সহযোগিতা
বাণিজ্য-যোগাযোগ ও বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা বাড়াতে সম্মত ঢাকা-থিম্পু
ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুকের সঙ্গে তার সফরকালীন আবাসস্থলে সাক্ষাৎ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
সাক্ষাৎকালে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার বর্তমান চমৎকার স্তর নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে উভয় পক্ষ।
তারা ব্যবসা-বাণিজ্য, যোগাযোগ, বিদ্যুৎ, কৃষি, শিক্ষা, সংস্কৃতি, জনগণের মধ্যে যোগাযোগ ইত্যাদি ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াতে সম্মত হন।
সোমবার(২৫ মার্চ) সকালে ঢাকায় আসেন ভুটানের রাজা।আরও পড়ুন: চার দিনের সফরে সোমবার ঢাকায় আসছেন ভুটানের রাজা
গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর নতুন সরকার গঠনের পর এটিই কোনো বিদেশি অতিথির প্রথম রাষ্ট্রীয় সফর।
একটি বিশেষ বিমানে রাজা এবং তার প্রতিনিধি দলের সদস্যরা ঢাকায় অবতরণের পর তাদেরকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন এবং ফার্স্ট লেডি।
১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর ভুটানের তৃতীয় রাজা টেলিগ্রামের মাধ্যমে স্বীকৃতির বার্তা পাঠানোর মধ্য দিয়ে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতি দেয় ভুটান।
সেই থেকে বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে একটি বিশেষ বহুমাত্রিক দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক রয়েছে। স্বাধীনতার পরপরই ভুটান সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের উদ্যোগ নেয় এবং ফলস্বরূপ, ১৯৭৩ সালের ১২ এপ্রিল আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন ভুটানের রাজা
বাংলাদেশের গণমাধ্যমের উন্নয়নে সহযোগিতার আশ্বাস কাতারের
বাংলাদেশের গণমাধ্যমের উন্নয়নে এবং বাংলাদেশে বৈশ্বিক গণমাধ্যম তৈরিতে সহযোগিতা করবে কাতার।
শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় বিকালে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) এর সদস্য দেশগুলোর তথ্যমন্ত্রীদের ইসলামিক সম্মেলনের সাইডলাইনে বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত কাতার মিডিয়া করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকতা শেখ আবদুল আজিজ বিন থানি আল-থানির সঙ্গে সাক্ষাৎ করলে তিনি এ সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
আল জাজিরার মতো বৈশ্বিক গণমাধ্যম তৈরির অভিজ্ঞতার আলোকে কীভাবে বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র গড়ে তোলা যায় তা নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা করেন প্রতিমন্ত্রী ও কাতারের মিডিয়া করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।
এ সময় গণমাধ্যম সেক্টরে দুই দেশের মধ্যে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক বিনিময়ের ব্যাপারে তার উভয়ে একমত পোষণ করেন। এর মাধ্যমে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের আরও উন্নয়ন ঘটবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
শ্রমবাজার ইস্যুতে কাতারের শ্রম মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
বাংলাদেশি নারীদের ভাষা শিক্ষায় সহযোগিতা দেবে ইইউ
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াটলিসহ প্রতিনিধি দল।
রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে শিক্ষামন্ত্রীর অফিসে সৌজন্য এ সাক্ষাৎ করেন হোয়াটলিসহ প্রতিনিধিরা।
আরও পড়ুন: এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শনে যাবেন না শিক্ষামন্ত্রী
সাক্ষাতে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বাংলাদেশের নারীদের ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত বিভিন্ন দেশের ভাষা শিক্ষা এবং বিভিন্ন দক্ষতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে সহায়তা করার বিষয়ে সহযোগিতা করতে চান। যাতে বাংলাদেশের নারীরা ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখতে পারেন।
এই সময় প্রতিনিধি দল সাধারণ শিক্ষার সঙ্গে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার উন্নয়নে অতীতের মতো ভবিষ্যতেও বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ডেলিগেশনের হিউম্যান ক্যাপিটাল ডেভেলপমেন্টের টিম লিডার জুরাটি স্মালস্কিসটি।
আরও পড়ুন: চবিতে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ: উপাচার্যকে ব্যবস্থা নিতে শিক্ষামন্ত্রীর অনুরোধ
নতুন শিক্ষা ব্যবস্থা পরিবর্তনের পরিকল্পনা নেই: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষার মান উন্নয়নে সহযোগিতার আশ্বাস এডিবির
বাংলাদেশের কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা, শিক্ষক প্রশিক্ষণ ও শিক্ষার মান উন্নয়নে সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছে বাংলাদেশে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিংয়ের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সচিবালয়ে শিক্ষামন্ত্রীর দপ্তরে মহিবুল হাসান চৌধুরীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ আশ্বাস দেয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে জলবায়ু অগ্রাধিকার সমর্থনে ৪০০ মিলিয়ন ডলার দেবে এডিবি
এডিবির পক্ষ থেকে বলা হয়, কারিগরি ও সাধারণ ধারার মধ্যে কার্যকর সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও গতিশীল শিক্ষা ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক বাংলাদেশের পাশে থাকবে।
এ সময় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার গতানুগতিক শিক্ষাক্রমের পরিবর্তে একটি দক্ষতা নির্ভর ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণভিত্তিক শিক্ষাক্রম চালু করেছে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় জ্বালানি সরবরাহ বাড়াতে ১৬০ মিলিয়ন ডলার দেবে এডিবি
তিনি আরও বলেন, নতুন শিক্ষাক্রম দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজার চাহিদা মোকাবিলা করে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখবে।
মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে এশীয় অঞ্চলের দেশগুলোর শিক্ষণ-শিখন অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে এডিবি ভূমিকা রাখতে পারে।
আরও পড়ুন: বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের মধ্যেও উন্নয়নশীল এশিয়ায় বলিষ্ঠ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস এডিবির
এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং বলেন, বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় জনসংখ্যাকে মানবসম্পদে রূপান্তর করতে নতুন শিক্ষাক্রম সহায়ক হবে।
রেলের উন্নয়নে আরব আমিরাতের সহযোগিতা চান রেলপথমন্ত্রী
রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সহযোগিতা কামনা করেছেন রেলপথমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রেল ভবনে মন্ত্রীর অফিস কক্ষে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকে একথা বলেন রেলমন্ত্রী।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতের যে সুসম্পর্ক তৈরি করেছিলেন তা আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আহ্বানও জানান তিনি। একই সঙ্গে বাংলাদেশ রেলওয়ের বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পসমূহে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে বিভিন্ন লজিস্টিক সাপোর্ট দিয়ে রেলের উন্নয়নে কাজ করার অনুরোধ জানান মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: মার্চেই কালুরঘাট সেতুতে যান চলাচল শুরু হবে: রেলমন্ত্রী
তিনি বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভিন্ন সেক্টরের দক্ষতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এবং অপারেশন সেক্টরে সহযোগিতাসহ, বাংলাদেশের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে রেলের উন্নয়নের সহযোগিতা করতে পারে সংযুক্ত আরব আমিরাত।
আরও পড়ুন: পুরোনোদের অভিজ্ঞতা নিয়ে রেলকে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়া হবে: রেলমন্ত্রী
সহযোগিতার সম্ভাবনার ক্ষেত্র খুঁজছে বাংলাদেশ-কানাডা
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশ ও কানাডা আরও সহযোগিতার ক্ষেত্র অনুসন্ধান করে দু'দেশের মধ্যে বিদ্যমান বহুমুখী সম্পর্ক সম্প্রসারণে আগ্রহী।
বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকোলসের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘কানাডার সঙ্গে আমাদের চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে। কানাডার সঙ্গে আমাদের একাধিক বিষয়ে সম্পর্ক রয়েছে। তারা (কানাডা) এই সম্পর্ক বিস্তৃত ও সম্প্রসারণ করতে চায়।’
সাংবাদিকদের সঙ্গে পৃথকভাবে আলাপকালে হাই কমিশনার বলেন, তাদের 'বহুমুখী' ও দীর্ঘদিনের সম্পর্ক নিয়ে তারা ' প্রথম ফলপ্রসূ আলোচনা' করেছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে প্রস্তুত ইউএই: পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি
এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে তিনি বলেন, 'জনগণের সঙ্গে জনগণের শক্তিশালী সম্পর্ক, ক্রমবর্ধমান বাণিজ্যিক সম্পর্ক এবং একটি ক্রমবর্ধমান উন্নয়ন কর্মসূচির মাধ্যমে সম্ভাব্য সহযোগিতার অনেক ক্ষেত্র রয়েছে যা আমাদের উভয় দেশের নাগরিকরা উপকৃত হবে।’
তিনি বলেন, বৈঠকে তারা সঠিক গণতন্ত্রের জন্য গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, নাগরিক সমাজ ও বিকল্প কণ্ঠস্বরের গুরুত্ব নিয়েও আলোচনা করেছেন।
হাইকমিশনার রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় কানাডার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
মানবাধিকার ইস্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মানবাধিকার একটি বৈশ্বিক ইস্যু এবং এটি আমেরিকা, ইউরোপ ও কানাডায়ও একটি ইস্যু। 'আমরাও এ বিষয়ে কাজ করছি।'
এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'আমরা গণতন্ত্রের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি, কারণ আমাদের গণতন্ত্রের সুষ্ঠু চর্চা করতে হবে। আমরা আমাদের বন্ধুপ্রতিম দেশগুলোর মতামতকে মূল্য দেই।’
আরও পড়ুন: বিএনপি এখন বলে, তারেক জিয়াই সব শেষ করল: নীলফামারীতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
হাইকমিশনার বলেন, ‘সম্ভাব্য সহযোগিতার অনেক ক্ষেত্র রয়েছে, যেগুলোতে আমাদের উভয় দেশের নাগরিকরা উপকৃত হবে।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি নূর চৌধুরীকে দেশে ফেরত পাঠিয়ে আদালতের রায় কার্যকর করার বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলোচনা করেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হাইকমিশনারের সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার নেই, তবে তিনি ঢাকার অনুরোধ তার সরকারের সঙ্গে জানাবেন।
তারা দুই দেশের মধ্যে বিশেষ সম্পর্ক এবং দীর্ঘদিনের সম্পর্ক আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে কথা বলেছেন।
হাইকমিশনার বলেন, 'আমাদের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী ও বহুমুখী সম্পর্ক রয়েছে, যার অনেকগুলো মাত্রা রয়েছে।’
আরও পড়ুন: এই সরকার জনগণের: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
হাইকমিশনার বলেন, 'আমরা অবশ্যই উন্নয়ন অংশীদারিত্বের বিকাশ নিয়েও কথা বলেছি এবং এগুলোর প্রত্যেকটি কীভাবে আমাদের দুই দেশের যৌথ সহযোগিতার অনেক সুযোগ এনে দিয়েছে তা নিয়েও কথা বলেছি।’
হাইকমিশনার বলেন, ভালো বন্ধু হিসেবে তারা মত প্রকাশের স্বাধীনতার গুরুত্ব, নাগরিক সমাজের অসাধারণ মূল্যবোধ এবং একটি প্রাণবন্ত নাগরিক সমাজ সম্পর্কে খুব খোলামেলা কথা বলেছেন।
‘আমরা বিকল্প কণ্ঠস্বর ও দৃষ্টিভঙ্গির গুরুত্ব সম্পর্কে কথা বলেছি’, তিনি বলেন। হাইকমিশনার রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, 'রোহিঙ্গা সংকটে কানাডার অব্যাহত সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করারও সুযোগ পেলাম।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আশাবাদী পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তৈরি পোশাক খাতে সহযোগিতার সুযোগ নিয়ে বিজিএমইএ প্রধানের সঙ্গে ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত আলোচনা করলেন
বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত ক্রিশ্চিয়ান ব্রিক্স মোলার রবিবার (২৮ জানুয়ারি) বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎকালে তারা প্রধানত বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের বর্তমান অবস্থা, বৈশ্বিক বাজারের গতিশীলতা, চ্যালেঞ্জ এবং টেকসই উন্নয়নের অগ্রাধিকার সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
বৈঠকে ডেনমার্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে বিশেষ করে পোশাক শিল্পের সাসটেইনেবিলিটি, সার্কুলারিটি এবং জ্বালানি সাশ্রয়ী প্রযুক্তির সমন্বয়ের ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধির সম্ভাবনা নিয়েও বৈঠকে আলোচনা করা হয়।
আরও পড়ুন: জনপ্রশাসন মন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের হাই কমিশনারের সাক্ষাৎ
বৈঠকে আসন্ন ইইউ ডিউ ডিলিজেন্সের জন্য বাংলাদেশের তৈরি পোশাক ও টেক্সটাইল কোম্পানিগুলোর প্রস্তুতির বিষয়েও আলোচনা হয়।
ফারুক হাসান রাষ্ট্রদূত ক্রিশ্চিয়ান ব্রিকস মোলারকে বিজিএমইএর কৌশলগত রূপকল্প সম্পর্কে জানান।
তিনি বলেন, এই রূপকল্পের মূলে রয়েছে সাসটেইনেবিলিটির উপর গুরুত্ব দিয়ে পণ্য ও বাজার বৈচিত্র্যকরণ, উদ্ভাবন, দক্ষতার ঘাটতি পূরণ এবং দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে বিশ্ব বাজারে পোশাক শিল্পের অবস্থান আরও উন্নীত করা।
তিনি শীর্ষস্থানীয় ডেনিশ ফ্যাশন ইনস্টিটিউটগুলোর মাধ্যমে বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউএফটি) শিক্ষার্থীদের পণ্য ও ডিজাইনের উন্নয়নের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলোতে জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধি করার করার ব্যাপারে ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূতের সহযোগিতা কামনা করেন।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিজিএমইএ স্ট্যান্ডিং কমিটির অন ফরেন মিশন সেলের চেয়ারম্যান শামস মাহমুদ, বিজিএমইএ স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ট্রেড ফেয়ার এর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ কামাল এবং রোজ ইনটিমেটস লিমিটেডের পরিচালক সঞ্জয় কুমার নাহা।
বৈঠকে ঢাকাস্থ ডেনমার্ক দূতাবাস থেকে উপস্থিত ছিলেন- সিনিয়র বাণিজ্য উপদেষ্টা, সাদিয়া তৌফিক সাদী এবং সাপ্লাই চেইন বিশেষজ্ঞ আলী আশরাফ খান।
আরও পড়ুন: বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সিআইএস-বিসিসিআইকে একযোগে কাজের আহ্বান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর
সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা হলেন জিএম কাদের, উপনেতা আনিসুল ইসলাম
বাজার স্থিতিশীল রাখতে ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা চাইলেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
বাজারে পণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা চেয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ সহযোগিতা চান।
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও মজুতদারি রোধে কঠোর হবে সরকার: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের কোনো ঘাটতি না থাকলেও সরবরাহ চেইন ব্যাহত হওয়ায় ঘাটতি দেখা যাচ্ছে।
বাজার স্থিতিশীল করতে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করে টিটু তার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
এদিকে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি আশরাফ আহমেদ সরকারকে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহসভাপতি মালিক তালহা ইসমাইল বারী, সহসভাপতি মো. জুনায়েদ ইবনে আলী এবং পরিচালনা পর্ষদের অন্যান্য সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: পাট ও চামড়া খাতে বিনিয়োগে ইইউ ও যুক্তরাজ্যের প্রতি বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর আহ্বান
চীনের পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসে ৪৭ জনের মৃত্যু
বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মসূচিতে সহযোগিতা করতে ফ্রান্সের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
২০০৯ সাল থেকে তার সরকারের বাস্তবায়িত উন্নয়ন কর্মসূচিগুলোর স্থায়িত্ব নিশ্চিত করতে ফ্রান্সসহ উন্নয়ন সহযোগীদের সহযোগিতা কামনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়নকে টেকসই করতে হলে আমাদের আরও অনেক দূর যেতে হবে। এক্ষেত্রে আমাদের ফ্রান্সসহ উন্নয়ন সহযোগীদের সহযোগিতা প্রয়োজন।’
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) তার সরকারি বাসভবন গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান বাংলাদেশে নিযুক্ত ফরাসি রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসদুপুই। এ সময় শেখ হাসিনা এ আহ্বান জানান। সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার এম নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের মতো স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে ৬ বছরের জিএসপি+ সুবিধা দিতে ইইউ'র প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বাংলাদেশে গ্রামীণ এলাকায় দারিদ্র্য, বন্যা ও খরার মতো বিষয়গুলো কমে এসেছে বলে প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রদূতকে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আজকের বাংলাদেশের চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন।’
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশের প্রতিটি গ্রামে এখন বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার পাশাপাশি যোগাযোগ নেটওয়ার্ক গড়ে উঠেছে।
তিনি বলেন, ‘গ্রামীণ এলাকার অনেক পরিবর্তন হয়েছে এবং দারিদ্র্য উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার দরিদ্র মানুষের জন্য গ্রামাঞ্চলে ফ্ল্যাট নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে। শহরাঞ্চলেও এ ধরনের ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হচ্ছে।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে তিনি বলেন, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের অবশ্যই তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসন করতে হবে।
তারা মাদক ও অস্ত্র চোরাচালানসহ নানা ধরনের অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। তারা শিক্ষা বা কাজের সঙ্গে জড়িত নয়।
তিনি বলেন, প্রত্যাবাসন ছাড়া অপরাধ পুরোপুরি বন্ধ করা যাবে না।
তিনি রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনে ফ্রান্সসহ পশ্চিমা দেশগুলোকে আরও চাপ বাড়ানোর আহ্বান জানান।
আটকে পড়া পাকিস্তানিদের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের চতুর্থ প্রজন্ম এখানে বসবাস করছে।
তিনি বলেন, ‘মনে হচ্ছে পাকিস্তান তাদের ফেরত নেবে না। তাই আমরা এখানে তাদের স্থায়ী পুনর্বাসন নিশ্চিত করতে তাদের জন্য ফ্ল্যাট নির্মাণের পরিকল্পনা করছি।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনে ভোটারদের অংশগ্রহণের জন্য শান্তিপূর্ণভাবে কাজ করুন: প্রার্থীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
তিনি ফরাসি গ্যাস কোম্পানিগুলোকে অনুসন্ধানসহ বাংলাদেশের গ্যাস খাতে বিনিয়োগের অনুরোধ জানান।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ও হাইকমিশনার এয়ারবাস ক্রয় ও বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ উৎক্ষেপণসহ দ্বিপক্ষীয় কিছু বিষয়ে আলোচনা করেন।
রাষ্ট্রদূত মাসদুপুই ৭ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর একটি বার্তা হস্তান্তর করেন।
তিনি দু'দেশের মধ্যে চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন, যা বিশেষ করে ২০২১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফ্রান্স সফর এবং ২০২৩ সালে ম্যাক্রোঁর ঢাকা সফরের পর জোরদার হয়েছে।
জলবায়ু ইস্যুতে রাষ্ট্রদূত বলেন, তার দেশ বাংলাদেশকে লস অ্যান্ড ড্যামেজ ইউটিলাইজেশন ফান্ড ব্যবহারের ক্ষেত্রে অগ্রগামী হিসেবে দেখতে চায়।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
তিনি বলেন, ফ্রান্স বাংলাদেশকে গ্রিন এনার্জি ট্রানজিশনে সহায়তা করতে চায়।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, তার দেশ ব্লু ইকোনমি ও সাইবার নিরাপত্তায় বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে চায়।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ এম জিয়াউদ্দিন ও মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষয়ক্ষতি তহবিল সম্পূর্ণরূপে চালু করুন: ধনী দেশগুলোর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
দক্ষিণ শীর্ষ সম্মেলন: ঐক্য, সংহতি ও সহযোগিতার ডাক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ টেকসই উন্নয়নের চূড়ান্ত লক্ষ্য অর্জনে দক্ষিণ বিশ্বের দেশগুলোর প্রতি ঐক্য, সংহতি ও সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন।
পূর্ব আফ্রিকার দেশ উগান্ডার রাজধানী কাম্পালার স্থানীয় সময় রবিবার সন্ধ্যায় ৭৭ জাতি গ্রুপ ও চীনের তৃতীয় দক্ষিণ শীর্ষ সম্মেলনের সাধারণ বিতর্ক সভায় (জেনারেল ডিবেট) তিনি এ আহ্বান জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘দক্ষিণ বিশ্বের দেশগুলো শক্তিশালী দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতার মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন, যুদ্ধ, নিষেধাজ্ঞা-পাল্টা নিষেধাজ্ঞা, ঋণ সংকট ও ক্রমবর্ধমান সুরক্ষাবাদের কারণে সৃষ্ট বৈশ্বিক সংকটের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আরও সক্ষম হবে।’
আরও পড়ুন: ন্যাম সামিট: বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ
১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেওয়া ঐতিহাসিক ভাষণকে স্মরণ করে ড. হাছান বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বঙ্গবন্ধুর সমতা ও মানবিক মূল্যবোধের বাণী এখনও প্রাসঙ্গিক।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী একটি ন্যায়সঙ্গত বিশ্ব গড়তে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর জোর দেন। এর মধ্যে রয়েছে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জন বাস্তবায়নের জন্য আরও কার্যকর পদক্ষেপ, বর্তমান আন্তর্জাতিক আর্থিক কাঠামো সংস্কার, প্রযুক্তিগত বিভাজন মোকাবিলা, নারী-পুরুষ বৈষম্য দূর করা এবং দক্ষতা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে যুব জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়ন।
ড. হাছান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাস্তববাদী উন্নয়ন নীতির ফলে গত দেড় দশকে বাংলাদেশে টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। তার ভাষণে ফিলিস্তিনি জনগণের স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচারের অধিকার অর্জনের সংগ্রামের সমর্থনে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন মন্ত্রী।
এর আগে এ দিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন। দক্ষিণ বিশ্ব শীর্ষ সম্মেলনের নতুন চেয়ার উগান্ডার প্রেসিডেন্ট ইওয়েরি মুসেভেনি দু'দিন ব্যাপী এ সম্মেলন উদ্বোধন করেন।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনের সভাপতি ডেনিস ফ্রান্সিস, চীনের রাষ্ট্রপতির বিশেষ প্রতিনিধি লিউ গুওঝং এবং দ্বিতীয় দক্ষিণ শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজক কাতারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোলতান বিন সাদ আল মুরাইখি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ও জাতিসংঘে দেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবদুল মুহিত, কেনিয়া ও উগান্ডায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক মুহাম্মদ প্রমুখ প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন। মঙ্গলবার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ইস্যুকে জাতিসংঘের আলোচ্যসূচির শীর্ষে রাখতে মহাসচিবের প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অনুরোধ
কাম্পালায় ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে হাছান মাহমুদের সাক্ষাৎ