্জিং ক্রেডিট রেটিং লিমিটেডকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বন্ড প্রতারণায় জড়িত সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি।
১২৮ দিন আগে
রিমান্ডে আনিসুল, সালমান ও নুরু মিয়া, নতুন মামলায় গ্রেপ্তার আমু, ইনু-মেননসহ ৯
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর ধানমন্ডিতে মোহাম্মদ রিয়াজ (২৩) নামে এক যুবককে হত্যার মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং আওয়ামী লীগ নেতা নুরু মিয়ার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন ঢাকার একটি আদালত।
বুধবার (২৮ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহবুব শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
রিয়াজ হত্যা মামলায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান সিকদার সালমান এফ রহমান, আনিসুল হক, নুরু মিয়া ও সোহানুর রহমান আজাদের পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। আদালত আজ শুনানি শেষে আসামিদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। চার আসামির রিমান্ডের বিষয়ে শুনানি হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। সোহানুর রহমান আজাদের পক্ষে তার আইনজীবী জহিরুল ইসলাম রিমান্ড বাতিল ও জামিনের আবেদন করেন।
অন্য আসামিদের পক্ষে আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিলের আবেদন করেন, তবে শুনানি করেননি। পরে আদালত সোহানুর রহমান আজাদ ছাড়া তিন আসামির দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সোহানুর রহমান আজাদের রিমান্ড বিষয়ে পরে আদেশ দেয়া হবে বলে আদালত জানান।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ আগস্ট ধানমন্ডির সাইন্সল্যাব এলাকা থেকে জিগাতলায় যাওয়ার পথে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্মক আহত হন মোহাম্মদ রিয়াজ। দুই সপ্তাহ চিকিৎসাধীন থাকার পর গত বছরের ১৭ আগস্ট বিকেলে তিনি মারা যান। নিহতের মা মোসা. শাফিয়া বেগম ৯ সেপ্টেম্বর ধানমন্ডি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
নতুন মামলায় গ্রেপ্তার আমু, ইনু, মেননসহ ৯ জন
একই দিনে যাত্রাবাড়ী থানার বিভিন্ন মামলায় সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু, হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেননসহ নয়জনকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহবুব।
গ্রেপ্তার দেখানো অন্য আসামিরা হলেন সাবেক মন্ত্রী কামরুল ইসলাম, প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম, সাবেক সংসদ সদস্য মনিরুল ইসলাম মনু, সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর আলম ও আওয়ামী লীগ নেতা রজনী আক্তার টুসী।
আরও পড়ুন: ফের পেছাল সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন
সালমান এফ রহমানকে যাত্রাবাড়ী থানার একটি হত্যাচেষ্টা মামলায়, আনিসুল হককে একই থানার একটি হত্যা মামলায় ও একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন।
গ্রেপ্তার দেখানো আসামিদের মধ্যে আমির হোসেন আমুকে একটি হত্যাচেষ্টা মামলায়, ইনু ও মেননকে একটি হত্যাচেষ্টা ও দুটি হত্যা মামলায়, পলককে একটি হত্যাচেষ্টা ও একটি হত্যা মামলায়, মনিরুল ইসলাম মনুকে দুটি হত্যা মামলায়, কামরুল ইসলাম ও আতিকুল ইসলামকে একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় এবং জাহাঙ্গীর আলম ও টুসীকে একটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। সব মামলাগুলো যাত্রাবাড়ী থানার।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
১৯১ দিন আগে
জুলাই হত্যা মামলায় সালমান, আনিসুল ও চৌধুরী মামুন ফের রিমান্ডে
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে রাজধানীর বিভিন্ন থানার পৃথক তিন হত্যা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুর রহমান এই রিমান্ড আদেশ দেন।
এরমধ্যে যাত্রাবাড়ী থানার রাসেল হত্যা মামলায় পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের তিনদিন, ভাটারা থানার মনির হত্যা মামলায় সালমান এফ রহমানের তিনদিন ও বাড্ডা থানার আব্দুল জব্বার হত্যা মামলায় আনিসুল হকের দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।
এর আগে সংশ্লিষ্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা এসব মামলায় মামুনের সাতদিন, আনিসুল ও সালমানের পাঁচদিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন।
চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের পক্ষে তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে শুনানি করেন। সালমান এফ রহমান এবং আনিসুল হকের পক্ষে আইনজীবীরা শুনানি করেননি।
এদিকে, আদালত সূত্রে জানা গেছে, কদমতলী থানার এক মামলায় চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, আনিসুল হক, সালমান এফ রহমানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
আল মামুনের মামলা সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ীর কাজলায় ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেন ভুক্তভোগী মো. রাসেল। পরে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের গুলিতে নিহত হন তিনি।
আরও পড়ুন: ফের রিমান্ডে ইনু-মেনন-আনিসুল ও দীপু মনি
সালমান এফ রহমানের মামলা সূত্রে জানা যায়, ১৯ জুলাই মনির হোসেন ভাটারা থানা এলাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশ নেন। পরে পুলিশ ও আওয়ামীলীগ ক্যাডারদের গুলিতে নিহত হন তিনি।
এছাড়া, আনিসুলের মামলা সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ৫ আগস্ট আন্দোলনে অংশ নেন আব্দুল জব্বার সুমন। এদিন সন্ধ্যায় আসামিদের ছোঁড়া গুলিতে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। পরে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
গত ১৩ আগস্ট নৌপথে পলায়নরত অবস্থায় সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হককে সদরঘাট থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এছাড়াও গত ৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর উত্তরা থেকে পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের প্রত্যেককে দফায় দফায় রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
২১৯ দিন আগে
চট্টগ্রামে এনসিটি বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার বিরোধী জামায়াত
চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) বিদেশি প্রতিষ্ঠানের হাতে তুলে না দিয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পরিচালনার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
রবিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগর শাখা।
আরও পড়ুন: জামাতে নামাজ আদায়, ৩০০ শিশু-কিশোর পেল বাইসাইকেল
এ সময় সংগঠনের নগর শাখার আমির আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। এর মাধ্যমে আমদানি-রপ্তানির ৯২ শতাংশ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।’
‘এনসিটি টার্মিনাল বর্তমানে বন্দরের সর্বোচ্চ রাজস্ব আয়ের উৎস। এই স্বয়ংসম্পূর্ণ টার্মিনাল বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়া হলে তা হবে জাতীয় অর্থনীতির ওপর সরাসরি আঘাত।’
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, প্রায় ২০০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এনসিটি থেকে গত অর্থবছরে ১ হাজার ৩৬৭ কোটি টাকা আয় হয়েছে। বন্দরের মোট হ্যান্ডলিংয়ের ৫৫ শতাংশ হয় এই টার্মিনালে। এখানে প্রায় পাঁচ হাজার শ্রমিক-কর্মচারী কর্মরত আছেন, যাদের জীবিকার নিরাপত্তা এই টার্মিনালের সঙ্গে জড়িত।
এ সময় জামায়াত নেতার বলেন, ‘সাবেক সরকারের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এনসিটি টার্মিনাল বিদেশিদের কাছে হস্তান্তরের পেছনে সক্রিয় ছিলেন। এর মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় স্বার্থকে উপেক্ষা করে, শেখ পরিবারের অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষা করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: মাওলানা সাদ কান্ধলভীর নিরাপদ আগমনের দাবি তাবলিগ জামাতের কিছু অনুসারীর
‘এছাড়া পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল বিদেশি কোম্পানির কাছে তুলে দেওয়ার মতো চক্রান্তের পুনরাবৃত্তি এনসিটির ক্ষেত্রেও হচ্ছে। অথচ এনসিটি এখনও লাভজনক, প্রযুক্তিনির্ভর ও উন্নত একটি টার্মিনাল। নতুন কোনো বিনিয়োগ ছাড়াই এটি পরিচালনা সম্ভব। বিদেশি বিনিয়োগের বিরোধিতা নয়, বরং সেটি হওয়া উচিত নতুন প্রকল্প ও গ্রীনফিল্ডে— যেমন ইকোনমিক জোন ও বে-টার্মিনাল এলাকায়,’ বলেন তিনি।
এদিকে নিজস্ব অর্থায়নে তৈরি ও সফলভাবে পরিচালিত এনসিটি টার্মিনাল কেনো বিদেশি কোম্পানিকে দেওয়া হবে, সে প্রশ্ন তোলে জামায়াত। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নগর জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যক্ষ নুরুল আমিনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
২২৮ দিন আগে
সালমান এফ রহমান ও পরিবারের সদস্যদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
বেক্সিমকো গ্রুপের চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান, স্ত্রী সৈয়দা রুবাবা রহমান, ভাই আহমেদ সোহাইল ফসিহুর রহমান, ছেলে আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমান ও আহমেদ সোহাইলের ছেলে আহমেদ শাহরিয়ার রহমানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১০ মার্চ) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম বলেন, ‘দুদকের পক্ষ থেকে সালমান এফ রহমানসহ ৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করা হয়।’
আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেছেন বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সালমানের লন্ডনের সম্পদ জব্দসহ ব্যাংক-কোম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধ
মামলার অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, সালমান এফ রহমান ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে শেয়ারবাজার জালিয়াতি, প্লেসমেন্ট গে বিভিন্ন ব্যাংক হতে প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ গ্রহণের পর তা আত্মসাতসহ হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। এ অবস্থায় সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমন রহিত করা একান্ত আবশ্যক।
২৬৯ দিন আগে
সালমানের লন্ডনের সম্পদ জব্দসহ ব্যাংক-কোম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধ
সাবেক প্রধানমন্ত্রীর শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা ও বেক্সিমকো গ্রুপের চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমানের নামে লন্ডনে থাকা স্থাবর সম্পদ জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে বিদেশি দুই ব্যাংক হিসাব ও কোম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধ করা হয়েছে।
সোমবার (১০ মার্চ) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানান। এছাড়া দুদকের উপপরিচালক মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন এ আবেদন করেছিলেন।
আবেদনে বলা হয়, সালমান এফ রহমান ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে প্লেসমেন্ট শেয়ার কারসাজি ও প্রতারণার মাধ্যমে শেয়ারহোল্ডারদের হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট, অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে দেশের সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংক থেকে প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ গ্রহণ নিয়ে আত্মসাতসহ হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগ করা হয়েছে। অনুসন্ধানকালে সালমান এফ রহমান, তার পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠ অন্যান্যদের নামে ব্যাংক হিসাবসমূহের তথ্য পাওয়া যায়।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, তারা এসব ব্যাংক হিসাবসমূহ হস্তান্তর/স্থানান্তর/রূপান্তর করার চেষ্টা করছেন। এতে সফল হলে, অনুসন্ধানের ধারাবাহিকতায় মামলা দায়ের, আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল, আদালতে বিচার শেষে সাজার অংশ হিসেবে অপরাধলব্ধ আয় হতে অর্জিত সম্পত্তি সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্তকরণসহ সকল উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হবে। এজন্য সুষ্ঠু অনুসন্ধান ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে সালমান এফ রহমানের স্থাবর সম্পদ জব্দ ও অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ করা আবশ্যক।
আরও পড়ুন: হত্যা মামলায় সালমান, আনিসুল, পলক ও মবিনের ৪ দিনের রিমান্ড
এর আগে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সালমান এফ রহমান, তার পরিবারের সদস্য ও তার সহযোগীদের নামে থাকা ৩৭২টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দেন আদালত।
এসব হিসাবে সর্বমোট ৫৫ কোটি ৬ লাখ ৪৭ হাজার ১১৭ টাকা রয়েছে।
গত বছরের ১৩ আগস্ট রাজধানীর সদরঘাট এলাকা থেকে নৌপথে পালানোর সময় সালমান এফ রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাকে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে নেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন।
২৬৯ দিন আগে
সালমান এফ রহমান একজন প্রসিদ্ধ ডাকাত: জামায়াতের নায়েবে আমির
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ ডাক্তার আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, সালমান এফ রহমান একজন প্রসিদ্ধ ডাকাত। এমনিতে তাকে দরবেশ বলে? কারণ তিনি দাড়ি রেখে ডাকাতি করেন।
তিনি বলেন, সালমান এফ রহমানকে আগেই ধরা হয়েছিল। তার দাড়ি কামিয়ে লুঙ্গি পরিয়ে মানুষের সামনে আনা হয়। এমন জীবন কে চান?
আরও পড়ুন: কাতারের আমিরকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানালেন প্রধানমন্ত্রী
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতে কুমিল্লার একটি রেস্টুরেন্টে ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরামের (এনডিএফ) অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
নায়েবে আমির বলেন, দেশের একমাত্র সমস্যা দুর্নীতি। যারা এই দেশ শাসন করেছে এত বছর ধরে, তারা কেউই দুর্নীতি থেকে দেশকে রক্ষা করতে পারেনি। দুর্নীতি যদি বন্ধ হয়ে যায়, আমাদের জিডিপি দ্বিগুণ হয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, দুর্নীতিমুক্ত, জ্ঞানসম্পন্ন, নৈতিকতা সম্পন্ন ও মানবিক সমাজ আমাদের দরকার। এখন এটি অর্জনের সময় এসেছে। এটি ইতিহাসের একটি পরিবর্তন হতে পারে। আমরা এমন একটি জায়গায় পৌঁছেছি যা আমাদের জন্য একটা সুযোগ তৈরি করেছে। যদি এই সুযোগ আমরা কাজে লাগাতে না পারি তাহলে তো আগের মতোই হবে- যেই লাউ সেই কদু।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচন দিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বেশি সময় নেওয়া উচিত নয়: জামায়াত আমির
জামায়াত নেতা তাহের বলেন, এটি আমাদের তৃতীয় স্বাধীনতা। ১৯৪৭ সালে একবার, ১৯৭১ সালে একবার ও সর্বশেষ ২০২৪ সালে একবার। যদি ৭১ থেকে শুরু করেন তাহলে এটি আমাদের দ্বিতীয় স্বাধীনতা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জামায়াত ইসলামের নায়েবে আমীর ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন।
উপস্থিত ছিলেন জামায়াত ইসলামীর মহানগর আমির কাজী দ্বীন মোহাম্মদ, যুগ্ম সম্পাদক ডা. গিয়াস উদ্দিন, ডা. মো. আরিফ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. কাউছার হামিদসহ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
অনুষ্ঠানের অংশগ্রহণ করেন কুমিল্লার বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। এসময় ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ক্যারিয়ার গাইডলাইন বিষয়ক আলোচনা করেন সেন্ট্রাল মেডিকেল কলেজ মেডিসিন বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডা. মো. মাহবুবুল ইসলাম মজুমদার।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ঘৃণা ও বিভাজনের রাজনীতির কবর দিন: জামায়াত আমির
ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরাম কুমিল্লার সভাপতি ডা. জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন এনডিএফ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. জুয়েল রানা।
৪৩২ দিন আগে
৮৩ মিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগে সালমান এফ রহমানসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে ১৭ মামলা
রপ্তানি বাণিজ্যের আড়ালে ৮৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিদেশে পাচারের অভিযোগে বেক্সিমকো গ্রুপের কর্ণধার সালমান এফ রহমানসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে ১৭টি মামলা করেছে সিআইডি।
সিআইডির অনুসন্ধানে জানা যায়, বেক্সিমকো গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান ও তার ভাই বেক্সিমকো গ্রুপের চেয়ারম্যান এ এস এফ রহমান। বেক্সিমকো গ্রুপের মালিকানাধীন ১৭টি প্রতিষ্ঠান ২০২১ সাল থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে জনতা ব্যাংক থেকে ৯৩টি এলসি নিয়ে প্রায় ৮৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১০০০ কোটি টাকা) পণ্য সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করে।
বাংলাদেশের বিদ্যমান আইন অনুযায়ী পণ্য রপ্তানির ৪ মাসের মধ্যে দেশে রপ্তানিমূল্য আসতে হয়। তবে নির্ধারিত সময় পার হওয়ার পরও রপ্তানিমূল্য বাংলাদেশে আসেনি, যা বিদেশে অর্থ পাচারের প্রাথমিক সত্যতার প্রমাণ দেয়।
আরও পড়ুন: হত্যা মামলায় সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হকের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
ওই ১৭টি প্রতিষ্ঠান হলো- অ্যাডভেঞ্চার গার্মেন্টস লিমিটেড, অ্যাপোলো অ্যাপারেলস লিমিটেড, অটাম লুপ অ্যাপারেলস লিমিটেড, বেক্সটেক্স গার্মেন্টস লিমিটেড, কসমোপলিটান অ্যাপারেলস লিমিটেড, কোজি অ্যাপারেলস লিমিটেড, এসেস ফ্যাশন লিমিটেড, ইন্টারন্যাশনাল নিটওয়্যার অ্যান্ড অ্যাপারেলস লিমিটেড, কাঁচপুর অ্যাপারেলস লিমিটেড, মিডওয়েস্ট গার্মেন্টস লিমিটেড, পিয়ারলেস গার্মেন্টস লিমিটেড, পিংক মেকার গার্মেন্টস লিমিটেড, প্ল্যাটিনাম গার্মেন্টস লিমিটেড, স্কাইনেট অ্যাপারেলস লিমিটেড, স্প্রিংফুল অ্যাপারেলস লিমিটেড, আরবান ফ্যাশনস লিমিটেড ও উইন্টার স্প্রিন্ট গার্মেন্টস লিমিটেড।
বিদেশে রপ্তানি হওয়া পণ্যগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই বেক্সিমকো গ্রুপের মালিক সালমান এফ রহমানের পুত্র আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমান ও এ এস এফ রহমানের পুত্র আহমেদ শাহরিয়ার রহমানের যৌথ মালিকানাধীন আরআর গ্লোবাল ট্রেডিংয়ের (এফজেডই) শারজাহ, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও এবং সৌদি আরবের শাখায় রপ্তানি করা হয়েছে।
এছাড়াও জার্মানি, নেদারল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, তুরস্ক ও শ্রীলংকাসহ বিভিন্ন দেশেও পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে রপ্তানি মূল্য বাংলাদেশে না এনে তারা বিদেশে পাচার করেছেন বলে সিআইডির তদন্তে উঠে এসেছে।
সিআইডি জানায়, বৈদেশিক বাণিজ্যের আড়ালে বিদেশে টাকা পাচারের জন্যে নিজেদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে পণ্য রপ্তানি করে ইচ্ছাকৃতভাবে রপ্তানিমূল্য দেশে না এনে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ২(শ) এর (১৪) ও (২৬) ধারায় অপরাধ করেছে অভিযুক্তরা। যা একই আইনের ৪(২)/৪(৪) ধারা অনুযায়ী দণ্ডণীয় অপরাধ।
সালমান এফ রহমান ও তার সহযোগীরা ব্যক্তিগত প্রভাব ব্যবহার করে বিদেশে অর্থপাচার করেছে- অনুসন্ধানে এ তথ্য প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম বিভাগ ডিএমপির মতিঝিল থানায় ১৭টি মামলা করেছে।
এছাড়াও সালমান এফ রহমান ও বেক্সিমকো গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে-বেনামে প্রায় ৩৩ হাজার ৪৭০ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে বিদেশে পাচার ও অন্যান্য আর্থিক অনিয়মের অভিযোগের তদন্ত করছে সিআইডি।
আরও পড়ুন: সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হক সদরঘাট থেকে গ্রেপ্তার: ডিএমপি
৪৪৩ দিন আগে
সালমান, আকবর সোবহানসহ ৫ ব্যবসায়ীর হিসাব তলব করেছে এনবিআর
ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও জাতীয় সঞ্চয় কর্তৃপক্ষের কাছে পাঁচ ব্যবসায়ী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাবের বিস্তারিত তথ্য চেয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
তারা হলেন- সামিট গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আজিজ খান, ওরিয়ন গ্রুপের প্রধান মোহাম্মদ ওবায়দুল করিম, বেক্সিমকো গ্রুপের কো-ফাউন্ডার ও ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান, নাসা গ্রুপের চেয়ারপারসন নজরুল ইসলাম মজুমদার এবং বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা আহমেদ আকবর সোবহান।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল (সিআইসি) এ পদক্ষেপ নিয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজস্ব বাড়াতে করজাল সম্প্রসারণের কথা ভাবছেন এনবিআরের নতুন চেয়ারম্যান
এনবিআর সূত্র জানায়, এসব ব্যবসায়ী ও তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কর ফাঁকির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তাদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
আয়কর আইন ২০২৩-এর ২০০ ধারা অনুযায়ী, কোনো করদাতা শনাক্তকরণ নম্বরের (টিআইএন) বিপরীতে কোনো কর ফাঁকির বিষয়ে সন্দেহ হলে তার ব্যাংক হিসাবের তথ্য চাওয়ার ক্ষমতা এনবিআরের রয়েছে।
ব্যাংক ও এনবিএফআইগুলো আইন অনুসারে করদাতাদের অ্যাকাউন্টের তথ্য সরবরাহ করতে বাধ্য। ব্যাংক হিসাব লেনদেনের প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহে ব্যাংক কর্মকর্তাদের অসহযোগিতার ক্ষেত্রে কর আইনে দণ্ডের বিধান রয়েছে।
সম্প্রতি ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এনবিআরের কর অঞ্চল-১৫ থেকে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ সেলিম ও ব্যবসায়ী এস আলমের পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়।
আরও পড়ুন: শেখ সেলিম ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়েছে এনবিআর
৪৭০ দিন আগে
হত্যা মামলায় সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হকের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
রাজধানীর নিউমার্কেট থানায় করা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শিল্প বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে পুলিশ তাদের আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করলে ঢাকা মহানগর হাকিম মামুনুর রশীদ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: বিমানবন্দরে আটক সাবেক প্রতিমন্ত্রী পলক
এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তাদের আদালতে হাজির করা হয়।
আদালতে তাদের কারও পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) রাতে সালমান ও আনিসুলকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। এর আগে নিউমার্কেট থানায় দায়ের করা একটি হত্যা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মইনুল হাসান বলেন, রাজধানীর সদরঘাট এলাকা থেকে পালানোর চেষ্টাকালে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হক সদরঘাট থেকে গ্রেপ্তার: ডিএমপি
৪৭৭ দিন আগে