চট্টগ্রাম বন্দর
সমুদ্রবন্দরগুলোকে সংকেত নামাতে বলায় চট্টগ্রাম বন্দর ফের চালু
২৪ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর বুধবার (২৫ অক্টোবর) সকাল থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) ঘূর্ণিঝড় হামুন’র আঘাতের আশঙ্কায় সকালে চট্টগ্রাম বন্দর কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়।
সচল হওয়ার পর জেটিতে জাহাজ প্রবেশের পাশাপাশি পণ্য ওঠানামাও শুরু হয়েছে। তবে সাগর উত্তাল থাকায় লাইটারেজ জাহাজ চলাচলে ব্যাঘাত ঘটছে। এ কারণে বহির্নোঙ্গরে পণ্য ওঠানামা এখনও পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি বলে জানায় বন্দর কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক জানিয়েছেন, বুধবার সকাল ১০টা থেকে জেটি ও ইয়ার্ডে কার্যক্রম পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় হামুন’র আঘাতের আশঙ্কায় মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম বন্দরে ‘অ্যালার্ট-থ্রি’ জারি করা হয়েছিল। জেটিতে অবস্থানরত সকল জাহাজকে গভীর সাগরে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে বলা হয়েছিল।
সচিব ওমর ফারুক বলেন, ‘আমাদের মোট ২২টি জাহাজকে জেটি থেকে চলে যেতে হয়েছিল। এর মধ্যে ১৩টি জাহাজ আবার ফেরত এসেছে। সকাল ১০টা থেকে জোয়ারের মধ্যে পর্যায়ক্রমে জাহাজগুলো ফিরে আসে। বাকি জাহাজগুলো দুপুরের পর জোয়ার শুরু হলে ফিরবে। এ মুহূর্তে বন্দরের কার্যক্রমে কোনো সমস্যা নেই। জেটি ও ইয়ার্ডে পণ্য পরিবহন, ওঠা-নামা স্বাভাবিকভাবে চলছে।’
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় 'হামুন' আজ রাতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করে ঘূর্ণিঝড় হামুন। কক্সবাজার এলাকায় তাণ্ডব চালিয়ে বৃষ্টি ঝরিয়ে রাত ১টার দিকে সেটি স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়।
বুধবার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সমুদ্রবন্দর, উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাবার সম্ভাবনা নেই। এ জন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে সতর্ক সংকেত নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে। তবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় মাছ ধরার ট্রলারসহ সকল নৌযানকে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত নিরাপদে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
সাগর উত্তাল থাকায় লাইটারেজ জাহাজ বন্দরের বহির্নোঙ্গরে গভীর সাগরে যেতে পারছে না বলে জানিয়েছে ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিনেশন সেল (ডব্লিউটিসি)।
লাইটার জাহাজ চলাচল নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী মাহবুব রশীদ বলেন, ‘আউটার থেকে মাদার ভ্যাসেলগুলো গভীর সাগরে নিরাপদে অবস্থান নিয়েছিল। সেগুলো ফিরলেও লাইটার জাহাজ আউটারে পাঠানো যাচ্ছে না। সাগর খুব উত্তাল। আশা করছি, সন্ধ্যার মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।’
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় হামুন: চট্টগ্রামে প্রস্তুত রয়েছে ২৯০টি মেডিকেল টিম
চট্টগ্রাম বন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত, সরিয়ে নেয়া হল ২২টি জাহাজ
সাগরে সৃষ্টি হওয়া প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’-এর কারণে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত এবং কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এর প্রেক্ষিতে ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের আঘাতে ক্ষয়ক্ষতি কমাতে নিজস্ব ‘অ্যালার্ট ৩’ জারিসহ ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে অবস্থানরত ২২টি জাহাজকে গভীর সাগরে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক জানান, আবহাওয়া অধিদপ্তরের সংকেতের উপর নির্ভর করে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ কী কী ব্যবস্থা নেবে তা নির্ধারিত আছে। বন্দর কর্তৃপক্ষ ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে যাতে বন্দর চ্যানেল, জাহাজ, হ্যান্ডলিং ইক্যুইপমেন্ট, কার্গো ও কনটেইনারের ক্ষতি না হয় সেই ব্যবস্থা নিয়ে থাকে। বর্তমানে বন্দরের নিজস্ব সতর্কতা সংকেত ‘অ্যালার্ট- ৩’ জারি করা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৫, ৬ ও ৭ নম্বর সতর্কতা সংকেতের জন্য এ অ্যালার্ট জারি করা হয়। সকাল ১১টায় বন্দর ভবনে কর্মকর্তাদের জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৯ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে। ‘হামুন’ উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। এটি বাড়তে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড়কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড়কেন্দ্রের কাছে সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
এদিকে দমকা হাওয়ার প্রভাবে বঙ্গোপসাগর উত্তাল হয়ে পড়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছ থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
এর আগে ঘূর্ণিঝড়টি সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে 8৪৫ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৪১০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩২৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে ও পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩১০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।
বন্দরে পাইলটের তত্ত্বাবধানে ২৪ ঘণ্টার বিশেষ কনট্রোল রুমে খোলা হয়েছে। বন্দরের মেরিন ডিপার্টমেন্ট নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, নৌপুলিশের সহায়তায় বন্দর চ্যানেল ও জেটি থেকে ছোট বড় সব জাহাজ বহির্নোঙরে কিংবা শাহ আমানত সেতুর পূর্বপাশে পাঠিয়ে দিচ্ছে। বন্দরের নিজস্ব ছোট জাহাজ-নৌযানগুলো জেটিতে বাঁধা হচ্ছে। কি গ্যান্ট্রি ক্রেন (কিউজিসি), রাবার টায়ার গ্যান্ট্রি ক্রেন (আরটিজি) সহ সব কনটেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিং ইক্যুইপমেন্ট পর্যায়ক্রমে প্যাকিং করা হচ্ছে। খালি কনটেইনারগুলো নিচে বা নিরাপদে রাখা হচ্ছে। বহির্নোঙরে পণ্য খালাস বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। জেটি, টার্মিনাল ও ইয়ার্ডে পূর্বনির্ধারিত ডেলিভারি কার্যক্রম চলছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (ক্রমিক ১০) চট্টগ্রাম ও পায়রা বন্দরকে ৭ নম্বর, কক্সবাজারকে ৬ ও মোংলা বন্দরকে ৫ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিকে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন উপকূলীয় এলাকার লোকজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে আনা, সচেতনতামূলক মাইকিংসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে।
৪ দিনের শুভেচ্ছা সফরে চট্টগ্রাম বন্দরে ইতালির নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ
শুভেচ্ছা সফরে বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে ইতালির নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ আইটিএস মোরোসিনি।
রবিবার (৩০ জুলাই) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এ তথ্য জানিয়েছে।
জানা যায়, দুপুরে জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে এসে পৌঁছালে চট্টগ্রাম নৌ-অঞ্চলের চিফ স্টাফ অফিসার ক্যাপ্টেন ফয়েজ জাহাজটিকে স্বাগত জানান।
এ সময় নৌবাহিনীর সুসজ্জিত বাদক দল ঐতিহ্যবাহী রীতিতে ব্যান্ড পরিবেশন করে।
জাহাজটিকে স্বাগত জানাতে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইতালিয়ান হাইকমিশনের প্রতিনিধিসহ নৌবাহিনীর পদস্থ কর্মকর্তারা।
এর আগে সফরকারী জাহাজটি বাংলাদেশের জলসীমায় এসে পৌঁছালে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ ‘প্রত্যাশা’ অভ্যর্থনা জানায়।
আইএসপিআর আরও জানায়, সফররত জাহাজটিতে ১৩০ জন কর্মকর্তা ও নাবিক রয়েছেন। ১৪৩ মিটার দৈর্ঘ্যের ইতালিয়ান এই জাহাজটির অধিনায়কের দায়িত্বে রয়েছেন কমান্ডার জিওভান্নি মন্নো।
আরও পড়ুন: ‘মাইলেজ’ জটিলতায় চট্টগ্রাম থেকে পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ
বাংলাদেশে অবস্থানকালীন জাহাজটির অধিনায়ক বাংলাদেশ নৌবাহিনীর চট্টগ্রাম নৌঅঞ্চলের কমান্ডার, বিএন ফ্লিটের কমান্ডার এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
সফরকারী জাহাজের কর্মকর্তা এবং নাবিকরা বানৌজা ঈসা খান, বাংলাদেশ নেভাল অ্যাকাডেমি, নৌবাহিনীর সমর কৌশল-বিষয়ক প্রশিক্ষণকেন্দ্র ‘স্কুল অব মেরিটাইম ওয়ারফেয়ার অ্যান্ড ট্যাকটিস’ (এসএমডব্লিউটি), বাংলাদেশ নৌবাহিনী পরিচালিত বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের জন্য প্রতিষ্ঠিত ‘বিএন আশার আলো’ স্কুল, বাংলাদেশ মিলিটারি অ্যাকাডেমিসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান পরিদর্শন করবেন।
ইতালিয়ান নৌবাহিনীর এ জাহাজের সফরের ফলে বাংলাদেশের সঙ্গে ইতালির বিদ্যমান সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার হবে
শুভেচ্ছা সফর শেষে জাহাজটি আগামী ২ আগস্ট বাংলাদেশ ত্যাগ করবে।
আরও পড়ুন: ১৮ দিন উৎপাদন বন্ধের পর অবশেষে জ্বালানি নিয়ে পায়রা বন্দরে জাহাজ ভিড়েছে
রাশিয়া থেকে রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের পণ্য নিয়ে জাহাজ মোংলা বন্দরে
জাপান-সিঙ্গাপুর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে এলো ১ হাজার ২৬৫টি রিকন্ডিশন্ড গাড়ি
জাপান ও সিঙ্গাপুর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছে আমদানিকৃত এক হাজার ২৬৫টি রিকন্ডিশন্ড গাড়ি। ডলার সংকটে বিলাসবহুল পণ্য আমদানি নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই ৫০০ কোটি টাকার এসব গাড়িবোঝাই ‘এমভি মালয়েশিয়া স্টার’ নামের জাহাজটি সম্প্রতি বন্দরে নোঙ্গর ফেলেছে। রেকর্ড পরিমাণ গাড়ির চালান নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের ৭ এবং ৮ নম্বর জেটিতে বার্থিং করেছে এমভি মালেয়শিয়া স্টার নামের এই জাহাজ।
বৃহস্পতিবার (৪ মে) চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের উপ-কমিশনার ব্যারিস্টার বদরুজ্জামান মুন্সি এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, এর মধ্যে ৫৬৯টি গাড়ি খালাস হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দরে। বাকিটা হবে মোংলা বন্দরে।
আরও পড়ুন: ঈদের পর হিলি স্থলবন্দরে পণ্য আমদানি-রপ্তানি শুরু
তিনি আরও বলেন, দেশে বিলাশবহুল গাড়ির আমদানি বাড়ছে। সর্বশেষ বন্দরে আমদানিকৃত গাড়ি নিয়ে আসা জাহাজ থেকে খালাস কার্যক্রম চলছে। এই জাহাজে করেই জাপান ও সিঙ্গাপুর থেকে আনা হয়েছে ১ হাজার ২৬৫টি গাড়ি।
চট্টগ্রাম কাস্টমস সূত্র জানায়, ডলার সঙ্কটের কারণে বিলাসবহুল পণ্য হিসেবে দীর্ঘদিন গাড়ির এলসি খোলা বন্ধ ছিল। সম্প্রতি অর্থনীতির পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে যাওয়ায় ফের গাড়ির এলসি খোলার অনুমতি দেওয়া হয়। এরপরেই গাড়ি আমদানিকারকরা রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানিতে সক্রিয় হয়। সর্বশেষ জাপান ও সিঙ্গাপুর থেকে ১২৬৫টি রিকন্ডিশন্ড গাড়ি নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে আসে এমভি মালয়েশিয়া স্টার নামক একটি জাহাজ। এই জাহাজ থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে খালাস হয়েছে ৫৬৯টি গাড়ি। বাকি গাড়ি খালাস হবে মোংলা বন্দরে।
চট্টগ্রাম বন্দরে খালাস হওয়া গাড়িগুলো বর্তমানে শুল্কায়ন পর্যায়ে রয়েছে। এসব গাড়ি থেকে ২০০ কোটি টাকার উপরে রাজস্ব আয় হবে বলে আশা প্রকাশ করেছে কর্তৃপক্ষ।
গাড়ির বিশাল এই চালান আমদানির সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছেন ঢাকা ও চট্টগ্রামের ১২ থেকে ১৫ জন ব্যবসায়ী।
বিশেষ করে আসন্ন বাজেটে আমদানি করা গাড়িতে শুল্কহার বাড়তে পারে- এই তথ্য থেকেই বেশি লাভের আশায় বাড়ছে গাড়ি আমদানি।
গাড়ি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস্ ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বারভিডা) সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান বলেন, দেশের অর্থনীতি সচল রাখতে হলে গাড়ির ব্যবহার সচল রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, গত বছরের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত হওয়া এলসিগুলোতে এসব গাড়ি এসেছে। নতুন করে বাজেটকে কেন্দ্র করে এখন পর্যন্ত কোনো গাড়ি আসেনি।
আরও পড়ুন: জাপান-সিঙ্গাপুর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে এলো ১ হাজার ২৬৫টি রিকন্ডিশন্ড গাড়ি
চট্টগ্রাম বন্দরে শিপ হ্যান্ডেলিং এ নতুন অপারেটরদের নিয়োগ ৬ মাসের জন্য স্থগিত
চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার ভর্তি মদের চালান আটক
চট্টগ্রাম বন্দরে মিথ্যা ঘোষণায় আনা এক কনটেইনার ভর্তি মদের চালান আটক করেছে কাস্টমস হাউসের কর্মকর্তারা।
আটক চালানটিতে ১৬ হাজার ৮৪০ লিটার মদ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন তারা।
বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের নিরীক্ষা, তদন্ত ও গবেষণা (এআইআর) শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা মো. নিজাম উদ্দীন গনমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গোপন সংবাদ থাকায় আজ (বৃহস্পতিবার) বিকালে শতভাগ কায়িক পরীক্ষা শেষে ৪০ ফুটের একটি এফসিএল কনটেইনার আটক করা হয়। কনটেইনারের ভেতরে আমরা বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ পেয়েছি। তাই কনটেইনারটি বন্দরের বিশেষ নজরদারি ও নিরাপত্তা হেফাজতে রাখার জন্য অনুরোধ করা হয়।
এতে করে সরকারের ১৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকির চেষ্টা করেছে ঢাকার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান বিসমিল্লাহ করপোরেশন বলে জানান এই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় গাঁজা-মদসহ ভারতীয় নাগরিক আটক
নাটোরে বিপুল পরিমাণ দেশীয় মদ জব্দ, আটক ৩
জালিয়াতির মাধ্যমে রপ্তানি: ৭ কনটেইনার পণ্য জব্দ
চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে মিথ্যা ঘোষণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে বিদেশে পণ্য রপ্তানির ঘটনা উদঘাটন করেছে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ।
এছাড়া জব্দ করা হয়েছে তিন কোটি টাকা মূল্যের সাতটি কনটেইনার ভর্তি রপ্তানির জন্য রাখা পণ্য।
আরও পড়ুন: অক্টোবরে ৯৮ কোটি টাকার পণ্য জব্দ করেছে বিজিবি
রাজধানী ঢাকার মোল্লারটেক এলাকার প্রতিষ্ঠান সাবিহা সাইকি ফ্যাশন।
প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে এলসি জালিয়াতি করে ইতোমধ্যে ২২ কোটি টাকা মূল্যের ৮৫টি চালান রপ্তানি করেছে মর্মে তদন্তে উদঘাটিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারী) কাস্টমস শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. শাকিল খন্দকার গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অভিযোগ রয়েছে ভুয়া এলসির মাধ্যমে বিদেশে পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি বিদেশে টাকা পাচার করেছে।
এছাড়া এলসির কাগজপত্রের প্রাথমিক তদন্তে প্রতিষ্ঠানটির কারসাজির প্রমাণও পেয়েছে সংস্থাটি।
চট্টগ্রাম মহানগরীর কাঠগড় এলাকার এসইপিএল ডিপোর মাধ্যমে পণ্যচালানগুলো রপ্তানি হচ্ছিল। সেখানে অভিযান চালিয়ে ইতোমধ্যে সাত কন্টেইনার আটক করেছে শুল্ক গোয়েন্দা।
সাবিহা সাইকি ফ্যাশন নামের প্রতিষ্ঠানটি ম্যানস টিশার্ট ও লেডিস ড্রেস রপ্তানির ঘোষণা দিলেও আটক করা সাতটি কনটেইনার খুলে দেখা গেছে প্রতিষ্ঠানি ম্যানস্ ট্রাউজার, টিশার্ট, পোলো শার্ট ও বেবি সেট রপ্তানি করছিল বলে জানায় শুল্ক গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা।
কাস্টমস শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. শাকিল খন্দকার বলেন, এলসি জালিয়াতি করে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানটি ইতোমধ্যে ২২ কোটি টাকা মূল্যের ৮৫টি চালান রপ্তানি করেছে। বাকি সাত কনটেইনারে থাকা ৯ চালান আমরা আটক করেছি।
সেখানেই আমরা জালিয়াতির প্রমাণ পেয়েছি।
তারা কম পণ্য ঘোষণা দিয়ে বেশি পণ্য রপ্তানি করছিল। ওই ৯ চালানে আমরা ১১৮ মেট্রিক টন পণ্য আটক করেছি। যার মূল্য তিন কোটি টাকা। আমরা তাদের সবগুলো রপ্তানি চালান তদন্ত করে দেখবো।
তাই আমাদের যুগ্ম পরিচালক মো. সাইফুর রহমানকে প্রধান করে আট সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় বিভিন্ন ভারতীয় পণ্য জব্দ, আটক ৫
নভেম্বরে ১৩৪ কোটি টাকার পণ্য জব্দ করেছে বিজিবি
চট্টগ্রাম বন্দরে দেশজুড়ে নৌযান শ্রমিকদের ধর্মঘটে পণ্য খালাস বন্ধ
নৌযান শ্রমিকরা মধ্যরাত থেকে দেশব্যাপী ধর্মঘট শুরু করায় রবিবার চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পণ্য খালাস বন্ধ রয়েছে।
শনিবার দিবাগত রাত থেকে ডাকা ধর্মঘটের কারণে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে অপেক্ষমাণ বড় জাহাজ থেকে পণ্য খালাসে নিয়োজিত লাইটার জাহাজ, অয়েল ট্যাংকারসহ প্রায় সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। নৌযান শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদ এই ধর্মঘটের ডাক দেয়।
চট্টগ্রাম বন্দরসহ সব নৌবন্দরে লাইটার জাহাজ ও অন্যান্য নৌযান রাখার জন্য পোতাশ্রয় নির্মাণ, চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশালে পরীক্ষা কেন্দ্র, নৌ-আদালত স্থাপনসহ ১০ দফা দাবিতে সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু করেছে নৌযান শ্রমিকরা।
আরও পড়ুন: ধ্বংস করা হচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দরের পচনশীল ৭৩ কনটেইনার পণ্য
বাংলাদেশ লাইটার ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সহ-সভাপতি মো. নবী আলম বলেন, ১৫ নভেম্বর ১০ দফা দাবি নিয়ে এই অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ঘোষণা দেয়া হয়। তাই মধ্যরাত থেকে বন্দরের বহির্নোঙরে রাখা বড় জাহাজ থেকে পণ্য খালাসের কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে সাধারণ শ্রমিকরা। একই সঙ্গে মাঝিরঘাট ও সদরঘাট এলাকার ১৮টি বেসরকারি ঘাটেও লাইটার জাহাজে করে পণ্য খালাসের কাজ বন্ধ রয়েছে।
নৌযান শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদ চট্টগ্রামের আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম বলেন, সর্বনিম্ন ২০ হাজার টাকা বেতন,কর্মরত অবস্থায় নিহত শ্রমিকের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ, ভারতীয় লাইনে প্রটোকলে ল্যান্ডিং পাস ইস্যুসহ ১০ দফা দাবিতে ধর্মঘট চলছে। লাইটার জাহাজ, ট্যাংকার, যাত্রীবাহী লঞ্চ এ কর্মবিরতির আওতায় রয়েছে।
শ্রমিকদের ১০ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- নৌযান শ্রমিকদের নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র ও সার্ভিস বুক প্রদানসহ শ্রমিকদের সর্বনিম্ন মজুরি ২০ হাজার টাকা নির্ধারণ, খাদ্য ভাতা ও সমুদ্র ভাতার সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কন্ট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ট ফান্ড ও নাবিক কল্যাণ তহবিল গঠন করা, দুর্ঘটনা ও কর্মস্থলে মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ ১০ লাখ টাকা নির্ধারণ করা, চট্টগ্রাম থেকে পাইপ লাইনের মাধ্যমে জ্বালানি তেল সরবরাহে দেশের স্বার্থবিরোধী অপরিণামদর্শী প্রকল্প বাস্তবায়নে চলমান কার্যক্রম বন্ধ করা, বালুবাহী বাল্কহেড ও ড্রেজারের রাত্রিকালীন চলাচলের ওপরে ঢালাও নিষেধাজ্ঞা শিথিল, নৌপথে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও ডাকাতি বন্ধ, ভারতগামী শ্রমিকদের লান্ডিং পাস প্রদানসহ ভারতীয় সীমানায় সবধরনের হয়রানি বন্ধ করা, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য পরিবহন নীতিমালা শতভাগ কার্যকর করে সকল লাইটারিং জাহাজকে সিরিয়াল মোতাবেক চলাচলে বাধ্য করা, চরপাড়া ঘাটে ইজারা বাতিল ও নৌপরিবহন অধিদ্প্তরের সব ধরনের অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা বন্ধ করা।
আরও পড়ুন: লাইটার জাহাজ শ্রমিকদের ধর্মঘট, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য পরিবহন বন্ধ
চট্টগ্রাম বন্দর রিজিওনাল শিপিং হাব-এ পরিণত হয়েছে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
চট্টগ্রাম বন্দর ও বিমানবন্দর চালু
ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ এর প্রভাব কেটে যাওয়ার পর মঙ্গলবার সকাল থেকে চট্টগ্রাম বিমান বন্দর চালু ও চট্টগ্রাম বন্দরে পুরোদমে কাজ শুরু হয়েছে। শাহ আমানত বিমানবন্দরে বিমান ওঠা-নামা এবং বন্দরে পণ্য খালাসের পাশাপাশি জেটিতে ভিড়ছে জাহাজ।
মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে গতকাল সোমবার দুপুরে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি আশঙ্কায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ এনসিটি, সিসিটির সব জাহাজ বহিরনোঙরে পাঠিয়ে দেয়। বন্দর চ্যানেল থেকে সব লাইটার জাহাজও সরিয়ে নেয়া হয়। সমুদ্রবন্দরে নিজস্ব সংকেত ‘অ্যালার্ট-৩’ জারি করা হয়।
সচিব মো. ওমর ফারুক জানান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় সকাল সাড়ে আটটা থেকে জাহাজগুলো ফিরিয়ে আনার কাজ শুরু হয়। বহিনোঙর থেকে জিসিবি, এনসিটি, সিসিটিসহ বিভিন্ন স্বার্থে জাহাজ ভিড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এ কাজে বন্দরের সাতটি টাগবোট সহায়তা করছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরে ‘অ্যালার্ট-৩’ জারি, পণ্য ওঠা-নামা বন্ধ
তাছাড়া পণ্য ডেলিভারি কার্যক্রম শুরুর পাশাপাশি বন্দরে জাহাজ ভিড়তে শুরু করেছে। কনটেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিং কার্যক্রমও শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার বন্দরে প্রথম ভিড়েছে বাল্ক ক্যারিয়ার ‘এমভি হ্যাপি হিরো’।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে উড্ডয়ন/অবতরণ কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণার পর শাহ আমানত বিমানবন্দরে প্রথম অবতরণ করেছে সালাম এয়ারের একটি ফ্লাইট।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় মাস্কাট থেকে আসা ফ্লাইটটি অবতরণ করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক উইং কমান্ডার তাসলিম আহমেদ।
তিনি জানান, শিডিউল, রিশিডিউল অনুযায়ী অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলো উড্ডয়ন ও অবতরণ করবে।
এর আগে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও বরিশাল বিমানবন্দর সোমবার (২৪ অক্টোবর) বিকাল ৩টা থেকে মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিল বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: সিত্রাং: মোংলা-পায়রায় ৭ নম্বর, চট্টগ্রাম-কক্সবাজারে ৬ নম্বর সতর্ক সংকেত
ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং: চট্টগ্রামে ২৯০টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত
ট্রানজিট চুক্তি: ভারতের পণ্য নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে ‘এমভি ট্রান্স সামুদেরা’
বাংলাদেশের সঙ্গে ট্রানজিট চুক্তির আওতায় ভারতের পণ্য নিয়ে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে এসে পৌঁছেছে পণ্যবাহী একটি জাহাজ।
মঙ্গলবার রাতে ‘এমভি ট্রান্স সামুদেরা’ নামের কার্গো জাহাজটি বন্দরের এনসিটি জেটিতে নোঙর করে। জাহাজটিতে এক কনটেইনার পণ্য (রড) রয়েছে। এ চালানটি বাংলাদেশের ভূখণ্ড হয়ে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যে (আসাম) যাবে।
চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালে এমভি সেঁজুতি জাহাজে কলকাতা বন্দর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে ট্রানজিটের চার কনটেইনার পণ্য এসেছিল। গত মাসে মোংলা বন্দর দিয়ে ট্রানজিটের আরেকটি সফল ট্রায়াল রান সম্পন্ন হয়েছে। চলতি সপ্তাহে মেঘালয় থেকে চায়ের কনটেইনার ডাউকি-তামাবিল হয়ে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ট্রানজিটের ট্রায়াল রানের শেষ চালানটি কলকাতা বন্দরে পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
ট্রান্স সমুদেরা জাহাজের শিপিং এজেন্ট ম্যাঙ্গো লাইনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইকবাল সুজন ভূইয়া জানান, কলকাতা বন্দর থেকে মোট ১২৪ একক আমদানি পণ্য বোঝাই করে জাহাজটি রাত ৮টায় চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়েছে। এর মধ্যে একটি কনটেইনারে ট্রানজিট পণ্য আছে। বাকি কনটেইনারে পণ্যের আমদানিকারক বাংলাদেশি ব্যবসায়ী। এর আগে ২০২০ সালের ২১ জুলাই ট্রান্সশিপমেন্টের প্রথম চালান কলকাতা বন্দর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছিল।
পড়ুন: ঢাকা-দিল্লির মধ্যে যেসব সমঝোতা স্মারক সই ও প্রকল্প ঘোষণা
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, বাংলাদেশ-ভারত ট্রানজিট চুক্তির আওতায় আমদানি-রপ্তানি দুই ধরনের পণ্য উঠানামায় প্রস্তুত চট্টগ্রাম বন্দর। বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রতিদিন গড়ে ১০ হাজার একক আমদানি-রপ্তানি-খালি কনটেইনার ওঠানামা করছে, ফলে ভারত থেকে আসা-যাওয়া করা ট্রানজিট-ট্রান্সশিপমেন্ট পণ্য অনায়াসেই এই বন্দরে ওঠানো-নামানো সম্ভব।
চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে ট্রানজিট চুক্তির আওতায় চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর দিয়ে ট্রায়াল রান সম্পন্ন হচ্ছে- এটি গৌরবের। এতে বন্ধু প্রতিম দুই দেশ উপকৃত হবে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান জানান, ভারতের সেভেন সিস্টার্স রাজ্যগুলোর ট্রানজিট পণ্য পরিবহনে চট্টগ্রাম বন্দর শতভাগ প্রস্তুত।
পড়ুন: বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় ভারত নির্ভরযোগ্য অংশীদার হিসেবে থাকবে: দ্রৌপদী মুর্মু
চট্টগ্রাম বন্দরের প্রত্যেক গেইটে স্ক্যানার বসানো হবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
চট্টগ্রাম বন্দরের প্রত্যেক গেইটে আমদানি-রপ্তানি জন্য স্ক্যানার বসানো হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘ চট্টগ্রাম বন্দর বাংলাদেশের অর্থনীতির লাইফ লাইন। এর নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার জন্য স্ক্যানার বসানোর কার্যক্রম চলমান আছে। বন্দরের প্রত্যেক গেইটে আমদানি-রপ্তানি জন্য স্ক্যানার বসানো হবে।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রামে সিভিল এভিয়েশনের কর্মচারী আটক, ৪টি স্বর্ণের বার জব্দ
রবিবার (২৮ আগস্ট) চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
খালিদ মাহমুদ বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরে যাতে স্ক্যানার বসানো না হয়, এখানে যাতে ডিজিটাল বাংলাদেশের ছোঁয়া না লাগে সেজন্য সংঘবদ্ধ চক্র জোরালো ভূমিকা রাখছে। চট্টগ্রাম বন্দরকে বিশ্বমানের ডিজিটাল করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যা যা করণীয় তা করা হবে। শুধু চট্গ্রাম বন্দর নয়, মোংলা বন্দরসহ স্থলবন্দরগুলোতেও স্ক্যানার বসানোর কাজ চলমান রয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভারতের সাথে চুক্তি অনুসারে তাদের দেশের জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করতে পারবে এবং সেখান থেকে সড়ক পথে ভারতের অন্যান্য রাজ্যে মালামাল যেতে পারবে। এজন্য চট্টগ্রাম বন্দরে ভারতের জাহাজের ট্রায়াল রান হয়েছে। আরও ট্রায়াল হবে। চট্টগ্রাম বন্দরকে আরও আপগ্রেড করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল, ওভারফ্লো ইয়ার্ড নির্মিত হয়েছে। অধিক জাহাজ বাড়ার চাপ সামাল দেয়ার জন্য চট্টগ্রাম বন্দর প্রস্তুত আছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে এস আর ও হয়ে গেলে নিয়মিতভাবে ভারতীয় জাহাজ আসা শুরু করবে।
ভারতের জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করা এবং সেখান থেকে পণ্য ভারতের অন্যান্য রাজ্যের পাঠানোর বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ মানবিক রাষ্ট্র। ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে এ দেশ পেয়েছি। আমরা সবসময় মানবিক পদক্ষেপ নিয়েছি। বঙ্গবন্ধুর বিদেশ নীতি হলো-সকলের সাথে বন্ধুত্ব। সে অনুযায়ি আমরা মানবিকতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছি।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান, সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মো. জাফর আলম, সদস্য (প্রকৌশল) ক্যাপ্টেন মো. মাহবুবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রাম বন্দরের বে-টার্মিনাল অপারেশন এবং লজিস্টিকস সাপোর্টে ইউএই’র আগ্রহ প্রকাশ
চট্টগ্রাম বন্দরের মাস্টার অপারেটর ও তার স্ত্রীর হিসাব জমার নির্দেশ দুদকের