দেশ
সরকারের দুঃশাসন দেশকে ধ্বংস করছে: ফখরুল
সরকার দুঃশাসনের মাধ্যমে দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) এক দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে সরাতে সরকারবিরোধী আন্দোলন জোরদার করতে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘১৯৭৫ সালে আওয়ামী লীগ একদলীয় বাকশাল শাসন কায়েম করে। তারা এখন ভিন্নভাবে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে।’
ক্ষমতাসীনরা নির্বাচনি ব্যবস্থা, দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করেছে এবং প্রশাসন ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে রাজনীতিকরণ করেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘দেশ এখন ধ্বংসের পথে। এই আওয়ামী লীগ সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে ততদিন বাংলাদেশ আরও দ্রুত অতল গহ্বরে যাবে।’
দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হয়ে পড়বে এবং অর্থনীতি, শিক্ষাসহ সব খাত পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যাবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমাদের এখন প্রয়োজন হলো সবার মধ্যে ঐক্য গড়ে তোলা। সেই ঐক্যকে কাজে লাগিয়ে আমরা রাজপথের আন্দোলনকে বেগবান করে তাদের (আওয়ামী লীগ) পরাজিত করব।’
এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দ্রুত রোগমুক্তি কামনা করে রাজধানীর নয়াপল্টনের মওলানা ভাসানী মিলনায়তনে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি।
আরও পড়ুন: অসুস্থ খালেদা জিয়ার জীবন ঝুঁকিতে: ফখরুল
ফখরুল বলেন, বিদেশে খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে তাকে কোনো শর্ত ছাড়াই কারাগার থেকে মুক্ত করতে কঠোর আন্দোলন অপরিহার্য।
তিনি বলেন, ‘দেশনেত্রীর (খালেদা জিয়া) মুক্তি ও গণতন্ত্রকে পৃথক ইস্যু হিসেবে দেখার কোনো কারণ নেই। আমাদের নেত্রীকে মুক্ত করলে গণতন্ত্র ফিরে আসবে এবং দেশ সুরক্ষিত হবে।’
ফখরুল আরও বলেন, দেশের সমস্যা সমাধান ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করা প্রয়োজন। সেই লক্ষ্য অর্জনে আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করি। আমরা সবাই মিলে কাজ করলে কেউ আমাদের পরাজিত করতে পারবে না।
বিএনপি উত্তর ও দক্ষিণ যুবদলের নবগঠিত কমিটির নেতাদের অভিনন্দন জানান বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নবগঠিত কমিটিগুলোর নেতৃত্বে সংগঠনগুলো আরও শক্তিশালী হবে এবং এই সরকারকে পরাজিত করতে ভূমিকা রাখবে।’
আরও পড়ুন: চলমান আন্দোলনে উসকানি দিচ্ছে বিএনপি, সরকারের এ অভিযোগ উড়িয়ে দিলেন ফখরুল
রোহিঙ্গা বিষয়ে ওআইসি দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্রিফিং
ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতদের মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি সম্পর্কে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
নিউ ইয়র্কে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বিকালে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের ওআইসি সম্মেলনকক্ষে তাদের ব্রিফ করেন তিনি।
রোহিঙ্গাদের দুর্দশা নিরসনে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার অগ্রভাগে থাকার জন্য তিনি অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) প্রশংসা করেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলা ও ক্ষুদ্র দ্বীপদেশগুলোর উন্নয়নে জোর আন্তর্জাতিক সহায়তার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংঘাত বৃদ্ধির বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন ও মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রিত প্রায় ১৩ লাখ রোহিঙ্গার পূর্ণ নাগরিক অধিকারসহ তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসনের প্রচেষ্টায় ওআইসি রাষ্ট্রদূতদের সংহতি অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।
ওআইসিভুক্ত দেশ সৌদি আরব, গাম্বিয়া, পাকিস্তান, মালয়েশিয়া, তুর্কি, ইরান, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, আলজেরিয়া, মিশর, ইন্দোনেশিয়ার জাতিসংঘে স্থায়ী প্রতিনিধিরা সময়োপযোগী এ ব্রিফিংয়ের জন্য বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
তারা উদ্বাস্তু রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদারতার প্রশংসা করেন এবং রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশের দাবির প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেন।
৩০ মে থেকে দুই দিনের সরকারি সফরে নিউইয়র্কে অবস্থানরত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান জাতিসংঘের শীর্ষ কর্মকর্তা ও সদস্য দেশগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে আরও বৈঠক করবেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর বৈদেশিক নীতি অনুযায়ী শান্তির প্রচেষ্টায় জাতিসংঘের অগ্রভাগে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
জ্যামাইকা ও ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে হাছান মাহমুদের বৈঠক
গণমাধ্যমকে দেশ-জনগণের স্বার্থে দাঁড়ানোর আহ্বান তথ্য প্রতিমন্ত্রীর
দেশ ও জনগণের স্বার্থের পক্ষে গণমাধ্যমকে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
তিনি বলেন, দেশটা আমাদের সবার। এদেশের স্বার্থের বিপক্ষে যেসব ষড়যন্ত্র হবে সেগুলো ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করতে হবে।
বুধবার (২৯ মে) বিকালে রাজধানীর সার্কিট হাউস রোডের তথ্য ভবন মিলনায়তনে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল পদক ২০২৩ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার পূর্ণাঙ্গভাবে গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। কারণ গণমাধ্যমের স্বাধীনতা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অংশ। যে স্বপ্ন নিয়ে এদেশ তৈরি হয়েছিল সে স্বপ্নের একটি বড় জায়গায় গণতন্ত্র, মানবাধিকারের সুরক্ষা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর লড়াইয়ের গল্প তুলে ধরাই হোক অঙ্গীকার: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
আলী আরাফাত বলেন, গণমাধ্যমের সঙ্গে সম্পৃক্ত যারা আছেন তারা যাতে পেশাদারিত্ব ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করতে পারেন, সে কারণে সরকার বিভিন্নভাবে তাদের পাশে দাঁড়াচ্ছে। গণমাধ্যম সব ধরনের স্বাধীনতা ভোগ করে সরকারের সমালোচনাও যদি করে সেগুলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার স্বাগত জানাতে চায়। সরকারের চোখ হিসেবে কাজ করে গণমাধ্যম। কোথাও কোনো বিচ্যুতি-ব্যর্থতা থাকলে, সমস্যা থাকলে গণমাধ্যম সেটি নিরপেক্ষভাবে এবং পেশাদারিত্বের সঙ্গে তুলে ধরবে। এর মাধ্যমে সরকার মনে করে গণমাধ্যম সরকারের সহযোগিতাই করছে।
তিনি আরও বলেন, সরকারের সহায়ক শক্তি হিসেবে আমরা গণমাধ্যমকে দেখতে চাই। সরকারের বিচ্যুতি-ব্যর্থতা বা কোনো সমস্যা সত্য তথ্যের ভিত্তিতে তুলে ধরলে সেগুলোকে সরকার স্বাগত জানাবে এবং স্বীকৃতি দিয়ে পুরস্কারও হাতে তুলে দেবে। এ সরকার বঙ্গবন্ধু কন্যার সরকার। যারা সমালোচক তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়। কাজেই সমালোচনা নেয়ার ব্যাপারে শেখ হাসিনা সরকারের যে সহনশীলতা বা তার যে দৃষ্টিভঙ্গি সেটি প্রেস কাউন্সিল পদক প্রদানের মাধ্যমে প্রমাণ হচ্ছে।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, যখন বাংলাদেশবিরোধী ষড়যন্ত্রকারীরা গণমাধ্যমের ঘাড়ে চেপে বসে, গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে অপব্যবহার করে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়, বৈদেশিক বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের সাথে যুক্ত হয়ে দেশ ও দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে, অপতথ্য ও অপপ্রচারের মাধ্যমে দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করে, তখন সমস্যা তৈরি হয়। এগুলোকে সরকার সমালোচনা বলে না, সেগুলো হলো অপপ্রচার অপসংবাদিকতা, অপতথ্য, অন্যায় এবং ষড়যন্ত্র। অন্যায়, অপতথ্য ও অপপ্রচারের মাধ্যমে মানুষকে ধোকা দেওয়া হলে, অপসংবাদিকতা হলে পেশাদার সাংবাদিকরা সেটা দমন করতে চায় সুষ্ঠু ও সুস্থ সাংবাদিকতার স্বার্থে। সরকার পেশাদার সাংবাদিকদের সঙ্গে আছে।
তিনি বলেন, কিছুদিন আগে জার্মানির ডয়চে ভেলে একটি তথ্যচিত্র বানিয়ে প্রচার করেছে। আন্তর্জাতিকভাবে শান্তি রক্ষা মিশনে আমাদের যে সাফল্য ও সুনাম, সে সুনাম ক্ষুণ্ন করার জন্য, আমাদের খাটো করে দেখানোর জন্য এক ধরনের দূরভিসন্ধিমূলক অপপ্রচারের একটি তথ্যচিত্র তারা তৈরি করেছে। এটি বাংলাদেশের বিপক্ষে। কোনো দলের বিপক্ষে নয়, কোনো ব্যক্তির বিপক্ষে নয়। যে প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের নিরাপত্তাকে সুরক্ষা দেয়, যে প্রতিষ্ঠান গোটা বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অগ্রগামী ভূমিকা রেখেছে, বাংলাদেশের সুনাম যারা বৃদ্ধি করেছে, সেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে খাটো করা মানে বাংলাদেশকে খাটো করা। একটা গোষ্ঠী সিন্ডিকেট করে আন্তর্জাতিক কিছু গণমাধ্যম ব্যবহার করে এ ধরনের অপপ্রচার করছে। ডয়চে ভেলে বা যে কোনো প্রতিষ্ঠান বা সংবাদ সংস্থা তারা যদি মানবাধিকারের প্রতি তাদের কোনো সৎ অঙ্গীকার থেকে কোনো প্রতিবেদন বা তথ্যচিত্র করে সেটাকে আমরা স্বাগত জানাব। ডয়চে ভেলের যদি মানবাধিকারের প্রতি অঙ্গীকার থাকে, সততা থাকে তাহলে আমি তাদের চ্যালেঞ্জ করতে চাই, আজকে বিশ্বে যে যুদ্ধের ডামাডোল, মধ্যপ্রাচ্যের গাজায় যেভাবে নারী-শিশুকে হত্যা করে মানবাধিকার ভঙ্গের ন্যাক্কারজনক নজির তৈরি হচ্ছে, যেখানে গণহত্যা হচ্ছে, সেই গণহত্যা নিয়ে তারা একটি তথ্যচিত্র তৈরি করে তুলে ধরুক। তাহলে আমরা বুঝব তাদের মানবাধিকারের অঙ্গীকারে সততা আছে।
আরও পড়ুন: সরকার সুষম ও টেকসই উন্নয়নে বিশ্বাস করে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী আরও যোগ করেন, পাশ্চাত্যের দেশগুলো উঠতে-বসতে আমাদের গণমাধ্যমের স্বাধীনতার লেকচার দেয়। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-শিক্ষকদের একেবারে শান্তিপূর্ণ প্রতিরোধে পুলিশের আচরণ আমরা দেখেছি। কীভাবে মিলিটারি ক্যাম্পাসের ভেতরে ঢুকে গিয়ে গ্রেপ্তার করছে। একজন নারী অধ্যাপককে মাটিতে ফেলে যুদ্ধাংদেহী অ্যাপ্রোচে গ্রেপ্তার করছে। অথচ এরাই কিছুদিন আগে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মানবাধিকার এগুলোর লেকচার আমাদের দিচ্ছিল।
বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি কাজী কেরামত আলী এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল পদক ২০২৩ এর জুরি বোর্ডের সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আবুল মনসুর আহাম্মদ।
অনুষ্ঠানে ছয়টি ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল পদক-২০২৩ দেওয়া হয়। আজীবন সম্মাননা ক্যাটাগরিতে সাপ্তাহিক বেগম সম্পাদক মরহুম নুরজাহান বেগম, প্রাতিষ্ঠানিক সম্মাননা ক্যাটাগরিতে দৈনিক ভোরের কাগজ, আঞ্চলিক প্রাতিষ্ঠানিক সম্মাননা ক্যাটাগরিতে দৈনিক কক্সবাজার, উন্নয়ন সাংবাদিকতা ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ টেলিভিশনের প্রযোজক (বার্তা) মো. ইকবাল হোসেন, গ্রামীণ সাংবাদিকতা ক্যাটাগরিতে সময় টেলিভিশনের পটুয়াখালী জেলা সংবাদদাতা সিকদার জাবীর হোসেন এবং নারী সাংবাদিক ক্যাটাগরিতে দৈনিক ভোরের কাগজের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক ঝর্ণা মনিকে পদক দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: গণমাধ্যমে শৃঙ্খলা আনার কাজ করা হচ্ছে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
প্রবৃদ্ধি অর্জনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে না পারলে উন্নয়নশীল দেশগুলো পিছিয়ে পড়বে: এডিবি প্রেসিডেন্ট
অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ব্যবহার ও ডিজিটাল প্রযুক্তি গ্রহণের উপর জোর দিয়ে এর যর্থার্থ ও সতর্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে বলেছেন এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) প্রেসিডেন্ট মাসাতসুগু আসাকাওয়া।
ভবিষ্যৎ অগ্রাধিকারের বিষয়ে আলোকপাত করে তিনি বলেন, ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা স্বাস্থ্যসেবা প্রদান, কৃষি ও জলবায়ু পরিবর্তনের মতো ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি এবং উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহায়তা করার জন্য প্রচুর সম্ভাবনাময়।’
এডিবি প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, উন্নয়নশীল দেশগুলো এই প্রযুক্তি গ্রহণ করতে না পারলে পিছিয়ে পড়বে।
তিবিলিসির কনসার্ট হলে ৫৭তম বার্ষিক সভার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী অধিবেশনে তিনি বলেন, এআই ব্যবহারের ক্ষেত্রে পক্ষপাত ও স্বচ্ছতার অভাবের মতো ঝুঁকিও রয়েছে।
এ সময় জর্জিয়ার প্রধানমন্ত্রী ইরাকলি কোবাখিদজে উপস্থিত ছিলেন। একটি বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সমৃদ্ধ জর্জিয়ান সংস্কৃতি তুলে ধরা হয়।
আরও পড়ুন: আগামী ২ বছর উন্নয়নশীল এশীয় অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ৪.৯ শতাংশ থাকার আশা এডিবি প্রেসিডেন্টের
এডিবি প্রেসিডেন্ট বলেন, সংস্থাটি নৈতিক কাঠামো অনুসরণ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি অর্জনে কার্যকরী এআই সমাধান ব্যবহারে উন্নয়নশীল সদস্য দেশগুলোর সক্ষমতা জোরদারে কঠোর পরিশ্রম করছে।
তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল বিভাজন দূরীকণ এবং এআই এর সুযোগ উন্মুক্ত করণে আমরা বিশ্বাস করি। এটি আরও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের মূল চাবিকাঠি।’
এডিবি প্রেসিডেন্ট বলেন, তারা এমন এক সময়ে একত্রিত হয়েছেন, যখন এই অঞ্চলের জনগণ নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। এ সময় তাদের নিবিড় মনোযোগ ও সমন্বয়ের প্রয়োজন।
আসাকাওয়া বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের অবিরাম প্রভাবগুলো, সংঘাত ও সংকট দ্রুত তাদের জীবন-জীবিকাকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারে।’
তিনি বলেন, 'আসুন আমরা একসঙ্গে এগিয়ে যাই, যাতে আমরা আরও সমৃদ্ধ, অন্তর্ভুক্তিমূলক, সহনশীল ও টেকসই এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য সেতুবন্ধন গড়ে তুলি।’
শুরুতে জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকির বিষয়ে তিনি বলেন, এই হুমকিকে উপেক্ষা করা যায় না এবং তাদের প্রতিক্রিয়া বিলম্বিত করা যাবে না।
আসাকাওয়া বলেন, ‘২০২৩ সাল ছিল স্মরণকালের সবচেয়ে উষ্ণতম বছর। আমরা মানুষের উপর এর প্রভাব এবং ভবিষ্যতের উন্নয়নের ঝুঁকি দেখতে পাচ্ছি। শস্য ও খাদ্য ব্যবস্থা ক্রমবর্ধমান ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে।’
তিনি বলেন, ভবিষ্যতের সেতুবন্ধন অবশ্যই অন্তর্ভুক্তিমূলক হতে হবে। ‘অর্থায়নে প্রতিবন্ধকতার কারণে কেউ যেন উন্নয়নের সুফল থেকে বঞ্চিত না হয়।’
আরও পড়ুন: কার্যকরী-গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজে আগ্রহী এডিবি: ভাইস প্রেসিডেন্ট ভার্গব দাশগুপ্ত
সবুজ বিশ্বায়নের চালিকাশক্তি
এডিবি প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘এই কক্ষে আমাদের উপস্থিতি প্রমাণ করে আমাদের বিশ্ব কতটা গভীরভাবে সংযুক্ত। আমাদের এটা কাজে লাগানো উচিত। আরও সবুজ ও উন্মুক্ত অর্থনীতি গড়ে তুলতে আমাদের এই সংযোগগুলো বাড়ানো উচিত।’
তিনি বলেন, মহামারি বা বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা এবং সংঘাতের দিকে ফিরে তাকানো সহজ হতে পারে এবং এই সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সহজ হতে পারে যে বিশ্বায়ন এখন মৃত। ‘আমি এটা বিশ্বাস করি না।’
তিনি বলেন, 'এটা সত্য যে বৈশ্বিক বাণিজ্য ও সরবরাহ শৃঙ্খল সংকটের ঝুঁকিতে রয়েছে। তবে এর উত্তর সংরক্ষণবাদ এবং বিভাজন হতে পারে না।’
আসাকাওয়া বলেন, মুক্ত বাণিজ্য ও মূলধনের অবাধ চলাচল কয়েক দশক ধরে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে উপকৃত করেছে এবং এটিই অবশ্যই এগিয়ে যাওয়ার উপায় হতে হবে।
সরবরাহ শৃঙ্খল স্থিতিশীল রাখতে আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্য বৃদ্ধি, বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ জোরদার এবং আর্থিক ও কর সহযোগিতা জোরদারে আঞ্চলিক সহযোগিতা কীভাবে গভীর করা যায় তা অনুসন্ধানের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এডিবি প্রেসিডেন্ট।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে প্রবীণদের জন্য আরও বেশি বরাদ্দ দিতে জোর দিয়েছে এডিবি
বৈশ্বিক কার্বন নিঃসরণের ৩০ শতাংশের জন্য দায়ী বাণিজ্য সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম
আসাকাওয়া বলেন, 'অস্বস্তিকর সত্য হলো এশিয়ার শক্তিশালী প্রবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণে আমাদের অবদান বাড়ছে।’
তিনি বলেন, আরও টেকসই ভবিষ্যতের জন্য বৈশ্বিক মূল্য শৃঙ্খলসম্পর্কিত নির্গমন হ্রাস করার জন্য কাজ করার এখনই সময়।
সর্বাধিক চাহিদাসম্পন্ন সদস্যদের সমর্থন করা
এডিবি প্রেসিডেন্ট জোর দিয়ে বলেন, ভবিষ্যতের জন্য সেতুবন্ধন যাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তাদের পেছনে ফেলে রাখতে পারে না।
তিনি বলেন, ‘উন্নয়নশীল ক্ষুদ্র দ্বীপ রাষ্ট্রগুলোসহ দরিদ্রতম ও সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী জলবায়ু পরিবর্তন, অর্থনৈতিক মন্দা ও সংঘাতের কারণে সবচেয়ে বেশি সংকটের মুখোমুখি হচ্ছে।’
এডিবি প্রধান বলেন, তাদের অর্থায়নে অবশ্যই অনুদানসহ রেয়াতি শর্তে সম্পদ অন্তর্ভুক্ত করা অব্যাহত রাখতে হবে।
তিনি বলেন, এশীয় উন্নয়ন তহবিল (এডিএফ) এর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বাহন। বৃহস্পতিবার পুনঃপূরণ সম্পন্ন হওয়ার পর আমরা এসব চাহিদা মেটাতে ৫০০ কোটি ডলার পর্যন্ত সরবরাহ করতে সক্ষম হব।
আরও পড়ুন: জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় প্রচেষ্টা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন জোরদারের আহ্বান এডিবি প্রেসিডেন্টের
৬ দিনের সফর শেষে দেশের উদ্দেশে ব্যাংকক ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী
থাইল্যান্ডে ছয় দিনের সরকারি সফর শেষে দেশের উদ্দেশে ব্যাংকক ত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট স্থানীয় সময় সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকাল ১০টায় ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
ফ্লাইটটি বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।
দু'দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় সফরে গত ২৪ এপ্রিল ব্যাংককে যান শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: থাইল্যান্ড সফরকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে মাইলফলক বললেন শেখ হাসিনা
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ২৬ এপ্রিল গভর্নমেন্ট হাউসে থাই প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন এবং দুই নেতার উপস্থিতিতে ভিসা অব্যাহতি, জ্বালানি, পর্যটন ও কাস্টমস বিষয়ক সহযোগিতা এবং বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নিয়ে আলোচনার বিষয়ে পাঁচটি দ্বিপক্ষীয় নথি সই হয়।
সেখানে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী থাভিসিন আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজে অংশ নিয়ে শেখ হাসিনা তার এই সফরকে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হিসেবে অভিহিত করেন।
তিনি বলেন, ‘এই সরকারি সফর আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। এটি আমাদের দুই দেশের মধ্যে ফলপ্রসূ অংশীদারিত্বের নতুন যুগের সূচনা করেছে।’
আরও পড়ুন: ৫টি দ্বিপক্ষীয় নথিতে সই করেছে ঢাকা-ব্যাংকক
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী ২৫ এপ্রিল দুসিথ প্রাসাদের অ্যামফর্ন সাথার্ন হলে থাইল্যান্ডের রাজা ও রানী মহা ভাজিরালংকর্ন ফ্রা ভাজিরা ক্লাওচা উয়ুয়া এবং সুথিদা বজ্রসুধা বিমলা লক্ষণের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
বহুপক্ষীয় উদ্যোগের অংশ হিসেবে শেখ হাসিনা ২৫ এপ্রিল থাইল্যান্ডের ব্যাংককে জাতিসংঘ সম্মেলন কেন্দ্রের ইউএন এসকাপ হলে (২য় তলায়) জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসকাপ) ৮০তম অধিবেশনে বক্তব্য দেন।
ঢাকা ও ব্যাংককের মধ্যে সই হওয়া পাঁচটি নথি হলো- একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং একটি লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই), জ্বালানি সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক; কাস্টমস সম্পর্কিত বিষয়ে সহযোগিতা ও পারস্পরিক সহায়তা সম্পর্কিত সমঝোতাপত্র; পর্যটন ক্ষেত্রে সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতাপত্র; এবং এলওআই ২০২৪ সালের মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নিয়ে আলোচনা শুরু করবে।
২৪ এপ্রিল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়।
আরও পড়ুন: ৬ দিনের থাইল্যান্ড সফর শেষে সোমবার দেশে ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী
২০ দিন পর ইতালি থেকে দেশে ফিরল প্রবাসীর লাশ
মৃত্যুর ২০ দিন পর ইতালি থেকে দেশে ফিরল চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার সদাবরী গ্রামের প্রবাসী আবু বক্করের লাশ।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায় তার লাশ। পরে নিজ গ্রামের কবরস্থানে দাফন কাজ সম্পন্ন করা হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে মাদরাসার মাঠ থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
আবু বক্কর দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের সদাবরী গ্রামের ঈদগাহ পাড়ার সওদার মণ্ডলের বড় ছেলে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, জীবিকার প্রয়োজনে ১৪ বছর আগে ওমানে যান আবু বক্কর, তারপর ওমান থেকে যান দুবাইয়ে। এভাবে কয়েক দফায় দেশ বদলের পর অবৈধ পথে যান ইতালিতে। প্রায় তিন বছর থাকার পর গত ১ মার্চ আবু বক্কর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে সেখানেই মৃত্যুবরণ করেন।
আবু বক্করের বাবা সওদার বলেন, আমার ছেলে দীর্ঘ ১৪ বছর আগে বিদেশে যায়। একটি ফার্মে কাজ করতেন। গত ১ মার্চ সকাল ৮টার দিকে ওই দেশে থাকা ছেলের বাংলাদেশি সহকর্মীরা ফোন করে তার মৃত্যুর বিষয়টি আমাদের জানায়। ছেলের মুখটি দেখার জন্য দীর্ঘ ২০ দিন আমরা অপেক্ষায় ছিলাম। ছেলের মুখটি দেখতে পেয়ে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় নারী এনজিও কর্মকর্তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
কুমিল্লায় মহাসড়কের পাশে মুখে স্কচটেপ পেঁচানো লাশ উদ্ধার
দেশকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যেতে দেব না: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি ও তার মিত্ররা নির্বাচনের জন্য নয়, বরং দেশকে আবার অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল চায়।
সোমবার (১৮ মার্চ) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশকে কেউ অন্ধকারের যুগে ঠেলে দিতে পারবে না।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের দেশ, যার জন্ম হয়েছিল সাধারণ মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য। আর আমরা তার আদর্শ অনুসরণ করেই এই পরিবর্তন আনব।
আরও পড়ুন: বাজারের চাহিদা অনুযায়ী পাটজাত পণ্যের বহুমুখীকরণে প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্বারোপ
জাতীয় নির্বাচন পরিচালনার জন্য বাতিল করা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরায় চালু করা হবে বলে বিএনপির দাবির যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন,‘কেন তারা এটা চায়? তাদের প্রত্যাশা কী? ২০০৮ সালের নির্বাচনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছিল। ওই নির্বাচনে তারা পেয়েছিল মাত্র ৩০টি আসন। আর আওয়ামী লীগ পেয়েছিল ২৩৩টি আসন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপিকে এটা মনে রাখতে হবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যতদিন ক্ষমতায় থাকে ততদিন গরিবরা খাবার পায়, আশ্রয় পায়।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেশে কেউ বাড়ি, ঠিকানা ও জমি ছাড়া থাকবে না।
এ লক্ষ্য পূরণে সরকার বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আর এই জিনিসটাই তারা সহ্য করতে পারছে না। সাধারণ ও দরিদ্র মানুষ ভালো জীবন যাপন করছে এটা তারা পছন্দ করে না।’
আরও পড়ুন: জাতির পিতার জন্মবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
দেশ ও জাতির কল্যাণে বঙ্গবন্ধু বারবার কারাবরণ করেছেন: ডিএসসিসি মেয়র
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, দেশ ও জাতির কল্যাণে বঙ্গবন্ধু বারবার কারাবরণ করেছেন, কিন্তু পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেটের ভয়ে কখনো পালিয়ে যাননি।
রবিবার (১৭ মার্চ) এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি। এর আগে মেয়র সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে এবং নগর ভবনস্থ জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
আরও পড়ুন: অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ঘুরে দাঁড়াতে পর্যাপ্ত অনুদান দেবেন প্রধানমন্ত্রী: ডিএসসিসি মেয়র
মেয়র বলেন, বঙ্গবন্ধু কখনো ভয় পেতেন না। যত রকম অত্যাচার-নির্যাতনই করা হোক না কেন। তিনি সেটা স্বাচ্ছন্দে্য গ্রহণ করতেন। কিন্তু কখনোই অন্যায়ের সঙ্গে আপস করতেন না।
মেয়র আরও বলেন, ‘তিনি অনেকবার কারাবরণ করেছেন, কিন্তু একবারও পালাননি। তিনি জানতেন যে পুলিশ আসছে, ম্যাজিস্ট্রেট আসছে। উনাকে ধরে কারাগারে নিয়ে যাবে। তিনি স্ত্রীকে বলতেন, রেনু আমার কাপড় গুছিয়ে দাও, ওরা আসছে। উনার এমন সাহস ছিল।’
অনুষ্ঠানে মেয়র চিত্রাঙ্কন ও আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় ‘ক (প্রাথমিক শ্রেণি)’ ও ‘খ (মাধ্যমিক শ্রেণি)’ বিভাগে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
আরও পড়ুন: জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেওয়ার নজির স্থাপন করেছি: ডিএসসিসি মেয়র
ড্যাপের অনুসরণে নতুন ১৮ ওয়ার্ডের সড়ক অন্তর্জাল সৃষ্টি করা হবে: ডিএসসিসি মেয়র
চীনে ভিসামুক্ত সুবিধা পাচ্ছে আরও ৬ দেশ: ওয়াং ই
সুইজারল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, হাঙ্গেরি, অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম ও লুক্সেমবার্গের নাগরিকরা পরীক্ষামূলকভাবে ভিসামুক্ত নীতির অংশ হিসেবে ভিসা ছাড়াই চীনে প্রবেশ করার সুযোগ পাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার(৭ মার্চ) চীনের জাতীয় আইনসভার চতুর্দশ ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের দ্বিতীয় অধিবেশনের সাইডলাইনে এক সংবাদ সম্মেলনে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এই তথ্য তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, আগামী ১৪ মার্চ থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
ওয়াং বলেন, 'আমরা আশা করি আরও অনেক দেশ চীনা নাগরিকদের ভিসা সহজীকরণের প্রস্তাব দেবে এবং আন্তঃসীমান্ত ভ্রমণের জন্য ফাস্ট-ট্র্যাক নেটওয়ার্ক তৈরি এবং আন্তর্জাতিক যাত্রীবাহী ফ্লাইট দ্রুত পুনরায় শুরুর লক্ষ্যে আমাদের সঙ্গে কাজ করবে।’
আরও পড়ুন: রাখাইনে অস্ত্রবিরতি নিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে কাজ করছে চীন: রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন
তিনি বলেন, এর ফলে চীনা নাগরিকদের বিদেশ ভ্রমণ আরও সহজ হবে এবং বিদেশি বন্ধুরা চীনকে নিজের দেশের মতো অনুভব করবে।
ওয়াং আরও উচ্চমানের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সইয়ের প্রচার, মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চলের বিশ্বব্যাপী ভিত্তিক নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ এবং বিশ্বব্যাপী শিল্প, সরবরাহ এবং ডেটা চেইনকে স্থিতিশীল ও নিরবচ্ছিন্ন রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
অন্যদিকে রয়্যাল থাই সরকার ইতোমধ্যে চীন ও কাজাখস্তানের পর্যটকদের ভিসামুক্ত প্রবেশাধিকার দিয়েছে, যা ১ মার্চ থেকে কার্যকর করেছে।
থাইল্যান্ড এবং চীন চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি উভয় দেশের নাগরিকদের জন্য পারস্পরিক ভিসামুক্ত প্রবেশের জন্য একটি চুক্তি সই করেছে, যা আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকরও হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাইরের হস্তক্ষেপের বিরোধিতায় বাংলাদেশকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে চীন: রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন
এই চুক্তির আওতায় চীনা ও থাই নাগরিদের মধ্যে বৈধ পাসপোর্টধারী জনগণ অন্য দেশের ভূখন্ডে প্রবেশ, প্রস্থান বা ট্রানজিটের ক্ষেত্রে ৩০ দিনের জন্য ভিসামুক্ত সুবিধা পাবেন। তবে যারা বসবাস, কর্মসংস্থান, শিক্ষা বা পড়াশোনা, গণমাধ্যমের কাজ বা অন্যান্য কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য ভ্রমণ করবেন, তাদের ক্ষেত্রে স্ব স্ব দেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতির প্রয়োজন হবে।
এর আগে থাইল্যান্ড ২০২৩ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চীনা পর্যটকদের জন্য অস্থায়ী ভিসামুক্ত সুবিধা দিয়েছে।
থাইল্যান্ডের অন্যতম বড় বাজার হলো চীন। কেবল ২০২৩ সালেই থাইল্যান্ড সফরকারী চীনা নাগরিকের সংখ্যা ৩৫ লাখে পৌঁছেছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী এটি মালয়েশিয়ার পরে এবং দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত এবং রাশিয়ার আগে দ্বিতীয় বৃহত্তম বাজারে পরিণত হয়েছে। ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১১ লাখ ২০ হাজার চীনা নাগরিক থাইল্যান্ড সফর করেছেন।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে চীনকে বাংলাদেশের আহ্বান
দেশ-উন্নয়নকে আরও কাছ থেকে দেখবেন বিদেশি কূটনীতিকরা : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিদেশি কূটনীতিকরা 'অ্যাম্বাসেডরস আউটরিচ প্রোগ্রাম' এর মাধ্যমে দেশ ও দেশের অগ্রগতি সম্পর্কে আরও ভালোভাবে এবং কাছ থেকে জানতে পারবেন।
তিনি বলেন, কূটনীতিকরা যাতে আরও কাছ থেকে দেখতে পারেন, সেজন্য এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাজধানীর বাইরে পরিদর্শনের মাধ্যমে কূটনীতিকরা বাঙালি জাতির সামর্থ্য এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সারা দেশে যে উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ চলছে- সেই খবরগুলো তাদের দেশে পৌঁছাবেন। ফলে তা বিশ্বময় ছড়িয়ে যাবে।
মঙ্গলবার(২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে গণমাধ্যমের সঙ্গে মত বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দু'দিনব্যাপী 'অ্যাম্বাসেডরস আউটরিচ প্রোগ্রামে'র আওতায় প্রথম দিন আজ দুপুরে বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার মিশন প্রধানদের নিয়ে চট্টগ্রামে নেভাল একাডেমি এবং কর্ণফুলী টানেল পরিদর্শন শেষে ট্রেনে কক্সবাজার যান তিনি।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব ড. নজরুল ইসলাম ও অন্যান্য কর্মকর্তারা কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা যেন আমাদের দেশকে আরও জানেন, দেশে যে বিরাট উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ হচ্ছে সেগুলো যেন তারা স্বচক্ষে দেখেন, সেকারণেই তাদেরকে চট্টগ্রামে আনা হয়েছে। চট্টগ্রাম থেকে ট্রেনে তারা কক্সবাজার যাবেন।
বিদেশি প্রতিনিধিদের এই পরিদর্শনে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে কি না -সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অবশ্যই তারা বাংলাদেশকে আরও ভালোভাবে জানতে পারবেন, ঢাকার বাইরে চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার সফরে এসেছেন তারা। আজ চট্টগ্রামে কয়েক ঘণ্টা কাটালেন, কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম রোড টানেল তারা দেখলেন।
আরও পড়ুন: কায়রো অপেরা হাউজে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন
তিনি বলেন, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কাসহ দক্ষিণ এশিয়ার কোথাও নদীর তলদেশ দিয়ে রোড টানেল নেই। সেটি তারা দেখলেন। এই যে অসাধারণ উন্নয়ন, যেগুলো আজ থেকে ১৫ থেকে ২০ বছর আগে মানুষ কল্পনাও করেনি, সেগুলো আজকে বাস্তব এবং সেই বাস্তবতা আজকে কূটনীতিকরা নিজের চোখে দেখেছেন।
কূটনীতিকদের ট্রেনে করে কক্সবাজার নেওয়া প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, চট্টগ্রাম থেকে দোহাজারী পর্যন্ত ট্রেন লাইন হয়েছিল ১৯৩০ সালে। তারও আগে ব্রিটিশ আমলে ১৯০০ সালের পরপরই চট্টগ্রাম থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত ট্রেন লাইনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এরপর দেশ ভাগ হলো। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও পরিকল্পনা করেছিলেন, কিন্তু বাস্তবায়ন করে যেতে পারেননি। কারণ তাকে সাড়ে তিন বছরের মাথায় হত্যা করা হয়।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আগরতলা প্রেস ক্লাবের প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ
মন্ত্রী বলেন, এই জনপদের মানুষ ১২৫ বছর আগে যে স্বপ্ন দেখেছিল, আজকে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেটি বাস্তবায়িত হয়েছে। এই অসাধারণ কাজ কূটনীতিকদেরকে দেখাবার জন্য চট্টগ্রাম থেকে ট্রেনে করে কক্সবাজার নিয়ে এসেছি। তাদেরকে এখানে আনার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে তারা যেন বাংলাদেশকে জানে এবং চেনে, বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত যে আমাদের দেশে, এই খবরটা যেন তাদের মাধ্যমে বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়ে। এবং বাংলাদেশের সৌন্দর্য ও উন্নয়ন সম্পর্কে তারা যেন ভালো করে জানতে পারে, সেজন্যই তাদেরকে আমরা নিয়ে এসেছি।
বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে কথাবার্তা হবে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে ড. হাছান বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে তাদের সঙ্গে তো কথাবার্তা আমাদের সবসময়ই হয় এবং তারা অনেকেই রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গেছেন। এবং এখনও যদি তারা সুযোগ পায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যাবেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন, রাশিয়া, চীন, কোরিয়া, ইতালি, ডেনমার্ক, কসোভো, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভিয়েতনাম, ভ্যাটিকান, ভুটান, স্পেন, আর্জেন্টিনা, লিবিয়া, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, মিশর, ফ্রান্স এবং এফএও, আইইউটি, একেডিএন আন্তুর্জাতিক সংস্থাগুলোর ২৪ জন মিশন প্রধানসহ ৩৪ জন কূটনৈতিক সদস্য এই আউটরিচ কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: জাপান দূতাবাস ও শিল্পকলা একাডেমির যৌথ উদ্যোগে ইকেবানা কর্মশালা অনুষ্ঠিত