সহায়তা
রোহিঙ্গাদের জন্য যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের ৯৬ মিলিয়ন ডলারের নতুন সহায়তা ঘোষণা
রোহিঙ্গাদের জন্য ৯৬ মিলিয়ন ডলারের নতুন সহায়তা ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। এরমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ৬০ মিলিয়ন ডলার ও যুক্তরাজ্য ৩৬ মিলিয়ন ডলারের অনুদান ঘোষণা করেছে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে রোহিঙ্গা বিষয়ে প্রথম উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রোহিঙ্গাদের সঙ্গে হওয়া অন্যায় অবিচাররের প্রসঙ্গ দিয়ে সম্মেলনের সূচনা করেন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি আনালেনা বেয়ারবক। মিয়ানমারের ক্রমবর্ধমান সংকট গোটা অঞ্চলের স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে বলে সতর্ক করেন তিনি।
বেয়ারবক বলেন, ৫০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ ও শিশু একই ধরনের অভিজ্ঞতা বহন করছে। শুধু বাংলাদেশের কক্সবাজার শরণার্থী শিবিরেই ৮ লাখ শিশু বিদ্যালয়ের বাইরে আছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি জানান, ২০২৫ সালের মানবিক সহায়তা পরিকল্পনা এখনো মাত্র ১২ শতাংশ অর্থায়ন পেয়েছে। এটি সবাইকে ‘লজ্জিত’ করার মতো বিষয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এ সময় সহায়তা বাড়াতে উপস্থিত দেশগুলোর প্রতি তিনি আহ্বান জানান। সেইসঙ্গে নিরাপদ, স্বেচ্ছামূলক ও টেকসই প্রত্যাবাসনের জন্য রাজনৈতিক সমাধানের ওপর জোর দেন।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, এই সংকটের কেন্দ্রে রয়েছেন রোহিঙ্গা মুসলিমরা, যাদের মিয়ানমারের নাগরিকত্ব অস্বীকার করা হয়েছে, ঘরবাড়ি থেকে উৎখাত করা হয়েছে এবং আশ্রয়শিবির কিংবা নির্বাসনে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে শরণার্থী হিসেবে বসবাস করছে, আর অসংখ্য মানুষ মিয়ানমারের ভেতরে বাস্তুচ্যুত অবস্থায় মানবেতর জীবন যাপন করছে।
আরও পড়ুন: নিউইয়র্কে রোহিঙ্গা সম্মেলনের লক্ষ্য রাজনৈতিক সমাধান: মৌনির সাতৌরি
রোহিঙ্গাকর্মীদের সঙ্গে উদ্যোগে পদক্ষেপ নিতেই জাতিসংঘ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে জাতিসংঘের শীর্ষ কর্মকর্তারা, রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানরা একত্রিত হয়েছিলেন
এ সময় প্রতিবেদন ও সংবাদ সম্মেলনে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারির সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে রোহিঙ্গাদের ভয়াবহ বাস্তবতা তুলে ধরা হয়। যারমধ্যে রয়েছে জোরপূর্বক নিয়োগ, যৌন সহিংসতা, বিমান হামলা, অনাহার আর গণ-বাস্তুচ্যুতি।
রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তার তহবিল ফুরিয়ে আসছে বলে সতর্ক করে মানবিক সংস্থাগুলো বলেছে, শরণার্থীরা অপুষ্টিতে ভুগছে এবং অনেকেই বিপজ্জনক সমুদ্রযাত্রাযর দিকে ঝুঁকছে।
রোহিঙ্গাদের মূল আবাসভূমি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের অবস্থা কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বলে উল্লেখ করেছে মানবিক সংস্থাগুলো। সেখানে সাধারণ মানুষজন সেনাবাহিনী ও জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বের মাঝে আটকা পড়েছে বলে মন্তব্য করা হয়।
মানবাধিকার পদদলিত
জাতিসংঘ মহাসচিবের ক্যাবিনেট প্রধান কোর্টনি রাট্রের মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, রোহিঙ্গাদের এই সংকট লাখ লাখ মানুষের মানবাধিকার, মর্যাদা ও নিরাপত্তাকে পদদলিত করেছে এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ফেলেছে।
অবিলস্বে ৩টি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান। সেগুলো হলো—আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী বেসামরিক মানুষকে সুরক্ষা, মানবিক সহায়তার প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা এবং শরণার্থী ও আশ্রয়দাতা সম্প্রদায়ের ওপর চাপ কমাতে বিনিয়োগ বাড়ানো।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের তবহিল নভেম্বরের মধ্যেই ফুরাবে, বিশ্বজুড়ে জরুরি পদক্ষেপের আহ্বান ডব্লিউএফপির
বিবৃতিতে জোর দিয়ে আরও বলা হয়, রোহিঙ্গা সংকটের উৎপত্তি মিয়ানমারে, সমাধানও সেখানেই নিহিত। রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন বন্ধ করতে হবে এবং পূর্ণাঙ্গ নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে।
জরুরি পদক্ষেপের দাবি
রোহিঙ্গা কর্মীদের কাছে এই সম্মেলন কেবল সচেতনতা তৈরির সুযোগ নয়, বরং ন্যায়বিচারের দাবি জানানোর একটি মঞ্চ।
মিয়ানমার উইমেনস পিস নেটওয়ার্কের প্রতিষ্ঠাতা ওয়াই ওয়াই নু প্রতিনিধিদের বলেন, ২০১৭ সালে যখন ৭ লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ-শিশু সহিংসতা থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আসে, সেখানে কিন্তু নৃশংসতা শেষ হয়নি বরং আরও ভয়াবহ হয়েছে।
তিনি বলেন, মিয়ানমারে সেনাবাহিনী ও সশস্ত্র গোষ্ঠীর হাতে রোহিঙ্গাদের হত্যা, জোরপূর্বক সেনা নিয়োগ, যৌন সহিংসতা ও অনাহারে ফেলে দেওয়ার ঘটনা অব্যাহত রয়েছে।
ওয়াই নু সতর্ক করে বলেন, এখনই কোনো পদক্ষেপ না নিলে ততক্ষণ পর্যন্ত রোহিঙ্গারা নিজভূমির বাইরে পাড়ি জমাতেই থাকবে, যতক্ষণ না মিয়ানমারে আর কোনো রোহিঙ্গা অবশিষ্ট থাকে।
তাছাড়া সীমান্ত পেরিয়ে মানবিক সহায়তা করিডর, লক্ষ্যভিত্তিক নিষেধাজ্ঞা ও নৃশংসতার বিচার দাবিও জানান তিনি।
মানবতার জন্য পরীক্ষা
আরাকান ইয়ুথ পিস নেটওয়ার্কের প্রতিষ্ঠাতা রফিক হুসন নিজ অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে জানান, কীভাবে জান্তা বাহিনী রোহিঙ্গা পুরুষ ও ছেলেদের জোর করে সেনা হিসেবে প্রায়শই মানবঢাল বানিয়ে ব্যবহার করেছে। এক সপ্তাহেই অন্তত ৪০০ জন নিহত হয়েছে বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: টেকসই সমাধানে রোহিঙ্গাদের ক্ষমতায়িত কণ্ঠস্বরকে গুরুত্ব দিচ্ছে ইইউ
গ্রাম পোড়ানো, ড্রোন হামলার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০২৪ সালের মে মাসের এক হামলায় একদিনেই ২ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছিল।
হুসন আরও বলেন, রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তাহীনতার এ সংকট নিরসন করা কেবল এই পরিষদের নয়, মানবতারও পরীক্ষা।
এ সময় উত্তর রাখাইনে আন্তর্জাতিক তদারকিতে নিরাপদ অঞ্চল তৈরির আহ্বান জানান তিনি।
শান্তির কোনো স্পষ্ট রূপরেখা নেই
জাতিসংঘের বিশেষ দূত জুলি বিশপ বলেন, মিয়ানমারের বহুমাত্রিক সংকট ২০২১ সালের অভ্যুত্থানের পর সৃষ্ট রাজনৈতিক অস্থিরতার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
কোনো যুদ্ধবিরতি না থাকার কারণে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ছে। এ বছর পরবর্তী নির্বাচনের পরিকল্পনা বৈধতা নয়, সহিংসতা বাড়াবে বলেও সতর্ক করেন তিনি।
শান্তির কোনো স্পষ্ট রুপরেখা নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তাছাড়া আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মিয়ানমারের জান্তা সরকাররে প্রতি নিন্দা ক্রমশ কমছে, অথচ নির্যাতন অব্যাহত রয়েছে বলেও দুঃখ প্রকাশ করেন জুলি।
অবশ্য রাজনৈতিক সদিচ্ছা জাগ্রত করা গেলে এখনো সমাধান সম্ভব বলে মনে করেন অনেকে।
সম্মেলনের সমাপনী বক্তব্যে বেয়ারবক বলেন, রোহিঙ্গারা আট বছরের দুঃসহ জীবন, বাস্তুচ্যুতি ও অনিশ্চয়তা সহ্য করেছে। তাদের সহনশীলতা বিস্ময়কর। আমাদের প্রতিক্রিয়াও সেই মানের হতে হবে।
এ দিকে শুধু ঘোষণা যথেষ্ট নয় বলে জানিয়েছে রোহিঙ্গা কর্মীরা। ওয়াই ওয়াই নু বলেন, ন্যায়বিচার কোনো ঐচ্ছিক বিষয় নয়। সেটিই একমাত্র প্রতিরোধ, একমাত্র শান্তির পথ।
৬৫ দিন আগে
দুর্যোগ মোকাবিলায় সক্ষমতা বৃদ্ধিতে যুক্তরাষ্ট্রের সরঞ্জাম সহায়তা
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদারিত্বের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স (এফএসসিডি) বিভাগের কাছে পানি থেকে দ্রুত উদ্ধার এবং বিপজ্জনক পদার্থ থেকে (এইচএজেডএমএটি) সুরক্ষা সরঞ্জাম দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের প্যাসিফিক অগমেন্টেশন টিম (পিএটি)।
যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের প্যাসিফিক অগমেন্টেশন টিম প্রাকৃতিক দুর্যোগে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সক্ষমতা বাড়াতে ৮টি নৌকা, ১১০টি লাইফ ভেস্ট এবং অন্যান্য জরুরি উদ্ধার সরঞ্জাম দিয়েছে।
আরও পড়ুন: দুর্যোগ মোকাবিলায় উপকূলের মানুষের দক্ষতা বাড়ানো প্রয়োজন
এছাড়াও স্বাস্থ্য নিরাপত্তা বা পরিবেশের জন্য বিপজ্জনক পদার্থ উপস্থিত থাকতে পারে এমন জরুরি পরিস্থিতিতে মোকাবিলায় প্রথম সারির কর্মীদের ১২০টি ডিসপোজেবল কভারঅল এবং ১০০টি মেডিকেল ব্যাগ দিয়েছেন।
এই অনুদান ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কার্যক্ষমতা বাড়াবে। ফলে জরুরি অবস্থায় দেশজুড়ে রক্ষা পাবে অসংখ্য জীবন।
পিএটি ও ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বিগত ৫ বছর ধরে কাজ করছে। এর আগে তারা বহু মেডিকেল ফার্স্ট রেসপন্ডার সেমিনার এবং অন্যান্য প্রশিক্ষণ কর্মসূচি পরিচালনা করেছে। পিএটি বাংলাদেশের বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে সহনশীলতা তৈরি এবং বিনিয়োগের সুযোগ খুঁজে চলেছে।
যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন মেগান বোলডিন বলেন, ‘এই অনুদান আমাদের স্থায়ী অংশীদারিত্ব এবং দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া ও জীবন রক্ষার প্রতি আমাদের অভিন্ন প্রতিশ্রুতির প্রমাণ।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন- এফএসসিডির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল।
আরও পড়ুন: উন্নয়নশীল দেশগুলোতে দুর্যোগ মোকাবিলায় তহবিল বাড়ানোর আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের
৪১১ দিন আগে
পদ্মা ব্যাংক থেকে ১২৬ কোটি ৯৫ লাখ টাকা উদ্ধারে মন্ত্রণালয়ের সহায়তা চাইল জীবন বীমা
পদ্মা ব্যাংকের আটটি মেয়াদোত্তীর্ণ এফডিআরের ১২৬ কোটি ৯৫ লাখ টাকা উদ্ধারে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ জীবন বীমা করপোরেশন।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগকে লেখা এক চিঠিতে করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মুহিবুজ্জামান টাকা উদ্ধারে চলমান চেষ্টার কথা তুলে ধরেন। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে ফারমার্স ব্যাংক নাম পরিবর্তন করে পদ্মা ব্যাংক লিমিটেড হওয়ার পরও ব্যাংকটি পাওনা পরিশোধে ব্যর্থ হয়েছে। এর পরই এই আবেদন করা হয়।
আরও পড়ুন: ৭ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার হস্তান্তর স্থগিত রাখতে এনবিআরের নির্দেশ
চিঠিতে বলা হয়, ২০১৫ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত পদ্মা ব্যাংকের সাতটি শাখায় এক বছর মেয়াদি আটটি মেয়াদি আমানতে ১১৫ কোটি ৫৩ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছিল জীবন বীমা। কিন্তু ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে করপোরেশন যখন ইমামগঞ্জ শাখায় আমানত নগদ উত্তোলনের চেষ্টা করলে ব্যাংক কোনো তহবিল ছাড় করতে পারেনি।
বারবার তাগাদা ও কয়েক দফা চিঠি পাঠিয়েও পদ্মা ব্যাংক টাকা ফেরত দেয়নি বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
২০১৮ সালের এপ্রিলে সুদসহ অপরিশোধিত অর্থের পরিমাণ ১২২ কোটি ৯৩ লাখ টাকায় উন্নীত হওয়ার পর করপোরেশন প্রাথমিকভাবে সহায়তার জন্য সরকারের দারস্ত হয়। এই প্রচেষ্টার পরও তহবিল পুনরুদ্ধার হয়নি।
আগস্টের শেষে পদ্মা ব্যাংকের মোট পাওনা দাঁড়িয়েছে ১২৬ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। ব্যাংকটিতে একাধিকবার ফলোআপ চিঠি পাঠানো হলেও এখন পর্যন্ত জীবন বীমা করপোরেশন কোনো সাড়া পায়নি।
আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি কমে ৯.৯২ শতাংশ
৪২৮ দিন আগে
বাংলাদেশকে ২ বিলিয়ন ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি বিশ্বব্যাংকের
বাংলাদেশকে ঋণ বাড়ানোর আশ্বাস দিয়ে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক বলেছেন, জরুরি সংস্কার, বন্যা মোকাবিলা, উন্নত বায়ুর মান এবং স্বাস্থ্যের জন্য চলতি অর্থবছরে বিশ্বব্যাংক প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার নতুন অর্থায়ন করতে পারে।
মঙ্গলবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি নতুন এই সহায়তার কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার এজেন্ডায় সহায়তা করার জন্য চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশকে ঋণ বাড়াতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ব্যাংকটি দেশের গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক প্রয়োজনে সহায়তা করবে উল্লেখ করে সেক বলেন, ‘আমরা আপনাকে যত তাড়াতাড়ি এবং যত বেশি সম্ভব সমর্থন করতে চাই।’
আরও পড়ুন: জাতি পুনর্গঠনে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চান ইউনূস
তিনি বলেন, নতুন প্রতিশ্রুতি ছাড়াও, বাংলাদেশের সব উন্নয়ন সহযোগীদের প্রধান উপদেষ্টার সহায়তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে সরকারের সঙ্গে পরামর্শ করে বহুপাক্ষিক ঋণদাতা সংস্থাটি বিদ্যমান প্রোগ্রামগুলোতে আরও প্রায় এক বিলিয়ন ডলার অতিরিক্ত দেবে কি না তা পুনর্বিবেচনা করবে।
সেক বলেন, বিদ্যমান প্রকল্পগুলোতে অর্থায়নের ক্ষেত্রে পুনর্বিবেচনা হলে চলতি অর্থবছরে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে সহজ শর্তে যে ঋণ ও অনুদান দেবে তার পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াবে প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলারে।
বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি চিফ বলেন, সংস্কারগুলো সম্পন্ন হওয়া বাংলাদেশ এবং প্রতি বছর শ্রমবাজারে যোগ দেওয়া ২০ লাখ মানুষসহ তরুণ জনগোষ্ঠীর জন্য 'অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ'।
প্রধান উপদেষ্টা বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি হেডকে বলেন, বাংলাদেশের সংস্কারে অর্থায়নের জন্য ব্যাংকের শিথিলতা প্রয়োজন এবং ১৫ বছরের 'চরম অপশাসনের' পর নতুন যাত্রায় সহায়তা করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘এই ভগ্নদশা থেকে আমাদের নতুন কাঠামো তৈরি করতে হবে। শিক্ষার্থীদের স্বপ্নের দিকে নজর দিতে হবে।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের সাহায্য করুন। আমাদের অংশ হোন।’
আরও পড়ুন: একসঙ্গে কাজ করুন, বিশ্বে কার্যকর প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বাড়ান: শীর্ষ ব্যবসায়ীদের প্রতি ড. ইউনূস
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, শেখ হাসিনার ১৫ বছরের দীর্ঘ স্বৈরশাসনের সময় দুর্নীতিবাজদের বাংলাদেশ থেকে চুরি করা কোটি কোটি ডলারের সম্পদ পুনরুদ্ধারে বিশ্বব্যাংককে কারিগরি সহায়তা দেওয়ার আহ্বান জানান অধ্যাপক ইউনূস।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘চুরি যাওয়া সম্পদ ফিরিয়ে আনার প্রযুক্তি আপনাদের আছে।’ ‘দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ' গড়তে বাংলাদেশেরও বিশ্বব্যাংকের দক্ষতার প্রয়োজন হবে।
বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি চিফ চুরি যাওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে সম্মত হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা আপনাকে সাহায্য করতে পেরে খুশি।’
তিনি বলেন, ব্যাংকটি বাংলাদেশকে ডেটা স্বচ্ছতা, ডেটা সম্পূর্ণতা, কর সংগ্রহে ডিজিটালাইজেশন এবং আর্থিক খাতের সংস্কারেও সহায়তা করতে চায়।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ তার প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঠিক করার এবং বড় ধরনের সংস্কার করার এই সুযোগ হারাতে পারে না।
আরও পড়ুন: আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে ব্যাংকিং কমিশন গঠন করা হবে: ড. ইউনূস
তিনি বলেন, 'একবার হারিয়ে গেলে আর ফিরে আসবে না।’
জুলাই-আগস্ট ছাত্র-নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহের শহীদদের প্রতি শোক জানান সেক।
তিনি বলেন, ঢাকার দেয়ালে তরুণদের আঁকা দেয়ালচিত্র ও ম্যুরাল দেখে তিনি মুগ্ধ হয়েছেন।
তিনি বলেন, 'আমার ৩০ বছরের ক্যারিয়ারে এমন দৃশ্য কোথাও দেখিনি।’
সেক বলেন ‘তাদের ক্ষমতায়ন করা দরকার।’
৪৪৪ দিন আগে
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন: ইউএনএইচসিআরের সহায়তা চাইলেন অধ্যাপক ইউনূস
নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ১০ লাখেরও বেশি মিয়ানমারের রোহিঙ্গাকে তাদের স্বদেশে ‘স্বেচ্ছায় ও মর্যাদাপূর্ণ’ প্রত্যাবাসে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডির সহায়তা চেয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) হাইকমিশনার গ্র্যান্ডি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপকালে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করায় তাকে অভিনন্দন জানান।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, ফোনালাপে ইউএনএইচসিআর প্রধান উপদেষ্টার প্রশংসা করেছেন। বাংলাদেশ পুনর্গঠনে তিনি যে 'অবিশ্বাস্য কাজ' হাতে নিয়েছেন তাও উল্লেখ করেন তিনি।
ইউএনএইচসিআর প্রধান নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের আসন্ন অধিবেশনের সাইডলাইনে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে বৈঠকে অংশ নেওয়ার জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে অনুরোধ করেন।
গ্র্যান্ডি প্রধান উপদেষ্টাকে জানান, তিনি চলতি বছরের অক্টোবরে বাংলাদেশ সফরের পরিকল্পনা করছেন।
আরও পড়ুন: ইউএনজি’র ৭৯তম অধিবেশন ড. ইউনূসের সরকারের জন্য বড় সুযোগ: কুগেলম্যান
দুই নেতা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘাতের কারণে বাস্তুচ্যুত হাজার হাজার মানুষের বিষয়সহ রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেন।
অধ্যাপকব ইউনূস বাংলাদেশের আশ্রয় শিবিরের অভ্যন্তরে বেড়ে ওঠা রোহিঙ্গা শিশুদের উন্নত ভবিষ্যত গড়ে তুলতে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার সহায়তাও কামনা করেন।
২৭ আগস্ট শরণার্থীদের প্রতি অধ্যাপক ইউনূসের নতুন প্রতিশ্রুতিকে স্বাগত জানায় ইউএনএইচসিআর। তিনি ধারাবাহিক আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অব্যাহত সংহতি গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন। যাতে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা শেষ পর্যন্ত নিরাপদ, মর্যাদা এবং পূর্ণ অধিকারের সঙ্গে মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন করতে পারে।
ইউএনএইচসিআর-এর মতে, ২০২৪ সালে মানবিক সহায়তা প্রদানকারী সংস্থাগুলো রোহিঙ্গা শরণার্থী ও আশপাশের কমিউনিটিতে বাংলাদেশিসহ প্রায় ১৩ লাখ ৫০ হাজার মানুষকে সহায়তার জন্য ৮৫ কোটি ২০ লাখ ডলারের আবেদন করেছিল। এই আবেদনটির আলোকে পর্যাপ্তভাবে অর্থায়ন করা হয়নি।
সাত বছর আগে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশু মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়।
ইউএনএইচসিআর বলছে, শরণার্থীদের সবচেয়ে মৌলিক চাহিদা পূরণ ও সুরক্ষা প্রদানে বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদার সমর্থন গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: অধ্যাপক ইউনূস জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দেবেন: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
চলতি মাসে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দেবেন ইউনূস: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
৪৫৮ দিন আগে
বন্যার্তদের সহায়তায় একদিনের বেতন দান সেনা সদস্যদের
বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় একদিনের বেতন দান করেছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
আইএসপিআর জানায়, বন্যার্তদের সহায়তায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সব পদবির সদস্যদের একদিনের বেতনের সমপরিমাণ অর্থ দেওয়া হয়েছে প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে।
আরও পড়ুন: ‘৫০ বছরে ফটিকছড়িতে এমন বন্যা দেখিনি’
ফেনী, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, নোয়াখালী, সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জে সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় এই অর্থ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে চলমান বন্যায় ১৩ জনের প্রাণহানি ঘটেছে এবং ১১টি জেলার ৪৪ লাখের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে শুক্রবার জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
বন্যায় ৭৭টি উপজেলার ৫৮৪টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৮ লাখ ৮৭ হাজারের বেশি পরিবার এই ধ্বংসযজ্ঞের শিকার হয়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: কাপ্তাই হ্রদে তলিয়ে গেছে রাঙ্গামাটির ঝুলন্ত সেতু
বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল
৪৬৯ দিন আগে
দক্ষ কর্মী তৈরিতে ১০০ কোটি টাকা সহায়তা দিতে চায় কোরিয়া: প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী
প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশে দক্ষ কর্মী গড়তে ১০০ কোটি টাকার সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (কোইকা)।
রবিবার (৭ জুন) মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে কোইকার প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মধ্যপ্রাচ্যের শ্রমবাজার-সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে ৩ দেশ সফরে প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী
তিনি বলেন, কোইকা চট্টগ্রামের বাংলাদেশ-কোরিয়া কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি আধুনিকায়ন ও চাহিদানির্ভর দক্ষ জনশক্তি গড়তে আর্থিক সহায়তা করবে বলে প্রস্তাব করেছে। আমরা প্রস্তাবটিকে ভালো মনে করছি। এজন্য দ্রুত তাদের প্রস্তাবটি বাস্তবায়ন করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে বলেছি।
প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, দক্ষ জনবল গড়তে কোরিয়ার এ ধরনের সহযোগিতার প্রস্তাব আমাদের কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোকে আরও যুগোপযোগী করবে। এসব কেন্দ্র আমাদের জনবলকে দক্ষভাবে গড়ে তুলতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. খায়রুল আলম, বিএমইটিয়ের মহাপরিচালক সালেহ আহমেদ মোজাফফর, কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির কান্ট্রি ডিরেক্টর তাইয়ং কিম।
আরও পড়ুন: ভিসার সময় বাড়াতে মালয়েশিয়া সরকারের কাছে আবেদন করা হয়েছে: প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী
মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোতে গাফিলতির তদন্ত করা হবে: প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী
৫১৫ দিন আগে
হজযাত্রীদের ভিসা প্রক্রিয়ায় সহায়তার প্রতিশ্রুতি সৌদি রাষ্ট্রদূতের
বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত এসা ইউসেফ এসসা আলদুহাইলান বলেছেন, এখনো ভিসা পাননি এমন হজযাত্রীদের ভিসা দেওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছেন তিনি।
সোমবার(১৩ মে) গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ আশ্বাস দেন তিনি।
হজযাত্রীদের আসন্ন হজে অংশগ্রহণের সুযোগ করে দিতে ভিসা প্রক্রিয়ার সময়সীমা বাড়াতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়। নানা জটিলতায় এখনো ১০ হাজারের বেশি হজযাত্রী সৌদি আরব থেকে ভিসা পাননি।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার এম নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
আলোচনাকালে রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সৌদি বিনিয়োগকারীদের প্রস্তাবনার একটি তালিকা উপস্থাপন করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এই প্রস্তাবগুলো সতর্কতার সঙ্গে পর্যালোচনা করবে এবং অগ্রসরের আগে পুঙ্খানুপুঙ্খ মূল্যায়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেবে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগ বিষয়টি খতিয়ে দেখবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।
আরও পড়ুন: বিএনপি যে কখন তাবিজ-দোয়ার ওপর ভর করে সেটিই প্রশ্ন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এসময় ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থনসহ বৃহত্তর ভূ-রাজনৈতিক বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফিলিস্তিনি জনগণকে সহায়তায় বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে সাম্প্রতিক সহায়তার চালানের কথা উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও তার অল্প কিছু মিত্র দেশ ছাড়া সারা বিশ্ব ফিলিস্তিনের পাশে আছে।’
এছাড়াও, সৌদি আরবে বসবাসরত প্রায় ৩২ লাখ বাংলাদেশি উভয় দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। শেখ হাসিনা সৌদি সরকারকে রেমিট্যান্সের জন্য বৈধ চ্যানেল ব্যবহারকে উৎসাহিত করার আহ্বান জানান। এই প্রচেষ্টার লক্ষ্য হলো দৃঢ় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বজায় রেখে বাংলাদেশের জন্য অর্থনৈতিক সুবিধা নিশ্চিত করা।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন।
আরও পড়ুন: আশ্রয়কেন্দ্রের রোহিঙ্গাসহ স্থানীয়দের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করবে জাতিসংঘ: দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী
৫৭১ দিন আগে
ঢাকার উন্নয়নে সহায়তা অব্যাহত রাখার আশ্বাস ফরাসি-জার্মানির
বাংলাদেশের সঙ্গে পৃথকভাবে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক সম্প্রসারণে সম্মত হয়েছে ফ্রান্স ও জার্মানি। একই সঙ্গে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে এ দুই দেশ।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দপ্তরে জার্মান রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রস্টার ও ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মেরি মাসদুপুইয়ের সঙ্গে পৃথক বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এ কথা বলেন।
ইউরোপের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুই রাষ্ট্রদূত বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, জলবায়ু পরিবর্তন, নিরাপত্তা সহযোগিতা এবং বিমান চলাচল ও শিক্ষা খাতে সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেন।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটি অবশ্যই বাংলাদেশ সরকারের অগ্রাধিকারের বিষয় এবং এ বিষয়ে ফ্রান্সের সঙ্গে আলোচনায় আরও অগ্রগতি হবে।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসকে নিয়ে 'লবিস্ট সমর্থিত' বিবৃতি বিদেশি বিনিয়োগে প্রভাব ফেলবে না: হাছান মাহমুদ
ইউরোপীয় এভিয়েশন জায়ান্ট এয়ারবাস থেকে উড়োজাহাজ কেনার বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনীতি যখন পারমিট করবে তখনই বাংলাদেশ কিনবে।
বিমান কেনার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত কি না- জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, ক্রয়ের বিষয়ে এ ধরনের 'চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত' পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নেওয়া হয় না।
দুই রাষ্ট্রদূত নিজ নিজ সরকার প্রধানের অভিনন্দনপত্র হস্তান্তর করেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, এ দুটি দেশই বাংলাদেশের প্রধান উন্নয়ন ও বাণিজ্য অংশীদার। আগামী দিনগুলোতে সম্পর্ক আরও জোরদার করার বিষয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।
ফরাসি রাষ্ট্রদূত মেরি মাসদুপুই সাংবাদিকদের বলেন, ফ্রান্স বাংলাদেশের সঙ্গে তরুণ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য একটি নতুন এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম শুরু করতে চায়।
তিনি বলেন, ফ্রান্স ও বাংলাদেশের মধ্যে এরই মধ্যে একটি চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে এবং আগামী দিনগুলোতে দুই দেশ এই সম্পর্ক আরও গভীর করতে চায়।
সাক্ষাৎকালে তারা বাণিজ্য, জলবায়ু পরিবর্তন, সংস্কৃতিসহ সম্পর্কের বিভিন্ন দিক নিয়ে পর্যালোচনা করেন।
মেরি মাসদুপুই আরও বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানে বাংলাদেশ ও ফ্রান্স একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হয়েছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, ফ্রান্স ও জার্মানি বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক গভীর করতে সম্মত হয়েছে এবং বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় সহায়ক ভূমিকা পালনের আশ্বাস দিয়েছে।
আরও পড়ুন: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের হাইকমিশনার ও রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
নির্বাচন পরবর্তী প্রথম সরকারি সফর হিসেবে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
৬৮০ দিন আগে
উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য বীজ-সার ও কৃষি উপকরণ সহায়তা বাড়ানো হবে: কৃষিমন্ত্রী
ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কৃষকদের মাঝে ভালো বীজ, সারসহ বিভিন্ন কৃষি উপকরণ সহায়তা বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ।
তিনি বলেন, যেভাবেই হোক ফসলের উৎপাদন আমাদের বাড়াতে হবে। কোনো অবস্থাতেই বীজ, সার প্রভৃতি কৃষি উপকরণের কোনো রকম ঘাটতি হবে না, সংকট হবে না। উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য বেশি করে কৃষি উপকরণ দেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার(১৮ জানুয়ারি) দুপুরে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সাতবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ড. আব্দুস শহীদ কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ায় তার নির্বাচনি এলাকা শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য সংগঠন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: আমি পেশায়-নেশায় সবকিছুর মধ্যে কৃষক: কৃষিমন্ত্রী
তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির পেছনে সিন্ডিকেট কাজ করে। কীভাবে এই সিন্ডিকেট ভাঙা যায়, তার কার্যকর পদ্ধতি বের করতে আমরা চেষ্টা করছি। মজুতদারদের রোধ করতে হবে।
দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের বিভিন্ন দিক উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শই আমার জীবনে সবচেয়ে বড় পুঁজি। এই আদর্শের কারণেই বঙ্গবন্ধু আমাকে ভালোবাসতেন। স্বাধীনতার পর লন্ডনে গিয়ে স্থায়ী হওয়ার সুযোগ ছিল, কিন্তু বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করি বলেই সেখানে যাইনি। দেশে থেকে জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছি। এখন জনগণের ভালোবাসাই আমার সম্পদ। এই সম্পদ রক্ষায় আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।
পরে সন্ধ্যায় মন্ত্রী শ্রীমঙ্গলে ফুলছড়া চা বাগানের শীতার্ত ও অসহায় চা-শ্রমিকদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন।
আরও পড়ুন: কৃষিপণ্যের মধ্যস্বত্বভোগীদের ধ্বংস করে দেওয়া হবে: কৃষিমন্ত্রী
৬৮৭ দিন আগে