রেস্টুরেন্টে
ঢাকার বেইলি রোডের ক্যাপিটাল সিরাজ টাওয়ারের আগুন সম্পূর্ণ নেভানো হয়েছে
রাজধানীর বেইলি রোডের ক্যাপিটাল সিরাজ টাওয়ারের বেজমেন্টে লাগা আগুন সম্পূর্ণ নেভানো হয়েছে। সোমবার (৫ মে) সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে এই আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট ৭টা ৪৭ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। পরে রাত ৮টা ৩৮ মিনিটে আগুন সম্পূর্ণরুপে নির্বাপন করে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা উপসহকারী পরিচালক শাহজাহান শিকদার।
তিনি জানান, সন্ধ্যা ৬টা ৪৭ মিনিটে বেইলি রোডের একটি ভবনের বেজমেন্টে আগুন লাগার খবর পাই। ঘটনাস্থলে আমাদের প্রথম ইউনিট ৬টা ৫৮ মিনিটে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেছে। পরে মোট ৯টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।
আগুন হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। ভবটির ছাদসহ অন্যান্য জায়গা থেকে এখন পর্যন্ত ১৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
আরও পড়ুন: নিয়ন্ত্রণে এসেছে পুরানা পল্টনের বহুতল ভবনের আগুন
এর আগে গত বছরের ২৯ ফেব্রুয়ারি বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই নামের একটি রেস্টুরেন্টে আগুন লেগেছিল। আগুনে ছয়তলা ভবনটির বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। কারণ, ভবনটিতে রেস্টুরেন্ট ছাড়াও স্যামসাংয়ের শোরুম, গ্যাজেট অ্যান্ড গিয়ার, ইলিন, খানাস ও পিৎজা ইন ব্যবসা পরিচালনা করেছিল। সেসময় এই এলাকার ভবনের বাণিজ্যিক ব্যবহার নিয়ে বেশ সমালোচনার জন্ম দিয়েছিল।
২১৪ দিন আগে
সিলেটে রেস্টুরেন্ট মালিকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার
প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতাদের আশ্বাসে সিলেটে ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিয়েছেন রেস্টুরেন্ট মালিক শ্রমিকরা। মঙ্গলবার রাতে তারা ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেয়ার ঘোষণা দেন।
এর আগে সিলেটের তিনটি রেস্টুরেন্টে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকালে সিলেট জেলার সব রেস্টুরেন্টে ধর্মঘটের ঘোষণা দেয়া হয়। ধর্মঘটের কারণে বুধবার সকাল থেকে জেলার সকল রেস্টুরেন্ট অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে বলেও জানিয়েছিলেন রেস্টুরেন্ট মালিকরা।
ধর্মঘট আহ্বানের পর রাতে সিলেটের প্রশাসনের কর্মকতারা কথা বলেন রেস্টুরেন্ট মালিকদের সাথে। আওয়ামী লীগ নেতাদের পক্ষ থেকেও তাদের সাথে যোগাযোগ করা হয়। এসময় প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দিলে ধর্মঘট থেকে সরে আসেন রেস্টুরেন্ট মালিকরা।
এ ব্যাপারে রেস্টুরেন্ট মালিকদের সংগঠন সিলেট ক্যাটারার্স ওনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি শান্ত দেব বলেন, প্রশাসন ও আওয়ামী লীগ নেতারা আশ্বস্ত করেছেন রেস্টুরেন্ট মালিকদের কোনভাবেই আর হয়রানি করা হবে না। যেসব দাবিতে ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়েছিল, সেগুলো মেনে নেয়ারও আশ্বাস দিয়েছেন তারা। তাই কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়েছে। বুধবার সকাল থেকে পূর্বের ন্যায় সকল রেস্টুরেন্ট খুলেছে।
পড়ুন: সিলেটের সব রেস্টুরেন্ট বন্ধের ঘোষণা
তবে বিকালে ধর্মঘট আহ্বানের পর মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকেই বন্ধ ছিলে সিলেটের বেশিরভাগ রেস্টুরেন্ট। এতে দুর্ভোগে পড়েন নগরবাসী।
মঙ্গলবার দুপুরে নগরের জিন্দাবাজার এলাকার ভোজনবাড়ি রেস্টুরেন্টে অভিযান চালায় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানকালে পঁচাবাসি খাবার পরিবেশন, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ এবং ব্যবসা পরিচালনার লাইসেন্স না থাকার দায়ে রেস্টুরেন্টটি সিলগালা করা হয়। এসময় রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার ও সুপারভাইজারকে আটক করে নিয়ে যায় র্যাব।
এরপর অভিযান চালানো হয় একই এলাকার পানসী ও পাঁচভাই রেস্টুরেন্টে। পচাবাসি খাবার পরিবেশন ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের দায়ে রেস্টুরেন্ট দুটিকে ৮০ হাজার টাকা করে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এর প্রতিবাদে বিকেল ৫টায় নগরীর জিন্দাবাজার পয়েন্টে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন রেস্টুরেন্ট মালিক ও কর্মচারীরা। এসময় অভিযান বন্ধ, সিলগালাকৃত রেস্টুরেন্ট খুলে দেয়া ও আটক কর্মচারীদের মুক্তির দাবিতে বুধবার থেকে ধর্মঘটের ডাক দেন রেস্টুরেন্ট মালিক ও শ্রমিকরা। এছাড়া বুধবার দুপুর ১২টায় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি ও প্রতিবাদ সমাবেশেরও ডাক দেয়া হয়। তবে প্রশাসনের আশ্বাসে ধর্মঘটের পাশাপাশি প্রতিবাদ সমাবেশও প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে।
পড়ুন: সিলেটে নবজাতকের গলিত লাশ উদ্ধার
১৪৯৩ দিন আগে