বিআইডব্লিউটিএ
সরকার পতনের পর চাপে বিআইডব্লিউটিএ, প্রকল্পে ধীরগতি
গত বছর সরকার পতনের প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে। একদিকে মূল প্রকল্পগুলোতে অগ্রগতি কমে গেছে, অন্যদিকে নানা অভিযোগ ও রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার অভিযানের কারণে মনোবল হারাচ্ছেন কর্মকর্তারা।
রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর থেকে বিআইডব্লিউটিএ নতুন কোনো উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেয়নি। বর্তমানে চলমান ১২টি প্রকল্পের কাজ খুবই ধীরগতিতে এগোচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এর মধ্যে নদীপথের নাব্য রক্ষা ও অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি প্রকল্পও রয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ’র কর্মকর্তাদের অভিযোগ, একটি স্বার্থান্বেষী মহল পরিকল্পিতভাবে কর্মকর্তাদের আওয়ামী লীগ-সম্পৃক্ত বলে মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছে। তাদের ভাষ্যে, ওই মহলটি অনৈতিক সুযোগ-সুবিধা দাবি করছে। সেটি না পেলে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, গোয়েন্দা সংস্থা ও দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগ দিচ্ছে।
কর্মকর্তারা বলছেন, এসব অভিযোগ প্রায়ই গণমাধ্যমে যাচাই-বাছাই ছাড়াই সত্য হিসেবে প্রকাশিত হচ্ছে, যার ফলে প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ভয় ও অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।
বর্তমানে যেসব গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প চলমান রয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে নদীর নাব্যত রক্ষা ও পুনরুদ্ধারে বড় পরিসরের ড্রেজিং কার্যক্রম। এর আওতায় রয়েছে— জামালপুরে ব্রহ্মপুত্র ও ঝিনাই নদী, কুড়িগ্রামে ধরলা নদী, দিনাজপুরে টোলাই ও পুনর্ভবা নদী, টাঙ্গাইলে বংশী নদী, গাইবান্ধায় ঘাঘট নদী, গাজীপুরে নাগদা নদী এবং কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলায় কয়েকটি নদী।
আরও পড়ুন: সরকারি ক্রয় পদ্ধতি ডিজিটাল করতে নতুন প্রকল্প নিচ্ছে সরকার
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে ঢাকাকে ঘিরে একটি বৃত্তাকার ওয়াকওয়ে নির্মাণ, নদীর সীমানা নির্ধারণে পিলার স্থাপন এবং ৩৫টি নতুন ড্রেজার সংগ্রহ। যদিও ড্রেজার সংগ্রহ কার্যক্রমও বিলম্বিত হচ্ছে বলে জানা গেছে।
বিআইডব্লিউটিএ’র অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সাইদুর রহমান জানান, চলমান প্রকল্পগুলোর যথাযথ বাস্তবায়ন ও সময়মতো সম্পন্ন করার লক্ষ্যে তারা সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছেন।
তার দাবি, কিছু স্বার্থান্বেষী মহল মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে এবং অবৈধ সুবিধা আদায়ে কর্মকর্তাদের আওয়ামী লীগপন্থি হিসেবে চিহ্নিত করে ভয় দেখাচ্ছে। এতে তাদের কাজের গতি ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এ সময় তথ্য যাচাই করে গণমাধ্যমকে সংবাদ প্রকাশের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যম যদি আগে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে, তাহলে আমরা সঠিক তথ্য দিতে পারব। এতে বিভ্রান্তি কমবে এবং কর্মকর্তাদের মনোবলেও আঘাত আসবে না।’
বিআইডব্লিউটিএ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক একেএম আরিফ উদ্দিনও একই উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘সঠিক ও দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা প্রয়োজন, যাতে কর্মীদের মনোবল অটুট থাকে এবং সরকারি প্রকল্পগুলো সময়মতো বাস্তবায়ন সম্ভব হয়।’
১২৬ দিন আগে
বৈরী আবহাওয়া: ভোলা-লক্ষ্মীপুর নৌ-রুটে যাত্রীবাহী লঞ্চ-সি-ট্রাক বন্ধ
মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উপকূলীয় দ্বীপজেলা ভোলায় বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। সকাল থেকে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ও থেমে থেমে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। নিম্নচাপের কারণে সমুদ্রে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত জারি থাকায় গত তিন দিন ধরে ভোলা-লক্ষ্মীপুর নৌ-রুটে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ।
শুক্রবার (২০ জুন) ভোর থেকে এই রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় কয়েক হাজার যাত্রী পড়েছেন চরম বিপাকে।
এদিন সকাল থেকেই ভোলার ইলিশা লঞ্চঘাটে দেখা গেছে, নারী-শিশু, বৃদ্ধসহ কয়েক হাজার যাত্রী অপেক্ষা করছেন গন্তব্যে পৌঁছানোর আশায়, কিন্তু লঞ্চ ও সি-ট্রাক চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীদের ভোগান্তির শেষ নেই। অনেক যাত্রী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নিরুপায় হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই রুটে ছোট ছোট ট্রলার এবং স্পিডবোটে পারাপার হচ্ছেন। এতে করে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার ভোর থেকে ইলিশা ফেরি ও লঞ্চঘাটে ছিল যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। এ সময় লঞ্চ ও সি-ট্রাক ঘাটে বাঁধা থাকলেও যাত্রী পার করেনি, কিন্তু অবৈধ ট্রলারে করে যাত্রীরা পারাপার হচ্ছেন। পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে এসব ট্রলারে নেওয়া হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া।।
এসব ট্রলারের উপরে কোনো ছাউনি নেই। বৃষ্টিতে ভিজে, রোদে পুড়ে এতে করেই দেড়-দুই ঘণ্টার উত্তাল নৌপথ পাড়ি দিচ্ছেন যাত্রীরা।
আরও পড়ুন: শরণার্থীদের বোঝা সবচেয়ে বেশি বহন করতে হচ্ছে উন্নয়নশীল দেশগুলোর: গুতেরেস
তবে অবৈধ এসব ট্রলারের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি জানিয়ে যাত্রীদের অভিযোগ, আমরা ভোলার মানুষ এমনিতেই অবহেলিত। আমাদের কাজকর্ম আছে। আমরা অনেকেই চট্টগ্রামে কোম্পানিতে কাজ করি। আমাদের সময়মতো কাজে যোগদান করতে হয়। এ কারণে আমরা ভোলার ইলিশা লঞ্চঘাটে এসেছি। সকাল বেলা আকাশ পরিচ্ছন্ন ছিল। কোনো ঝড়-বাতাস ছিল না। লঞ্চ-সি-ট্রাক বন্ধ; অথচ অবৈধ ট্রলার, স্পিডবোট ঠিকই চলছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বৈধ বড় লঞ্চ আটকে রেখেছে, কিন্তু অবৈধ ছোট ট্রলারগুলোকে চলতে দিচ্ছে। চাকরিতে সময়মতো যোগ না দিলে চাকরি থাকবে না। চাকরি না থাকলে আমাদের সংসার চলবে না। এর দায়ভার কে নেবে?
ভোলা আবহাওয়া কার্যালয় সূত্র জানায়, গত বুধবার সকাল ৯টা থেকে শুক্রবার ৯টা পর্যন্ত ভোলায় ৬৭ দশমিক ৪১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এই সময়ে ঘণ্টায় ৩ নটিক্যাল মাইল বেগে দমকা হাওয়া বইছে। সমুদ্রবন্দরগুলোতে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএর ট্রাফিক কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘নিম্নচাপের কারণে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত জারি থাকায় ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটে লঞ্চ চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। কেউ নিয়ম ভাঙলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
অবৈধ ট্রলার চলাচল বন্ধে তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জানিয়েছেন বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
১৬৭ দিন আগে
চট্টগ্রাম-সন্দ্বীপ নৌপথে ফেরি সার্ভিস উদ্বোধন সোমবার
বহুল প্রতীক্ষিত চট্টগ্রামের বাঁশবাড়িয়া, সীতাকুণ্ড-গুপ্তছড়া, সন্দ্বীপ নৌপথে ফেরি সার্ভিসের উদ্বোধন করা হবে আগামীকাল সোমবার। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে পরিষেবাটি চালু হতে যাচ্ছে।
ফেরি সার্ভিস উদ্বোধন করবেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
এ উপলক্ষে চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে আয়োজিত সমাবেশে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ। স্বাগত বক্তব্য দেবেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা।
চট্টগ্রাম-সন্দ্বীপ সরাসরি ফেরি সার্ভিস চালুর মাধ্যমে সন্দ্বীপবাসীর দীর্ঘদিনের কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন পূরণ হবে। এর মাধ্যমে সন্দ্বীপবাসী একটি নিরাপদ নৌযোগাযোগ ব্যবস্থা পাবে বলে আশাবাদী বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ।
ফেরিতে বাস, ট্রাক, ট্যাংক-লরি, মিনিবাস, প্রাইভেটকারসহ সব ধরনের যানবাহন চলাচল করার সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় সন্দ্বীপবাসীর জীবনযাত্রার মান ও অর্থনৈতিক সক্ষমতা বেড়ে যাবে বলেও আশা করছে সরকার।
আরও পড়ুন: নৌপথে মানুষের হয়রানি যাতে না হয়: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
ফেরি সার্ভিস চালু হলে সন্দ্বীপে পর্যটকসহ পর্যটনের সংখ্যাও বাড়বে। একই সঙ্গে জায়গাটি অচিরেই দেশের অন্যতম পর্যটন এলাকায় পরিণত হতে পারে।
এ সময় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান; যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া; মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম; প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার; মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার; প্রধান উপদেষ্টার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা) মো. খোদা বখস চৌধুরী ও প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা) অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান।
২৫৬ দিন আগে
আরিচায় বিআইডব্লিউটিএ’র ড্রেজার পাইপে আগুন
মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার আরিচা ঘাট এলাকায় বিআইডব্লিউটি’র ড্রেজিং মেশিনের পাইপে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টায় বিআইডব্লিউটি’র ড্রেজিং অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টার পর ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন: শ্যামপুরের ডায়িং কারখানায় আগুন
বিআইডব্লিউটি’র ওয়াচম্যান তোতা মিয়া বলেন, লোকজনের চিৎকারে অফিস থেকে বের হয়ে পাইপে আগুন লেগেছে দেখতে পাই। এই পাইপগুলো ড্রেজিংয়ের কাজে ব্যবহারের জন্য অফিসের সামনে স্তুপ করে রাখা ছিল। এ সময় ২০ থেকে ২৫টি পাইপে আগুন লাগে।
আগুনের সূত্রপাতের বিষয়টি এখনও বোঝা যাচ্ছে না বলে জানান তিনি।
ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মো. আব্দুল হামিদ মিয়া বলেন, ‘আগুন নিয়ন্ত্রণে মোট তিনটি ইউনিট কাজ করেছে। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। আগুনের সূত্রপাতের বিষযয়ে এখনও কিছু বোঝা যাচ্ছে না।’আরও পড়ুন: কল্যাণপুরে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের আগুন নিয়ন্ত্রণে
৩৮৫ দিন আগে
১০ বছরে ২৬ হাজার ১৮১টি নদী তীরবর্তী অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ: নৌপ্রতিমন্ত্রী
২০১৪-২৪ সালের মধ্যে নদীর তীর থেকে ২৬ হাজার ১৮১টি ছোট-বড় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
এছাড়া এসময়ে ১ হাজার ১৬০ দশমিক ৬২ একর নদী তীরবর্তী দখল হওয়া জমি উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য খসরু চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে নৌপ্রতিমন্ত্রী এসব তথ্য জানান।
বিআইডব্লিউটিএ নদী তীরগুলোর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের উদ্যোগ নিয়েছে বলেও জানান নৌপ্রতিমন্ত্রী।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, রাজধানী ঢাকার চারপাশে বৃত্তাকার নৌপথের মোট দৈর্ঘ্য ১১০ কিলোমিটার। ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, টঙ্গী ও মিরকাদিমে চারটি অভ্যন্তরীণ নদীবন্দর রয়েছে যেগুলো অভ্যন্তরীণ নৌপথে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনে ব্যবহৃত হয়। নির্বিঘ্নে পণ্য পরিবহন ও যাত্রী পরিবহনের জন্য এসব অভ্যন্তরীণ নদীবন্দর পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে বিআইডব্লিউটিএ।
মন্ত্রী বলেন, নদী পুনরুদ্ধারে বিশ্বব্যাংকের একটি সমীক্ষা করা হয়েছিল। নদী পুনরুদ্ধারের জন্য সকল অংশীদারদের নিয়ে একটি আমব্রেলা ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম (ইউআইপি) প্রস্তাব করেছে বিশ্বব্যাংক।
এই প্রস্তাবটি বাস্তবায়নে একটি জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং কাজ চলছে বলে জানান তিনি।
নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এটি বাস্তবায়িত হলে ঢাকার চারপাশের নদীগুলো সম্পূর্ণ দূষণমুক্ত হবে এবং পরিবেশের টেকসই উন্নয়ন সম্ভব হবে।’
সরকারি দলের সংসদ সদস্য মাহবুবুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী জানান, দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের প্রায় ৯২ শতাংশ এবং কনটেইনার পণ্যের প্রায় ৯৮ শতাংশ চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে হ্যান্ডলিং করা হয়।
৫২৭ দিন আগে
ড্রেজিংয়ে অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে ১০টি নৌপথ পরিত্যক্ত: এসসিআরএফ
নদী খনন ও ড্রেজিংয়ে (পলি অপসারণ) অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে ১০টি নৌপথ বন্ধ হয়ে গেছে বলে এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
শিপিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন রিপোর্টার্স ফোরামের (এসসিআরএফ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। রবিবার (৩১ মার্চ) সংগঠনটির পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকার নদী খনন ও পলি অপসারণ খাতে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ দিলেও সংশ্লিষ্টদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির ঘাটতি রয়েছে।
লঞ্চমালিক নেতাদের বরাত দিয়ে এসসিআরএফ আরও জানায়, ৩১টি নৌপথ সচল থাকলেও সেসব পথের বিভিন্ন স্থানে নাব্য সংকট রয়েছে। ফলে লঞ্চ চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। এ কারণে সচল নৌপথগুলোতে লঞ্চের সংখ্যা কমছে।
আরও পড়ুন: বিআইডব্লিউটিএ’র খননকৃত ১২টি নৌপথের অর্ধেক পরিত্যক্ত: এসসিআরএফ
নৌযাত্রী, নৌশ্রমিক ও অধিকার কর্মীদের বরাতে এসসিআরএফের প্রতিবেদনে বলা হয়, নদী খনন ও পলি অপসারণে বিআইডব্লিউটিএর ড্রেজিং বিভাগের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নেই। এ কারণে জনগুরুত্বপূর্ণ এ কাজে লাগামহীন অনিয়ম ও দুর্নীতি হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকার এ খাতে পর্যাপ্ত বরাদ্দ দিচ্ছে। কিন্তু বিআইডব্লিউটিএর ড্রেজিং বিভাগের অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে ১৫ বছরেও নদীর নাব্য ফিরিয়ে আনতে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য অর্জিত হয়নি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা ও দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলের মধ্যে ৪১টি স্বীকৃত নৌপথ থাকলেও ঢাকা নদীবন্দরের সদরঘাট টার্মিনাল থেকে মাত্র ৩১টি রুটে বাণিজ্যিক লঞ্চসহ পণ্যবাহী বিভিন্ন ধরনের নৌযান চলাচল করছে। তীব্র নাব্য সংকটের কারণে বাকি নৌপথগুলোতে লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: ঢাকার লঞ্চের যাত্রীসংখ্যা এক বছরে ৩৪ শতাংশ কমেছে: এসসিআরএফ
৬১৩ দিন আগে
নৌপথ-নদীবন্দর ঠিক আছে কিনা তা লক্ষ্য রাখতে হবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, নৌপথ-নদীবন্দর ঠিক আছে কি না, এগুলো ব্যবহারে মানুষ উপকৃত হচ্ছে কি না, সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে।
বুধবার (২০ মার্চ) নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বিআইডব্লিউটিএ অফিসার্স এসোসিয়েশনের নবনির্বাচিত কর্মকর্তাদের সাক্ষাতকালে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সমুদ্রগামী জাহাজে নাবিকদের বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগ আছে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
তিনি বলেন, বিআইডব্লিউটিএ’র টোটাল ডেভেলপমেন্ট ও চারিত্রিক কাঠামো অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তাদের উপর নির্ভর(ডিপেন্ড) করে। যেখানে উন্নয়ন কাজ (ডেভেলপমেন্ট ওয়ার্ক) হয়, সেখানে কিছু প্রশ্ন থাকতেই পারে। কাজটি সঠিকভাবে করছি কি না, সেটা হলো বড় বিষয়। সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে পথ দেখানো। সে পথে সবাই হাঁটবে।
খালিদ মাহমুদ আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু আপনার, আমার সবার। ৭৫- এর পর বঙ্গবন্ধুকে নিষিদ্ধ করেছিল। ৭৫- এর পর আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর হাল ধরেছে। একাত্তরের আগে দলমত নির্বিশেষে বঙ্গবন্ধু সবার ছিলেন।
তিনি বলেন, এগিয়ে যাওয়ার জন্য সাপোর্ট লাগে। আর সে সাপোর্টটি হলো বঙ্গবন্ধু। তিনি কীভাবে দেশ নিয়ে ভেবেছেন। সে বিষয়টি ধারণ করতে হবে। আমাদের মূল জায়গাটি হলো মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ। সে আদর্শকে ধারণ করে কাজ করুন।
আরও পড়ুন: পানগাঁও আইসিটিকে মুখ থুবড়ে পড়তে যাবে না: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
নদীতে সেতুর কম পিলার চান নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
৬২৪ দিন আগে
সন্দ্বীপে জেটি ও টার্মিনাল নির্মাণে বিআইডব্লিউটিএ ও ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের চুক্তি সই
চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে জেটি ও টার্মিনাল ভবন নির্মাণের লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) ঢাকায় হোটেল সোনারগাঁয়ে বিআইডব্লিউটিএ এবং ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ই-ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের মধ্যে একটি চুক্তি সই হয়েছে।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর উপস্থিতিতে চুক্তিপত্রে সই করেন বিআইডব্লিউটিএ'র তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক এ এস এম আশরাফুজ্জামান এবং ই-ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের পরিচালক তরফদার মো. রুহুল সাইফ।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, নতুন জেটি ও টার্মিনাল ভবনের মাধ্যমে সন্দ্বীপের মানুষের দীর্ঘদিনের দুঃখ-কষ্ট ঘুচে যাবে। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী নতুন এ জেটি নির্মাণ দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। এটি বাস্তবায়িত হলে এ অঞ্চলের অভূতপূর্ব পরিবর্তন আসবে। পর্যটন ও অর্থনীতিতে ব্যাপক গতি সঞ্চারিত হবে।
তিনি বলেন, সন্দ্বীপসহ বিভিন্ন চরাঞ্চলে ক্যাবলের মাধ্যমে নদীর তলদেশে দিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সহায়তায় সন্দ্বীপের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করা হচ্ছে। সন্দ্বীপে অর্থনৈতিক অঞ্চল হচ্ছে। সন্দ্বীপে ৭০০ মিটার দৈর্ঘ্যের জেটি আছে। সন্দ্বীপের মানুষের চাহিদা অনুযায়ী রাতে চলাচলের জন্য বিআইডব্লিউটিএ’র পক্ষ থেকে সন্দ্বীপ চ্যানেলে 'বয়া' বসানো হয়েছিল।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল, বিআইডব্লিউটিএ'র চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, ই-ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান তরফদার মো. রুহুল আমিন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরের জেটি ফাঁকা, আমদানি-রপ্তানিতে ভাটা
সন্দ্বীপ অংশে আরসিসি জেটি নির্মাণসহ আনুষঙ্গিক কাজটি করবে ই-ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড।
উল্লেখ্য, সরকার দেশের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলের যাত্রীদের সুষ্ঠু ও নিরাপদ চলাচল নিশ্চিতকরণ, নৌ-পর্যটন সুবিধাসহ আধুনিক ল্যান্ডিং সুবিধা দেওয়া, ক্রমবর্ধমান বাল্ক কার্গো এবং পণ্য ও মালামাল লোডিং-আনলোডিংয়ের লক্ষ্যে চট্টগ্রামের মিরসরাই ও সন্দ্বীপ, কক্সবাজারের সোনাদিয়া দ্বীপ ও টেকনাফ (সাবরাং ও জালিয়ার দ্বীপ) অংশের জেটিসহ আনুষঙ্গিক স্থাপনা নির্মাণের জন্য প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এসব কাজ বাস্তবায়ন করবে। ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। ওই প্রকল্পের চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ অংশে আরসিসি জেটি ও টার্মিনাল ভবনসহ আনুষঙ্গিক সুবিধা নির্মাণ করা হবে। সন্দ্বীপ অংশে আরসিসি জেটিসহ ও টার্মিনাল ভবনসহ আনুষঙ্গিক সুবিধা নির্মাণে ৩৫৬ কোটি টাকা ব্যয় হবে।
২০২৫ সালের জুনের মধ্যে আরসিসি জেটি ও টার্মিনাল ভবন এর পাশাপাশি বাউন্ডারি ওয়াল, পার্কিং ইয়ার্ড, তীররক্ষাসহ অন্যান্য কাজ সম্পন্ন হবে। ৩ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ৯ দশমিক ৫ মিটার প্রস্থ এর জেটি নির্মিত হবে।
সন্দ্বীপ অংশে জেটিসহ আনুষঙ্গিক সুবিধাদি নির্মাণের জন্য ২৫ দশমিক ৮৬ একর ভূমি অধিগ্রহণের সংস্থান রয়েছে। দোতলা বিশিষ্ট একটি টার্মিনাল ভবন নির্মাণ করা হবে। ভবনের প্রতিটি ফ্লোর হবে ২৭৭৭২ বর্গমিটারের। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৪ ডিসেম্বর ২০২২ চট্টগ্রামের মিরসরাই ও সন্দ্বীপ অংশের জেটিসহ আনুষঙ্গিক স্থাপনাদি নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বন্দরে সার্ভিস জেটির উদ্বোধন
জেটিঘাট মেরামত: সেন্টমার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ
৭১৪ দিন আগে
ঘূর্ণিঝড় হামুন: বরিশাল থেকে সব ধরনের লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা
উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় 'হামুন' ক্রমশ উপকূলের দিকে অগ্রসর হওয়ায় বরিশাল থেকে সব ধরনের লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগ, বরিশালের সহকারী পরিচালক রিয়াদ হোসেন।
তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষীপুর ও চাঁদপুর জেলা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপসমূহ ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। তবে বরিশাল নদীবন্দরে ২ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এদিকে, লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় বিভিন্ন রুটের যাত্রীদের নদীবন্দরে এসে ফিরে যেতে দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় 'হামুন' তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হচ্ছে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
ভোলার উদ্দেশে নদী বন্দরে আসা যাত্রী ফিরোজা বেগম বলেন, মেয়ের বাড়ি বেড়াতে এসেছিলাম। এখন বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিয়ে নদীবন্দরে এসে দেখি সব লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে আবার মেয়ের বাড়ি ফিরে যাচ্ছি।
আরেক যাত্রী রবিন বলেন, জরুরি কাজের জন্য মেহেন্দিগঞ্জের ভাষানচরে যাওয়ার উদ্দেশে নদী বন্দরে এসেছিলাম। কিন্তু ঘাটে এসে দেখি কোনো লঞ্চ যাবে না। এখন বাধ্য হয়ে সড়ক পথে যেতে হবে।
মেডিকেল কলেজের ছাত্র সাব্বির বলেন, বাড়ি যাওয়ার জন্য সহজে ছুটি মিলে না। অনেক কষ্ট করে আজ ছুটি নিয়ে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়েছিলাম। কিন্তু লঞ্চ ঘাটে এসে দেখি ঘূর্ণিঝড় হামুনের কারণে সব লঞ্চ বন্ধ রয়েছে। এ অবস্থা অনেকটা হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরে যেতে হচ্ছে।
৭৭২ দিন আগে
বিআইডব্লিউটিএ’র খননকৃত ১২টি নৌপথের অর্ধেক পরিত্যক্ত: এসসিআরএফ
শিপিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন রিপোর্টার্স ফোরামের (এসসিআরএফ) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উন্নয়নখাতের এক প্রকল্পের অধীনে খনন করা ১২টি নৌপথের অর্ধেকই ইতোমধ্যে পরিত্যক্ত হয়ে পড়েছে। প্রয়োজনীয় নাব্যতার অভাবে ওইসব নৌপথ যাত্রী ও পণ্যবাহী নৌযান চলাচল করতে পারছে না।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ প্রকাশ করা হয়।
৫০৮ কোটি ৪৬ লাখ টাকার প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ড্রেজিং বিভাগ।
প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য ছিল যাত্রী ও পণ্যবাহী জলযানসমূহের নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ৩১৬ লাখ ঘনমিটার ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে ১২টি নৌপথের নাব্যতা উন্নয়ন। প্রকল্পটি বাস্তবায়নকাল ছিল অক্টোবর ২০১১ থেকে জুন ২০১৫।
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রকল্প বাস্তবায়নকালে প্রয়োজনীয় খনন করা হয়নি। পরবর্তী সময়ে নিয়মিত পলি অপসারণের মাধ্যমে নাব্যতা বজায় রাখা হয়নি। ফলে অর্ধৈক নৌপথ পরিত্যক্ত হয়ে পড়েছে।
এসসিআরএফ জানায়, জুলাই ২০২১ থেকে জুন ২০২৩ পর্যন্ত দুই বছর পর্যবেক্ষণ চালিয়ে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। এ সময়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যগুলো বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এছাড়া নৌ পরিবহন বিশেষজ্ঞ, নৌযান মালিক ও শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মহলের সঙ্গে আলাপ করা হয়েছে।
তবে বিআইডব্লিউটিএ আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো তথ্য দেয়নি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
এসসিআরএফ জানায়, প্রয়োজনীয় তথ্য চেয়ে চিঠি দেয়া হলেও সংস্থাটির র ড্রেজিং বিভাগ দীর্ঘ দুই মাসেও চিঠির জবাব দেয়নি।
‘১২ নৌপথ খনন’ প্রকল্পের আওতায় থাকা নৌপথগুলো হলো- ঢাকা-তালতলা-ডহুরী-জাজিরা-মাদারীপুর, লাহারহাট-ভেদুরিয়া, সাহেবেরহাট-টুঙ্গীবাড়ী-লাহারহাট, সদরঘাট-বিরুলিয়া, পাটুরিয়া-বাঘাবাড়ী, ডেমরা-ঘোড়াশাল-পলাশ, ঢাকা-রামচর-মাদারীপুর, ঢাকা-শরীয়তপুর, চাঁদপুর-নন্দীর বাজার-শিকারপুর-হুলারহাট, হুলারহাট-চরচাপিল-গোপালগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ-দাউদকান্দি এবং ঢাকা-সুরেশ্বর-আঙ্গারিয়া-মাদারীপুর।
তবে এগুলোর মধ্যে সদরঘাট-বিরুলিয়া, ডেমরা-ঘোড়াশাল-পলাশ, হুলারহাট-চরচাপিল-গোপালগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জ-দাউদকান্দি নৌপথ কার্যত পরিত্যক্ত হয়ে পড়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
এছাড়া, নাব্যতা সংকটের কারণে আরো কয়েকটি নৌপথের শুরু থেকে শেষপর্যন্ত নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার ঘাটতির কারণে সঠিকভাবে নদী খনন ও নৌপথ সংরক্ষণ হচ্ছে না বলে উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে।
৮০০ দিন আগে