রেজা কিবরিয়া
বিভক্ত হলো গণফোরাম, নতুন অংশের সভাপতি মন্টু
গণফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ড. কামাল হোসেনকে বাদ দিয়ে শুক্রবার ১৫৭ সদস্যের আরেক অংশের নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর ফলে আনুষ্ঠানিকভাবে এখন গণফোরাম বিভক্ত হয়ে গেল।
ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলে দলটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু ও সাবেক নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরীকে যথাক্রমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক করা হয়।
কাউন্সিল সভা শেষে দলের ১৫৭ সদস্যের নতুন কমিটির নাম ঘোষণা করেন দলের সাবেক নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক আবু সাইয়িদ।
তিনি বলেন, কাউন্সিলরদের মতামতের ভিত্তিতে নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কামাল হোসেন বা তার অনুগত কাউকেই এই কমিটিতে রাখা হয়নি।
১৫৭ সদস্যের কমিটির মধ্যে সাত সদস্যের নির্বাহী কমিটি এবং ২০ সদস্যের প্রেসিডিয়াম সদস্য রয়েছে।
কার্যনির্বাহী কমিটির সাত সদস্য হলেন- মোস্তফা মহসিন মন্টু, অধ্যাপক আবু সাঈদ, সুব্রত চৌধুরী, জগলুল হায়দার আফ্রিক, মহসিন রশিদ, মহিউদ্দিন আবদুল কাদের ও আইয়ুব খান ফারুক।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর ড. কামাল হোসেন আওয়ামী লীগ থেকে বের হয়ে গিয়ে ১৯৯৩ সালে গণফোরাম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
ড. কামাল শুরু থেকেই দলের সভাপতি পদে রয়েছেন।
২০১৯ সালের ২৬ এপ্রিল অনুষ্ঠিত পঞ্চম কাউন্সিলের পর থেকে দলের নেতাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। সেই কাউন্সিলে গঠিত কমিটিতে তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টুসহ দলের অনেক নেতা বাদ পড়েছিলেন। একই বছরের ৫ মে দলের সভাপতি ড. কামাল হোসেন মোস্তফা মহসিন মন্টুকে বাদ দিয়ে ড. রেজা কিবরিয়াকে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক করেন, যা দলের নেতাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব আরও বেড়ে যায়।
আরও পড়ুন: গণফোরাম ছাড়লেন রেজা কিবরিয়া
মন্টুসহ ৪ জনকে ‘শোকজ’ দিল ড. কামালের গণফোরাম
অসুস্থ খালেদা জিয়াকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়া উচিত: রেজা কিবরিয়া
বাংলাদেশ গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া বলেছেন, দেশের ভাবমূর্তির জন্য বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসা নেয়ার অনুমতি প্রদান করা উচিত সরকারের। তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়টি মেডিকেলের, এটা রাজনৈতিক না। এ বিষয়ে তার (খালেদা) চিকিৎসকদের সাথে পরামর্শে করে সরকারের ব্যবস্থা নেয়া উচিত। অন্তত দেশের ভাবমূর্তির জন্য একজন বয়স্ক মহিলা হিসেবে তাকে বিদেশে চিকিৎসা নেয়ার সুযোগ দেয়া উচিত।’
শনিবার রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন রেজা কিবরিয়া। বাড়ি ফেরার ছয় দিন পর ১৩ নভেম্বর পুনরায় এ হাসপাতালে ভর্তি হন ৭৬ বছর বয়সী খালেদা জিয়া।
ড. রেজা কিবরিয়া গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুরসহ কয়েকজন নেতা-কর্মী বেলা সাড়ে ১১টায় হাসপাতালে যান। খালেদা জিয়া সিসিইউতে থাকায় তারা তার সাথে দেখা করতে পারেননি। তবে তারা বিএনপি প্রধানের চিকিৎসকের সাথে কথা বলেছেন এবং তার বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেন।
রেজা কিবরিয়া বলেন, চিকিৎসকরা তাদের বলেছেন খালেদা জিয়ার অবস্থা সঙ্কটাপন্ন এবং বিদেশে উন্নত কোনো হাসপাতালে তার ভালো চিকিৎসার প্রয়োজন। ‘আমি যা বুঝতে পেরেছি কিছু অসুখের চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়ার যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া প্রয়োজন।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বিষয়ে দ্রুত ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার জন্য যে কোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত আছি: ফখরুল
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে সোমবার বিএনপির সমাবেশ
খালেদা জিয়াকে আইন অনুযায়ী সুবিধা দেয়া হচ্ছে: আইনমন্ত্রী
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল চান ড. কামাল হোসেন
গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন শনিবার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানিয়েছেন।
গণফোরাম ছাড়লেন রেজা কিবরিয়া
পার্টিতে যোগদানের প্রায় ২৬ মাস পর ড. রেজা কিবরিয়া গণফোরাম এবং এর সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।