নরেন্দ্র মোদি
ভারত সফরে যাচ্ছেন পুতিন, গুরুত্ব পাবে যেসব বিষয়
দ্বীপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নিতে চলতি সপ্তাহে ভারত সফরে যাচ্ছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। দুই দেশের মধ্যে অর্থনীতি, প্রতিরক্ষা ও জ্বালানি সহযোগিতার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছাড়াও মস্কো ও ওয়াশিংটনের সঙ্গে নয়াদিল্লির ভারসাম্য রক্ষার যে প্রচেষ্টা, তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে এই সফর।
চার বছর পর বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে পৌঁছানোর কথা রয়েছে পুতিনের। এরপর শুক্রবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে বসবেন তিনি। বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় অগ্রগতি পর্যালোচনা, পারস্পরিক স্বার্থের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা এবং বিভিন্ন আন্তঃমন্ত্রণালয় ও বাণিজ্যিক চুক্তিতে সই করা হবে বলে উভয় দেশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
ওয়াশিংটনের শুল্কারোপ সত্ত্বেও মূল্যছাড়ে রাশিয়ার তেল কেনা অব্যাহত রেখেছে ভারত। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, তেল কেনার ফলে যে অর্থায়ন করা হচ্ছে, তা ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার সক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখছে। অবশ্য ভারতের দাবি, দেশটির ১৪০ কোটি মানুষের ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদা মেটাতে (রাশিয়া থেকে) এই তেল আমদানি অপরিহার্য।
গত চার বছরে পুতিন ও মোদির খুব বেশি সাক্ষাতের সুযোগ হয়নি। সর্বশেষ ২০২১ সালে ভারত সফর করেছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট। এরপর গত বছর মস্কো সফরে যান মোদি। এ ছাড়া চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে চীনে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার সম্মেলনে এ দুই নেতার সাক্ষাৎ হয়।
গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক মুহূর্তে হচ্ছে এই বৈঠক
সম্প্রতি নতুন করে ইউক্রেন শান্তি প্রস্তাব নিয়ে তৎপরতা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়ের সমাধানে অংশীদারদের সহযোগিতা চাইছে ওয়াশিংটন। ঠিক তখনই ভারতে পুতিন-মোদি বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
ট্রাম্পের প্রাথমিক শান্তি পরিকল্পনায় রাশিয়ার স্বার্থকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে বলে সমালোচনা রয়েছে। এ নিয়ে ইতোমধ্যে জেনেভায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের বৈঠকের পর গত সপ্তাহে প্রস্তাবটি সংশোধন করা হয়। এর ফ্লোরিডায় কিয়েভের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আরও এক দফা বৈঠকের পর মস্কোয় ক্রেমলিনের আলোচকদের সঙ্গে বৈঠক করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দল। এর মধ্যেই ভারত সফর করছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট।
যুদ্ধের ময়দানে রাশিয়াকে চাপে রাখতে ভারতের ওপর কৌশলগত চাপ সৃষ্টি করেছেন ট্রাম্প। এমন বাস্তবতায় পুতিনের সঙ্গে মোদির এই বৈঠক কূটনৈতিক অঙ্গনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ইউক্রেন সংঘাত নিয়ে মোদির অবস্থান হচ্ছে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে নিন্দা নয়, বরং যুদ্ধ বন্ধে শান্তিপূর্ণ সমাধানের ওপর জোর দেওয়া উচিৎ।
এ বিষয়ে জিন্দাল স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ শ্রীরাম সুন্দর চৌলিয়া বলেন, ভারত প্রকাশ্যে মধ্যস্থতার ভূমিকা এড়িয়ে চলেছে। কারণ, অন্যথায় রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়ের সঙ্গে দিল্লির সম্পর্ক জটিল হয়ে উঠতে পারে।
তিনি বলেন, ‘তবে পর্দার আড়ালের কূটনীতির চর্চা মোদির পক্ষে অসম্ভব নয় এবং ইতোমধ্যে তার কিছুটা হয়েছেও।’
ইউক্রেন ও ইউরোপের ব্যাপারে কিছু উদ্বেগ বিবেচনায় নিয়ে পুতিন যাতে যুদ্ধবিরতির পথ তৈরি করেন, সে বিষয়ে মোদি তাকে উৎসাহ দিতে পারেন বলে মনে করেন চৌলিয়া।
সফরের কেন্দ্রীয় লক্ষ্য অর্থনৈতিক সহযোগিতা
ভারত–রাশিয়া আলোচনায় অর্থনীতি, বাণিজ্য সহজীকরণ, সামুদ্রিক সহযোগিতা ও স্বাস্থ্যসেবা বিনিময়কে কেন্দ্র করে বেশ কিছু নথি চূড়ান্ত হবে বলে জানিয়েছেন ভারতীয় কর্মকর্তারা। পরিচয় গোপন রাখার শর্তে তারা বলেন, তবে এসব বিষয়ে এখনও প্রকাশ্যে কিছু জানানো হয়নি।
রাশিয়ায় ওষুধ, কৃষিপণ্য ও পোশাক রপ্তানি বাড়াতে আগ্রহী ভারত। এসব পণ্যে শুল্ক বাধা সরাতে চায় দিল্লি। এ ছাড়া দীর্ঘমেয়াদি সার সরবরাহের ব্যাপারেও মস্কোর সঙ্গে আলোচনা করবে মোদি সরকার।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ খাত হলো, রাশিয়ায় দক্ষ ভারতীয় কর্মীদের নিরাপদ ও নিয়ন্ত্রিত অভিবাসন। এ বিষয়ে সম্ভাব্য চুক্তি চূড়ান্ত করতে কাজ করছে দুপক্ষ।
রাশিয়ার তেল কেনায় যুক্তরাষ্ট্রের চাপ
যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে ভারতকে ছাড়কৃত মূল্যে রাশিয়ার তেল কেনা বন্ধ করতে চাপ দিয়ে আসছে। কিন্তু তা না মানায় ভারতীয় পণ্যে অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, যার ফলে ভারতীয় পণ্যে মার্কিন শুল্কের পরিমাণ বেড়ে ৫০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ অস্বীকার করে ভারতের দাবি, জাতীয় স্বার্থ ও জ্বালানি নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিলেও ভারত আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে না।
তবে রাশিয়ার তেল কোম্পানি রসনেফট ও লুকওয়েলের ওপর নতুন মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পর ভারতের বর্তমান পরিস্থিতি কিছুটা জটিলতায় পড়তে পারে।
এ বিষয়ে ভারতীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা কোম্পানির তেল কেনা থেকে দূরে থাকবে, তবে নিষেধাজ্ঞামুক্ত অন্যান্য কোম্পানিগুলোকে বিকল্প হিসেবে বিবেচনায় রাখছে নয়াদিল্লি।
নয়াদিল্লিভিত্তিক থিংক ট্যাংক অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের বৈদেশিক নীতিবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট হর্ষ পান্ত বলেন, ‘ভারত নিশ্চয়ই এ বিষয়টিতে জোর দেবে যে রাশিয়া থেকে জ্বালানি আমদানি পুরোপুরি বন্ধ করার ইচ্ছা দিল্লির নেই।’
তিনি বলেন, বাজার পরিস্থিতি ও নিষেধাজ্ঞা কতটা কার্যকরভাবে ভারতের বেসরকারি ও রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিগুলোকে রাশিয়ার জ্বালানি থেকে দূরে রাখতে পারবে, তার ওপর ভবিষ্যৎ আমদানি নির্ভর করবে।
ফলে পুতিনের সফরকালে জ্বালানি সহযোগিতাবিষয়ক আলোচনা বিশেষ গুরুত্ব পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর সঙ্গে রাশিয়ার দূরপ্রাচ্যে ভারতের বিনিয়োগ এবং সম্প্রসারিত বেসামরিক পারমাণবিক সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়টিও আলোচনায় থাকবে।
এ ছাড়াও রাশিয়ার সহযোগিতায় নির্মিত ভারতের তামিলনাড়ুর কুদানকুলম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রও দুই দেশের অংশীদারত্বের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, স্থানীয়ভাবে যন্ত্রাংশ উৎপাদন ও তৃতীয় দেশে যৌথ প্রকল্প নিয়েও আলোচনা চলছে।
আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা
২০১৮ সালের ৫৪০ কোটি ডলারের চুক্তির আওতায় রাশিয়া থেকে তিনটি এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনে ভারত। আরও দুটি এস-৪০০ দ্রুত পাওয়ার জন্য রাশিয়ার ওপর চাপ দেবে নয়াদিল্লি।
ভারত আরও এস-৪০০ বা এর উন্নত সংস্করণ কেনার সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখছে, তবে পুতিনের এবারের সফরে এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আশা করা হচ্ছে না।
ভারতীয় প্রতিরক্ষা পরিকল্পনাকারীরা বলছেন, গত মে মাসে পাকিস্তানের সঙ্গে উত্তেজনার সময় এস-৪০০-এর কার্যকারিতা প্রমাণিত হয়।
গত সপ্তাহে নয়াদিল্লির একটি নিরাপত্তা সম্মেলনে ভারতের প্রতিরক্ষা সচিব রাজেশ কুমার সিং বলেন, ‘বৈঠকে প্রতিরক্ষা সহযোগিতার প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো নিয়ে (পুতিনের সঙ্গে) আলোচনা হবে এবং সরবরাহের বিলম্ব দূর করার চেষ্টা চলবে। এ ছাড়া আরও এস-৪০০ কেনার ব্যাপারে আলোচনার সম্ভাবনাও পুরোপুরি উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তবে এ বিষয়ে এখন কোনো ঘোষণা আশা করবেন না।’
এ ছাড়া ভারতীয় এসইউ-৩০ এমকেআই যুদ্ধবিমান আধুনিকায়ন, গুরুত্বপূর্ণ সামরিক সরঞ্জাম দ্রুত সরবরাহ এবং যৌথ মহড়া ও দুর্যোগ ত্রাণ সহযোগিতা বৃদ্ধির মতো বিষয়াবলিও আলোচনায় থাকবে।
গত কয়েক বছরে ভারত সামরিক সরঞ্জাম সংগ্রহের ক্ষেত্রে বহুমুখী উৎসের ওপর নির্ভর করলেও রাশিয়াই এখনও দেশটির সবচেয়ে বড় সরবরাহকারী। অন্যদিকে, রাশিয়া ভারতের কাছে তাদের এসইউ-৫৭ স্টেলথ যুদ্ধবিমান বিক্রি করতে আগ্রহী, তবে নয়াদিল্লি এ ব্যাপারে অন্যান্য দেশের দিকেও নজর রাখছে।
১ দিন আগে
ভারতে বানান, ভারত থেকেই কিনুন: মার্কিন শুল্কের বিরুদ্ধে মোদির আহ্বান
আজ থেকে ভারতের ওপর কার্যকর হচ্ছে নতুন মার্কিন শুল্ক। ভারত থেকে যেসব পণ্য যুক্তরাষ্ট্র প্রবেশ করবে, সেসব পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক গুনতে হবে। এর ফলে দেশটির অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
নিষেধ সত্ত্বেও রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনা অব্যাহত রাখায় গত ৬ আগস্ট ভারতের ওপর নেমে আসে যুক্তরাষ্ট্রের এই শুল্কশাস্তি। দিল্লির ওপর প্রথমে ২৫ শতাংশ, পরে আরও ২৫ শতাংশসহ মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তবে শুল্ক নিয়ে ট্রাম্পের এই চোখ রাঙানির বিপরীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, ‘ভারতে বানান, ভারত থেকেই কিনুন’। অর্থাৎ মার্কিন শুল্ক মোকাবিলায় দেশের অভ্যন্তরেই পণ্যের উৎপাদন ও বিক্রি করে রপ্তানি নির্ভরতা কমানোর ওপর জোর দিয়েছেন তিনি।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি মাসের শুরুর দিকে নিজ দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে ছোট ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য ‘বিশাল কর ছাড়ের’ ঘোষণা দেন মোদি।
দেশটির স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের সময় দিল্লির লাল কেল্লা থেকে সাধারণ মানুষ এবং সমর্থকদের সামনে তিনি এ ঘোষণা দেন। সে সময় ছোট দোকান মালিক এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের দোকানের বাইরে ‘স্বদেশি’ বা ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ বোর্ড লাগানোরও আহ্বান জানিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
মোদি বলেছিলেন, ‘হতাশা থেকে নয়, বরং গর্ব থেকে আমাদের আত্মনির্ভরশীল হওয়া উচিত।’
তিনি আরও বলেছিলেন, ‘বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক স্বার্থপরতা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং আমাদের অসুবিধাগুলো নিয়ে বসে থাকলে চলবে না, অবশ্যই সামনে এগোতে হবে। কেউ যেন আমাদের নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে।’
আরও পড়ুন: ভারতকে ট্রাম্পের শাস্তি, শুল্ক বেড়ে দাঁড়াল ৫০ শতাংশ
এরপর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এই বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি করেছেন মোদি।
মোদির এই অবস্থানকে অনেকেই ট্রাম্পের ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের কঠোর পদক্ষেপের বিরুদ্ধে লড়াই হিসেবেই দেখছেন। মার্কিন শুল্কের কারণে ভারতের রপ্তানিনির্ভর শিল্পের সঙ্গে জড়িত লাখ লাখ মানুষের জীবিকা ব্যাহত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ আমেরিকান গ্রাহকদের পোশাক থেকে শুরু করে হীরা ও চিংড়ি পর্যন্ত সবকিছু সরবরাহ করে ভারত।
তবে মোদির বার্তাও স্পষ্ট, দেশে পণ্য বানিয়ে দেশেই বিক্রি করতে হবে।
ভারতে বানিয়ে ভারতেই বিক্রি কতটুকু সম্ভব
মোদি নির্দেশ দিলেও এই বিষয়ের বাস্তবায়ন নিয়ে সন্দিহান অনেকেই। যদি উৎপাদনের কথা আলোচনা করা হয়, সেক্ষেত্রে ভারতের ব্যর্থতার ছাপ ইতোমধ্যে স্পষ্ট। কারণ ভারতে বছরের পর বছর সরকারি ভর্তুকি এবং উৎপাদন প্রণোদনা চালু করার পরও দেশটির মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ১৫ শতাংশের আশপাশেই স্থবির হয়ে আছে।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, সরকার যদি দীর্ঘমেয়াদী কর সংস্কারকে উৎসাহিত করে এবং অবিলম্বে জনগণের হাতে আরও বেশি অর্থ পৌঁছানো সম্ভব হয়, তাহলে এই ধাক্কা সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে জন্য কিছুটা সহায়ক হতে পারে।
এ কারণে চলতি বছরের শুরুতে বাজেটে ১২ বিলিয়ন ডলারের আয়কর ছাড়ের ঘোষণার পর এখন পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি) হ্রাস এবং সরলীকরণের মাধ্যমে ভারতের পরোক্ষ কর ব্যবস্থা সংস্কারের লক্ষ্যে কাজ করছে মোদি সরকার।
মূলত কর ছাড়ের ফলে ভোক্তানির্ভর খাতগুলোর সবচেয়ে বেশি উপকৃত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে স্কুটার, ছোট গাড়ি, পোশাক এবং সিমেন্টের মতো পণ্য।
সুনির্দিষ্ট তথ্য না থাকলেও বেশিরভাগ বিশ্লেষকের ধারণা, কম জিএসটির কারণে যে রাজস্ব ঘাটতি তৈরি হবে, তা বাড়তি শুল্ক আদায় এবং ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বাজেটের তুলনায় বেশি লভ্যাংশের মাধ্যমে পূরণ হয়ে যাবে।
অন্যদিকে, বিনিয়োগ ব্যাংক মর্গান স্ট্যানলির মতে, মোদির এই রাজস্ব প্রণোদনা বা কর ছাড় ভোগব্যয়ের পুনরুদ্ধার নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে। এতে দেশটির জিডিপি বাড়বে এবং মুদ্রাস্ফীতি কমবে।
সুইস বিনিয়োগ ব্যাংক ইউবিএস বিবিসিকে বলেছে, জিএসটি কমানোর এই সিদ্ধান্ত মোদির আগের নেওয়া করপোরেট ও আয়কর কমানোর তুলনায় বড় প্রভাব ফেলবে, কারণ এগুলো ক্রয়ের সময় সরাসরি ভোগব্যয়কে প্রভাবিত করবে।
আরও পড়ুন: ভারতকে কি চীনের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন ট্রাম্প?
মোদির এই করছাড়ের ঘোষণা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুদের হার আরও কমানোর সম্ভাবনা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা। গত কয়েক মাসে এই হার এক শতাংশ হারে কমানো হয়েছে। তাছাড়া ঋণ দেওয়াকেও উৎসাহিত করা হতে পারে বলে মনে করেন তারা।
এর ফলে আগামী বছরের শুরুতে প্রায় পাঁচ লাখ সরকারি কর্মচারীর বেতন বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ভারতের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির গতি ধরে রাখতে সহায়ক বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিশ্লেষকরা।
ভারতের শেয়ার বাজারগুলো এই ঘোষণায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে। তাছাড়া, বাণিজ্য অনিশ্চয়তার কারণে সৃষ্ট আতঙ্ক থাকা সত্ত্বেও, এই মাসের শুরুতে আঠারো বছর পর এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল থেকে একটি বিরল সার্বভৌম রেটিং আপগ্রেড পেয়েছে ভারত।
কোনো সরকারকে ঋণ দেওয়া বা কোন দেশে বিনিয়োগ করা কতটা ঝুঁকিপূর্ণ— তা পরিমাপ করে এই সার্বভৌম রেটিং। এতে সরকারের ঋণ গ্রহণের খরচ কমতে পারে এবং বিদেশি বিনিয়োগের পরিস্থিতি উন্নত করতে পারে।
অবশ্য অনেকদিন ধরে আটকে থাকা সংস্কারগুলো নিয়ে তাড়াহুড়া করলেও ভারতের প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা কয়েক বছর আগে দেখা ৮ শতাংশ স্তর থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। এমনকি এ সংশ্লিষ্ট বহিরাগত সংকট কমার কোনো লক্ষণও নেই।
এদিকে, রাশিয়ার তেল কেনা নিয়ে দিল্লি-ওয়াশিংটন বাকযুদ্ধ তীব্র আকার ধারণ করেছে। এর জেরে এই সপ্তাহের শুরুতে অনুষ্ঠিতব্য বাণিজ্য আলোচনাও বাতিল করা হয়েছে। অথচ মাত্র কয়েক মাস আগেও এমন একটি পরিস্থিতি কল্পনাও করা যেত না বলে মন্তব্য করেছেন অনেক বিশেষজ্ঞ।
৯৯ দিন আগে
রক্ত ও পানি একসঙ্গে প্রবাহিত হতে পারে না: স্বাধীনতা দিবসে মোদি
পাকিস্তানের সঙ্গে স্বাক্ষরিত সিন্ধু পানিচুক্তি একতরফাভাবে বন্ধ করার পর সেই সিদ্ধান্ত অব্যাহত রাখার ইঙ্গিত দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেছেন, রক্ত ও পানি একসঙ্গে প্রবাহিত হতে পারে না।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) ভারতের ৭৮তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দিল্লির লালকেল্লায় দেওয়া ভাষণে এ কথা বলেন মোদি।
ভাষণে মোদি ইঙ্গিত দেন, এপ্রিলে কাশ্মীরে হামলার ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় ভারতের পক্ষ থেকে সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত অব্যাহত রাখা হবে।
তিনি বলেন, ‘যে সময় আমাদের কৃষকরা পানির অভাবে ভুগেছেন, সে সময় ভারতের নদীগুলোর পানি দিয়ে শত্রু দেশ সেচ দিয়েছে। তবে এখন ভারতের পানিতে কেবল ভারত ও তার কৃষকদেরই অধিকার থাকবে।’
কৃষকদের স্বার্থ ও জাতীয় স্বার্থ নিয়ে আর আপস করা হবে না উল্লেখ করে মোদি বলেন, ‘রক্ত ও পানি একসঙ্গে প্রবাহিত হতে পারে না।’
পাকিস্তানে পানির প্রবাহ আটকানো বা অন্যদিকে সরিয়ে দেওয়ার যেকোনো প্রচেষ্টা তারা ‘যুদ্ধের ঘোষণা’ বলে গণ্য করবে বলে জানিয়েছে ইসলামাবাদ।
আরও পড়ুন: ভারতকে কি চীনের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন ট্রাম্প?
এ সময় সন্ত্রাসী ও সন্ত্রাসবাদকে সমর্থনকারীদের মধ্যে ভারত কোনো পার্থক্য করে না বলে পাকিস্তানকে সতর্ক করেছেন মোদি। তাছাড়া, ভবিষ্যতে পাকিস্তান যদি কখনো ভারতে হামলা চালায় তাহলে তাদের শাস্তির দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন তিনি।
মোদি বলেন, সন্ত্রাসী ও সন্ত্রাসবাদকে সমর্থনকারীদের মধ্যে কোনো পার্থক্য করে না ভারত। তাছাড়া ইসলামাবাদের ‘নিউক্লিয়ার ব্ল্যাকমেইল’ সহ্য করা হবে না।
তিনি বলেন, ‘ভারত সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আর কোনো পারমাণবিক হুমকি সহ্য করা হবে না। অনেক দিন ধরে পারমাণবিক ব্ল্যাকমেইল চলছিল, কিন্তু এখন আর এই ব্ল্যাকমেইল সহ্য করা হবে না।’
তবে আগেও ভারতের পারমাণবিক ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগকে উসকানিমূলক ও উত্তেজনাপূর্ণ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে ইসলামাবাদ।
২২ এপ্রিল ভারত অধিকৃত কাশ্মীরে হামলা চালিয়ে ২৬ পর্যটককে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এই হত্যাকাণ্ডের জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে ভারত। এরপর ৬ মে দিবাগত রাতে পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত। পাল্টা হামলা চালায় পাকিস্তানও। এতে গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ সহিংসতায় জড়ায় প্রতিবেশি দুই দেশ।
এ ছাড়া, শুক্রবারের ভাষণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কারোপ নিয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য না করলেও তার দেশের কৃষকদের স্বার্থ নিয়ে কোনো আপস না করার কথা জানিয়েছেন তিনি।
নিষেধ সত্ত্বেও রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনা অব্যাহত রাখায় মোদির ওপর চটেছেন ট্রাম্প। সে কারণেই ভারতের ওপর নেমে এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কশাস্তি। দিল্লির ওপর প্রথমে ২৫ শতাংশ, পরে আরও ২৫ শতাংশসহ মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন ট্রাম্প।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের চাপের মুখেও ভারত সাড়া দেয়নি। মোদি উল্টো বলেছেন, ‘ভারত কৃষকদের স্বার্থে কোনো আপস করবে না।’
১১১ দিন আগে
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে টানাপোড়েনের মধ্যে চীন সফরে যাচ্ছেন মোদি
শুল্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই চীন সফরে যাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিয়ানজিন শহরে অনুষ্ঠিতব্য সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে আগামী ৩১ আগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তার চীনে অবস্থান করার কথা রয়েছে।
এর মাধ্যমে সাত বছর পর চীন সফর করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। এর আগে, এসসিও সম্মেলনে যোগ দিতেই ২০১৮ সালে সর্বশেষ চীন সফর করেছিরেন তিনি।
টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবারের সম্মেলনের আয়োজক। সম্মেলনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও অংশ নিতে পারেন। চীন সফরের পর ভারত-জাপান সম্মেলনে অংশ নিতে টোকিও সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে মোদির।
তবে আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে কোনো বিবৃতি দেয়নি ভারত সরকার।
টাইমস অব ইন্ডিয়া বলেছে, আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়ার পর দ্বিপাক্ষিক আলোচনার বিষয়গুলো নির্ধারণ করতে ভারত সফর করবেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। একইসঙ্গে সীমান্ত ইস্যুতে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে বিশেষ প্রতিনিধি পর্যায়ের আলোচনাও করবেন ই।
এসসিও সম্মেলনে ১০ সদস্য রাষ্ট্রের সঙ্গে সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতা, আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা হতে পারে। যদিও ইউরেশীয় এই জোটকে পুরোপুরি সমর্থন করে না ভারত, তবে মধ্য এশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষার এবং আফগানিস্তানে নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগ মোকাবিলায়ে এটিকে গুরুত্বপূর্ণ একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে দেখে নয়াদিল্লি। তাছাড়া ভারতকে তার কৌশলগত স্বাতন্ত্র্য তুলে ধরারও সুযোগ দেয় এসসিও।
এমন একটি সময়ে এই সফর হতে যাচ্ছে যখন চীনের প্রতিদ্বন্দ্বী যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক নিয়ে ভারতের টানাপোড়েন চলছে।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার তেল আমদানি করায় যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত শুল্ক ‘অন্যায্য ও অযৌক্তিক’: ভারত
রাশিয়ার থেকে তেল কেনার কারণে ভারতের ওপর অতিরিক্ত ২৫ শুল্কারোপ করেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এর ফলে আগের ২৫ শতাংশ পাল্টা শুল্কসহ ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার মতে, মোদি যদি চীন সফর করেন, তাহলে সেখানে পুতিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করার সম্ভাবনাও প্রবল। তাছাড়া এবার ভারত-রাশিয়া বার্ষিক সম্মেলনের জন্য মোদি নিজেই রুশ প্রেসিডেন্টকে ভারতে স্বাগত জানাতে পারেন।
এদিকে, গালওয়ান উপত্যকায় চীন-ভারত সংঘর্ষের পর এটি হবে মোদির প্রথম চীন সফর। তবে ২০২৪ সালের অক্টোবরে কাজানে অনুষ্ঠিত ব্রিকস সম্মেলনের ফাঁকে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন তিনি।
১২০ দিন আগে
মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সই করতে যুক্তরাজ্য সফরে যাচ্ছেন মোদি
একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের লক্ষ্যে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে যুক্তরাজ্য যাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। স্থানীয় সময় বুধবার (২৩ জুলাই) থেকে এ সফর শুরু করবেন মোদি। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এটি হবে তার চতুর্থ যুক্তরাজ্য সফর।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কারণে বৈশ্বিক অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে এই চুক্তিকে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ভারত সরকারের দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সফরকালে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা, প্রযুক্তিগত সহযোগিতা ও নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তৃত আলোচনা করবেন মোদি। এরপর রাজা চার্লসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন তিনি।
বিশ্লেষকদের মতে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্য বেরিয়ে যাওয়ার পর এটি হবে তাদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক চুক্তি। অপরদিকে, এশিয়ার বাইরে ভারতের সঙ্গে এটিই হতে যাচ্ছে প্রথম বড় মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি।
ভারতীয় অর্থনীতিবিদ সঞ্জয়া বারু মনে করেন, যুক্তরাজ্য ও ভারতের মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে—তাই আরও গভীর বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে তোলা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: মার্কো রুবিওর সঙ্গে বৈঠকে বসছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এই চুক্তি-সংক্রান্ত আলোচনায় যুক্তরাজ্যে অস্থায়ীভাবে কাজ করতে যাওয়া ভারতীয় নাগরিকদের জন্য ওয়ার্ক ভিসা, পেশাগত যোগ্যতার স্বীকৃতি ও জাতীয় বীমা অবদানের ছাড়পত্রের মতো দীর্ঘদিনের বিতর্কিত বিষয়ে ছাড় আদায় করতে সক্ষম হয়েছে ভারত।
তবে চুক্তি কার্যকর হতে হলে দুই দেশের পার্লামেন্টের অনুমোদন প্রয়োজন। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী বছরের মাঝামাঝি থেকে এটি কার্যকর হতে পারে।
চুক্তির আওতায় রত্ন, টেক্সটাইল, প্রকৌশল পণ্য, চামড়া, তৈরি পোশাক ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্যসহ ভারতের ৯৯ শতাংশ রপ্তানিপণ্যে যুক্তরাজ্যে শূন্য শুল্ক কার্যকর হবে। এর বিনিময়ে ভারত যুক্তরাজ্যের ৯০ শতাংশ রপ্তানিপণ্যে ধাপে ধাপে শুল্ক হ্রাস করবে।
স্কচ হুইস্কির ওপর শুল্ক ১৫০ শতাংশ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে ৭৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে এবং ১০ বছরের মধ্যে তা আরও কমে ৪০ শতাংশে নেমে আসবে। এছাড়া শতভাগ শুল্কের আওতায় থাকা ব্রিটিশ গাড়ির ওপর শুল্ক কোটা অনুযায়ী ১০ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে। অন্যান্য সুবিধার মধ্যে রয়েছে, চিকিৎসা সরঞ্জাম, ওষুধ, বিমানযন্ত্রাংশ এবং ইলেকট্রনিক্সে শুল্ক ছাড়।
আরও পড়ুন: মার্কিন পণ্যে পাল্টা ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি ব্রাজিলের
তবে এই চুক্তির আওতায় ভারতের কৃষিখাত, আর্থিক ও আইনি পরিষেবা খাত অন্তর্ভুক্ত হয়নি। কারণ এসব বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগ চুক্তি নিয়ে আলোচনা এখনো অমীমাংসিত।
এ ছাড়া যুক্তরাজ্যের প্রস্তাবিত কার্বন কর—যেটি ‘কার্বন বর্ডার অ্যাডজাস্টমেন্ট মেকানিজম’ নামে পরিচিত—তাও চুক্তির আওতা থেকে বাদ পড়েছে।
এ বিষয়ে দিল্লিভিত্তিক গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভের প্রধান অজয় শ্রীবাস্তব বলেন, কার্বন কর এখনো আলোচনার প্রধান বাধা হয়ে আছে। এটি ভারতের রপ্তানিকারকদের জন্য মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির সুবিধাগুলো পুরোপুরি নিঃশেষ করে দিতে পারে।
১৩৪ দিন আগে
বিমসটেক: ড. ইউনূস ও মোদির সাক্ষাৎ, একসঙ্গে নৈশভোজ
বঙ্গোপসাগর অঞ্চলে বহুখাতীয়, কারিগরি ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা উদ্যোগ—বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক নৈশভোজে একে অপরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সম্মেলনে অংশ নেওয়া বিভিন্ন দেশের নেতাদের জন্য বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) এই নৈশভোজের আয়োজন করেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা।
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ ইউএনবিকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
এদিন শাংগ্রি-লা হোটেলের গ্র্যান্ড বলরুমে বিমসটেক নেতাদের স্বাগত জানান থাই প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন সিনাওয়াত্রা। এরপর নৈশভোজে একটি সংক্ষিপ্ত বক্তব্যও দেন তিনি।
আনুষ্ঠানিক নৈশভোজে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ছবিও তোলেন থাই প্রধানমন্ত্রী সিনাওয়াত্রা।
২৪৫ দিন আগে
বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারত্ব এগিয়ে নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ভারত: ড. ইউনূসকে মোদি
বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে পাঠানো বার্তায় শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির জন্য দুই দেশের অংশীদারত্বকে এগিয়ে নিতে প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে পাঠানো এক বার্তায় মোদি বলেন, শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির জন্য আমাদের (দুদেশের) যে আকাঙ্ক্ষা, তার দ্বারা পরিচালিত হয়ে এবং একে অপরের স্বার্থ ও উদ্বেগের প্রতি পারস্পরিক সংবেদনশীলতার ভিত্তিতে আমরা এই অংশীদারত্বকে এগিয়ে নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে ড. ইউনূস ও এদেশের জনগণকে অভিনন্দন জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, এই দিনটি আমাদের অভিন্ন ইতিহাস ও ত্যাগের সাক্ষ্য হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে, যা আমাদের দ্বিপাক্ষিক অংশীদারত্বের ভিত্তি স্থাপন করেছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা দুদেশের সম্পর্কের পথপ্রদর্শক হিসেবে অব্যাহত থাকবে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে এটি বিকশিত হয়েছে এবং দুদেশের জনগণের জন্য সত্যিকারের কল্যাণ বয়ে এনেছে।
আরও পড়ুন: জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা নিবেদন
দেশটির রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনকে পাঠানো বার্তায় বলেন, ‘ভারতের সরকার, জনগণ এবং আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জাতীয় দিবস উপলক্ষে আপনাকে এবং বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতিম জনগণকে উষ্ণ শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।’
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ককে বহুমুখী উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাণিজ্য, বহুমুখী যোগাযোগ, উন্নয়ন অংশীদারত্ব, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, শিক্ষা, সক্ষমতা বৃদ্ধি, সাংস্কৃতিক সহযোগিতা এবং জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধির মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুদেশের পারস্পরিক সহযোগিতা রয়েছে।
ভারতের রাষ্ট্রপতি বলেন, ভারতের ‘প্রতিবেশী আগে’ ও ‘অ্যাক্ট ইস্ট’ নীতির কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে বাংলাদেশ। এছাড়া রয়েছে আমাদের সাগর মতবাদ ও ইন্দো-প্যাসিফিক ভিশন।
গণতান্ত্রিক, স্থিতিশীল, অন্তর্ভুক্তিমূলক, শান্তিপূর্ণ ও প্রগতিশীল বাংলাদেশের প্রতি ভারতের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।
২৫৩ দিন আগে
বাংলাদেশের চলমান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নেই: ট্রাম্প
বাংলাদেশের চলমান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা নেই বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (ভারতের প্রধানমন্ত্রী) ওপর ছেড়ে দেব।’
হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ডোনাল্ড ট্রাম্প ও নরেন্দ্র মোদির দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে মোদির সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ইস্যু নিয়ে করা একটি প্রশ্ন এড়িয়ে যান ট্রাম্প। এ সময় ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক ও দুই দেশের বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা করেন দুই নেতা।
২৯৩ দিন আগে
২৭ বছর পর দিল্লির মসনদে বসতে চলেছে বিজেপি
প্রায় তিন দশক পর দিল্লির ক্ষমতায় বসতে চলেছে ভারতীয় জনতা পার্টি—বিজেপি। বিজেপির কড়া সমালোচক হিসেবে পরিচিত আম আদমি পার্টির (আপ) নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে হারিয়ে ২৭ বছর পর দিল্লির মসনদে বসতে চলেছে নরেন্দ্র মোদির দল।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে দিল্লির বিধানসভার ভোট গণনা শুরু হয়। গণনা শুরু হওয়ার আগেই বুথফেরত জরিপে বিজিপিকে জয়ী দেখানো হয়েছিল।
সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, বিধানসভার ৭০টি আসনের মধ্যে ৪৮টি আসনেই এগিয়ে রয়েছে বিজেপি।
এর আগে, টানা দুই মেয়াদে দিল্লির ক্ষমতায় ছিলেন আপ নেতা কেজরিওয়াল। ২০১২ সালে দেশটির রাজধানীতে দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলন শুরু করে ব্যাপক জনপ্রিয় হন তিনি। এরপর ২০১৫ সালের নির্বাচনে জয়লাভ করে তিনি দিল্লির ক্ষমতায় বসেন।
ক্ষমতা গ্রহণের পর নানামুখী জনকল্যাণমূলক কাজ করে ব্যাপক জনপ্রিয় হন কেজরিওয়াল। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কল্যাণে কাজ করায় গত নির্বাচনেও তিনি ভোটে এগিয়ে ছিলেন।
গত বছর ভারতের লোকসভা নির্বাচনের আগে দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হন কেজরিওয়াল। তিনি গ্রেপ্তারের পর রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য বিজেপি তাকে ফাঁসিয়েছে বলে অভিযোগ থাকলেও বরাবরই তা অস্বীকার করে আসছে ক্ষমতাসীন দলটি।
আরও পড়ুন: ভারতের নির্বাচনে ভোটদানের বিশ্ব রেকর্ড, বিস্ময়কর বললেন সিইসি
পরবর্তীতে জামিনে মুক্তি পেয়ে দিল্লির মূখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন ৫৬ বছর বয়সী এই নেতা। পদত্যাগের পর জাতীয় নির্বাচনি প্রচারে মনোনিবেশ করেন তিনি। তবে যে আসনগুলোতে তিনি জয়ের প্রত্যাশা করেছিলেন, সেগুলোতেও হেরে যান। এবার বিধানসভার নির্বাচনেও তার পরাজয় প্রায় নিশ্চিত।
চলতি বিধানসভার নির্বাচনি প্রচারে কেজরিওয়ালকে হারাতে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি। এর মধ্যে ছিল আড়াই হাজার নারীকে মাসিক আড়াই হাজার রুপি করে ভাতা এবং গর্ভবতী নারীদের এককালীন ২১ হাজার রুপি করে আর্থিক সহায়তা প্রদান। এ ছাড়াও ক্ষমতায় এলে রান্নার গ্যাসে ভর্তুকি, বয়স্কদের মাসিক পেনশন ও তরুণদের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষাগুলোতে ১ হাজার ৫০০ রুপি করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিল মোদির দল।
বিধানসভার এই নির্বাচন প্রকৃতপক্ষে ভারতের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষে দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা বাড়াতে ভূমিকা রাখে, পরবর্তীতে যা আইন প্রণয়নে দলটির জন্য সহায়ক হয়।
২৯৯ দিন আগে
যশোরেশ্বরী মন্দিরে নরেন্দ্র মোদির উপহারের স্বর্ণের মুকুটের সন্ধান মেলেনি এখনও
চুরি হওয়া যশোরেশ্বরী কালী মন্দিরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপহারের স্বর্ণের মুকুটটির সন্ধান শুক্রবার (১২ অক্টোবর) পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। এছাড়াও চুরির ঘটনায় জড়িত যুবককেও শনাক্ত করা যায়নি।
পুলিশ মুকুট চুরির ঘটনায় মন্দিরের প্রধান পুরোহিত দিলীপ ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী রেখাসহ ৭ জনকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
সিসি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার অজ্ঞাত এক যুবক মন্দিরে গিয়ে দেবীর কালীর মাথা থেকে স্বর্ণের মুকুট খুলে নিয়ে যায়।
ঐ যুবক স্থানীয় নয়। শ্যামনগরের প্রত্যন্ত অঞ্চলসহ সীমান্ত এলাকায় তার ছবি ছড়িয়ে দিলেও কোনোভাবে তাকে কেউ শনাক্ত করা যায়নি।
আরও পড়ুন: ঢাকেশ্বরী মন্দিরে হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার শুভেচ্ছা বিনিময়
স্থানীয়দের মতে, সিসি ক্যামেরায় প্যান্ট ও সাদা টিশার্ট পরা এক যুবকের ছবি ধরা পড়লেও চুরির ঘটনায় আরও অনেকে জড়িত। এছাড়া পরিচ্ছন্নতাকর্মী রেখা মন্দিরের মূল ফটক খোলার কিছুক্ষণের মধ্যেই এই ঘটনা ঘটে।
সাধারণত শনিবার ও মঙ্গলবার পূজার জন্য মুকুটটি মন্দিরে আনা হয়। মুকুটটি বৃহস্পতিবার চুরি হয়। মঙ্গলবার পূজার পর কেন মুকুট বাড়িতে ফিরিয়ে নেওয়া হয়নি, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
মহারাজা প্রতাপাদিত্য স্মৃতিরক্ষা পরিষদের সভাপতি জয়দেব বিশ্বাস বলেন, নিরাপত্তাজনিত কারণে চুরির ঘটনা ঘটেছে। গুরুত্বপূর্ণ ও মূল্যবান সম্পদ হওয়া সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষ ন্যূনতম দায়িত্ববোধের পরিচয় দিতে পারেনি। সিসিটিভি ফুটেজ ও অন্যান্য তথ্য যাচাইয়ের পর মনে হয়েছে, চুরির সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্যপরিষদের আহ্বায়ক বিষ্ণুপদ মণ্ডল বলেন, ‘আমার কাছে স্বর্ণের মুকুট চুরিটাকে সম্পূর্ণ স্যাবোটাজ মনে হয়েছে। পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে চুরিটি হতে পারে।’
মন্দির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বরতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফকির তাইজুর রহমান বলেন, পুলিশ কাউকে আটক করেনি। তবে যুবকের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
তিনি আরও বলেন, মন্দিরের পুরোহিত ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীসহ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। মন্দিরের পুরোহিত একেক সময় একেক কথা বলছেন।
মন্দির কমিটির নেতারা ঢাকায় রয়েছেন জানিয়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, ঢাকা থেকে শ্যামনগর ফিরে তারা চুরির ঘটনায় মামলা করবেন।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের মার্চে শ্রীশ্রী যশোরেশ্বরী মন্দির পরিদর্শনকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ওই মুকুট দেবী কালির মাথায় পরিয়ে দেন।
আরও পড়ুন: এক উঠানে মসজিদ-মন্দির, ধর্মীয় সম্প্রীতির উজ্জ্বল নিদর্শন
৪১৮ দিন আগে