সংখ্যালঘু
সংখ্যালঘুদের বিপদে না ফেলতে সরকারের প্রতি আহ্বান মির্জা ফখরুলের
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যরা যাতে কোনো ধরনের হয়রানি বা ভোগান্তির শিকার না হন, সে বিষয়ে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার (২০ অক্টোবর) বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রায় ৫০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির বিএনপিতে যোগদান অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের হাতে ফুল দিয়ে দলে যোগ দেন।
এ সময় মির্জা ফখরুল বলেন, ‘পরিষ্কার করে সরকারকে বলতে চাই, বিশেষ করে সরকারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উদ্দেশে- আমরা দেখতে চাই না যে, আপনারা আমাদের সংখ্যালঘু মানুষদের কোনো রকম বিপদের মধ্যে ফেলছেন বা কোনো রকম সমস্যা তৈরি করছেন।’
তিনি বলেন, ‘আমার কাছে অনেক খবর আসে। দয়া করে এই সম্প্রদায়ের মানুষদেরকে কখনো হয়রানি করবেন না। তারা আমাদের সদস্য, আমাদের ভাই, আমরা তাঁদের পাশে আছি এবং সমস্ত শক্তি নিয়ে থাকব।’
নতুন সদস্যদের স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনারা নিশ্চিত থাকতে পারেন এখন থেকে। আপনারা আমাদের বন্ধু। আমরা আপনাদের পাশে আছি।’
জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বাইরের কিছু কিছু মানুষ, কিছু দেশ, কিছু মিডিয়া (গণমাধ্যম), তারা বাংলাদেশের ব্যাপারে একটা মিথ্যা প্রচারণা করার চেষ্টা করছে। আমরা এ ধারণা পাল্টে দিতে চাই।’
বিএনপির আদর্শ প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, ‘আমাদের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, ২০১৬ সালে তিনি একটা কর্মসূচি দিয়েছিলেন, অর্থাৎ ২০৩০ সালে বাংলাদেশকে আমরা কেমন দেখতে চাই, তার ওপর তিনি প্রস্তাব দিয়েছিলেন অনেকগুলো। তার মধ্যে একটা প্রস্তাব ছিল যে বাংলাদেশকে তিনি একটা রেইনবো স্টেট হিসেবে দেখতে চান। অর্থাৎ রংধনু একটা রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চান। রংধনু যেখানে অনেক রং থাকে একসাথে মিলে যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন যে দুর্গা পূজায় এবং তার আগের দুর্গাপূজতেও আমাদের বিএনপির নেতা-কর্মীরা আপনাদের প্রতিটি পূজা মণ্ডপে আপনাদের কাছে গেছে এবং আপনাদের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। আমার নিজের এলাকা ঠাকুরগাঁও এলাকায় সেথানে ২৬৫টি পূজা মণ্ডপ আছে সেখানে তাদের সঙ্গে আমাদের নেতা-কর্মীরা আমরা পূজার যে আনন্দ সেটাকে ভাগ করে নিয়েছি।’
৪৫ দিন আগে
সংখ্যালঘু নির্যাতনের অধিকাংশ ঘটনায় সাম্প্রদায়িকতার প্রমাণ মেলেনি: পুলিশ সদর দপ্তর
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ও সংখ্যালঘু ঐক্য মোর্চার ব্যানারে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতা ও হত্যার তথ্য উপস্থাপন করা হয়। এ বিষয়ে মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশ সদর দপ্তর জানিয়েছে, এসব ঘটনার অধিকাংশই সাম্প্রদায়িক নয়, বরং ব্যক্তিগত, পারিবারিক, আর্থিক বিরোধ ও অন্যান্য সাধারণ অপরাধসংক্রান্ত।
ঐক্য পরিষদের সাংবাদিক সম্মেলনে জানানো হয়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ছয় মাসে ২৭ জন নিহত হয়েছেন এবং গত ১১ মাসে ২ হাজার ৪৪২টি সাম্প্রদায়িক হামলা ও সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে।
এ প্রসঙ্গে পুলিশ জানায়, নিহত ২৭ জনের ঘটনায় ২২টি হত্যা মামলা এবং ৫টি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। খুনের পেছনে জমি সংক্রান্ত বিরোধ, আর্থিক লেনদেন, ডাকাতি, সন্ত্রাসী আক্রমণ এবং পারিবারিক কলহের মতো কারণ ছিল।
এছাড়া ৩ জন আত্মহত্যা করেছেন এবং ১১ জনের লাশ উদ্ধার করা হলেও এখনো তদন্ত চলছে। ইতোমধ্যে এসব ঘটনায় ৪৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, ১৫ জন আদালতে আত্মসমর্পণ করেছে এবং ১৮ জন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, এসব হত্যাকাণ্ডের পেছনে সাম্প্রদায়িক কোনো উদ্দেশ্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে, সংবাদ সম্মেলনে ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের ২০টি ঘটনার কথা বলা হলেও পুলিশ জানায়, এর মধ্যে ১৬টি ঘটনায় মামলা হয়েছে এবং ২৫ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনটি ঘটনায় কোনো অভিযোগ হয়নি। রাজশাহীর তানোর ও মাগুরার দুটি ঘটনায় অভিযোগের সত্যতা মেলেনি বলেও জানায় পুলিশ।
গত বছরের ৪ থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত ২০১০টি সহিংসতার কথা বলা হলেও পুলিশ ৫৬টি জেলায় যাচাই করে ১৪৫৭টি ঘটনার সত্যতা পেয়েছে। এসব ঘটনায় ৬২টি মামলা এবং ৯৫১টি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছে। ৩৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রাথমিকে প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদগুলো দ্রুত পূরণের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
পুলিশ জানায়, ১৭৬৯টি সহিংসতার মধ্যে ১৪৫২টি ঘটনার সময়কাল ছিল ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট। এদের ১২৩৪টি ছিল রাজনৈতিক বিরোধজনিত। এছাড়া পূজা মণ্ডপ ও উপাসনালয় সংক্রান্ত ১২৭টি সহিংসতার মধ্যে ৬৬টি মামলায় ৬৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মন্দির ও পারিবারিক মন্দিরে চুরি, প্রতিমা ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও জমি দখলসংক্রান্ত ৬০টি অভিযোগ নিয়ে পুলিশ জানায়, ২০টি চুরির ঘটনায় ১৪টি মামলা ও ৫টি জিডি হয়েছে। ২৪টি প্রতিমা ও মন্দির ভাঙচুরের ঘটনায় ১৮টি মামলা হয়েছে এবং ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অগ্নিসংযোগের ৪টি ঘটনায় কোনো নাশকতার প্রমাণ মেলেনি। জমি সংক্রান্ত ছয়টি অভিযোগের কোনোটিই দখলের ঘটনা হিসেবে প্রমাণিত হয়নি। খিলক্ষেতে রেলওয়ের জায়গায় উচ্ছেদ, বগুড়ায় শ্মশানঘাটে ভাঙচুরসহ অন্যান্য ঘটনাগুলো প্রশাসনের হস্তক্ষেপে মীমাংসা করা হয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তর জানিয়েছে, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ও অধিকার নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়মিত পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং প্রতিটি অভিযোগ গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
১৪৩ দিন আগে
ফেনীতে সংখ্যালঘুর জমি দখলের অভিযোগ আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে
ফেনীর সোনাগাজীতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীর জমি জবরদখলের অভিযোগ উঠেছে জাফর উল্লাহ নয়ন (৪৮) নামে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, চরছান্দিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা উত্তম কুমার দাসের জমি দীর্ঘদিন পর্যন্ত জবরদখল করে রেখেছিলেন নয়ন।
গেল ১৪ মে নিজের জমিতে কাজ করতে গেলে নয়ন তাকে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেন। উত্তম প্রাণ ভয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এ ব্যাপারে তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
সোনাগাজী পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উত্তর চরছান্দিয়া গ্রামের বড় বাড়ির প্রয়াত মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে নয়ন।
উত্তম দাস বলেন, ‘আমার বাবা মৃত উষা রঞ্জন দাসের নামে এই জায়গা সিএস খতিয়ানে রেকর্ড রয়েছে। কিন্তু নয়ন প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে বিএস রেকর্ডে তার নামে রেকর্ড করে নিয়েছে। যদিও তিনি কোনো দলিলপত্র দেখাতে পারেননি। জমির কাছে এলে আমাকে হত্যার হুমকি দেয়। গত ১৩ মে নয়ন ও তার ভাই আবদুল হালিম আমার ওপর দেশীয় অস্ত্র (দা-ছুরি) দিয়ে হামলা করে।’
উত্তমের পৈতৃক সম্পত্তি জোরপূর্বক নয়ন দখল করে রেখেছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা মোমিনুল হক।
তিনি বলেন, সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মেয়র রফিকুল ইসলাম খোকনের অনুসারী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলার সাহস পেতেন না। তিনি দলীর প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন সময়ে মানুষকে হুমকি-ধমকি দিয়ে জমি জবরদখল করতেন।’
আরেক প্রতিবেশী আবদুল মান্নান বলেন, ‘উষা দাস জীবিত অবস্থায় নয়ন ও তার পিতা মোস্তাফিজুর রহমানের কাছ থেকে জমি উদ্ধারের চেষ্টা করেন, ব্যর্থ হয়ে স্থানীয় মসজিদের মুসল্লিদের সামনে টাকা দিয়ে খরিদ করার প্রস্তাব দেন।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরেক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘গত সরকারের সময়ে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে হামলা-মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।’
সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বায়েজিদ আকন বলেন, ‘পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। মুল আসামি গ্রেপ্তার হয়েছেন। তদন্তপূর্বক পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
জুলাই আন্দোলনে ফেনীতে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা মামলায় কারাগারে থাকায় নয়নের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি
২০০ দিন আগে
দেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন হচ্ছে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বাংলাদেশে কোনো সংখ্যালঘু নির্যাতনের শিকার হচ্ছে না জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘এটা ভারতীয় মিডিয়ার অপপ্রচার। সংখ্যালঘুদের বিষয়ে ৫ আগস্টের পর যে কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে, সেটি মূলত রাজনৈতিক কারণে, ধর্মীয় কারণে নয়।’
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ আহ্বান জানান।
এ সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে আরও বেশি করে রোহিঙ্গা শরণার্থী পুনর্বাসনের আহ্বান জানান তিনি। উপদেষ্টা বলেন, ‘রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক সহায়তা দেওয়া ও পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র শুরু থেকেই নেতৃত্বের ভূমিকায় রয়েছে। তারা এরইমধ্যে বেশ কিছু সংখ্যক রোহিঙ্গা শরণার্থীকে পুনর্বাসন করেছে। আমি যুক্তরাষ্ট্রকে আরও বেশি করে রোহিঙ্গা পুনর্বাসনের আহ্বান জানাই।’
জবাবে চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স জানান, ‘যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গা শরণার্থীদের উন্নয়ন ও পুনর্বাসনে বৃহত্তম দাতা। যুক্তরাষ্ট্রের উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএইড বাংলাদেশের স্থানীয় এনজিওর সঙ্গে রোহিঙ্গাদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। এরইমধ্যে প্রায় ১৭ হাজার রোহিঙ্গাকে যুক্তরাষ্ট্রে পুনর্বাসন করেছে এবং এটি চলমান রয়েছে।’
আরও পড়ুন: দেশে ৩৩ হাজারের বেশি অবৈধ বিদেশি রয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বৈঠকে দুদেশের মধ্যে নিরাপত্তা ইস্যু, সন্ত্রাস দমন, রোহিঙ্গা সমস্যা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে পারস্পরিক সহযোগিতা, পুলিশ সংস্কার কমিশন, সীমান্ত পরিস্থিতি, সংখ্যালঘু ইস্যু, কৃষি খাতে সহযোগিতাসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকের শুরুতে চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্সকে স্বাগত জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের উন্নয়নে অন্যতম বড় অংশীদার। প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে অনেক শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন। সন্ত্রাস দমন ও নিরাপত্তা খাতে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে।’
‘এছাড়া পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সামর্থ্য বৃদ্ধিতে তারা উন্নত প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র দিয়ে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করে আসছে।’
মানবাধিকার ইস্যুতে পুলিশ এবং মানবপাচার ইস্যুতে বিজিবি ও কোস্টগার্ডকে আরও বেশি হারে প্রশিক্ষণ দেওয়ার অনুরোধ করেন তিনি।
বাংলাদেশের উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান সহযোগিতা অব্যাহত থাকার অঙ্গীকার করেন মার্কিন চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স। তিনি বলেন, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষার জন্য শিক্ষার্থীদের আগের চেয়ে শতকরা ৩০ ভাগ বেশি অনুমতি দিচ্ছি। আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের আরও বেশি প্রশিক্ষণ দেব।’
‘তবে কর্মকর্তারা যেন প্রশিক্ষণ শেষে দেশে ফিরে এসে স্ব স্ব ডেস্কে কর্মরত থাকেন; তা নিশ্চিত করতে হবে। তাহলে এটি আরও ফলপ্রসূ হয়।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের দুদেশের মধ্যে নিরাপত্তা ও সন্ত্রাস দমন ইস্যুতে সর্বোচ্চ সহযোগিতা বিদ্যমান। তিনি এসময় সন্ত্রাস দমন ইস্যুতে পারস্পরিক তথ্য বিনিময় ও এ সংক্রান্ত তথ্যভাণ্ডার হালনাগাদের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।’
সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্সের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘সীমান্ত পরিস্থিতি মোটামুটি স্বাভাবিক রয়েছে। আগামী মাসে এ বিষয়ে ভারতের দিল্লিতে দুদেশের মধ্যে বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।’
আরও পড়ুন: রক্ত ঝরলেও সীমান্ত সুরক্ষিত থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
সংখ্যালঘুদের নির্যাতন করা হচ্ছে কিনা এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বাংলাদেশে কোনো সংখ্যালঘু নির্যাতিত হচ্ছে না। এটা ভারতীয় মিডিয়ার অপপ্রচার। সংখ্যালঘু শব্দটা আমরা ব্যবহার করতে চাই না। সবাই বাংলাদেশের নাগরিক ও সবার সমান অধিকার রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘সংখ্যালঘুদের বিষয়ে ৫ আগস্টের পর যে কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে, সেটি মূলত রাজনৈতিক কারণে, ধর্মীয় কারণে নয়।’
৩১৭ দিন আগে
ক্ষতিগ্রস্ত সংখ্যালঘুদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে: উপদেষ্টা নাহিদ
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, সংখ্যালঘু অত্যাচারের ঘটনায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হবে। এর পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত সংখ্যালঘুদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পরে কয়েকটি জায়গায় সংখ্যালঘু অত্যাচারের ঘটনা ঘটলেও তাকে বড় করে বহির্বিশ্বের মিডিয়ার প্রচার করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার ইউনেস্কোর বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. সুসান ভাইজের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের আন্দোলন ও বর্তমান সরকার নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ট্রাইব্যুনালের সংস্কার কাজ দ্রুত শেষ করার তাগিদ আইন উপদেষ্টার
তিনি আরও বলেন, আন্দোলনকে বিতর্কিত করার জন্যই পরিকল্পিতভাবে এ অপপ্রচার। তিনি এই বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
ইউনেস্কোর বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. সুসান ভাইজ বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে তারা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে যৌথভাবে কাজ করতে আগ্রহী।
এসময় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাবিষয়ক গবেষণা কার্যক্রম (এআই আরএএম) প্রকল্প চলমান রাখার বিষয়ে তিনি উপদেষ্টার সম্মতি চান।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাবিষয়ক গবেষণা কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশের জনগণ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগে কতটুকু সক্ষম তা যাচাই করা হয়।
নাহিদ ইসলাম বলেন, কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও যুগের সঙ্গে তাল মিলাতে তা অপরিহার্য।
তিনি বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাবিষয়ক গবেষণা কার্যক্রম (এআই আরএএম) প্রকল্পের কাজ চলমান রাখার পাশাপাশি এ বিষয়ে তথ্য প্রযুক্তি বিভাগ সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।
এছাড়া ন্যাশনাল স্টিয়ারিং কমিটি পর্যালোচনা করা হবে বলেও উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম মন্তব্য করেন।
উপদেষ্টা আর বলেন, আন্দোলনে বেশ কিছু সাংবাদিক হতাহত হয়েছেন। তাদেরও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। সাংবাদিকদের একটি অংশ ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে। তাদের বিরুদ্ধে দেশের জনগণ সংক্ষুব্ধ হয়ে বিভিন্ন জায়গায় মামলা করছে। সে মামলায় অনেকেই গ্রেপ্তার হচ্ছে। তবে সবার আইনি অধিকার নিশ্চিত করার জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় একটি কমিটি করেছে। ফলে তারা আইনি সহায়তা পাবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ইউনেস্কোর নীতি বিশ্লেষক আফজাল হোসেন সরোয়ার, এটুআই প্রোগ্রামের প্রকল্প পরিচালক মামুনুর রশিদ ভূঁইয়া, ইউএনডিপি বাংলাদেশের সিনিয়র গভর্নেন্স স্পেশালিস্ট শিলা তাসনিম হক।
আরও পড়ুন: খাদ্য নিরাপদ করতে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার কমানোর আহ্বান উপদেষ্টার
৪২২ দিন আগে
সংখ্যালঘু বা গরিষ্ঠ নয়, সবাই আমরা একই পরিবারের: উপদেষ্টা
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, সংখ্যালঘু বা গরিষ্ঠ নয়, সবাই আমরা একই পরিবারের। তাই বাংলাদেশে সংখ্যালঘু-সংখ্যাগরিষ্ঠ বলে কিছু থাকতে পারে না।
তিনি বলেন, ‘পূজাটা যেন নতুন বাংলাদেশের পূজা হয়। আমরা সবাই একটা পরিবারের মানুষ। কে হিন্দু কে বৌদ্ধ এটা নিয়ে কোন বৈষম্য নয়।’
আরও পড়ুন: প্রাথমিক শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে শিক্ষকরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করবেন: উপদেষ্টা
সোমবার (৭ অক্টোবর) শারদীয় দুর্গাপূজা ২০২৪ উদযাপন বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: প্রাথমিক শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে শিক্ষকরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করবেন: উপদেষ্টা
সামাজিকভাবে সচেতনতা বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেছেন, ঈদে আনন্দ করব পূজায় ভয়ে থাকব এটা হয় না। পূজায় কেন ভয়ে থাকতে হবে। পুলিশ-আনসার দিয়ে পাহাড়া দিয়ে পূজাটাকে আনন্দময় করব।
তিনি আরও বলেন, পূজায় সবাই মিলে আনন্দ করতে চাই। সেজন্য সামাজিকভাবে পরিস্থিতি তৈরি করতে হবে। যেন সবাই আনন্দটা করতে পরি। যদি চেষ্টা করি তাহলে অবশ্যই ভালো একটা পূজা করতে পারব।
উপদেষ্টা আরও বলেন, মানুষের মধ্যে বৈষম্য ও বঞ্চনা এবং পুঞ্জিভূত ক্ষোভের ফলে আন্দোলন তুঙ্গে উঠেছিল। এ আন্দোলন ছিল ছাত্র-জনতার সর্বোপরি সর্বস্তরের মানুষের আন্দোলন। এ আন্দোলনে সহস্রাধিক মানুষের প্রাণহানি হয় যাদের অধিকাংশই ছাত্র। কাজেই এ আন্দোলনের ফলে গঠিত অন্তর্বতী সরকার শুধু দায়িত্ব নয় বরং কর্তব্য বলে মনে করছে।
তিনি আন্দোলনে শহীদদের সংখ্যা সম্পর্কে বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত যে তালিকা করেছি ৮০০ থেকে ৯০০ বলা হচ্ছে, কিন্তু অন্যান্য হিসাবে দেখা যায় যে ১ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে। নিহতদের অধিকাংশই তরুণ।
আরও পড়ুন: সেন্টমার্টিনে পর্যটক সীমিত ও সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করা হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
৪২৩ দিন আগে
সংখ্যালঘুসহ প্রতিটি নাগরিকের মানবাধিকার রক্ষার আশ্বাস প্রধান উপদেষ্টার
সারা দেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘরবাড়ি ও উপাসনালয়ে হামলার ঘটনা তদন্তে একটি ‘সংখ্যালঘু কমিশন’ গঠনের দাবি জানিয়েছে সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলন।
এছাড়াও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে আট দফা দাবি পেশ করেন ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।
আরও পড়ুন: আবু সাঈদ হত্যা: সাবেক আইজিপিসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা, অজ্ঞাত আসামি ৩০-৩৫ জন
রবিবার (১৮ আগস্ট) তাদের দাবির প্রেক্ষিতে আশ্বাস জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তার সরকার সংখ্যালঘুদের সদস্যসহ প্রতিটি নাগরিকের মানবাধিকার রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংখ্যালঘুদের ওপর যেকোনো আক্রমণ এবং সহিংসতা থেকে সুরক্ষা দিতে ইতোমধ্যে কয়েকটি ব্যবস্থা নিয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে পুলিশ বাহিনী কাজ শুরু করায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।
বৈঠকে আরও ছিলেন- ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনকে আশ্বস্ত করে এই দুই উপদেষ্টাও জানান সব দাবি পূরণের সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন।
আরও পড়ুন: রংপুরে শিক্ষার্থী হত্যা: শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে মামলা
৪৭৩ দিন আগে
সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার খবর অতিরঞ্জিত: মোদির সঙ্গে ফোনালাপে ইউনূস
সরকারের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার খবর 'অতিরঞ্জিত' করা হয়েছে।
একই সঙ্গে তিনি ভারতীয় সাংবাদিকদের বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। সংখ্যালঘু সুরক্ষার বিষয় নিয়ে সরেজমিনে রিপোর্ট করার জন্য তাদের আমন্ত্রণ জানান।
শুক্রবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে টেলিফোন আলাপে এসব কথা বলেন ড. ইউনূস।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের সঙ্গে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর ফোনালাপ
প্রধান উপদেষ্টা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বলেছেন, তার সরকার সংখ্যালঘুসহ দেশের প্রত্যেক নাগরিকের সুরক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টেলিফোন আলাপে সংখ্যালঘুদের রক্ষার বিষয়টি উত্থাপন করলে তিনি একথা বলেন।
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, বাংলাদেশের সরকার প্রধান হিসেবে শপথ নেওয়ার পরপরই টেলিফোনে কথোপকথন এবং এক্স-এ পোস্ট করা বার্তার জন্য মোদিকে ধন্যবাদ জানান অধ্যাপক ইউনূস।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) ভারতের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে তিনি ভারতীয় নেতা ও ভারতীয় জনগণকে অভিনন্দন জানান।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নতুন সরকারকে শুভেচ্ছা জানান এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে জনগণের স্বার্থে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করে মোদি বলেন, তিনি তাকে দীর্ঘদিন ধরে চেনেন।
তিনি বলেন, অধ্যাপক ইউনূসের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং তার নেতৃত্ব বাংলাদেশের মানুষের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে।
ইউনূস বলেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে এবং সারাদেশে জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদি ১৭ আগস্ট নয়াদিল্লিতে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠেয় তৃতীয় ভয়েস অব গ্লোবাল সাউথ সামিটে যোগ দিতে ইউনূসকে আমন্ত্রণ জানান।
প্রধান উপদেষ্টা ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি সম্মেলনে যোগ দিতে সম্মতি দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ছাত্র আন্দোলনের ফলে তার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করেছে। এটি বাংলাদেশের 'দ্বিতীয় বিপ্লব' এবং তার সরকার ছাত্র-জনগণের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষা পূরণ করবে।
ইউনূসকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্ব গ্রহণ করায় তাকে অভিনন্দন জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: মোদিকে ইউনূসের ফোন, বাংলাদেশের হিন্দু ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার আশ্বাস
রবিবার কূটনীতিকদের ব্রিফ করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস
৪৭৫ দিন আগে
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে মঙ্গলবার বৈঠকে বসবেন প্রধান উপদেষ্টা
দেশের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উপাসনালয় ও বাড়িঘর হামলার পরিপ্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন বলে জানিয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
সোমবার (১২ আগস্ট) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ দল গোছাতে পারে কিন্তু বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করলে পরিণতি ভালো হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
এসময় ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) বিকালে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতাদের একটা বৈঠকের ব্যবস্থা করেছি। ওখানে আমরা আরও বিস্তারিত কথা শুনব। এছাড়া আমরা অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে ক্ষতিগ্রস্তদের কতটুকু সাহায্য করতে পারি সেই বিষয়েও আমরা সিদ্ধান্ত নেব।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উপাসনালয় ও বাড়িঘরে হামলাকারীরা সবাই দুর্বৃত্ত। হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে। এছাড়া সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পাশে ধর্ম মন্ত্রণালয় সবসময় আছে। আগেও ছিল এখনও আছে আগামীতেও থাকবে। আমরা জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত উপাসনালয় ও যাদের বাড়িঘর বা অন্যান্য ক্ষতি হয়েছে, তাদের তালিকা সংগ্রহ করছি।’
তিনি বলেন, ‘মাঝখানে পুলিশের অনুপস্থিতির কারণে আক্রমণটা একটু বেশি হয়েছে। পুলিশ যেহেতু যোগদান করেছে আমরা আশাবাদী এরকম দুর্ঘটনা আর ঘটবে না। এছাড়া সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ প্রতিরোধে তথ্য জানানোর জন্য একটি হটলাইন চালু করা হবে।’
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজায় তিন দিনের ছুটি দাবি প্রাসঙ্গিক: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বিএনপি নেতাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক চলছে
৪৮০ দিন আগে
সংখ্যালঘুদের জন্য শেখ হাসিনার চেয়ে নির্ভরযোগ্য নেতা আর কেউ নেই: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় বাংলাদেশে তাদের সমতা নিশ্চিত করতে শেখ হাসিনার চেয়ে নির্ভরযোগ্য নেতা খুঁজে পাবে না।
শনিবার পুরান ঢাকার ঢাকেশ্বরী মন্দিরের পূজামণ্ডপ পরিদর্শনকালে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা আপনাদের পাশে ছিলাম, আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকব।’
দেশে সাম্প্রদায়িকতা ঠেকাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করারও আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের এই নেতা।
তিনি বলেন, ‘সনাতন ধর্মাবলম্বীদের (হিন্দু ধর্ম) জন্য এ দেশে শেখ হাসিনার চেয়ে নির্ভরযোগ্য আর কেউ নেই। তাই সাম্প্রদায়িকতা রুখতে প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।’
আরও পড়ুন: মাদরাসা শিক্ষাকে যুগোপযোগী করতে কাজ করছে সরকার: খাদ্যমন্ত্রী
দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যক্তিগতভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দায়িত্ব পালনের জন্য অবহিত করেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আগের অশুভ ঘটনাগুলো হিন্দুদের কষ্ট দিয়েছে। এ অপকর্মের পুনরাবৃত্তি চাই না। আশা করি দশমী পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হবে।’
জাতীয় নির্বাচন দরজায় কড়া নাড়ছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একটি সম্প্রীতিপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের অধীনেই এটা সম্ভব।
তিনি বলেন, ‘এই চেতনাকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে হবে।’
আরও পড়ুন: যমুনা-বুড়িগঙ্গায় ডুবে যাওয়ার জন্য বিএনপির রোড মার্চ: তথ্যমন্ত্রী
কাদের বলেন, ক্ষমতা শুধুমাত্র নির্বাচনের মাধ্যমে হাত বদলাবে, এবং সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বারবার সময়সীমা ঘোষণা করায় বিএনপি নেতাদের প্রতি ব্যঙ্গ করে প্রশ্ন তোলেন ওবায়দুল কাদের, ‘আর কত দিন দিবেন? আমি বলি, আমাদের সময় নেই। ৪ নভেম্বর ঢাকায় ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। মেট্রোরেলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে (৪ নভেম্বর) আমি আপনাদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, তারা (বিএনপি) কখনো কোনো মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করেনি, বরং 'দেশের সম্পদ লুট করেছে'।
আরও পড়ুন: নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
৭৭৫ দিন আগে