ইশরাক
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদকে সংযত থাকার আহ্বান ইশরাকের
স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে তার বক্তব্যে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে শান্তি বজায় রাখতে আরও কোনো আন্দোলন রোধ করার জন্য যেকোনো প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ এড়াতে সতর্কও করেন তিনি।
ইশরাক বলেন, ‘আশা করি, আসিফ মাহমুদ তার বক্তব্যে সংযত থেকে বর্তমান শান্তির পরিস্থিতি বজায় রাখতে সহায়তা করবেন।’
বুধবার (২৫ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই আহ্বান জানান তিনি।
ইশরাক স্থানীয় সরকার উপদেষ্টাকে আন্দোলনে অংশ নেওয়া ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা না নেওয়ার কথাও বিবেচনা করার আহ্বান জানান।
পড়ুন: ইশরাককে শপথ পড়ানো হবে কিনা, সেই সিদ্ধান্ত ইসির: আপিল বিভাগ
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘আমি এটি একটি সতর্কীকরণ বার্তা হিসেবে দিচ্ছি। নগরবাসী এর কোনো বিচ্যুতি মেনে নেবে না। যদি আন্দোলন আবার শুরু হয়, তবে এটি নগর ভবনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না—এটি রাস্তায় ছড়িয়ে পড়বে। এটি অবশ্যই এড়ানো উচিত।’
ইশরাকের সমর্থক এবং বিএনপি কর্মীরা ১৪ মে থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) প্রধান কার্যালয়ের বাইরে ‘ঢাকাবাসী’ ব্যানারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছে। পরে ডিএসসিসি কর্মচারী ইউনিয়নও এই বিক্ষোভে যোগ দেয়।
২০২০ সালের ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপসের কাছে ইশরাক প্রায় ২ লাখ ভোটে হেরে যান।
তবে, চলতি বছরের ২৭ মার্চ একটি নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল ওই নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে দেয়। এরপর নির্বাচন কমিশন ২৭ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে ইশরাক হোসেনকে নতুন মেয়র ঘোষণা করে।
তবে, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় অমীমাংসিত আইনি বিষয়ের কারণ দেখিয়ে ইশরাকের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান আয়োজন করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
১৬৩ দিন আগে
ইশরাকের মেয়র ঘোষণার গেজেটের কার্যকারিতা স্থগিতের বিষয়ে আপিল শুনানি বুধবার
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশনের জারি করা গেজেটের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে করা আপিল শুনানির জন্য বুধবার দিন ধার্য করেছেন চেম্বার বিচারপতির আদালত।
মঙ্গলবার (২৭ মে) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হক এ আদেশ দেন। আদেশ অনুযায়ী বুধবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগে এ বিষয়ে শুনানি হবে।
আদালতে ইশরাকের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। আবেদনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ হোসেন।
এর আগে গত ২২ মে ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশনের জারি করা গেজেটের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে করা রিট সরাসরি খারিজ কারে দেন হাইকোর্ট। পরে গতকাল সোমবার হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন (লিভ টু আপিল) করা হয়। আবেদনে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায় ও ইসির গেজেটের কার্যক্রম স্থগিত চাওয়া হয়। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই আবেদন করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেন। মঙ্গলবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালতে এই আবেদনের ওপর শুনানি হয়। শুনানি নিয়ে চেম্বার বিচারপতি কোনো সিদ্ধান্ত না দিয়ে এ বিষয়ে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন।
২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হয়। তাতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস মেয়র নির্বাচিত হন। নির্বাচন কমিশন ২ ফেব্রুয়ারি ভোটের ফলাফলের গেজেট প্রকাশ করে। এরপর শপথ নিয়ে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন তাপস। সেই নির্বাচনে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র পদে তাপস পেয়েছিলেন সোয়া চার লাখ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী ইশরাক পান দুই লাখ ৩৬ হাজার ভোট। নির্বাচনে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ফল বাতিল চেয়ে ২০২০ সালের ৩ মার্চ মামলা করেন বিএনপি নেতা ইশরাক। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের আগস্ট মাসে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের সব সিটি করপোরেশনের মেয়রদের অপসারণ করা হয়। এরপর ঢাকা দক্ষিণ সিটির প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন অতিরিক্ত সচিব শাহজাহান মিয়া।
এর মধ্যে গত ২৭ মার্চ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২০২০ সালের নির্বাচনে ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী ঘোষণার ফল বাতিল করে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করেন ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম। আদালত ১০ দিনের মধ্যে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ দেন। এ রায় পাওয়ার পর ২৭ এপ্রিল গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এদিকে গেজেট প্রকাশের দিন ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করে দেওয়া রায় ও ডিক্রির বিরুদ্ধে আপিল করতে আইনি নোটিশ দেন রফিকুল ইসলাম ও মামুনুর রশিদ নামে দুই ব্যক্তি। নোটিশে গেজেট প্রকাশ এবং ইশরাককে শপথ নেওয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়।
পরে মামুনুর রশিদ হাইকোর্টে রিট করেন। রিটে ২৭ মার্চের রায় এবং ২৭ এপ্রিলের গেজেট কেন বেআইনি হবে না এবং ইশরাক হোসেনের শপথ পরিচালনা থেকে বিরত রাখার নির্দেশনা কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়। এ রুল বিবেচনাধীন থাকা অবস্থায় রায় ও গেজেটের কার্যক্রম স্থগিত চাওয়া হয়। রিট আবেদনটির শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট গত ২২ মে সরাসরি খারিজ করে আদেশ দেন। ওই খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন করা হয়েছে। আবেদনে ইসির গেজেটের কার্যকারিতা স্থগিত চাওয়া হয়েছে।
১৯১ দিন আগে
ইশরাককে মেয়র ঘোষণার গেজেট স্থগিতের আপিল শুনানি মঙ্গলবার
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশনের জারি করা গেজেটের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে এবার আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়েছে। এর আগে গত ২২ মে এই গেজেটের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে করা রিট সরাসরি খারিজ কারে দেন হাইকোর্ট।
সোমবার হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন (লিভ টু আপিল) করা হয়েছে। আবেদনে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায় ও ইসির গেজেটের কার্যক্রম স্থগিত চাওয়া হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই আবেদন করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেন। আগামীকাল আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালতে এই আবেদনের ওপর শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
আপিলকারীর জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেন বলেন, হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায় এবং ইসির গেজেটের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে লিভ টু আপিলটি দায়ের করা হয়েছে। আজ শুনানি না হলে আগামীকাল আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে এ সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি হতে পারে।
২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হয়। তাতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস মেয়র নির্বাচিত হন। নির্বাচন কমিশন ২ ফেব্রুয়ারি ভোটের ফলাফলের গেজেট প্রকাশ করে। এরপর শপথ নিয়ে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন তাপস। সেই নির্বাচনে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র পদে তাপস পেয়েছিলেন সোয়া ৪ লাখ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী ইশরাক পান দুই লাখ ৩৬ হাজার ভোট। নির্বাচনে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ফল বাতিল চেয়ে ২০২০ সালের ৩ মার্চ মামলা করেন বিএনপি নেতা ইশরাক।
আরও পড়ুন: ইশরাককে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে নগরভবনে বিক্ষোভ
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের আগস্ট মাসে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের সব সিটি করপোরেশনের মেয়রদের অপসারণ করা হয়। এরপর ঢাকা দক্ষিণ সিটির প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন অতিরিক্ত সচিব শাহজাহান মিয়া।
এর মধ্যে গত ২৭ মার্চ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২০২০ সালের নির্বাচনে ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী ঘোষণার ফল বাতিল করে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করেন ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম। আদালত ১০ দিনের মধ্যে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ দেন। এ রায় পাওয়ার পর ২৭ এপ্রিল গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।
এদিকে গেজেট প্রকাশের দিন ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করে দেওয়া রায় ও ডিক্রির বিরুদ্ধে আপিল করতে আইনি নোটিশ দেন রফিকুল ইসলাম ও মামুনুর রশিদ নামে দুই ব্যক্তি। নোটিশে গেজেট প্রকাশ এবং ইশরাককে শপথ নেওয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়।
তখন ওই দুই ব্যক্তির আইনজীবী বলেন, যথাযথ প্রক্রিয়া না মেনে দ্রুত রায়টি দেওয়া হয়েছে। আমরা মনে করেছিলাম, ইসি এই আদেশকে চ্যালেঞ্জ করবে। চ্যালেঞ্জ করল না। আবার খবরে দেখলাম, আইন উপদেষ্টা বলছিলেন, আইন মন্ত্রণালয়ের যে মতামত চাওয়া হয়েছিল, সেজন্য অপেক্ষা না করে এই নোটিফিকেশন জারি করে দেওয়া হয়েছে। ট্রাইব্যুনাল এমন কোনো আদেশ দিতে পারেন না. যে আদেশের কোনো কার্যকারিতা নেই। এখানে টার্ম শেষ হয়ে গেছে। অধ্যাদেশের মাধ্যমে মেয়র পদশূন্য করে দেওয়া হয়েছে।
পরে মামুনুর রশিদ হাইকোর্টে রিট করেন। রিটে ২৭ মার্চের রায় এবং ২৭ এপ্রিলের গেজেট কেন বেআইনি হবে না এবং ইশরাক হোসেনের শপথ পরিচালনা থেকে বিরত রাখার নির্দেশনা কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়। এ রুল বিবেচনাধীন থাকা অবস্থায় রায় ও গেজেটের কার্যক্রম স্থগিত চাওয়া হয়। রিট আবেদনটির শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট গত ২২ মে সরাসরি খারিজ করে আদেশ দেন।
১৯২ দিন আগে
ইশরাককে মেয়র পদে শপথ পড়াতে কর্মসূচি, অবরুদ্ধ নগরভবন
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রের দায়িত্ব দেওয়ার দাবিতে চতুর্থ দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি চলছে। রবিবার (১৮ মে) সকাল ৯টা থেকে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে নগর ভবনের সামনে আসেন তার সমর্থকরা।
তারা নগর ভবনের ফটকগুলোয় অবস্থান নিয়েছেন, ভেতরের বিভিন্ন ফটকে ঝুলিয়েছেন তালা। এতে নগর সংস্থার কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। এ সময়ে নিজেদের দাবি তুলে ধরতে বিভিন্ন স্লোগান দিতেও দেখা গেছে ইশরাক সমর্থকদের।
এর মধ্যে রয়েছে- ‘শপথ শপথ চাই, ইশরাক ভাইয়ের শপথ চাই’, ‘শপথ নিয়ে তালবাহানা, চলবে না চলবে না’, ‘অবিলম্বে ইশরাক হোসেনের শপথ চাই, দিতে হবে’, ‘জনতার মেয়র ইশরাক ভাই, অন্য কোনো মেয়র নাই’ প্রভৃতি। এ সময়ে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে স্লোগান দেন তারা।
আরও পড়ুন: মেয়র হিসেবে ইশরাককে শপথ না পড়াতে হাইকোর্টে রিট
পুরান ঢাকার বাসিন্দা শফিউর রহমান নামের এক বিএনপিকর্মী বলেন, ‘ইশরাক হোসেনকে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে টালবাহানা করা হচ্ছে। আর এতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
সূত্রাপুর থেকে আসা জেহাদ হোসেন বলেন, ‘জনগণের ভোটে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন ইশরাক। মেয়র হিসেবে দ্রুত দায়িত্বে আমরা তাকে দেখতে চাই।’
‘সরকারের কাছে আমাদের প্রশ্ন, কেন তাকে এখনো শপথ গ্রহণ করানো হচ্ছে না? শপথ যত দিন পড়ানো হবে না, ততো দিন আমরা রাজপথ ছাড়ছি না। যদি এটা নিয়ে কোনো টালবাহানা হয়, আমরা আরও বড় কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো,’ বলেন তিনি।
এরআগে শনিবার ইশরাককে মেয়র পদে শপথ পড়াতে সচিবালয় অভিমুখে যাত্রা হয়েছে। পরে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন ইশরাকের সমর্থকরা। ডিসেম্বরে সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর থেকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দাপ্তরিক কাজ চলছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি ভবনে।
নিজেকে ডিএসসিসি মেয়র হিসেবে শপথ পড়ানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে শনিবার স্থানীয় সরকার বিভাগে চিঠিও দেন ইশরাক হোসেন। এরপর সন্ধ্যায় ডাকেন সংবাদ সম্মেলন।
এক সাংবাদিক ইশরাকের কাছে জানতে চান, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার সঙ্গে তার কোনো বিরোধ আছে কি না? জবাবে তিনি বলেন, ‘স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা বা অন্য কোনো উপদেষ্টার সঙ্গে আমার কোনো ব্যক্তিগত বিরোধও নাই, ব্যক্তিগত সম্পর্কও নাই।’
তবে এই কর্মসূচির কারণে দাপ্তরিক কাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন নগর সংস্থার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান। তিনি বলেন, ‘অফিসে ঢুকতে পারছি না। এ কারণে আমরা সাইটগুলো পরিদর্শন করছি, উন্নয়নমূলক কাজগুলো সরেজমিনে দেখছি।’
আরও পড়ুন: নগর ভবনের সব ফটকে তালা ঝুলাল ইশরাক সমর্থকরা
২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটির সবশেষ নির্বাচন হয়। তাতে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেনকে পৌনে ২ লাখ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে মেয়র হন আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপস।
গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে গেল ২৭ মার্চ ঢাকার নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল সেই ফল বাতিল করে ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করেন। এরপর ২৭ এপ্রিল ইশরাককে ডিএসসিসি মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। তবে ইশরাকের শপথ অনুষ্ঠান এখনও হয়নি।
২০১ দিন আগে
মেয়র হিসেবে ইশরাককে শপথ না পড়াতে হাইকোর্টে রিট
বিএনপির বিদেশবিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে শপথ না পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে প্রতারণামুলক রায় দেওয়ায় ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে রিটে।
বুধবার (১৪ মে) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদনটি করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বাসিন্দা মো. মামুনুর রশিদ।
রিট আবেদনে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, আইন সচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব, যুগ্ম জেলা জজ মো. নুরুল ইসলাম ও মো. ইশরাক হোসেনকে বিবাদী করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইশরাককে ডিএসসিসির মেয়র ঘোষণা
আবেদনকারীর আইনজীবী কাজী আকবর আলী বলেন, ‘আগামী রবিবার বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটির শুনানি হবে। আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেন রিটের পক্ষে শুনানি করবেন বলে তিনি জানান।
জানা যায়, ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটির নির্বাচন হয়। বিএনপির ইশরাক হোসেনকে পৌনে ২ লাখ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপস মেয়র হন। গত ২৭ মার্চ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২০২০ সালের নির্বাচনে ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী ঘোষণার ফল বাতিল করে বিএনপি নেতা ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করেন ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম। ট্রাইব্যুনালের রায়ের অনুলিপি পেয়ে গত ২২ এপ্রিল গেজেট প্রকাশের বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ চায় সাংবিধানিক সংস্থাটি।
আরও পড়ুন: মেয়র পদের গেজেট সম্পর্কে জানতে সিইসির সঙ্গে দেখা করলেন ইশরাক
এরপর ২৭ এপ্রিল ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নতুন মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে শপথ না পড়াতে লিগ্যাল নোটিশ
এর আগে গত ২৮ এপ্রিল ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায় ও ডিক্রির বিরুদ্ধে আপিল বা রিভিউ করতে সংশ্লিষ্টদের আইনি নোটিশ পাঠান রিটকারী মামুনুর রশিদসহ ঢাকার দুই বাসিন্দা। নোটিশে মো. ইশরাক হোসেনের নামে গেজেট প্রকাশ এবং তাকে শপথ পড়ানো থেকে বিরত থাকতেও বলা হয়।
তাদের আইনজীবী মনিরুজ্জামান সেদিন বলেন, যথাযথা প্রক্রিয়া না মেনে দ্রুত এই রায়টি দেওয়া হয়েছে। আবার খবরে দেখলাম আইন উপদেষ্টা বলছিলেন, আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চেয়ে তার জন্য অপেক্ষা না করে এই গেজেট নোটিশ জারি করে দেওয়া হয়েছে। ট্রাইব্যুনাল এমন কোনো আদেশ দিতে পারেন না যে আদেশের কোনো কার্যকারিতা নাই।
এদিকে ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে বসানোর দাবিতে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে গুলিস্তানে নগরভবনের সামনে ‘ঢাকাবাসী’র ব্যানারে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন থেকে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
২০৪ দিন আগে
রিজভী ও ইশরাকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে ঢাকার দুটি আদালত।
২০১২ সালের ডিসেম্বরে তেজগাঁও এলাকায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) একটি ময়লাবাহী ট্রাক ভাঙচুরের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় রিজভী আহমেদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকার একটি আদালত।
গত বৃহস্পতিবার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত এ আদেশ দেন।
সোমবার (৫ ডিসেম্বর) আদালতের বেঞ্চ সহকারী আতিকুর রহমান বলেন, অপর দুই আসামি হলেন- খন্দকার এনামুল হক ও কাজী রেজাউল হক।
এদিকে, আদালত মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য ২০২৩ সালের ২৯ মার্চ দিন ধার্য করেছেন।
এদিকে ২০২০ সালের মতিঝিল থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে সোমবার ঢাকার একটি আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
আরও পড়ুন: সব বাধা ডিঙিয়ে ১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করতে প্রস্তুত বিএনপি: মির্জা আব্বাস
আদালতের জেনারেল রেজিস্ট্রার শাখার মতিঝিল থানাধীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহা আলম জানান, সময় আবেদন খারিজ করে এ পরোয়ানা জারি করেন ঢাকা মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরী।৪৫ আসামির মধ্যে ১৩ আসামি আদালতে হাজিরা না দিয়ে সময়ের আবেদন করেন।
মামলা তথ্যানুসারে, ২০২০ সালের ২৪ জুন ঢাকা-১৮ আসনের নির্বাচন বানচাল করতে অভিযুক্তরা একে অপরের সঙ্গে যোগসাজশে মতিঝিল এলাকায় বাংলাদেশ ব্যাংকের বিপরীতে একটি গাড়িতে আগুন দেয়।
মতিঝিল থানার তৎকালীন এসআই আতাউর রহমান ভূঁইয়া বাদী হয়ে ৪২ জনের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় মামলা করেন।
আরও পড়ুন: যেকোনো মূল্যে ঢাকার জনসভা সফল করব: ফখরুল
১০৯৫ দিন আগে
রাজধানীতে বিএনপি নেতা ইশরাকের ওপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএনইউ) কাছে বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশের লিফলেট বিতরণের সময় দলটির নির্বাহী কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেনের ওপর বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হামলার অভিযোগ উঠেছে।
ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে ইশরাক অভিযোগ করেন, রবিবার দুপুরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ছয়-সাতজন বিএনপি নেতাকর্মীকে রেখে হামলা চালায়।
বিএনপি’র এই নেতা বলেন, ‘লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি শেষ করে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে গাড়িতে উঠলে প্রথমে ছাত্রলীগের লোকজন ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। পরে তারা রড ও হকি স্টিক নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। তারা আমার গাড়িও ভাংচুর করেছে।’
আরও পড়ুন: ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশে খালেদা জিয়ার যোগদানের প্রশ্নই আসে না: বিএনপি
প্রয়াত বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাক জানান, আহত চার বিএনপি নেতাকর্মীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
যোগাযোগ করা হলে জেএনইউ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজী বলেন, তারা ইশরাক ও তার অনুসারীদের ধাওয়া করেছে, কারণ এই বিএনপি নেতা লিফলেট বিতরণের সময় উসকানিমূলক মন্তব্য করেছেন।
ইশরাকের ‘ক্যাডার’ হামলায় ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলেও তিনি দাবি করেন।
এর আগে ৫ নভেম্বর বরিশালে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে যাওয়ার পথে গৌরনদী উপজেলায় দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হয় ইশরাকের গাড়িবহর।
হামলায় বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর ও ৯ বিএনপি নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: সোহরাওয়ার্দী উদ্যান নয়, তবে সরকারের অন্যান্য সমাবেশস্থলের পরামর্শ বিবেচনা করবে বিএনপি: ফখরুল
রাজশাহীতে বিএনপির র্যালি ‘মিডিয়া কার্ডে’ খালেদা-তারেকের ছবি ব্যবহারে সাংবাদিকদের সমালোচনা
১০৯৬ দিন আগে
ইশরাকের খালাসের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে দুদকের আপিল
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনে বিএনপি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রকৌশলী ইশরাক হোসেনের খালাস দিয়ে বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
১৭৮২ দিন আগে