ইয়াঙ্গুন
বাংলাদেশ দূতাবাস, ইয়াঙ্গুনের উদ্যোগে সার্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা দিবস পালিত
জাতিসংঘ ঘোষিত ‘সার্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা দিবস- ২০২৩’ উপলক্ষে বাংলাদেশ দূতাবাস, ইয়াঙ্গুন মঙ্গলবার একটি আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
উক্ত অনুষ্ঠানে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা, জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ), ইউএনঅপস ও নরওয়ে, ডেনমার্ক, থাইল্যান্ড, সুইডেনসহ বিভিন্ন দূতাবাসের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
ইয়াঙ্গুনস্থ জনস্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের রেক্টরসহ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত থেকে দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: ‘বর্তমান পরিস্থিতি’ নিয়ে আলোচনা করেছেন রাষ্ট্রদূত হাস ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ: মার্কিন দূতাবাস
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ‘বিশ্বস্বাস্থ্য ও কূটনীতি’ শীর্ষক একটি প্রস্তাবনার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘হেল্থ ফর অল: টাইম ফর একশন’ শীর্ষক বিষয়ের আলোচনায় অংশগ্রহণ করে মিয়ানমারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ডা. মো. মনোয়ার হোসেন।
২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের সব জনগণের জন্য সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকল্পে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপসমূহের বিষয়ে উপস্থিত সবাইকে জানানো।
রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের প্রাথমিক স্বাস্থ্য-সেবায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির সূচকসমূহ তুলে ধরেন এবং সর্বজনীন স্বাস্থ্য-সেবায় বর্তমান সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকারের বিষয়ে আলোকপাত করেন।
তিনি বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানোর ফলে সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবার লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হবে বলে আশা করা যায়।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, স্বাস্থ্যখাতে সরকারিভাবে কম অর্থ খরচ করা সত্ত্বেও নীতির ধারাবাহিকতা, স্বাস্থ্য কর্মীদের কর্মদক্ষতা, ওষুধ উৎপাদনের সক্ষমতা ও স্বল্প সম্পদের দক্ষ ব্যবহারের ফলে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় কম খরচে ভালো স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অন্যতম উদাহরণ হিসেবে স্বীকৃত হয়ে আসছে।
অনুষ্ঠানে তার বক্তব্যে ইয়াঙ্গুন জনস্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের রেক্টর প্রফেসর হ্লা হ্লা উইন মিয়ানমারের স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে চলমান বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন।
উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রী মিয়ানমারের চলমান সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মিয়ানমার কার্যালয়ের হেল্থ সিস্টেমস এর উপদেষ্টা ডা. শক্তিভেল সেলভারাজ সর্বজনীন স্বাস্থ্য সেবায় শক্তিশালী হেলথ সিস্টেমসের প্রয়োজনীয়তা এবং এই লক্ষ্যে যথাযথ বিনিয়োগের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
আরও পড়ুন: মিনি ফিল্ম ফেস্টিভেলের মাধ্যমে মানবাধিকার সপ্তাহ পালন ডাচ দূতাবাসের
মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরলেন ২৯ বাংলাদেশি
মিয়ানমারের বিভিন্ন জেলে কারাভোগ শেষে মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) ২৯ জন বাংলাদেশি নাগরিক স্বদেশে ফিরে এসেছেন।
ইয়াঙ্গুনে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস বলেছে, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) মধ্যে অনুষ্ঠিত ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ের পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে তারা বাংলাদেশে ফেরত আসেন।
বাংলাদেশ দূতাবাস, ইয়াঙ্গুন ও বাংলাদেশ কনস্যুলেট, সিতওয়ের চলমান প্রচেষ্টার ফল হিসেবে দীর্ঘ ১৮ মাস পরে এমন প্রত্যাবাসন সম্ভব হয়েছে।
এর আগে ২০২২ সালের ২৩ মার্চ ৪১ জন বাংলাদেশি নাগরিকের প্রত্যাবাসন করা হয়েছিল। প্রত্যাবাসিতদের মধ্যে ২৩ জন কক্সবাজার, ৪ জন বান্দরবান এবং ২ জন রাঙ্গামাটি জেলার অধিবাসী।
সীমান্ত পথে মিয়ানমারে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি) তাদের বিভিন্ন সময়ে গ্রেপ্তার করে। পরবর্তীতে মিয়ানমারে বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে তাদের বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ড প্রদান করা হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও মিয়ানমারকে ১১.৬০ কোটি ডলারের মানবিক সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র
মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ৩৮ জন খুন, ইয়াঙ্গুনে সামরিক আইন জারি
সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলাকালীন সময়ে রবিবার মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী কমপক্ষে ৩৮ জনকে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে একটি অধিকার গোষ্ঠী। এছাড়া দেশটির বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুনের বেশ কয়েকটি স্থানে সামরিক আইন ঘোষণা করা হয়েছে।
মিয়ানমারে সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ অব্যাহত
সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দখলের প্রতিবাদে মিয়ানমারে সাধারণ জনগণের বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। মঙ্গলবার দেশটির বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুনে পুলিশ প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধে টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করেছে।