সৌদি
সৌদিতে পৌঁছেছেন ৩৪ হাজার ৭৭৬ হজযাত্রী
এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজার ৭৭৬ জন হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছে গেছেন। তবে, এক হাজার ৭৯৭ হজযাত্রীর ভিসা এখনো হয়নি।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ অফিসের প্রতিবেদন থেকে এমন তথ্য জানা গেছে।
এতে বলা হয়, ৮৬টি ফ্লাইটে সৌদি আরবে গেছেন মোট ৩৪ হাজার ৭৭৬ জন হজযাত্রী। আজ সকাল ১০টা পর্যন্ত এসব হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। এখনো যাওয়ার বাকি ৫২ হাজার ৩২৪ জন।
আরও পড়ুন: পারমিট ছাড়া হজ পালন না করতে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অনুরোধ
এছাড়া প্রতিবেদন অনুযায়ী, মোট ৮৫ হাজার ৩০৩ জনের ভিসা হয়েছে। এখনো ১ হাজার ৭৯৭ জন হজযাত্রীর ভিসা হয়নি।
২১০ দিন আগে
দালালের খপ্পরে সৌদি গিয়ে নিখোঁজ দুই ভাই, মামলা
রাজবাড়ীর জালদিয়া গ্রামের দুই ভাই সোহেল মোল্লা ও ইকবল মোল্লা দালালের মাধ্যমে এক বছর আগে ১০ লাখ টাকা খরচ করে সৌদি গিয়ে কাজ না পেয়ে উল্টো নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
তিন মাস ধরে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ নেই বলে দাবি করেছে পরিবার। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে আদালতে মামলা করেছেন ভুক্তভোগীদের পরিবার। মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ফরিদপুর কার্যালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে হত্যা মামলায় দুই ভাইয়ের যাবজ্জীবন
ভুক্তভোগীরা হলেন— উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের জালদিয়া গ্রামের কামাল মোল্লার ছেলে সোহেল মোল্লা ও মৃত ইয়াছিন মোল্লার ছেলে ইকবাল মোল্লা। তারা সম্পর্কে আপন চাচাতো ভাই।
কামাল মোল্লা বলেন, ‘গ্রামের প্রতিবেশী মনিরদ্দিন মোল্লা ও তার শ্যালক মামুন মোল্লা ভালো চাকরি দেওয়ার কথা বলে প্রথম দফায় গত বছরের ৫ মার্চ নগদ ছয় লাখ ও ২৬ মে ব্যাংকের মাধ্যমে আরও চার লাখসহ মোট ১০ লাখ টাকা নিয়ে ছেলে সোহেল ও ভাতিজা ইকবলকে সৌদি আরব পাঠান। সেখানে কাজ না পেয়ে উল্টো তারা দালাল চক্রের নির্যাতনের শিকার হন।’
‘কাজ দেওয়ার আশ্বাসে চলতি বছর ৭ ফেব্রুয়ারি মনিরদ্দিন ও মামুন তাদের কাছ থেকে আরও দুই লাখ টাকা নেন। এরপর থেকেই পরিবারের সঙ্গে সোহেল ও ইকবলের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তিন মাস ধরে তাদের খোঁজ না মেলায় উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় দিন কাটছে পরিবার দুটির।’
এমতাবস্থায় ২৭ এপ্রিল রাজবাড়ীর মানবপাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে দুই দালালের বিরুদ্ধে মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলা করেন সোহেল মোল্লার স্ত্রী রিনা আক্তার।
রিনা আক্তার বলেন, ‘তিন মাস ধরে স্বামী ও দেবরের খোঁজ নেই। মনিরউদ্দিন ও মামুন আবার আমাদের কাছে আরও ১০ লাখ টাকা দাবি করছেন। টাকা দিলে স্বামী ও দেবরকে এনে দেবেন। আমরা তাদের মোট ১২ লাখ টাকা দিয়েছি। নতুন করে ১০ লাখ টাকা কোথায় পাব।’
ইকবাল মোল্লার স্ত্রী সেলিনা খাতুন বলেন, ‘আমার স্বামী ও ভাসুর বেঁচে আছে নাকি মারা গেছেন জানি না। তিন মাস ধরে যোগাযোগ নেই। আমার দুই মেয়ে ও ভাসুরের ছোট এক মেয়ে রয়েছে।’
‘বাচ্চারা সবসময় কান্নাকাটি করে, তাদের বাবাদের সঙ্গে কথা বলতে চায়। আমরা অনেক খুব কষ্টে দিন পার করছি। সরকারের কাছে দাবি, আমার স্বামী ও ভাসুরকে দেশে ফেরত এনে দিক।’
সোহেলের মা সুফিয়া বেগম বলেন, ‘আমরা ছেলে দুটিকে ফেরত চাই। আর দালালদের কঠিন শাস্তি চাই। যাতে দালালদের খপ্পড়ে পড়ে আমাদের মতো অন্য কোনো পরিবার সর্বশান্ত না হয়।’
আরও পড়ুন: বগুড়ায় অটোরিকশাচালক হত্যা মামলায় ২ জনের মৃত্যুদণ্ড
অভিযুক্ত মামুন মোল্লা সাংবাদিকদের বলেন, ‘সোহেল ও ইকবলকে যে কোম্পানিতে কাজ দিয়েছিলাম তারা সেখানে কাজ না করে পাসপোর্ট ফেরত চায়। এজেন্সির মাধ্যমে কোম্পানির কাছ থেকে তাদের পাসপোর্ট ফেরত দিয়েছি। এখন আর তাদের বিষয়ে আমার কোনো দায়ভার নেই।’
মামলার ব্যাপারে পিবিআই ফরিদপুর কার্যালয়ের পুলিশ সুপার মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ‘আদালত এ সংক্রান্ত মামলার তদন্তভার পিবিআইকে দিয়েছে বলে জানতে পেরেছি। তবে এখন পর্যন্ত কোনো কাগজ হাতে পায়নি। পাওয়া মাত্র অফিসার নিয়োগ দিয়ে তদন্ত কাজ শুরু করব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সব সময় তদন্ত করে প্রকৃত সত্যকে সামনে আনা ও অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করে থাকি। তবে কর্মসংস্থানের জন্য যারা বিদেশে যাবেন, তাদের দালালদের মাধ্যমে না গিয়ে জনশক্তি রপ্তানি ব্যুরো ও বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে প্রচলিত নিয়ম মেনে বিদেশে যাওয়ার পরামর্শ দেব।’
২১৪ দিন আগে
সৌদিতে সড়ক দুঘটনায় বাংলাদেশি যুবকের মৃত্যু
সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় এক প্রবাসী বাংলাদেশি যুবকের মৃত্যু হয়েছে। বাংলাদেশ সময় সোমবার (২১ এপ্রিল) ভোরে সৌদি আরবের আবহা শহরের মাহাইল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত প্রবাসী মো. মিজানুর রহমান (৪৮) চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৬ নম্বর গুপ্টি পশ্চিম ইউনিয়নের আদশা গ্রামের মৃত এরশাদ মিজির বড় ছেলে।
মিজানের এক মেয় ও এক ছেলে সন্তান রয়েছে।
নিহতের চাচাতো ভাই মানিক হোসেন মৃত্যুর বিষয়টি ইউএনবি কে নিশ্চিত করেন। মানিক সৌদি আরবে নিহত মিজানের কাছেই থাকেন।
তিনি জানান, প্রতিদিনের মতো সোমবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে আমার জেঠাতো ভাই মিজান মালামাল লোড করে গাড়ি নিয়ে ফেরার পথে হঠাৎ একটি দ্রুতগতির গাড়ির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মানিক আরও বলেন, খবর পেয়ে ভোরে আমরা হাসপাতালে এসে দেখি ভাই আর বেঁচে নাই। এখন লাশ দেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
তিনি আরও বলেন, মিজান গত ২২ বছর ধরে সৌদি আরবের আবহা শহরে ছিলেন। তিনি নিজস্ব একটি পণ্যবাহী গাড়ি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। আড়ত থেকে সবজি সংগ্রহ করে খুচরা বাজারে সরবরাহ করতেন। অত্যন্ত পরিশ্রমী মানুষ ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
মিজানের আরেক চাচাতো ভাই পারভেজ জানান, মিজান পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে সবার বড় ছিলেন। তিনি সর্বশেষ ২০২৩ সালের শেষ দিকে দেশে ছুটিতে এসেছিলেন।
মিজানের মেয়ে জেরিন (২৩) বিবাহিত এবং ছেলে সামির (১৭) এবার এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছেন।
এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুলতানা রাজিয়া বলেন, ‘সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় মিজানুর রহমানের মৃত্যুর বিষয়টি আমরা জেনেছি। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। লাশ দেশে আনতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সকল ধরনের সহযোগিতা করা হবে।’
২২৭ দিন আগে
ওমরাহ ভিসার জটিলতা নিরসনে সৌদিকে চিঠি, বিমান ভাড়া ফেরতের আশ্বাস
কোনোপ্রকার পূর্ব-ঘোষণা ছাড়াই বাংলাদেশিদের জন্য ওমরাহ ভিসা প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে সৌদি সরকার। বাংলাদেশ থেকে রমজান মাসে অনেক মুসল্লি ওমরাহ করতে যান। সেই অনুযায়ী এবারও প্রস্তুতি নিয়েছিলেন অনেকে, এজেন্সিগুলো তাদের জন্য টিকিটও বুকিং দিয়েছে। এর মধ্যে হঠাৎ ভিসা বন্ধের ঘোষণায় বিপাকে পড়েছেন ওমরাহ যাত্রী ও এজেন্সিগুলো।
ভিসা বন্ধ হলেও আগেভাগে বুকিং দেওয়া বিমান টিকিটের মূল্য ফেরত পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল। তবে টিকিট-মূল্য সবাই ফেরত পাবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন।
উপদেষ্টা জানিয়েছেন, বাংলাদেশিদের জন্য ওমরাহ ভিসা বন্ধে উদ্বেগ জানিয়ে সংকট নিরসনে বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূতকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে জটিলতা কাটিয়ে বিষয়টি স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরাতে রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: হজ পালনকারীর সর্বনিম্ন বয়স ১৫ বছর নির্ধারণ
এছাড়া, বিমান সংস্থাগুলোর সঙ্গেও মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছে। তারা এজেন্সিগুলোর অগ্রিম ভাড়ার অর্থ ফেরত দেবে বলে নিশ্চিত করেছে বলেও জানিয়েছেন আ ফ ম খালিদ হোসেন।
ইউএনবিকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘সৌদি সরকার নুসুক অ্যাপের মাধ্যমে ওমরাহ ভিসা ওপেন করে (খুলে) দিয়েছিল, অথচ (কাজের উদ্দেশ্যে) লাখ লাখ মানুষ এখন সৌদি আরবে হাজির। হজের চেয়েও বেশি মানুষ এখন মক্কা-মদিনায়। মানুষ যে এবাদত করবে সেই পরিবেশ নেই। এই পরিস্থিতিতে সৌদি সরকার ওমরাহ ভিসা ইস্যু প্রায় বাতিল করে দিয়েছে। (বাংলাদেশিদের জন্য) তারা এখন ভিসা ইস্যুর হার ১০ শতাংশে নামিয়ে এনেছে।’
তিনি বলেন, ‘ওমরাহ ভিসা ইস্যু করা কমিয়ে দেওয়ার কারণে আমরা উদ্বিগ্ন, সেই উদ্বেগ আমরা তাদের জানিয়েছি। ভিসা আগের মতো ওপেন করার অনুরোধও করেছি। আমরা শনিবার (১৫ মার্চ) সৌদি রাষ্ট্রদূতকে চিঠি দিয়েছি। তারা আমাদের এখনও কোনো উত্তর দেয়নি।’
আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, ‘চিঠিতে আমরা বলেছি, আকস্মিকভাবে বন্ধ করে দেওয়ার কারণে আমাদের ওমরাহ যাত্রীরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। তারা এজেন্সিগুলোকে টাকা দিয়েছেন, এজেন্সিগুলো বিমানের টিকিটও বুকিং দিয়ে দিয়েছে। এখন এজেন্সিগুলোকে টাকা ফেরত দিতে হচ্ছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে আমরা সৌদি সরকারকে বাংলাদেশের জন্য ওমরাহ ভিসা ইস্যু স্বাভাবিক করার অনুরোধ করেছি। আমি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ফোনেও কথাও বলব। দেখি তারা কী সিদ্ধান্ত নেয়!’
‘বিমান সংস্থাগুলোর সঙ্গেও আমরা আলাপ করেছি। তারা আমাদের জানিয়েছে, টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়া হবে। তবে নিয়ম আছে, বুকিং দিলে পরে টাকা ফিরিয়ে নিলে একটা ফি কাটে। সামান্য একটা ফি কেটে টাকা ফেরত দেওয়া হবে। এ বিষয়ে তারা রাজি হয়েছে।’
শুধু বাংলাদেশিদের জন্যই কি এ সমস্যা হয়েছে—জানতে চাইলেন তিনি বলেন, ‘আমি যতটুকু শুনেছি, ওমরাহ ভিসা বন্ধ শুধু বাংলাদেশিদের জন্য নয়। এ বিষয়ে আমরা অফিশিয়াল কোনো কারণ এখনও জানতে পারিনি। তবে শুনেছি, রমজানে বেশি লোকের চাপ, একসঙ্গে এত লোকের চাপ সামলাতে একটু সমস্যা হচ্ছে, তাই হয়তো সাময়িক সময়ের জন্য সৌদি সরকার ওমরাহ ভিসা বন্ধ করেছে।’
‘সৌদি সরকার ঘোষণা দিয়ে ভিসা ইস্যু বন্ধ করলে এজেন্সিগুলো ওমরাহ যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা নিতেন না; কিন্তু তারা হঠাৎ করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়ায় জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। তবে আশা করছি, খুব দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।’
এদিকে, এজেন্সি মালিকদের সংগঠন হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) মহাসচিব ফরিদ আহমেদ ইউএনবিকে বলেন, ‘এ বিষয়ে আজকে আমরা ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করেছি। বিষয়টির সমাধান কীভাবে করা যায়, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।’
‘সৌদি আরবে ওমরাহ ভিসা ইস্যু এখনও স্বাভাবিক হয়নি। ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে একটি অনুরোধপত্র সৌদি রাষ্ট্রদূতকে দেওয়া হয়েছে বলে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। দেখি কী সিদ্ধান্ত আসে!’
তিনি বলেন, ‘যারা অগ্রিম টাকা জমা দিয়েছেন, তারা যেন দ্রুত টাকা (ফেরত) পায়, সে বিষয়ে আমাদের সহযোগিতা থাকবে। তবে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের জানানো হয়েছে, এয়ারলাইন্সগুলোর সঙ্গে তাদের কথা হয়েছে; টিকিটের অগ্রিম টাকা ফেরত দেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: ওমরাহ নিয়ে এজেন্সির বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ
ধর্ম মন্ত্রণালয় সচিব একেএম আফতাব হোসেন প্রামাণিক ইউএনবিকে বলেন, ‘হজের মতো ওমরাহ নিয়ে আমাদের দুদেশের মধ্যে চুক্তিবদ্ধ কোনোকিছু নেই। তারপরও আমরা সৌদি সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি। যারা ওমরাহয় যাওয়ার উদ্দেশ্যে টিকিটের জন্য বিভিন্ন এজেন্সিতে টাকা জমা দিয়েছেন, তাদের টাকা ফেরত দিতে হবে। এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, ওমরাহ যাত্রী পরিবহন করে থাকে ১০-১২টি এয়ারলাইন্স। রমজানে প্রতিদিন ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ ওমরাহ যাত্রী পরিবহন করার কথা। তবে ভিসা বন্ধ করায় যাত্রীরা এখন যেতে পারছেন না। অবশ্য এপ্রিল মাসের ১৫ তারিখ পর্যন্ত ওমরাহ যাত্রীদের (সৌদি) যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
২৬৩ দিন আগে
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে একমত ট্রাম্প-পুতিন, বসবেন সৌদিতে
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সরাসরি বৈঠক করতে একমত হওয়ার কথা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবে এই বৈঠক হতে পারে বলেও তিনি আভাস দিয়েছেন।
এরমধ্য দিয়ে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে গেল তিন বছর ধরে চলা মার্কিন নীতিতে বড় পরিবর্তন এনেছেন তিনি। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ওভাল অফিসে ট্রাম্প বলেন, ‘এই যুদ্ধ বন্ধে আলোচনা করতে পুতিন ও আমি একমত।’-খবর এসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি)।
একঘণ্টারও বেশি সময় ধরে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে তার আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি। এরপর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কের সঙ্গেও কথা হবে বলে জানান ট্রাম্প। কিন্তু রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় ইউক্রেনও সমানভাবে অংশীদার হবে কিনা; সে বিষয়ে তার কোনো প্রতিশ্রুতি নেই।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমি মনে করি, আমরা শান্তি অর্জনের পথে রয়েছি। আমি মনে করি, প্রেসিডেন্ট পুতিন ও প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিও শান্তি চান। আমিও শান্তি চাই। আমি কেবল দেখতে চাই, লোকজনের প্রাণহানি হচ্ছে না।’
আরও পড়ুন: ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ইউরোপীয়দের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বৈঠক চলতি সপ্তাহে
পুতিনের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘পুতিনের চিন্তাভাবনা সম্পর্কে জনগণ সত্যিকার অর্থে জানেন না। কিন্তু আমি মনে করি, আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারি, তিনিও এই যুদ্ধের অবসান দেখতে চান। কাজেই সেটা ভালো এবং আমরা এই যুদ্ধ বন্ধের দিকে যাচ্ছি, যত দ্রুত সম্ভব।’
এ সময়ে শিগগিরই পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলেও জানিয়েছেন ট্রাম্প, যা সৌদি আরবে হতে পারে।
ট্রাম্প-পুতিন আলোচনার মাধ্যমে এই আভাসই দেওয়া হচ্ছে যে, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ওয়াশিংটন ও মস্কো একটি চুক্তি পৌঁছাতে একমত হয়েছে। এরমধ্য দিয়ে এই যুদ্ধ নিয়ে যে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে কিয়েভও যে পরিপূর্ণ একটি অংশীদার হবে বলে মনে করতো জো বাইডেন প্রশাসন, সেখান থেকে সরে এসেছে ওয়াশিংটন।
ইউক্রেনও কী এই যুদ্ধের সমান অংশীদার হতে যাচ্ছে, জানতে চাইলে ট্রাম্প বলেন, ‘খুবই চমৎকার প্রশ্ন, আমি মনে করি, তারাও শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চান।’
এছাড়া ইউক্রেন যে পশ্চিমাদের সঙ্গে আরও ঘেঁষতে চাচ্ছে, সেই প্রত্যাশায় আরেকটি আঘাত করলেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পেট হেগসেথ। ব্রাসেলসে ন্যাটোর প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘ইউক্রেনের জন্য ন্যাটোর সদস্য হওয়া বাস্তবসম্মত না।’
পরবর্তীতে ট্রাম্পও একই কথা বলেছেন। তিনি বলেন, হেগসেথ যে কথা বলেছেন, সেটিই সত্য বলে আমি মনে করি।
২০২২ সালে ইউক্রেনে রুশ অভিযান শুরু হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের তখনকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন অঙ্গীকার করেন, ইউক্রেনের জন্য এই পশ্চিমা সামরিক জোটের সদস্য হওয়া অপরিহার্য।
আরও পড়ুন: দালালের খপ্পরে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধে জড়াচ্ছেন বাংলাদেশিরা: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
২৯৫ দিন আগে
সৌদি যাওয়ার পথে অসুস্থ হয়ে দুবাই হাসপাতালে বাবর
ওমরাহ পালনে সৌদি আরবে যাওয়ার পথে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে দুবাইয়ের একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সকালে বাবরের ব্যক্তিগত সহকারী মির্জা হায়দার আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ‘ছেলে লাবিব ইবনে জামানকে নিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় ওমরাহ পালনের জন্য ঢাকা থেকে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে দুবাই হয়ে সৌদি আরবের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন বাবর।’
‘এ সময় ঢাকা থেকে মদিনায় যাওয়ার পথে শ্বাসকষ্টজনিত কারণে বাবর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। বিমানটি দুবাইতে অবতরণের পর তাকে দ্রুত বিমানবন্দরের কাছের একটি ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়। যেখানে ডাক্তাররা চেকআপের পর তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন।’
তিনি জানান, ‘বর্তমানে দুবাইয়ের একটি হাসপাতালে ভর্তি আছেন ও ডাক্তারদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন সাবেক এই স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: কারামুক্ত বাবর
এছাড়া বাবরের বড় ছেলে তার সঙ্গে আছেন। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর বাবর ওমরাহ পালনে দুবাই থেকে সৌদি আরব যাবেন।
হায়দার বলেন, বাবর ও তার ছেলে লাবিব ইবনে জামান সন্ধ্যা ৬টায় এমিরেটসের একটি ফ্লাইটে মদিনার উদ্দেশে রওনা হন। এর কয়েক ঘণ্টা আগে বাবরের স্ত্রী ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও আলাদা একটি ফ্লাইটে মদিনার উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন। মদিনায় পৌঁছানোর পর তাদের জানানো হয় যে বাবর দুবাইতে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এর আগে ১৯ জানুয়ারি বুকে ব্যথা নিয়ে বাবরকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তাকে অ্যাডভান্সড করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নিবিড় পর্যবেক্ষণে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল। ১৭ বছর কারাভোগের পর তিনি ১৬ জানুয়ারি মুক্তি পান।
৩০৭ দিন আগে
সৌদিতে আটক ৮ বাংলাদেশির মুক্তির দাবিতে সরকারের হস্তক্ষেপ চায় পরিবার
সৌদি আরবে আটক আট প্রবাসী বাংলাদেশির মুক্তি এবং তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালিয়ে যেতে অনুমতির জন্য বাংলাদেশ সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়েছে তাদের পরিবার।
সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আটকদের স্বজনরা সরকারের কাছে তাদের দাবি জানান।
আটক বাংলাদেশিদের একজনের পরিবারের সদস্য এম নুরুল কবির ব্যাখ্যা করেছেন, বাংলাদেশে ছাত্র নেতৃত্বাধীন আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে তাদের আটক করা হয়েছিল। এ আন্দোলন দেশের অভ্যন্তরে এবং বিদেশে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যেও ব্যাপক সমর্থন লাভ করে।
কবির বলেন, গত ১৬ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সৌদি আরবের মুহাইল ও আবহায় প্রবাসীরা প্রার্থনা সভা ও আলোচনা সভার আয়োজন করেন।
অনুষ্ঠানে স্থানীয় প্রবাসী বাংলাদেশিরা উপস্থিত ছিলেন, কিন্তু সমাবেশের পরে সৌদি পুলিশ অনুষ্ঠানের আয়োজকদের আটক করে। এই আটজনকে গত ২৩ দিন ধরে হেফাজতে রাখা হয়েছে।
পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে আটকে রাখায় তাদের স্বজনরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন বলে জানান কবির।
আটককৃতরা হলেন- চট্টগ্রামের মোহাম্মদ জয়নাল আবেদিন, হাফিজ রহমাতুল্লাহ, মোহাম্মদ খলিলুর রহমান, মোহাম্মদ ওমর ফারুক ও সেলিম উল ইসলাম এবং বান্দরবানের মাওলানা ইউসুফ ও মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম।
ভুক্তভোগী পরিবারগুলো সৌদি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের মুক্তি দেয়নি। তারা এখন বাংলাদেশ সরকারের জরুরি হস্তক্ষেপের জন্য আবেদন করছে। তাদের বিশ্বাস এটি তাদের প্রিয়জনদের মুক্তি নিশ্চিত করার একমাত্র উপায়।
৪৫১ দিন আগে
সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ বাংলাদেশি শ্রমিক নিহত
সৌদি আরবের আল নাজদ অঞ্চলের আফিফ শহরে কাজে যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় সবুজ, সাব্বির ও রিফাত নামে তিনজন বাংলাদেশি শ্রমিক নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বাংলাদেশি সময় দুপুর ১২টা ও সৌদি সময় আনুমানিক সকাল ৯টার দিকে আফিফ থেকে কর্মস্থলে যাওয়ার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার চরদুঃখিয়া পশ্চিম ইউনিয়নের পশ্চিম বিশকাটালি গ্রামের জামাল চৌকিদারের ছেলে সবুজ চৌকিদার, পার্শ্ববর্তী হাইমচর উপজেলার আলগী দক্ষিণ ইউনিয়নের চরভাঙা গ্রামের সৈয়াল বাড়ির মো. ইসমাইল ছৈয়ালের ছেলে মো. সাব্বির এবং উত্তর ইউনিয়নের কমলাপুর গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মো. রিফাত।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১
এদের মধ্যে সবুজ গাড়ির চালক ছিলেন।
শুক্রবার (১৪ জুন) সকালে নিহত তিন শ্রমিকের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে শোকের মাতম। ঈদুল আজহার সময়ে এমন দুর্ঘটনা পরিবার তিনটিতে হৃদয় বিদারক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
রিফাতের স্বজনরা জানায়, কমলাপুর গ্রামের রিফাত মাত্র তিন বছর আগে গিয়েছেন ওই দেশে। নির্মাণশ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।
তার বাবা দেলোয়ার হোসেন বলেন, ৩/৪ দিন আগেও ছেলের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমার আবদার ছিল ছেলে যেন বাড়িতে এসে ঈদ করে। কিন্তু তা আর হলো না।
ওদিকে নিহত সাব্বিরের বাবা ইসমাইল ছৈয়াল ও মা ফাতেমা বেগমের একটাই দাবি তাদের সন্তানকে দেশে আনার জন্য সরকারিভাবে যেন সহযোগিতা করা হয়।
সাব্বিরের মা ফাতেমা বেগম ছেলের শোকে কথাও বলতে পারছে না। অনেকটা বাকরুদ্ধ। প্রতিবেশীরা সান্ত্বনা দিয়েও মাকে বোঝাতে পারছেন না। কিছু সময় পরপর ছেলের নাম নিয়ে কেঁদে উঠেন।
সাব্বিরের ছোট বোন স্নেহা বলেন, ভাই আমাকে ফোনে অনেক স্বপ্ন দেখাতেন। আমাকে নিয়ে ভাইয়ের অনেক স্বপ্ন ছিল। দেশে আসলে কী করবেন। গত কয়েকদিন আগে কথা হলে আমি দেশে আসার জন্য বলি। কিন্তু ভাইয়ের আর আসা হলো না। বড় ভাইও সৌদিতে থাকেন।
সাব্বির আর রিফাতকে সৌদিতে কাজের জন্য নেন সবুজ চৌকিদার। তিনি তাদের নিয়ে আফিফ শহর ও আশপাশের এলাকায় ভবন নির্মাণের কাজ করতেন। নিজেদের গাড়িতে তারা কাজে আসা-যাওয়া করতেন। দুর্ঘটনার সময় সবুজ গাড়ি চালাচ্ছিলেন বলে জানান তার বাবা জামাল চৌকিদার।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১
জামাল চৌকিদার বলেন, তার ছেলে সবুজ প্রায় ১৮ বছর ধরে সৌদিতে থাকেন। দুই সপ্তাহ আগে দেশ থেকে স্ত্রী ও সন্তানদের সৌদিতে নিয়ে গেছেন। তারা এখন সৌদি আছেন।
তিনি আরও বলেন, বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় ৪টায় সবুজসহ তিনজনের দুর্ঘটনার খবর পান। রাত ১০টায় সেখানে অবস্থানরত স্বজনদের মাধ্যমে জানতে পারেন দুর্ঘটনার পর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে সবুজের মৃত্যুতে তার মা ও স্বজনরা শোকাহত।
এই তিন পরিবারের আকুল আহ্বান হচ্ছে- তাদের সন্তানদের লাশ আনার বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো যাতে সহযোগিতা করে।
হাইমচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে সালমা নাজনীন তৃষা বলেন, সৌদিতে দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে আমাদের এখন পর্যন্ত জানানো হয়নি। তবে আমাদের জানালে, তাদের জন্য যেসব করণীয় আছে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
৫৩৮ দিন আগে
সৌদি থেকে ফিরে পরিবারের খোঁজে সরোয়ার
সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেছেন সরোয়ার নামে এক যুবক। মানসিক ভারসাম্যহীন হারিয়ে ফেলায় তার ঠিকানা জানাতে পারছেন না তিনি। তার পরিবারের লোকজনের খোঁজ করছে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান (এপিবিএন)।
বিমানবন্দর সূত্রে জানা যায়, শনিবার (৩০ মার্চ) ৮টা ৩০ মিনিটে ফ্লাইট দুবাই বিমানযোগে সৌদি আরব থেকে দেশে পৌঁছান সরোয়ার।
আরও পড়ুন: নিখোঁজের ২ দিন পর পুকুরে ভেসে উঠে শিশুর লাশ
সেখানে জেলে ছিলেন সরোয়ার। দেশে ফেরে কিছুই বলতে পারছেন না। সরোয়ার সবসময় চুপচাপ থাকছেন। তার সঙ্গে থাকা বোর্ডিং পাস ও জেলখানার কাগজ থেকে জানা যায়, তার বাবার নাম আব্দুল বাশার।
ফ্লাইটে আসা অন্য প্রবাসী কর্মীরা সরোয়ারকে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান (এপিবিএন) অফিসে দিয়ে যান।
তারা জানান, সরোয়ারের বাড়ি কুমিল্লার পদুয়ার বাজার। এছাড়া আর কোনো তথ্য তারাও জানেন না। সারোয়ার নিজেও কিছুই বলতে পারছেন না।
আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ার সরোয়ারের পরিবার খুঁজে তাকে নিরাপদে হস্তান্তরের জন্য রাতেই ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের কাছে হস্তান্তর করেন।
বর্তমানে তিনি আশকোনায় ব্র্যাক লার্নিং সেন্টারে আছেন।
সরোয়ারের স্বজনের খোঁজে সবার সহযোগিতা কামনা করছে ব্র্যাক মাইগ্রেশন ওয়েলফেয়ার সেন্টার। কেউ এই মানুষটাকে চিনলে বা কোনো তথ্য পেলে তাদের জানানোর অনুরোধ করেছেন।
প্রয়োজনে আশকোনার ব্র্যাক মাইগ্রেশন ওয়েলফেয়ার সেন্টারের ম্যানেজার আল আমিন নয়নের সঙ্গে ০১৭১২১৯৭৮৫৪১ নম্বরে যোগাযোগের অনুরোধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নিখোঁজের ২ দিন পর নবম শ্রেণির ছাত্রীর লাশ উদ্ধার
চরমোনাই মাহফিলে গিয়ে নিখোঁজ যুবকের লাশ উদ্ধার
৬১২ দিন আগে
সৌদির সঙ্গে মিল রেখে চাঁদপুরের ৪০ গ্রামে রোজা শুরু
সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশের সঙ্গে মিল রেখে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা দরবার শরীফ ও আশপাশের গ্রামসহ জেলার প্রায় ৪০ গ্রামে সোমবার (১১ মার্চ) থেকে রোজা শুরু হয়েছে।
রবিবার(১০ মার্চ) সাদ্রা দরবার শরীফের পীরজাদা ড. বাকীবিল্লাহ মিশকাত চৌধুরীসহ বিভিন্ন সূত্র ইউএনবিকে জানায়, এসব এলাকার মুসল্লিরা তারাবিহর নামাজও আদায় করেছেন এবং ভোরে সেহরী খাবেন।
পরে রাতে সৌদি আরবে চাঁদ দেখার খবরটি নিশ্চিত হওয়ার পর এসব তথ্য নিশ্চিত করেন এ দরবার শরীফের পীরজাদা ও অনুসারীরা।
সাদ্রা দরবার শরীফের পীরজাদা ড. বাকীবিল্লাহ মিশকাত চৌধুরী জানান, তাদের মসজিদে পবিত্র রমজান মাসের তারাবিহ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রাতে সেহরি খাবেন এবং সোমবার (১১ মার্চ) থেকে প্রথম রোজা শুরু হবে।
আরও পড়ুন: রোজায় সুস্থ থাকার ৫টি উপায়
তিনি আরও জানান, আগাম রোজা ও দুই ঈদ পালনের প্রবর্তক তার মরহুম দাদা মাওলানা ইসহাক (রহ.)।
১৯২৮ সাল থেকে সাদ্রা দরবার শরীফের পীর মওলানা ইসহাক সৌদি আরবসহ আরব দেশসমূহে চাঁদ দেখা গেলে তাদের সঙ্গে মিল রেখে রোজাপালন , ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উদযাপনের নিয়ম চালু করেন।
তিনি আরও জানান, সৌদি আরবে পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখার খবর পেয়েছি। আমরা নিজেরাও খোঁজ-খবর নিয়ে নিশ্চিত হয়েছি। ইনশাআল্লাহ সোমবার থেকে আমাদের গ্রামসহ ৪০ গ্রামে রোজা শুরু হচ্ছে।
আরও পড়ুন: রোজায় কমল স্কুল-কলেজ খোলা রাখার সময়
রাত ১০টায় হাজীগঞ্জ পৌরসভার বলাখাল মহরম আলী ওয়ার্কফ এস্টেট জামে মসজিদের মুসল্লি ও সাবেক কাউন্সিলর মো. হাবিব উল্লাহ জানান, তাদের মসজিদে পবিত্র রমজান মাসের তারাবিহ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাতে সেহরিও খাবেন এবং সোমবার (১১ মার্চ) থেকে প্রথম রোজা শুরু হবে।
এছাড়া হাজীগঞ্জ উপজেলার সমেশপুর, অলিপুর, বলাখাল, মনিহার, প্রতাপুর, বাসারা, ফরিদগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীপুর, কামতা, গল্লাক, ভোলাচোঁ, সোনাচোঁ, উভারামপুর, উটতলি, মুন্সিরহাট, কাইতাড়া, মূলপাড়া, বদরপুর, আইটপাড়া, সুরঙ্গচাইল, বালিথুবা, পাইকপাড়া, নূরপুর, সাচনমেঘ, শোল্লা, হাঁসা, গোবিন্দপুর, গ্রামে রোজা শুরু হয়েছে। এছাড়া মতলব উত্তর উপজেলার দশানী, মোহনপুর, পাঁচানী , ছটাকীএবং কচুয়া ও শাহরাস্তি উপজেলার কয়েকটি গ্রামের সহস্র বাসিন্দারা একইভাবে আগাম রোজা পালন ও দুই ঈদ উদযাপন করে আসছেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরের ৪০ গ্রামে রোজা শুরু
৬৩৪ দিন আগে