প্রত্যাবর্তন
ফিরোজার পথে খালেদা, জোবাইদার ১৭ বছর নির্বাসনের অবসান
বড় ছেলে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান ও প্রয়াত ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান সিঁথিকে নিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গুলশানের বাসার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
মঙ্গলবার (৬ মে) বেলা সোয়া ১১টার দিকে একটি গাড়িতে করে রওনা হন খালেদা জিয়া। এ সময় তাকে গাড়িটির সামনের সিটে বসে থাকতে দেখা যায়। পেছনের সিটে হাসিমুখে বসা ছিলেন তার দুই পুত্রবধূ।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, আজ (মঙ্গলবার) সকাল ১০টা ৪২ মিনিটে খালেদা জিয়া ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী কাতারের রাজপরিবারের বিশেষ বিমান (এয়ার অ্যাম্বুলেন্স) রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
এর মাধ্যমে লন্ডনে ১৭ বছর নির্বাসনের জীবন শেষে দেশে ফেরার সুযোগ হয়েছে জোবাইদা রহমানেরও।
এদিন বিমানবন্দরে খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি আশাপ্রকাশ করেন, খালেদা জিয়ার প্রত্যাবর্তন দেশের গণতন্ত্র উত্তরণের পথ সহজ করবে।
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া দীর্ঘকাল ফ্যাসিবাদের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ফ্যাসিবাদ বিদায় নেওয়ার পর কারাবন্দিত্ব মুক্ত হয়ে চিকিৎসার জন্য বিদেশে গিয়েছিলেন। সেখানে প্রায় ৪ মাস চিকিৎসা শেষে আজকে দেশে ফিরে আসছেন। এটা আমাদের জন্য, জাতির জন্য একটা আনন্দের দিন।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘গণতন্ত্র উত্তরণের এই সময়ে খালেদা জিয়ার উপস্থিতি একটি উল্লেখযোগ্য দিক। তার ফিরে আসা আমাদের গণতন্ত্র উত্তরণের পথ সহজ করবে। দেশকে সঠিক ও বৈষম্যহীন পথে নিয়ে যেতে সহায়তা করবে।’
সোমবার (৭ মে) স্থানীয় সময় ২টা ১০ মিনিটে লন্ডনে তারেক রহমানের বাসা থেকে বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা হন খালেদা জিয়া। এরপর বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে খালেদা জিয়াকে বহনকারী বিমানটি হিথ্রো বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
আজ (মঙ্গলবার) সকাল থেকে প্রিয় নেত্রীকে অর্ভ্যথনা জানাতে অবস্থান নিতে শুরু করেন বিএনপি ও দলটির অঙ্গসংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা।
খালেদা জিয়ার প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে দলীয় ও জাতীয় পতাকা নিয়ে এদিন ভোর থেকেই প্রায় ১০ কিলোমিটার পথের উভয় পাশে জড়ো হতে থাকেন বিএনপি নেতাকর্মীরা।
গত ৮ জানুয়ারি কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডন যান খালেদা জিয়া। সেখানে লন্ডন ক্লিনিক নামে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। লন্ডন ক্লিনিকে ১৭ দিন প্রখ্যাত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক প্যাট্রিক কেনেডি এবং অধ্যাপক জেনিফার ক্রসের তত্ত্বাবধায়নে ছিলেন তিনি।
তারপর তাকে তার ছেলে তারেক রহমানের বাসায় নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসা থেকে এতদিন চিকিৎসা নেওয়ার পর আজ দেশে ফিরলেন।
এদিকে খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের বাসভবন ‘ফিরোজা’কে পুরোপুরি প্রস্তুত করা হয়েছে বলে বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
খালেদা জিয়ার দেশে প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে তার বাসভবন ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদেরও মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে ফিরলেন খালেদা জিয়া, সঙ্গে দুই পুত্রবধূ
২১৩ দিন আগে
আরও একটি প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখে শীর্ষে ফিরল বার্সেলোনা
অসাধারণ পারফর্ম করেও ভাগ্যের ফেরে ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে দুর্দান্ত আতলেতিকো যখন জয়ের দিকে এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে, তার মাঝেই প্রায় অসম্ভবকে সম্ভবে পরিণত করে বার্সেলোনাকে পথ দেখালেন রবের্ট লেভানডোভস্কি। আর সেই পথে এগিয়ে গিয়েই দিয়েগো সিমিওনের রক্ষণাত্মক ফুটবল ভেঙেচুরে একাকার করে অবিশ্বাস্য এক জয় তুলে নিল বার্সেলোনা।
রিয়াদ এয়ার মেত্রোপলিতানোয় রবিবার রাতে লা লিগার ম্যাচটি ৪-২ গোলে জিতেছে হান্সি ফ্লিকের দল।
ম্যাচের ৪৫ ও ৭০তম মিনিটে আতলেতিকোকে ২-০ গোলের লিড এনে দেন হুলিয়ান আলভারেস ও আলেকজান্ডার সোরলথ। এর পরপরই আরও জ্বলে ওঠে বার্সেলোনা। ৭২তম মিনিটে সেই আক্রমণের সুর বেঁধে দেন লেভানডোভস্কি। এরপর ৭৮তম মিনিটে ফেররান তোরেস দলকে সমতায় ফেরানোর পর যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে বার্সাকে প্রথমবার এগিয়ে নেন লামিন ইয়ামাল। শেষ মুহূর্তে ফেররানের আরও এক গোলে জয় নিশ্চিত করে সফরকারীরা।
এই জয়ে ২৭ ম্যাচে ১৯ জয় ও তিন ড্রয়ে ৬০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে উঠল কাতালান দলটি। তাদের চেয়ে এক ম্যাচ বেশি খেলা রিয়াল মাদ্রিদের পয়েন্টও ৬০, তবে মুখোমুখি লড়াই ও গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থাকায় দ্বিতীয় স্থানে নেমে যেতে হয়েছে কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যদের।
অন্যদিকে, লিগে টানা দুই ম্যাচ হেরে শিরোপা জয়ের সম্ভাবনা অনেকটা ফিকে হয়ে গেছে আতলেতিকো মাদ্রিদের। রিয়ালের সমান ২৮ ম্যাচে দলটির সংগ্রহ ৫৬ পয়েন্ট। তবে ওসাসুনার বিপক্ষে নিজেদের বাকি থাকা ম্যাচটি জিতে দলটির সঙ্গে ব্যবধান ৭ পয়েন্ট এবং রিয়ালের সঙ্গে ৩ পয়েন্ট বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ থাকবে বার্সেলোনার।
আরও পড়ুন: প্রথমে গোল পেয়েও হেরে সুযোগ হাতছাড়া করল আতলেতিকো
লিগের মাঝামাঝি সময় থেকে বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদকে সমানে টক্কর দিয়ে এলেও মাত্র ১০ ম্যাচ বাকি থাকতে পরপর দুই ম্যাচ থেকে কোনো পয়েন্ট সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হলো দিয়েগো সিমিওনের শিষ্যরা। এছাড়া সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা চার ম্যাচ হারল দলটি। এর মধ্যে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর দুই লেগে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হেরে প্রতিযোগিতাটি থেকে ছিটকে গেছে তারা।
এখন কোপা দেল রের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে এই বার্সেলোনাকেই তাদের মাঠে ৪-৪ গোলে রুখে দিয়ে প্রতিযোগিতাটিতে এখনও নিজেদের ধরে রেখেছে আতলেতিকো। আর লা লিগায় নিভু নিভু করে জ্বলছে তাদের শিরোপাস্বপ্ন।
অপরদিকে, নতুন বছরে বার্সেলোনার অপরাজেয় যাত্রা অব্যাহত রইল। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে তা বেড়ে দাঁড়াল ১৮ ম্যাচে (১৫ জয়, ৩ ড্র)। এছাড়া চলতি মৌসুমে ঘরের মাঠে লিগের প্রথম ম্যাচে ২-১ গোলে হারের পর কোপা দেল রের সেমিফাইনালে ৪ গোল করেও ড্র করতে হয় ফ্লিকের শিষ্যদের; দুই ম্যাচ জয়বঞ্চিত থাকার পর আতলেতিকোর মাঠে এসে অবশেষে দলটির বিপক্ষে জয়ের দেখা পেল তারা।
শুধু তা-ই নয়, বার্সেলোনার দায়িত্ব নেওয়ার পর সিমিওনের দলের বিপক্ষে হান্সি ফ্লিকেরও প্রথম জয় এটি।
শনিবার রাতে শুরুতে পিছিয়ে পড়েও কিলিয়ান এমবাপ্পের জোড়া গোলে ভিয়ারিয়ালকে ২-১ গোলে হারিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।
আরও পড়ুন: ২৭ সেকেন্ডের গোলে ম্যাচ জিতেও টাইব্রেকারে আতলেতিকোর হার, কোয়ার্টারে রিয়াল
আতলেতিকো-বার্সা ম্যাচের মধ্যে দিয়ে দুই সপ্তাহের আন্তর্জাতিক বিরতিতে গেল লা লিগা। আগামী ৩০ মার্চ আরেক কাতালান দল জিরোনার বিপক্ষে লা লিগার ম্যাচ দিয়ে মাঠে ফিরবে বার্সেলোনা। তার এক দিন আগে আরও এক কাতালান ক্লাব এস্পানিওলের মুখোমুখি হবে আতলেতিকো মাদ্রিদ।
এরপর আগামী ২ এপ্রিল একই ভেন্যুতে কোপা দেল রের সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে মাঠে নামবে এই দুই দল।
২৬৩ দিন আগে
লেবাননে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের প্রত্যাবর্তনে দুই মন্ত্রণালয় কাজ করছে: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
লেবাননে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের প্রত্যাবর্তনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় একসঙ্গে কাজ করছে।
এরইমধ্যে পররাষ্ট্র সচিব, বৈদেশিক কর্মসংস্থান সচিব ও বাংলাদেশ বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের অংশগ্রহণে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে সহায়তা দেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
সভায় জুম প্ল্যাটফর্মে মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশের মিশন প্রধানরা যুক্ত ছিলেন।
বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, লেবাননে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের নিরাপদে প্রত্যাবর্তনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পররাষ্ট্র সচিব লেবাননে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে নির্দেশনা দিয়েছেন। লেবাননে অবস্থানরত যেসব বাংলাদেশি দেশে আসতে ইচ্ছুক নন তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণেও প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন। এরইমধ্যে দূতাবাস থেকে ফিরে আসতে ইচ্ছুক বাংলাদেশিদের তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে প্রায় এক হাজার অভিবাসীকর্মী প্রত্যাবাসনে ইচ্ছুক।
লেবানন থেকে প্রত্যাবাসনে ইচ্ছুক সব বাংলাদেশিকে নিরাপদে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে সরকার সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে কাজ করছে।
আরও পড়ুন: সহিংসতায় নিহতদের স্মরণে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে শোক পালিত
খুবই গুরুত্বপূর্ণ এই সফরে দুই পক্ষেরই প্রত্যাশা অনেক: ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
৪২১ দিন আগে
রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনে মিয়ানমারের ওপর চাপ দিতে বিশ্ব নেতাদের প্রতি প্রতিমন্ত্রীর আহ্বান
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টির লক্ষ্যে বিশ্ব জনমত গঠনে এগিয়ে আসতে বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।
তিনি বলেছেন, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রতিবছর হাজার হাজার নতুন শিশু জন্ম নিচ্ছে, এতে প্রতিবছরই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। মিয়ানমার যেহেতু এ সমস্যা সৃষ্টি করেছে, তাই তাদেরকেই এ সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসতে হবে।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রতিমন্ত্রীর অফিসকক্ষে তার সঙ্গে মিয়ানমার বিষয়ক জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ দূত নোয়েলিন হেজার সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাতকালে বলপূর্বক ব্যস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিক রোহিঙ্গাদের বিষয়ে আলোচনার সময় প্রতিমন্ত্রী এ আহ্বান জানান। আলোচনায় ব্যস্তুচ্যুত এ সকল মিয়ানমার নাগরিককে সহায়তা দানে বাংলাদেশ সরকার বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর মানবীয় পদক্ষেপের প্রশংসা করা হয়। কক্সবাজারের ক্যাম্পসমূহে এ সকল নাগরিকদের আহার, সুপেয় পানি, চিকিৎসা, শিক্ষা, পয়ঃনিস্কাশন ইত্যাদি বিষয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা: মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের সমর্থনে আইনি পদক্ষেপ
প্রতিমন্ত্রী মিয়ানমারের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত নাগরিক রোহিঙ্গাদের তাঁদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী তাঁদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনের পর যাতে হাতে-কলমে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতে পারে সে লক্ষ্যে তাদেরকে কারিগরি ও অন্যান্য বিষয়ে লেখাপড়ার ওপর গুরুত্ব দিয়ে সরকার কাজ করছে।
জাতিসংঘের বিশেষ দুত বলেন, বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকরা যেন মর্যাদাপূর্ণ ও নিরাপদে নাগরিক অধিকারসহ তাঁদের নিজ দেশে ফেরত যেতে পারেন সেলক্ষ্যে আসিয়ানসহ তাঁরা কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশে আসার আগে তিনি মিয়ানমার ভ্রমণ করেন এবং এ সকল নাগরিকদের ফেরত নেয়ার জন্য মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ব্যস্তুচ্যুত এ সকল মিয়ানমার নাগরিকরা যেন যথাযথ যাচাইকরণের মাধ্যমে তাঁদের নিজ দেশে ফেরত যেতে পারেন সেলক্ষ্যে অবশ্যই সর্ব্বোচ্চ চেষ্ঠা চালিয়ে যেতে হবে। তাঁর এ সফরের মাধ্যমে বিশ্ব সম্প্রদায়কে সঠিক তথ্য প্রদান এবং দৃষ্টি আকর্ষণের মাধ্যেমে সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবেন মর্মে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এ সময় মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:রোহিঙ্গাদের স্বদেশে মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
দ্রুত টেকসই প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র সমাধান: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
১১৯৭ দিন আগে
রোহিঙ্গাদের স্বদেশে মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনের জন্য একটি উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে রাখাইন রাজ্যে কাজ করতে দেয়া উচিত মিয়ানমারের।
তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারের উচিত আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে রাখাইন রাজ্যে কাজ করার অনুমতি দেয়া।’
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিমের প্রেস ব্রিফিং অনুসারে মিয়ানমারের জন্য জাতিসংঘের বিশেষ দূত নোলিন হাইজার বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে দেখা করার সময় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব বলেন,‘আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে এটি নিয়ে আলোচনা করেছি। কিন্তু এখনও কোনো সাড়া পাইনি। আমরা এর সমাধান চাই। আমরা কতদিন এত লোককে আতিথ্য করতে পারি?’
তিনি বলেন, কিছু রোহিঙ্গা মাদক, মানব পাচার ও অন্যান্য সামাজিক সমস্যার সঙ্গে জড়িত।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা বিশ্বব্যাংকের
এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন, ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে বাংলাদেশ পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার শরণার্থীদের ভারত থেকে ফিরিয়ে এনেছে।
জাতিসংঘের বিশেষ দূত বলেন, তিনি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন এবং রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, এখন মিয়ানমারে তাদের মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনের উপযোগী পরিবেশ তৈরি করা অপরিহার্য।
তিনি বলেন, জাতিসংঘের সংস্থা ও এনজিওসহ সবাই ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের জন্য কাজ করছে।
রোহিঙ্গা ব্যবস্থাপনার জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করে জাতিসংঘের দূত বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যু মোকাবিলায় ঢাকার অনেক সমর্থন প্রয়োজন।
হেইজার বলেন, তিনি মিয়ানমার সফর করেছেন এবং রোহিঙ্গা সঙ্কটের সমাধান খুঁজতে দেশটির সামরিক সরকারকে বলেছেন।
তিনি রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আসিয়ান-বাংলাদেশ উদ্যোগের আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, আসিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ফোরামে রোহিঙ্গা ইস্যুটি একটি এজেন্ডা হওয়া উচিত।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জনগণের কল্যাণে কাজ করুন: সরকারি কর্মকর্তাদের প্রধানমন্ত্রী
১১৯৭ দিন আগে
‘বয়স হলো আমার’ দিয়ে ‘বেসবাবা’ সুমনের প্রত্যাবর্তন
জনপ্রিয় বাংলাদেশি গায়ক, গীতিকার, সঙ্গীতজ্ঞ এবং রক ব্যান্ড 'অর্থহীন' এর ফ্রন্টম্যান সাইদুস সালেহীন খালেদ, যিনি 'বেসবাবা' সুমন নামেই বেশি পরিচিত, তার নতুন একক ‘বয়স হলো আমার’ দিয়ে সঙ্গীতে আবারও একটি গৌরবময় প্রত্যাবর্তন করেছেন। বৃহস্পতিবার রাতে তার ইউটিউবে চ্যানেল মুক্তি পায় গানটি।
থাইল্যান্ড এবং দুবাইয়ে দীর্ঘ পাঁচ মাস ধরে দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা গ্রহণ শেষে ‘সুখ একটি পছন্দ এবং জীবন সুন্দর’ এই স্লোগানে এই গানটি নিয়ে ফিরে আসেন তিনি।
বেসবাবা সুমনের লেখা ও সুরে, গানটিতে একক গিটারবাদক এবং সংগীত প্রযোজক হিসেবে রয়েছেন গিটারবাদক মহান ফাহিম। সুমনের ছেলে আহনাফ সালেহীনও তার শিসের সুরে গানটিতে অংশ নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: অর্থহীন ব্যান্ডের সুমন ও তার ছেলে করোনায় আক্রান্ত
গানটি এবং এর পেছনের আবেগময় যাত্রা বর্ণনা করে সুমন বুধবার তাঁর অফিসিয়াল ফেসবুক প্রোফাইলে লিখেছেন-‘গানটিতে কোন একক বেইস সোলো নেই, কোনো ভয়ংকর লিড নেই। মহানের খুব সুন্দর বাজানো অ্যাকোস্টিক গীটারের উপর নির্ভর একটি গান এটি।এটি আমার ধীরে ধীরে বয়স বেড়ে যাবার গান, এটি আমার গত দুই বছরের প্রায় পঙ্গু হয়ে বিছানায় পরে থাকার গান,এটি আমার অন্ধকারে ডুবে যাবার গান, এটি আমার রাতের পর রাত প্রচন্ড ব্যাথায় চিৎকার করার গান, পরিশেষে…এটি আমার সব বাঁধা অতিক্রম করে আলোয় ফিরে আসার গান। ‘হঠাৎ দেখি, এ জীবনটা যে নতুন গানে, মুচকি হাসে…মুচকি হাসে’।
সুমনের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ ‘বেসবাবা সুমন’ এবং ইউটিউব চ্যানেল ‘বেসবাবা সুমন অ্যান্ড অর্থহীন’ -এ মুক্তি পেয়েছে, ‘বয়স আমার হলো’। গানটির মিউজিক ভিডিও শুট করা হয়েছে বান্দরবানে।
মিউজিক ভিডিওটি সুমন নিজেই পরিচালনা করেছেন, আর বান্দরবানের সুরম্য ও নির্মল প্রকৃতির সিনেমাটোগ্রাফি করেছেন আরেক জনপ্রিয় রক ব্যান্ড ‘বে অব বেঙ্গল’ এর ভোকাল বখতিয়ার হোসাইন।
সুমন চিকিৎসার জন্য ১১ মার্চ ব্যাংককে যান এবং তাকে সমিতিজ সুখুমভিত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর জার্মানিতে মেরুদণ্ডের অস্ত্রোপচার করার কথা ছিল। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে তিনি ভ্রমণ করতে পারেননি।
তিনি গত বছর সেপ্টেম্বরে ছেলে আহনাফের সাথে করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছিলেন।
২০১১ সালে তাঁর পাকস্থলীর ক্যান্সার ধরা পড়ে। দীর্ঘ যুদ্ধের পর তিনি ২০১৩ সালে ক্যান্সার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। তবে, কয়েক বছর ধরে তাকে বিদেশে একাধিক অপারেশন এবং চেক-আপের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে।
আরও পড়ুন: মানসপটে সালমান শাহ ও কিছু বাংলা সিনেমার কিংবদন্তি বনে যাওয়া
২০১৭ সালে ব্যাংককে একটি সড়ক দুর্ঘটনায় মেরুদণ্ডে ব্যাপক আঘাত পান সুমন। তাঁর সর্বশেষ উপস্থিতি ছিল ২০২০ সালে জয় বাংলা কনসার্টে।
‘বয়স হলো আমার’ এর পর, তিনি নতুন একক বাদ দেবেন এবং আগামী মাসে অর্থহীনের প্রত্যাবর্তন ট্র্যাকটি সম্পূর্ণ করবেন।
১৫৩১ দিন আগে