জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি)
জবি শিক্ষার্থীদের সমাবেশ শুরু
পূর্বঘোষণা অনুযায়ী জুমার নামাজ শেষে সাবেক ও বর্তমান শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিয়ে কাকরাইল মোড়ে সমাবেশ শুরু করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (১৬ মে) সকাল থেকেই সমাবেশস্থলে জড়ো হতে থাকেন শিক্ষার্থীরা।
তারা বলেন, এই ইন্টেরিম (অন্তর্বর্তী) সরকার আমাদের রক্তের সরকার। আমাদের আন্দোলনে রেখে আপনারা এসিতে বসে থাকবেন না। আপনারা জেগে উঠুন। আমাদের দাবিতে দাবিতে আপনাদের ঘুম ভেঙে যাবে।
আরও পড়ুন: আন্দোলন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে যে বার্তা দিলেন জবিসাস সেক্রেটারি
সমাবেশে (জবি) ছাত্রদলের সদস্যসচিব শামসুল আরেফিন বলেন, ‘আমরা প্রধান উপদেষ্টাকে বলতে চাই, আপনি ঘুম থেকে উঠুন, আর ঘুমাবেন না। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় তার যৌক্তিক দাবিতে আপনার দুয়ারে এসে দাঁড়িয়েছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শুনতে চায়, আপনি আমাদের জন্য কী বার্তা নিয়ে আসেন।’
এর আগে, গত বুধবার থেকে কাকরাইল মোড়ে অবস্থান করছেন জবি শিক্ষার্থীরা। দুপুর ২টার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা সমাবেশ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রায় ৫০টি বাস শিক্ষার্থীদের আন্দোলস্থলে নিয়ে এসেছে।
উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীরা চার দফা দাবিতে কাকরাইল মোড়ে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন।
চলমান আন্দোলনে তাদের দাবিগুলো হলো—
১. বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে আবাসন বৃত্তি চালু করা।
২. জবির প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাটছাঁট না করে অনুমোদন দেওয়া।
৩. দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ একনেক সভায় পাস ও দ্রুত বাস্তবায়ন।
৪. ১৪ মে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের অতর্কিত হামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা।
২০৩ দিন আগে
জবি শিক্ষার্থীদের ওপর কাঁদানে গ্যাস-সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ
আবাসন ভাতাসহ তিন দফা দাবিতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনা অভিমুখে যাত্রার সময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের ওপর কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড এবং জল-কামান নিক্ষেপ করেছে পুলিশ।
বুধবার (১৪ মে) দুপুর পৌঁনে ১২টার দিকে পূর্বঘোষিত ‘লং মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি অনুযায়ী সেগুনবাগিচার কাকরাইল মোড়ে পৌঁছালে শিক্ষার্থী ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের এক পর্যায়ে এ ঘটনা ঘটে।
কাঁদানে গ্যাসে আহত শিক্ষার্থী সামিউল রহমান বলেন, ‘আমাদের যৌক্তিক দাবির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে। আমার উপর কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: জাতীয় কারাতে প্রতিযোগিতায় জবির দুই শিক্ষার্থীর স্বর্ণপদক জয়
এর আগে, আজ (বুধবার) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে ক্যাম্পাস থেকে যমুনা অভিমুখে যাত্রা শুরু করেন জবি শিক্ষার্থীরা। সোয়া ১২টার দিকে গুলিস্তানের জিরো পয়েন্ট মোড়ে পৌঁছালে তাদের বাধা দেয় পুলিশ। তবে পুলিশের বাধা অতিক্রম করে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সামনে এগিয়ে যান।
তার আগে, গতকাল (মঙ্গলবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী প্রতিনিধিরা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠকে জবির বাজেট বৃদ্ধি ও আবাসন সংকট নিরসন বিষয়ে আলোচনা হলেও দাবি মানা হয়নি বলে অভিযোগ তোলেন শিক্ষার্থীরা।
এরপর ‘জবি ঐক্য’ নামে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নতুন এক প্লাটফর্ম থেকে তিন দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় যমুনা অভিমুখে লং মার্চের ঘোষণা দেওয়া হয়।
শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি হলো—আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে কার্যকর করা, জবির ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাঁটছাট না করেই অনুমোদন করতে করা, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করা।
আরও পড়ুন: চার দফা দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
আন্দোলনে উপস্থিত রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোশাররাফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বেলাল হুসাইন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল, সদস্যসচিব সামসুল আরেফিন, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মো. আসাদুল ইসলাম, সেক্রেটারি মো. রিয়াজুল ইসলাম, বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ইসলামী ছাত্র আন্দোলন সভাপতি আব্দুল ওয়াহিদ, সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান আকাশ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি একে এম রাকিব সাধারণ সম্পাদক রায়হান হাসান রাব্বিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
২০৫ দিন আগে
জবি কলা অনুষদের নতুন ডিন অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদদীন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) কলা অনুষদের ডিন হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদদীন।
সোমবার নিযুক্ত ডিন অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদদীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক ও ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
আরও পড়ুন: জবি শিক্ষকের মৃত্যু: বিচারিক তদন্তের নির্দেশ
এসময় কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. চঞ্চল কুমার বোস, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোঃ আবুল হোসেনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ড. মো. রইছ উদদীন আগামী ৩০ নভেম্বর থেকে পরবর্তী দুই বছরের জন্য কলা অনুষদের ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
১৪৬৭ দিন আগে
ব্লাড ক্যান্সারে জবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু
ব্লাড ক্যান্সারে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
বধুবার দিবাগত রাত ৪টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান।
মৃত রবিন কুমার হালদার গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের স্নাতকোত্তর ২য় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: নাটোরে সড়ক দুর্ঘটনায় জাবির আহত শিক্ষার্থীর মৃত্যু
রবিনের সহপাঠী সাইফুল ইসলাম জানান, বুধবার রবিনের জ্বর ছিল অনেক। জ্বর না কমায় রাত ২টার দিকে ইনজেকশন দেয়া হয়েছিল। পরে রাত ৪টায় তিনি মারা যান।
এদিকে মেধাবী এই শিক্ষার্থীর অকাল মৃত্যুতে সহপাঠী ও শিক্ষকদের মাঝে শোকের ছায়া নেমেছে এসেছে।
আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত জাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু
১৬৬০ দিন আগে