মজুরি
চা শ্রমিকদের সংগ্রাম: শতাব্দীর বঞ্চনার মাঝে ক্ষীণ আশার আলো
ভোর হতেই লবণ দিয়ে এক মগ লাল চা আর সঙ্গে দুই মুঠো চাল ভাজা খেয়ে ছুটে যান তারা চা বাগানে। অথচ যাদের শ্রমে দেশজুড়ে এই চায়ের খ্যাতি, তারা নিজেরাই দুধ-চিনি মেশানো এক কাপ চা পান করার সামর্থ্য রাখেন না। কাঠফাটা রোদে মাইলের পর মাইল হাঁটতে হাঁটতে তারা সংগ্রহ করেন চা পাতা। দুপুরে ক্ষণিকের বিরতিতে যদি কপালে থাকে, কাঁচা মরিচ আর পাতার চাটনি দিয়ে খান ভাত। আবার অনেক সময় মুড়ি কিংবা একটু চানাচুর দিয়েই মধ্যাহ্নভোজ সারতে হয়। দীর্ঘদিন ধরে এভাবেই নিভৃতে কঠিন এক জীবন সংগ্রামের পথ পাড়ি দিয়ে চলেছেন তারা।
চায়ের শেকড়ে ঔপনিবেশিক শেকল
প্রায় দেড়শ বছর আগে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসকদের প্রলোভনে ভারতে বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা থেকে এসব চা শ্রমিকদের সিলেটে আনা হয়। তাদের অধিকাংশই ছিলেন নারী।
‘গাছ নাড়লেই টাকা পড়ে’ কিংবা ‘মাটি খুঁড়লেই সোনা মেলে’র মতো অবাস্তব ও অলীক কথায় ‘আরকাট্টি’ নামে পরিচিত নিয়োগ এজেন্টরা তাদের মন ভুলিয়েছিলেন। আর তারপর থেকেই শুরু হয় শোষণের ইতিহাস; যার ফলে আজও দুঃখ, সংগ্রামের ভারী শৃঙ্খল বয়ে বেড়াতে হচ্ছে তাদের।
১৮৬৩ সালের শ্রম অভিবাসন আইন এই নিয়োগকে আনুষ্ঠানিক করে, তবে বাস্তবতা ছিল অনেক কঠিন। শ্রমিকরা কঠোর পরিস্থিতি, বিষাক্ত সাপ, বন্যপ্রাণী ও বাগান মালিকদের নিদারুণ শোষণের মুখোমুখি হয়।
এই শোষণের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯২১ সালের ‘মুলুকে চলো’ আন্দোলনে হাজার হাজার শ্রমিক ঘরে ফিরে যেতে চেয়েছিলেন, কিন্তু ব্রিটিশ বাহিনীর তোপের মুখ থেকে রেহাই পাননি তারা। চাঁদপুরে ব্রিটিশ বাহিনীর হাতে ঘটে এমনই এক ভয়াবহ গণহত্যা, যেখানে শত শত মানুষ নিহত হন। ফলে ঘরে আর ফেরা হয় না তাদের, আর নিয়তি মেনে নিয়ে চায়ের শেকড়ের সঙ্গেই নিজেদের শেকড় রচনা করতে হয় শ্রমিকদের। তার ধারাবাহিকতায় সিলেটের চা শ্রমিকরা কম মজুরি, দুর্বিষহ জীবনযাত্রা, পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ, সীমিত ডিজিটাল সংযোগ ও সন্তানদের জন্য সীমিত শিক্ষার সুযোগের মতো সমস্যার মধ্যে জীবনধারণ করে চলেছেন।
মজুরির নামে অবজ্ঞা
চা শ্রমিকদের সবচেয়ে বড় বঞ্চনার জায়গা তাদের মজুরি। ২০২২ সালে আন্দোলনের মুখে তাদের দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে ১৭০ টাকায় উন্নীত হয়। কিন্তু ২০২৫ সালেও তাদের ৩০০ টাকা দৈনিক মজুরির দাবি পূরণ হয়নি। তার ওপর মজুরি বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি যেমন অপূর্ণ, তেমনি অর্থপ্রদানে বিলম্বও নৈমিত্তিক ঘটনা। কখনো কখনো ২০ সপ্তাহ পর্যন্ত বেতন না পেয়ে তারা রাস্তায় নামতে বাধ্য হন।
আরও পড়ুন: বকেয়া মজুরির দাবিতে রবিবার সড়ক অবরোধের ঘোষণা চা শ্রমিকদের
চা শ্রমিক ইউনিয়নের সিলেট ভ্যালির সভাপতি রাজু গোয়ালা বলেন, ‘১২০ টাকা দৈনিক মজুরি দিয়ে পরিবার চালানো প্রায় অসম্ভব।’
১৮৯ দিন আগে
সিলেটে মজুরি-রেশন পরিশোধের দাবিতে চা শ্রমিকদের বিক্ষোভ মিছিল
সরকারি মালিকানার ন্যাশনাল টি কোম্পানির (এনটিসি) ১২টি চা-বাগানসহ সকল চা-শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি-রেশন অবিলম্বে পরিশোধ ও পিএফ চাঁদা জমা দেওয়ার দাবিতে নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেবাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সিলেট জেলা শাখার নেতাকর্মীরা।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) বেলা ২টায় নগরীর ক্বিন ব্রিজ প্রাঙ্গণে সমবেত হয়ে মিছিল শুরু করে জিন্দাবাজার প্রদক্ষিণ করে তারা।
এসময় মিছিল পূর্ব সমাবেশে বক্তারা বলেন, দীর্ঘ প্রায় ৩ মাস যাবত সরকারি মালিকানার এনটিসির ১২টি বাগানের প্রায় ১২ হাজার শ্রমিক মজুরি-রেশন না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন। শ্রমিকরা অন্তবর্তী সরকারের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করে দাবি জানিয়েও কোন প্রতিকার না পেয়ে বাধ্য হয়ে গত ২৬ দিন যাবত লাগাতার কর্মবিরতি পালন করছেন। কিন্ত তাতেও সরকারের টনক নড়ছে না।
তারা বলেন, মজুরি-রেশন না পেয়ে এনটিসির বাগানসমূহের প্রায় ৪০-৫০ হাজার মানুষ আজ অনাহারে দিনাতিপাত করছেন। বর্তমান দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন ঊর্ধ্বগতির সময়ে দৈনিক মাত্র ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা মজুরিতে এমনিতেই চা-শ্রমিকদের অর্ধাহার-অনাহারে কাটাতে হয়। তার উপর যদি শ্রমিকদের মজুরি ও রেশন বন্ধ করে দেওয়া হয় তাহলে শ্রমিকদের কি অবস্থায় পড়তে হয় তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। শুধু এনটিসির বাগানই নয়, সমগ্র চা-শিল্পের শ্রমিকরা আজ কঠিন সময় পার করছেন।
বক্তারা আরও বলেন, ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর চা-শ্রমিকদের মজুরির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর প্রায় ২ বছর অতিবাহিত হতে চললেও ২০২৩-২৪ সালের মজুরি নির্ধারণ করা হয়নি। এব্যাপারে অতীতের ন্যায় বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার নির্বিকার। অনেক বাগানে চা-শ্রমিকদের মজুরি প্রায়ই আটকে রাখা হচ্ছে।
এনটিসি, দেউন্দি টি কোম্পানি, সিলেট টি কোম্পানিসহ তারাপুর, ফুলতলা, ইমাম-বাওয়ানী, মোমিনছড়াসহ ব্যক্তিমালিকাধীন চা-বাগানের শ্রমিকদের মজুরি ও রেশন ঠিক মতো পরিশোধ করা হচ্ছে না। আবার মাসের পর মাস চা-শ্রমিকদের পিএফ চাঁদাও ফান্ড অফিসে জমা দেওয়া হচ্ছে না। মজুরি পরিশোধের ক্ষেত্রে চা-শ্রমিকরা নানা রকম বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। আইন অনুযায়ী ক্যাজুয়াল শ্রমিকদের মজুরি স্থায়ী শ্রমিকের সমান হলেও অনেক বাগানে কম মজুরি দেওয়া হচ্ছে এবং উৎসব বোনাস সকল শ্রমিকের সমান হলেও হাজিরার উপর নির্ভর করে বোনাস দিয়ে শ্রমিকদের ঠকানো হচ্ছে। চা-শ্রমিকদের এই সকল বঞ্চনার ব্যাপারে মালিক-সরকার ও দালাল নেতারা নির্বিকার। তাই চা-শ্রমিকদের জীবন ও জীবিকার এই কঠিন সময়ে অতীতের শিক্ষা নিয়ে আন্দোলন-সংগ্রাম গড়ে তুলে দাবি ও অধিকার প্রতিষ্ঠার পথে অগ্রসর হতে হবে।
সিলেট জেলা ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন চা-শ্রমিক সংঘ মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হরিনারায়ন হাজরা, নারী চা-শ্রমিক লক্ষ্মী রানী বাক্তি, হোটেল শ্রমিকনেতা সাদেক মিয়া, স’মিল শ্রমিকনেতা রুহুল আমিন, জাতীয় ছাত্রদল সিলেট জেলা কমিটির আহবায়ক শুভ আজাদ শান্ত প্রমুখ।
সমাবেশ থেকে চা-শ্রমিক নেতারা সুস্থভাবে বেঁচে থাকা ও উৎপাদনে সক্রিয় থাকার প্রয়োজনে বর্তমান বাজারদরের সঙ্গে সংগতি রেখে ৬ সদস্যের পরিবারে ভরণ পোষণের খরচ হিসাব করে ২০২৩-২০২৪ মেয়াদের জন্য নিন্মতম মজুরি নির্ধারণ এবং একটি পরিবারের সাপ্তাহিক প্রয়োজনের অনুপাতে চাল, আটা, ডাল, তেল, চিনি, সাবান, চা-পাতাসহ পূর্ণ রেশন প্রদান, ভূমির অধিকার প্রদান, চা-শিল্পে নৈমিত্তিক ছুটি (বছরে ১০ দিন) কার্যকর ও অর্জিত ছুটি প্রদানে বৈষম্যসহ শ্রম আইনের বৈষম্য নিরসন করে গণতান্ত্রিক শ্রমআইন প্রণয়ন এবং সাপ্তাহিক ছুটির দিনে মজুরি ও উৎসব বোনাস প্রদানে সকল অনিয়ম বন্ধ করে শ্রমআইন মোতাবেক নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র, সার্ভিস বুক প্রদান, বকেয়া মজুরিসহ নিয়মিত সকল চা-বাগানের শ্রমিকদের মজুরি-রেশন পরিশোধ, প্রতি মাসের পিএফ চাঁদা ফান্ড অফিসে জমা দেওয়া এবং ৯০ দিন কাজ করলেই সকল শ্রমিককে স্থায়ী করার দাবিতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তোলার আহ্বান জানান নেতারা।
আরও পড়ুন: বকেয়া বেতনের দাবিতে সিলেটে চা শ্রমিকদের কর্মবিরতি, উৎপাদনে ধস
৩৮৫ দিন আগে
আমেরিকা প্রতি ঘণ্টার মজুরি বাড়ালে আমরা সে পথ অবলম্বন করব: মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে চাই। এই অগ্রযাত্রার জন্যই দেশের মান-ইজ্জত অনেক বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) সিলেটে নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো সংঘাত চাই না। আমরা শান্তি ও স্থিতিশীলতা চাই এবং গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে চাই।’
সিলেট-১ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা মোমেন বলেন, গত ১৫ বছরে দেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে এবং সেই উন্নয়ন নিরবচ্ছিন্ন থাকা দরকার।
তিনি বলেন, গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও মানবতা প্রতিষ্ঠার জন্য এই দেশের মানুষ তাদের জীবন উৎসর্গ করেছে।
আরও পড়ুন: কোনো সমস্যায় জড়াতে চাই না: যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মন্তব্য সম্পর্কে মোমেন
এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, বিএনপি একটি ভুল করেছে এবং রাজনৈতিক দল হিসেবে তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ানোর জন্য তাদের নির্বাচনে অংশ নেওয়া উচিৎ ছিল।
২৮ অক্টোবর থেকে পুলিশ সদস্য হত্যা এবং সরকারি ও বেসরকারি সম্পত্তিতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তারা একটি সুযোগ হারিয়েছে এবং গ্রহণযোগ্যতাও হারিয়েছে।’
বিএনপির নেতৃত্ব ও পরিপক্কতার অভাব রয়েছে উল্লেখ করে মোমেন বলেন, রাজনীতি জনগণ ও দেশের কল্যাণের জন্য, তাদের ধ্বংসের জন্য নয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে জনগণ নির্বিঘ্নে ভোট দিতে ভোটকেন্দ্রে আসবে।
অনেক শিক্ষিত মানুষ ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ভোটারদের উপস্থিতি বাড়াতে আমরা সর্বত্র যাব।’
মোমেন বলেন, ‘আমি তাদের ভোট দিতে আসার জন্য অনুরোধ করব। আমি তাদেরকে আমাকে ভোট দিতে বলব না… তারা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন। আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও সংঘাতবিহীন নির্বাচন চাই। পৃথিবীকে আমরা আদর্শ দেখাতে চাই।’
সম্প্রতি আমেরিকান অ্যাপারেল অ্যান্ড ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশনের (এএএফএ) প্রেসিডেন্ট ও সিইও স্টিফেন লামারকে চিঠি দিয়ে মার্কিন কংগ্রেসের ৮ সদস্য বলেছেন, তারা মনে করেন বাংলাদেশের পোশাক শ্রমিকদের জন্য নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি যথেষ্ট নয়। এ বিষয়ে মোমেনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই। তারা একটা কাজ করতে পারে। নিউ ইয়র্কে প্রতি ঘণ্টায় মজুরি ১৫ ডলার। যদি তারা বাড়িয়ে ৪৫ ডলার করতে পারে ও আদর্শ তৈরি করে, তখন আমরাও তাদের পথ অবলম্বন করব। উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে আমেরিকার মানুষ কষ্ট পাচ্ছে।’
আরও পড়ুন: বহির্বিশ্বের চাপ নেই, আমরা আমাদের নিজেদের চাপের মধ্যে আছি: মোমেন
৭১৫ দিন আগে
নতুন মজুরি ডিসেম্বর থেকেই বাস্তবায়ন করবে পোশাক শিল্প
সরকারের গঠন করা মজুরি বোর্ড ঘোষিত নতুন মজুরি কাঠামো চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকেই বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।
তিনি বলেন, আমরা গত ৩১ অক্টোবর সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দিয়েছিলাম, সরকার নতুন যে বেতনকাঠামো ঘোষণা করবে, আমরা পোশাক শিল্পের সব উদ্যোক্তা সেটিই মেনে নেব, শিল্পে যত প্রতিকূলতাই থাকুক না কেন। আমরা ঘোষিত মজুরি মেনে নিয়েছি। যত কষ্টই হোক, এই মজুরি বাস্তবায়ন করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। নতুন মজুরি কাঠামো আগামী ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে।
চলমান শ্রমিক বিক্ষোভের মধ্যে বুধবার (৮ নভেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) নূন্যতম মজুরি সাড়ে ১২ হাজার টাকা ঘোষণা করেছে সরকার গঠিত ন্যূনতম মজুরি বোর্ড। ঘোষিত নতুন মজুরি কাঠামোতে শ্রমিকদের দাবি অনুযায়ী ৭টি গ্রেডের জায়গায় ৫টি গ্রেড করা হয়েছে।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, নতুন মজুরি কাঠামো অনুযায়ী মজুরি ৫৬ দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে। অনেক উদ্যোক্তার জন্য এই মজুরি দেওয়াই কঠিন হবে। এছাড়াও প্রতি বছর ৫ শতাংশ হারে মজুরি বাড়ানো বহাল রয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা পোশাক রপ্তানিতে প্রভাব ফেলবে না: বিজিএমইএ
নূন্যতম মজুরি বোর্ড নতুন মজুরি কাঠামো ঘোষণা করার পর বেশ কিছু কারখানায় শ্রমিকদের ধর্মঘট ও কারখানা ভাঙচুর করায় দুঃখও প্রকাশ করেন বিজিএমইএ সভাপতি।
শিল্পের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় ও ক্রেতাদের আস্থা বিনষ্ট হয়- এমন কাজ না করতেও শ্রমিকদের প্রতি অনুরোধ করেন তিনি।
দেশ ও শিল্পের স্বার্থে এবং কর্মসংস্থানকে সুরক্ষিত রাখতে শ্রমিকরা বৃহস্পতিবার থেকে কারখানায় কাজ করবেন বলে আশা করছেন ফারুক হাসান।
আরও পড়ুন: নতুন ডিসিটিএস স্কিম যুক্তরাজ্যের সঙ্গে শক্তিশালী বাণিজ্য ও বিনিয়োগ অংশীদারিত্ব তৈরি করতে পারে: বিজিএমইএ সভাপতি
৭৫৭ দিন আগে
সিলেটে দৈনিক ৫০০ টাকা মজুরির দাবিতে চা বাগান শ্রমিকদের বিক্ষোভ
প্রকাশিত সরকারি প্রজ্ঞাপন বাতিল করে দৈনিক মজুরি ৫০০ টাকা নির্ধারণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে চা বাগানের শ্রমিকরা।
মঙ্গলবার সিলেটের আমতলায় এই বিক্ষোভ করে চা শ্রমিকরা।
চলতি আগস্টের ১০ তারিখ সরকারের প্রকাশিত একটি প্রজ্ঞাপনের প্রতিবাদে তারা এই বিক্ষোভ করেন। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী চা বাগানের শ্রমিকদের জন্য ন্যূনতম মজুরি এবং সুবিধাগুলোর মধ্যে ১৭০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
চা শ্রমিকদের ১০-দফা বাস্তবায়ন সংগ্রাম কমিটির সমন্বয়ক এসএম শুভ বলেন, সরকারি প্রজ্ঞাপনে চা-শ্রমিকের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে বাগান মালিকের স্বার্থ রক্ষা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চা শ্রমিকদের ধর্মঘট অব্যাহত, মৌলভীবাজারে সড়ক অবরোধ
তিনি অবিলম্বে বিদ্যমান প্রজ্ঞাপন বাতিল করে দৈনিক মজুরি ৫০০ টাকা নির্ধারণ করে নতুন প্রজ্ঞাপন জারির দাবি জানান।
কমিটি জানিয়ে দেয় যে এই দাবিগুলো যদি সুরাহা না হয়, অন্যথায় চা-শ্রমিকরা আন্দোলনের মাধ্যমে প্রজ্ঞাপন বাতিল করতে সরকারকে বাধ্য করবে।
কমিটির আহ্বায়ক সবুজ তাঁতী তার বক্তব্যে বলেন, চা-শ্রমিকদের স্বার্থের পরিবর্তে সরকার আজ মালিকের স্বার্থ রক্ষা করছেন। চা-শ্রমিকদের পিঠ আজ দেয়ালে ঠেকে গেছে। বাঁচতে হলে চা-শ্রমিকের আজ লড়াই করেই বাঁচতে হবে। আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমেই চা-শ্রমিকদের অধিকার আদায় করে নিতে হবে।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল সিলেট সদর উপজেলা কার্যালয়ের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
আরও পড়ুন: কাজে ফিরেছেন চা শ্রমিকরা
সেখানে কমিটি সিলেট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে শ্রমমন্ত্রীর কাছে একটি স্মারকলিপি পেশ করে।
১০-দফা বাস্তাবায়ন সংগ্রাম কমিটির উপদেষ্টা- শ্রীবাস মাহালি, সমন্বয়কারী এস এম শুভ, বুরজান চা কারখানার পঞ্চায়েত সভাপতি বিলাস ব্যানার্জি এবং খাদিম চা সহ চা শ্রমিক সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা সমাবেশে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
র্যালিতে অন্যান্য ব্যক্তিদের অংশগ্রহণ করেন বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক অমল নায়েক, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আতাউর রহমান শামীম, শিক্ষক বিকাশ বাউরি, বুরজান চা কারখানা পঞ্চায়েত কমিটির কোষাধ্যক্ষ সুশান্ত চাষা, পাশাপাশি চা শ্রমিক নেতা অনিতা বসাক, কুমকুম, নায়েক, ও মধু ভূমিজ।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে ৭ দফা দাবিতে চা শ্রমিকদের মানববন্ধন
৮৩৫ দিন আগে
বিড়ি শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানোর দাবি
বিড়ি শিল্পের শ্রমিকরা তাদের মজুরি বৃদ্ধি এবং বিড়ি কারখানায় ৬ দিনের কর্ম সপ্তাহের ব্যবস্থা রাখার দাবি জানিয়েছেন।
সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মে দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশন আয়োজিত সমাবেশ থেকে তারা এ দাবি জানান।
বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান, সহ-সভাপতি নাজিম উদ্দিন, প্রচার সম্পাদক শামীম ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন যুগ্ম সম্পাদক হারিক হোসেন।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তারা বিড়ি শিল্পে শ্রমিকদের সুরক্ষার জন্য একটি আইন, ২০২৩-২০২৪ সালের বাজেটে বিড়ির ওপর বিদ্যমান শুল্ক হ্রাস এবং শিল্পটিকে বাঁচাতে বিড়ির ওপর ১০ শতাংশ অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে।
বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের নেতারা জানান, দেশের লাখ লাখ শ্রমিক শ্রমনির্ভর বিড়ি শিল্পে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে।
কিন্তু বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানির ষড়যন্ত্রে এই ঐতিহ্যবাহী দেশীয় শিল্প ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে বলেও জানান তারা।
আরও পড়ুন: বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ড: ৭০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি দোকান মালিক সমিতির
ডিএসএ বাতিলের দাবি জানিয়েছে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলো
৯৪৯ দিন আগে
ঈদের আগেই বিজিএমইএ আওতাধীন কারখানার মার্চ মাসের মজুরি পরিশোধ: বিজিএমইএ
বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) আওতাধীন দুই হাজার ১৫১টি কারখানার সবকটিই ২০২৩ সালের মার্চ মাসের মজুরি পরিশোধ করেছে।
এর মধ্যে দুই হাজার ১৪৫টি কারখানায় (৯৯ দশমিক ৭২ শতাংশ) উৎসব বোনাস দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বিজিএমইএ।
বাকি ছয়টি কারখানায় গতকালকের মধ্যে বোনাস পরিশোধের কাজ শেষ করার কথা ছিল।
এদিকে এক হাজার ৭৬৮টি কারখানা (৮২ দশমিক ১৯ শতাংশ) এপ্রিল মাসের অগ্রিম বেতন দিয়েছে।
আরও পড়ুন: বৃদ্ধাশ্রমে ইফতার কর্মসূচির বাজেটে দান করবে বিজিএমইএ
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বিভিন্ন প্রতিকূলতা সত্ত্বেও শ্রমিকদের বেতন দিয়ে ঈদুল ফিতরের আনন্দ নিশ্চিত করার প্রচেষ্টার জন্য পোশাক শিল্পের সকল উদ্যোক্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
বিজিএমইএ জানিয়েছে, তারা প্রায় ৪৫০টি পোশাক কারখানাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণের আওতায় এনেছে, যারা তাদের শ্রমিকদের বেতন দিতে অসুবিধার সম্মুখীন হতে পারে এবং তাদের সমস্যা সমাধানে সহায়তা করেছে।
ঈদের ছুটি প্রসঙ্গে বিজিএমইএ জানায়, সরকার ও ব্যবসায়ী সংগঠনের অনুরোধে পোশাক মালিকরা পর্যায়ক্রমে ঈদ উপলক্ষে শ্রমিকদের ছুটি দেওয়া শুরু করেছেন, যা ১৬ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে।
ফারুক হাসান ছুটির দিনে ব্যাংক খোলা রাখা এবং তৈরি পোশাক কারখানায় বেতন-বোনাস প্রদানের ব্যবস্থা করায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের ধন্যবাদ জানান।
তিনি বাস, ট্রেন ও লঞ্চে যাতে ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি যাত্রী বহন করতে না পারে সেজন্য নজরদারি বাড়ানোর জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান এবং ঈদযাত্রায় অপ্রীতিকর দুর্ঘটনা এড়াতে ট্রাকে যাতে যাত্রী পরিবহন না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান।
তিনি পোশাক শ্রমিকরা যাতে আনন্দের সঙ্গে ঈদুল ফিতর উদযাপন করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে সহযোগিতা করার জন্য সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, নৌপরিবহন মন্ত্রী, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা, শ্রমিক নেতৃবৃন্দ এবং সাংবাদিকদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
আরও পড়ুন: ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে হাইকমিশনের সহায়তা চায় বিজিএমইএ
৯৫৯ দিন আগে
পোশাক শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির দাবি ‘যৌক্তিক’: বাণিজ্যমন্ত্রী
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতির প্রেক্ষাপটে পোশাক শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধির দাবি যৌক্তিক।
মুন্সী বলেন, ‘একটি মজুরি কমিশন গঠন করা এবং শ্রমিকদের জীবনযাত্রার ব্যয়,পণ্যের দাম,উৎপাদন ব্যয়ের সামগ্রিক দিকগুলোর ওপর একটি সমীক্ষা করা প্রয়োজন।’
শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের ১৬তম দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, শ্রমিক ও মালিকদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় পোশাক খাত আজ বর্তমান অবস্থায় পৌঁছেছে। তাই শ্রমিক ও মালিক উভয়ের স্বার্থ নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘এ জন্য শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরির পাশাপাশি পণ্যের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করা প্রয়োজন। শিল্পকে টিকিয়ে রাখার জন্য এই দুটি জিনিস খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
মন্ত্রী বলেন, শ্রম আইন অনুযায়ী একটি শ্রমিক সংগঠন গড়ে তুলতে হবে। ‘শ্রমিক সংগঠন ও নেতা উভয়কেই শিক্ষিত ও দায়িত্বশীল হতে হবে।’
টিপু মুনশী সবাইকে সংগঠনের স্বার্থে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন,‘কোম্পানি টিকে না থাকলে শ্রমিক বা মালিক কেউই বাঁচবে না।’
আরও পড়ুন: এলডিসি থেকে বেরিয়ে শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা চায় বাংলাদেশ: ডব্লিউটিও’র এমসি-১২তে বাণিজ্যমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, সরকার শ্রমিক ও মালিকদের প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখবে।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির শক্ত ভিত্তির জন্য শ্রমিকদের অবদান অনেক।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় এক কোটি তালিকাভুক্ত পরিবার ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্যে তেল, মসুর ডাল ও চিনিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় কিছু পণ্য কিনছে।
টিসিবির বিক্রয় কার্যক্রমে চালও যোগ করার চেষ্টা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের প্রায় পাঁচ কোটি মানুষ এতে উপকৃত হচ্ছেন।
ওই তালিকায় পোশাক শ্রমিকদের একটি অংশকে অন্তর্ভূক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
আরও পড়ুন: ভারতের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
পোশাক শিল্পের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দায়িত্বশীল হতে হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
১১৭৫ দিন আগে
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক: চা-শ্রমিকদের মজুরি ১৭০ টাকা নির্ধারণ
দেশের ১৬৭টি চা বাগানের চা-শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১৭০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। একইসঙ্গে সোমবার থেকে চা শ্রমিকদের কাজে যোগ দেয়ার অনুরোধ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে চা-বাগান মালিকদের বৈঠকের পর গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস।
তিনি জানান, শনিবার বিকালে চা শ্রমিকদের চলমান আন্দোলন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এস শাহ আলমের নেতৃত্বে ১৩ জন মালিককে নিয়ে বৈঠকে এ সিন্ধান্ত হয়। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শিগগিরই চা শ্রমিকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে আলোচনা করবেন।
আরও পড়ুন: ‘প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসে চা শ্রমিকদের ধর্মঘট স্থগিত, প্রত্যাহার নয়’
শুক্রবার রাতে গণমাধ্যমে খবর প্রচারিত হওয়ার পর বাংলাদেশ চা শ্রমিকদের ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বালিশিরা ভ্যালির সভাপতি বিজয় হাজরা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, আমরা সাধারণ চা শ্রমিকরা প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তে একমত ও খুশি। তাই সোমবার থেকে আমরা কাজে ফিরছি।
সাতগাঁও চা বাগানের পঞ্চায়েত সাধারণ সম্পাদক সুদিপ কৈরী বলেন, আপাতত আমরা মিছিল ও মিটিং করছি না, বরং প্রধানমন্ত্রী যে রায় দিয়েছেন মেনে নিলাম।
উল্লেখ্য, স্থানীয় প্রশাসন ও মালিকপক্ষের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠকের পরও চা-শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির বিষয়টি সমাধান হয়নি। ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে ৯ আগস্ট থেকে চার দিন দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি ও পরে ১৩ আগস্ট থেকে সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট পালন করে আসছিল চা-শ্রমিকরা।
আরও পড়ুন: চা শ্রমিকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার, আগের মজুরিতেই ফিরছেন কাজে
মধ্যরাতে সিদ্ধান্ত বদল, চা শ্রমিকদের ধর্মঘট অব্যাহত
১১৯৫ দিন আগে
মজুরি বৃদ্ধি নিয়ে শনিবার চা বাগান মালিকদের সঙ্গে বসবেন প্রধানমন্ত্রী
দেশের ১৬৭টি চা বাগানের শ্রমিকদের মজুরি ১২০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা করার দাবিতে শুক্রবার ১৮তম দিনের মতো অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট অব্যাহত থাকায় শনিবার চা বাগান মালিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দেওরাছড়া চা বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি সুবোদ কুর্মি বলেন, শ্রমিকরা আজ কাজে যোগ দেননি, তবে তারা কোনো বিক্ষোভ দেখায়নি।
আরও পড়ুন: মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে সিলেটে ২৩ চা বাগানে কর্মবিরতি পালন
তিনি বলেন, শুক্রবার জেলার ৯২টি বাগানে পঞ্চায়েত কমিটি নিজ নিজ বাগানের নাচঘরে বৈঠকে বসবেন। ওই বৈঠকে মজুরি ও পরবর্তী শ্রমিক আন্দোলনের বিষয়ে আলোচনা হবে।
১১৯৬ দিন আগে