বরিশাল
আসন্ন সিটি নির্বাচনের জন্য বরিশালে পৌঁছেছে ১৫০০ ইভিএম
আগামী মাসে বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে সোমবার গাজীপুর থেকে বরিশাল এসে পৌঁছেছে ১৫শ’ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম।
তিনি জানান, গাজীপুরে যে ইভিএম দিয়ে ভোট গ্রহণ করা হয়েছে বরিশালে সেই মেশিনেই ভোট দেবেন ভোটাররা।
আরও পড়ুন: ইভিএম হচ্ছে শতভাগ স্বচ্ছতার প্রতীক: চুয়াডাঙ্গায় ইসি হাবিব
তিনি জানান, বরিশালের এই নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নে ইতোমধ্যে প্রায় দেড়শতাধিক ব্যক্তিকে ইভিএমের ওপর বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে।
এছাড়া আগামী ১২ জুন বরিশাল সিটি নির্বাচন আইন অনুযায়ী শতভাগ সুষ্ঠু হবে বলে জানান তিনি।
বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পর মেয়র পদে সাত জন অংশ নেবেন।
এছাড়া সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১১৯ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৪২ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
নির্বাচনে ১২৬টি কেন্দ্রের ৮৯৪ কক্ষে দুই লাখ ৭৬ হাজার ২৯৮ ভোটার ভোট দেবেন।
আরও পড়ুন: আগামী জাতীয় নির্বাচন ইভিএম নয়, ব্যালট পেপারে হবে: ইসি সচিব
৫ সিটি নির্বাচনে ইভিএম, সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহার করবে ইসি: কমিশনার রাশেদা সুলতানা
বরিশাল সিটি নির্বাচন: প্রতীক পেলেন ৭ মেয়র প্রার্থী
বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে সাত প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার সকালে নগরীর নথুল্লাবাদে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির প্রতীক বিতরণ করেন।
তাদের বরাদ্দ প্রতীক নিয়ে প্রচারণা শুরু করেছেন মেয়র প্রার্থীরা।
আরও পড়ুন: বরিশাল সিটি নির্বাচন: ৪ মেয়র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল, বৈধ ৬
প্রার্থী ও তাদের প্রতীকগুলো হলো- আওয়ামী লীগের আবুল খায়ের আবদুল্লাহ (নৌকা), জাতীয় পার্টির ইকবাল হোসেন তাপস (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করিম (হাতপাখা), জাকের পার্টির মিজানুর রহমান বাচ্চু (গোলাপ ফুল), স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. কামরুল আহসান (ঘড়ি), আসাদুজ্জামান (হাতি) ও আলী হোসেন (হরিণ)।
কাউন্সিলর প্রার্থীদের ক্ষেত্রে লটারির মাধ্যমে প্রতীক বরাদ্দ করা হয়।
১১ দফা দাবিতে বরিশালে বেসরকারি শিক্ষকদের মানববন্ধন
শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ, মূল বেতনের ৪০ ভাগ মহার্ঘ্য ভাতা দেওয়াসহ ১১ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বরিশালে মানববন্ধন করেছেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) সকালে বরিশাল নগরের অশ্বিনী কুমার হলের সামনে বাংলাদেশ কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (বাকশিস) বরিশালের উদ্যোগে এই কর্মসূচি হয়।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষক নিহত
মানববন্ধন শেষে শিক্ষক নেতারা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশ করেন।
বক্তারা বলেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা একটি অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক শিক্ষাব্যবস্থা, যা বাস্তবায়নের জন্য মানসম্মত শিক্ষার দরকার। যদি শিক্ষার মানোন্নয়ন না করা যায়, তাহলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণ হবে না।
বক্তারা আরও বলেন, শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য শিক্ষকদের আর্থিক সচ্ছলতা বাড়াতে হবে। যদি মানসম্মত শিক্ষক পেতে হয়, তাহলে শিক্ষকদের মানসম্মত সম্মানি দিতে হবে। সরকারি ও বেসরকারি চাকরিজীবীদের মাঝে কোনোরকম বৈষম্য যাতে না থাকে, সে ব্যবস্থা করতে হবে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে বেসরকারি শিক্ষকদের পরিবার বিপর্যস্ত।
তারা বলেন, যদি ৪০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা না দেওয়া হয়, তাহলে আমরা ঘরে বসে থাকবো না, আমরা এ সরকারকে বাধ্য করবো ৪০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা দিতে।
জেলা বাকশিসের সভাপতি উপাধ্যক্ষ আনোয়ারুল হকের সভাপতিত্বে বক্তৃতা দেন কেন্দ্রীয় সদস্য অধ্যাপক মিজানুর রহমান সেলিম, বরিশাল জেলার সাবেক সভাপতি অধ্যাপক মশিউর রহমান, কেন্দ্রীয় সদস্য অধ্যাপক জাকির হোসেন, কেন্দ্রীয় সদস্য অধ্যাপক কামাল চৌধুরী প্রমুখ।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় বাসের ধাক্কায় কলেজশিক্ষক নিহত
কুড়িগ্রামে ইয়াবা জব্দ, কলেজশিক্ষক গ্রেপ্তার
বরিশালে নিখোঁজের ২ দিন পর পথশিশু সাথীর লাশ উদ্ধার
নিখোঁজের দুই দিন পর বরিশালের কীর্তনখোলা নদী থেকে পথশিশু সাথীর (১২) লাশ উদ্ধার করেছে সদর থানা নৌ-পুলিশ।
শনিবার (২০ মে) সকাল ৮টার দিকে বরিশাল নদী বন্দরের লঞ্চ টার্মিনাল এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নৌ-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল জলিল।
তিনি জানান, সকালে নিখোঁজ পথশিশু সাথীর লাশ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে নৌ-পুলিশের একটি দল গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে নিখোঁজের ৪দিন পর শিশুর লাশ উদ্ধার
ওসি আব্দুল জলিল বলেন, সকাল থেকে সাথীর খোঁজখবর নিতে কেউ আসেনি। তবে তার পরিবারের লোকজনকে খোঁজার চেষ্টা চলছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৮ মে) বিকালে বরিশাল লঞ্চ টার্মিনাল থেকে কীর্তনখোলা নদীতে পড়ে নিখোঁজ হয় সাথী।
আরও পড়ুন: বরিশালে লঞ্চ টার্মিনাল থেকে নদীতে পড়ে পথশিশু নিখোঁজ
বরিশালে লঞ্চ টার্মিনাল থেকে নদীতে পড়ে পথশিশু নিখোঁজ
বরিশাল নদী বন্দরে দোতলা লঞ্চ টার্মিনাল থেকে কীর্তনখোলা নদীতে এক পথশিশু পড়ে নিখোঁজ হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ মে) বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
লঞ্চঘাটের এক পথশিশু চাঁদনী জানায়, আমি, আসলাম, জনি ও সাথী পন্টুনের পাশে বসে ছিলাম। হঠাৎ করে পেছন থেকে নাইম এসে সাথী ও আসলামকে ধাক্কা দেয়।
আরও পড়ুন: পটুয়াখালীতে ট্রলারডুবি: বরসহ এখনও নিখোঁজ ৪
এ সময় আসলাম সাঁতার কেটে উঠে। কিন্তু সাথী সাঁতার না জানায় ডুবে যায়। আমরা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করি। কিন্তু সাথীকে আর পাওয়া যায়নি।
লঞ্চঘাটের আরেক পথশিশু আসলাম জানায়, আমরা পন্টুনে বসে দুষ্টুমি করছিলাম, এ সময় পেছন থেকে কে যেনো ধাক্কা দেয়। আমি নদীতে পড়ে গেলে সাঁতার কেটে উপরে উঠি।
নদীতে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া শিশুর নাম নাইম (১৩)। তার বাবা অজ্ঞাত। সে ৫নং ওয়ার্ডের পলাশপুর এলাকার বাসিন্দা।
নিখোঁজ পথশিশু সাথী আক্তারের (১২) বাড়ি ঢাকায় বলে জানা গেছে। সে বরিশাল নদী বন্দরে থাকত।
সদর নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ. জলিল বলেন, স্থানীয়ভাবে আমরা বিষয়টি জেনে ঘটনাস্থলে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেই।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা নিখোঁজ শিশুকে উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছেন।
বরিশাল নদীবন্দর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. এনামুল হক সুমন জানান, আমাদের ফায়ার সার্ভিসের একটি দল শিশুটিকে উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ৫ দিন ধরে নিখোঁজ মাদরাসা ছাত্র
নাসিরনগরে নিখোঁজ শিশুর লাশ উদ্ধার
বরিশালে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি হামলার অভিযোগ
বরিশাল নগরীতে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার পাল্টাপাল্টি হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নগরীর ২৩নং ওয়ার্ডের দুইজন কাউন্সিলর প্রার্থী একে অপরের উপরে হামলার অভিযোগ এনেছে, এঘটনায় উভয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়ার কথা জানিয়েছেন।
২৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ও বর্তমান কাউন্সিলর এনামুল হক বাহার বলেন, আজ নির্বাচন কমিশন অফিস থেকে বাসায় ফেরার পথে সিএন্ডবি পোল সংলগ্নে মল্লিক বাড়ির পোলের সামনে আমাদের গাড়ির গতিরোধ করে অতর্কিত হামলা চালায় নোমান মল্লিকের সহযোগী সাথিল ও নবীন মল্লিকসহ ১৪/১৫ জন।
হামলায় আমার সঙ্গে থাকা রুবেল, আরিফ, শহিদ ও দোলনকে বেধড়ক মারধর করেন। আামাদের চিৎকারে লোকজন জড়ো হলে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা।
হামলার ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দেয়ার কথা জানিয়েছেন এনামুল হক বাহার।
অন্যদিকে, এনামুল হক বাহারের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে ২৩নং ওয়ার্ডের আরেক কাউন্সিলর প্রার্থী নোমান মল্লিক বলেন, নির্বাচনে অংশ নেয়ার পর থেকেই আমাদের হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে সাবেক কাউন্সিলর এনামুল হক বাহার।
আজ নির্বাচন কমিশনে আমার প্রার্থিতা বৈধ হওয়ার খবর শুনে আমার বাড়ির সামনে বসে বাহার ও তার লোকজন গালিগালাজ করে। এসময় আমার এক কর্মী মো.একরাম তাকে গালি দিতে নিষেধ করায় তাকে বেধড়ক মারধর করেন।
এঘটনায় থানায় বাদী হয়ে মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন নোমান মল্লিক।
এবিষয় কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, মল্লিক বাড়ির পোল মারামারির খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পুলিশ পাঠিয়েছি, তবে এখনো কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আচরণবিধি লঙ্ঘন: বরিশালে ৬ কাউন্সিলর প্রার্থীকে অর্থদণ্ড
আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে বরিশালে ছয় কাউন্সিলর প্রার্থীকে ৬৮ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করেছে নির্বাচন কমিশন।
মঙ্গলবার (১৬ মে) সকাল থেকে কয়েক দফায় এই জরিমানা করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা।
আরও পড়ুন: হাজীগঞ্জে শিয়ালের মাংস বিক্রি করায় ২ ব্যবসায়ীকে অর্থদণ্ড
ম্যাজিস্ট্রেটদের মধ্যে ছিলেন- এম রকিবুল হাসান, আবি আব্দুল্লাহ, মঈন উদ্দিন।
অর্থদণ্ড প্রাপ্ত কাউন্সিলরদের নাম তাৎক্ষণিক প্রকাশ করা হয়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জানা গেছে যে অর্থদণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে ১২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী জাকির হোসেন ভুলুকে পাঁচ হাজার, ৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী শেখ আনোয়ার হোসেনকে ২০ হাজার টাকা, ২২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী শাহিদ খান আজাদকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এছাড়া আরও তিন প্রার্থীকে ২৩ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মঈন উদ্দিন জানান, আগে থেকেই প্রার্থীদের আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। তারপরও যারা আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছে তাদের জরিমানা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ছাত্রীদের স্কুলে যাওয়ার দৃশ্য ধারণ করে টিকটক ভিডিও তৈরি, যুবকের অর্থদণ্ড
ফরিদপুরে হত্যা মামলা: ৫ জনের যাবজ্জীবন ও অর্থদণ্ড
বরিশালে ট্যাংকারে বিস্ফোরণ: ছেলের মৃত্যুর পর বাবাও মারা গেলেন
বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে তেলবাহী ট্যাংকারে ইঞ্জিন রুমে বিস্ফোরণে চট্টগ্রাম সীতাকুণ্ডের মোহাম্মদ ফারদিন আরাফাত স্বাধীন নিহত হওয়ার চার দিনের মাথায় তার বাবা জাহাজের চিফ ড্রাইভার কুতুবউদ্দিনও মারা গেছেন।
রবিবার (১৪ মে) রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত কুতুবউদ্দিন চট্টগ্রাম সীতাকুণ্ডের কুমিরা ইউনিয়নের নিউ রাজাপুর গ্রামের মৃত ছালে আহমদের ছেলে।
আরও পড়ুন: ৩০০০ ঝুপড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও রোহিঙ্গা শিবিরগুলো ভয়ানক মোখা থেকে রক্ষা পেয়েছে
বিষয়টি নিশ্চিত করে কুমিরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোরশেদুল আলম জানান, গত ১১ মে (বৃহস্পতিবার) বিকাল পৌনে ৫টার দিকে বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে নোঙর করে রাখা এমটি ইবাদি-১ জাহাজের তেলবাহী ট্যাংকারে ইঞ্জিন রুমে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
এতে ঘটনাস্থলে মো. বাবুল কান্তি দাস (৬৪) ও স্বাধীন (২২) দুইজন মারা যায়।
আহত-ড্রাইভার কুতুবউদ্দিন (৪৮), ড্রাইভার মো. রুবেল হোসেন (৪৫) ও গ্রিজম্যান কামাল পাশাকে (৫০) উদ্ধার করে শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পরে জানা যায়, জাহাজটি চট্রগ্রাম থেকে সাড়ে তিন লাখ লিটার পেট্রোল ও ১০ লাখ লিটার ডিজেল নিয়ে দুইদিন আগে বরিশালে যায়। বরিশালের মেঘনা তেলের ডিপোতে এই তেল (বৃহস্পতিবার) খালাশ করার কথা ছিল। সে অনুযায়ী স্টাফরা ইঞ্জিন রুমে যায়। এর কিছুক্ষণ পর বিকট শব্দে সেখানে বিস্ফোরণ ঘটে। এ ঘটনায় কুতুবউদ্দিন আহত হলেও তার ছেলে স্বাধীন ঘটনাস্থলে মারা যান। কুতুবউদ্দিনকে ঢাকার বার্ন ইউনিট হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চারদিন পর রবিবার রাতে তার মৃত্যু হয়। কুতুবউদ্দিন ওই জাহাজের চিফ ড্রাইভার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
আর ছেলে স্বাধীন ওই জাহাজে তার বাবার সঙ্গে বেড়াতে যায়।
আরও পড়ুন: রাজধানীর কমলাপুরে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় বৃদ্ধার মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গায় যুবকের লাশ উদ্ধার
বরিশালে তেলের ট্যাঙ্কার বিস্ফোরণ: নিখোঁজ কাশেমের লাশ উদ্ধার
বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে নোঙর করা তেলবাহী ট্যাঙ্কার এমটি ইবাদি ১-এর ইঞ্জিনরুমের বিস্ফোরণে নিখোঁজ আবুল কাশেমের ভাসমান লাশ উদ্ধার করেছে বরিশাল ফায়ার সার্ভিস।
শুক্রবার বিকাল ৫টায় কীর্তনখোলা নদীতে দুর্ঘটনাকবলিত জাহাজের পূর্বপাশ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
বরিশালের ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) বেলাল উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে রি-রোলিং মিলে বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫
তিনি জানান, আমরা স্পিডবোটে করে নদীতে টহল দিচ্ছিলাম। তখন তার লাশ ভেসে উঠলে উদ্ধার করা হয়। তারপর নগরী সংলগ্ন চাঁনমারি ঘাটে নৌপুলিশের কাছে লাশ হস্তান্তর করেছি।
বরিশাল সদর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল জলিল জানান, লাশ গ্রহণ করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিডেট বরিশাল ডিপোর জন্য চট্টগ্রাম থেকে তিনদিন আগে কীর্তনখোলা নদীতে আসে জাহাজটি। এতে ১৩ লাখ লিটার অকটেন, পেট্রোল ও ডিজেল ভর্তি ছিল। সেই তেল উত্তোলনের জন্য ইঞ্জিন চালু করলে এই বিস্ফোরণ ঘটে বলে জানিয়েছেন জাহাজের কর্মচারীরা। এই ঘটনায় স্বাধীন (২২) ও বাবুল কান্তি দাস (৬৪) নিহত হয়েছেন।
আহত অবস্থায় বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে কর্মচারী কুতুব উদ্দিন, মো. রুবেল ও কামাল হোসেনকে এবং নিখোঁজ ছিলেন আবুল কাশেম।
বরিশাল ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের প্রাথমিক ধারণা, জাহাজের ইঞ্জিনরুমের এয়ারকম্প্রেসার বিস্ফোরণ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।
বরিশাল জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর হোসেন আহতদের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন। নিহতদের দাফনের জন্য ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনা কী কারণে ঘটলো তা তদন্ত করে দেখবে জেলা প্রশাসন।
আরও পড়ুন: বরিশালে তেল ট্যাংকার বিস্ফোরণে নিহত ২
রাজধানীতে গ্যাসলাইন বিস্ফোরণে আহত জবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু
বরিশালে তেল ট্যাংকার বিস্ফোরণ: নিখোঁজ কাশেমের সন্ধান মেলেনি
বরিশালে কীর্তনখোলা নদীতে নোঙর করা অয়েল ট্যাংকার এমটি ইবাদি-১ এর ইঞ্জিনরুমের বিস্ফোরণে নিখোঁজ আবুল কাশেমের সন্ধান মেলেনি।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় এই তথ্য জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, বরিশালের সহকারী পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) বেলাল উদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার বিকালে বিস্ফোরণের পর থেকে কাশেম নিখোঁজ রয়েছেন। ঘটনার সময় তিন কর্মচারী নদীতে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণে বেঁচেছেন। তাই কাশেমকে উদ্ধারে নদীতে ডুবুরি নামিয়ে সন্ধান চালানো হয়েছে। ঘটনাস্থল ইঞ্জিনরুমেও খোঁজ করেছি, কোথাও তাকে পাইনি। তার সন্ধানে সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে।’
উল্লেখ্য, মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিডেট বরিশাল ডিপোর জন্য চট্টগ্রাম থেকে তিনদিন আগে কীর্তনখোলা নদীতে আসে জাহাজটি। এতে ১৩ লাখ লিটার অকটেন, পেট্রোল ও ডিজেল ভর্তি ছিল। সেই তেল উত্তোলনের জন্য ইঞ্জিন চালু করলে এই বিস্ফোরণ ঘটে বলে জানিয়েছেন জাহাজের কর্মচারীরা।
এই ঘটনায় স্বাধীন (২২) ও বাবুল কান্তি দাস (৬৪) নিহত হয়েছেন।
আহত অবস্থায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে কর্মচারী কুতুব উদ্দিন, মো. রুবেল ও কামাল হোসেনকে। নিখোঁজ রয়েছেন আবুল কাশেম।
বরিশাল ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের প্রাথমিক ধারণা- জাহাজের ইঞ্জিনরুমের এয়ারকম্প্রেসার বিস্ফোরণ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।
বরিশাল জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর হোসেন আহতদের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন। নিহতদের দাফনের জন্য ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনা কী কারণে ঘটলো তা তদন্ত করে দেখবে জেলা প্রশাসন।
আরও পড়ুন: বরিশালে তেল ট্যাংকার বিস্ফোরণে নিহত ২
নারায়ণগঞ্জে রি-রোলিং মিলে বিস্ফোরণ: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭