বাংলাদেশি নারী
কলকাতায় গেস্ট হাউজে আগুন, বাংলাদেশি নারীর মৃত্যু
ভারতের কলকাতার একটি গেস্ট হাউজে আগুন লেগে এক বাংলাদেশি নারী নিহত এবং আরও দুজন আহত হয়েছেন।
শনিবার ভোর ৪টায় শহরের মির্জা গালিব স্ট্রিটের গেস্ট হাউজের দ্বিতীয় তলায় রিসিপশন থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় এবং শিগগিরই তা আরও ১১টি কক্ষ ছড়িয়ে পড়ে।
নিহত নারী হলেন- শামিমাতুল বেগম (৬০)।
আরও পড়ুন: দিল্লির বস্তিতে আগুন লেগে ৭ জনের মৃত্যু
কলকাতা পুলিশের এক জ্যৈষ্ঠ কর্মকর্তা স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানান, ‘অগ্নিকাণ্ডের সময় গেস্টহাউসে ২৮ জন বাংলাদেশি নাগরিক অবস্থান করছিলেন। আগুনে বৃদ্ধ নারী মারা গেলেও অন্য দুই বাংলাদেশি নাগরিককে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’
কলকাতা ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মকর্তা জানান, ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে ১১টি কক্ষ সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে ১২ বাসে আগুন
এই কর্মকর্তা বলেন, ‘বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এ ভয়াবহ আগুনের সূত্রপাত বলে মনে হচ্ছে। তবে এ ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং দপ্তর থেকে গেস্টহাউসটির অগ্নি-নিরাপত্তা ক্লিয়ারেন্স ছিল কি না তাও পরীক্ষা করে দেখব।’
জাতিসংঘ অধিবেশনে একমঞ্চে ৩ বাংলাদেশি নারী
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে নারীদের ক্রমবর্ধমান নেতৃত্বের এক বিরল দৃষ্টান্ত নিয়ে হাজির হয়েছে বাংলাদেশ।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘে ১৭তম বারের মতো বাংলায় ভাষণ দেয়ার সময় জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ছিলেন রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। যিনি অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। রাবাব ফাতিমা প্রধানমন্ত্রীকে পরিচয় করিয়ে দেন এবং মঞ্চে আমন্ত্রণ জানান।
এছাড়া মোসাম্মৎ শাহানারা মনিকা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা। বর্তমানে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে কাউন্সেলর তৃতীয় নারী যিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বার্তা ইংরেজীভাষী বিশ্বের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন।
এর আগে এ বছর সেপ্টেম্বর মাস থেকে শুরু হওয়া এক বছরের জন্য ৭৬তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল থেকে সহ সভাপতি নির্বাচিত হয় বাংলাদেশ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসনিা তার ভাষণে করোনাকে একটি সাধারণ শত্রু হিসেবে আখ্যা দিয়ে বিশ্বনেতাদের সামনে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে নতুন, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও কার্যকর ধারণা সংবলিত ছয়টি প্রস্তাব তুলে ধরেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দুঃখজনক হলেও এই মহামারি আরও বেশ কিছুদিন স্থায়ী হবে বলে মনে হচ্ছে। সেজন্য এ অভিন্ন শত্রুকে মোকাবিলা করার জন্য অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন আমাদের অনেক বেশি নতুন, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বৈশ্বিক পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। এ বিষয়ে আমি কয়েকটি সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব তুলে ধরতে চাই।
তিনি বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, টেকসই এবং মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের মাধ্যমে সংকটের স্থায়ী সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে গঠনমূলকভাবে কাজ করতে হবে।
রাবাব ফাতিমা বলেন, ‘অধিবেশনে সভাপতিত্ব করা একটি বিশেষ সম্মানের বিষয়।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ি আলম সাধারণ পরিষদ হলে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শেখ হাসিনার ছয় প্রস্তাব
বাংলাদেশ ‘উন্নয়নের বিস্ময়’: বললেন জাতিসংঘের মহাসচিব