পটুয়াখালী
পটুয়াখালীতে আগুনে পুড়ে ছাই ৫ দোকান, ক্ষতি প্রায় ৩৫ লাখ টাকা
পটুয়াখালীর গলাচিপায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পাঁচটি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকা হতে পারে বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা।
রবিবার (১৫ জুন) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার চরকাজল ইউনিয়নের পুরান বাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়দের ভাষ্যে, আগুন মুহূর্তেই চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে, ফলে দোকানগুলো পুরোপুরি ছাই হয়ে যায়। আগুন নেভাতে গিয়ে অন্তত পাঁচজন আহত হন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকরা হলেন— সুভাষ ধুপি (৭৫) লন্ডি ও সেলুন দোকান, রফিকুল ইসলাম মোল্লা (৫৫) বসতঘরসহ মুদির দোকান, ইব্রাহিম সরদার (৬০) মুদিমাল ও চায়ের দোকান, জাকির সরদার (৬০) চায়ের দোকান। তাদের দোকানঘর, মালামাল, আসবাবপত্র—সবকিছুই পুড়ে গেছে।
স্থানীয়দের প্রাথমিক অনুমান অনুযায়ী, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: শর্টসার্কিটের আগুনে পুড়ে ছাই বরগুনায় দুই বসতবাড়ি
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গভীর রাতে হঠাৎ আগুনের শিখা দেখে স্থানীয়রা ছুটে এসে পানি ও বালতির সাহায্যে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু বাজারটিযা উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে নদী-বেষ্টিত একটি বিচ্ছিন্ন চরে অবস্থিত। এই এলাকায় কোনো ফায়ার সার্ভিস না থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বড় ধরনের বাধার সম্মুখীন হন স্থানীয়রা।
তবে অগ্নিকাণ্ডের সঠিক কারণ এখনও নিশ্চিত না হলেও প্রাথমিকভাবে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিক মো. রফিক মোল্লা বলেন, ‘রাতের আঁধারে সব কিছু শেষ হয়ে গেল। দোকানের পুঁজি, মালামাল— সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এখন আমাদের পথে বসা ছাড়া উপায় নেই।’
এদিকে, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. হাবিবুর রহমান মোল্লা।
তিনি বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডে ব্যবসায়ীদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তাদের প্রশাসনিক সহায়তা জরুরি প্রয়োজন।’
এ বিষয়ে গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদুল হাসান জানান, ক্ষতিগ্রস্তরা লিখিতভাবে আবেদন করলে সরকারিভাবে তাদের সহায়তা দেওয়া হবে।
১৭২ দিন আগে
আলেম-ওলামাদের নিয়ে কটুক্তি করায় পটুয়াখালীর ইউএনওর অপসারণ ও শাস্তির দাবি
পটুয়াখালীর কুয়াকাটার কলাপাড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রবিউল ইসলামের অপসারণের দাবির পর এবার তার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলেম-ওলামা ও দাড়ি টুপি নিয়ে কটুক্তির অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
শুক্রবার (৬ জুন) সকাল ১০টার দিকে ইমাম সমিতি মহিপুর থানা শাখা এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। এ সময় ইউএনও রবিউল ইসলাম এর অপসারণসহ আলেম-ওলামা ও দাড়ি টুপি নিয়ে কটাক্ষ করার জন্য তার শাস্তি দাবি করেন তারা।
এর আগে, বৃহস্পতিবার মসজিদের সম্পত্তি উদ্ধারের জন্য বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেন তৌহিদি জনতা। এ সময় ইউএনও রবিউল ইসলামের অপসারণ দাবি করেন তারা।
তৌহিদি জনতার আন্দোলনের পর রবিউল ইসলাম তার ইউএনও কলাপাড়া নামে ফেসবুক আইডিতে আলেম-ওলামাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আইনের আওতায় এনে শাস্তির হুমকি দেন বলে অভিযোগ করেন ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা মাঈনুল ইসলাম মান্নান।
আরও পড়ুন: নিম্নচাপ: পটুয়াখালীতে বেড়িবাঁধ ভেঙে ২০ গ্রাম প্লাবিত
তার ভাষ্যে, ওই স্ট্যাটাসে আলেম-ওলামা এবং দাড়ি টুপি নিয়ে কটাক্ষ করেন ইউএনও। আলেম-ওলামাদের নিয়ে ওই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, কুয়াকাটা বাইতুল আরোজ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম কারী নজরুল ইসলাম, সাগর সৈকত জামে মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি মাওলানা মোস্তফা কামালসহ আরও অনেকে।
এ সময় কারী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘১৩ বছর আমি ওই মসজিদে ইমামতি করেছি। মসজিদের পশ্চিম পাশে মহাসড়ক সংলগ্ন ডোবা ভরাট করে মসজিদ কমিটি মাটি ভাড়া দেয়। যা দিয়ে মসজিদের ইমাম মোয়াজ্জিনদের বেতন দেওয়া হতো। সরকারি জমি দাবি করে ইউএনও ওই মার্কেট ভেঙে দেন।’
নজরুল ইসলামের দাবি, ওই জমি মসজিদ কমিটি ক্রয় করেছে। তিনি আরও বলেন, ‘ওই জমিতে ইউএনও নিজ অর্থায়নে মার্কেট নির্মাণ করছেন। এর প্রতিবাদ করলে তিনি জেল-জরিমানার হুমকি দেন।’
সাগর সৈকত জামে মসজিদের ইমাম মুফতি মোস্তফা কামাল অভিযোগ করেন, ইউএনও মসজিদের নাম করে পাবলিক টয়লেট, মার্কেট নির্মাণ করছেন। এজন্য তার বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ দিলেও তিনি তার জবাব দিচ্ছেন না।
ইউএনও নিজেই সরকারি জমি দাবি করে নিজেকে সভাপতি ঘোষণা করেন বলেও অভিযোগ করেন মোস্তফা কামাল। তবে মুসল্লিরা তাকে সভাপতি মানে না বলে জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত মুসল্লিরা বলেন, মসজিদের জন্য ৩০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে ইউএনও মিথ্যাচার করেছেন।
১৮১ দিন আগে
নিম্নচাপ: পটুয়াখালীতে বেড়িবাঁধ ভেঙে ২০ গ্রাম প্লাবিত
গভীর নিম্নচাপ ও অমাবস্যার প্রভাবে পটুয়াখালীর গলাচিপা ও রাঙ্গাবালী উপজেলায় টানা মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে, সঙ্গে বইছে দমকা হাওয়া। এরই মধ্যে জোয়ারের চাপে একাধিক স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে অন্তত ২০টি গ্রাম।
শুক্রবার (৩০ মে) সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, বেড়িবাঁধ ভাঙার ফলে গলাচিপা, বাউফল, দশমিনা ও রাঙ্গাবালী উপজেলার বেড়িবাঁধহীন বিভিন্ন চরের হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এমনকি সাগরের উত্তাল ঢেউয়ের তোড়ে ধসে পড়েছে কুয়াকাটা মেরিন ড্রাইভ।
ইউএনবির পটুয়াখালীর প্রতিনিধি জানান, জোয়ারের তোড়ে গলাচিপা পৌরসভার ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডে বেড়িবাঁধের বাইরের এলাকা প্লাবিত হয়েছে। সেখানে প্রায় আড়াই হাজার পরিবার এখন পানিবন্দি অবস্থায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
ওই এলাকার ঘরেগুলোতে ঢুকে পড়েছে জোয়ারের পানি। অনেক পরিবারে চুলা পর্যন্ত জ্বলেনি, ব্যবসায়ীদের মজুতকৃত ধান, ডাল ও বাদাম পানিতে তলিয়ে গেছে। তাছাড়া, গলাচিপার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নিম্নাঞ্চল বৃষ্টির পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
তিনি আরও জানান, জোয়ারের পানিতে ফেরির জেটি তলিয়ে যাওয়ায় নদীবেষ্টিত এই উপজেলার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: উদ্বোধনের আগেই সমুদ্রে বিলীন কুয়াকাটার ‘মেরিন ড্রাইভ’
গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদুল হাসান জানান, ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধ দ্রুত সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পরিবারগুলোকে দ্রুত সহায়তা দেওয়া হবে বলেও তিনি আশ্বাস দিয়েছেন।
এদিকে, পানপট্টি ইউনিয়নের ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পানপট্টি বোর্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় ৫৫/৩ নম্বর পোল্ডারের প্রায় ১০ থেকে ১৫ ফুট বেড়িবাঁধ ভেঙে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করেছে। এতে বিবির হাওলা, গুপ্তের হাওলা, সুতিরাম ও খরিদা গ্রামসহ চারটি গ্রাম সম্পূর্ণ প্লাবিত হয়েছে।
এতে আশঙ্কা প্রকাশ করেন পানপট্টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদ রানা। তিনি বলেন, ‘আরও ১০ থেকে ১২টি গ্রাম প্লাবিত হতে পারে। ফলে এই এলাকার প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার মানুষ চরম আতঙ্কে রয়েছেন। লবণাক্ত পানিতে তলিয়ে গেছে ফসিল জমি, পুকুর ও ঘের।’
প্রতিনিধির তথ্যমতে, বেড়িবাঁধবিহীন চর কাজল ইউনিয়নের চর শিবার ধলার চর এলাকায় ২০০টি ঘর পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এছাড়া বড় চর কাজলের ১, ২, ৩ ও ৪ নম্বর ওয়ার্ড তলিয়ে যাওয়ায় আরও ২ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। গলাচিপা সদর ইউনিয়নের আগুনমুখা চরের ৬০টি ঘর এবং চর কারফারমার ৯০টি ঘর পানিতে ডুবে গেছে। এ ছাড়া, ঝুকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ার আতঙ্কে রয়েছেন ডাকুয়া, গজালিয়া, কলাগাছিয়া ও নলুয়াবাগীর মানুষ।
আরও পড়ুন: নদীভাঙন ও তলিয়ে যাওয়া ফসল নিয়ে দিশেহারা কুড়িগ্রামবাসী
অন্যদিকে, রাঙ্গাবালীর মৌডুবি, চরআন্ডার বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে ৫ গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে ভাটার অপেক্ষায় সময় গুনছেন। বাউফলের তেতুলিয়া নদী পাড়ের বাসিন্দারা ঝুপড়ি ঘর ছেড়ে উঁচুতে আশ্রয় নিয়েছেন। পাশাপাশি দশমিনার বাঁশবাড়িয়ার বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
নিম্নচাপের প্রভাবে ধেয়ে আসা কুয়াকাটায় সুউচ্চ ঢেউয়ে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত কুয়াকাটার মেরিন ড্রাইভের আদলে নির্মিত সড়কের বড় অংশ ধসে পড়েছে। পটুয়াখালীর পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী মো. রাকিব জানান, ক্ষয়ক্ষতি নিরুপন শেষে বেড়িবাঁধের ভাঙ্গন মেরামত করা হবে। এজন্য জিও ব্যাগ প্রস্তত রয়েছে।
১৮৯ দিন আগে
তিন ষাঁড় একসঙ্গে কিনলে ওমরাহ ফ্রি
কোরবানির জন্য পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় প্রস্তুত করা হয়েছে রাঙ্গা দুদু, কালা পাহাড় এবং রাজা মানিক নামে তিনটি বিশাল ষাঁড়। কুয়াকাটা ডেইরি ফার্ম নামের একটি খামারে ষাঁড় তিনটি সবার নজর কেড়েছে।
ষাঁড় তিনটি একসঙ্গে কিনলে রয়েছে বিশেষ অফার। একসঙ্গে কিনলে ক্রেতাকে নিজ খরচে পবিত্র ওমরাহ করানোর ঘোষণা দিয়েছেন খামারটির স্বত্বাধিকারী মুফতি হাবিবুর রহমান মিছবাহ।
তিনি বলেন, ‘আমি দেশজুড়ে ইসলামের দাওয়াত দিয়ে বেড়াই। খামার এবং কৃষিকাজ করা আমার শখ ছিল, যা এখন পেশায় পরিণত হয়েছে। ৪-৫ বছরের কঠোর পরিশ্রমের পর আমরা শাহিওয়াল এবং ফ্রিজিয়ান জাতের তিনটি ষাঁড় প্রস্তুত করেছি।’
‘বড় জাতের এই পশু তৈরি করতে আমরা কোনো প্রকার মেডিসিন বা ক্ষতিকারক খাবার ব্যবহার করিনি, শুধু স্বাভাবিক খাবার খাওয়ানো হয়েছে। বড় ষাঁড় তিনটি একসঙ্গে কিনলে তাকে আমার পক্ষ থেকে ওমরাহ করানো হবে,’ যোগ করেন তিনি।
খামারের দায়িত্বে থাকা বাদল জানান, ‘আমরা দুজন লোক সার্বক্ষণিক গরুগুলোর পরিচর্যা করছি। নিজ হাতে বানানো সাইলেজ (বায়ুরোধক অবস্থায় সংরক্ষিত সবুজ ঘাস), ঘাস ও খড় খাওয়ানো হয়। এছাড়া, এই ষাঁড় তিনটিকে গোসল করানো হয় দিনে তিনবার।’
আরও পড়ুন: মাংস নয়, গবাদি পশুর মানোন্নয়নে গরু আমদানি হবে: উপদেষ্টা
খামার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রথম দিকে শখের বশে শাহিওয়াল ও ফ্রিজিয়ান জাতের দুটি গাভি কিনে খামার শুরু করেন হাবিবুর। বর্তমানে তার খামারে রয়েছে অর্ধশতাধিক গরু। এর মধ্যে কিছু দেশীয় জাতের পশু থাকলেও বেশিরভাগই শাহিওয়াল ও ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়। তবে কোরবানি উপলক্ষে বিশেষভাবে তিনটি বিশাল ষাঁড় প্রস্তুত করেছেন তিনি।
২০ মণের রাঙ্গা দুদুর দাম হচ্ছে ১৬ লাখ টাকা। রাঙ্গা দুদুর চেয়েও বেশি ওজন নিয়ে প্রস্তুত কালা পাহাড়ের দাম ১৭ লাখ টাকা। তবে ওজন ও বয়সে কিছুটা কম হলেও রাজা মানিকের দাম ১২ লাখ টাকা।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মারুফ বিল্লাহ খান বলেন, ‘চলতি বছরে উপজেলায় ২২ হাজারের বেশি গরু কোরবানির জন্য প্রস্তুতি করা হয়েছে। কেউ যাতে এসব পশুর শরীরে ক্ষতিকারক উপাদান ব্যবহার করতে না পারে, সেজন্য প্রাণিসম্পদ বিভাগ সবসময় নজরদারি করছে।’
১৮৯ দিন আগে
পটুয়াখালীতে ছাত্রদল নেতার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
পটুয়াখালীর কালিকাপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ও ব্যাবসায়ী সরোয়ার তালুকদারের (৩২) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) বিকালে কালিকাপুর ইউনিয়নের পূর্ব হেতালিয়া বাঁধঘাট সংলগ্ন টেঙ্গাতলা এলাকায় তালুকদার বাড়ির ঘর থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিজ বসত ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ দেখতে পেয়ে স্বজনরা সদর থানার পুলিশকে খবর দিলে রাতে তার লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়না তদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
সরোয়ার তালুকদার টেঙ্গাতলা মরহুম আলতাফ তালুকদার ও হোসনে আরা বেগমের ছেলে।
নিহতের প্রতিবেশী ইসমাইল ফকির, লামিয়া আক্তারসহ স্বজনরা জানান, দুপুরে ফুপুর বাড়িতে খেয়ে এসে আড়াইটার দিকে নিজ ঘরে ঘুমাতে যান সরোয়ার। সন্ধ্যা ৭টার দিকে চাচাতো বোন মাহিনুর তাকে ঘুম থেকে তুলে দিতে গেলে অনেক ডাকাডাকির পরে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে বাড়ির লোকজনকে জানান। এসময় সরোয়ারের চাচা ইউনুস তালুকদার দরজা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে তাকে বিছানার উপর ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেন এবং পুলিশে খবর দেন।
ফুপাতো বোন লুৎফা বেগম বলেন, ঘটনার পরে ঘরে ঢুকে মাঝখানের দরজা এবং দুটো জানালা নিচের দিক দিয়ে ভাঙ্গা দেখতে পেয়েছি এবং সামনের দরজাও সামান্য ধাক্কাতেই খুলে গেছে বলে শুনেছি। আমার ভাই আত্মহত্যা করতে পারে না। তাকে হত্যা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ঢাবি শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
প্রতিবেশি মামা সৈয়দ জোমাদ্দার ও নানা হাবিবুর রহমান বলেন, সরোয়ারের সঙ্গে এলাকার কারো কোনো শত্রুতা নেই। এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। তার রাজনৈতিক সুনামে ঈর্ষান্বিত হয়ে প্রতিপক্ষ তাকে হত্যা করেছে। তার আত্মহত্যার কোনো কারণ নেই। এটি আত্মহত্যা বলে মেনে নেওয়ার মতো ঘটনা নয়।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরকার কুট্টিসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিহতের পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানিয়েছেন।
পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, লাশ ময়না তদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ডিবি ও সিআইডি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মৃত্যুর কারণ উদঘাটনে কাজ করছে।
২২১ দিন আগে
পটুয়াখালীতে চিকিৎসকের অবহেলায় প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় চিকিৎসকের অবহেলায় তামান্না বেগম (২৫) নামে এক প্রসূতি নারীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় পৌর শহরের কলাপাড়া ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সিজারিয়ান অপারেশনের সময় এ ঘটনা ঘটে।
মৃত তামান্না উপজেলার চম্পাপুর ইউনিয়নের গোলবুনিয়া গ্রামের রওসন মাতব্বরের স্ত্রী।
রোগীর স্বজনদের অভিযোগ, গতকাল সন্ধ্যায় তামান্নাকে ওই ক্লিনিকে নিয়ে আসা হলে প্রসবের সময়ের ১৫ দিন বাকি থাকা সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষ তাড়াহুড়ো করে সিজারের জন্য অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যায়। পরে রক্ত সংগ্রহ না করেই ডা. পার্থ সমদ্দার ও ডা. মুনতাহা মারিয়াম মিতু সিজার করে কন্যা সন্তানের জন্ম দেয়।
এসময় তামান্নার অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণ হলে তারা তাকে বরিশালে রেফার করেন।
তাৎক্ষণিকভাবে রোগীর স্বজনরা তাকে নিয়ে রওনা করার কিছু সময় পর ক্লিনিক থেকে ফোনে আমতলী হাসপাতালে চেকআপ করে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলা হয়। পরে রোগীকে আমতলী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে ‘দায়ের কোপে’ বাবার মৃত্যুর অভিযোগ, ছেলে আটক
রোগীর স্বজনদের দাবি, রোগীকে মৃত দেখেই তারা ক্লিনিক থেকে দ্রুত বের করে দিয়ে পালিয়েছেন।
কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. জেএইচ খান লেলীন বলেন, অস্ত্রোপচারকারী চিকিৎসকের ট্রেনিং সার্টিফিকেট আছে কিনা কিংবা অপারেশনের অনুমতি আছে কিনা তা যাচাই করা হয়নি। রোগীর স্বজনের পক্ষ থেকে অভিযোগ আসলে তদন্ত করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত(ওসি) তদন্ত মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২৪৩ দিন আগে
পটুয়াখালীতে আগুনে ছাই কন্টেন্ট ক্রিয়েটর কাফির বাড়ি
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় জনপ্রিয় কনটেন্ট ক্রিয়েটর নুরুজ্জামানের কাফির গ্রামের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। তিনি জুলাই আন্দোলনের সমন্বয়কদের একজন ছিলেন।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে আগুনে পুড়ে তার বাড়িটি ছাই হয়ে গেছে।
কলাপাড়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার ইলিয়াস হোসাইন বলেন, ‘রাত সোয়া ২টার দিকে আমাদের মোবাইলে কল আসে নুরুজ্জামান কাফির বাসায় আগুন লেগেছে। আমরা দ্রুত সেখানে গিয়ে দেখি আগুন সিলিংয়ে উঠে গেছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যই আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আনতে সক্ষম হই। তবে কেবল পাশের গোয়াল ঘরটাকে নিরাপদ রাখতে পেরেছি। মানুষের কোনো ক্ষতি হয়নি। বাড়ির সবাই নিরাপদে ও অক্ষত আছেন।’
আরও পড়ুন: নাটোরের চামড়ার গুদামে আগুন
এ বিষয়ে নুরুজ্জামান কাফির বাবা মাওলানা এ বি এম হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আমাদের ঘরটি দুর্বৃত্তরা আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। আমাদের পুড়িয়ে মারার জন্যই এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা এর বিচার চাই। যে যার মতো করে দরজা ভেঙে বের হয়েছি। বাড়ির কিছুই অবশিষ্ট নেই। সব শেষ হয়ে গেছে।’
প্রতিবেশি ওয়ালি উল্লাহ ইমরান বলেন, ‘আমরা আগুন লাগার সাথে সাথেই ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিই। তাদের সাথে আমরাও আগুন নির্বাপণের কাজে নেমে যাই। এটা সম্পূর্ণ পরিকল্পিত। কারণ জানালার বাইরে থেকে ছিটকানি লাগানো ছিল। সবাই খালি কাপড়ে নেমে পড়েছে। কোনো রকমের জানে বাঁচা গেল।’
আরও পড়ুন: শেখ সেলিমের বনানীর বাসায় আগুন
নুরুজ্জামানের কাফির বাড়ি কলাপাড়া উপজেলার রজপাড়া গ্রামে। তার বাবা রজপাড়া দ্বীন এ এলাহী দাখিল মাদরাসার সুপার।
২৯৬ দিন আগে
পটুয়াখালীর নদীতে মিলল ১ মণ ওজনের কচ্ছপ
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরঙ্গ নদীর মোহনায় জেলের জালে ধরা পড়েছে ১ মণ ওজনের একটি কচ্ছপ।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নের পাতার চর নামক স্থানে বজলু হওলাদার নামের এক জেলের জালে কচ্ছপটি ধরা পড়ে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় টিকটকার মুন্নিকে ধর্ষণের পর হত্যা, গ্রেপ্তার ২
বজলু জানান, বিকাল ৪টায় তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরঙ্গ নদীর মোহনায় পাতার চর এলাকায় জাল বাইতে যায় তিনি। জাল টানার শেষপর্যায় বিশাল একটি কচ্ছপ উঠে আসে। কচ্ছপটি তীরে নিয়ে এলে সেটিকে দেখতে শত শত লোক ভিড় করে। পরে স্থানীয়রা কচ্ছপটি আবার নদীতে ছেড়ে দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শী মো. শাহ আলম অপু বলেন, ‘আগে কখনও এত বড় কচ্ছপ দেখিনি, আজ দেখলাম।’
৩৭৯ দিন আগে
ভারতে রপ্তানির খবরে বেড়েছে ইলিশের দাম
ভারতে রপ্তানির খবরে আরও বেড়েছে জাতীয় মাছ ইলিশের দাম। তাই মধ্য ও নিম্নবিত্তের নাগালের বাইরে চলে গেছে ইলিশ। দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রতিবছরই ইলিশ রপ্তানি করা হয়। তবে এ বছরও সরকার ৩ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি করার অনুমতি দিয়েছে। যার ফলে রপ্তানির পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় বাংলাদেশে ইলিশের দাম ক্রমাগত বাড়ছে, যা সাধারণ ক্রেতাদের জন্য একটি উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) পটুয়াখালী জেলার পৌর নিউমার্কেট মৎস্য বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বাজারে ইলিশের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এর ফলে ইলিশের দাম ৩০-৪০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে গেছে। কিছুদিন আগে ১ কেজি ইলিশের দাম ছিল ৮০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা। বর্তমানে তা ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকায় পৌঁছেছে। অন্যদিকে ১ কেজি ৫০০ গ্রাম বা দেড় কেজি মাছের দাম ১ হাজার ৮০০ টাকা। ঝাটকা ৬৫০ টাকা। ছোট ঝাটকা ৫০০ টাকা করে চলছে।
আরও পড়ুন: ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশ ধরা ও বিক্রি বন্ধ
এক ক্রেতা বলেন, বর্তমানে ইলিশ কেনার সামর্থ্য হারাতে বসেছি। দাম এত বেশি যে, কিনতে গেলে সাধারণ পরিবারের বাজেটেই টান পড়ে।
মাছ বিক্রেতা মো. খোকন বলেন, রপ্তানির কারণে বাজারে ইলিশের সরবরাহ কমে যাওয়ায় তারা বেশি দামে মাছ বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। এর পাশাপাশি, পরিবহন ও অন্যান্য খরচও বেড়েছে বলে জানান তিনি।
তবে ব্যবসায়ীদের একাংশ মনে করেন, বাজারে ইলিশের সরবরাহ বাড়াতে সরকার উদ্যোগ নিলে দাম কিছুটা স্থিতিশীল হতে পারে।
এ বিষয়ে এক মৎস্য আড়ৎদার জানান, ভারতে ইলিশ রপ্তানির ফলে দেশীয় বাজারে ইলিশের দাম বৃদ্ধির প্রভাব সাধারণ মানুষের ওপর পড়ছে। সরকার যদি দ্রুত পদক্ষেপ নেয় ও বাজারে পর্যাপ্ত ইলিশের সরবরাহ নিশ্চিত করে, তবে ক্রেতাদের ভোগান্তি কিছুটা কমবে।
মৎস্য অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, আবহাওয়ার প্রতিকূল পরিস্থিতির কারণে বিগত ২০-২৫ দিন গভীর সমুদ্রে মৎস্য আহরণ বন্ধ ছিল। তাই আলিপুর, মহিপুর বন্দরে মাছ কম এসেছে। আবহাওয়া কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় কিছুদিনের মধ্যে বাজারে মৎস্য সরবরাহ বাড়বে। খুব তারাতারি ইলিশের দাম কমবে ও মানুষের ক্রয়ক্ষমতার ভেতরে চলে আসবে।
ভোক্তা অধিদপ্তর জানায়, নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছেন তারা। অস্বাভাবিক মূল্যে বিক্রয়ের কোনো প্রমাণ পেলে তারা আইন অনুযায়ী দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে প্রস্তুত।
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতির প্রতিবাদে অন্তর্বর্তী সরকারকে আইনি নোটিশ
ভারতের ‘বিশেষ অনুরোধে’ ইলিশ রপ্তানির অনুমতি: মৎস্য উপদেষ্টা
৪৩৬ দিন আগে
ভোট দিতে হেলিকপ্টারে চড়ে কলাপাড়ায় দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী
চতুর্থ ধাপে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে হেলিকপ্টারে চড়ে নিজ এলাকায় গিয়ে ভোট দিয়েছেন দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান মুহিব।
বুধবার (৫ জুন) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার ৫৭ নম্বর ধুলাশার প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে তিনি লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দেন।
ভোট শেষে প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আশা করছি, আমার এই দুটি উপজেলায় সুন্দর ও সুষ্ঠু পরিবেশে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হবে। সময় স্বল্পতার কারণে হেলিকপ্টারে চড়ে ভোট দিতে আসা। আমি মনে করি, প্রতিটি ভোটই মূল্যবান।’
উল্লেখ্য, কলাপাড়া ও রাঙ্গাবালী এ দুই উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৯২ হাজার ৩৩৮ জন। দুই উপজেলার ১১১টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ হচ্ছে। সুষ্ঠভাবে ভোট গ্রহনের লক্ষ্যে প্রতিটি কেন্দ্রে ৫ জন পুলিশ সদস্য ও ১৭ জন আনসার সদস্য সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছেন।
এছাড়া ভোটের মাঠে ২৮ জন ম্যাজিস্ট্রেট, র্যাবের ৪টি টিম, বিজিবির ৭টি টিম ও কোষ্টগার্ডের ৮টি টিম মোতায়ানে করা হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশের মোবাইল টিম, স্টাইকিং ফোর্স ও স্টান্ডবাই টিম কাজ করছে।
এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কলাপাড়ায় চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অন্যদিকে, রাঙ্গাবালী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
৫৪৭ দিন আগে