ইশরাক হোসেন
চাঁদাবাজিতে আমার সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত: আসিফ মাহমুদ
রাজধানীর গুলশানে সাবেক একজন এমপির বাসায় চাঁদা আদায়ের ঘটনায় জড়িয়ে জানে আলম অপুর দেওয়া বক্তব্যকে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এই মন্তব্য করেন তিনি। আসিফ মাহমুদ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্বে আছেন।
আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘চাঁদাবাজির সঙ্গে আমার কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা নেই। আমার মনে হয় না এখনও কেউ প্রমাণ দিতে পেরেছেন যে, আমার সম্পৃক্ততা আছে। বরং যার সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে, সেই সাক্ষাৎকার একজন রাজনৈতিক নেতার বাসায় জোরপূর্বক নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এটি অত্যন্ত গুরুতর এবং পরিবারের পক্ষ থেকে এসেছে, যা যথেষ্ট বিশ্বাসযোগ্য মনে হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার সঙ্গে যে সংশ্লিষ্টতার কথা বলা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এরকম অনেক কিছু আপনারাও ইতিমধ্যে দেখেছেন। আমরা সেগুলো ডিফেন্ড করেছি। সামনেও হয়তো দেখবেন।’
রাজধানীর গুলশানে সাবেক এমপির বাসায় চাঁদা আদায়ের ঘটনায় গ্রেফতার বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) বহিষ্কৃত যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম অপুর একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, চাঁদাবাজির ঘটনার পর আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় ভিডিওটি ধারণ করেছিলেন জানে আলম অপু।
৩৫ মিনিটের ওই ভিডিওতে তিনি ঘটনার আদ্যোপান্ত বর্ণনা করেছেন। জানে আলম অপু বলেন, ‘গুলশানে চাঁদাবাজির ঘটনায় টাকার ব্যাগ নেওয়া যে ছেলেটি দেখেছি, সেটা আমি। আপনারা ফুটেজের মাধ্যমে দেখেছেন যে সমন্বয়করা চাঁদাবাজিতে জড়িত ছিলেন। গত বছর যে সমন্বয়ক মহানায়ক ছিল, তারা এবার চাঁদাবাজিতে জড়িয়েছে।’
পড়ুন: দেশে নতুন করে চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম দেখা যাচ্ছে: নাহিদ ইসলাম
তিনি আরও বলেন, ‘আমার কিছু প্রশ্ন আছে। ওইদিন ভোর ৫টার সময় জোনের ডিসি-এসিকে জানিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে পুলিশসহ শাম্মির (সাবেক এমপি) বাসায় আমরা অভিযান চালাই। সেই অভিযানের আগে গুলশানের কোনো স্থানে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছিল কি না, সেটা কি জানেন?’
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে অপুর স্ত্রী আনিসা জানান, জুলাই ৩১ তারিখ রাত সাড়ে ১১টার পর থেকে পরদিন সকাল ৭টা পর্যন্ত অপুকে বন্দি করে যে স্বীকারোক্তি নিল, তা কারা নিল? এবং গোপীবাগ কার বাসা? গোপীবাগ কি বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের বাসা না?
আনিসা অভিযোগ করেন, ইশরাক অপুকে জোর করে তুলে নিয়ে নিজের বাসায় ভিডিও করতে বাধ্য করেছেন। তিনি আরও বলেন, অপুকে তো বিএনপি নেতা ইশরাকের বাসার সামনে থেকেই ধরে নিয়ে গেছে। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরে বেড়ানো কিছু ভিডিও-ছবি সবই ইশরাকের বাসার ভিডিও।
১১২ দিন আগে
আর চুপ থাকার পরিবেশ-পরিস্থিতি নেই, ডিএসসিসির বিষয়ে উপদেষ্টা আসিফ
নিজেকে মেয়র ঘোষণা করে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন দখলের বিষয়ে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, আর চুপ থাকার মতো পরিবেশ ও পরিস্থিতি নেই। সরকারের উচ্চ পর্যায়ে এটা নিয় আলোচনার ভিত্তিতে দ্রুত সিদ্ধান্ত আসবে।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সচিবালয়ে উপজেলা পরিষদের মাধ্যমে পাবলিক লাইব্রেরির নির্মাণ কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ কথা জানান।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, এখন ডেঙ্গুর সময়। যেখানে নানা ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার কথা। সেখানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে নাগরিক সেবা ব্যাহত হচ্ছে।
কতদিন এভাবে চলবে—দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে উপদেষ্টা বলেন, 'ডেঙ্গুর বিষয়টি নিয়ে আমরা কনসার্ন আছি উচ্চপর্যায়ে থেকে। এটা নিয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব একাধিক বৈঠক করেছেন। সিটি করপোরেশনগুলো কনসার্ন আছে। সিটি করপোরেশনগুলোর কার্যক্রম সারফেসে আপনারা হয়তো দেখছেন না। এটা নিয়ে ডেডিকেটেডলি আমরা আপনাদেরকে ব্রিফ করব। কী কী উদ্যোগ আমরা নিচ্ছি, কী কী উদ্যোগ আমরা নেব। একই সঙ্গে এ বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করাটা জরুরি।'
আরও পড়ুন: ঢাকা দক্ষিণ সিটির বিষয়ে দ্রুতই ব্যবস্থা: উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
তিনি বলেন, 'এক্ষেত্রে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে আমাদের চ্যালেঞ্জ আছে। সেখানে স্বাভাবিক কার্যক্রম স্বভাবতই ব্যাহত হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি, যতটা সম্ভব বাইরে থেকে হলেও নাগরিক সেবা স্বাভাবিক (কন্টিনিউ) রাখা এবং সেটা দেওয়া (কাভার করা)।'
আমরা দেখলাম একজন স্বঘোষিত মেয়র। নগর ভবন তার দখলে, নাগরিক সেবা বন্ধ। আপনারা সরকার নতজানু হয়ে আছেন। সরকার সমস্যা সমাধান করছে না, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নিচ্ছে না- এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা বলেন, 'এ বিষয়ে সরকার কনসার্ন আছে। এটি এককভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয় নয়। এই সরকার গুড কো-অর্ডিনেশনের মাধ্যমে কাজ করে থাকে। একই সঙ্গে আমরা যখন রাজনৈতিক দলগুলো সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের কথা বলি, সেটা রক্ষা করতে গেলে প্রত্যেকের কাছ থেকেই দায়িত্বশীল আচরণ প্রত্যাশিত। আমরা আমাদের পক্ষ থেকে দায়িত্বশীল আচরণ করার চেষ্টা করছি। তবে যেভাবে নাগরিক সেবা ডেডলকের দিকে যাচ্ছে, আর চুপ থাকার মতো পরিবেশ পরিস্থিতি নেই। সরকারের উচ্চ পর্যায়ে এটা নিয়ে কনসার্ন আছে। সেখানে আলোচনার ভিত্তিতে যেটা সিদ্ধান্ত আসে, আমি সেটাই বাস্তবায়ন করব।'
কতদিনে সিদ্ধান্ত হবে জানতে চাইলে আসিফ মাহমুদ বলেন, 'খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে।'
১৬৮ দিন আগে
ইশরাকের শপথ প্রশ্নে আদালতের রায়ের অপেক্ষায় স্থানীয় সরকার বিভাগ
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে ইশরাক হোসেনের শপথ পাঠ আদালতের রায়ের ওপর নির্ভর করছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
মঙ্গলবার (২৭ মে) সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের আইন অধিশাখা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গত ২২ মে হাইকোর্টে করা একটি রিট খারিজ হওয়ার পর ইশরাকের শপথ অনুষ্ঠানের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। তবে ২৫ মে ইশরাক নিজেই হাইকোর্টে তার আইনজীবীর মাধ্যমে একটি রিট পিটিশন দাখিল করেন।
এর পরদিন (২৬ মে) এক নাগরিকের পক্ষে ২২ মের খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে ‘লিভ টু আপিল’ (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করা হয়। এতে বিষয়টি দেশের সর্বোচ্চ আদালতে বিচারাধীন হয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: ইশরাককে মেয়র ঘোষণার গেজেট স্থগিতের আপিল শুনানি মঙ্গলবার
এ অবস্থায়, আদালতের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত ইশরাক হোসেনের শপথ অনুষ্ঠান নিয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগ অপেক্ষমাণ থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সই করেন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. সালাউদ্দিন।
১৯২ দিন আগে
ইশরাককে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে নগরভবনে বিক্ষোভ
নগরভবনের সামনে ফের বিক্ষোভ শুরু করেছেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেনের সমর্থকরা। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) কর্মচারীদের একটি অংশও তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। কোনো ধরনের বিলম্ব না করে ইশরাককে মেয়র হিসেবে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে তারা এই আন্দোলন করছেন।
৪৮ ঘণ্টার বিরতি শেষে এই বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। এতে নগরভবনের নাগরিক সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। ঢাকা শহরের বাসিন্দাদেরও ব্যাপক অসুবিধার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। নগরভবনের মূলফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ভবনের ভেতর দিয়ে ইশরাক সমর্থকরা ক্ষণে ক্ষণে মিছিল নিয়ে যাচ্ছেন এবং স্লোগান দিচ্ছেন।
ইশরাকের এক সমর্থক বলেন, ‘জনগণের মেয়র ইশরাককে দায়িত্ব বুঝিয়ে না দেওয়ার আগ পর্যন্ত আমরা এখান থেকে যাব না। দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা তাকে মেয়র হিসেবে দেখতে চাই।’
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে মিলন নামের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘ইশরাককে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার আগ পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। যখনই তাকে শপথ পড়ানো হবে, আমাদের আন্দোলন তখনই বন্ধ করবো।’
আরও পড়ুন: ঈদে ঢাকার পরিচ্ছন্নতায় দুই সিটিকে সহযোগিতার অঙ্গীকার ইশরাকের
‘তবে শুনেছি, তাকে শপথ পড়ানোর প্রস্তুতি চলছে। আমরা চাই, কোনো হেলাফেলা না করে দ্রুতই তাকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হক,’ যোগ করেন তিনি।
বিক্ষোভের কারণে গেল ১৫ মে থেকে নগর ভবন থেকে দেওয়া সব নাগরিক সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে।
২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ঢাকা দক্ষিণ সিটি নির্বাচনে ইশরাক হোসেনকে পৌনে ২ লাখ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে মেয়র হন আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপস।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গেল ২৭ মার্চ ঢাকার নির্বাচনি ট্রাইব্যুনাল সেই ফল বাতিল করে অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে।
এরপর ২৭ এপ্রিল ইশরাককে ডিএসসিসি মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু তাকে যেন শপথ পড়ানো না হয় সেজন্য গত ১৪ মে হাই কোর্টে রিট আবেদন করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বাসিন্দা ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মামুনুর রশিদ।
এমন পরিস্থিতিতে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে গত সপ্তাহের বুধবার থেকে আন্দোলন নামেন ইশরাক সমর্থকরা। তাদের আন্দোলনের কারণে ডিএসসিসি নগর ভবন কার্যত অচল হয়ে পড়ে। কিন্তু আইনি জটিলতার কথা বলে ইশরাকের শপথের আয়োজন থেকে বিরত থাকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: কাকরাইলের অবস্থান কর্মসূচি স্থগিত করলেন ইশরাক
এরপর এ রিট মামলার ওপর মঙ্গল ও বুধবার কয়েক দফা শুনানির পর বৃহস্পতিবার তা খারিজ করে আদেশ দেয় বিচারপতি আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাই কোর্ট বেঞ্চ।
এরপর ওইদিন বিকালে শপথ পড়ানোর জন্য ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়ে আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন ইশরাক।
১৯৩ দিন আগে
ঈদে ঢাকার পরিচ্ছন্নতায় দুই সিটিকে সহযোগিতার অঙ্গীকার ইশরাকের
হাইকোর্টে দায়ের করা রিট খারিজ হয়ে যাওয়ায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র পদে শপথ নেওয়ার আইনি পথ সুগম হয়েছে বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনের। এরপরই নগরবাসীর পাশে দাঁড়ানোর কথা জানিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার (২৩ মে) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এক পোস্টে নিজেকে ‘জনতার মেয়র’ হিসেবে অভিহিত করেছেন ইশরাক। সেইসঙ্গে আসন্ন ঈদুল আজহায় ডিএনসিসির পাশাপাশি ডিএসসিসির পরিচ্ছন্নতায়ও সহযোগীতার অঙ্গীকার করেছেন তিনি।
ফেসবুক পোস্টে ইশরাক হোসেন বলেছেন, শপথ কেবল একটি ফরমালিটি (আনুষ্ঠানিকতা)। জনতার মেয়র হিসেবে আগামী কোরবানির ঈদের আগে যাতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পর্যাপ্ত প্রস্তুতি থাকে, তার ওপর আমার দায়িত্ব বর্তায়।
তিনি বলেন, ‘আমি ঢাকাবাসীকে নিশ্চিত করছি, উত্তরে মেয়র না আসা পর্যন্ত সেখানকার প্রশাসন ও পরিচ্ছন্ন কর্মীদের দায়িত্ব পালনে সহযোগিতা করব।… বিকালের মধ্যে (১৬ ঘণ্টায়) একটা স্বস্তিদায়ক পরিবেশ তৈরি করার উদ্যোগ গ্রহণ করব।’
আরও পড়ুন: কাকরাইলের অবস্থান কর্মসূচি স্থগিত করলেন ইশরাক
ইশরাক জানান, দক্ষিণ সিটিতে সাবেক কাউন্সিলর ও বিগত নির্বাচনের প্রার্থীদের সমন্বয়ে জোনভিত্তিক মনিটরিং টিম গঠনের অনুমোদন দেওয়া হবে। নিজেও পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের সঙ্গে মাঠে থাকার ঘোষণা দেন তিনি।
ওই পোস্টের কমেন্ট বক্সে পিন করে রাখা একটি কমেন্টে আগামী সিটি নির্বাচনে নিজের পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন বিএনপির এই নেতা।
সেখানে লিখেছেন, টানা ১০ বছর বিএনপি গ্রেটার (বৃহত্তর) ঢাকা চালিয়েছে। ৯০টির মধ্যে ৭০টির বেশি ওয়ার্ড কমিশনার আমাদের (বিএনপির) ছিল। এখন অনেকে মারা গিয়েছেন কিন্তু একাধিক বিকল্প প্রার্থী আছেন। তাদের কাজে লাগিয়ে পরবর্তী নির্বাচনে ঢাকা সিটির জন্যে প্রাথী বাছাই করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
এর আগে, ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র হিসেবে ইশরাক হোসেনকে শপথ না পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে করা একটি রিট খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।
গতকাল (বৃহস্পতিবার) বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
বিকেলে এ সংক্রান্ত আদেশ প্রকাশ হয়। ফলে ইশরাকের শপথ গ্রহণে আর কোনো আইনি বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা।
আরও পড়ুন: রাস্তা না ছেড়ে আরও জোরদার আন্দোলনের আহ্বান ইশরাকের
২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপসের কাছে পরাজিত হন বিএনপি প্রার্থী ইশরাক হোসেন। পরবর্তীতে নির্বাচনি ফলাফল চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। চলতি বছরের ২৭ মার্চ ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম তৎকালীন ফলাফল বাতিল করে ইশরাক হোসেনকে বিজয়ী ঘোষণা করেন। এরপর নির্বাচন কমিশন গত ২৭ এপ্রিল গেজেট প্রকাশ করে তাকে ডিএসসিসির নতুন মেয়র হিসেবে ঘোষণা দেয়।
১৯৬ দিন আগে
ইশরাকের শপথ নিয়ে আদালতের রায়ে জনগণের বিজয় হয়েছে: মির্জা ফখরুল
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে ইশরাক হোসেনের শপথ গ্রহণে হাইকোর্ট যে পথ খুলে দিয়েছে, তাকে ‘জনগণের বিজয়’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) থাইল্যান্ড থেকে ফোনে ইউএনবিকে তিনি বলেন, ‘বিচার বিভাগের উচ্চ আদালত তারা আইনের প্রতি সম্মান দেখিয়ে যেটি হওয়া উচিত, সেই ধরনের রায় তারা দিয়েছেন। এই রায়ে জনগণের বিজয় হয়েছে। এতে নিঃসন্দেহে গণতন্ত্রের আরেকটি বিজয় হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা জানি যে- যখন মেয়র নির্বাচন হয়, তখন সেটা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার জবরদস্তি জোর করে এই ফলাফল কেড়ে নিয়ে গিয়েছিল। জনতার মেয়র হিসেবে ঢাকাবাসীসহ দেশের জনগণ ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করেছিল।’
ইশরাক হোসেনের শপথ নেওয়ার দ্রুত ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বান রেখে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি আশা করব, মন্ত্রণালয় আর কোনো সমস্যা তৈরি না করে দ্রুত তারা ইশরাক হোসেনের শপথের ব্যবস্থা করবেন এবং পরিস্থিতিকে সহজ করে তোলবার চেষ্টা করবেন।’
আরও পড়ুন: হাইকোর্টে রিট খারিজ: ইশরাক হোসেনের শপথে বাধা নেই
এ সময় দলীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমি মনে করি যেহেতু আদালতে এ বিষয়ে রায় হয়েছে, জনগণের বিজয় হয়েছে, তাই আর সড়ক অবরোধের প্রয়োজন নেই।’
তিনি আরও বলেন, আমরা আশা করি সরকার এখন সংবেদনশীল আচরণ করবে এবং ইশরাকের শপথ নিশ্চিত করবে। আমাদের কর্মীদের উচিত এখন জনদুর্ভোগ এড়াতে সড়ক থেকে সরে আসা।
এর আগে, আজ (বৃহস্পতিবার) ডিএসসিসি মেয়র হিসেবে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের শপথ গ্রহণ ঠেকাতে করা একটি রিট খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। এতে মেয়র হিসেবে তার শপথ গ্রহণে আর কোনো বাধা রইল না।
নির্বাচনি রোডম্যাপ দেওয়ার আহ্বান
রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা আবারও বলছি, বর্তমানে যে রাজনৈতিক সংকট, এই সংকট দূর করবার একটিমাত্র পথ তা হচ্ছে, অতি দ্রুত নির্বাচনের একটি রোডম্যাপ ঘোষণা করা। এখানে অন্য কথা বলে লাভ নেই।’
আরও পড়ুন: রাস্তা না ছেড়ে আরও জোরদার আন্দোলনের আহ্বান ইশরাকের
সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এটাও সুপারিশ করবে যারা জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনে আছে, তারা অতি দ্রুত যেগুলোতে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হয়েছে, সে গুলো তারা ঘোষণা করবেন। যেসব বিষয়ে ঐক্যমত্য করে সনদ তৈরি করবেন। সুতরাং এটি নিয়ে কোনো বাড়াবাড়ি করা, কিংবা টানাহেচড়া করা পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলবে।’
‘সেই কারণে জনগণের প্রত্যাশা যে, অতি দ্রুত একটা রোডম্যাপ ঘোষণা করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে এবং চলমান যে সংস্কার প্রস্তাবগুলো, যেগুলোতে ঐক্যমত্য হয়েছে সেগুলো বাস্তবায়ন করবেন। আর যেসব সংস্কার প্রস্তাবে ঐক্যমত্য হবে না, সেগুলো সনদের ভেতরে নিয়ে চলমান প্রক্রিয়া হিসেবে রাখবেন।’
গত ১৪ মে চোখের অস্ত্রোপচারের জন্য বিএনপি মহাসচিব ব্যাংকক যান। পরদিন ব্যাংকক রুটনিন আই হসপিটালে তার বাম চোখে সফল অস্ত্রোপচার হয়। এরপর থেকে তিনি চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন।
১৯৭ দিন আগে
রাস্তা না ছেড়ে আরও জোরদার আন্দোলনের আহ্বান ইশরাকের
আদালতের রায়ে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের মেয়র হিসেবে শপথ নেওয়ার বাধা দূর হলেও বৃষ্টির মধ্যে রাজধানীর মৎস্যভবন মোড়ে অবস্থান নিয়ে আছেন তার সমর্থকরা। এদিকে আরও জোরালো আন্দোলন করতে সমর্থকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) হাইকোর্টের রায়ের পর সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে ইশরাক বলেন, ‘আন্দোলনকারী ভাইদের বলবো— এইসব মূলা দিয়ে গাধা বস করা যায়; আমাদের না। দুই ছাত্র প্রতিনিধি উপদেষ্টার পদত্যাগের খবর না আসা পর্যন্ত চলেছে, লড়াই চলবে। রাস্তা তো ছাড়বেন না—আরও বিস্তৃত করতে হবে।’
ইশরাকের পক্ষে হাইকোর্টের রায় ঘোষণার পরও কাকরাইল মসজিদ এলাকায় অবস্থান করে প্রতিবাদ সমাবেশ করছেন বিক্ষোভকারীরা। রায়ের খবর পেয়ে কাকরাইল মসজিদ মোড়ে অবস্থান কর্মসূচিতে থাকা বিএনপির নেতাকর্মীরা ব্যাপক আনন্দ-উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।
এ সময় স্লোগান দিয়ে নেতাকর্মীরা বলতে থাকেন, ‘এই মুহূর্তে খবর এলো, ইশরাক মেয়র হলো’, ‘এই মাত্র খবর এলো, জনগণের বিজয় হলো’।
তারা বলছেন, হাইকোর্টের রায় তাদের প্রাথমিক বিজয়। কিন্তু, তাদের নতুন আরেকটি দাবি আছে। সেটি হলো—সরকারের দুজন উপদেষ্টা স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজকে পদ থেকে সরে দাঁড়াতে হবে। তারা পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
ইশরাককে শপথ পড়ানোর পাশাপাশি দুই উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে সড়কে অবস্থান করছেন তারা। যতক্ষণ না ওই দুই উপদেষ্টা পদত্যাগ করেন, তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা।
এর আগে, গতকাল বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কাকরাইল মোড়ে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন অবস্থান কর্মসূচিতে এসে ঘোষণা দেন, মেয়র পদে তাকে দায়িত্ব বুঝে না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
আরও পড়ুন: হাইকোর্টে রিট খারিজ: ইশরাক হোসেনের শপথে বাধা নেই
পাশাপাশি তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলমের পদত্যাগ দাবি করেন। পরে সমর্থকদের সঙ্গে আন্দোলনস্থলে অবস্থান নেন তিনি।
এদিকে ইশরাকের মেয়র হিসেবে শপথ নেওয়ার বাধা কাটায় ‘জনগণের বিজয়’ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘বিচার বিভাগের উচ্চ আদালত তারা আইনের প্রতি সম্মান দেখিয়ে যেটা হওয়া উচিত, সেই ধরনের রায় তারা দিয়েছেন। এই রায়ে জনগণের বিজয় হয়েছে।’
‘এটাতে নিঃসন্দেহে গণতন্ত্রের আরেকটা বিজয় হয়েছে। আমরা জানি যে যখন মেয়র নির্বাচন হয়, তখন সেটা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার জবরদস্তি জোর করে এই ফলাফল কেড়ে নিয়ে গিয়েছিল। জনতার মেয়র হিসেবে ঢাকাবাসীসহ দেশের জনগণ ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করেছিল,’ বলেন ফখরুল।
২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটির সবশেষ নির্বাচন হয়। তাতে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেনকে পৌনে ২ লাখ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে মেয়র হন আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপস।
ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর গেল ২৭ মার্চ ঢাকার নির্বাচনি ট্রাইব্যুনাল সেই ফল বাতিল করে অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে।
এরপর ২৭ এপ্রিল ইশরাককে ডিএসসিসি মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু তাকে যেন শপথ পড়ানো না হয় সেজন্য গত ১৪ মে হাই কোর্টে রিট আবেদন করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বাসিন্দা ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মামুনুর রশিদ।
অন্যদিকে ইশরাককে শপথ পড়ানোর দাবিতে ওইদিনই আন্দোলন শুরু করেন তার সমর্থকরা। তাদের আন্দোলনে কার্যত অচল হয়ে পড়ে নগর ভবন। কিন্তু আইনি জটিলতার কথা বলে ইশরাকের শপথের আয়োজন থেকে বিরত থাকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
১৯৭ দিন আগে
হাইকোর্টে রিট খারিজ: ইশরাক হোসেনের শপথে বাধা নেই
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের শপথ গ্রহণ ঠেকাতে করা একটি রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এতে মেয়র হিসেবে তার শপথগ্রহণে আর কোনো বাধা রইল না।
বিচারপতি আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরী সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ বৃহস্পতিবার (২২ মে) এ আদেশ দেন।
গেল ১৪ মে এই রিট দায়ের করেছিলেন ঢাকার দক্ষিণ সিটির বাসিন্দা মামুনুর রশিদ। তিনি ইশরাকের শপথ স্থগিত এবং যিনি তাকে মেয়র ঘোষণা করেছেন সেই বিচারকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা চেয়েছিলেন।
এছাড়া, রিটে ২০২০ সালের ডিএসসিসি নির্বাচনের ফল বাতিল করে ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে নিম্ন আদালতের রায়ের বৈধতাও চ্যালেঞ্জ করা হয়। ২১ মে শুনানি শেষে হাইকোর্ট বেঞ্চ ২২ মে আদেশের দিন ধার্য করেছিলেন। আজ বৃহস্পতিবার (২২ মে) আদালত রিটটি খারিজ করে দেন।
শুনানিতে রিটকারী মামুনুর রশিদের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট কাজী আকবর আলী। ইশরাক হোসেনের পক্ষে তার আইনজীবী দল শুনানিতে অংশ নেয়। তারা আদালতের এই আদেশকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘এখন আর ইশরাকের শপথ গ্রহণে কোনো আইনি বাধা নেই।’
প্রায় দুই মাস আগে ঢাকার একটি নিম্ন আদালত ২০২০ সালের ডিএসসিসি নির্বাচনের ফল বাতিল করে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ইশরাক হোসেনকে বৈধ মেয়র ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জের আদালতে মমতাজ, ফের রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ
২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস প্রায় দুই লাখ ভোটের ব্যবধানে ইশরাককে হারিয়ে বিজয়ী হন। তবে চলতি বছরের ২৭ মার্চ ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম ওই ফল বাতিল করে ইশরাক হোসেনকে বিজয়ী ঘোষণা করেন।
রায়ের পর ২২ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন গেজেট প্রকাশের বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চায়। পরে, ২৭ এপ্রিল ইশরাক হোসেনকে ডিএসসিসির মেয়র ঘোষণা করে গেজেট জারি করা হয়।
এদিকে, সম্প্রতি ইশরাকের সমর্থকেরা নগরভবন ও মৎস্য ভবনের সামনে বিক্ষোভ করেছেন। তারা দ্রুত তাকে দায়িত্বে বসানোর দাবি জানিয়ে আসছেন।
১৯৭ দিন আগে
বরিশালের পথে ইশরাক হোসেনের গাড়িবহরে হামলা
বরিশাল নগরীতে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশস্থলে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের হামলায় শনিবার সকালে দলটির পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেনের গাড়িবহরের নয়জন আহত হয়েছেন।
বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ সিটি শাখার নেতা ইশরাকের কিছু হয়নি এবং তিনি সকাল ৯টার দিকে সমাবেশস্থলে পৌঁছান।
ইশরাক জানান, সকালে গৌরনদী উপজেলার মাহিলাড়া বাজারে পৌঁছালে একদল দুর্বৃত্ত তাদের গাড়িবহরে হামলা চালায়।হামলায় ঢাকা দক্ষিণ মহানগর বিএনপির ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল হক ও মামুন ভূইয়াসহ বিএনপির নয় নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
ইশরাক আরও জানান, বরিশাল যাওয়ার পথে তারা বেশ কিছু বাধার সম্মুখীন হয়েছেন।বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, আজ সকালে বরিশালের গৌরনদী বাসস্ট্যান্ডে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতকে বহনকারী গাড়িটিকে ৫০-৬০ জন আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বাধা দেয়। পরে তারা তাকে ঢাকায় ফিরিয়ে নিতে বাধ্য করে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বরিশাল নগরীতে বিএনপির সমাবেশে যোগ দিতে জড়ো হয়েছেন হাজারো নেতাকর্মী
বরিশালে বিএনপির সমাবেশস্থলে মঞ্চ ভেঙে ২ সাংবাদিক আহত
বরিশালে বিএনপির সমাবেশ: পরিবহন ধর্মঘটে চরম ভোগান্তিতে যাত্রীরা
১১২৬ দিন আগে
জামিন পেলেন বিএনপি নেতা ইশরাক
রাজধানীর মতিঝিল থানায় গাড়ি ভাঙচুরের মামলায় জামিন পেয়েছেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন।
মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত শুনানি শেষে ৫ হাজার টাকা বন্ডে জামিন মঞ্জুর করেন ।
ইশরাকের আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গত ৬ এপ্রিল সকালে মতিঝিল এলাকায় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল দক্ষিণের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন ইশরাক হোসেন।
লিফলেট বিতরণের সময় তাকে আটক করে মতিঝিল থানা পুলিশ।
জানা যায়, ২০২০ সালের ১২ নভেম্বর গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে পুলিশ মতিঝিল থানায় ৪২ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করে। ওই মামলায় ইশরাক হোসেনকেও আসামি করা হয়। পরে ইশরাক হোসেন ১৮ নভেম্বর উচ্চ থেকে জামিন নেন। উচ্চ আদালতের জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে গত বছরের ৫ জানুয়ারি জামিন পান তিনি। এরপর ১৮ আগস্ট অসুস্থ থাকায় ইশরাক আদালতে হাজির হতে পারেননি। ওইদিন আদালত তার জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
ইশরাক হোসেন বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে তিনি মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন।
পড়ুন: মিছিলের সঙ্গে ইশরাকের গ্রেপ্তারের কোনো সম্পর্ক নেই: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন ঢাকায় গ্রেপ্তার
১৩৩৩ দিন আগে