গণঅধিকার পরিষদ
হামলায় নূরের শর্ট টাইম মেমোরি লস হয়েছে: রাশেদ খান
রাজধানীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের স্বল্পমেয়াদী স্মৃতিশক্তি হ্রাস (শর্ট টাইম মেমরি লস) হয়েছে বলে দাবি করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢামেক হাসপাতালে নুরের শারীরিক অবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
রাশেদ খান বলেন, ছোটখাটো অনেক বিষয় ভুলে যাচ্ছেন নুর। তার নাক দিয়ে এখনও রক্ত ঝরছে। সরকার থেকে বিদেশে নিয়ে সুচিকিৎসার আশ্বাস দেওয়া হলেও সরকারের একটি মহল চায় না নুরের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হোক।
এ সময় তিনি অভিযোগ করেন, সরকারের অবহেলা ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে নুরের শারীরিক অবস্থা আরও জটিল হতে পারে।
অন্য দিকে শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গণঅধিকার পরিষদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই বলেও দাবি করেন রাশেদ খান।
তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় আমাদের নেতাকর্মীদের নাম জড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
৮৯ দিন আগে
জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে ফের হামলা, অগ্নিসংযোগ
কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ফের হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে ঢুকে আগুন ধরিয়ে দেয়।
এর আগে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা তাদের সভাপতি নুরুল হক নুরের ওপর হামলার প্রতিবাদে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগসহ তিন দফা দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন।
সমাবেশ শেষে তারা গণঅধিকার পরিষদের পল্টন কার্যালয়ে ফিরে যান। এর অল্প সময় পরেই জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে এ হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে এবং আগুন নেভানোর চেষ্টা চালায়।
ফায়ার সার্ভিস কন্ট্রোল রুম থেকে জানানো হয়, রাত সাড়ে ৭টার দিকে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
পড়ুন: মৌচাকে লড়ির ধাক্কায় শিশুসহ ৫ জন আহত
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য রেজাউল করিম সাংবাদিকদের বলেন, শাহবাগে যারা সমাবেশ করেছে, তারাই এ ঘটনার জন্য দায়ী।
তিনি অভিযোগ করেন, সরকার নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। জাতীয় পার্টি বাংলাদেশে ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।
এর আগে গত ৩০ আগস্ট একই কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগ চালানো হয়েছিল।
৯০ দিন আগে
হত্যার উদ্দেশ্যেই নুরকে আঘাত করা হয়: মির্জা ফখরুল
আঘাত যারাই করুক, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরকে হত্যার উদ্দেশ্যেই আঘাত করা হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নুরকে দেখতে গিয়ে মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যে বিষয়টি আমার সবচেয়ে খারাপ লেগেছে তা হলো, যারাই আঘাত করুক, নুরুল হক নুরকে হত্যার উদ্দেশ্যেই যে আঘাত করা হয়েছিল, তা পরিষ্কার।’
নুরের শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে অনেক ভালো, কিন্তু এখনো আশঙ্কা কাটেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তার (নুর) যে জায়গাগুলোতে ইনজুরি হয়েছে, সেই জায়গাগুলো খুব ফ্যাটাল (মারাত্মক)। তার ব্রেনেও (মস্তিষ্কে) ইনজুরি হয়েছে, ব্লিডিং (রক্তপাত) হয়েছে।’
‘চিকিৎসকদের সঙ্গে আলাপ করে জানতে পেরেছি, এখানে চিকিৎসার কোনো ত্রুটি হয়নি; সব ঠিকঠাক আছে। এখানে কিছুদিন রেস্ট (বিশ্রাম) নেওয়ার পরে বাইরে ইভ্যালুয়েশনের (মূল্যায়নের) দরকার। সে এখনো খেতে পারছে না, পাইপ দিয়ে লিকুইড খেতে হচ্ছে। তার রিকভারি হতে সময় লাগছে।’
আরও পড়ুন: ক্ষমতায় গেলে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিবর্তন আনবে বিএনপি: মির্জা ফখরুল
নুরের শারীরিক অবস্থা মূল্যায়ন ও পর্যবেক্ষণের জন্য প্রয়োজনে তাকে দেশের বাইরে পাঠানো দরকার বলেও মনে করেন এই রাজনীতিক।
তিনি আরও বলেন, অভ্যুত্থানের পরও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো যদি আমাদের নেতাদের ওপর এভাবে আক্রমণ করে, তাহলে সাধারণ মানুষকে কী করছে চিন্তা করুন। এটা আমি কোনোমতেই মেনে নিতে পারি না। প্রধান উপদেষ্টা যে বিচার বিভাগীয় তদন্ত দিয়েছেন, সেটা দ্রুত শেষ করে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। আমি সরকারের কাছে বলি, তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে পাঠানো উচিত।
৯৩ দিন আগে
হামলার পুনরাবৃত্তি রোধে গণতন্ত্রের রূপান্তর দ্রুত শেষ করব: মঈন খান
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূরের ওপর হামলার পুনরাবৃত্তি চান না বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. আব্দুল মঈন খান।
শনিবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন নুরুল হকের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন তিনি।
এ সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘২০২৪ সালের আগস্ট থেকে গণতন্ত্রের যে রূপান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, সেটি অতি শিগগিরই শেষ করব, যাতে নূরের ওপর যে অত্যাচার হয়েছে, আর কোনোদিন বাংলাদেশে তার পুনরাবৃত্তি না ঘটে।’
ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে নুরুল হক নূরের সক্রিয় ভূমিকার কথা উল্লেখ করে মঈন খান বলেন, ‘কেন তাকে এ পরিণতিতে আসতে হলো তা ভেবে দেখতে হবে। এমন নির্মম নির্যাতন বাংলাদেশের কোনো মানুষ মেনে নিতে পারে না।’
এ সময় নির্বাচন প্রসঙ্গ তুলে ধরে মঈন খান বলেন, ‘সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া কার্যকর করার একমাত্র উপায়। জনগণের ভোটের মাধ্যমে যারা নির্বাচিত হবে তারাই দেশ পরিচালনা করবে।’
আরও পড়ুন: নুরের ওপর হামলার প্রতিবাদে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অবরোধ
তিনি আরও বলেন, ‘গণতন্ত্র প্রক্রিয়া ফিরিয়ে আনতে বিএনপি আন্দোলন চালিয়ে যাবে। এখানে শান্তিপূর্ণ, নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে সবার মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থাকতে হবে। গায়ের জোরে কারো মুখ বন্ধ করা যাবে না।’
বিএনপির শান্তিপূর্ণ রাজনীতির প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে আব্দুল মঈন খান বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ রাজনীতিতে বিশ্বাস করি, অশান্তির রাজনীতিতে নয়।’
এ সময় বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
৯৬ দিন আগে
নুরের ওপর হামলায় ইউটিএলের নিন্দা
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরসহ দলটির নেতাকর্মীদের ওপর নৃশংস হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স লিংক (ইউটিএল)।
শনিবার (৩০ আগস্ট) ইউটিএলের প্রচার দলের সদস্য ড. মুহাম্মদ শামসুজ্জামানের সই করা বিবৃতিতে এ নিন্দা জানিয়েছে সংগঠনটি।
বিবৃতিতে বলা হয়, নুরুল হক নুরের ওপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অংশগ্রহণে এ ধরনের হামলা শুধু একটি রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে নয়, বরং এটি দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলন, মত প্রকাশের অধিকার এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনার ওপর আঘাত। এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং দীর্ঘদিনের কর্তৃত্ববাদী শক্তির সহযোগীদের রক্ষার জন্য পরিকল্পিত হামলা। আওয়ামী ফ্যাসিবাদী শাসনের সময় যে গুম, খুন, নির্যাতন, ভোটাধিকার হরণের সংস্কৃতি চালু হয়েছিল, সেই ধারাবাহিকতায় এই আক্রমণ বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের জন্য অশনি সংকেত।
আরও পড়ুন: নুরের ওপর হামলার ঘটনায় তারেক রহমানের নিন্দা, তদন্তের আহ্বান
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে হামলাকারী ও দায়ীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে আহতদের যথাযথ চিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশের সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
৯৬ দিন আগে
নুরের ওপর হামলার ঘটনায় তারেক রহমানের নিন্দা, তদন্তের আহ্বান
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের ওপর হামলা এবং কাকরাইলে সংঘটিত সহিংস ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। একই সঙ্গে নুরের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে ঘটনা তদন্তে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
শনিবার (৩০ আগস্ট) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি বলেন, ‘বিএনপি নুরুল হক নুরের ওপর হামলা এবং কাকরাইলে সংঘটিত সহিংস ঘটনার তীব্র নিন্দা জানায়।’
‘আমরা গণতান্ত্রিক উত্তরণের এক অত্যন্ত নাজুক সময়ের মধ্যে আছি, যার প্রথম পদক্ষেপ হলো জাতীয় নির্বাচন। সম্মিলিতভাবে আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে আজকের ঘটনার মতো অস্থিতিশীল ঘটনাগুলো যেন আর না ঘটে এবং গণতন্ত্রের পথ থেকে আমাদের দূরে ঠেলে না দেয়।’
তারেক রহমান বলেন, ‘বিএনপি ও এর জোটসঙ্গীরাসহ গণতন্ত্রপন্থী অংশীজনদের অবশ্যই সংযম ও সহনশীলতা বজায় রাখতে হবে। গত বছরের গণঅভ্যুত্থানের প্রকৃত চেতনাকে অবশ্যই প্রাধান্য দিতে হবে। দেশকে অবশ্যই দলবাজি, সহিংসতা ও বর্তমান অস্থিতিশীলতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘যদি আমরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে চাই, তবে আমাদের সহিংস জনতার সংস্কৃতির বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে হবে, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং একটি শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল দেশ গড়তে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যদি বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই, তাহলে আমাদের এই মব ভায়োলেন্সের সংস্কৃতির বিরুদ্ধে সতর্কতা বজায় রাখা, আইনের শাসন সমুন্নত রেখে একটি শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল দেশ গড়ে তুলতে হবে।’
কেবল গণতান্ত্রিক পথে জনগণকে ক্ষমতায়িত করা এবং সবার জন্য ন্যায়বিচার, সমতা ও মর্যাদা নিশ্চিত করার মাধ্যমেই আমরা একটি ঐক্যবদ্ধ জাতি হিসেবে সফল হতে পারি বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আরও পড়ুন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নামে ভুয়া অডিও রেকর্ড, মন্ত্রণালয়ের প্রতিবাদ
৯৬ দিন আগে
কাকরাইলের ঘটনায় যা বলল আইএসপিআর
রাজধানীর বিজয়নগরে জাতীয় পার্টির (জাপা) নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের পর গণঅধিকার পরিষদ নেতাকর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করে তাদের সরিয়ে দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এতে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর এবং দলটির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় জাপা নেতাকর্মীদের সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের পর রাত সোয়া ৯টার দিকে লাঠিচার্জ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ ঘটনাকে ‘মব ভায়োলেন্স’ আখ্যা দিয়ে তা ঠেকানোর জন্য বল প্রয়োগে সেনাবাহিনী বাধ্য হয় বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর—আইএসপিআর।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আইএসপিআর বলেছে, গতকাল (শুক্রবার) রাত ৮টায় রাজধানীর কাকরাইল এলাকায় দুটি রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় বেশ কয়েকজন আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, প্রথমে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। তবে একপর্যায়ে সংঘর্ষ বেড়ে গেলে তারা সেনাবাহিনীর সহযোগিতা কামনা করে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তাদের ওপর আক্রমণ চালানো হয় এবং এতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন।
ঘটনার শুরুতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উভয় পক্ষকে শান্ত থাকতে এবং শান্তিপূর্ণভাবে স্থান ত্যাগ করার জন্য ও দেশের বিদ্যমান আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়ায় নিজেদের মধ্যে মতপার্থক্য দূর করার অনুরোধ জানায় বলে জানিয়েছে আইএসপিআর।
আরও পড়ুন: কাকরাইলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মারধরে আহত নুরুল হক নুর
আইএসপিআরের ভাষ্যে, ‘তবে বারংবার অনুরোধ সত্ত্বেও কতিপয় নেতাকর্মী তা উপেক্ষা করে মব ভায়োলেন্সের মাধ্যমে পরিস্থিতি অশান্ত করার চেষ্টা করে। তারা সংগঠিতভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর আক্রমণ চালায় এবং রাত ৯টার দিকে মশাল মিছিলের মাধ্যমে সহিংসতা আরও বৃদ্ধি করে। এ সময় তারা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে এবং বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন দেওয়ারও চেষ্টা চালায়। এ ছাড়াও বিজয়নগর, নয়াপল্টন ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সাধারণ জনগণের চলাচল মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয় এবং জনদুর্ভোগ বৃদ্ধি পায়।’
‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শান্তিপূর্ণ সমাধানের সব চেষ্টা তারা অগ্রাহ্য করে। ফলস্বরূপ, জননিরাপত্তা রক্ষার্থে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বল প্রয়োগে বাধ্য হয়।’
এ ঘটনায় সেনাবাহিনীর ৫ সদস্য আহত হয় জানিয়ে আইএসপিআর আরও বলেছে, সব ধরনের মব ভায়োলেন্সের বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সরকারের এই সিদ্ধান্ত পুনর্ব্যক্ত করছে এবং জনমনে স্বস্তি ও নিরাপত্তা আনতে সব ধরনের মব ভায়োলেন্সের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করতে সদা প্রস্তুত রয়েছে। জননিরাপত্তা, আইনশৃঙ্খলা ও শান্তি বজায় রাখতে সেনাবাহিনী সর্বদা বদ্ধপরিকর।
৯৭ দিন আগে
একটি জাতীয় সনদের মাধ্যমে ক্ষমতার বিন্যাসে পরিবর্তন চাই: আলী রীয়াজ
একটি জাতীয় সনদ তৈরির মাধ্যমে ক্ষমতার বিন্যাসে পরিবর্তন ঘটানো জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। জনগণের প্রতি অঙ্গীকার ও প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের মধ্যে দিয়ে এই লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে হবে বলে মত দেন তিনি।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের আলোচনার শুরুতে আলী রীয়াজ এসব কথা বলেন।
নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে সংস্কার কমিশনগুলোর প্রতিবেদন, মতামত বা সুপারিশমালাই যথেষ্ট নয় বলে মনে করেন তিনি। এজন্য রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক শক্তিসহ জনমানুষের মধ্যে ঐক্য প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন কমিশনের এই সহ-সভাপতি।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আশাবাদ ব্যক্ত করে আলী রীয়াজ বলেন, ‘গত ৫৩ বছর ধরে বাংলাদেশের মানুষ যে গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেছে, সেটি বাস্তবায়নের দুয়ার খুলতে হবে। শুধু কাগজে আমরা কী লিখছি; তা নয়, জনগণের প্রতি অঙ্গীকার ও প্রতিশ্রুতির মধ্য দিয়ে এই লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঐকমত্য কমিশনের লক্ষ্য হচ্ছে একটি জাতীয় সনদ তৈরি করা। যেটির মাধ্যমে ক্ষমতার বিন্যাসের পরিবর্তন ঘটতে পারে, যাতে বাংলাদেশ তার সমস্ত সম্ভাবনা নিয়ে জেগে উঠতে পারে।’
এ সময় কমিশনের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
আরও পড়ু্ন: জনগণের আকাঙ্ক্ষার পূর্ণতা দিতে রাষ্ট্র সংস্কার দরকার: আলী রীয়াজ
আলোচনায় গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরুর নেতৃত্বে ১০ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধিদলে দলটির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান এবং সিনিয়র সহ-সভাপতি ফারুক হাসান ছাড়াও আরও আবু হানিফ, হাবিবুর রহমান রিজু, এডভোকেট খালিদ হোসেন, সাকিব হোসাইন, শাকিল উজ্জামান, ফাতেমা তুজ জোহরা রেসা এবং মুনতাজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
প্রথম পর্যায়ে গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর মধ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে উল্লেখিত গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোর ওপর রাজনৈতিক দলের সুনির্দিষ্ট মতামত জানাতে অনুরোধ করে সুপারিশগুলোর স্প্রেডশিট আকারে ৩৯টি রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো হয়।
ইতোমধ্যে সংস্কার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ৩৫টি দলের কাছ থেকে মতামত পেয়েছে। গণঅধিকার পরিষদসহ এ পর্যন্ত ২০টি রাজনৈতিক দল কমিশনের সাথে আলোচনায় অংশ নিয়েছে।
২২০ দিন আগে
তরুণরা আগামীতে নতুন বাংলাদেশ নির্মাণে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে: ভিপি নূর
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ডাকসুর সাবেক ভিপি নূরুল হক নূর বলেছেন, গত ৫৩ বছরে এই দেশের মানুষ অনেক স্বৈরাচারী ভোট ডাকাত সরকার দেখেছে। তাই এই দেশের তরুণরা আগামীতে নতুন বাংলাদেশ নির্মাণ, নতুন রাজনীতি প্রতিষ্ঠা ও নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে।
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন পাওয়ার পরেই প্রথম দলীয় সফরে নিজ জেলা পটুয়াখালীতে এসে এ কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: ‘রাব্বানী ডাকসু থেকে পদত্যাগ না করলে আমরা পদক্ষেপ নেব’: ভিপি নূর
ভিপি নূর আরও বলেন, বিএনপি যদি মনে করে যারা আন্দোলন করেছে তাদের নিয়ে জাতীয় সরকার করবে, তবেই বিএনপির সঙ্গে জোট হবে এবং রাজনৈতিক সমঝোতাও হবে। নইলে বিএনপিকে বর্জন করা হবে এবং বিকল্প শক্তি নিয়ে এককভাবে নির্বাচন করা হবে।
তিনি আরও বলেন, এই দেশে তরুণরা কারো লাঠিয়াল হওয়ার জন্য আন্দোলনে রক্ত ও জীবন দেবে না।
এসময় আরও বক্তব্য দেন- গণ অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।
আরও পড়ুন: সাবেক ডাকসু ভিপি নূরের বিরুদ্ধে ডিএসএ মামলা খারিজ
ডাকসুর সাবেক ভিপি নূরের বিরুদ্ধে সিলেটে মামলা
৪৫৪ দিন আগে
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুর, সম্পাদক রাশেদ
গণঅধিকার পরিষদের একাংশের জাতীয় সম্মেলনে কাউন্সিলরদের ভোটে সভাপতি নুরুল হক নুর এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন মো. রাশেদ খান।
সোমবার (১০ জুলাই) রাতে ভোট গণনা শেষে নির্বাচন ব্যবস্থাপনা বোর্ডের প্রধান নির্বাচন কমিশনার আরিফুল ইসলাম এই ফলাফল ঘোষণা করেন।
এর আগে নুরুল হক নুর গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব এবং রাশেদ খান ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ছিলেন।
পুরানা পল্টনে প্রতীম-জামান টাওয়ারে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দুপুর ১২টা থেকে টানা বিকাল ৫টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ হয়। এ সময়, ভোটে সভাপতি পদে তিনজন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
আরও পড়ুন: এফবিসিসিআই নির্বাচন ২০২৩-২৫: পরবর্তী সভাপতি প্রার্থী হিসেবে মাহবুবুল আলমের নাম ঘোষণা করলেন সাবেক সভাপতিরা
সভাপতি পদে নুরুল হক নুর ছাড়াও ছিলেন বায়েজীদ হোসেন শাহেদ ও নাজম-উস-সাকিব।
সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেনে মো. রাশেদ খান, বিপ্লব কুমার পোদ্দার, মাহফুজুর রহমান খান, জিলু খান ও হাসান আল মামুন।
নির্বাচনে মোট ভোটারের সংখ্যা ছিল ২১৬ জন। এর মধ্যে উচ্চতর পরিষদের ভোটারের সংখ্যা ১২৬। অন্যরা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে ভোটার তালিকায় স্থান পেয়েছেন।
উচ্চতর পরিষদে আটটি পদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ১৮ জন প্রার্থী।
উচ্চতর পদে বিজয়ী প্রার্থীরা হলেন, ‘আবু হানিফ, শাকিলউজ্জামান, হানিফ খান সজিব, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, ফাতেমা তাসনিম, আব্দুজ জাহের, নূরে এরশাদ সিদ্দিকী ও জসিম উদ্দিন।
আরও পড়ুন: বিএসআরএফ’র সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব, সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক
৮৭৮ দিন আগে