কিম জং উন
এক ফ্রেমে পুতিন-শি-কিম, ‘ষড়যন্ত্রের গন্ধ’ পাচ্ছেন ট্রাম্প
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তির ৮০তম বার্ষিকী উপলক্ষে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় কুচকাওয়াজের আয়োজন করেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তবে এই আয়োজনে সবচেয়ে বেশি যে দৃশ্যটি বিশ্ববাসীর নজর কেড়েছে তা হলো, লাল গালিচায় একসঙ্গে হাঁটতে হাঁটতে শি, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উনের আলাপ ও করমর্দন।
বিরল এই দৃশ্যটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি একটি স্পষ্ট বার্তা বলে মনে করছেন বিশ্লেষকদের অনেকে। দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউসে ফিরেই শুল্ক যুদ্ধকে এক অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই সঙ্গে মিত্র ও প্রতিপক্ষদের প্রতি তার পরিবর্তিত নীতির কারণে অনেক দেশই প্রভাবিত হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তিনটি দেশের নেতা আজ একসঙ্গে দাঁড়িয়েছেন।
কুচকাওয়াজে সামরিক শক্তি ও সৈন্যদের ব্যাপক প্রদর্শনী করেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট। আর এ সময় তার পাশে ছিলেন দুই শক্তিধর নেতা পুতিন ও কিম। বিষয়টিকে পশ্চিমা বিশ্বের প্রতি এক ধরনের প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা।
দ্য গার্ডিয়ান বলছে, বর্তমান বিশ্বের শীর্ষ তিন নেতার এই মেলবন্ধনে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন ট্রাম্প।
এ বিষয়ে ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট শি এবং চীনের চমৎকার জনগণকে মহান ও দীর্ঘস্থায়ী উদযাপনের শুভেচ্ছা। আপনারা যখন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন, তখন দয়া করে পুতিন ও কিমকে আমার উষ্ণ শুভেচ্ছা জানাবেন।’
শি বলেছেন, ‘মানবজাতি এমন একটি পর্যায়ে রয়েছে যখন শান্তি বা যুদ্ধ, সংলাপ অথবা মুখোমুখি সংঘর্ষ, পারস্পরিক কল্যাণ কিংবা সবার অকল্যাণ— এর মধ্যে যেকোনো একটি বেছে নিতে হবে।’ তবে চীনের জনগণ ইতিহাসের সঠিক পাশে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে আছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এ সময় যুক্তরাষ্ট্রকে ইঙ্গিত করে চীনের প্রেসিডেন্ট বলেন, কিছু দেশ ‘বুলিং আচরণ’ করছে। তবে চীনকে কেউ আটকে রাখতে পারবে না বলেও সতর্ক করে দেন তিনি।
অ্যাটলান্টিক কাউন্সিলের গ্লোবাল চায়না হাবের নন-রেসিডেন্ট ফেলো ওয়েন-তি সাং বলেন, ‘চীনের এই আয়োজন আরও একটি বার্তা দিচ্ছে। সেটি হলো, পশ্চিমারা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা চালিয়ে গেলেও বন্ধুর পাশে দাঁড়াতে ভয় পায় না চীন।’
কুচকাওয়াজে আরও উপস্থিত ছিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান ও মিয়ানমারের সামরিক জান্তার প্রধান মিন অং হ্লাইং। কিমের সঙ্গে ছিলেন তার মেয়ে কিম জু। তবে কোনো বড় পশ্চিমা নেতা এই অনুষ্ঠানে অংশ নেননি।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, পশ্চিমা নেতৃত্বাধীন বৈশ্বিক শৃঙ্খলা পুনর্গঠনে আগ্রহী— এমন কিছু দেশের কাছে এই কুচকাওয়াজ ছিল শিয়ের প্রভাব প্রদর্শনের একটি কৌশল।
এর আগে, তিয়ানজিন শহরে সাংহাই কো-অপারেশন অরগানাইজেশনের (এসসিও) দুই দিনব্যাপী সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন বিভিন্ন দেশের ২০ জনের বেশি রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান এবং ১০টি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানরা। সেখানেও পুতিন উপস্থিত ছিলেন। তবে এসসিও সম্মেলনে যোগ দেননি কিম। তবে ওই অনুষ্ঠানে ছিলেন সম্প্রতি শুল্কারোপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হওয়া ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
এই মুহুর্তে বিশ্লেষকদের নজর এখন শি, পুতিন ও কিমের মধ্যে কোনো আনুষ্ঠানিক বৈঠক হয় কি না, সেদিকে আটকে রয়েছে।
আরও পড়ুন: চীনে এসসিও সম্মেলন ও সামরিক কুচকাওয়াজে অংশ নিচ্ছেন কারা
টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট ফর অ্যাডভান্সড স্টাডিজ অন এশিয়ার গবেষক লিম চুয়ান-তিয়ং বলেন, যদি এই তিনজনের ত্রিপক্ষীয় কোনো বৈঠক হয়, সেটি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অবশ্যই তাৎপর্যপূর্ণ হবে। এমনকি সেটি বিশ্বকে আরেকটি স্নায়ুযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে পারে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
লিমের ভাষ্যে, যদি এমন কোনো বৈঠক না হয়, তাহলে বুঝতে হবে চীন যুক্তরাষ্ট্রকে খুব বেশি উসকানি দিতে চায় না। তাছাড়া ত্রিপক্ষীয় কৌশলগত অস্পষ্টতাও বজায় রাখতে চান শি।
কুচকাওয়াজে প্রদর্শিত সামরিক সরঞ্জামও পর্যবেক্ষণ করেছেন বিশ্লেষকরা। সেখানে ছিল— ট্যাংক, ড্রোন, দূরপাল্লার ও পারমাণবিক হামলায় সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র, যুদ্ধবিমান ও স্টেলথ বিমান। আবার কয়েকটি নতুন উন্নত অস্ত্রও উন্মোচন করা হয়।
এস রাজারত্নম স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের সিনিয়র ফেলো ড্রু থম্পসন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপসহ চীনের যেসব প্রতিবেশি দেশ তাদের মৌলিক জাতীয় স্বার্থ চ্যালেঞ্জ করার কথা চিন্তা করে, এই প্রদর্শনী তাদের প্রতি এক ধরনের সতর্কবার্তা।
তিনি বলেন, মৌলিক জাতীয় স্বার্থের মধ্যে সরাসরি নাম উচ্চারণ না করা হলেও যা সবকিছুতে উপস্থিত থেকেছে, তা হলো তাইওয়ান। শি নিজের বক্তব্যে বারবার ‘চীনা জাতির পুনর্জাগরণের’ কথা বলেছেন। এটি তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার অংশ এবং এর মূল ভিত্তি তাইওয়ানকে চীনের ভূখণ্ড হিসেবে সংযুক্ত করা।
তাইওয়ানকে বরাবরই চীনের একটি প্রদেশ হিসেবে দাবি করে আসছেন শি ও চীনা কমিউনিস্ট পার্টি। তবে চীনের এই দাবি মানতে নারাজ তাইওয়ানের সরকার ও সেখানকার জনগণ।
৯৩ দিন আগে
চীনে সামরিক কুচকাওয়াজে যোগ দেবেন কিম জং উন
ছয় বছর পর প্রথমবারের মতো চীন সফরে যাচ্ছেন উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন। আগামী সপ্তাহে বেইজিংয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তির ৮০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত সামরিক কুচকাওয়াজে তিনি অংশ নেবেন।
স্থানীয় সময় বুধবার (২৭ আগস্ট) চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কুচকাওয়াজে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনসহ মোট ২৬ জন বিদেশি নেতা উপস্থিত থাকবেন। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা প্রধান দেশগুলোর কোনো শীর্ষ নেতা এতে যোগ দিচ্ছেন না।
২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর এটিই হবে বহুপাক্ষিক আন্তর্জাতিক কোনো অনুষ্ঠানে কিমের প্রথম অংশগ্রহণ। তাছাড়া কিমের এ সফর ২০১৯ সালের পর চীনে তার প্রথম সফর হতে যাচ্ছে।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ জানিয়েছে, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের আমন্ত্রণে কিম এ সফর যাচ্ছেন। তবে তিনি কতদিন চীনে অবস্থান করবেন কিংবা শি জিনপিং, পুতিন বা অন্য নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন কি না—সে বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়নি।
চীন-জাপান যুদ্ধের ৮০তম বার্ষিকী ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তি উপলক্ষে আগামী বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) আয়োজিত এই কুচকাওয়াজে যোগ দেবেন ইরান, বেলারুশ, সার্বিয়া, কিউবা, ইন্দোনেশিয়া, মিয়ানমার, পাকিস্তান ও মালয়েশিয়ার নেতারাও। কুচকাওয়াজে চীনের আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র প্রদর্শন করা হবে এবং প্রেসিডেন্ট শি ভাষণ দেবেন।
তবে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে রুশ নেতা পুতিনের সঙ্গে মতপার্থক্যের কারণে বেশিরভাগ পশ্চিমা নেতার এ কুচকাওয়াজে উপস্থিত থাকবে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে টানাপোড়েনের মধ্যে চীন সফরে যাচ্ছেন মোদি
চীন দীর্ঘদিন ধরে উত্তর কোরিয়ার সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার ও প্রধান সহায়তাকারী। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাদের সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। উত্তর কোরিয়া বর্তমানে রাশিয়ার সঙ্গে সহযোগিতা বাড়াচ্ছে। ইউক্রেন যুদ্ধে সৈন্য ও গোলাবারুদ সরবরাহের বিনিময়ে তারা অর্থনৈতিক ও সামরিক সহায়তা পাচ্ছে।বিশ্লেষকরা বলছেন, রাশিয়ার সঙ্গে সহযোগিতা বাড়ালেও উত্তর কোরিয়ার অর্থনীতি টিকিয়ে রাখতে চীনের সহায়তা অপরিহার্য। তাই বেইজিংয়ের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতেই কিমের এ সফর।
কিমের চীন সফরের পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নতুন করে কূটনীতি শুরুর প্রচেষ্টারও ইঙ্গিত থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বেশ কয়েকবার কিমের সঙ্গে নিজের সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেছেন এবং আলোচনায় ফেরার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। যদিও উত্তর কোরিয়া ট্রাম্পের প্রস্তাব এখনো প্রত্যাখ্যান করে চলেছে, তবে যুক্তরাষ্ট্র বড় ধরনের ছাড় দিলে পিয়ংইয়ং আলোচনায় ফিরতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।
ট্রাম্প সম্প্রতি ওয়াশিংটনে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লিয়ের সঙ্গে বৈঠককালে অতীতের কিমের সঙ্গে নিজের বৈঠকের প্রসঙ্গ টেনে আনেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি সেটা ভীষণ উপভোগ করেছিলাম। মনে আছে, আমি যখন সীমান্ত রেখা পার হয়েছিলাম, সবাই তখন উত্তেজনায় ফেটে পড়েছিল।’
প্রথম মেয়াদে কিমের সঙ্গে তিনবার বৈঠক করেছিলেন ট্রাম্প। তবে মার্কিন নেতৃত্বাধীন নিষেধাজ্ঞা নিয়ে মতানৈক্যের কারণে তাদের ঐতিহাসিক বৈঠক ব্যর্থ হয়। এরপর থেকে কিম তার পারমাণবিক অস্ত্রাগার আধুনিকীকরণ ও সম্প্রসারণে একাধিক অস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছেন।
৯৯ দিন আগে
যুক্তরাষ্ট্র ও দ. কোরিয়ার বিরুদ্ধে পরমাণু ব্যবহারের হুমকি কিমের
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন সতর্ক করে বলেছেন, তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে সম্ভাব্য সামরিক সংঘর্ষে তার দেশের পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে প্রস্তুত। দেশটির রাষ্ট্রীয় মিডিয়া বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছে।
১৯৫০-৫৩ কোরিয়ান যুদ্ধের সমাপ্তির ৬৯তম বার্ষিকীতে বুধবার এক বক্তব্যে উত্তর কোরিয়ার নেতা এ হুঁশিয়ারি দেন।
কিম বলেন, ‘আমাদের সশস্ত্র বাহিনী যেকোন সঙ্কটে সাড়া দিতে সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত। পাশাপাশি দেশের পারমাণবিক যুদ্ধ প্রতিরোধও তার মিশন অনুযায়ী সঠিকভাবে এবং দ্রুততার সাথে তার পূর্ণ শক্তি একত্রিত করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি উত্তর কোরিয়াকে তার শত্রুতামূলক নীতির ন্যায্যতা দেয়ার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ‘পৈশাচিক’ করার অভিযোগ করেছেন।
তিনি বলেন, মার্কিন-দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক মহড়াগুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘দ্বৈত আইন’ যা আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর সমস্ত রুটিন অ্যাকশনকে ‘উস্কানি’ এবং ‘হুমকি’ হিসাবে উপস্থাপন করে।
কিম দক্ষিণ কোরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলকে ‘একজন দ্বন্দ্বের পাগল’ বলে অভিহিত করেন।
তিনি বলেন, ইউন সুক ইওলে অতীতের দক্ষিণ কোরিয়ার নেতাদের চেয়ে আরও এগিয়ে গেছেন।
মে মাসে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে ইউন সরকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সিউলের সামরিক জোটকে শক্তিশালী করতে এবং উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক হুমকিকে নিরপেক্ষ করার জন্য একটি পূর্বনির্ধারিত স্ট্রাইক সক্ষমতা সহ তার ক্ষমতাকে আরও জোরদার করতে চেষ্টা চালিয়ে নিচ্ছেন।
কিম বলেন, ‘আমাদের জাতির বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ সম্পর্কে কথা বলা, যাদের কাছে পরমাণু অস্ত্র রয়েছে যেগুলো তারা সবচেয়ে বেশি ভয় পায়, এটি অযৌক্তিক এবং অত্যন্ত বিপজ্জনক আত্মঘাতী পদক্ষেপ। এই ধরনের বিপজ্জনক প্রচেষ্টা অবিলম্বে আমাদের শক্তিশালী বাহিনীর দ্বারা শাস্তি দেয়া হবে এবং ইউন সুক ইওল সরকার এবং তার সামরিক বাহিনীকে ধ্বংস করা হবে।’
উত্তর কোরিয়া দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সামরিক কর্মকাণ্ডকে দ্বৈত মানের এবং দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতি ‘শত্রু নীতি’ বলে অভিযুক্ত করছে।
পড়ুন: জাপানে নারীরা অবমূল্যায়িত: জাপানি মন্ত্রী
কঙ্গোতে জাতিসংঘবিরোধী বিক্ষোভে নিহত ১৫, আহত ৫০
১২২৬ দিন আগে
করোনার প্রাদুর্ভাব: উত্তর কোরিয়ায় আরও ২১ জনের মৃত্যু
উত্তর কোরিয়ায় মহামারি করোনার প্রাদুর্ভাবের মধ্যে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। করোনা প্রাদুর্ভাবের স্বীকৃতি দেয়ার দুইদিন পর শনিবার এমন তথ্য জানালো উত্তর কোরিয়া।
এপ্রিলের শেষ থেকে জ্বরের দ্রুত বিস্তারের মধ্যে দেশটিতে করোনা উপসর্গ নিয়ে মোট ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া দেশটিতে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচ লাখ ২৪ হাজার ৪৪০ জন।
উত্তর কোরিয়া জানিয়েছে, এ পর্যন্ত দেশটিতে দুই লাখ ৪৩ হাজার ৬৩০ জন সুস্থ হয়েছেন এবং দুই লাখ ৮০ হাজার ৮১০ জন কোয়ারেন্টাইনে আছেন। তবে এর মধ্যে কয়টি কেস করোনা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে তা নিশ্চিত করেনি।
আরও পড়ুন: নিহত সাংবাদিকের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় ইসরায়েলি পুলিশের হামলার অভিযোগ
করোনা সংক্রমণের দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে সংক্রমণ চিহ্নিত না হওয়ার সন্দেহজনক রেকর্ড ভেঙ্গে গেলো বৃহস্পতিবার দেশটি করোনা প্রাদুর্ভাবের স্বীকৃতি দেয়।
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন শনিবার যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মহামারি স্থিতিশীল করার জন্য সরকার ও জনগণের মধ্যে ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি জানিয়েছেন, পরিস্থিতি মোকাবিলায় তিনি কিছু ব্যক্তিগত ওষুধ সরবরাহ করছেন।
আরও পড়ুন: করোনা প্রাদুর্ভাবের স্বীকৃতি দেয়ার পর উ. কোরিয়ায় ৬ জনের মৃত্যু
১৩০০ দিন আগে
জনসম্মুখে এসে জানান দিলেন তিনি এখনো জীবিত!
পিয়ংইয়ংয়ের কাছে একটি সার কারখানার নির্মাণ কাজের সমাপ্তি উদযাপনের মধ্য দিয়ে অবশেষে সব গুজবের অবসান ঘটিয়ে ২০ দিন পর প্রকাশ্যে এলেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন।
২০৪৩ দিন আগে
কিম জং উন ‘জীবিত ও সুস্থ আছেন’: দক্ষিণ কোরিয়া
দীর্ঘদিন ধরে জনসম্মুখে না আসায় সম্প্রতি উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উনের শারীরিক অবস্থা নিয়ে সংশয় দেখা দেয়। তিনি বেঁচে আছেন কিনা, এমন প্রশ্নও তোলেন অনেকে। কিন্তু কিম ‘জীবিত ও সুস্থ আছেন’ বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া।
২০৪৮ দিন আগে
শিগগিরই নতুন ‘কৌশলগত অস্ত্র’ প্রদর্শন করবে উত্তর কোরিয়া: কিম
যুক্তরাষ্ট্রের সাথে স্থগিত হয়ে যাওয়া পারমাণবিক আলোচনার বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে, এ বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উন।
২১৬৪ দিন আগে