কিউআরটি
ভারী বৃষ্টি: জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করছে ডিএনসিসির কুইক রেসপন্স টিম
মঙ্গলবার থেকে অতিবৃষ্টির ফলে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা নিরসনে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) কুইক রেসপন্স টিম (কিউআরটি)।
ইতোমধ্যে প্রধান প্রধান সড়কগুলো থেকে পানি নিষ্কাশন করা হয়েছে।
এছাড়াও বৃষ্টির ফলে সড়কে উপড়ে পরা প্রায় ২০টি গাছ সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখা হয়েছে।
ভারী বৃষ্টির ফলে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা দ্রুত নিরসনের জন্য কল্যাণপুরে ডিএনসিসির পাঁচটি পাম্প সকাল থেকে একযোগে কাজ করছে।
বুধবার (২৮ জুন) ভোর থেকে নিরবচ্ছিন্ন ভারী বৃষ্টি হওয়ায় পানি অপসারণ হতে কিছুটা সময় লেগেছে।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসি’র সব মার্কেট ও বস্তিতে ফায়ার হাইড্রেন্ট বসানো হবে: মেয়র আতিকুল
এখনও যেসব অঞ্চলে জলাবদ্ধতা দেখা যাচ্ছে কুইক রেসপন্স টিম প্রেরণ করে সেই সব অঞ্চলের ড্রেন পরিষ্কার করে পানি প্রবাহ নিশ্চিত করা হচ্ছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোথাও কোনো পানি জমে থাকলে ‘সবার ঢাকা’ অ্যাপের মাধ্যমে ছবি তুলে লোকেশন উল্লেখ করে জানানোর জন্য নাগরিকদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এছাড়াও ডিএনসিসির হটলাইন ১৬১০৬ এই নম্বরে ফোন করেও জানানো যাবে।
বিজ্ঞপ্তিটিতে আরও বলা হয়, ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের নির্দেশে প্রকৌশল বিভাগ, বর্জ্যবিভাগসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো গভীর রাত থেকে কাজ করছে। জলাবদ্ধতা পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক তদারকি করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসির মশকনিধন কার্যক্রমে যুক্ত হচ্ছে বিএনসিসি ও স্কাউট
ডিএনসিসি মেয়রের সঙ্গে সৌদি রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
নির্যাতিত নারীদের সহায়তায় পুলিশের কিউআরটি
পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) শাপলা হটলাইনে কল রিসিভ করলে অপর প্রান্ত থেকে একজন নারীর চিৎকার শুনতে পান। ওই নারী ভীত কণ্ঠে বলেন, ‘আমাকে সাহায্য করুন, আমার স্বামী আমাকে মারধর করছে। আমি মরে যাচ্ছি।’
চলতি বছরের ২১ আগস্ট রাজধানীর ধলপুর কমিউনিটি সেন্টার থেকে এই কলটি আসে।
পুলিশের কুইক রেসপন্স টিমের (কিউআরটি) দায়িত্বে থাকা এসআই শাপলা তার দলকে জড়ো করেন এবং ঘটনাস্থলে যান। সেখানে তিনি একজন ২২ বছর বয়সী নারীকে তার স্বামীর হাতে নির্যাতিত হতে দেখেন।
দলটি ওই নারীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। সেখানে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। অপরাধী-স্বামীকেও আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়।
আরও পড়ুন: উন্নত দেশের মতো হবে বাংলাদেশ পুলিশ: আইজিপি
উদ্ধার করা নারীকে পরে তার বড় বোনের কাছে হস্তান্তর করা হয়। কিউআরটি টিম তার স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং তিনি তার স্ত্রীর সাথে যথাযথ আচরণ করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেয়ার পরে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
শাপলার কিউআরটি টিম উদ্ধার হওয়া ওই নারীর সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখে। দেখতে পায় যে তিনি তার স্বামীর কাছে ফিরে গেছেন এবং তারা শান্তিতে সংসার করছে।
তৃপ্তির হাসি নিয়ে শাপলা বলেন, আমি খুবই আনন্দিত যে আমরা একটি পরিবারে শান্তি ফিরিয়ে আনতে পেরেছি। আমি আশা করি তারা এভাবেই বেঁচে থাকবে।