মোদি
নির্বাচনি জনসভায় 'অনুপ্রবেশকারী' বলায় মুসলিম বিদ্বেষের অভিযোগ মোদির বিরুদ্ধে
ঢাকা, ২৩ এপ্রিল (ইউএনবি)-‘অনুপ্রবেশকারী’ বলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে মুসলিম বিদ্বেষের অভিযোগ এনেছে ভারতের প্রধান বিরোধী দল। দেশটিতে সপ্তাহব্যাপী সাধারণ নির্বাচন শুরু হওয়ার কয়েকদিন পর একটি নির্বাচনি সমাবেশে মুসলিমদের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক বক্তব্য দেন তিনি।
পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য রাজস্থানে রবিবারের সমাবেশে মোদি বলেন, কংগ্রেস পার্টি যখন সরকারে ছিল, তখন তারা বলেছিল, দেশের সম্পদের ওপর মুসলমানদের অগ্রাধিকার রয়েছে। যদি তারা ক্ষমতায় ফিরে আসে তবে দলটি ‘আপনার সমস্ত সম্পদ একত্রিত করবে এবং যাদের আরও সন্তান রয়েছে তাদের মধ্যে বিতরণ করবে।’ মোদির এ কথার শোনার পর জনতা হাততালি উল্লাস প্রকাশ করে।
তিনি বলেন, ‘তারা অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে এটি বিতরণ করবে। আপনি কি মনে করেন আপনার কষ্টার্জিত অর্থ অনুপ্রবেশকারীদের দেওয়া উচিত?’
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার সঙ্গে মোদির ফোনালাপ: বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধিতে ভারতের সমর্থন অব্যাহত থাকবে
কংগ্রেসের মুখপাত্র অভিষেক মনু সিংভি প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যকে ‘অত্যন্ত অত্যন্ত আপত্তিকর’ বলে অভিহিত করেছেন। দলটি সোমবার ভারতের নির্বাচনকালীন দায়িত্বে থাকা কমিশনকে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে বলে।
মোদির এই মন্তব্যে মুসলিমবিরোধী প্রচারণা চালানো এবং নির্বাচনি বিধি ভঙ্গের অভিযোগে তীব্র সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। যদিও প্রার্থীদের ধর্মীয় উত্তেজনা বাড়িয়ে তোলে এমন কোনো কার্যকলাপ বা বক্তব্য প্রদান নিষিদ্ধ।
ভারতের নির্বাচন কমিশনের আদর্শ আচরণবিধি অনুসারে ভোটারদের সুরক্ষিত রাখতে ‘জাতিগত বা সাম্প্রদায়িক অনুভূতিতে আঘাত করা’ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
মুসলিম আইনপ্রণেতা ও অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন পার্টির সভাপতি আসাদউদ্দিন ওয়াইদি রবিবার বলেন, 'মোদি আজ মুসলিমদের অনুপ্রবেশকারী বলার পাশাপাশি বলেছেন, মুসলিমদের অনেক সন্তান থাকে। ২০০২ সাল থেকে আজ পর্যন্ত মোদীর একমাত্র অঙ্গীকার হলো মুসলিমদের হেনস্থা করা ও এভাবেই ভোট আদায় করা।
কট্টর হিন্দুত্ববাদী মোদির সমালোচকরা বলছেন, ২০১৪ সালে মোদির দল ক্ষমতায় আসার পর থেকে এবং ২০১৯ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর থেকে ভারতের বৈচিত্র্য ও ধর্মনিরপেক্ষতার ঐতিহ্য হুমকির মুখে পড়েছে। তাদের অভিযোগ, মোদির বিজেপি ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা লালন করে এবং কখনো কখনো সহিংস হয়ে উঠছে। তবে মোদির দলটি এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, তাদের নীতির কারণে সমস্ত ভারতীয়রা উপকৃত হয়।
তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, মোদির আমলে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা আরও নির্লজ্জ হয়ে উঠেছে। হিন্দুদের কাছে পবিত্র বলে বিবেচিত গরুর মাংস খাওয়া বা গরু পাচারের অভিযোগে উগ্রহিন্দুরা অসংখ্য মুসলমানকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। মুসলমানদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বর্জন করা হয়েছে, তাদের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এবং উপাসনালয়ে আগুন দেওয়া হয়েছে। মুসলিমদের গণহত্যার জন্য কিছু প্রকাশ্য আহ্বান জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বেইলি রোডে আগুনের ঘটনায় মোদির শোক
২০০৬ সালে কংগ্রেসের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের একটি বিবৃতির ভিত্তিতে মোদি এই মন্তব্য করেছিলেন। সিং বলেন, ভারতের নিম্নবর্ণ, উপজাতি, নারী ও ‘বিশেষত মুসলিম সংখ্যালঘুদের’ সমানভাবে দেশের উন্নয়নে অংশ নেওয়ার অধিকার দেওয়া হয়েছে।
সিং বলেন, ‘সম্পদের ওপর তাদের প্রথম দাবি থাকতে হবে।’ একদিন পরেই তার দপ্তর থেকে বিষয় স্পষ্ট করে জানানো হয়, মনমোহন সব পিছিয়ে পড়া গোষ্ঠীর কথা বলছেন।
বেশিরভাগ জরিপে দেখা গেছে, মোদি ও তার হিন্দু জাতীয়তাবাদী ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) জয়ী হবে বলে আশা করা হচ্ছে। চূড়ান্ত ফলাফল বের হবে ৪ জুন।
কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে মোদীর মন্তব্যকে 'বিদ্বেষমূলক ভাষণ' বলে বর্ণনা করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ খাড়গে লেখেন, ‘ভারতের ইতিহাসে কোনো প্রধানমন্ত্রী তার পদের মর্যাদার এতটা নীচে নামিয়ে আনেননি যতটা মোদী করেছেন।’
নির্বাচন কমিশনের কাছে করা আবেদনে দলটি বলেছে, মোদী ও বিজেপি নির্বাচনি প্রচারে বারবার ধর্ম, ধর্মীয় প্রতীক ও ধর্মানুভূতির ব্যবহার করেছে। নির্বাচনি আইন লঙ্ঘনের জন্য প্রধানমন্ত্রী ও বিজেপিকে শাস্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে কমিশনের নিষ্ক্রিয়তা তাদের এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে আরও উৎসাহিত করেছে।
কমিশনের আচরণবিধি নিজে থেকে আইনত বাধ্যতামূলক নয়, তবে এটি নোটিশ জারি করতে পারে এবং লঙ্ঘনের জন্য নির্দিষ্ট সময়ের জন্য প্রচারকারীদের স্থগিত করতে পারে।
কমিশনের এক মুখপাত্র সোমবার প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া সংবাদ সংস্থাকে বলেন, ‘আমরা কোনো মন্তব্য করতে অপরাগতা প্রকাশ করছি।’
মোদি তার ভাষণে একটি হিন্দু জাতীয়তাবাদী মিথের কথাও উল্লেখ করেন, মুসলমানরা বেশি সন্তান জন্ম দিয়ে হিন্দু জনগোষ্ঠীকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে। ভারতের ১৪০ কোটি জনসংখ্যার ৮০ শতাংশ হিন্দু ও মুসলমানদের সংখ্যা ১৪ শতাংশ বা ২০ কোটি।
সরকারি তথ্য দেখা যায়, সাম্প্রতিক দশকগুলোতে মুসলমানদের মধ্যে প্রজনন হার ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে দ্রুত হ্রাস পেয়েছে। ১৯৯২-৯৩ সালে ৪.৪ থেকে ২০১৯-২১ সালের মধ্যে ২.৩-এ দাঁড়িয়েছে। একই সময় হিন্দুদের ১.৯৪ এর চেয়ে সামান্য বেশি।
মোদির বিজেপি এর আগে মুসলমানদের অনুপ্রবেশকারী হিসেবে উল্লেখ করেছে এবং তাদের বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে ভারতে প্রবেশ করা অবৈধ অভিবাসী হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
এসব বিষয়ে মোদির সুস্পষ্ট নীরবতা তার চরমপন্থী সমর্থকদের সাহস জুগিয়েছে এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে আরও ঘৃণামূলক বক্তব্য দিতে উৎসাহিত করেছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি
বেইলি রোডে আগুনের ঘটনায় মোদির শোক
ঢাকার বেইলি রোডের বহুতল ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জনের প্রাণহানির ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
আরও পড়ুন: বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে রাষ্ট্রপতির শোক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা এক চিঠিতে রাজধানীর গ্রিন কোজি কটেজ শপিং মলে অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানিতে গভীর শোক প্রকাশ করেন। এ দুর্ঘটনায় আহতদের দ্রুত সুস্থতাও কামনা করেছেন মোদি।
শুক্রবার (১ মার্চ) চিঠিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী আরও দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, এই দুঃসময়ে ভারত বাংলাদেশের পাশে রয়েছে। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতীম জনগণের জন্য তার শুভকামনা থাকবে।
আরও পড়ুন: বেইলি রোড ট্র্যাজেডি: ভোলার দুই যুবকের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া
শেখ হাসিনার সঙ্গে মোদির ফোনালাপ: বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধিতে ভারতের সমর্থন অব্যাহত থাকবে
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলেছেন এবং বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টানা চতুর্থবারের মতো বিজয়ী হওয়ায় তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
মোদি বলেন, 'আমি সফলভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বাংলাদেশের জনগণকে অভিনন্দন জানাই।’
আরও পড়ুন: নির্বাচন ২০২৪: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চীনের অভিনন্দন
সোমবার টুইটারে শেয়ার করা এক বার্তায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের স্থায়ী ও জনকেন্দ্রিক অংশীদারিত্ব আরও জোরদার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
প্রধানমন্ত্রী মোদি সোমবার পাঠানো অভিনন্দন পত্রে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টানা চতুর্থ মেয়াদে তার দেশকে নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুতি গ্রহণ করছেন। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ঐতিহাসিক ও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তাদের অপরিবর্তনীয় অংশীদারত্বের সব ক্ষেত্রে গভীরতর হতে থাকবে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় শেখ হাসিনাকে ইআরডিএফবির অভিনন্দন
তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও বিশ্বস্ত উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা ও প্রবৃদ্ধিতে সমর্থন অব্যাহত রাখবে ভারত।
ওই বার্তায় বাংলাদেশের জনগণের অব্যাহত অগ্রগতি, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।
আরও পড়ুন: বৈধ সরকার প্রতিষ্ঠায় নতুন করে নির্বাচন ও শেখ হাসিনার পদত্যাগ দাবি বিএনপির
আঞ্চলিক সংযোগ-জ্বালানি নিরাপত্তা জোরদার: ১ নভেম্বর ৩ প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন শেখ হাসিনা-মোদি
ভারতের অর্থায়নে বাস্তবায়িত তিনটি উন্নয়ন প্রকল্প যৌথভাবে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
বুধবার (১ নভেম্বর) সকাল ১১টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যৌথভাবে তিনটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন তারা।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) ভারত সরকার বলেছে, ‘এই প্রকল্পগুলো ভারতের সহায়তার মাধ্যমে বাস্তবায়িত হয়েছে, যা এই অঞ্চলে সংযোগ এবং জ্বালানি নিরাপত্তা জোরদার করবে।’
প্রকল্প তিনটি হলো- আখাউড়া-আগরতলা আন্তঃসীমান্ত রেল সংযোগ, খুলনা-মোংলা বন্দর রেললাইন এবং মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের দ্বিতীয় ইউনিট।
আখাউড়া-আগরতলা আন্তঃসীমান্ত রেল সংযোগ প্রকল্পটি ভারত সরকারের ৩৯২ কোটি ৫২ লাখ টাকার অনুদান সহায়তার আওতায় বাস্তবায়িত হয়েছে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু রেল সংযোগ চীনের বিআরআই’র আওতায় একটি যুগান্তকারী প্রকল্প: রাষ্ট্রদূত ইয়াও
রেল সংযোগের দৈর্ঘ্য ১২ দশমিক ২৪ কিলোমিটার এবং বাংলাদেশে ৬ দশমিক ৭৮ কিলোমিটার ডুয়েল গেজ রেললাইন এবং ত্রিপুরায় ৫ দশমিক ৪৬ কিলোমিটার।
খুলনা-মোংলা বন্দর রেল লাইন প্রকল্পটি ভারত সরকারের ছাড়ের লাইন অব ক্রেডিটের আওতায় ৩৮৮ দশমিক ৯২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে বাস্তবায়িত হয়েছে।
এই প্রকল্পের আওতায় মোংলা বন্দর ও খুলনার বিদ্যমান রেল নেটওয়ার্কের মধ্যে প্রায় ৬৫ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণ করা হবে।
এর মাধ্যমে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বন্দর মোংলা ব্রডগেজ রেল নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: শিগগিরই বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাবে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিট
মৈত্রী সুপার থার্মাল বিদ্যুত প্রকল্পে ১ দশমকি ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ভারতীয় ঋণ সহায়তার আওতায় বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের রামপালে অবস্থিত একটি ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট (২x৬৬০) সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট (এমএসটিপিপি) প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়।
প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি (প্রাইভেট) লিমিটেড (বিআইএফপিসিএল), যা ভারতের এনটিপিসি লিমিটেড এবং বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) মধ্যে ৫০ শতাংশের সমান (৫০:৫০)হারে জয়েন্ট ভেঞ্চার কোম্পানি।
মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের প্রথম ইউনিটটি ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে উভয় প্রধানমন্ত্রী যৌথভাবে উদ্বোধন করেন এবং ইউনিট-২ চলতি বছরের ১ নভেম্বর উদ্বোধন করবেন।
মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট চালু হলে বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা বৃদ্ধি পাবে বলে জানিয়েছে ভারত সরকার।
আরও পড়ুন: রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে যান্ত্রিক ত্রুটি, দুইদিন ধরে উৎপাদন বন্ধ
শেখ হাসিনা-মোদি বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কথা বলেননি: মোমেন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে শুক্রবারের দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় বাংলাদেশের আসন্ন সাধারণ নির্বাচনের বিষয়টি স্থান পায়নি বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
শুক্রবার নয়াদিল্লিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে মোমেন দুই প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের ফলাফল সম্পর্কে ব্রিফিংকালে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মোমেন।
তিনি এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘বাংলাদেশের আসন্ন সাধারণ নির্বাচন এবং ইন্দো-প্যাসিফিক ইস্যু নিয়ে দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে কোনো আলোচনা হয়নি।’
তবে নির্বাচন প্রসঙ্গে মোমেন বলেন, বাংলাদেশসহ এ অঞ্চলে কেউ অস্থিতিশীলতা চায় না।
আরও পড়ুন: হাসিনা-মোদি আলোচনার পর ঢাকা-নয়াদিল্লি ৩ সমঝোতা স্মারক সই
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ ২০০১ সালের পর সেই খারাপ সময়ে ফিরে যেতে চায় না যখন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল, জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করেছিল, সারাদেশে বোমাবর্ষণ করেছিল,২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করেছিল এবং আদালত কক্ষে বোমা বিস্ফোরণ করেছিল।
তবে প্রতিবেশী দুই দেশের দুই সরকার প্রধানের শীর্ষ পর্যায়ে নির্বাচনের বিষয়টি এসেছে কি না, তা তিনি জানেন না বলে জানান।
আওয়ামী লীগ সরকারের ওপর জনগণের আস্থা রয়েছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপে দেশের সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীরা খুশি।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগামী সাধারণ নির্বাচনে কেউ কারচুপির চেষ্টা করলে জনগণ প্রতিহত করবে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের জন্য বিএনপির দাবির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাংলাদেশের সংবিধানে নেই এবং এটা কোনো আলোচনার বিষয় নয়।
এ ধরনের আইনগতভাবে নিষিদ্ধ বিষয়গুলোকে কোনোভাবেই রেহাই দেওয়া হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আসন্ন সাধারণ নির্বাচন একটি নিরপেক্ষ, বিশ্বাসযোগ্য ও সুষ্ঠু ও সহিংসতামুক্ত করতে সবাইকে অঙ্গীকারবদ্ধ হতে হবে।
আরও পড়ুন: আলোচনার মাধ্যমে অমীমাংসিত দ্বিপক্ষীয় সমস্যা সমাধানে একমত হাসিনা-মোদি
জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে বাংলাদেশ-ভারত জ্বালানি পাইপলাইন: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বের অনেক দেশ যখন জ্বালানি সংকটের মধ্যে রয়েছে তখন বাংলাদেশে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী পাইপলাইন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
তিনি বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সারাবিশ্বে যখন অনেক দেশ জ্বালানি সংকটের দ্বারপ্রান্তে, তখন এই পাইপলাইনটি আমাদের জনগণের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
শনিবার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে জ্বালানি খাতে সহযোগিতার অংশ হিসেবে ১৩১ দশমিক ৫৭ কিলোমিটার আন্তঃসীমান্ত 'ইন্দো-বাংলা ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন' উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতে দিনাজপুরে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী পাইপলাইন: নসরুল হামিদ
এর মাধ্যমে ভারত থেকে পেট্রোলিয়াম বিশেষ করে ডিজেল আমদানি করবে বাংলাদেশ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নবনির্মিত পাইপলাইনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবন এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নয়াদিল্লিতে তার কার্যালয় থেকে সংযুক্ত ছিলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দেশই সাম্প্রতিক অতীতে অনেক সম্ভাবনাকে বাস্তবায়িত করেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী পাইপলাইন ডিজেল পরিবহনের ব্যাপক উন্নতি ঘটাবে: নয়া দিল্লি
তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের দ্বিপক্ষীয় সমস্যাগুলো একে একে সমাধান করেছি।
উভয় প্রতিবেশী দেশ তাদের উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ভারতের কাছ থেকে আমাদের উন্নয়নে সহযোগিতা পাচ্ছি।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী পাইপলাইন উদ্বোধনের ফলে বাংলাদেশ বিভিন্নভাবে উপকৃত হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘এই পাইপলাইনে ভারত থেকে ডিজেল আমদানির ফলে ব্যয়ের উল্লেখযোগ্য হার হ্রাস পাবে।’
দেশের উত্তরাঞ্চলের ১৬টি জেলায় ডিজেলের সরবরাহ স্থিতিশীল থাকবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: ‘ইন্দো-বাংলা ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন’ উদ্বোধন করলেন শেখ হাসিনা ও মোদি
‘ইন্দো-বাংলা ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন’ উদ্বোধন করলেন শেখ হাসিনা ও মোদি
দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে জ্বালানি খাতে সহযোগিতার বৃদ্ধির অংশ হিসেবে ১৩১ দশমিক ৫৭ কিলোমিটার আন্তঃসীমান্ত 'ইন্দো-বাংলা ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন' উদ্বোধন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ভারত থেকে পেট্রোলিয়াম পণ্য বিশেষ করে ডিজেল আমদানি করবে বাংলাদেশ।
শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নবনির্মিত পাইপলাইনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবন এবং মোদি নয়াদিল্লিতে তার কার্যালয় থেকে সংযুক্ত ছিলেন।
পাইপলাইনের মধ্যে ১২৬ দশমিক ৫৭ কিলোমিটার বাংলাদেশে এবং বাকি ৫ কিলোমিটার ভারতে বসানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালে পাইপলাইনে ভারত থেকে জ্বালানি তেল আমদানি শুরু: প্রধানমন্ত্রী
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধীন রাষ্ট্রীয় সংস্থা বিপিসি প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে ১৫ বছরের চুক্তির আওতায় দেশটি থেকে আন্তঃসীমান্ত পাইপলাইনের মাধ্যমে প্রতি বছর আড়াই লাখ টন থেকে চার লাখ টন ডিজেল আমদানি করতে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।
২০১৭ সালের ২৩ আগস্ট মন্ত্রিসভার অর্থনৈতিক বিষয়ক কমিটির অনুমোদনের পর চুক্তিটি সই করা হয়েছিল।
বাংলাদেশের চাহিদা মেটাতে বছরে ছয় দশমিক ৬০ মিলিয়ন টন থেকে সাত দশমিক ৭০ মিলিয়ন টন ডিজেল আমদানি করতে হয়।
সরকারি নথি অনুসারে, পেট্রোলিয়ামের পুরো চালানটি উত্তর-পূর্ব ভারতের আসামের গোলাঘাটে অবস্থিত ভারতের নুমালিগড় শোধনাগার থেকে আন্তঃসীমান্ত পাইপলাইনের মাধ্যমে আসবে। বাংলাদেশ উত্তর-পশ্চিমের দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর পেট্রোলিয়াম জ্বালানি ডিপোতে পাবে।
সরকারি সূত্র জানায়, প্রস্তাবিত পাইপলাইনের বেশিরভাগ অংশ বাংলাদেশের অংশে বসানোর কথা থাকলেও ভারত সরকার বাংলাদেশ অংশটি নির্মাণের জন্য ভারতীয় লাইন অব ক্রেডিট (এলওসি) এর অধীনে প্রায় ৩০৩ কোটি রুপি ঋণ দিয়েছে।
বাংলাদেশ তার অংশে পাইপলাইন পরিচালনা করবে এবং ভারত তার অংশে পাইপলাইন পরিচালনা করবে।
নথিগুলো থেকে আরও জানা যায যে বাংলাদেশ প্রথম তিন বছরে বার্ষিক দুই লাখ ৫০ হাজার টন, চতুর্থ থেকে ষষ্ঠ বছরে বার্ষিক তিন লাখ টন, সপ্তম থেকে দশম বছরে বার্ষিক সাড়ে তিন লাখ টন এবং ১১তম থেকে ১৫তম বছর পর্যন্ত বার্ষিক চার লাখ টন আমদানি করবে।
বর্তমানে বাংলাদেশ রেলওয়ে ওয়াগন ব্যবহার করে প্রতি মাসে ২২ হাজার টন ডিজেল আমদানি করছে।
চুক্তিটি আরও সময়ের জন্য বাড়ানো যেতে পারে।
আরও পড়ুন: জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতে দিনাজপুরে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী পাইপলাইন: নসরুল হামিদ
আন্তঃসীমান্ত পাইপলাইনের মাধ্যমে ভারত থেকে এই ধরনের পেট্রোলিয়াম আমদানি দেশের সেই অংশে ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে উত্তরাঞ্চলে পেট্রোলিয়ামের মজুদ তৈরি করতে সাহায্য করবে।
শুক্রবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে যে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী পাইপলাইনের কার্যক্রম ভারত থেকে বাংলাদেশে জ্বালানি পরিবহনের একটি টেকসই, নির্ভরযোগ্য, সাশ্রয়ী এবং পরিবেশ-বান্ধব মোড তৈরি করবে।
এটি দুই দেশের মধ্যে জ্বালানি নিরাপত্তায় সহযোগিতা আরও বাড়াবে।
এটি ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রথম আন্তঃসীমান্ত জ্বালানি পাইপলাইন, যা আনুমানিক ৩৭৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত। যার মধ্যে প্রায় ২৮৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পাইপলাইনের বাংলাদেশ অংশ অনুদান সহায়তার অধীনে ভারত সরকার বহন করেছে।
পাইপলাইনটির বার্ষিক এস মিলিয়ন টন হাই-স্পিড ডিজেল (এইচএসডি) পরিবহনের ক্ষমতা রয়েছে।
এটি বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের সাতটি জেলায় প্রাথমিকভাবে এইচএসডি সরবরাহ করবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী পাইপলাইন ডিজেল পরিবহনের ব্যাপক উন্নতি ঘটাবে: নয়া দিল্লি
ভারতে ফাইভজি মোবাইল ইন্টারনেটের উদ্বোধন মোদির
ভারতে ফাইভজি মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবার উদ্বোধন করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দেশটির টেলিকম ইতিহাসে এটি একটি বড় মাইলফলক।
শনিবার নয়াদিল্লির ইন্ডিয়া মোবাইল কংগ্রেস ২০২২-এর ৬ষ্ঠ সংস্করণে ফাইভজি পরিষেবা উদ্বোধন করেন মোদি।
এসময় বলা হয়, এই মাসের শেষের দিকে ভারতের দিল্লি, মুম্বাই, কলকাতা ও হায়দ্রাবাদের মতো ১৩টি নির্বাচিত শহরে ফাইভজি চালু করা হবে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে পর্যায়ক্রমে অন্যান্য শহরগুলোতে এর পরিষেবা বাড়ানো হবে।
যানবাহন, রোবোটিক সার্জারি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো প্রযুক্তির জন্য দ্রুতগতির মোবাইল ইন্টারনেটের পঞ্চম প্রজন্ম বা ফাইভজি ব্যবহার করা হয়।
ফাইভজি শুধুমাত্র উচ্চগতিসম্পন্ন মোবাইল ইন্টারনেটের যুগের সূচনা করে না, ভারতের এক ট্রিলিয়ন ডলারের উচ্চাভিলাষী অর্থনীতির পরিকল্পনার ক্ষেত্রেও এটি গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: 'জেএমবি'র সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে ভারতে নিষিদ্ধ হলো পিএফআই
বাংলাদেশ ব্যাংক এখনও ভারতীয় রুপিকে বৈদেশিক বাণিজ্যে অনুমতি দেয়নি
‘রুপি বা টাকা ব্যবহার করুন’: বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসার ক্ষেত্রে ডলারে লেনদেন থেকে বিরত থাকার আহ্বান ভারতের
নির্বাচনে জয়ের জন্য জর্জিয়া মেলোনিকে অভিনন্দন জানালেন মোদি
ইতালির জাতীয় নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় দেশটির ডানপন্থী জোট নেতা জর্জিয়া মেলোনিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
মেলোনি ইতালির ইতিহাসে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন।
বুধবার টুইটারে মোদি বলেন, ‘আমরা আমাদের সম্পর্ক জোরদার করার জন্য একসঙ্গে কাজ করতে উন্মুখ।’
আরও পড়ুন: ৪টি প্রকল্পের যৌথভাবে উদ্বোধন করলেন হাসিনা-মোদী
ইতালি ইউরোপীয় ইউনিয়নে ভারতের পঞ্চম বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার। দেশটিতে বার্ষিক দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য লেনদেনের পরিমাণ বর্তমানে ১০ বিলিয়ন ইউরোতে দাঁড়িয়েছে। ৬০০ টিরও বেশি ইতালীয় কোম্পানি ভারতে কাজ করছে।
গত বছরের অক্টোবরে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে নরেন্দ্র মোদি ইতালি সফর করেন। সম্মেলনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইতালির প্রধানমন্ত্রী এবং ভ্যাটিকানে পোপ ফ্রান্সিসের সাথে সাক্ষাৎ করেন।
আরও পড়ুন: দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মোদী
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে বর্বরতার কথা স্মরণ করলেন মোদী
শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের আমন্ত্রণ না পেয়ে মোদি সরকারের সমালোচনায় মমতা
ভারতে চারদিনের রাষ্ট্রীয় সফরকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের আমন্ত্রণ না পেয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর চটেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
বৃহস্পতিবার কলকাতা রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাকর্মীদের এক সম্মেলনে সমর্থকদের উদ্দেশে বক্তব্য দেয়ার সময় তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আমি চমৎকার সম্পর্কের অংশীদার, অথচ ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার তার সফরের সময় আমাকে আমন্ত্রণ জানায়নি।’
পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে মমতাকে পাঠানো হলো ১ টন হাড়িভাঙ্গা আম
মমতা বলেন, ‘আমি দ্বিপক্ষীয় পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ে বলতে চাই না। কিন্তু আমি জানতে পেরেছি যে অন্য কোন রাষ্ট্র কর্তৃক যাতে আমি আমন্ত্রিত না হই কেন্দ্রীয় সরকার সে চেষ্টাই করছে। আমি জানতে চাই কেন কেন্দ্রীয় সরকার বিদেশি বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে আমার দেখা করা নিয়ে বিচলিত।’
বৃহস্পতিবার দেশের রাজধানী থেকে ৩৫০ কিলোমিটার দূরের রাজস্থানের খাজা মঈনুদ্দিন
পড়ুন: কলকাতায় মমতা ব্যানার্জীর সঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রীর বৈঠক
চিশতীর মাজার আজমীর শরীফ পরিদর্শনের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা চারদিনে ভারত সফর শেষ করেছেন।
তবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরকালে মমতার সঙ্গে দেখা করতে না পেরে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
বাংলাদেশ হাইকমিশনের নৈশভোজে অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘মমতা আমার বোন। আমি চাইলেই তার সঙ্গে দেখা করতে পারি। সবসময় আমাদের ভালো সম্পর্ক আছে।’
আরও পড়ুন: ভাগ্নে অভিষেকেই আস্থা মমতার