শিক্ষার্থীর মৃত্যু
মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি: ঝরে গেল আরও এক শিক্ষার্থীর প্রাণ
উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। এতে এ দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪ জনে।
রবিবার (২৭ জুলাই) দিবাগত রাত ১টা ৪৫ মিনিটের দিকে রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাহিল ফারাভি আয়ান (১৪) নামে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়।
বিমান দুর্ঘটনায় তার শরীরের ৪০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান জানান, রবিবার রাত ১টা ৪৫ মিনিটের দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আয়ান মারা যায়।
আরও পড়ুন: মাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্ত: আরও দুজনের মৃত্যু, নিহত বেড়ে ৩৫
এর আগে রবিবার (২৭ জুলাই) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা সংশোধন করে ৩৩ জন বলে জানায়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রবিবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ছিল ৩৩ জন এবং ৪৬ জন এখনও রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন, যাদের মধ্যে ৩৩ জন জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি।
সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে বিমান বাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসের একটি ভবনের মুখে বিধ্বস্ত হয়। দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এই সামরিক বিমান দুর্ঘটনায় এ পর্যন্ত যে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের বেশিরভাগই শিশু।
১৩০ দিন আগে
শিক্ষার্থীর মৃত্যু, দেরিতে অ্যাম্বুল্যান্স পাঠানোর অভিযোগে জাবির চিকিৎসাকেন্দ্র ঘেরাও
সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলা ও দেরিতে অ্যাম্বুল্যান্স পাঠানোর অভিযোগ তুলে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্র ঘেরাও করেছেন ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (২২ জুন) রাত সোয়া ৯টায় চিকিৎসাকেন্দ্রের প্রধান ফটক আটকে শিক্ষার্থীরা এই ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেন।
নিহত জোবায়ের হোসাইন জাবির নৃবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। রবিবার সকালে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
এর আগে, শনিবার (২১ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্র থেকে তার জন্য দেরিতে অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো হয়েছে এবং বারবার যোগাযোগ করার পরও কার্যকর সাড়া পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
তারা জানান, জোবায়ের দীর্ঘদিন ধরে হিমোফিলিয়া রোগে আক্রান্ত ছিলেন। হঠাৎ করে অসুস্থ হওয়ায় শনিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যান তিনি। কিছুটা সুস্থ হলে ক্যাম্পাসে ফেরার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে যোগাযোগ করেন জোবায়ের।
সেখান থেকে জানানো হয়, অ্যাম্বুলেন্স নষ্ট, ঢাকায় পাঠানো যাবে না। এর চার ঘণ্টা পর বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্সেই তিনি ক্যাম্পাসে ফেরেন।
এদিকে, রবিবার আবারও তার পেটে ব্যথা শুরু হলে তাকে সাভারের এনাম মেডিকেলে নেওয়া হয়। সেখানে একপর্যায়ে মৃত্যু হয় তার।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ইতিহাস বিভাগের শাকিল আহমেদ বলেন, ‘জোবায়েরের সঙ্গে আমার অনেক ভালো সম্পর্ক ছিল। অসুস্থতা নিয়ে তার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ হতো। শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঢামেক হাসপাতাল থেকে কল দিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে জোবায়ের। সে সময় বুকে প্রচণ্ড ব্যথা করছে বলে জানায় সে এবং ক্যাম্পাসে ফিরতে চায়। কিন্তু অ্যাম্বুলেন্সের জন্য অনেকবার কল দিয়েও লাভ হচ্ছে না বলে জানায় সে।’
ওই শিক্ষার্থী আরও বলেন, ‘দায়িত্বরত চিকিৎসা কর্মকর্তা জোবায়েরকে নাকি বলেছিলেন, অ্যাম্বুলেন্স নষ্ট, ঢাকায় পাঠানো যাবে না। অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভারকে কল দিলে তিনিও নানা অজুহাত দেখান। এভাবে তাকে চার ঘণ্টা অপেক্ষা করিয়েছে বলে জানায় সে।’
সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী জিয়া উদ্দিন আয়ান বলেন, ‘আমরা দেখেছি, দেশের এত বড় একটি বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার পরও জাবিতে পর্যাপ্ত চিকিৎসাসামগ্রী নেই। ক্যাম্পাসে অনেক শিক্ষার্থী সময় মতো চিকিৎসা না পেয়ে অকালে মারা গেছে। মেডিকেলে পর্যাপ্ত জনবল নেই। বছরের পর বছর মেডিকেল সেন্টার সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন চললেও তাতে কোনো ফল আসে না।’
এ কারণে অতি দ্রুত মেডিকেল সেন্টারের কার্যকর সংস্কার নিশ্চিত করার দাবি জানান তারা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চিকিৎসাকেন্দ্রের প্রধান কর্মকর্তা ডা. মো. শামসুর রহমান বলেন, ‘জোবায়েরের অসুস্থতার কথা মেডিকেলের সবাই জানে। যখনই সে অ্যাম্বুলেন্স চেয়েছেন, তখনই পেয়েছে। তবে শনিবার যখন সে অ্যাম্বুলেন্স চায়, তখনই দেওয়া সম্ভব হয়নি। তিনি দেরিতে অ্যাম্বুলেন্স পেয়েছেন, এটা সত্য।’
তিনি দাবি করেন, ‘জোবায়েরের অ্যাম্বুলেন্স না পাওয়ার কারণ অ্যাম্বুলেন্স–স্বল্পতা। বর্তমানে তিনটি অ্যাম্বুলেন্স সচল রয়েছে। গতকাল সচল অ্যাম্বুলেন্সগুলো বাইরে ছিল, অ্যাম্বুলেন্স পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তার জন্য পাঠানো হয়েছিল।’
উপাচার্যের শোক
এদিকে, জোবায়েরের মৃত্যুর ঘটনায় শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মোহাম্মদ কামরুল আহসান।
গতকাল (রবিবার) দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক শোকবার্তায় তিনি বলেন, ‘জোবায়ের হোসাইনের অকালমৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয় একজন মেধাবী শিক্ষার্থীকে হারাল। তার পরিবারের জন্য এ ক্ষতি অপূরণীয়।’
তিনি জোবায়ের হোসাইনের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। এর পাশাপাশি তিনি তার পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান এবং সবাইকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানান।
১৬৫ দিন আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জে নদীতে ডুবে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে মহানন্দা নদীতে ডুবে ইয়াসিন আল ইসলাম নামে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার (১ জুন) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার বোয়ালিয়া কাঞ্চনতলা মহানন্দা নদীর মসজিদ ঘাটে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত ইয়াসিন আল (২০) ইসলাম উপজেলার আলিনগর ইউনিয়নের আলিনগর গ্রামের মৃত বাইরুল ইসলামের ছেলে।
এ বিষয়ে গোমস্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রইস উদ্দিন জানান, ইয়াসিন রবিবার দুপুরে মহানন্দা নদীর কাঞ্চনতলা মসজিদ ঘাটে গোসল করতে যান। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। বিকাল পর্যন্ত বাড়িতে না ফেরায় তার পরিবার খোঁজাখুঁজি শুরু করে। সন্ধ্যায় এক ব্যক্তি ইয়াসিনের মোবাইল নদীর পাড়ে পড়ে থাকতে দেখে তা রিসিভ করে তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
আরও পড়ুন: মেজর সিনহা হত্যা: হাইকোর্টে ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল
ওসি আরও জানান, খবর পেয়ে প্রথমে গোমস্তাপুর ফায়ার সার্ভিস এবং পরে রাজশাহীর ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে এসে সোমবার (২ জুন) সকাল ৯টার দিকে মহানন্দা নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করে। পরে পুলিশ লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ আধুনিক হাসপাতালে পাঠায়।
এ ঘটনায় গোমস্তাপুর থানায় একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন ওসি
১৮৬ দিন আগে
গাজীপুরে দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থীর মৃত্যুর প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ
গাজীপুরের পোড়াবাড়ি এলাকায় শাহ সুফি ফসিহ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (২৫ মে) সকাল ১০টার দিকে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে শিক্ষার্থীরা। এতে মহাসড়কের উভয় পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে সৃষ্টি হয়েছে দীর্ঘ যানজট। ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রী ও চালকরা।
নিহত শিক্ষার্থীর নাম ওমর ফারুক। সে শাহ সুফি ফসিহ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল। ওমর সিটি করপোরেশনের পোড়াবাড়ি এলাকার আবু তাহেরের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার (২০ মে) সকাল ১০টার দিকে সড়ক পার হতে গিয়ে বাসচাপায় গুরুতর আহত হয় ওমর। তাকে উদ্ধার করে শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ঢামেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় ফারুক।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ২ শিক্ষার্থী নিহত
আজ (রবিবার) স্কুলে পৌঁছে ওমরের মৃত্যুর খবর পেয়ে তার সহপাঠীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে তারা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে পোড়াবাড়ি বাজার এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নেয়। খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছেন।
শিক্ষার্থীরা জানায়, বেপরোয়া গতির গাড়ির চাপায় প্রায়ই শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষের মৃত্যু ঘটছে। এজন্য তারা বাজার এলাকায় ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানিয়েছে।
এদিকে, দীর্ঘ সময় যানজটে আটকে থেকে দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রী ও চালকরা। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা।
এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর খবরে শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে। তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
১৯৪ দিন আগে
চাঁদপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শিক্ষার্থীর মৃত্যু
চাঁদপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ইমরুল কায়েস নামে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১০ মে) দুপুরে হাজীগঞ্জে পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড কংগাইশ গ্রামের পাল-পুকুরিয়া বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
ইমরুল কায়েস (১৭) উপজেলার কংগাইশ গ্রামের পাল-পুকুরিয়া বাড়ির বাসিন্দা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ইমরুল নিজ ঘরে কাজ করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. আহমেদ তানভির হাসান বলেন, ‘হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই কায়েসের মৃত্যু হয়।’
২০৯ দিন আগে
কুয়েটের পুকুরে গোসলে নেমে শিক্ষার্থীর মৃত্যু
পুকুরে গোসল করতে নেমে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তুনু কর্মকার নামে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ মে) বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের পুকুরে ডুবে তার মৃত্যু হয়।
শান্তুনু পুরান ঢাকার রাজার দেওড়ি এলাকার বাসিন্দা সুকুমার চন্দ্র কর্মকারের ছেলে। কুয়েটের ২৩ ব্যাচের ম্যাটারিয়াল সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ লিশ কমিশনার (উত্তর) আবুল বাসার মোহাম্মাদ আতিকুর রহমান।
ফায়ার সার্ভিসের খুলনা সদর স্টেশনের এক কর্মকর্তা বলেন, কুয়েটে পুকুরে ডুবে মৃত্যুর খবর পাই দুপুর ৩টায়। তাৎক্ষণিকভাবে আমরা ক্যাম্পাসে ছুটে গিয়ে তাকে উদ্ধার করি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ ইলিয়াছ আক্তার বলেন, ‘শান্তুনুকে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্সে করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।’
আরও পড়ুন: বারবার ডাকলেও আসেননি ডাক্তার, অবশেষে বৃদ্ধের মৃত্যু
খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন বলেন, ‘দুপুর ৩টার দিকে শান্তুনু গোসল করতে কুয়েটের পুকুরে নামে। ফেরত আসাতে দেরি দেখে সহপাঠীরা পুকুরের চারপাশে খোঁজ নিতে থাকে। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের খবর দেওয়া হলে তারা ৪টার দিকে এসে পুকুর থেকে শান্তুনুকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। লাশ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে।’
২১৩ দিন আগে
‘ভুল চিকিৎসায়’ শিক্ষার্থীর মৃত্যু, হাসপাতাল ও কলেজে ভাঙচুর
ভুল চিকিৎসায় শিক্ষার্থীর মৃত্যুর অভিযোগে রাজধানীর পুরান ঢাকার বকশীবাজারে অবস্থিত ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভাঙচুর চালিয়েছে বিভিন্ন কলেজের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি কবি নজরুল সরকারি কলেজ ও সোহরাওয়ার্দী কলেজেও ভাঙচুর করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের এক শিক্ষার্থী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলে রবিবার দুপুর ১টার দিকে হাসপাতালের সামনে কলেজটির শিক্ষার্থীসহ বহিরাগতরা লাঠিসোটা নিয়ে জড়ো হয়। এ সময় তারা স্লোগান দিয়ে হাসপাতালের নামফলকসহ গেট ভাঙচুর করে।
সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজের কয়েকজন ছাত্র বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের বাধা দিতে গেলে তারা সোহরাওয়ার্দী কলেজের অফিস কক্ষ ও কলেজ প্রাঙ্গণে একটি প্রাইভেটকারে ভাঙচুর চালায়। তারা কবি নজরুল ইসলাম কলেজও ভাঙচুর করে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। সেনা সদস্যদের গেটের ভেতরে থাকা বিক্ষোভকারীদের শান্ত করার চেষ্টা করতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন: ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ
বিক্ষোভের কারণে বকশীবাজার-সংলগ্ন এলাকায় যানজট সৃষ্টি হলে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।
এ ঘটনার সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীদের হাতে বেশ কয়েকজন সাংবাদিক হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
দৈনিক ইত্তেফাকের মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার জাকির হোসেন হয়রানির শিকার হন বলে অভিযোগ করেছেন। এ সময় তার ফোন কেড়ে নেওয়া হয় এবং মাইক্রোফোন ভেঙে ফেলা হয়।
এছাড়া, দৈনিক কালবেলার মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার আমান নবী, দৈনিক আমাদের বার্তার প্রতিনিধি আসাদুল ইসলাম ও বাংলাদেশের খবর পত্রিকার প্রতিনিধি জান্নাতুন নাঈমের মোবাইল ফোনও কেড়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। পরে ঘটনার ভিডিও ও ছবি মুছে ফেলে ফোনগুলো ফেরত দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: যশোরে ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ, স্বাস্থ্য বিভাগের তদন্ত শুরু
৩৭৬ দিন আগে
গাজীপুরে আইইউটির পিকনিক বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
গাজীপুরের আন্তর্জাতিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি (আইইউটি) বিশ্ববিদ্যালয়ের পিকনিকবাহী বাস জীপুরের শ্রীপুরে বিদ্যুতায়িত হয়ে তিন শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৩০ জন।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের উদয়খালি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, গ্রামের শিক্ষার্থীদের নিয়ে একটি বিআরটিসি দ্বিতল চলন্ত বাসটি রাস্তার পাশ দিয়ে মাটির মায়া রিসোর্টে যাওয়ার সময় বৈদ্যুতিক সংযোগ তারের সঙ্গে বিদ্যুতায়িত হয়। মুমূর্ষু অবস্থায় পাঁচজন শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে পাঠায় স্থানীয়রা। এতে আহত হয়েছেন ৩০ জনের বেশি শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু
তারা বিশ্ববিদ্যালয়টির মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।
যে সড়কে কোনোদিন বাস চলাচল করে না, সেই সড়কে দ্বিতল বাস নিয়ে পিকনিকে আসছে শিক্ষার্থীরা। যার কারণে এমন দুর্ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ করছেন স্থানীয়রা। বিদ্যুতের তারও অনেকটা ঝুলন্ত অবস্থায় থাকায় এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কৃষকের মৃত্যু
৩৭৭ দিন আগে
ভৈরব নদে গোসলে নেমে তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীর মৃত্যু
ভৈরব নদে গোসলে নেমে পানিতে ডুবে রোকেয়া খাতুন (৮) নামে তৃতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টম্বর) বিকাল দিকে বাড়ির পাশে ভৈরব নদে গোসল করতে গেলে এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
রোকেয়া মেহেরপুর সদর উপজেলার বন্দর গ্রামের ছোটন আলীর মেয়ে এবং স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী।
মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কনি মিয়া স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানান, রোকেয়া বাড়ির পাশে ভৈরব নদে গোসলে য়ায়। গোসল করার কোনো এক সময় পানির নিচে তলিয়ে যায় সে। পরে লাশ ভেসে উঠলে স্থানীয়রা তার লাশ উদ্ধার করেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে লরিচাপায় ঢাকা কলেজের ২ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কক্সবাজারে বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবিতে ১ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ ৩
৪৪৮ দিন আগে
কেনিয়ায় স্কুলে অগ্নিকাণ্ডে ১৭ শিক্ষার্থীর মৃত্যু, আহত ১৩
কেনিয়া, ৬ সেপ্টেম্বর (ইউএনবি)- কেনিয়ার একটি স্কুলের ছাত্রাবাসে আগুন লেগে অন্তত ১৭ শিক্ষার্থী নিহত ও ১৩ জন গুরুতর আহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে (৫ সেপ্টেম্বর) নাইয়েরি কাউন্টির হিলসাইড এন্দারাশা প্রাইমারি একাডেমিতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ন্যাশনাল পুলিশ সার্ভিসের মুখপাত্র রেসিলা ওনিয়াঙ্গো বলেন, ১৪ শিক্ষার্থীকে গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তির পর একজনের মৃত্যু হয়।
ওনিয়াঙ্গো টেলিফোনে বলেন, এখন পর্যন্ত ১৭ জন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের কারণ তদন্ত এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ছাত্রাবাসের একটি অংশ ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে কাজ করছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ।
৪৫৫ দিন আগে