কয়েদির মৃত্যু
দিনাজপুরে কারাগারে কয়েদির মৃত্যু
দিনাজপুরের জেলা কারাগারে তিন মামলায় অন্তরীণ শামসুল হক মণ্ডল নামে একজন কয়েদির মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (১৬ জুলাই) সকালে এ ঘটনা ঘটে।
শামসুল হক মণ্ডল (৪৭) রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বন্দরপাড়া গ্রামের মোকাম মণ্ডলের ছেলে।
জেল সুপার মোকাম্মেল হোসাইন জানান, গত বছরের ১৮ জুন থেকে তিন মামলায় দিনাজপুরের জেলা কারাগারে রয়েছে বন্দি ছিলেন শামসুল হক মণ্ডল। ৪০২ ধারায় তার ৫ বছরের সাজা ছিল। ওই মামলায় গত ২৬ জুন জামিনে মুক্তির আদেশ পেয়েছিলেন। কিন্তু দ্রুত বিচার আইনে আরেক মামলায় ২ বছরের সাজা কার্যকর থাকার পাশাপাশি আরেকটি মামলা বিচারাধীন ছিল তার বিরুদ্ধে। এ কারণে তাকে কারাগার থেকে ছাড় পাননি তিনি।
আরও পড়ুন: টোলপ্লাজায় ৬ জনের মৃত্যু: দেড় কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে রুল
আজ (বুধবার) ভোরে ফজরের নামাজের সময় সে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাকে তাৎক্ষণিক কারা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ গ্রহণ করতে পরিবারের কাছে খবর পাঠানো হয়েছে।
১৪২ দিন আগে
নরসিংদী কারাগারে কয়েদির মৃত্যু, ‘হত্যার’ অভিযোগ স্বজনদের
নরসিংদী জেলা কারাগারে রোকন মিয়া (৩৫) নামে এক কয়েদির মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাতে তাকে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তবে স্বজনদের দাবি, তাকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে মৃত্যু হলেও ১৩ ঘণ্টা পর আজ (বুধবার) সকাল ১০টায় নিহতের স্বজনদের জানায় কারা কর্তৃপক্ষ।
এদিকে খবর পেয়ে স্বজনরা নরসিংদী জেলা হাসপাতালে ভিড় করতে থাকেন। নিহত রোকন মিয়া নরসিংদী সদর উপজেলার নজরপুর ইউনিয়নের মোহাম্মদ আলীর ছেলে বলে জানা গেছে।
এদিকে স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, গতকাল (মঙ্গলবার) রাত ৯টায় রোকন মারা গেছে। অথচ পরিবারকে জানানো হয়েছে আজ (বুধবার) সকাল ১০টায়। সে অসুস্থ হয়ে পড়ে অথচ স্বজনদের জানানো হয়নি। মৃত্যুর ১৩ ঘণ্টা পর স্বজনদের জানানোর কারণ জিজ্ঞেস করলে কারা কর্তৃপক্ষ বলে—তাদের ভুল হয়েছে। স্বজনদের দাবি, তাকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে।
নরসিংদী জেলা কারাগারের জেল সুপার মো. শামীম ইকবাল বলেন, ‘২০২৩ সালের একটি মাদক মামলায় তিনি কারাগারে ছিলেন। মঙ্গলবার রাতে ওই কয়েদি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্ত্যবরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
আরও পড়ুন: চিন্ময় দাসের জামিন স্থগিত
তিনি আরও বলেন, ‘ডায়বেটিকস বা মাদকাসক্তের কোনো কারণে তার মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। বিস্তারিত ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে। কারা হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনা শুনার পর তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে সকাল ১০টায় তার পরিবারকে জানানো হয়েছে। এছাড়া নিহতের স্বজনরা অভিযোগ করতেই পারে। কারাগারে এতোগুলো মানুষ থাকে, এখানে কাউকে মেরে ফেলার ঘটনা কারাগারের ইতিহাসে কোনো দিনই ছিল না। এটা মানুষের একটি ভ্রান্ত ধারণা।
নরসিংদীর জেলার সহকারী কমিশনার ও ম্যাজিস্ট্রেট রাফিউর রহমান বলেন, ‘হাসপাতালের রিপোর্টে পরিষ্কার বলা আছে তাকে যখন হাসপাতালে আনা হয় সে মৃত ছিল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রাতে তাকে মৃত অবস্থায় রিসিভ করেছে। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে।’
তিনি বলেন, ‘লাশ ময়না তদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের লাশ তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’
২১৯ দিন আগে
রংপুর কারাগারে কয়েদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলা, ২ কারারক্ষী বরখাস্ত
রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে বাহারাম বাদশা নামে একজন কয়েদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বিদ্রোহ করেছেন অন্য কয়েদিরা। শুক্রবার (১৬ আগস্ট) বেলা পৌনে ১১টায় ঘটনাটি ঘটে।
বাহারাম পীরগঞ্জ উপজেলার বকেরবাড়ি এলাকার বাহাদুর মিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুন: জামালপুর কারাগারে সংঘর্ষে ৬ বন্দি নিহত
কারা সূত্র জানায়, শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি বাহারাম ও রফিকুলের মধ্যে গাছ থেকে আমড়া পাড়া নিয়ে মারামারি হয়। একপর্যায়ে বাহারাম গুরুতর আহত হলে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে বাহারামের মৃত্যুর খবর কারাগারে ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজনা দেখা দেয়। এসময় বাহারামের অপর তিন ভাইসহ অন্য কয়েদিরা বিক্ষোভ শুরু করে কারা ফটকে অবস্থান নেন। একপর্যায়ে রফিকুলের পক্ষের কয়েদিদের সঙ্গে বাহারামের ভাইসহ তাদের পক্ষের কয়েদিদের হাতাহাতি শুরু হয়। বাহারুলের মৃত্যুকে ইস্যু করে কারাগারের ভেতরে বিশৃঙ্খলার সুযোগ নেয় কয়েদিরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রথমে কারারক্ষীদের সঙ্গে কয়েদিদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া শুরু হয়। পরে পুলিশ ও সেনা সদস্যরা পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ঘটনায় রংপুর জেলা প্রশাসক মোবাশ্বের হাসান ও ৬৬ পদাধিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা কারাগারের ভেতরে ছুটে যান।
রংপুর জেলা প্রশাসক মোবাশ্বের হাসান বলেন, ‘এ ঘটনায় দুই কারারক্ষীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তারা হলেন- শাহজাহান ও মোতালেব।’
এছাড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান রংপুর জেলা প্রশাসক।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জ জেলা কারাগারে হাজতির ‘আত্মহত্যা’
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে কয়েদিদের বিদ্রোহ, ব্যাপক গোলাগুলি
৪৭৫ দিন আগে
সিরাজগঞ্জ কারাগারে কয়েদির মৃত্যু
সিরাজগঞ্জ জেলা কারাগারে ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এক কয়েদির মৃত্যু হয়ে বলে জানান জেল কৃর্তপক্ষ।
সোমবার ভোর ৬টায় সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
মৃত আব্দুল মমিন (৩৮) সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার পার পাঁচিল গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে।
আরও পড়ুন: কাশিমপুর কারাগারে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদির মৃত্যু
সিরাজগঞ্জ জেলা কারাগারের দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলার আব্দুল বারেক জানান, আব্দুল মমিন ২০১৬ সালে সংঘবদ্ধ এক ধর্ষণ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে ছিলেন। রবিবার (২৪ অক্টোবর) রাত ১১টার দিকে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে রাতেই তাকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার ভোর ৬টার দিকে তিনি মার যান।
আরও পড়ুন: নাটোরে কারাগারে হাজতির মৃত্যু
ময়নাতদন্ত শেষে তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
১৫০২ দিন আগে