এলপিজি
ঘরে রান্নার কাজে নিরাপদে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারের উপায়
নানা ধরনের দুর্ঘটনার পরেও এলপিজি (লিকুইড পেট্রোলিয়াম গ্যাস) সিলিন্ডারগুলোই বর্তমানে গ্যাস যোগানের গুরুত্বপূর্ণ উৎস। সঠিক ব্যবহারের অভাবে জীবনের জন্য এই প্রয়োজনীয় বস্তুটিই ভয়াবহ মৃত্যুর কারণ হয়ে দাড়াচ্ছে। ফলশ্রুতিতে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার মানেই যেন ঘরের ভেতর বিপজ্জনক বিস্ফোরক নিয়ে দিন যাপন। কিন্তু কিছু নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করলে এই বাধ্য-বাধকতার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া সম্ভব হতে পারে। চলুন, দুর্ঘটনা এড়িয়ে বাড়িতে এলপিজি সিলিন্ডার ব্যবহারের নিরাপত্তা মূলক কিছু পদক্ষেপ জেনে নেওয়া যাক।
বাড়িতে এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারে ১০টি প্রয়োজনীয় সতর্কতা
.
অনুমোদিত বিক্রেতা
এলপিজি সিলিন্ডারের সুষ্ঠ ব্যবহারের প্রথম শর্ত হচ্ছে সেটি কেনার জন্য সঠিক বিক্রেতাকে বাছাই করা। কেননা শত যত্ন করলেও ত্রুটিপূর্ণ পণ্যে ভালো সেবা পাওয়া যায় না। সেই সঙ্গে অনেক হয়রানিরও শিকার হতে হয়, যা চূড়ান্ত অবস্থায় বিপদের কারণও হতে পারে।
তাই সর্বপ্রথম কাজ হচ্ছে জাতীয়ভাবে স্বীকৃত একটি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান খুঁজে বের করা। তারপর তাদের সূত্র ধরে খুঁজে বের করতে হবে যে, নির্দিষ্ট এলাকায় তাদের অনুমোদিত বিক্রেতা আছে কি না। এ ক্ষেত্রে তাদের বিক্রয় পরবর্তী সেবা এবং গ্যাস রিফিল সেবা সম্পর্কে ভালোভাবে যাচাই করতে হবে। একজন অনুমোদিত বিক্রেতা বিক্রির পাশাপাশি দক্ষ কর্মীর মাধ্যমে সিলিন্ডার স্থাপন এবং রক্ষণাবেক্ষণের সেবা দিয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: শহরে রান্নার জন্য গ্যাসের চুলার সেরা কয়েকটি বিকল্প
উপরোক্ত নিরীক্ষণ সফলভাবে সম্পন্নের পর সিলিন্ডার কেনার মুহূর্তে প্রধান দুটি বিষয় দেখে নিতে হবে।
- সিলিন্ডারে সেই প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের সিল রয়েছে কি না
- সিলিন্ডারটির সেফটি ক্যাপ সুরক্ষিত ভাবে লাগানো রয়েছে কি না
মেয়াদ থাকা গ্যাস সিলিন্ডার
একজন অনুমোদিত সিলিন্ডার সরবরাহকারী কখনোই মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রি করবেন না। এরপরেও কেনার সময় ক্রেতাকে এই বিষয়টি খুব গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখতে হবে। কেননা এর উপর নির্ভর করছে এলপিজি সিলিন্ডার ব্যবহারকারির নিরাপত্তা।
গ্যাস সিলিন্ডার সাধারণত ন্যূনতম প্রতি ১০ বছরে প্রতিস্থাপন বা পুনরায় পরীক্ষা করা উচিৎ। অন্যান্য তথ্যের সঙ্গে মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখটি সিলিন্ডারের বডিতেই লিপিবদ্ধ থাকে। প্রস্তুতের তারিখ থেকে ১০ বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেলে সিলিন্ডারের গুণগত মান হারাতে থাকে। ফলে সেটি পুনরায় গ্যাস রিফিলের জন্য উপযুক্ত থাকে না।
আরও পড়ুন: বিআরটিএ স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স যেভাবে করবেন
সিলিন্ডারকে সর্বদা উপরের দিকে মুখ করে রাখা
স্পষ্ট করে ভিন্ন কোনো নির্দেশনা না থাকলে এলপিজি সিলিন্ডার উপরের দিকে মুখ করে সোজা অবস্থায় রাখা উচিৎ। উল্টো করে কিংবা যে কোনো একদিকে কাত করে রাখা যাবে না। মোট কথা এমনভাবে রাখতে হবে যেন সেটি স্থিরভাবে এক জায়গায় থাকতে পারে। এ সময় আশেপাশের কোনো কিছুর সঙ্গে সিলিন্ডারের যেন কোনো ধাক্কা না লাগে। খালি বা গ্যাস ভরা সিলিন্ডার, উভয় ক্ষেত্রেই এটি প্রযোজ্য। এ অবস্থায় রাখলে তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাস লিক করে আগুন লাগার ঝুঁকি থাকে না।
সিলিন্ডার স্থাপনের জায়গায় সঠিক বাতাস চলাচল
বদ্ধ জায়গায় জমা হওয়া এলপিজি ধোঁয়া বিপদের লক্ষণ। তাই সিলিন্ডারের সুরক্ষার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকটি হচ্ছে পর্যাপ্ত বাতাস চলাচল। এর জন্য সিলিন্ডারটি রাখার জন্য যতটা সম্ভব উন্মুক্ত পরিবেশের ব্যবস্থা করতে হবে। বাড়ির যে জায়গাটি বেশি খোলামেলা সেখানে মাটির উপর সমতোলে রাখা যেতে পারে। তবে সরাসরি সূর্যালোক পড়ে এমন জায়গা থেকে দূরে রাখাই ভালো।
এতে করে বিপজ্জনক বিস্ফোরণের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে আসে। আর কোনো কারণে বিস্ফোরণ হলেও তা থেকে ক্ষতি অনেকটা কম হয়।
আরও পড়ুন: কাঁসা, পিতল ও তামার তৈজসপত্র ব্যবহার কতটুকু স্বাস্থ্যসম্মত, বিজ্ঞান কী বলে?
সিলিন্ডার স্থাপনের জায়গাটির সুরক্ষা
জঞ্জালপূর্ণ, আবদ্ধ এবং স্যাঁতস্যাঁতে জায়গায় সিলিন্ডার রাখা ঠিক নয়। বরং যেখানে বিশৃঙ্খলা কম এমন খোলামেলা, বিচ্ছিন্ন এবং পরিষ্কার শুষ্ক জায়গা নির্বাচন করা জরুরি। চুলার খুব কাছাকাছি তো রাখা যাই না, বরং লম্বা পাইপের সাহায্যে চুলা থেকে অন্তত ৩ ফুট দূরত্বে সিলিন্ডারটিকে স্থাপন করতে হয়। যত বেশি দূরে রাখা যায় ততই নিরাপদ।
তবে খেয়াল রাখতে হবে- সিলিন্ডার যেন অবশ্যই শক্তভাবে মাটির উপর স্থাপিত থাকে। দুর্ঘটনাজনিত কোনো আঘাতে তা যেন কাঁত হয়ে বা সম্পূর্ণ পড়ে না যায়। বিশেষ করে ভূমিকম্প প্রবণ এলাকার জন্য এই মজবুত স্থাপনাটি সবচেয়ে বেশি দরকারি। অতর্কিতে রেগুলেটরে টিপ পড়ে যাওয়া বা কাঁত হয়ে পড়ে যাওয়া রোধ করতে টেকসই সিলিন্ডার স্ট্যান্ড বা শক্ত খাঁচা ব্যবহার করা যেতে পারে।
কোনো ধরনের দাহ্য বস্তু সিলিন্ডারের সংস্পর্শে না আনা
কাগজ, অ্যারোসল, পেট্রোল, পর্দা এবং রান্নার তেলের মতো দাহ্য বস্তু সর্বদা এলপিজি সিলিন্ডার থেকে দূরে রাখা উচিৎ। ছোট্ট আগুনের সূত্রপাত ঘটাতে পারে এমন সবকিছুই বর্জনীয়; এমনকি ধূমপানের জন্য ম্যাচের কাঠি বা দেয়াশলাইও।
এছাড়া উচ্চ ভোল্টেজের ইলেক্ট্রনিক ও বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি সিলিন্ডারের আশেপাশে রাখা যাবে না।
আরও পড়ুন: রেস্তোরাঁ-শপিং মলে প্রবেশের আগে যে বিষয়গুলোতে সাবধান থাকা জরুরি
রান্নার সময় করণীয়
রান্না শুরু করার আধ ঘণ্টা আগে থেকেই রান্নাঘরের দরজা-জানালা খুলে দিতে হবে। এতে করে তাজা বাতাস চলাচল করতে পারবে। রান্নাঘর যথেষ্ট প্রশস্ত না হলে সিলিন্ডার রান্নাঘরে রাখা উচিৎ নয়। অবশ্য বর্তমানে ঢাকা শহরের প্রায় প্রতিটি রান্নাঘর অত্যন্ত ছোট। নানা ধরনের তৈজসপত্রে ঠাসা ছোট জায়গাটি কোনো ভাবেই গ্যাসের সিলিন্ডারের মতো বিপজ্জনক বস্তুর জন্য উপযুক্ত থাকে না।
রান্না শেষে চুলার চাবি বন্ধ করতে কোনো মতেই ভুলে যাওয়া চলবে না।
নিয়মিত পরিদর্শন ও রক্ষণাবেক্ষণ
এলপিজি সিলিন্ডারের সংযোগগুলো ক্ষয়ক্ষতি ও লিক জনিত যে কোনো লক্ষণের জন্য আগে থেকেই পরীক্ষা করে নেওয়া উচিৎ। আর একটি নির্দিষ্ট রুটিন মেনে পরিদর্শন এই পরীক্ষার কাজে সহায়ক হবে।
আরও পড়ুন: সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাক: কারণ, লক্ষণ ও প্রতিরোধ
এর বাইরেও অনেক সময় কোনো ফাটল চোখে পড়তে পারে বা গ্যাস লিকের মতো আশঙ্কাজনক কোনো শব্দ কানে আসতে পারে। এ সময় অবিলম্বে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে সিলিন্ডার সরবরাহকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করা আবশ্যক।
এছাড়া শুধু সিলিন্ডারই নয়, এর সঙ্গে ব্যবহৃত বিভিন্ন খুটিনাটি পার্টসগুলোর প্রতিও সজাগ দৃষ্টি রাখা আবশ্যক। এগুলোর মধ্যে আছে সিলিন্ডার রেগুলেটর, সংযোগ পাইপ, ভাল্ভ ক্যাপসহ নানাবিধ ছোট ছোট যন্ত্রাংশ। এগুলোতে ত্রুটি থাকা সামগ্রিক ভাবে পুরো সিলিন্ডারের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
এক্ষেত্রে সবচেয়ে ফলপ্রসূ উপায় হচ্ছে সেই অনুমোদিত ও স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান বাছাই করা। এই পরিদর্শন ও রক্ষণাবেক্ষণে তারা দক্ষ কর্মী দিয়ে সার্বিক নিরাপত্তায় সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে।
আরও পড়ুন: ব্লু জোন রহস্য: রোগহীন দীর্ঘজীবী সম্প্রদায়ের খোঁজে
সিলিন্ডার পরিবর্তনের সময় চুলা বন্ধ রাখা
গ্যাস শেষ হয়ে গেলে রিফিল করার সময় ডিস্ট্রিবিউটরের কর্মীরাই এই সাবধানতাটি অবলম্বন করবেন। এছাড়া ব্যবহারকারিদেরকেও তারা এ সময় চুলা বন্ধ রাখার কথা বলেন।
এছাড়া গ্যাস শেষ হয়ে গেলে চুলাতে এমনিতেই গ্যাসের কোনো শব্দ থাকে না। এরপরেও চুলা বন্ধ রাখাটাই উত্তম। সিলিন্ডার রিফিল হয়ে যাওয়ার পর যখন গ্যাস অপারেটর যাচাইয়ের জন্য চুলা জ্বালাতে বলবেন একমাত্র তখনি চুলা জ্বালানো যেতে পারে।
ঘরে গ্যাসের গন্ধ পেলে সঙ্গে সঙ্গে সিলিন্ডার সরবরাহকারি প্রতিষ্ঠানকে জানানো
দীর্ঘ ভ্রমণে যাওয়ার কারণে বাড়ি অনেক দিন বদ্ধ অবস্থায় থাকতে পারে। এ সময় বাইরে থেকে ঘরে প্রবেশের পর সবার আগে দরজা জানালা খুলে দিতে হবে। ঘরের ভেতরে গ্যাসের কোনো গন্ধ পাওয়া গেলে সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় গ্যাস ডিস্ট্রিবিউটরকে জানাতে হবে। গ্যাস টেকনিশিয়ান আসার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত ম্যাচের কাঠি জ্বালানো, ইলেকট্রিক সুইচ অন করা, কিংবা সিলিন্ডারের রেগুলেটরে হাত দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
আরও পড়ুন: কেক ও বিস্কুট খাওয়ার ক্ষতিকর দিক: বিকল্প কিছু স্বাস্থ্যসম্মত পুষ্টিকর খাবার
শেষাংশ
গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারে এই সাবধানতাগুলো অনাকাঙ্ক্ষিত বিস্ফোরণ থেকে বাড়িকে সুরক্ষিত রাখার উপযুক্ত উপায়। মূলত কোত্থেকে বা কাদের কাছ থেকে কেনা হচ্ছে সেদিকে গুরুত্ব দেওয়া হলে নিরাপত্তা নিশ্চিতের অর্ধেক কাজই হয়ে যায়। কেননা অনুমোদিত ও স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান সর্বাঙ্গীন ভাবে তাদের পণ্যের মান নিশ্চিতকরণের দিকে খেয়ালা রাখে। ফলে সিলিন্ডারের মেয়াদ, গ্যাস লিক, নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ, এবং গ্যাস রিফিল নিয়ে দুশ্চিন্তার অবকাশ থাকে না।
এর বাইরে ক্রেতাকে নিশ্চিত করতে হবে সিলিন্ডার স্থাপনের স্থানে বাতাস চলাচলের পরিবেশ এবং তার আশেপাশে দাহ্য বস্তু না রাখার বিষয়টি। সর্বপরি, এলপিজি (লিকুইড পেট্রোলিয়াম গ্যাস) সিলিন্ডার জনিত যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য চুলার কাজ ছাড়াও প্রতিনিয়ত গ্যাস লিকের ব্যাপারে সতর্ক থাকা আবশ্যক।
আরও পড়ুন: ধানমন্ডিতে বুফে খেতে যেসব রেস্তোরাঁয় যেতে পারেন
কেজিতে ৩.৩৪ টাকা কমল এলপিজির দাম
তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম কেজিতে ৩ টাকা ৩৪ পয়সা কমিয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। প্রতি কেজি এলপিজির নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১২০ টাকা ১৮ পয়সা, যা আগে ছিল ১২৩ টাকা ৫২ পয়সা।
বুধবার(৩ এপ্রিল) এলপিজির এই নতুন দাম নির্ধারণ করেছে বিইআরসি।
গৃহস্থালি ও বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে দাম কমানোর এই সিদ্ধান্ত বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে কার্যকর হবে।
আরও পড়ুন: ভোক্তা পর্যায়ে এলপিজির বর্ধিত দাম কার্যকর আজ থেকেই
সংবাদ সম্মেলনে বিইআরসি জানায়, ১২ কেজির এলপিজি সিলিন্ডারের দাম আগে ১ হাজার ৪৮২ টাকা ছিল, তা এখন থেকে ৪০ টাকা কমে ১ হাজার ৪৪২ টাকা হবে।
এই সমন্বয়টি সাড়ে ৫ কেজি থেকে ৪৫ কেজি পর্যন্ত বিভিন্ন এলপিজি সিলিন্ডার আকারের মধ্যে কার্যক্রর হবে এবং বিভিন্ন ভোক্তা বিভাগে আনুপাতিক মূল্য সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে।
এছাড়া মোটরযানে ব্যবহৃত এলপিজি ভ্যারিয়েন্টের অটোগ্যাসের দাম লিটার ৬৭ টাকা ৬৮ পয়সা থেকে কমিয়ে ৬৬ টাকা ২১ পয়সা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, রাষ্ট্রায়ত্ত এলপি গ্যাস কোম্পানির বাজারজাত করা এলপিজির দাম অপরিবর্তিত থাকবে।
এই ব্যতিক্রমটি তার স্থানীয় উৎপাদন ও কোম্পানির ন্যূনতম শেয়ার বাজারেরর জন্য দায়বদ্ধ থাকবে, যা পাঁচ শতাংশেরও কম।
আন্তর্জাতিক বাজারে এলপিজির দাম ক্রমহ্রাস হওয়ার প্রেক্ষিতে দেশে দাম সামঞ্জস্য করার সিদ্ধান্তটি এসেছে। বিশেষত যা সৌদি সিপি (চুক্তি মূল্য) বৃদ্ধির সঙ্গে যুক্ত। এটি প্রাথমিকভাবে মধ্য প্রাচ্য থেকে এলপিজি আমদানিকারী স্থানীয় অপারেটরদের জন্য একটি মানদণ্ড হিসাবে কাজ করে।
আরও পড়ুন: আবার বাড়ল এলপিজির দাম
ফের বাড়ল এলপিজির দাম
ভোক্তা পর্যায়ে এলপিজির বর্ধিত দাম কার্যকর আজ থেকেই
তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম কেজিতে ৬৬ পয়সা বাড়িয়ে ১২২.৮৬ টাকা থেকে ১২৩.৫২ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।
রবিবার (৩ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টা থেকে এই নতুন মূল্য কার্যকর হবে। এতে গৃহস্থালি ও বাণিজ্যিক খরচও বাড়তে চলেছে গ্রাহকদের।
বিইআরসি এক সংবাদ সম্মেলনে জানায়, ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম বেড়ে এখন ভ্যাটসহ ১৪৮২ টাকা দাঁড়িয়েছে যা আগে ছিল ১৪৭৪ টাকা। এছাড়াও সাড়ে ৫ কেজি থেকে ৪৫ কেজি পর্যন্ত আকার অনুযায়ী ভোক্তা পর্যায়ে এলপিজি সিলিন্ডারের দামের পরিবর্তন হবে।
আরও পড়ুন: নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এলপিজি ব্যবহারের জন্য সময়োপযোগী নীতি প্রয়োজন: নসরুল
এছাড়াও মোটর গাড়িতে ব্যবহৃত এলপিজি ভ্যারিয়েন্টের ‘অটো গ্যাস’-এর দামও বেড়েছে। ভ্যাটসহ প্রতি কেজি অটো গ্যাসের দাম দাঁড়িয়েছে ৬৮.০৫ টাকা, যা আগে ছিল ৬৭.৬৮ টাকা। পরিবহন এবং এর সঙ্গে সম্পর্কিত খরচের ওপর এই মূল্য বৃদ্ধির প্রভাব পড়বে।
তবে রাষ্ট্রায়ত্ত এলপি গ্যাস কোম্পানির বাজারজাত এলপিজির দাম অপরিবর্তিত থাকবে।
আন্তর্জাতিক বাজারে এলপিজির দাম বাড়তে থাকায় তার সঙ্গে সামঞ্জস্য করে বিশেষ করে সৌদি চুক্তির মাধ্যমে যারা মধ্যপ্রাচ্য থেকে এলপিজি আমদানি করে তাদের এলপিজির মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: এলপিজি সিলিন্ডার হোম ডেলিভারি দিচ্ছে ‘গ্যাস মাঙ্কি’ অ্যাপস
আবার বাড়ল এলপিজির দাম
আবারও বাড়ানো হলো তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) ঘোষণায় বলা হয়, জানুয়ারি মাসে প্রতি কেজি এলপিজির দাম ছিল ১১৯ টাকা ৪০ পয়সা। যা এই ফেব্রুয়ারি মাসে বেড়ে দাঁড়ায় প্রতি কেজি ১২২ টাকা ৮৬ পয়সা।
বিইআরসি জানিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে প্রতি কেজি এলপিজির জন্য খুচরা গ্রাহকদের অতিরিক্ত ৩ টাকা ৪৬ পয়সা পরিশোধ করতে হবে।
আরও পড়ুন: আগস্টে ১২ কেজি এলপিজির দাম বাড়ল ১৪১ টাকা
জ্বালানি নিয়ন্ত্রক সংস্থা এনার্জির নতুন দাম ঘোষণা করে বলেছে, বর্তমানে ১২ কেজি এলপিজির দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৪৭৪ টাকা (ভ্যাটসহ)। গত মাসে যা ছিল ১ হাজার ৪৩৩ টাকা।
ঢাকায় বিইআরসি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটির এক কর্মকর্তা বলেন, এলপিজি সাড়ে ৫ কেজি থেকে ৪৫ কেজি পর্যন্ত সিলিন্ডারের দাম একইভাবে বাড়বে।
বিইআরসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রতি লিটার অটো গ্যাসের দাম (ভ্যাটসহ) ৬৫ টাকা ৭৬ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৬৭ টাকা ৬৮ পয়সা করা হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এলপি গ্যাস কোম্পানির বাজারজাত করা এলপিজির দাম একই থাকবে, কারণ ৫ শতাংশের কম বাজার শেয়ার নিয়ে এটি স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত।
আরও পড়ুন: ফের বাড়ল এলপিজির দাম
বিইআরসির কর্মকর্তারা জানান, সৌদি সিপির (কন্ট্রাক্ট প্রাইস) দাম বাড়ায় স্থানীয় বাজারে এলপিজির দাম বেড়েছে।
বাংলাদেশি এলপিজি অপারেটররা সাধারণত সৌদি সিপির ভিত্তিতে মধ্যপ্রাচ্যের বাজার থেকে তাদের পণ্য আমদানি করে থাকে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে স্থানীয় বাজারে এলপিজির সর্বোচ্চ দাম ছিল ১ হাজার ৪৯৮ টাকা (প্রতি ১২ কেজি সিলিন্ডার)।
আরও পড়ুন: ফের বাড়ল এলপিজির দাম
ফের বাড়ল এলপিজির দাম
প্রতি কেজি তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম ১ টাকা ৯১ পয়সা বাড়ানো হয়েছে।
রবিবার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা থেকে এই দাম কার্যকর হবে।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) জানিয়েছে, এখন ১২ কেজি সিলিন্ডারের খুচরা মূল্য ১৪০৪ টাকা (ভ্যাটসহ), আগে এই সিলিন্ডারের দাম ছিল ১৩৮১ টাকা।
বিইআরসি জানিয়েছে, ডিসেম্বর মাসে প্রতি কেজি এলপিজির দাম বেড়েছে ১১৭ টাকা ০২ পয়সা, নভেম্বরে এর দাম ছিল ১১৫ টাকা ০৯ পয়সা।
রবিবার ঢাকায় বিইআরসি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিইআরসি চেয়ারম্যান মো. নুরুল আমিন বলেন, সাড়ে ৫ কেজি থেকে ৪৫ কেজি পর্যন্ত বিভিন্ন আকারের এলপিজি সিলিন্ডারের দামও একই হারে বাড়বে।
আরও পড়ুন: এলপিজির দাম আবারও বাড়ল, চাপে গ্রাহকরা
বিইআরসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, অটো গ্যাসের (মোটর গাড়ির জন্য ব্যবহৃত এলপিজি) দাম লিটার প্রতি ৬৩ টাকা ৩৬ পয়সা থেকে বেড়ে ৬৪ টাকা ৪৩ পয়সা (ভ্যাটসহ) করা হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এলপি গ্যাস কোম্পানির বাজারজাত করা এলপিজির দাম অপরিবর্তিত থাকবে। কারণ এটি স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হয় এবং এর বাজার শেয়ার ৫ শতাংশের কম।
বিইআরসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সৌদি সিপির (চুক্তি মূল্য) দাম বৃদ্ধির কারণে স্থানীয় বাজারে এলপিজির দাম বাড়বে।
বাংলাদেশি এলপিজি অপারেটররা সাধারণত সৌদি সিপির ভিত্তিতে মধ্যপ্রাচ্যের বাজার থেকে তাদের পণ্য আমদানি করে।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে স্থানীয় বাজারে এলপিজির সর্বোচ্চ দাম ছিল ১ হাজার ৪৯৮ টাকা (প্রতি ১২ কেজি সিলিন্ডার)।
আরও পড়ুন: নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এলপিজি ব্যবহারের জন্য সময়োপযোগী নীতি প্রয়োজন: নসরুল
সেপ্টেম্বরে ১২ কেজি এলপিজির দাম বাড়ল ১৪৪ টাকা
এলপিজির দাম আবারও বাড়ল, চাপে গ্রাহকরা
জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয়ের সঙ্গে লড়াই করা গ্রাহকদের বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) কিনতে প্রতি কেজিতে অতিরিক্ত ১ টাকা ৪৮ পয়সা গুনতে হবে।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) নতুন দাম ঘোষণা করে জানিয়েছে, খুচরা ভোক্তারা এখন থেকে ভ্যাটসহ ১ হাজার ৩৮১ টাকায় ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডার পাবেন। এর আগে এটির দাম ছিল ১ হাজার ৩৬৩ টাকা।
বিইআরসি আরও জানায়, তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম অক্টোবরে প্রতি কেজি ১১৩ টাকা ৬১ পয়সা থেকে বেড়ে নভেম্বর মাসে হয়েছে ১১৫ টাকা ০৯ পয়সা।
আরও পড়ুন: আগস্টে ১২ কেজি এলপিজির দাম বাড়ল ১৪১ টাকা
অর্থাৎ ১২ কেজি এলপিজির গ্রাহকদের রান্নার কাজে অতিরিক্ত ১৮ টাকা খরচ করতে হবে।
সোমবার বিইআরসি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিইআরসির চেয়ারম্যান নুরুল আমিন বলেন, অন্যান্য সাইজের এলপিজি সিলিন্ডারের দাম সাড়ে ৫ কেজি থেকে ৪৫ কেজি পর্যন্ত একই হারে দাম বাড়ানো হবে।
বিইআরসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, 'অটো গ্যাস' (মোটরযানের জন্য ব্যবহৃত এলপিজি) এর দামও লিটার প্রতি ৬২ দশমিক ৫৪ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬৩ দশমিক ৩৬ টাকা (ভ্যাট সহ) করা হয়েছে। লিটার প্রতি দাম বেড়েছে দশমিক ৮২ টাকা।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এলপি গ্যাস কোম্পানির বাজারজাত করা এলপিজির দাম একই থাকবে কারণ এটি স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হয়। এটি ৫ শতাংশেরও কম বাজার শেয়ার নিয়ে উৎপাদন করা হয়।
আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরে ১২ কেজি এলপিজির দাম বাড়ল ১৪৪ টাকা
বিইআরসির কর্মকর্তারা বলছেন, সৌদি সিপির (চুক্তিমূল্য) দাম বাড়ার কারণে স্থানীয় বাজারে এলপিজির দাম বাড়বে।
বাংলাদেশি এলপিজি অপারেটররা সাধারণত সৌদি সিপির ভিত্তিতে মধ্যপ্রাচ্যের বাজার থেকে তাদের পণ্য আমদানি করে থাকে।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে স্থানীয় বাজারে এলপিজির সর্বোচ্চ দাম ছিল ১ হাজার ৪৯৮ টাকা (প্রতি ১২ কেজি সিলিন্ডার)।
আরও পড়ুন: ফের বাড়ল এলপিজির দাম
ফের বাড়ল এলপিজির দাম
অক্টোবর মাসে তরলিকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম কেজিতে ৬ টাকা ৬ পয়সা বেড়ে ১১৩ টাকা ৬১ পয়সা হয়েছে। সেপ্টেম্বর মাসে প্রতি কেজি এলপিজির দাম ছিল ১০৭ টাকা ০১ পয়সা।
সোমবার (২ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টা থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) নতুন দাম ঘোষণা করে বলেছে, খুচরা ক্রেতাদের এখন ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের আগের দাম ১২৮৪ টাকার পরিবর্তে ভ্যাটসহ ১৩৬৩ টাকায় কিনতে হবে।
অর্থাৎ, ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ৭৯ টাকা বেড়েছে।
ঢাকায় বিইআরসি অফিসে সোমবার এক সংবাদ সম্মেলণে বিইআরসি চেয়ারম্যান মো. নুরুল আমিন বলেন, সাড়ে ৫ কেজি থেকে ৪৫ কেজি পর্যন্ত অন্যান্য আকারের এলপিজি সিলিন্ডারের দাম যুক্তিসঙ্গতভাবে বাড়বে।
আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরে ১২ কেজি এলপিজির দাম বাড়ল ১৪৪ টাকা
বিইআরসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ‘অটো গ্যাস’ (মোটর গাড়ির জন্য ব্যবহৃত এলপিজি) এর দামও প্রতি লিটার (ভ্যাটসহ) ৫৮ টাকা ৮৭ পয়সা থেকে বেড়ে ৬২ টাকা ৫৪ পয়সা হয়েছে। অর্থাৎ, প্রতি লিটারে ৩ দশমিক ৬৭ টাকা বাড়ানো হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এলপি গ্যাস কোম্পানির বাজারজাত এলপিজির দাম একই থাকবে, কারণ এটি স্থানীয়ভাবে ৫ শতাংশের কম বাজার শেয়ার নিয়ে উৎপাদিত হয়।
বিইআরসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সৌদি সিপির (চুক্তি মূল্য) দাম বৃদ্ধির কারণে স্থানীয় বাজারে এলপিজির দাম বাড়বে।
বাংলাদেশি এলপিজি অপারেটররা সাধারণত সৌদি সিপির ভিত্তিতে মধ্যপ্রাচ্যের বাজার থেকে তাদের পণ্য আমদানি করে।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে স্থানীয় বাজারে এলপিজির সর্বোচ্চ দাম ছিল ১ হাজার ৪৯৮ টাকা (প্রতি ১২ কেজি সিলিন্ডার)।
আরও পড়ুন: আগস্টে ১২ কেজি এলপিজির দাম বাড়ল ১৪১ টাকা
প্রতিকেজি এলপিজির দাম ১৩ টাকা ৪২ পয়সা কমেছে
নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এলপিজি ব্যবহারের জন্য সময়োপযোগী নীতি প্রয়োজন: নসরুল
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ গ্যাসের ব্যবহার বহুগুণ বেড়ে যাওয়ায় নতুন, হালনাগাদ, আধুনিক ও সময় উপযোগী এলপিজির (তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস) প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘এলজিপির ব্যবহার ২০০৯ সালে ৬০ হাজার মেট্রিক টন থেকে বেড়ে ১ দশমিক ৪৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন হয়েছে।’ এই গ্যাস এখন বাড়ি, মোটর যান ও শিল্পকারখানাসহ বিভিন্ন খাতে ব্যবহৃত হচ্ছে।
রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) নগরীর টিসিবি ভবনে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) আয়োজিত ‘হোটেল ও রেস্তোরাঁয় এলপিজির নিরাপদ ব্যবহার’- শীর্ষক কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।
বিইআরসি চেয়ারম্যান নুরুল আমিনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় এলপিজি অপারেটরদের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন অংশীজনেরা উপস্থিত ছিলেন।
তিনি এলপিজির জন্য একটি নতুন নীতি তৈরি করার সময় অংশীজনদের মতামত বিবেচনায় নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জ্বালানি নিয়ন্ত্রকের উদ্দেশে।
নসরুল হামিদ বিইআরসিকে বলেন, ‘এটা নিশ্চিত করুন যে সমস্ত এলপিজি ব্যবহারকারীরা পণ্যটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সরকারের নিয়ম, প্রবিধান ও নীতি মেনে চলছে।’
তিনি বলেন, এলপিজি সম্পর্কিত বেশিরভাগ দুর্ঘটনা গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজের কারণে ঘটছে।
এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন, প্রতিটি সরকারি সংস্থা যেমন রাজউক, এলপিজি অপারেটর এবং জ্বালানি নিয়ন্ত্রকদের নিরাপত্তা নির্দেশনা মানা হচ্ছে কি না তা পর্যবেক্ষণ করার দায়িত্ব রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ নবায়নযোগ্য জৈব জ্বালানি বাড়াতে উৎসাহিত করে: নসরুল হামিদ
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এলপিজি লাইন সঠিকভাবে ডিজাইন করা হয়েছে কিনা তা যাচাই করার পর রাজউককে নির্মাণ পরিকল্পনার অনুমোদন দিতে হবে।’
তিনি বলেন, অপারেটর, ডিলার, সাব-ডিলার ও বিক্রেতাদের ভুল ব্যবস্থাপনার কারণে এলপিজি সিলিন্ডার লিক হয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, ‘আসলে এলপিজি সিলিন্ডার একটি অপারেটরের কাছ থেকে পাঁচ থেকে ছয় হাত ঘুরে গ্রাহকদের কাছে পৌঁছায় এবং তারা সেগুলো হস্তান্তর করার ক্ষেত্রে যত্নবান নয়।’
কর্মশালায় আরও বক্তব্য রাখেন জ্বালানি সচিব নুরুল আলম, বাংলাদেশ হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইমরান চৌধুরী, ওমেরা পেট্রোলিয়ামের দাউদুর রহমান খান, জেএমআই এলপিজি লিমিটেডের লিয়াকত আলী এবং বুয়েটের অধ্যাপক মাসুদ হেলালী কর্মশালায় উপস্থাপনা করেন।
ইমরান চৌধুরী অভিযোগ করেন, বিইআরসি তাদের কর্মশালায় আমন্ত্রণ জানিয়েছিল; কিন্তু তারা কর্মশালার ইস্যুতে মূল অংশীজন হলেও তাদের মতামত দেওয়ার কোনো সুযোগ দেওয়া হয়নি।
ওমেরা পেট্রোলিয়ামের দাউদুর রহমান খান বলেন, হোটেল ও রেস্টুরেন্ট অপারেটররা অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ব্যবহার করছে না।
তিনি বলেন, সিলিন্ডার নিরাপদ স্থানে সংরক্ষণ করা হয়।
তিনি আরও বলেন, কিছু অপারেটর রান্নার উদ্দেশ্যে সিএনজি ব্যবহার করছে যা বিপজ্জনক এবং ফুড কোর্টের এলপিজির জন্য সিঙ্গেল লাইন ব্যবহার করা উচিত।
আরও পড়ুন: পাইপলাইনে নবায়নযোগ্য উৎস থেকে ৯৯৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন: নসরুল
বিএনপি-জামায়াত আমলের মতো দিনে ৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন হলে এখন কি হতো: নসরুল
সেপ্টেম্বরে ১২ কেজি এলপিজির দাম বাড়ল ১৪৪ টাকা
সেপ্টেম্বর মাসে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম প্রতি কেজিতে ১২ টাকা বাড়ানো হয়েছে। আগস্ট মাসে প্রতি কেজি এলপিজির দাম ছিল ৯৪ টাকা ৯৬ পয়সা, যা এখন বেড়ে ১০৭ টাকা ০১ পয়সা হয়েছে।
রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর)বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) নতুন দাম ঘোষণা করেছে।
খুচরা ক্রেতাদের এখন ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডার আগের ১ হাজার ১৪০ টাকার পরিবর্তে ভ্যাটসহ ১ হাজার ২৮৫ টাকায় কিনতে হবে।
অর্থাৎ ১২ কেজি এলপিজির গ্রাহকদের অতিরিক্ত ১৪৪ টাকা খরচ করতে হবে।
আগস্টে ১২ কেজি এলপিজি গ্যাসের দাম বেড়েছিল ১৪১ টাকা।
বিইআরসি চেয়ারম্যান মো. নুরুল আমিন রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় বিইআরসি কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, সাড়ে ৫ কেজি থেকে ৪৫ কেজি পর্যন্ত অন্যান্য আকারের এলপিজি সিলিন্ডারের দাম একই হারে বাড়বে।
আরও পড়ুন: আগস্টে ১২ কেজি এলপিজির দাম বাড়ল ১৪১ টাকা
আজ (৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩) সন্ধ্যা ৬টা থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।
বিইআরসি সিদ্ধান্ত অনুসারে, ‘অটো গ্যাস’ (মোটর গাড়ির জন্য ব্যবহৃত এলপিজি) এর দামও প্রতি লিটারে ৫২ টাকা ১৭ পয়সা থেকে বেড়ে ৫৮ টাকা ৮৭ পয়সা (ভ্যাট সহ) হয়েছে। অর্থাৎ, প্রতি লিটারে ৬ টাকা ৭ পয়সা বেড়েছে।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এলপি গ্যাস কোম্পানির বাজারজাত এলপিজির দাম একই থাকবে, কারণ এটি স্থানীয়ভাবে ৫ শতাংশের কম বাজার শেয়ার নিয়ে উৎপাদিত হয়।
বিইআরসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সৌদি সিপির (চুক্তি মূল্য) দাম বৃদ্ধির কারণে স্থানীয় বাজারে এলপিজির দাম বাড়বে।
বাংলাদেশি এলপিজি অপারেটররা সাধারণত সৌদি সিপির ভিত্তিতে মধ্যপ্রাচ্যের বাজার থেকে তাদের পণ্য আমদানি করে।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে স্থানীয় বাজারে এলপিজির সর্বোচ্চ দাম ছিল ১ হাজার ৪৯৮ টাকা (প্রতি ১২ কেজি সিলিন্ডার)।
আরও পড়ুন: এলপিজির দাম আবার কমল, ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৯৯৯ টাকা
প্রতিকেজি এলপিজির দাম ১৩ টাকা ৪২ পয়সা কমেছে
প্রতিকেজি এলপিজির দাম ১৩ টাকা ৪২ পয়সা কমেছে
তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম প্রতিকেজি ১৩ টাকা ৪২ পয়সা কমানো হয়েছে। এর ফলে প্রতিকেজির দাম পূর্বের ১০২ টাকা ৯ পয়সার বদলে ৮৯ টাকা ৪৮ পয়সা হয়েছে।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) নতুন দাম ঘোষণা করে বলেছে, ১২ কেজির এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ১৬১ টাকা কমেছে।
একজন খুচরা ভোক্তা এখন ১২ কেজির সিলিন্ডার ১ হাজার ২৩৫ টাকার পরিবর্তে (ভ্যাট সহ) ১ হাজার ৭৪ টাকায় কিনতে পারবেন।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিইআরসি অফিসে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিইআরসির নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান মো. নুরুল আমিন বলেছেন, সাড়ে ৫ কেজি থেকে ৪৫ কেজি পর্যন্ত অন্যান্য আকারের এলপিজি সিলিন্ডারের দাম যৌক্তিকভাবে কমবে।
আজ বৃহস্পতিবার (১ জুন, ২০২৩) সন্ধ্যা ৬টা থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।
আরও পড়ুন: ১২ কেজি এলপিজির দাম ৫৭ টাকা বেড়ে ১২৩৫ টাকা
বিইআরসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সৌদি সিপির (চুক্তি মূল্য) দাম কমে যাওয়ায় স্থানীয় বাজারে এলপিজির দাম বেড়েছে।
বাংলাদেশি এলপিজি অপারেটররা সাধারণত সৌদি সিপির ভিত্তিতে মধ্যপ্রাচ্যের বাজার থেকে তাদের পণ্য আমদানি করে।
বিইআরসি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ‘অটো গ্যাস’ (মোটর গাড়ির জন্য ব্যবহৃত এলপিজি) এর দামও প্রতিলিটার ৫৭ টাকা ৫২ পয়সা থেকে ৫০ টাকা ৯ পয়সায় (ভ্যাট সহ) নেমে এসেছে। অর্থাৎ প্রতিলিটারে দাম কমেছে ৭ টাকা ৪৩ পয়সা।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এলপি গ্যাস কোম্পানির বাজারজাত এলপিজির দাম একই থাকবে, কারণ এটি স্থানীয়ভাবে ৫শতাংশের কম বাজার শেয়ার নিয়ে উৎপাদিত হয়।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে স্থানীয় বাজারে এলপিজির সর্বোচ্চ দাম ছিল ১ হাজার ৪৯৮ টাকা (প্রতি ১২ কেজি সিলিন্ডার)।
আরও পড়ুন: ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম কমল ২৪৪ টাকা
এলপিজির দাম প্রতি কেজিতে ৬.৩৩ টাকা কমেছে