ঈদুল আজহা
ঈদুল আজহার সিনেমা নীলচক্র: আরেফিন শুভ ও মন্দিরা চক্রবর্তীর সাড়া জাগানো সাসপেন্স থ্রিলার
গত ৭ জুন ঈদুল আজহার ধামাকা আয়োজনে মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমাগুলোর অন্যতম ছিলো ‘নীলচক্র’। প্রথম সারির চলচ্চিত্রগুলোর সাথে এই থ্রিলার ঘরানার মুভিটিও চলে এসেছে দর্শকদের আলোচনার কেন্দ্রে। আরেফিন শুভ ও নবাগতা মন্দিরা চক্রবর্তী জুটির ছবিটি ইতোমধ্যে নিজের সমুচিত জায়গা করে নিয়েছে ঢালিউড বক্সঅফিসে। চলুন, ‘নীলচক্র’-এর নির্মাণ, কুশীলব, চিত্রনাট্য, ও সর্বশেষ আয়ের ব্যাপারে জেনে নেওয়া যাক।
এক নজরে টিম নীলচক্র
ছবির নির্দেশনা ও গল্প লেখনীতে ছিলেন মিঠু খান। কাহিনী রূপায়নে তার সাথে যোগ দিয়েছেন অঞ্জন সরকার জিমি, অংকন পোদ্দার, এবং নাজিম উদ দৌলা।
চলচ্চিত্রটির মাধ্যমে এই প্রথমবারের মত একসঙ্গে কাজ করলেন আরিফিন শুভ ও মন্দিরা চক্রবর্তী। ‘কাজলরেখা’র পর এটি মন্দিরার দ্বিতীয় পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা।
আরো পড়ুন: ঈদুল আজহায় মুক্তি-প্রাপ্ত চলচ্চিত্র ‘উৎসব’: এক ঝাঁক শক্তিমান অভিনয়শিল্পীর এক অনবদ্য রম্য পরিবেশনা
এতে দেখা গেছে ফজলুর রহমান বাবু, খালেদা আক্তার কল্পনা, এবং শিরিন আলমের মত বর্ষিয়ান অভিনেত্রীদের। নতুনদের মধ্যে ছিলেন প্রিয়ন্তী ঊর্বি, পারভীন পারু, মনির আহমেদ শাকিল, দীপান্বিতা মার্টিন, এবং মাসুম রেজওয়ান। একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা গেছে শিশুশিল্পী মায়েশা আহমেদ অদিতিকে।
এছাড়াও অন্যান্য ভূমিকায় ছিলেন বড় পর্দার পরিচিত মুখ শাহেদ আলী ও টাইগার রবি।
সিনেমায় আলাদা একটি মাত্রা যোগ করেছিলো সঙ্গীতশিল্পী বালামের অভিনয়। এর মাধ্যমে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে বালামের অভিষেক ঘটলো। এছাড়া গোটা চলচ্চিত্রের মিউজিক কম্পোজেও ইমন সাহার সাথে যৌথভাবে কাজ করেছেন বালাম।
আরো পড়ুন: শাকিব-সাবিলার ‘লিচুর বাগানে’কে ছাড়িয়ে জোভানের ‘আশিকি’
ঈদের দুদিন আগে সিনেমায় তার গাওয়া ‘ধোকা’ গানটি প্রকাশ পায়। গানটির গীতিকার রবিউল ইসলাম জীবন, আর সুর করেছেন বালাম নিজেই।
এছাড়া অন্যান্য কন্ঠশিল্পীদের মধ্যে ছিলেন জালালী শাফায়াত এবং মাশা ইসলাম।
অ্যাকশন নির্ভর ছবিটির সিনেমাটোগ্রাফির দায়িত্বে ছিলেন রাজু রাজ।
ফিল্ম লাইফ প্রোডাকশন এবং ফিল্ম ফায়োস প্রোডাকশনের ব্যানারে প্রযোজনায় ছিলেন আসিফ আকবর এবং এনায়েত আকবর মিলন। পরিবেশনায় ছিলো অভি কথাচিত্র।
আরো পড়ুন: ঈদুল আযহা ২০২৫ এ চরকিতে মুক্তি পাচ্ছে যে চলচ্চিত্রগুলো
সিনেমার কাহিনী
অনলাইনে ক্লিক বেইটের শিকার হয়ে এক দর্শকের অভিজ্ঞতা কেবল একটি ভুল কন্টেন্ট দেখাতেই সীমাবদ্ধ থাকে না। অনেকে সরাসরি স্ক্যামের মত সাইবার অপরাধের অসহায় শিকারে পরিণত হয়। এই চিত্র এখন পুরো শহরের। এভাবে একের পর এক ব্যক্তিগত ভিডিও ফাঁস হতে হতে গোটা সমাজ ছেয়ে যায় অন্ধকার আর আতঙ্কে। দানা বেধে ওঠে রহস্য, ভয়, ও উত্তেজনা। এমনি সমসাময়িক গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে ‘নীলচক্র’।
রহস্য, সাসপেন্স, থ্রিলার, অ্যাকশন, ও নাটকীয়তার এক দারুণ সমন্বয় ছবিটি। হলিউডের অপরাধের সয়লাবে পরিপূর্ণ নয়ের ফিল্মের পুরো আমেজটাই পাওয়া গিয়েছে এতে। একই সাথে এর অন্যতম প্রধান উপাদান ছিলো আন্তর্জাতিক ডার্ক ফিল্মের অন্ধকার পটভূমি।
ঢালিউড বক্স অফিসে নীলচক্র’-এর আয়
যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসে বিশ্ব প্রিমিয়ারের পর কুরবানী ঈদের দিন বাংলাদেশে মুক্তি পায় ‘নীলচক্র’। মুক্তির পর দ্বিতীয় দিনে সিনেমার সংগ্রহ ছিল ৩.০২ লাখ টাকা। তৃতীয় দিনে সেটি সামান্য বেড়ে হয় ৩.২৬ লাখ টাকা। তবে চতুর্থ দিনে তা সামান্য কমে দাড়ায় ২.৯৯ লাখে। চতুর্থ দিন শেষে মাল্টিপ্লেক্স থেকে ‘নীলচক্র’-এর উপার্জন সব মিলিয়ে ১০.০৬ লক্ষ টাকা।
আরো পড়ুন: ঈদুল আযহা ২০২৫ এ দর্শক মাতাতে আসছে যে নাটকগুলো
শেষাংশ
৭ জুন ঈদুল আজহায় মুক্তিপ্রাপ্ত আরেফিন শুভ ও মন্দিরা অভিনীত ‘নীলচক্র’-এর এই সমুচিত সাফল্য বাংলাদেশি মূলধারার চলচ্চিত্রে সৃজনশীল সংযোজন। বিশেষত সাইবার অপরাধ সারা বিশ্বের জন্যই একটি চলমান সংকট। এমন পটভূমিতে মিঠু খানের এই নির্মাণটি নিঃসন্দেহে বিশ্ব মানের উপাদান সংযোগের একটি যুগোপযোগী প্রয়াস। অভিনয়ের দিক থেকে সিনেমাটি মন্দিরা এবং বালামের ক্যারিয়ারের জন্য এক মাইলফলক রচনা করেছে। সব মিলিয়ে, দর্শকদের কাছে ছবির গ্রহণযোগ্যতা ভবিষ্যতেও একই ধরণের কাস্টিং, সিনেমাটোগ্রাফি ও গল্পচর্চার দাবি রাখছে।
১৭৫ দিন আগে
ঈদুল আজহায় মুক্তি-প্রাপ্ত চলচ্চিত্র ‘উৎসব’: এক ঝাঁক শক্তিমান অভিনয়শিল্পীর এক অনবদ্য রম্য পরিবেশনা
২০২৫-এর ৭ জুন তথা ঈদুল আযহার এই দিনটিতে ভরপুর বিনোদন নিয়ে একসাথে মুক্তি পেয়েছে দারুণ সব ব্লকবাস্টার। এই কাতারে থেকে চমকপ্রদ ভাবে প্রেক্ষাগৃহে দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে রম্য চলচ্চিত্র ‘উৎসব’। শিরোনামের মতই সিনেমাটি দর্শকদের এক নতুন উৎসবমুখর অভিজ্ঞতার উপহার দিচ্ছে। এর মাঝে রয়েছে পুরনো সব দেশ সেরা নাটক ও সিনেমার নস্টালজিয়া; সাথে গভীর অর্থবহ হাস্যরস। চলুন, সব ধরণের চলচ্চিত্রপ্রেমিদের মন জয় করে নেওয়া এই সিনেমাটির ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
দেশ সেরা অভিনয়শিল্পীদের সমন্বয়ে অভূতপূর্ব আয়োজন
‘উৎসব’-এর শ্রেষ্ঠাংশে ছিলেন জাহিদ হাসান, আফসানা মিমি, অপি করিম, জয়া আহসান, চঞ্চল চৌধুরী, ইন্তেখাব দিনার, আজাদ আবুল কালাম, তারিক আনাম খান, ও নরেশ ভুঁইয়া। এই কুশীলবদের অধিকাংশই জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া।
এ প্রজন্মের তারকাদের মধ্যে অভিনয় করেছেন সাদিয়া আয়মান, সুনেরাহ বিনতে কামাল, ও সৌম্য জ্যোতি।
‘উৎসবের’ চিত্রনাট্য ও সংলাপ করেছেন আয়মান আসিব স্বাধীন ও সামিউল ভূঁইয়া। প্রযোজনা করেছে ডোপ প্রোডাকশন্স, সহ-প্রযোজনায় আছে চরকি। সিনেমার সহযোগী প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান হিসেবে আছে লাফিং এলিফ্যান্ট। দেশের পাশাপাশি বিদেশেও মুক্তি পাবে সিনেমাটি। 'উৎসব' এর আন্তর্জাতিক ডিসট্রিবিউশনে আছে 'স্বপ্ন স্কোয়ারক্রো' ও 'পথ প্রোডাকশনস'।
আরো পড়ুন: শাকিব-সাবিলার ‘লিচুর বাগানে’কে ছাড়িয়ে জোভানের ‘আশিকি’
পর্দার পেছনের চলচ্চিত্রশিল্পীরা
ছবির পরিচালনায় ছিলেন জনপ্রিয় ওয়েব সিরিজ ‘কাইজার’-খ্যাত নির্মাতা তানিম নূর। কিংবদন্তির ঔপন্যাসিক চার্লস ডিকেন্সের বিখ্যাত গল্প ‘এ ক্রিস্টমাস ক্যারল’ অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে ছবিটি। লেখনীতে তানিম নূরের সাথে যৌথভাবে ছিলেন আয়মান আসিব স্বাধীন, সামিউল ভূঁইয়া, এবং সুস্ময় সরকার। এদের মধ্যে চিত্রনাট্য ও সংলাপ বানিয়েছেন সামিউল ভূঁইয়া এবং আয়মান আসিব স্বাধীন। চিত্রগ্রহণের দায়িত্বে ছিলেন রাশেদ জামান।
সিনেমার গল্প
জাহাঙ্গীর একজন স্বার্থপর ও কৃপন ব্যবসায়ী। হঠাৎ এক দৈববাণীর সংস্পর্শে তার বোধোদয় হয়। নিমেষেই তিনি পরিণত হন পুরোদস্তুর এক পরোপকারী মানুষে।
ফ্যামিলি ড্রামা ঘরানার এই মুভিটিতে এক অভূতপূর্ব সন্নিবেশ ঘটেছে পুরোনো কিছু সিনেমা ও নাটকের সংলাপের। বিষয়টি দর্শকদের বিশেষ করে মধ্য বয়স্কদের পুরনো সময়ের স্মৃতিকাতরতায় ভাসিয়েছে।
আরো পড়ুন: ঈদুল আযহা ২০২৫ এ চরকিতে মুক্তি পাচ্ছে যে চলচ্চিত্রগুলো
উল্লেখ্য যে, একদম শুরুতে ছবির ঘোষণা হয়েছিলো মজার একটি স্লোগানের মাধ্যমে আর তা হচ্ছে- সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ- পরিবার ছাড়া দেখা নিষেধ।
মুক্তি পরবর্তী ছবির চমকপ্রদ সাফল্য
ঈদের পঞ্চম দিন স্টার সিনেপ্লেক্সে সিনেমাটির ক্যাপাসিটি ছিলো ৭ লক্ষ ৫১ হাজার ৯৫০। ৯টি শো-এর ১ হাজার ৪৮৯ টা টিকেটের সবগুলোই বিক্রি হয়ে গিয়েছিলো। এমনকি অগ্রিম টিকেট বিক্রি হওয়ায় ষষ্ঠ দিনের জন্যও অবশিষ্ট কিছু ছিলো না। শাকিব খানের ‘তান্ডব’ সিনেমার পরে শুধুমাত্রই এই ‘উৎসব’-এর জন্য হলটিতে এই অবস্থা।
এমন একটি ড্রামা জনরার মুভির জন্য বিষয়টি নিতান্তই অপ্রত্যাশিত ছিলো। বলাই বাহুল্য যে, খুব বেশি শো রাখা ছিলো না এর জন্য। এমনকি ১০০ ভাগ অকুপেন্সীর পরেও সিনেমাটি যথেষ্ট শো পায়নি। ফলে অনেকেই টিকেট না পেয়ে বাধ্য হয়ে অন্য সিনেমা দেখেছে।
এই কারণে বিপুল প্রত্যাশা থাকলেও বক্সঅফিস সংগ্রহ আশানুরূপ মাত্রায় পৌঁছতে পারেনি। চার দিনে সিনেমার মাল্টিপ্লেক্স আয় ছিলো সর্বমোট ২৫ দশমিক ৯১ লাখ টাকা।
আরো পড়ুন: ঈদুল আযহা ২০২৫ এ দর্শক মাতাতে আসছে যে নাটকগুলো
পরিশিষ্ট
তানিম নূর পরিচালিত ‘উৎসব’ সিনেমার এই সাফল্য ঢালীউডের চিরাচরিত গতিপথে পরিবর্তন এনেছে। নাট্যজগতের প্রথিতযশা সব মুখগুলো একসাথে থাকায় মন সম্মত অভিনয় পাওয়া গেছে শতভাগ। সেই সাথে বিশ্ববিখ্যাত গল্পের দক্ষ রূপান্তর স্ক্রিণের পুরো সময়টা জুড়ে ছড়িয়েছে মুগ্ধতা। গভীর হাস্যরসের পরিমিতি এবং নাটকীয়তার নির্দেশনাশৈলী ছুঁয়ে গেছে প্রতিটি দর্শকের হৃদয়। এই সাফল্যের নিরিখে অকপটেই স্বীকার করা যায় যে, শিঘ্রই সুদিন ফিরছে বাংলাদেশি চলচ্চিত্রে।
১৭৬ দিন আগে
চামড়ার বাজারে এবারও হতাশা, গোড়ায় গলদ রেখে দাম নির্ধারণ
এবারের ঈদুল আজহায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কোরবানির পশুর চামড়ার বর্ধিত নতুন দাম নির্ধারণ করে দিলেও নির্ধারিত দামে চামড়া বিক্রি হয়নি বলে অভিযোগ মৌসুমি ব্যবসায়ীদের। ট্যানারি মালিকরা বলছেন, মূল সমস্যা সমাধান না করে চামড়ার দাম বাড়ালেই বাজার চাঙ্গা হবে না।
কোরবানির প্রথম ৭২ ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে সবচেয়ে বেশি চামড়া এসেছে লালবাগের পোস্তায়। কাঁচা চামড়ার এ আড়তে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা শহরের নানা জায়গা থেকে বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে এসেছেন চামড়া। তবে তাদের অভিযোগ, সরকার নির্ধারিত দামে চামড়া বিক্রি করতে পারছেন না তারা।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নতুন দর অনুযায়ী, এ বছর ঢাকায় প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, যা গত বছর ছিল ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। ঢাকার বাইরে লবণযুক্ত কাঁচা চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি বর্গফুট ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, যা গত বছর ছিল ৫০ থেকে ৫৫ টাকা।
ট্যানারির হিসাব অনুযায়ী, ৩০ বর্গফুট কিংবা এর চেয়ে বেশি আকারের চামড়াকে বড়, ২০ বর্গফুটের ওপরের চামড়াকে মাঝারি এবং ২০ বর্গফুটের নিচের চামড়াকে ছোট চামড়া হিসেবে ধরা হয়।
এ হিসাবে সর্বনিম্ন দাম ধরলেও একটি বড় চামড়ার দাম দাঁড়ায় ১ হাজার ৮০০ টাকা, মাঝারি ১ হাজার ২০০ টাকা এবং ১৫ ফুটের ছোট চামড়ার দাম হয় ৯০০ টাকা। কিন্তু মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ীরা বলছেন, তারা সর্বোচ্চ ৫০০ থেকে ৮০০ টাকায় চামড়া বিক্রি করতে পারছেন। এর চেয়ে বেশি দামে কোনোভাবেই চামড়া বিক্রি করা সম্ভব হয়নি।
চামড়া ব্যবসায়ী আলতাফ হোসেন বলেন, ‘কোরবানির দিন বিকালে প্রতি পিস চামড়া ৬০০ টাকায় বিক্রি করেছি। ৯০০ টাকা দাম বলে কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করার পরও ক্রেতা পাওয়া যায়নি।’
একই অভিযোগ জানিয়ে আরেক মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ী মিলন সরকার বলেন, ‘কেউ ফুট মেপে চামড়া কেনেনি। পিস হিসেবে গড়পড়তা ৬০০ থেকে ৯০০ টাকায় চামড়া বিক্রি করেছি। সরকার দাম বাড়িয়েছে শুনে মাদরাসা–লিল্লাহ বোর্ডিং থেকে বেশি দামে চামড়া কিনে বড় বিপদে পড়তে হয়েছে।’
আরও পড়ুন: অনভিজ্ঞতার কারণে চামড়া নষ্ট হয়েছে, মেলেনি কাঙ্ক্ষিত দাম: শিল্প উপদেষ্টা
কেন সরকারের নির্ধারিত দামে চামড়া কেনা হচ্ছে না—এমন প্রশ্নের জবাবে পোস্তার আড়তদাররা জানান, এবার চামড়ার বাজার আগেরবারের চেয়েও খারাপ। নির্ধারিত দামে চামড়া কিনলে লোকসান দিয়ে ট্যানারির কাছে চামড়া বিক্রি করতে হবে।
এ বিষয়ে কাঁচা চামড়ার সংগঠন বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএইচএসএমএ) মহাসচিব টিপু সুলতান বলেন, ‘যারা চামড়ায় অর্থলগ্নি করত, এবার তাদের অনেকেই এ ব্যবসা থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন। অনেক ব্যবসায়ী আগের সরকারের রাজনীতিতে সরাসরি জড়িত ছিলেন, তারা পলাতক। অন্যদিকে ব্যবসায়ীদের হাতে নেই নগদ টাকা। আগে যে ব্যবসায়ী ১০ হাজার পিস চামড়া কিনতেন, এবার তারা কিনছেন ৫ হাজার পিস করে।’
এ ছাড়া পোস্তায় প্রচুর নষ্ট চামড়াও এসেছে উল্লেখ করে টিপু বলেন, ‘৩০ শতাংশেরও বেশি চামড়া পচে গেছে। মৌসুমি ব্যবসায়ীরা লবণ না লাগিয়ে কাঁচা চামড়া নিয়ে এসেছেন। বিক্রি করতে করতে অনেক চামড়া হয় পচে গেছে, না হলে মান হারিয়েছে। সরকার লবণযুক্ত চামড়ার দাম নির্ধারণ করলেও মৌসুমি ব্যবসায়ীরা লবণ না দিয়ে চামড়া এনেছেন। এতেও দাম অনেক কমেছে।’
১৭৭ দিন আগে
ইউনূস-মোদির ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়
ঈদুল আজহা উপলক্ষে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই উৎসব ত্যাগ, উদারতা ও ঐক্যের চেতনায় মানুষকে একত্রিত করে—এমন অভিন্ন বার্তা উঠে এসেছে দুই নেতার শুভেচ্ছাবার্তায়।
রবিবার (৮ জুন) অন্তর্বর্তী সরকারের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে উভয় নেতার শুভেচ্ছাবার্তা প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, গত শুক্রবার ( ৬ জুন) মোদিকে পাঠানো চিঠিতে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও বোঝাপড়ার এই চেতনা আমাদের দুই জাতিকে জনগণের কল্যাণে একসঙ্গে কাজ করতে অনুপ্রাণিত করবে বলে আমি আত্মবিশ্বাসী।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঈদুল আজহা হচ্ছে এমন একটি সময়, যা মানুষকে আত্মবিশ্লেষণের সুযোগ দেয় এবং বৃহত্তর মানবিকতার জন্য একসঙ্গে কাজ করতে অনুপ্রাণিত করে।’
প্রধানমন্ত্রী মোদির চিন্তাশীল বার্তা, আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং ঈদের অভিনন্দন তাকে গভীরভাবে অনুপ্রাণিত করেছে বলে মন্তব্য করেন প্রধান উপদেষ্টা।
চিঠিতে তিনি আরও লেখেন, ‘আমি আপনাকে ও আপনার মাধ্যমে ভারতের জনগণকে এই পবিত্র উপলক্ষে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাতে চাই।’
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্যে ১০-১৩ জুন সফর করবেন অধ্যাপক ইউনূস
এ ছাড়াও, মোদির সুস্বাস্থ্য ও সুখ এবং ভারতের জনগণের জন্য শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন অধ্যাপক ইউনূস। এর আগে, ৪ জুন বাংলাদেশের জনগণ ও অধ্যাপক ইউনুসকে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানান নরেন্দ্র মোদি।
তিনি বলেন, ‘এই পবিত্র উৎসব ভারতের সমৃদ্ধ ও বৈচিত্র্যময় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। দেশব্যাপী ইসলাম ধর্মাবলম্বী কোটি কোটি মানুষের মধ্যে বিপুল আনন্দ ও উৎসাহের সঙ্গে এই উৎসব উদযাপিত হয়।’
শুভেচ্ছাবার্তায় তিনি আরও বলেন, ‘এটি আমাদের ত্যাগ, সহানুভূতি ও ভ্রাতৃত্বের চিরন্তন মূল্যবোধের কথা মনে করিয়ে দেয়, যেটি একটি শান্তিপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বিশ্ব গঠনের জন্য অত্যন্ত জরুরি।’
এ ছাড়া, বার্তায় তিনি অধ্যাপক ইউনূসের সুস্বাস্থ্য ও মঙ্গল কামনাও করেন।
১৭৯ দিন আগে
ঈদের ছুটিতেও ঢাকার বাতাসের মানে অবনতি
ঈদুল আজহায় এবার টানা ১০দিন ছুটিতে রাজধানী ছেড়ে নিজ বাড়িতে ঈদ কাটাতে গেছেন অনেকে। অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় এখন ঢাকায় মানুষজন অনেক কম। তাছাড়া, যানবাহনও কম। তবে কম মানুষ কিংবা কম যানবাহনের ধোঁয়াও ঢাকার বাতাসের মানে তেমন পরিবর্তন আনতে পারেনি।
রবিবার (৮ জুন) ঈদের দ্বিতীয় দিনে অনেকটা ফাঁকা ঢাকার বাতাস সংবেদনশীলদের জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১১টা ২৮ মিনিটে ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ১৩০, এই স্কোর নিয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ৫ম স্থানে অবস্থান করছে ঢাকা। তাই ঢাকায় অবস্থানরত সংবেদনশীলরা রয়েছেন ঝুঁকিতে।
প্রথমত, ঢাকায় মানুষ কম এখন, যান চলাচলও নেই তেমন। আবার মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বৃষ্টিপাতও হয়েছে টানা কয়েকদিন। তা সত্ত্বেও বাতাসের মানের অবনতি নিয়ে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এদিন ১৬৬ স্কোর নিয়ে তালিকার শীর্ষে রয়েছে চিলির সান্তিয়াগো, দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি ও যুক্তরাষ্ট্রের ডেট্রয়েট। শহর দুটির স্কোর ১৫৩ ও ১৪৫।
কণা দূষণের একিউআই মান যদি ০ থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকে, তবে তা ‘ভালো’ হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০-এর মধ্যে হলে ‘মাঝারি’, আর ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ বলে গণ্য করা হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
একিউআই সূচক ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে।
আরও পড়ুন: ঈদযাত্রার মধ্যে কেমন থাকবে দেশের আবহাওয়া
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় ভুগছে। শীতকালে এখানকার বায়ুমান সাধারণত সবচেয়ে খারাপ থাকে, আর বর্ষাকালে তুলনামূলকভাবে উন্নত হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর বিশ্বে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এসব মৃত্যুর প্রধান কারণ হলো স্ট্রোক, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্ট (সিওপিডি), ফুসফুসের ক্যান্সার এবং শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ।
১৮০ দিন আগে
সারা দেশে আজ পালিত হচ্ছে ঈদুল আজহা
ত্যাগের মহিমায় উজ্জীবিত হয়ে বিশ্বের অনেক দেশের মতো আজ শনিবার (৭ জুন) সারা দেশে পালিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। মুসলিম সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব এটি।
ভৌগলিক অবস্থানের কারণে সৌদি আরবসহ অনেক দেশের একদিন পর আজ বাংলাদেশে পালিত হচ্ছে ঈদুল আজহা। মূলত চন্দ্র মাস জিলহজ্বের ১০ তারিখে ঈদুল আজহা উদযাপন করা হয় সারা বিশ্বে। ঈদের আগে সৌদি আরবে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেন হাজীরা।
এদিন সকল মুসলিমরা সকালেই ঈদের জামাতে নামাজ আদায় শেষে কোরবানির আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করবেন। তবে ওজর থাকলে ঈদের তৃতীয় দিন পর্যন্ত কোরবানি করা যায়।
জিলহজ্জ মাসের চাঁদ দেখার ভিত্তিতে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, কাতারসহ মধ্যপ্রাচ্যের প্রায় সব দেশই ৬ জুন ঈদ উদযাপন করেছে। ভৌগোলিক কারণে কয়েক ঘণ্টা আগে ও পরে ইউরোপ, ইন্দোনেশিয়া, অস্ট্রেলিয়ায়, ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্র ও আফ্রিকার অনেক দেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষরা ঈদ উদযাপন করেছেন।
আরও পড়ুন: শোলাকিয়ায় ঈদের জামাত সকাল ৯টায়, থাকবে চার স্তরের নিরাপত্তা
বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, মরক্কো, মৌরিতানিয়া, ব্রুনেই এবং মালয়েশিয়ায় ঈদ উল আযহা উদযাপিত হচ্ছে আজ। তবে বাংলাদেশের কয়েকটি জেলার কিছু জায়গার মুষ্টিমেয় মুসলিম সৌদি আরবের সঙ্গে মিলিয়ে শুক্রবার (৬ জুন) ঈদুল আজহা উদযাপন করেছেন।
ঈদুল আজহায় জামাতে কোটি কোটি মুসল্লি অংশগ্রহণ করে থাকেন দেশের ঈদগাহগুলোতে। তবে সবচেয়ে বড় ঈদগাহ মাঠ হলো কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহ। এর পরই রয়েছে দিনাজপুরের গোড় এ শহীদ ময়দান মাঠ। এসব ঈদগাহে লাখ লাখ মুসল্লি এক সঙ্গে ঈদের জামাতে অংশ নেন।
দেশের প্রধান ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে সুপ্রিম কোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ মাঠে। এদিন সকাল সাড়ে ৭টায় হবে জামাত। এতে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, রাজনীতিবিদসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেবেন।
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে প্রতি বছরের মতো এবারও ঈদুল আজহায় পাঁচটি ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায় এবং পরবর্তী চারটি জামাত যথাক্রমে সকাল ৮টা, ৯টা, ১০টা এবং বেলা পৌনে ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: ঈদুল আজহায় বায়তুল মোকাররমে ৫ ঈদ জামাত, প্রথমটি সকাল ৭টায়
তবে এবার ঈদের দিনে আবহাওয়া কিছুটা প্রতিকূল থাকার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। শনিবার (৭ জুন) সারাদেশে বৃষ্টির পাশাপাশি তাপমাত্রা বাড়তে পারে।
শুক্রবার (৬ জুন) সারাদেশের সকাল ৬টা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি।
বৈরি আবহাওয়া মোকাবিলায় মুসল্লিদের প্রয়োজনীয় পূর্ব প্রস্ততি ঈদের আনন্দকে ম্লান করা থেকে রক্ষা করতে পারে।
১৮১ দিন আগে
ঈদের দিন বাড়বে গরম, ঝরবে বৃষ্টি
আগামীকাল সারাদেশে পালিত হবে ঈদুল আজহা। অনেকটা পথ পাড়ি দিয়ে পরিবারের সঙ্গে ঈদ কাটাতে নিজ বাড়িতে গিয়েছেন অনেকে। তবে শান্তিতে ঈদে কিছুটা ব্যাঘাত ঘটাতে পারে বৃষ্টি ও গরম। কারণ শনিবার (৭ জুন) সারাদেশে বৃষ্টির পাশাপাশি তাপমাত্রা বাড়ারও পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
শুক্রবার (৬ জুন) সারাদেশের সকাল ৬টা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এ ছাড়া, সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এদিকে, আগামীকাল ঈদের দিনও বৃষ্টি থাকতে পারে। ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, বরিশাল ও খুলনা বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
সেই সঙ্গে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রাও বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাত জেলায় ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস, নদীবন্দরে ১ নম্বর সংকেত
তাছাড়া, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষের জন্যও আজ কিছুটা সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে বৃষ্টি।
আজ দুপুর ১টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এসব এলাকায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে সতর্ক করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তাই এ সময় যারা কোনো কাজে বাইরে বের হবেন, প্রস্তুতি নিয়েই বের হওয়া উচিত।
তাছাড়া, এসব এলাকায় আজ আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। সেই সঙ্গে তাপমাত্রাও সামান্য বাড়তে পারে।
১৮১ দিন আগে
এবার ঈদে ঢাকার নিরাপত্তা নিয়ে শতভাগ কনফিডেন্ট: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আসন্ন ঈদুল আজহায় ঢাকায় নেওয়া নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে শতভাগ নিশ্চিত বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম। তিনি জানান, নিরাপত্তা নিশ্চিতে রাজধানীজুড়ে ৫০০টি টহল দল মোতায়েন করা হয়েছে।
শুক্রবার (৬ জুন) সকালে রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে নিরাপত্তাব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ঈদের নামাজ স্বাভাবিক নিয়মে অনুষ্ঠিত হবে এবং সারাদেশে নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে।
তিনি জানান, জাতীয় ঈদগাহে যারা নামাজ আদায় করবেন, তাদের নিজস্ব জায়নামাজ আনতে হবে না, কারণ সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
প্রস্তুতির কোনো ঘাটতি নেই উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ছুটির মধ্যেও সারাদেশে দায়িত্বে রয়েছে।’
ঈদের ছুটিতে প্রায় ফাঁকা রাজধানীর নিরাপত্তা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘ঢাকা শহরের অলিগলিতে ৫০০টি টহল দল মোতায়েন করা হয়েছে। মাঝেমধ্যে ছোটখাটো ঘটনা ঘটে—আমরা এমন ঘটনাও রোধে কাজ করছি।’
থানায় মামলা করতে না পারার অভিযোগ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন,‘যদি কোনো কর্মকর্তা মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানান, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মহাখালী বাস টার্মিনালে যাত্রী হয়রানির সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে এক সাংবাদিকের উপর হামলার অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমার নজরে এসেছে, আমরা এটির তদন্ত করছি।’
আরও পড়ুন: ঈদযাত্রায় নিরাপত্তা নিশ্চিতে নৌপথে কোস্ট গার্ডের টহল জোরদার
অপরাধী গ্রেপ্তার করার কয়েকদিন পরে বের হয়ে আরও বেশি অপরাধে জড়িয়ে যায়- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেনন, ‘এটা তো আর পুলিশের হাতে না। এটা আদালতের বিষয়। কিছুদিন আগে আপনারা দেখেছেন, দুজন শীর্ষ সন্ত্রাসী ছাড়া পাওয়ার পর আবারও অপরাধে জড়িয়ে যাওয়ায় তাদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে। এমন যদি কেউ অবৈধকাজে জড়িয়ে যায় তাহলে তাকেও ছাড়া হবে না, পুঁটিমাছ কিংবা রুই কাতলা হোক কাউকে ছাড় নেই। আইন সবার জন্য সমান।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এবার নিরাপত্তা নিয়ে আমি ১০০ ভাগ কনফিডেন্ট আছি।
১৮১ দিন আগে
হাটে মাঝারি গরুর চাহিদা বেশি, বড় গরুর ক্রেতা কম
ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে গড়ে ওঠা পশুর হাটে কুরবানির জন্য সবচেয়ে বেশি চাহিদা মাঝারি আকারের গরুর। গতবারের তুলনায় এবার বড় গরুর চাহিদা অনেক কম বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
শুক্রবার (৬ জুন) সরেজমিনে রাজধানীর বেশ কয়েকটি কুরবানির হাট ঘুরে দেখা যায় যেসব গরুর দাম ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকার মধ্যে সেসবের চাহিদা সবচেয়ে বেশি।
মেরুল বাড্ডা অস্থায়ী গরুর হাটে এবারই প্রথম গরু নিয়ে এসেছেন আলম ব্যাপারী। এর আগে আফতাবনগর হাটে আসলেও এবার আফতাবনগরে হাট না বসায় ৬টি গরু নিয়ে এসেছেন মেরুল বাড্ডা।
তিনি বলেন,‘আমার ছয় গরুর মধ্যে চারটিই মাঝারি সাইজের। চারটি গরুই ১ লাখ ২০ হাজার থেকে ১ লাখ ৬২ হাজার টাকার মধ্যে বিক্রি হয়ে গেছে। বাকি দুই গরুর দাম প্রতিটি পাঁচ লাখ করে বলছি। বড় সাইজের এই দুইটা গরুর দাম সর্বোচ্চ ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত উঠেছে। এর বেশি কেউ বলে নাই।’
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ২০ গ্রামে ঈদ উদযাপন
আলম আরও বলেন, ‘গতবার ৫ লাখ টাকার গরু কুরবানির দুই দিন আগেই বিক্রি হয়ে গেছে। অহরহ ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকার গরু আফতাবনগরে বিক্রি হয়েছে। এবার বড় গরু কেনার লোকই দেখলাম না। দাম কেউ দুই লাখের উপরে বলতে চায় না।’
মানিকগঞ্জ থেকে উত্তরা দিয়াবাড়ি হাটে চারটি গরু নিয়ে এসেছেন মনির হোসেন। তিনটি গরু বিক্রি হলেও একটি নিয়ে পড়েছেন বিপাকে।
আক্ষেপ করে তিনি বলেন, ‘অবিক্রিত গরুটি পালতেই সবচেয়ে বেশি খরচ হয়েছে। সাড়ে সাত লাখ টাকা দাম চাচ্ছি। পাঁচ লাখ হলেই ছেড়ে দিবো। কিন্তু ক্রেতা পাচ্ছি না। এত বড় গরুর দাম মানুষ সর্বোচ্চ বলে ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা।’
একই হাটের আরেক গরু ব্যবসায়ী লেদু হাওলাদার বলেন, ‘আগের বার ঈদে বড় গরু বিক্রি করতে না পেরে লোকসান হয়েছিল। এবার এসেছি মাঝারি আকারের গরু নিয়ে। গরু ভালোই বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতারাও দাম দিচ্ছেন ভালো।’
ক্রেতারা কেন বড় গরু কিনছেন না- এমন প্রশ্নের জবাবে গরু কিনতে আসা খরিদ্দার আবুল কালাম বলেন, ‘বাস্তবিক অর্থে যারা ১০ থেকে ২০ লাখ টাকা দিয়ে গরু কেনেন তারা হয় বড় ব্যবসায়ী, নয়তো অবৈধ টাকার মালিক। অনেক উচ্চবিত্তও ২০ লাখ টাকার গরু কেনেন না। তারা দরকার হলে ৫ লাখ টাকায় চারটি গরু কেনেন। ২০ লাখ টাকার গরুতে কুরবানির উদ্দেশ্যের চেয়ে শো-অফের (লোক দেখানো) উদ্দেশ্যই মুখ্য।’
আরেক ক্রেতা শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘আগের কুরবানির ঈদে সাদিক অ্যাগ্রোর উচ্চবংশীয় গরু কিংবা মতিউরের ছাগলকাণ্ড অনেকের জন্য বড় শিক্ষা। মানুষ এখন সচেতন হয়েছেন। কেউ ২০ লাখ টাকা দিয়ে গরু কিনলে সবার আগে চোখ পড়ে তার আয়ের উৎসে। আর সেখানেই আমাদের দেশের মানুষের বড় ভয়। কারণ সৎ পথে টাকা আয় করে আর যাহোক কারও ২০ থেকে ৩০ লাখ টাকা দিয়ে গরু কেনার ইচ্ছা জাগে না।’
অন্যদিকে, ক্রেতাদের অভিযোগ, এবার ৬০ হাজার টাকার নিচে ছোট সাইজের কোনো গরু পাওয়াই যাচ্ছে না। বাজার ঘুরে ক্রেতাদের অভিযোগের সত্যতাও মিলে। আনুপাতিক হারে ছোট আকারের গরুও বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৮০ হাজার টাকায়।
এমন দামের কারণ জানতে চাইলে ব্যবসায়ীরা বলেন, গরুর আকার ছোট হলেও লালন-পালন ও পরিবহনে যে ব্যয় হয়েছে তাতে ছোট গরুর দামও বেশি পড়ে যায়। ন্যূনতম লাভে বিক্রি করতে চাইলেও গরুর দাম দাঁড়ায় ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকায়।
এবার পশুর হাটে মধ্যবিত্ত-নিম্ন মধ্যবিত্তদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে ছাগল। বেশিরভাগ ছাগলের দাম ১৫-৩০ হাজার টাকার মধ্যে। জায়গাভেদে ছাগলের দামের তারতম্য হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে হাটের বদলে রাস্তার মোড়ে মোড়ে ছাগল বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা, মিলছে তুলনামূলক সস্তা দামে।
রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় গাইবান্ধা থেকে ২০টি ছাগল নিয়ে এসেছেন সফেদ আলি। তিনি বলেন, ’১০ থেকে ১২ কেজি মাংস হবে এমন সাইজের ছাগলের দাম ১৫ হাজার টাকা চাচ্ছি। ২০ কেজির ওপরে মাংস হবে এমন ছাগল ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা।’
এবার ছাগলের ক্রেতা ভালো— প্রসঙ্গ তুলে আরেক ছাগল বিক্রেতা মইজউদ্দিন বলেন, ‘এইবার গরুর থেকে মানুষ ছাগল বেশি কিনছে। যারা আসছেন, অনেকেই দুইটা করে ছাগল কিনে বাড়ি ফিরছেন।’
ক্রেতাদের কেন ছাগলে আগ্রহ বেশি— খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী কুরবানি দিতে হবে এবং সাশ্রয়ী দামে পাওয়ায় ছোট গরুর বদলে অনেকেই ছাগল বেছে নিচ্ছেন।
এমনই একজন হাজী আলি, তিনি শাহজাদপুরের বাসিন্দা। এবার তিনটি ছাগল কিনেছেন ভাটারা থেকে। গতবার গরু কুরবানি দিলেও এবার ছাগল দিচ্ছেন তিনি।
আরও পড়ুন: গরুর দাম এবার তুলনামূলকভাবে কম : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ’৬০ থেকে ৬৫ হাজার টাকায় যে গরু পাওয়া যায় তার অবস্থা বেহাল একেবারেই। আমরা তিন ভাই একসঙ্গে কুরবানি দিই। দামে-দরে গরু পছন্দ না হওয়ায় ৪৫ হাজার টাকায় এই তিনটা ছাগল কিনে নিয়ে যাচ্ছি।’
প্রসঙ্গত, এবার রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনে ২১টি অনুমোদিত পশুর হাট বসেছে। বড় হাটগুলোতে গরু-ছাগলের পাশাপাশি উঠেছে মহিষ, ভেড়া ও দুম্বাও; যদিও কুরবানির জন্য এসব প্রাণীর চাহিদা একেবারেই কম।
১৮১ দিন আগে
আজ ঈদযাত্রায় বাড়তি দুর্ভোগ যোগ করতে পারে বৃষ্টি
আগামী ৭ জুন বাংলাদেশে উদযাপিত হতে যাচ্ছে ঈদুল আজহা। তাই পরিবারের সঙ্গে ঈদ কাটাতে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন মানুষ। আজ থেকে ছুটি শুরু হওয়ায় রাস্তাঘাটে ঘরমুখী মানুষের ঢল নেমেছে। সকালে গাজীপুরের টঙ্গী থেকে চন্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট দেখা গেছে। যানজটের সঙ্গে সড়ক পথের যাত্রীদের দুর্ভোগ আরও বাড়াতে পারে বৃষ্টি।
বৃহস্পতিবার ( ৫ জুন) সকাল ৯ টা থেকে ১২০ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে সারা দেশে বৃষ্টিপাতের সতর্কতা দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তবে দিন ও রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
তবে ঢাকা ও পাশ্ববর্তী জেলায় আজ তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে পৃথক আরেক পূর্বাভাসে জানিয়েছে এই সংস্থাটি।
বৃষ্টিপাতের এই ধারা আগামীকালও (শুক্রবার) অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। তবে বৃষ্টি ঝরার প্রবণতা কিছুটা হ্রাস পেতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
কারণ মৌসুমি বায়ু বর্তমানে বাংলাদেশের কম সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে দূর্বল থেকে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঈদযাত্রার মধ্যে কেমন থাকবে দেশের আবহাওয়া
শুক্রবার রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
তবে ঈদের দিন (শনিবার) সকাল থেকে দুয়েক জায়গায় বৃষ্টি হলেও সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ঈদের পরের দিনও সারা দেশের আবহাওয়া একই রকম থাকবে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। তবে ঈদের দিন গরমে কষ্ট পেতে হতে পারে মানুষকে। কারণ এদিন (শনিবার) দিন ও রাতের তাপমাত্রা বাড়ার পূবর্াভাস দিয়েছে রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি।
এদিকে, দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আজ আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে অস্থায়ীভাবে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টি অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি।
১৮২ দিন আগে