বাংলাদেশের অর্থনীতি
ভৌগলিক নয়, অগ্রগতির দৃষ্টিতে বাংলাদেশকে দেখার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
বাংলাদেশকে কেবল একটি ‘ভৌগোলিক সীমানা’ হিসেবে না দেখে বরং অগ্রগতির দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে বিশ্বব্যাংকের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি ভৌগলিক সীমানার চেয়ে বৃহত্তর।
সোমবার (১৪ জুলাই) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিশ্বব্যাংকের নবনিযুক্ত দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট জোহানেস জুট। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটান বিষয়ক নতুন বিভাগীয় পরিচালক জ্যাঁ পেসমে। সাক্ষাতকালে বিশ্বব্যাংকের প্রতি এই আহ্বান জানান অধ্যাপক ইউনূস।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সমৃদ্ধ হলে, পুরো দক্ষিণ এশীয় অঞ্চল সমৃদ্ধ হবে। যদি আমরা নিজেদের বিচ্ছিন্ন করি, তবে আমরা অগ্রগতি করছি না। আমাদের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সুবিধা এবং পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন করতে হবে। আমাদের একটি সমুদ্র আছে। এটি আমাদের অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।’
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই সাক্ষাতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। বিজ্ঞপ্তিতে তারা জানিয়েছে, বৈঠকে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির প্রতি দৃঢ় সমর্থন জানিয়েছেন জুট। একই সঙ্গে অর্থনৈতিক খাতে অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কর্মসূচির জন্য অধ্যাপক ইউনূসকে সাধুবাদও জানান তিনি।
আলোচনায় বাংলাদেশের প্রতি নিজের গভীর ভালোবাসার কথা জানান জুট। তিনি ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ, ভুটান ও নেপালের কান্ট্রি ডিরেক্টর হিসেবে তার দায়িত্ব পালনের স্মৃতিচারণও করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের নির্বাচন সর্বোচ্চ অন্তর্ভুক্তিমূলক হবে, আশা রাষ্ট্রদূত মাসদুপুইয়ের
অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রচেষ্টার প্রশংসা করে জুট বলেন, ‘আপনার এবং আপনার চমৎকার টিমকে ভালো কাজের জন্য সাধুবাদ।’
এ সময় বিশেষ করে আর্থিক খাতের অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং কিছু বিষয় মোকাবিলায় সরকারের প্রচেষ্টার কথা তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এই যাত্রা অব্যাহত রাখতে এবং বাংলাদেশের মানুষের উচ্চাকাঙ্ক্ষায় অংশীদার হতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত।’
এ ছাড়াও বৈঠকে গত বছরের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নিহত শিক্ষার্থীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান জুট। একে তিনি ‘বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত সবার জন্য একটি অত্যন্ত আবেগঘন মুহূর্ত’ বলে অভিহিত করেন।
জুটের সমর্থন ও প্রশংসার জন্য তাকে ধন্যবাদ জানান প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, আমরা যখন দায়িত্ব নিয়েছিলাম, তখন দেশের অবস্থা ছিল একটি ধ্বংসস্তূপের মতো, যেন ভূমিকম্প-পরবর্তী এলাকা। আমাদের অভিজ্ঞতা না থাকার পরও সব উন্নয়ন অংশীদার আমাদের সমর্থন করেছে। এটি আমাদের অনেক সাহায্য করেছে; আমাদের আত্মবিশ্বাসী করেছে।
অধ্যাপক ইউনূস গত জুলাইয়ের অভ্যুত্থানে তরুণদের ভূমিকার কথা তুলে ধরে বলেন, ‘তরুণরা এই জাতিকে একটি নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, গত জুলাইয়ে আমাদের তরুণরা যা করেছে তা ঐতিহাসিক। বিশেষ করে আমাদের মেয়েরা এবং নারীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আমরা আজ জুলাই নারী দিবস পালন করছি, তাদের ত্যাগ যেন ব্যর্থ না হয়। তরুণরাই আমাদের দেশের মূল কেন্দ্রবিন্দু। আমাদের উচিত তাদের দিকে মনোযোগ দেওয়া এবং তাদের উচ্চাকাঙ্ক্ষার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, বেশিরভাগ দেশেই তরুণদের অভাব রয়েছে। তাই আমরা তাদের বলেছি, তাদের কারখানাগুলো এখানে নিয়ে আসতে। আমরা শিল্পগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু সরবরাহ করব যাতে এটি একটি উৎপাদনকেন্দ্রে পরিণত হতে পারে।
আরও পড়ুন: নেপাল-বাংলাদেশের মধ্যে দৃড় সম্পর্ক গড়ে ওঠার আশাবাদ
বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট নারীর ক্ষমতায়নে অধ্যাপক ইউনূসের ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, আমরা আপনাকে সমর্থন দেওয়া অব্যাহত রাখব। বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় বাংলাদেশে মেয়েদের জন্য শিক্ষাবৃত্তি কর্মসূচি চালু হয়েছিল যা অন্যান্য দেশেও অনুকরণীয় হয়ে উঠেছে।
তিনি জানান, গত অর্থবছরে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশে ৩ বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থায়ন করেছে এবং আগামী তিন বছরেও একইরকম সমর্থন অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকীও উপস্থিত ছিলেন। তিনি চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) সম্পর্কে হালনাগাদ তথ্য দেন।
লুৎফে সিদ্দিকী বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটিতে নতুন পরিচালন ব্যবস্থা চালুর পর কন্টেইনার হ্যান্ডলিং বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের লক্ষ্য এটি আরও কার্যকর করা।
তিনি আরও বলেন, আমরা ২০২৫ সালের জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে নিট বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগে (এফডিআই) উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি লক্ষ করেছি, যা মূলত কোম্পানিগুলোর অভ্যন্তরীণ ঋণ ও শক্তিশালী ইকুইটি বিনিয়োগ বৃদ্ধির ফলে হয়েছে।
১৪৩ দিন আগে
আইএমএফের পূর্বাভাসে বাংলাদেশের অর্থনীতির শক্তিশালী পুনরুদ্ধারের ইঙ্গিত
বাংলাদেশের অর্থনীতির শক্তিশালী পুনরুদ্ধারের প্রত্যাশা করছে বৈশ্বিক ঋণদাতা সংস্থা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) রাতে (ওয়াশিংটন সময়) প্রকাশিত আইএমএফের ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুকে এ পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
২০২৫-২৬ অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৫ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি।
আইএমএফ চলতি অর্থবছরে (২০২৪-২৫) বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ৮ শতাংশ হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে এই পূর্বাভাসে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ঋণের কিস্তি ছাড় পেছাল আইএমএফ
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের বসন্তকালীন সভার দ্বিতীয় দিনে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
বহুপক্ষীয় ঋণ সংস্থাটি বাংলাদেশের মুদ্রাস্ফীতি উচ্চতর থাকবে বলেও পূর্বাভাস দিয়েছে, যা ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে ১০ শতাংশে পৌঁছাবে। তবে সংস্থাটি আরও বলেছে, পরবর্তী অর্থবছরে তা ৫ দশমিক ২ শতাংশে নেমে আসবে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, মার্চ মাসে বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ। গত এক বছর ধরে গড় মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ২৬ শতাংশে।
আইএমএফ আশা করছে, বৈশ্বিক গড় জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ২ দশমিক ৮ শতাংশ। আর এশিয়ার গড় জিডিপি হতে পারে ৪ দশমিক ৫ শতাংশ।
গত ২১ এপ্রিল শুরু হওয়া বসন্তকালীন এই সভায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের বাংলাদেশি প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করেছে, যা ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে।
আরও পড়ুন: আইএমএফ ঋণের বাকি অর্থ পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী বাংলাদেশ
২২৫ দিন আগে
গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার শুরু করায় ইউনূসের প্রশংসা সালিভানের
বাংলাদেশের অর্থনীতির মোড় ঘোরানো এবং গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার শুরু করায় প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের প্রশংসা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেইক সালিভান।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ফোনালাপে তিনি এসব বিষয়ে তার প্রশংসা করেন।
সোমবার সন্ধ্যায় তাদের দুজনের আলোচনায় দুদেশের পারস্পরিক স্বার্থের বিষয়টি উঠে আসে।
গত ৮ আগস্ট দায়িত্ব গ্রহণের পর গত সাড়ে চার মাস ধরে মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে যে নেতৃত্ব দিয়েছেন তার প্রশংসা করেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: প্রযুক্তিকে কাজে লাগান, কার্যকর পদক্ষেপ নিন: ডি-৮ সদস্যদের অধ্যাপক ইউনূস
বাংলাদেশের অর্থনীতি এরই মধ্যে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে উল্লেখ করে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক, নির্বাচন-সংক্রান্ত এবং অন্যান্য সংস্কার শুরুর জন্য যে অগ্রগতি হয়েছে তারও প্রশংসা করেন জেইক সালিভান।
তিনি জাতীয় নির্বাচনের জন্য সম্ভাব্য সময় ঘোষণা করায় প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ দেন এবং বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় মার্কিন সমর্থন অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
টেলিফোন আলাপে তারা বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতির উন্নতি নিয়েও আলোচনা করেন।
ইউনূস দেশের প্রান্তিক পর্যায় পর্যন্ত ছড়িয়ে থাকা সংকট কাটিয়ে উঠতে বাংলাদেশকে উদার সহায়তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানান।
ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি পুনরায় সমর্থন জানিয়ে জেক সালিভান সমৃদ্ধ, স্থিতিশীল ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের জন্য মার্কিন সমর্থন অব্যাহত থাকবে বলে নিশ্চিত করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের এই চ্যালেঞ্জিং সময়ে গুরুত্বপূর্ণ সহায়তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানান। তিনি সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্ক সফরের সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনের সঙ্গে তার বৈঠকের কথা স্মরণ করেন।
ইউনূস জানান, তিনি জানুয়ারির মধ্যে ছয়টি বড় সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার বিষয়ে আশা করছেন। এরপর সংস্কার ও নির্বাচনের জন্য জাতিকে প্রস্তুত করতে জাতীয় ঐকমত্য গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হবে।
আরও পড়ুন: তরুণ জনশক্তিকে দক্ষ করতে দৃষ্টিভঙ্গি-নৈতিকতার ওপর গুরুত্বারোপের আহ্বান ড. ইউনূসের
৩৪৬ দিন আগে
চট্টগ্রাম বন্দরের প্রত্যেক গেইটে স্ক্যানার বসানো হবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
চট্টগ্রাম বন্দরের প্রত্যেক গেইটে আমদানি-রপ্তানি জন্য স্ক্যানার বসানো হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘ চট্টগ্রাম বন্দর বাংলাদেশের অর্থনীতির লাইফ লাইন। এর নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার জন্য স্ক্যানার বসানোর কার্যক্রম চলমান আছে। বন্দরের প্রত্যেক গেইটে আমদানি-রপ্তানি জন্য স্ক্যানার বসানো হবে।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রামে সিভিল এভিয়েশনের কর্মচারী আটক, ৪টি স্বর্ণের বার জব্দ
রবিবার (২৮ আগস্ট) চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
খালিদ মাহমুদ বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরে যাতে স্ক্যানার বসানো না হয়, এখানে যাতে ডিজিটাল বাংলাদেশের ছোঁয়া না লাগে সেজন্য সংঘবদ্ধ চক্র জোরালো ভূমিকা রাখছে। চট্টগ্রাম বন্দরকে বিশ্বমানের ডিজিটাল করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যা যা করণীয় তা করা হবে। শুধু চট্গ্রাম বন্দর নয়, মোংলা বন্দরসহ স্থলবন্দরগুলোতেও স্ক্যানার বসানোর কাজ চলমান রয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভারতের সাথে চুক্তি অনুসারে তাদের দেশের জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করতে পারবে এবং সেখান থেকে সড়ক পথে ভারতের অন্যান্য রাজ্যে মালামাল যেতে পারবে। এজন্য চট্টগ্রাম বন্দরে ভারতের জাহাজের ট্রায়াল রান হয়েছে। আরও ট্রায়াল হবে। চট্টগ্রাম বন্দরকে আরও আপগ্রেড করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল, ওভারফ্লো ইয়ার্ড নির্মিত হয়েছে। অধিক জাহাজ বাড়ার চাপ সামাল দেয়ার জন্য চট্টগ্রাম বন্দর প্রস্তুত আছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে এস আর ও হয়ে গেলে নিয়মিতভাবে ভারতীয় জাহাজ আসা শুরু করবে।
ভারতের জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করা এবং সেখান থেকে পণ্য ভারতের অন্যান্য রাজ্যের পাঠানোর বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ মানবিক রাষ্ট্র। ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে এ দেশ পেয়েছি। আমরা সবসময় মানবিক পদক্ষেপ নিয়েছি। বঙ্গবন্ধুর বিদেশ নীতি হলো-সকলের সাথে বন্ধুত্ব। সে অনুযায়ি আমরা মানবিকতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছি।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান, সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মো. জাফর আলম, সদস্য (প্রকৌশল) ক্যাপ্টেন মো. মাহবুবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রাম বন্দরের বে-টার্মিনাল অপারেশন এবং লজিস্টিকস সাপোর্টে ইউএই’র আগ্রহ প্রকাশ
চট্টগ্রাম বন্দরের মাস্টার অপারেটর ও তার স্ত্রীর হিসাব জমার নির্দেশ দুদকের
১১৯৫ দিন আগে
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রশংসা সৌদি গভর্নরের
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রশংসা করলেন সৌদি আরবের উত্তর সীমান্ত অঞ্চল প্রদেশের গভর্নর প্রিন্স ফয়সাল বিন খালিদ বিন সুলতান।
সোমবার রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীর সাথে বৈঠককালে তিনি এই প্রশংসা করেন।
দূতাবাসের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গভর্নর বিগত কয়েক বছরে করোনা মহামারির সময়েও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সাফল্যে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং তা খুবই আশাব্যঞ্জক বলে উল্লেখ করেন। তিনি সবসময়ই বাংলাদেশের উন্নতির বিষয়ে খবর রাখেন বলে জানান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী সৌদি আরব
গভর্নর প্রিন্স ফয়সাল বিন খালিদ বিন সুলতান ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সৌদি আরব সফরের বিষয়ে তার স্মৃতি তুলে ধরেন। আগামী দিনে দুদেশের সম্পর্ক ব্যবসা বাণিজ্য, বিনিয়োগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আরও বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এ সময় রাষ্ট্রদূত গভর্নরকে জানান, উত্তর সীমান্ত অঞ্চল প্রদেশের বিভিন্ন শহরে অনেক বাংলাদেশি কর্মরত রয়েছে।
এ অঞ্চলে কর্মরত বাংলাদেশি অভিবাসীদের প্রশংসা করে গভর্নর বলেন, তিনি তাদের নিজের লোক বলে মনে করেন। তাদের সাহায্য সহযোগিতা করা তিনি তার দায়িত্ব বলে মনে করেন।
আরও পড়ুন: ১৮ মাস পর পর্যটক প্রবেশের অনুমতি দিল সৌদি আরব
রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী গভর্নরকে বলেন, ‘সৌদি আরবের সবুজায়ন উদ্যোগের আওতায় ১০ বিলিয়ন বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে বাংলাদেশ তাদের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা দিয়ে সহযোগিতা করতে ইচ্ছুক। সৌদি আরবের মরুভূমির জন্য উপযোগী ও সহনশীল বৃক্ষের চারা সরবরাহ করার বিষয়েও আগ্রহ প্রকাশ করেন রাষ্ট্রদূত।
এসময় রাষ্ট্রদূত, উত্তর সীমান্ত অঞ্চলের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান সুন্দরবন, কক্সবাজার ও বিভিন্ন পর্যটন স্থানের সাথে সহযোগিতার মাধ্যমে দুদেশের মধ্যে পর্যটক বৃদ্ধির বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এছাড়া দুদেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য বিনিময়ের কথাও উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: ২৯ মে সৌদি আরবে বিমান ফ্লাইট শুরু
রাষ্ট্রদূত করোনা আক্রান্ত অভিবাসীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা ও করোনা ভাইরাসের টিকা প্রদান করায় সৌদি সরকারের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান। সম্প্রতি বাংলাদেশকে করোনাভাইরাসের ১৫ লাখ ডোজ টিকা প্রদানের জন্য রাষ্ট্রদূত সৌদি বাদশাহ ও যুবরাজের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
১৪৮০ দিন আগে
রোহিঙ্গা সঙ্কট: মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রতি সেতুমন্ত্রীর আহ্বান
রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে কার্যকর কৌশল অবলম্বন করার জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থা ও এনজিওগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
১৮০৩ দিন আগে
আগামী ৩-৫ বছরের মধ্যে বাংলাদেশে ভিন্ন চিত্র আসবে: জাপান
বাংলাদেশ এখন অর্থনীতি ও বিনিয়োগের নতুন দুয়ারে রয়েছে উল্লেখ করে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বৃহস্পতিবার বলেছেন, কোভিড-১৯ সত্ত্বেও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নতি অব্যাহত থাকবে।
১৮০৬ দিন আগে
বাংলাদেশের অর্থনীতি ধ্বংস করার চেষ্টা করছে ভারত: জাফরুল্লাহ
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বৃহস্পতিবার বলেছেন, ভারতকে শক্তিশালী বার্তা দেয়া উচিত। কারণ তারা বাংলাদেশের অর্থনীতি ধ্বংস করার চেষ্টা করছে।
১৯০৪ দিন আগে
বাংলাদেশের অর্থনীতির অবস্থা এখন তুলনামূলক ভালো: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনাভাইরাস মহামারির কারণে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো ক্ষতিগ্রস্ত হলেও বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন কম-বেশি ভালো অবস্থানে রয়েছে।
১৯০৬ দিন আগে
বৈশ্বিক মন্দা সত্ত্বেও ‘ইতিবাচক প্রবৃদ্ধির লক্ষণ বাংলাদেশের অর্থনীতিতে’
২০২০ সালে করোনাভাইরাস মহামারিতে বিশ্ব যখন অর্থনৈতিক মন্দায় আবদ্ধ, সে সময়ে আসিয়ান ও দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে যে দুটি দেশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারবে তার মধ্যে বাংলাদেশ একটি।
১৯৩৯ দিন আগে