এলপিজি
এলপিজির দাম কমে প্রতি সিলিন্ডার ১,২৭৩ টাকা
ভোক্তা পর্যায়ে আরেক দফা তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম কমে আগস্ট মাসে ১২ কেজির একটি সিলিন্ডারের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১,২৭৩ টাকা।
সিলিন্ডারপ্রতি ৯১ টাকা কমিয়ে রোববার (৩ আগস্ট) নতুন দাম ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ এনার্জি নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিইআরসি)। আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।
বিইআরসি চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ জানান, আগস্ট মাসের জন্য ১২ কেজির এলপিজির দাম ১,৩৬৪ টাকা থেকে ৯১ টাকা কমিয়ে ১,২৭৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে ২ জুলাই সর্বশেষ দাম সমন্বয় করা হয়েছিল। তখন ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম ৩৯ টাকা কমিয়ে ১,৩৬৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
একই সঙ্গে অটোগ্যাসের দামও কমিয়েছে বিইআরসি। আগস্ট মাসে ভোক্তা পর্যায়ে ৪ টাকা ১৮ পয়সা কমিয়ে অটোগ্যাসের মূল্য সংযোজন কর (মূসক)সহ প্রতি লিটার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৮ টাকা ২৮ পয়সা।
জুলাই মাসে অটোগ্যাসের দাম ১ টাকা ৮৪ পয়সা কমিয়ে প্রতি লিটার ৬২ টাকা ৪৬ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
বিইআরসি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, আগস্ট মাসের জন্য সৌদি আরামকোর ঘোষিত প্রোপেন ও বিউটেনের সৌদি সিপি (কনট্র্যাক্ট প্রাইস) ছিল যথাক্রমে প্রতি মেট্রিক টনে ৫২০ মার্কিন ডলার ও ৪৯০ মার্কিন ডলার। প্রোপেন ও বিউটেনের অনুপাত ৩৫:৬৫ অনুযায়ী গড় সিপি নির্ধারিত হয়েছে ৫০০.৫০ ডলার, যা ভিত্তি ধরে আগস্ট মাসের জন্য বেসরকারি এলপিজি ও অটোগ্যাসের দাম ভোক্তা পর্যায়ে সমন্বয় করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালে এলপিজি ও অটোগ্যাসের দাম চার দফা কমেছে, সাত দফা বেড়েছে এবং একবার অপরিবর্তিত ছিল।
১২৩ দিন আগে
১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারে কমল ২৮ টাকা
১২ কেজির এলপিজি সিলিন্ডারে ২৮ টাকা কমিয়ে মার্চ মাসের জন্য ১ হাজার ৪৫০ টাকা দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
আজ সোমবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে গ্যাসের নতুন এই দাম কার্যকর হবে।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) ঘোষণা অনুযায়ী, মাসজুড়ে প্রতি কেজি এলপি গ্যাসের দাম ১২৩ টাকা ১৬ পয়সা থেকে ২ টাকা ৩৫ পয়সা কমে ১২০ টাকা ৮১ পয়সা করা হয়েছে।
অন্যান্য আকারের সাড়ে পাঁচ কেজি থেকে ৪৫ কেজি পর্যন্ত এলপিজি সিলিন্ডারের দামও একই হারে কমবে।
এতে আরও বলা হয়, প্রতি কেজি 'অটো গ্যাস' (মোটরযানে ব্যবহৃত এলপিজি) ৬৭ টাকা ৭৮ পয়সা (ভ্যাটসহ) থেকে কমিয়ে ৬৬ টাকা ৪৩ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।
তবে, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এলপি গ্যাস কোম্পানির বাজারজাত করা এলপিজির দাম বাড়বে না। কারণ এটি স্থানীয়ভাবে ৫ শতাংশের কম বাজার শেয়ার নিয়ে উৎপাদিত হয়।
২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে স্থানীয় বাজারে ১২ কেজি এলপিজির সর্বোচ্চ দাম ছিল ১ হাজার ৪৯৮ টাকা।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরে এলপিজির দাম অপরিবর্তিত থাকবে: বিইআরসি
২৭৬ দিন আগে
ডিসেম্বরে এলপিজির দাম অপরিবর্তিত থাকবে: বিইআরসি
তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম ডিসেম্বর মাসেও অপরিবর্তিত রয়েছে।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) জানায়, নভেম্বর মাসের মতো ডিসেম্বর মাসেও প্রতি কেজি এলপিজির দাম ১২১ টাকা ২৫ পয়সা থাকবে।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।
১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম অপরিবর্তিত রেখেই নতুন দাম ঘোষণা করেছে বিইআরসি।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বিইআরসির ঢাকা কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, অন্যান্য আকারের এলপিজি সিলিন্ডারের দাম সাড়ে ৫ কেজি থেকে ৪৫ কেজি পর্যন্ত একই হারে নির্ধারিত হবে।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরের এলপিজি মূল্য সমন্বয় আজ
বিইআরসির কর্মকর্তারা জানান, বাংলাদেশি এলপিজি অপারেটররা সাধারণত সৌদি সিপির ভিত্তিতে মধ্যপ্রাচ্যের বাজার থেকে তাদের পণ্য আমদানি করায় স্থানীয় বাজারে এলপিজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
বিইআরসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, অটো গ্যাসের (মোটরযানে ব্যবহৃত এলপিজি) দামও প্রতি লিটার (ভ্যাটসহ) ৬৬ টাকা ৮১ পয়সা রয়েছে।
স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ৫ শতাংশের কম বাজার শেয়ার নিয়ে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এলপি গ্যাস কোম্পানির বাজারজাত করা এলপিজির দামও একই থাকবে।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে স্থানীয় বাজারে এলপিজির সর্বোচ্চ দাম ছিল ১ হাজার ৪৯৮ টাকা (প্রতি ১২ কেজি সিলিন্ডার)।
আরও পড়ুন: নভেম্বরে এলপিজির দাম প্রায় অপরিবর্তিতই থাকছে
৩৬৬ দিন আগে
ডিসেম্বরের এলপিজি মূল্য সমন্বয় আজ
ডিসেম্বরের মাসের জন্য তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম নির্ধারণ করা হবে।
আজ মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার দিকে নির্ধারিত দাম ঘোষণা করবে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।
এরপর জানা যাবে, চলতি মাসের জন্য গ্রাহকদের এলপিজির খরচ বাড়বে, না কি কমবে।
এক বিবৃতিতে বিইআরসি জানায়, সৌদি আরামকো ঘোষিত ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের সৌদি চুক্তি মূল্যের (সিপি) ভিত্তিতে নতুন দাম নির্ধারণ করা হবে।
আরও পড়ুন: নভেম্বরে এলপিজির দাম প্রায় অপরিবর্তিতই থাকছে
সাম্প্রতিক মূল্য প্রবণতা
নভেম্বরের জন্য ১২ কেজির এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ৪৫৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
এর আগে অক্টোবর, সেপ্টেম্বর, আগস্ট ও জুলাই মাসে ধারাবাহিকভাবে এলপিজির দাম বেড়েছিল। তবে তারও আগে চলতি বছরের জুন, মে ও এপ্রিলে দাম কমানো হয়েছিল।
অটো গ্যাসের দামেও একই প্রবণতা দেখা গেছে।
নভেম্বরে বিইআরসি প্রতি লিটার অটোগ্যাসের দাম ০.০৩ টাকা কমিয়ে ভ্যাটসহ ৬৬.৮১ টাকায় নামিয়ে আনে।
তবে জুন, মে ও এপ্রিলে দাম কমলেও অক্টোবর, সেপ্টেম্বর, আগস্ট ও জুলাইয়ে দাম ধারাবাহিকভাবে বেড়েছিল।
২০১৪ সালে এলপিজি ও অটো গ্যাসের দাম ১২ বার সমন্বয় করা হয়েছিল। এর মধ্যে পাঁচবার কমানো এবং সাত বার বাড়ানো হয়। জানুয়ারি, মার্চ, এপ্রিল, জুন ও জুলাই মাসে মূল্য কমেছে এবং ফেব্রুয়ারি, মে, আগস্ট, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বরে দাম বেড়েছে।
আরও পড়ুন: কুতুবদিয়ায় এলপিজি বহনকারী লাইটারেজ জাহাজে আগুন, ৩১ জন উদ্ধার
৩৬৭ দিন আগে
নভেম্বরে এলপিজির দাম প্রায় অপরিবর্তিতই থাকছে
তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম নভেম্বর মাসেও প্রায় একই রয়েছে।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) হিসাবে, নভেম্বর মাসে প্রতি কেজি এলপিজির দাম ১২১ টাকা ৩২ পয়সা থেকে কমে ১২১ টাকা ২৫ পয়সা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।
আরও পড়ুন: এলপিজির দাম বাড়ল, ১২ কেজি সিলিন্ডার ১৪২১ টাকা
বিইআরসি নতুন দাম ঘোষণা করে বলেছে, ১২ কেজির এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ১ টাকা কমানো হয়েছে।
একজন খুচরা গ্রাহক এখন ১২ কেজির সিলিন্ডারের জন্য ১ হাজার ৪৫৫ টাকায় (ভ্যাটসহ) কিনতে পারবেন, যা পূর্বে ছিল ১ হাজার ৪৫৬ টাকা।
আজ ঢাকায় নিজস্ব কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিইআরসি জানায়, অন্যান্য আকারের এলপিজি সিলিন্ডারের দাম সাড়ে পাঁচ কেজি থেকে কমিয়ে ৪৫ কেজি পর্যন্ত একই হারে কমবে।
বিইআরসির কর্মকর্তারা জানান, বাংলাদেশি এলপিজি অপারেটররা সাধারণত সৌদি সিপির ভিত্তিতে মধ্যপ্রাচ্যের বাজার থেকে তাদের পণ্য আমদানি করায় স্থানীয় বাজারে এলপিজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
বিইআরসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, 'অটো গ্যাস' (মোটরযানে ব্যবহৃত এলপিজি) এর দাম আগের ৬৬ টাকা ৮৪ পয়সা থেকে কমে ৬৬ টাকা ৮১ পয়সা (ভ্যাটসহ) হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এলপি গ্যাস কোম্পানির বাজারজাত করা স্থানীয় এলপিজির দাম একই থাকবে। এর মার্কেট শেয়ার ৫ শতাংশের কম।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে স্থানীয় বাজারে এলপিজির সর্বোচ্চ দাম ছিল ১ হাজার ৪৯৮ টাকা (প্রতি ১২ কেজি সিলিন্ডার)।
আরও পড়ুন: জুনে এলপিজির দাম কমেছে কেজিতে ২.৫৩ টাকা
১২ কেজির এলপিজিতে দাম কমল ৪৯ টাকা
৩৯৪ দিন আগে
কুতুবদিয়ায় এলপিজি বহনকারী লাইটারেজ জাহাজে আগুন, ৩১ জন উদ্ধার
বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়া পয়েন্টে বসুন্ধরার এলপিজি বহনকারী একটি লাইটারেজ জাহাজে শনিবার মধ্যরাতে বিস্ফোরণ হয়ে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। রবিবার ভোর পর্যন্ত উদ্ধারকার্য চালিয়ে ওই জাহাজে থাকা ৩১ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী।
শনিবার (১২ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
কুতুবদিয়া কোস্ট গার্ড পূর্ব জোনের কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট শাকিব মেহবুব জানান, কুতুবদিয়ার কৈয়ারবিল পয়েন্টে নোঙর করা সুফিয়া নামে এলপিজি বহনকারী একটি লাইটারেজ জাহাজে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। খবর পেয়ে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনী আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
জাহাজে আগুন লাগলে নাবিকরা সাগরে লাফ দেয়। পরে নাবিকদের উদ্ধার করা হয়।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।
এর আগে কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন জানান, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। এছাড়া নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ডকে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বিএসসির জাহাজে আগুন: ১ জনের লাশ উদ্ধার
খবর পেয়ে রাতেই উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে উল্লেখ করে নৌবাহিনী কর্তৃপক্ষ জানায়, আগুন নিয়ন্ত্রণে এবং জাহাজে থাকা ক্রুদের উদ্ধারে যোগ দিয়েছে নৌবাহিনীর জাহাজ। পাশাপাশি চট্টগ্রাম থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে যুক্ত হয়েছে কোস্ট গার্ড ও বন্দরের জাহাজ।
স্থানীয়রা জানায়, ‘বি-এলপিজি সুফিয়া’ নামের জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের বহিনোঙরে অবস্থান করছিল। রাত ১টার দিকে জাহাজটি বিস্ফোরণ হয়ে আগুন ধরে যায়।
আরও পড়ুন: পতেঙ্গায় জাহাজে বিস্ফোরণ; ৩ জনের লাশ উদ্ধার
৪১৮ দিন আগে
জুনে এলপিজির দাম কমেছে কেজিতে ২.৫৩ টাকা
তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম জুন মাসে কেজিতে ১১৬ টাকা ০৮ পয়সা থেকে ২ দশমিক ৫৩ টাকা কমে ১১৩ দশমিক ৫৫ টাকা করা হয়েছে।
সোমবার (৩ জুন) ঢাকায় বিইআরসি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই নতুন দাম ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।
আরও পড়ুন: ভোক্তা পর্যায়ে এলপিজির বর্ধিত দাম কার্যকর আজ থেকেই
সোমবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।
বিইআরসি আরও জানায়, ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ৩০ টাকা কমায় এখন তা ১ হাজার ৩৯৩ টাকার পরিবর্তে (ভ্যাটসহ) ১ হাজার ৩৬৩ টাকায় কিনতে পারবেন ক্রেতারা।
আকারের ভিত্তিতে এলপিজি সিলিন্ডারের দাম সাড়ে পাঁচ কেজি থেকে ৪৫ কেজি পর্যন্ত আনুপাতিক হারে কমবে বলে জানায় বিইআরসি।
সৌদি সিপির (চুক্তি মূল্য) দাম কমে যাওয়ায় স্থানীয় বাজারে এলপিজির দাম কমেছে বলে জানান বিইআরসির কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশি এলপিজি অপারেটররা সাধারণত সৌদি সিপির ভিত্তিতে মধ্যপ্রাচ্যের বাজার থেকে তাদের পণ্য আমদানি করে থাকে।
বিইআরসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রতি লিটার অটো গ্যাসের (মোটরযানে ব্যবহৃত এলপিজি) দাম ৬৩ টাকা ৯২ পয়সা থেকে কমে ৬২ টাকা ৫৩ পয়সা (ভ্যাটসহ) হয়েছে।
রাষ্ট্রায়ত্ত এলপি গ্যাস কোম্পানির বাজারজাত করা এলপিজির দাম অপরিবর্তিত থাকবে। কারণ এটি স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হওয়ায় এই গ্যাসের বাজার শেয়ার ৫ শতাংশের কম।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে স্থানীয় বাজারে এলপিজির সর্বোচ্চ দাম ছিল ১ হাজার ৪৯৮ টাকা (প্রতি ১২ কেজি সিলিন্ডার)।
আরও পড়ুন: ১২ কেজির এলপিজিতে দাম কমল ৪৯ টাকা
কেজিতে ৩.৩৪ টাকা কমল এলপিজির দাম
৫৪৯ দিন আগে
১২ কেজির এলপিজিতে দাম কমল ৪৯ টাকা
তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম কেজিতে ৪ টাকা ১ পয়সা কমিয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। কেজিপ্রতি নতুন দর নির্ধারণ করা হয়েছে ১১৬ টাকা ০৮ পয়সা। আগেই এর দাম ছিল ১২০ টাকা ১৮ পয়সা।
বৃহস্পতিবার (২ মে) এক সংবাদ সম্মেলনে ১২ কেজির এলপিজি সিলিন্ডারের দাম আগের ১ হাজার ৪৪২ টাকা থেকে ৪৯ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ৩৯৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বিইআরসি।
আরও পড়ুন: সাভারে বুধবার ১২ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে
এলপিজি সিলিন্ডারের আকারের ভিত্তিতে সাড়ে ৫ কেজি থেকে ৪৫ কেজি পর্যন্ত এই মূল্যহারের ভোক্তা পর্যায়ে মূল্য সংশোধন করবে।
এছাড়া মোটরযানে ব্যবহৃত এলপিজি ভ্যারিয়েন্টে 'অটো গ্যাস'-এর দাম আগের লিটারপ্রতি ৬৬ টাকা ২১ পয়সার পরিবর্তে ৬৩ টাকা ৯২ পয়সা করা হয়েছে।
রাষ্ট্রায়ত্ত এলপি গ্যাস কোম্পানির বাজারজাত করা এলপিজির দাম অপরিবর্তিত থাকবে। কারণ এটি স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত এই গ্যাসের বাজার শেয়ার ৫ শতাংশের কম।
আন্তর্জাতিক বাজারে এলপিজির দাম ক্রমহ্রাস হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে দেশে দাম সমন্বয় করার সিদ্ধান্তটি এসেছে। বিশেষত যা সৌদি সিপি (চুক্তি মূল্য) বৃদ্ধির সঙ্গে যুক্ত। এটি প্রাথমিকভাবে মধ্য প্রাচ্য থেকে এলপিজি আমদানিকারী স্থানীয় অপারেটরদের জন্য একটি মানদণ্ড হিসাবে কাজ করে।
আরও পড়ুন: জাতীয় গ্রিডে ৬১৮ এমএমসিএফডি গ্যাস যোগ করতে ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা
৫৮১ দিন আগে
ঘরে রান্নার কাজে নিরাপদে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারের উপায়
নানা ধরনের দুর্ঘটনার পরেও এলপিজি (লিকুইড পেট্রোলিয়াম গ্যাস) সিলিন্ডারগুলোই বর্তমানে গ্যাস যোগানের গুরুত্বপূর্ণ উৎস। সঠিক ব্যবহারের অভাবে জীবনের জন্য এই প্রয়োজনীয় বস্তুটিই ভয়াবহ মৃত্যুর কারণ হয়ে দাড়াচ্ছে। ফলশ্রুতিতে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার মানেই যেন ঘরের ভেতর বিপজ্জনক বিস্ফোরক নিয়ে দিন যাপন। কিন্তু কিছু নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করলে এই বাধ্য-বাধকতার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া সম্ভব হতে পারে। চলুন, দুর্ঘটনা এড়িয়ে বাড়িতে এলপিজি সিলিন্ডার ব্যবহারের নিরাপত্তা মূলক কিছু পদক্ষেপ জেনে নেওয়া যাক।
বাড়িতে এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারে ১০টি প্রয়োজনীয় সতর্কতা
.
অনুমোদিত বিক্রেতা
এলপিজি সিলিন্ডারের সুষ্ঠ ব্যবহারের প্রথম শর্ত হচ্ছে সেটি কেনার জন্য সঠিক বিক্রেতাকে বাছাই করা। কেননা শত যত্ন করলেও ত্রুটিপূর্ণ পণ্যে ভালো সেবা পাওয়া যায় না। সেই সঙ্গে অনেক হয়রানিরও শিকার হতে হয়, যা চূড়ান্ত অবস্থায় বিপদের কারণও হতে পারে।
তাই সর্বপ্রথম কাজ হচ্ছে জাতীয়ভাবে স্বীকৃত একটি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান খুঁজে বের করা। তারপর তাদের সূত্র ধরে খুঁজে বের করতে হবে যে, নির্দিষ্ট এলাকায় তাদের অনুমোদিত বিক্রেতা আছে কি না। এ ক্ষেত্রে তাদের বিক্রয় পরবর্তী সেবা এবং গ্যাস রিফিল সেবা সম্পর্কে ভালোভাবে যাচাই করতে হবে। একজন অনুমোদিত বিক্রেতা বিক্রির পাশাপাশি দক্ষ কর্মীর মাধ্যমে সিলিন্ডার স্থাপন এবং রক্ষণাবেক্ষণের সেবা দিয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: শহরে রান্নার জন্য গ্যাসের চুলার সেরা কয়েকটি বিকল্প
উপরোক্ত নিরীক্ষণ সফলভাবে সম্পন্নের পর সিলিন্ডার কেনার মুহূর্তে প্রধান দুটি বিষয় দেখে নিতে হবে।
- সিলিন্ডারে সেই প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের সিল রয়েছে কি না
- সিলিন্ডারটির সেফটি ক্যাপ সুরক্ষিত ভাবে লাগানো রয়েছে কি না
মেয়াদ থাকা গ্যাস সিলিন্ডার
একজন অনুমোদিত সিলিন্ডার সরবরাহকারী কখনোই মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রি করবেন না। এরপরেও কেনার সময় ক্রেতাকে এই বিষয়টি খুব গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখতে হবে। কেননা এর উপর নির্ভর করছে এলপিজি সিলিন্ডার ব্যবহারকারির নিরাপত্তা।
গ্যাস সিলিন্ডার সাধারণত ন্যূনতম প্রতি ১০ বছরে প্রতিস্থাপন বা পুনরায় পরীক্ষা করা উচিৎ। অন্যান্য তথ্যের সঙ্গে মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখটি সিলিন্ডারের বডিতেই লিপিবদ্ধ থাকে। প্রস্তুতের তারিখ থেকে ১০ বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেলে সিলিন্ডারের গুণগত মান হারাতে থাকে। ফলে সেটি পুনরায় গ্যাস রিফিলের জন্য উপযুক্ত থাকে না।
আরও পড়ুন: বিআরটিএ স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স যেভাবে করবেন
সিলিন্ডারকে সর্বদা উপরের দিকে মুখ করে রাখা
স্পষ্ট করে ভিন্ন কোনো নির্দেশনা না থাকলে এলপিজি সিলিন্ডার উপরের দিকে মুখ করে সোজা অবস্থায় রাখা উচিৎ। উল্টো করে কিংবা যে কোনো একদিকে কাত করে রাখা যাবে না। মোট কথা এমনভাবে রাখতে হবে যেন সেটি স্থিরভাবে এক জায়গায় থাকতে পারে। এ সময় আশেপাশের কোনো কিছুর সঙ্গে সিলিন্ডারের যেন কোনো ধাক্কা না লাগে। খালি বা গ্যাস ভরা সিলিন্ডার, উভয় ক্ষেত্রেই এটি প্রযোজ্য। এ অবস্থায় রাখলে তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাস লিক করে আগুন লাগার ঝুঁকি থাকে না।
সিলিন্ডার স্থাপনের জায়গায় সঠিক বাতাস চলাচল
বদ্ধ জায়গায় জমা হওয়া এলপিজি ধোঁয়া বিপদের লক্ষণ। তাই সিলিন্ডারের সুরক্ষার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকটি হচ্ছে পর্যাপ্ত বাতাস চলাচল। এর জন্য সিলিন্ডারটি রাখার জন্য যতটা সম্ভব উন্মুক্ত পরিবেশের ব্যবস্থা করতে হবে। বাড়ির যে জায়গাটি বেশি খোলামেলা সেখানে মাটির উপর সমতোলে রাখা যেতে পারে। তবে সরাসরি সূর্যালোক পড়ে এমন জায়গা থেকে দূরে রাখাই ভালো।
এতে করে বিপজ্জনক বিস্ফোরণের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে আসে। আর কোনো কারণে বিস্ফোরণ হলেও তা থেকে ক্ষতি অনেকটা কম হয়।
আরও পড়ুন: কাঁসা, পিতল ও তামার তৈজসপত্র ব্যবহার কতটুকু স্বাস্থ্যসম্মত, বিজ্ঞান কী বলে?
সিলিন্ডার স্থাপনের জায়গাটির সুরক্ষা
জঞ্জালপূর্ণ, আবদ্ধ এবং স্যাঁতস্যাঁতে জায়গায় সিলিন্ডার রাখা ঠিক নয়। বরং যেখানে বিশৃঙ্খলা কম এমন খোলামেলা, বিচ্ছিন্ন এবং পরিষ্কার শুষ্ক জায়গা নির্বাচন করা জরুরি। চুলার খুব কাছাকাছি তো রাখা যাই না, বরং লম্বা পাইপের সাহায্যে চুলা থেকে অন্তত ৩ ফুট দূরত্বে সিলিন্ডারটিকে স্থাপন করতে হয়। যত বেশি দূরে রাখা যায় ততই নিরাপদ।
তবে খেয়াল রাখতে হবে- সিলিন্ডার যেন অবশ্যই শক্তভাবে মাটির উপর স্থাপিত থাকে। দুর্ঘটনাজনিত কোনো আঘাতে তা যেন কাঁত হয়ে বা সম্পূর্ণ পড়ে না যায়। বিশেষ করে ভূমিকম্প প্রবণ এলাকার জন্য এই মজবুত স্থাপনাটি সবচেয়ে বেশি দরকারি। অতর্কিতে রেগুলেটরে টিপ পড়ে যাওয়া বা কাঁত হয়ে পড়ে যাওয়া রোধ করতে টেকসই সিলিন্ডার স্ট্যান্ড বা শক্ত খাঁচা ব্যবহার করা যেতে পারে।
কোনো ধরনের দাহ্য বস্তু সিলিন্ডারের সংস্পর্শে না আনা
কাগজ, অ্যারোসল, পেট্রোল, পর্দা এবং রান্নার তেলের মতো দাহ্য বস্তু সর্বদা এলপিজি সিলিন্ডার থেকে দূরে রাখা উচিৎ। ছোট্ট আগুনের সূত্রপাত ঘটাতে পারে এমন সবকিছুই বর্জনীয়; এমনকি ধূমপানের জন্য ম্যাচের কাঠি বা দেয়াশলাইও।
এছাড়া উচ্চ ভোল্টেজের ইলেক্ট্রনিক ও বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি সিলিন্ডারের আশেপাশে রাখা যাবে না।
আরও পড়ুন: রেস্তোরাঁ-শপিং মলে প্রবেশের আগে যে বিষয়গুলোতে সাবধান থাকা জরুরি
রান্নার সময় করণীয়
রান্না শুরু করার আধ ঘণ্টা আগে থেকেই রান্নাঘরের দরজা-জানালা খুলে দিতে হবে। এতে করে তাজা বাতাস চলাচল করতে পারবে। রান্নাঘর যথেষ্ট প্রশস্ত না হলে সিলিন্ডার রান্নাঘরে রাখা উচিৎ নয়। অবশ্য বর্তমানে ঢাকা শহরের প্রায় প্রতিটি রান্নাঘর অত্যন্ত ছোট। নানা ধরনের তৈজসপত্রে ঠাসা ছোট জায়গাটি কোনো ভাবেই গ্যাসের সিলিন্ডারের মতো বিপজ্জনক বস্তুর জন্য উপযুক্ত থাকে না।
রান্না শেষে চুলার চাবি বন্ধ করতে কোনো মতেই ভুলে যাওয়া চলবে না।
নিয়মিত পরিদর্শন ও রক্ষণাবেক্ষণ
এলপিজি সিলিন্ডারের সংযোগগুলো ক্ষয়ক্ষতি ও লিক জনিত যে কোনো লক্ষণের জন্য আগে থেকেই পরীক্ষা করে নেওয়া উচিৎ। আর একটি নির্দিষ্ট রুটিন মেনে পরিদর্শন এই পরীক্ষার কাজে সহায়ক হবে।
আরও পড়ুন: সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাক: কারণ, লক্ষণ ও প্রতিরোধ
এর বাইরেও অনেক সময় কোনো ফাটল চোখে পড়তে পারে বা গ্যাস লিকের মতো আশঙ্কাজনক কোনো শব্দ কানে আসতে পারে। এ সময় অবিলম্বে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে সিলিন্ডার সরবরাহকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করা আবশ্যক।
এছাড়া শুধু সিলিন্ডারই নয়, এর সঙ্গে ব্যবহৃত বিভিন্ন খুটিনাটি পার্টসগুলোর প্রতিও সজাগ দৃষ্টি রাখা আবশ্যক। এগুলোর মধ্যে আছে সিলিন্ডার রেগুলেটর, সংযোগ পাইপ, ভাল্ভ ক্যাপসহ নানাবিধ ছোট ছোট যন্ত্রাংশ। এগুলোতে ত্রুটি থাকা সামগ্রিক ভাবে পুরো সিলিন্ডারের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
এক্ষেত্রে সবচেয়ে ফলপ্রসূ উপায় হচ্ছে সেই অনুমোদিত ও স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান বাছাই করা। এই পরিদর্শন ও রক্ষণাবেক্ষণে তারা দক্ষ কর্মী দিয়ে সার্বিক নিরাপত্তায় সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে।
আরও পড়ুন: ব্লু জোন রহস্য: রোগহীন দীর্ঘজীবী সম্প্রদায়ের খোঁজে
সিলিন্ডার পরিবর্তনের সময় চুলা বন্ধ রাখা
গ্যাস শেষ হয়ে গেলে রিফিল করার সময় ডিস্ট্রিবিউটরের কর্মীরাই এই সাবধানতাটি অবলম্বন করবেন। এছাড়া ব্যবহারকারিদেরকেও তারা এ সময় চুলা বন্ধ রাখার কথা বলেন।
এছাড়া গ্যাস শেষ হয়ে গেলে চুলাতে এমনিতেই গ্যাসের কোনো শব্দ থাকে না। এরপরেও চুলা বন্ধ রাখাটাই উত্তম। সিলিন্ডার রিফিল হয়ে যাওয়ার পর যখন গ্যাস অপারেটর যাচাইয়ের জন্য চুলা জ্বালাতে বলবেন একমাত্র তখনি চুলা জ্বালানো যেতে পারে।
ঘরে গ্যাসের গন্ধ পেলে সঙ্গে সঙ্গে সিলিন্ডার সরবরাহকারি প্রতিষ্ঠানকে জানানো
দীর্ঘ ভ্রমণে যাওয়ার কারণে বাড়ি অনেক দিন বদ্ধ অবস্থায় থাকতে পারে। এ সময় বাইরে থেকে ঘরে প্রবেশের পর সবার আগে দরজা জানালা খুলে দিতে হবে। ঘরের ভেতরে গ্যাসের কোনো গন্ধ পাওয়া গেলে সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় গ্যাস ডিস্ট্রিবিউটরকে জানাতে হবে। গ্যাস টেকনিশিয়ান আসার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত ম্যাচের কাঠি জ্বালানো, ইলেকট্রিক সুইচ অন করা, কিংবা সিলিন্ডারের রেগুলেটরে হাত দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
আরও পড়ুন: কেক ও বিস্কুট খাওয়ার ক্ষতিকর দিক: বিকল্প কিছু স্বাস্থ্যসম্মত পুষ্টিকর খাবার
শেষাংশ
গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারে এই সাবধানতাগুলো অনাকাঙ্ক্ষিত বিস্ফোরণ থেকে বাড়িকে সুরক্ষিত রাখার উপযুক্ত উপায়। মূলত কোত্থেকে বা কাদের কাছ থেকে কেনা হচ্ছে সেদিকে গুরুত্ব দেওয়া হলে নিরাপত্তা নিশ্চিতের অর্ধেক কাজই হয়ে যায়। কেননা অনুমোদিত ও স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান সর্বাঙ্গীন ভাবে তাদের পণ্যের মান নিশ্চিতকরণের দিকে খেয়ালা রাখে। ফলে সিলিন্ডারের মেয়াদ, গ্যাস লিক, নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ, এবং গ্যাস রিফিল নিয়ে দুশ্চিন্তার অবকাশ থাকে না।
এর বাইরে ক্রেতাকে নিশ্চিত করতে হবে সিলিন্ডার স্থাপনের স্থানে বাতাস চলাচলের পরিবেশ এবং তার আশেপাশে দাহ্য বস্তু না রাখার বিষয়টি। সর্বপরি, এলপিজি (লিকুইড পেট্রোলিয়াম গ্যাস) সিলিন্ডার জনিত যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য চুলার কাজ ছাড়াও প্রতিনিয়ত গ্যাস লিকের ব্যাপারে সতর্ক থাকা আবশ্যক।
আরও পড়ুন: ধানমন্ডিতে বুফে খেতে যেসব রেস্তোরাঁয় যেতে পারেন
৫৯৮ দিন আগে
কেজিতে ৩.৩৪ টাকা কমল এলপিজির দাম
তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম কেজিতে ৩ টাকা ৩৪ পয়সা কমিয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। প্রতি কেজি এলপিজির নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১২০ টাকা ১৮ পয়সা, যা আগে ছিল ১২৩ টাকা ৫২ পয়সা।
বুধবার(৩ এপ্রিল) এলপিজির এই নতুন দাম নির্ধারণ করেছে বিইআরসি।
গৃহস্থালি ও বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে দাম কমানোর এই সিদ্ধান্ত বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে কার্যকর হবে।
আরও পড়ুন: ভোক্তা পর্যায়ে এলপিজির বর্ধিত দাম কার্যকর আজ থেকেই
সংবাদ সম্মেলনে বিইআরসি জানায়, ১২ কেজির এলপিজি সিলিন্ডারের দাম আগে ১ হাজার ৪৮২ টাকা ছিল, তা এখন থেকে ৪০ টাকা কমে ১ হাজার ৪৪২ টাকা হবে।
এই সমন্বয়টি সাড়ে ৫ কেজি থেকে ৪৫ কেজি পর্যন্ত বিভিন্ন এলপিজি সিলিন্ডার আকারের মধ্যে কার্যক্রর হবে এবং বিভিন্ন ভোক্তা বিভাগে আনুপাতিক মূল্য সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে।
এছাড়া মোটরযানে ব্যবহৃত এলপিজি ভ্যারিয়েন্টের অটোগ্যাসের দাম লিটার ৬৭ টাকা ৬৮ পয়সা থেকে কমিয়ে ৬৬ টাকা ২১ পয়সা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, রাষ্ট্রায়ত্ত এলপি গ্যাস কোম্পানির বাজারজাত করা এলপিজির দাম অপরিবর্তিত থাকবে।
এই ব্যতিক্রমটি তার স্থানীয় উৎপাদন ও কোম্পানির ন্যূনতম শেয়ার বাজারেরর জন্য দায়বদ্ধ থাকবে, যা পাঁচ শতাংশেরও কম।
আন্তর্জাতিক বাজারে এলপিজির দাম ক্রমহ্রাস হওয়ার প্রেক্ষিতে দেশে দাম সামঞ্জস্য করার সিদ্ধান্তটি এসেছে। বিশেষত যা সৌদি সিপি (চুক্তি মূল্য) বৃদ্ধির সঙ্গে যুক্ত। এটি প্রাথমিকভাবে মধ্য প্রাচ্য থেকে এলপিজি আমদানিকারী স্থানীয় অপারেটরদের জন্য একটি মানদণ্ড হিসাবে কাজ করে।
আরও পড়ুন: আবার বাড়ল এলপিজির দাম
ফের বাড়ল এলপিজির দাম
৬১০ দিন আগে