ইউনূস
ইউনূসকে নিয়ে ওয়াশিংটন পোস্টে বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়েছে, বিবৃতি নয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে ওয়াশিংটন পোস্টে যা প্রকাশিত হয়েছে- তা কোনো বিবৃতি নয় বরং একটি বিজ্ঞাপন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘ওয়াশিংটন পোস্ট এটিকে বিজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করেছে। এটি কেবল একটি বিজ্ঞাপন, খবর নয়।’‘স্পষ্টতই, এটি একটি লবিস্ট ফার্ম দ্বারা করা হয়েছিল।’
আরও পড়ুন: তারেকের বিরুদ্ধে রায় বাস্তবায়নে যা কিছু করা সম্ভব্ সবই করবে সরকার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
লবিস্ট প্রতিষ্ঠানটি অতীতেও একই কাজ করেছে বলেও উল্লেখ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিচার বিভাগ স্বচ্ছ এবং ইউনূসের মামলায় সরকার কোনো পক্ষ নয়।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ইউনূসের সংগঠনের সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা মামলাটি দায়ের করেছেন এবং অত্যন্ত স্বচ্ছভাবে বিচার চলছে।
এদিকে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস রবিবার(২৮ জানুয়ারি) দাবি করেছেন, তার প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা নয়, সরকারই তার বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলা দায়ের করেছে।
এ দাবির বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সোমবার(২৯ জানুয়ারি) পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তার প্রতি যথাযথ সম্মান রেখেই বলতে চাই, তিনি যা বলেছেন তা সঠিক নয়।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ইস্যুকে জাতিসংঘের আলোচ্যসূচির শীর্ষে রাখতে মহাসচিবের প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অনুরোধ
মন্ত্রী বলেন, ইউনূসের কোম্পানিতে সংক্ষুব্ধ শ্রমিকরা তাদের প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হওয়ায় এ মামলা করেন।
শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘অব্যাহতভাবে বিচারিক হয়রানি এবং সম্ভাব্য কারাগারে আটকের’ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ১২৫ জনেরও বেশি নোবেল বিজয়ীসহ ২৪১ জন বিশ্ব নেতা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে তৃতীয় খোলা চিঠি লিখেছেন।
২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি প্রফেসর ইউনূস এবং গ্রামীণ টেলিকমের তিন সহকর্মীকে শ্রম আইন লঙ্ঘনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয় এবং আপিল বিবেচনা চলাকালীন তাদের জামিন দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ শীর্ষ সম্মেলন: ঐক্য, সংহতি ও সহযোগিতার ডাক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
কর্মীদের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত ইউনূসের: নির্বাচন পরবর্তী সভায় প্রধানমন্ত্রী
শ্রম আইন লঙ্ঘনের দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে ক্ষমা করা তার কাজ নয় বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
নির্বাচনে বিজয় উদযাপনের সময় ড. ইউনূসকে ক্ষমা করার বিষয়টি বিবেচনা করবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শ্রম আদালত যে রায় দিয়েছেন তাতে এখানে তার কিছু করার নেই।
সোমবার (৮ জানুয়ারি) গণভবনে সফররত বিদেশি পর্যবেক্ষক, গণমাধ্যমকর্মী ও স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে নির্বাচন পরবর্তী সৌজন্য সাক্ষাতের সময় এক ভারতীয় সাংবাদিকের প্রশ্নে জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন ২০২৪: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চীনের অভিনন্দন
শেখ হাসিনা বলেন, ইউনূস শ্রম আইন লঙ্ঘন করেছেন এবং নিজের কর্মচারীদের বঞ্চিত করেছেন। সেসব কর্মচারীরাই শ্রম আদালতে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। ‘এ বিষয়ে আমার কিছু করার নেই। তিনি যাদের বঞ্চিত করেছেন, তাদের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিৎ।’
কোনো বিরোধী দল ছাড়াই বাংলাদেশকে শক্তিশালী গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে তিনি বিশ্বাস করতে পারেন কি না- বিবিসির এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, প্রতিটি দলের নিজস্ব সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রয়েছে।
ওই সাংবাদিক আরও উল্লেখ করেন, রবিবারের নির্বাচনে ৬০ শতাংশ ভোটার ভোট দেয়নি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যদি কোনো নির্দিষ্ট দল নির্বাচনে অংশ না নেয়, তার মানে এই নয় যে গণতন্ত্র নেই। তিনি বলেন, 'জনগণ অংশ নিয়েছে কি না- তা বিবেচনা করতে হবে।’
তিনি বলেন, 'দলটি নির্বাচনে অংশ নেয়নি এবং তারা জনগণকে ভোট দিতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু জনগণ তাদের কথা শোনেনি।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, এখানে জনগণের অংশগ্রহণই মূল বিষয়। এটা ছাড়া গণতন্ত্রের অন্য কোনো সংজ্ঞা আছে কি না তা জানেন না।
সহিংসতা ও অগ্নিসংযোগের জন্য বিএনপির কঠোর সমালোচনা করে শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের পাল্টা প্রশ্ন করেন, তিনি কীভাবে একটি গণতান্ত্রিক দলকে সংজ্ঞায়িত করেন। তিনি বলেন, 'তারা একটি সন্ত্রাসী দল।’
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইন্দিরা গান্ধী, গোল্ডা মেইর, মার্গারেট থ্যাচার ও শ্রীমাভো বন্দরনায়েকের মতো মহান নারী নেতাদের সঙ্গে তার তুলনা হোক তা তিনি চান না।
তিনি বলেন, 'তারা মহান নারী ছিলেন। আমি একজন সহজ-সরল মানুষ।’ তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের জন্য কাজ করার সময় তিনি নিজেকে নারী বা পুরুষ মনে করেন না।
নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে আসা এক মার্কিন নাগরিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'প্রতিটি দেশের সঙ্গে, এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও আমাদের সম্পর্ক চমৎকার। সুতরাং, আমাদের দিক থেকে কোনো সমস্যা নেই। আমাদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক। এটা এখন আপনার এবং আপনার সরকারের ওপর নির্ভর করছে।’
পররাষ্ট্র নীতি সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেহেতু বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির মূলমন্ত্র হচ্ছে 'সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো প্রতি বিদ্বেষ নয়’, তাই বাংলাদেশের সব দেশের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রয়েছে।
ভারতকে বাংলাদেশের মহান বন্ধু হিসেবে বর্ণনা করে তিনি বলেন, প্রতিবেশীদের সঙ্গে বাংলাদেশের চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার পরবর্তী সরকারের লক্ষ্য হবে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশ (২০২৬ সাল থেকে) হিসেবে উন্নীত করা, বিদ্যুৎ উৎপাদন অব্যাহত রাখা, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও উন্নত করা, দারিদ্র্য বিমোচন, চরম দারিদ্র্য বিমোচন, দেশকে গৃহহীনমুক্ত করা। সর্বোপরি দেশের অগ্রগতি অব্যাহত রাখা এবং দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলা।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারতের অভিনন্দন
এক বিদেশি সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'অর্থনৈতিক অগ্রগতি এবং জনগণের উন্নত জীবন নিশ্চিত করাই আমার মূল লক্ষ্য।’
ইউনূসের বিরুদ্ধে গণভবনের 'নির্দেশিত রায়ে' গোটা জাতি লজ্জিত: বিএনপি
নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আদালতের রায়ের নিন্দা জানিয়ে বিএনপি বলেছে, গণভবনের নির্দেশিত এই রায়ে পুরো জাতি লজ্জিত।
সোমবার (১ জানুয়ারি) ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ড. ইউনূস প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন।
তিনি বলেন, শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে কথিত মামলায় শেখ হাসিনার নির্দেশে ড. ইউনূসকে ছয় মাসের কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত।
তিনি বলেন, 'গণভবনের এই রায়ে সমগ্র জাতি লজ্জিত। আমরা এই রায়ের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার ক্রমাগত বিষাক্ত মন্তব্য এবং তাকে বিভিন্ন হুমকি প্রমাণ করেছে যে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে এই রায় দেওয়া হয়েছে।
২০২২ সালের ১৮ মে এক আলোচনা সভার উদ্বৃতি দিয়ে রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পদ্মা নদীতে ফেলে হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: উত্তাল বছর শান্তভাবে শেষ হলেও সরকারের পতনে বিএনপির সংকল্প অটুট
বিএনপি নেতা বলেন, ‘তিনি(প্রধানমন্ত্রী) ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে পদ্মা সেতু থেকে পানিতে ফেলে দেওয়ার হুমকিও দেন। তখন থেকেই এটা স্পষ্ট হয়ে যায় যে, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নেতারা লাখ লাখ কোটি টাকা লুট পাট করে বিদেশে পাচার ও আত্মসাৎ করলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
রিজভী বলেন, জাতির গর্ব ড. ইউনূসকে সুপরিকল্পিতভাবে সাজানো রায়ে দণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আজ শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের তিন শীর্ষ কর্মকর্তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা।
ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, আপিলের শর্তে আদালত সবাইকে এক মাসের জামিন দিয়েছেন।
অসন্তোষ প্রকাশ করে ব্যারিস্টার মামুন বলেন, 'আমরা ন্যায়বিচার পাইনি এবং হাইকোর্টে আপিল করব।’
২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: ২০২৪ সালে শান্তিপূর্ণভাবে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে: বিএনপি
মস্কোর ফাইন্যান্সিয়াল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপদেষ্টা বোর্ডের চেয়ারম্যান ইউনূস
রাশিয়ান ফেডারেশনের অধীন ফাইন্যান্সিয়াল ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা বোর্ডের সভাপতি নিযুক্ত হয়েছেন নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
রাশিয়ান ফেডারেশন সরকারের অধীনে ফাইনান্সিয়াল ইউনিভার্সিটির রেক্টর প্রফেসর স্তানিস্লাভ প্রোকোফিয়েভের সঙ্গে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা বোর্ড গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।
আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা বোর্ড গঠনের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত ওই সভায় অধ্যাপক ইউনূসকে উপদেষ্টা বোর্ডের সভাপতি নিযুক্ত করার প্রস্তাব দেওয়া হলে তিনি তা সানন্দে গ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা বোর্ডের সভাপতি হলেন ড. ইউনূস
ফাইন্যান্সিয়াল ইউনিভার্সিটি রাশিয়ার শীর্ষ পাঁচ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি। প্রতিষ্ঠানটির অ্যাকাডেমিক স্টাফের সংখ্যা তিন হাজার। এছাড়া গত বছর বিশ্ববিদ্যালয়টির আমন্ত্রণে সেখানকার ছাত্র-শিক্ষকদের মিলনায়তনে নিজের সামাজিক কার্যক্রমের উপরে বক্তব্য দেন।
যেখানে তিনি নেট জিরো, শূন্য সম্পদ কেন্দ্রীকরণ ও শূন্য বেকারত্বের লক্ষ্য অর্জনে সামাজিক ব্যবসাভিত্তিক নতুন সভ্যতা নির্মাণে তার চিন্তা-ভাবনা ও রূপকল্প তাদের কাছে তুলে ধরেন।
ফাইনান্সিয়াল ইউনিভার্সিটির এই আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা বোর্ড পরামর্শকেন্দ্রিক উচ্চশিক্ষা কমিটির মতো কাজ করবে; যার মূল লক্ষ্য হবে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতাগুলো কাজে লাগানো।
এছাড়া বিষয়ভিত্তিক গভীর বিশেষজ্ঞ-বিশ্লেষণ প্রদান করা, কৌশলগত উন্নয়নে বিভিন্ন প্রস্তাবনা তৈরি করা এবং বিশ্ববিদ্যালয়টির জন্য অ্যাকাডেমিক, গবেষণা ও উদ্ভাবনমূলক কর্মসূচি গ্রহণে সহায়তা করা।
প্রফেসর ইউনূস ও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেক্টরের বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কর্মসূচি ও গবেষণার জন্য ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা তৈরিতে আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা বোর্ডের ভূমিকা ব্যাখ্যা করেন।
তিনি প্রফেসর ইউনূসের সামাজিক ব্যবসা তত্ত্বের প্রশংসা করেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পর্যায়ের অ্যাকাডেমিক কর্মসূচিতে এই তত্ত্ব অন্তর্ভুক্ত করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন— বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রেসিডেন্ট প্রফেসর মিখাইল এসকিন্দারভ, অ্যাকাডেমিক অ্যাফেয়ার্স বিষয়ক ভাইস রেক্টর প্রফেসর একাতেরিনা কামেনেভা, সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড এডুকেশনাল প্রজেক্টসের পরিচালক প্রফেসর কিরিল বাবায়েভ, ইন্টারন্যাশনাল রিলেশানস বিভাগের প্রধান মিস লিলিয়া।
আরও পড়ুন: স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই এখন জরুরি কাজ, বিলম্ব গ্রহণযোগ্য নয়: ড. ইউনূস
কোনো অপরাধ করিনি, শঙ্কিত কেন হবো: দুদক কার্যালয়ে ড. ইউনূস
দুদক এর তদন্তে কারো ব্যক্তিগত পরিচয় দেখে না: সংস্থাটির সচিব
গ্রামীণ টেলিকমের ওয়ার্কার্স প্রফিট পার্টিসিপেশন ফান্ডের (ডব্লিউপিপিএফ) ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ সাতজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদক সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, ‘গ্রামীণ টেলিকমের কর্মচারীরা কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেন। তারা অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখেন এবং কিছু অভিযোগ অধিকতর তদন্তের জন্য দুদকে প্রেরণ করেন। এ বিষয়ে দুদক একটি মামলা করেছে এবং তদন্ত চালাচ্ছে। তদন্তের অংশ হিসেবে কমিশন তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।’
অর্থ পাচার ও আত্মসাতের মামলায় ড. ইউনূসকে তলব ও জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে জানতে চাইলে দুদক সচিব এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: কোনো অপরাধ করিনি, শঙ্কিত কেন হবো: দুদক কার্যালয়ে ড. ইউনূস
ড. ইউনূসের ব্যক্তি ইমেজের প্রভাবে দুদকের তদন্ত প্রভাবিত করার সুযোগ আছে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে দুদক সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, ‘দুদক কারো ব্যক্তিগত পরিচয় দেখে না। প্রভাবিত করার কোনো সুযোগ নেই।’
তার বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘তদন্তকারী কর্মকর্তা যদি মনে করেন যার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি আত্মগোপন করতে পারেন কিংবা আলামত নষ্ট করতে পারেন অথবা সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন সে ক্ষেত্রে তদন্ত কর্মকর্তা তদন্তের প্রয়োজনে গ্রেপ্তার করতে পারেন অথবা আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞায় পদক্ষেপ নিতে পারেন।’
আরও পড়ুন: আত্মসাৎ মামলা: দুদকে ড. ইউনূস
অর্থ পাচার ও আত্মসাতের মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কার্যালয়ে আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে হাজির হন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সেখানে তিনি বলেন, ‘আমি কোনো অপরাধ করিনি, শঙ্কিত কেন হবো।’
দুদক কার্যালয় থেকে বের হয়ে ড. ইউনূসের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, গ্রামীণ টেলিকমের ডব্লিউপিপিএফ’র কোনো অনিয়মের সঙ্গে তার মক্কেল জড়িত নন।
তিনি বলেন, গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ম অনুযায়ী লভ্যাংশ দেওয়া হয়েছে।
আইনজীবী বলেন, ড. ইউনূস 'আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল' হওয়ায় জাতিসংঘে বৈঠক থাকা সত্ত্বেও তদন্তে তাদের সহায়তা করতে দুদকে গিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে রংপুর শ্রম আদালতে মামলা
ইউনূসকে ব্যবহার করে বিএনপির ‘নতুন খেলা’ শুরু: কাদের
বিএনপির আন্দোলনে ভাটা পড়ায় ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে নিয়ে নতুন খেলা শুরু করেছে উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশের মাটিতে তাদের এই অশুভ খেলা খেলতে দেওয়া হবে না।
বুধবার (৩০ আগস্ট) সচিবালয়ে জাতির পিতার ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকীর আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ এবং বাংলাদেশ সচিবালয় বহুমূখী সমবায় সমিতি এই কর্মসূচির আয়োজন করে।
যুক্তরাষ্ট্রের একটি পত্রিকায় প্রকাশিত নোবেল বিজয়ীদের সাম্প্রতিক বিবৃতির পেছনে অর্থের উৎস নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, পত্রিকায় বিবৃতির জন্য জায়গা পেতে দুই মিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছে।
আরও পড়ুন: গুমের শিকারদের স্মরণে বুধবার কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি
মন্ত্রী বলেন, তারা আবারও ১/১১-এর স্বপ্ন দেখছে। ড. ইউনূস সে সময় অনেক চেষ্টা করেছিলেন। তার স্বপ্ন পূরণ হয়নি।’
তিনি বলেন, কেউ কেউ ইউনুসের মামলা স্থগিত করতে বলেন, মামলা কীভাবে স্থগিত হবে? মামলার কাগজপত্র, দলিল দস্তাবেজ ঠিক আছে কি না দেখেন। আপনারা হাওয়ায় একটা বিবৃতি ছেড়ে দিলেন। আবার এরসঙ্গে একটু দ্বিধা লাগে, যখন অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি করা হয়। তারা বাংলাদেশের নির্বাচনকে বানচাল করতে চান। বাংলাদেশে নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশকে ভণ্ডুল করতে নতুন প্ল্যাটফর্ম করতে চান। পরিষ্কার বলতে চাই, বাংলাদেশের মাটিতে এই অশুভ খেলা আমরা খেলতে দেব না।
মন্ত্রী বলেন, নোবেল পেয়েছেন বলে কোনো অপরাধ করেও অব্যাহতি পেয়ে যাবেন- এটা কোন দেশের আইনে আছে। শ্রমিকের অর্থ আত্মসাৎ করেন যিনি, তার মতো নোবেল বিজয়ী শ্রেষ্ঠ সন্তানের আমাদের প্রয়োজন কী? শ্রমিকের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। তার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন শ্রমিকরা।
আরও পড়ুন: ষড়যন্ত্রকারীরা প্রস্তুত হচ্ছে, আমরাও প্রস্তুত আছি : ওবায়দুল কাদের
ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আদালতে বিচার চলবে: আপিল বিভাগ
শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে নোবেল বিজয়ী ও গ্রামীণ কমিউনিকেশনের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় বিচার কার্যক্রম বাতিলের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
সোমবার বিচারপতি মো. নুরুজ্জামানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
কারখানা ও প্রতিষ্ঠানের পরিদর্শন বিভাগের (ডিআইএফই) কৌঁসুলি খুরশীদ আলম খান বলেছেন, এখন শ্রম আদালতে তার বিরুদ্ধে বিচার কার্যক্রম পরিচালনায় কোনো আইনি বাধা নেই।
ইউনূসের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন।
২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে মামলাটি করেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুল হাসান, পরিচালক নূরজাহান বেগম ও শাহজাহান।
আরও পড়ুন: প্রফেসর ইউনূসকে ‘জিরো ওয়েস্ট অ্যাডভাইজরি বোর্ড’-এর সদস্য নিযুক্ত জাতিসংঘের মহাসচিবের
মামলার এজাহারে বলা হয়, গ্রামীণ টেলিকম অধিদপ্তরের পরিদর্শকদের পরিদর্শনে দেখা গেছে, যে ১০১ জন কর্মী-কর্মচারীকে স্থায়ী করার কথা ছিল, তাদের তা করা হয়নি।
তাদের জন্য কোনো অংশগ্রহণ তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি এবং কোম্পানির লাভের পাঁচ শতাংশও আইন মেনে শ্রমিকদের দেওয়া হয়নি।
অভিযোগের ভিত্তিতে, শ্রম আইনের ৪, ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় একটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত ১২ অক্টোবর শ্রম আদালত চার আসামিকে জামিন দেন।
পরে ৭ ডিসেম্বর মামলাটি বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন অধ্যাপক ইউনূস।
১২ ডিসেম্বর হাইকোর্ট একটি মামলার প্রক্রিয়া ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন।
গত বছরের ১৭ আগস্ট হাইকোর্ট (এইচসি) মামলাটি বাতিলের আবেদন খারিজ করে দেয়।
পরে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেন অধ্যাপক ইউনূস।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের পক্ষে ৪০টি নাম ব্যবহার করে বিজ্ঞাপন কেন: প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন
কার্ল কুবেল পুরস্কার পেলেন নোবেলজয়ী অধ্যাপক ইউনূস
কার্ল কুবেল ফাউন্ডেশন ফর চাইল্ড অ্যান্ড ফ্যামিলি সম্প্রতি নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে কার্ল কুবেল পুরস্কারে ভূষিত করেছে।
ইউনূস সেন্টার সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ফাউন্ডেশন সারা বিশ্বের পরিবারের প্রতি তার অসাধারণ এবং বহুমুখী প্রতিশ্রুতিকে সম্মানিত করেছে।
‘পরিবারের গণনা’- কার্ল কুবেল ফাউন্ডেশনের জয়ন্তী নীতি, এই বছর জার্মানির বেনশেইমে তার ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন করেছে।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আদালতে মামলা চলবে: হাইকোর্ট
কার্ল কুবেল ফাউন্ডেশনের বোর্ডের ডেপুটি চেয়ারওম্যান ড. কার্স্টিন হামবার্গ বলেছেন, ইউনূস তার নারী গ্রাহকদের সন্তান ও পরিবারের জন্য আরও ভাল জীবনযাপন করা সম্ভব করেছেন।
তারা কোভিড-১৯ মহামারি ও বৈশ্বিক উষ্ণতা থেকে নতুন যুদ্ধ পর্যন্ত বিস্তৃত বৈশ্বিক সংকটের সময়ে বাংলাদেশের অর্থনীতিবিদকে একটি বড় আশার উৎস হিসেবে প্রশংসা করেন। ‘তিনি সত্যিই একজন গেম চেঞ্জার এবং আশার স্রষ্টা’।
হামবার্গ বলেছেন, ‘আমাদের প্রত্যেকেই আমাদের চারপাশের অন্যদের জীবনকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারি।’
এ সময় সমাজসেবী কার্ল কুবেল ও মুহাম্মদ ইউনুসের মধ্যে সাদৃশ্য তুলে ধরেন: ‘উভয়ই ১৯৮০ এর দশকের প্রথম দিকে উদ্যোক্তা হিসেবে স্বেচ্ছায় ‘মানুষদের নিজেদের সাহায্য করতে সহায়তা করার’ ব্যাপারে উদ্যোগ নিয়েছিলেন।’
উদ্যোক্তা কার্ল কুবেল ১৯৭২ সালে কার্ল কুবেল ফাউন্ডেশন ফর চিলড্রেন অ্যান্ড ফ্যামিলি প্রতিষ্ঠা করেন। ‘মানুষদের নিজেদের সাহায্য করতে সহায়তা করা’ নীতি অনুসারে কাজ করে এবং জার্মানি ও বিদেশে সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের সাহায্য করে।
কার্ল কুবেল ফাউন্ডেশন ফর চিলড্রেন অ্যান্ড ফ্যামিলির সদর দপ্তর দক্ষিণ হেসের বেনশেইমে অবস্থিত। গত ৫০ বছর ধরে বিশ্বব্যাপী এটি শিশুদের ও তাদের পিতামাতাদের সহায়তা করছে।
আরও পড়ুন: মামলা স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন ড. ইউনূসের
ড. ইউনূসের মামলা বাতিল আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি ১১ আগস্ট
টোকিও অলিম্পিকে সর্বোচ্চ টিভি দর্শক ছিল ইউনূসের ‘তিন শূন্য’ বক্তৃতায়
ইয়াহু নিউজ জাপান-এ প্রকাশিত তোশিবা-র একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী টোকিও অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে জাপানে সর্বোচ্চ সংখ্যক টেলিভিশন দর্শক টেলিভিশন দেখছিলেন নোবেল লরিয়েট প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের ‘অলিম্পিক লরেল’ গ্রহণ-পরবর্তী ‘তিন শূন্য’ বিষয়ক ভাষণের সময়।
এ সময়ে জাপানে মোট টেলিভিশনের ৪৭ শতাংশ টেলিভিশনে দর্শকরা এই ভাষণ শুনছিলেন।
আরও পড়ুনঃ 'অলিম্পিক লরেল' পেয়ে আমি অভিভূত: ড. ইউনূস
সারা জাপানে ক্রমাগতভাবে টিভি দর্শক সংখ্যা নিরূপনের জন্য তোশিবার প্রোগ্রামটি ৩ লাখ ৪০ হাজার টেলিভিশনের স্যাম্পল সাইজের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে। এর পর্যক্ষেণ অনুযায়ী উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সম্প্রচার শুরু হলে প্রথম ১০ মিনিটে ১০ শতাংশ টেলিভিশনে এই অনুষ্ঠান দেখা শুরু হয়। এরপর ক্রমাগতভাবে এর সংখ্যা বাড়তে থাকে। দর্শক সংখ্যা বাড়তে বাড়তে নোবেল লরিয়েট প্রফেসর ইউনূসের বক্তৃতার সময় এই সংখ্যা সর্বোচ্চ সংখ্যায় পৌঁছে। এসময় ৪৭ শতাংশ টেলিভিশনে জাপানি দর্শকরা এই অনুষ্ঠান দেখছিলেন।
আরও পড়ুনঃ শূন্য গ্যালারিতেই পর্দা উঠলো টোকিও অলিম্পিকের
ইয়াহু নিউজ জাপান-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টোকিও অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের দর্শক রেটিং রিও অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের চেয়ে তিনগুণ বেশি হয়েছে। জাপানের প্রখ্যাত সাংবাদিক ও তথ্য বিশ্লেষণ বিশেষজ্ঞ মিঃ ইয়ুজি সুজুকি ২৪ জুলাই ইয়াহু নিউজ জাপান-এ প্রকাশিত তার প্রতিবেদনে টোকিও অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দর্শক সংখা বিষয়ে এই তথ্য জানান।
আরও পড়ুনঃ বিশ্বব্যাপী টিকার সমতা নিশ্চিতের আহবান ড. ইউনূসের
নোবেল লরিয়েট প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস অলিম্পিক লরেল গ্রহণোত্তর বক্তৃতায় সব অ্যাথলেটদের তিন শূন্যের পৃথিবী গড়ার আহ্ববান জানান। তার তিন শূন্যের ব্যাখায় তিনি জানান যে এই তিন শূন্য হবে: শূন্য নীট কার্বন নিঃসরণ, শূন্য সম্পদ কেন্দ্রীভূতকরণ যার মাধমে দারিদ্রকে চিরতরে দূর করা সম্ভব হবে এবং শূন্য বেকারত্ব প্রতিটি মানুষকে তার উদ্যোক্তা হবার শক্তিকে বিকশিত করার মাধ্যমে।
এই সময় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের দর্শক রেটিং ছিল ৪৭ শতাংশ, অর্থাৎ জাপানে ৪৭ শতাংশ টেলিভিশনে দর্শক তখন তার বক্তৃতা শুনছিলেন।