আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়ার ছেলে রেজা কিবরিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি বিএনপিতে যোগদান করেন। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ফুল দিয়ে তাকে বরণ করে নেন।
এ সময় নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করে রেজা কিবরিয়া বলেন, বিএনপিতে যোগ দিতে পেরে আমি গর্বিত। আমি বিএনপিতে যোগ দিতে খুবই আগ্রহী ছিলাম। কারণ এই দল দেশের গণতন্ত্র দুইবার রক্ষা করেছে। শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান আমার আদর্শ। এত বছর পরেও তিনি রাজনীতিতে এখনো জনপ্রিয়।
তিনি বলেন, বিএনপিতে যারা নেতৃত্বে আছেন, তারা তরুণদের স্বপ্ন পূরণ করতে সক্ষম হবেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান পরিবারের ধারা বজায় রেখে চলেছেন। সবাই সাহায্য করব নতুন বাংলাদেশ গড়তে। উনি বিদেশে আছেন, এটি দুঃখজনক। কিন্তু তিনি বিদেশে থেকে যা শিখেছেন, তা নিয়ে দেশে ফিরবেন যার মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন হবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের মানুষের কাজের মান খুবই উন্নত। তাদের দক্ষতা বাড়াতে কাজ করলে দেশে এগিয়ে যাবে। নিজের এলাকার পাশাপাশি দেশের জন্য কাজ করতে চাই।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা অত্যন্ত গর্বিত যে রেজা কিবরিয়া বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। আমি আমাদের দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে তাকে অভিনন্দন জানাই।
তিনি আরও বলেন, তাকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। বিএনপির ৩১ দফার আলোকে রেজা কিবরিয়া বাংলাদেশ গঠন ভূমিকা রাখতে পারবেন।
রেজা কিবরিয়া হবিগঞ্জ-১ আসন থেকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করতে চান। বিএনপির আগামী সংসদ নির্বাচনে জন্য ২২৭ আসনের প্রার্থী ঘোষণা করেছে। সেখানে হবিগঞ্জ-১ আসনটি ফাঁকা রেখেছে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রেজা কিবরিয়া বিএনপির জোটসঙ্গী জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে একই আসনে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকেই নির্বাচন করেছিলেন।
২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আগে রেজা কিবরিয়া গণফোরামে যোগদান করে পরে দলটির সাধারণ সম্পাদক হন। পরে তাকে কেন্দ্র করে দলটি দুই ভাগে বিভক্ত হয়। এরপর তিনি ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুরের সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদ গঠন করেন। সেখানে আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু সেখানে তাকে কেন্দ্র করে দলটিও দুই ভাগে বিভক্ত হয়।